তেজপাতার জলে জাদু! নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস, কমবে ওজন

আজকাল অনেকেই ওজন নিয়ে সচেতন। কারণ অতিরিক্ত ওজন নানান ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি যেমন—ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। ওজন কমাতে যেমন খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চায় মনোযোগ দেওয়া জরুরি, তেমনি ঘরোয়া কিছু ডিটক্স পানীয়ও সাহায্য করতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শুধু হজমশক্তিই নয়, শরীরের আরও অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।
তেজপাতার জলের উপকারিতা
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: তেজপাতা ভিটামিন সি, এ ও খনিজে ভরপুর। প্রতিদিন তেজপাতার জল পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
২. ত্বক ও চুলের যত্ন: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ তেজপাতার জল শরীরকে ডিটক্স করতে বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সাহায্য করে। এই জল দিয়ে চুল ধুলে চুল পড়া এবং খুশকির সমস্যাও কমে।
৩. হজম শক্তি বৃদ্ধি: তেজপাতার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এর ফলে গ্যাস, অম্বল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয়।

টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
ভারতের শহুরে পরিবারের প্রায় অর্ধেকের বেশি মানুষ মাসে অন্তত তিনবার কেক, বিস্কিট, চকলেট ও আইসক্রিম খান, আর প্রতিদিন এসব খাবার খান প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষ। আমাদের বাংলাদেশের শহরগুলোতেও হয়তো চিত্রটা কাছাকাছি। গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত চিনি খাওয়া শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কেন চিনি এড়িয়ে চলা উচিত এবং টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন আসে।
চিনির প্রকারভেদ ও ক্ষতিকর প্রভাব: চিনি মূলত দুই প্রকার:
অ্যাডেড সুগার (Added Sugar): এটি খাবার বা পানীয়তে আলাদাভাবে যোগ করা চিনি, যেমন সাদা চিনি, মধু, যা বিস্কিট, সফট ড্রিঙ্কস বা আইসক্রিমের মতো খাবারে থাকে। অতিরিক্ত অ্যাডেড সুগার ডায়াবেটিস, স্থূলতা, ফ্যাটি লিভার, হৃদরোগ এবং দাঁতের ক্ষয়ঝুঁকি বাড়ায়।
প্রাকৃতিক চিনি: যা ফল, দুধ ও শাকসবজিতে থাকে। এই চিনি ক্ষতিকারক নয়, বরং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।
শরীরের জন্য গ্লুকোজের দরকার, যা মস্তিষ্ক ও শরীরকে শক্তি জোগায়। তবে আলাদা করে চিনি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ শরীর নিজেই কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি করে। ফলের চিনি ক্ষতিকারক নয়, কারণ এগুলো ফাইবার, ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে এবং শরীর এগুলো ধীরে ধীরে হজম করে, ফলে নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকরভাবে শক্তি জোগায়।
চিনি বাদ দিলে শরীরে কী হয়? চিনি কমালেই দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং ওজনও কমে। যারা বেশি চিনি খেয়ে অভ্যস্ত, তাদের প্রথমে মাথাব্যথা, ক্লান্তি বা মেজাজ খারাপ হতে পারে।
২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে স্থূল শিশুদের উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা ১০ দিন অ্যাডেড সুগার বা চিনি একেবারে না খেলে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের পরিবর্তন দেখা যায়, যদিও ওজনে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।
চিকিৎসকদের মতে:
অ্যাডেড সুগার বাদ দিলে ৫-৬ দিনের মধ্যেই হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি হয়।
৭-৮ দিনে মেজাজ ভালো হয়।
৯-১০ দিনে ত্বকের উজ্জ্বলতা আসে।
ডায়াবেটিস রোগীরা ৩-৫ দিনের মধ্যেই রক্তে শর্করার ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পান।
তবে ওজনের পরিবর্তন দেখতে চাইলে অন্তত এক মাস অ্যাডেড সুগার বাদ দিতে হবে এবং এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। তবে শুধু এই ভিডিও দেখেই নয়, একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে চলা উচিত।
প্রতিদিন কতটুকু চিনি নিরাপদ? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিদিনের ক্যালরির ৫ থেকে ১০ শতাংশের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। প্রায় ২৫ গ্রাম চিনি, যা প্রায় ৬ চামচের সমান, যথেষ্ট। এর বেশি হলে তা শরীরের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (NHS) এর মতে:
প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে সর্বোচ্চ ৭ চা চামচ।
৭ থেকে ১০ বছরের শিশুদের সর্বোচ্চ ৫ চা চামচ।
৪ থেকে ৬ বছরের শিশুদের সর্বোচ্চ ৪ চা চামচ।
২ থেকে ৩ বছরের শিশুদের সর্বোচ্চ ৩ চা চামচের বেশি অ্যাডেড সুগার খাওয়া ঠিক নয়।
তবে যত কম, ততই ভালো। অর্থাৎ, পুষ্টিবিদরা যে ২৫ গ্রাম অ্যাডেড সুগারের সীমা বেঁধে দিয়েছেন, তার মধ্যেই কিন্তু দিনের বিস্কিট, কেক, সফট ড্রিঙ্কসের মতো অ্যাডেড সুগারযুক্ত খাবার খেতে হবে। এর বেশি খাওয়া একদম উচিত নয়। চিনি কমানো বা এড়ানো শুধু ১০ দিন বা ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ নয়, বরং আজীবনের অভ্যাসে পরিণত করা উচিত।
সূত্র: বিবিসি
জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ
জিরা রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ মসলা, যা শুধু খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় না, স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার করে। জিরাতে রয়েছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, জিঙ্ক ও পটাশিয়াম। এ কারণে রোজ সকালে জিরাপানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি বিশেষ করে যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য উপকারী। জিরা পানি গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজম এবং পেট ভার হয়ে থাকার সমস্যাও দূর করতে পারে।
জিরা পানির ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
১. হজম ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা: এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে। গ্যাস জমে পেট ফুলে যাওয়া, পেট ভার হয়ে থাকা, পেটে অস্বস্তি বা পেট ব্যথা—সবকিছু সারাতে পারে জিরা পানি।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: জিরা পটাশিয়াম, আয়রন ও ফাইবারের ভালো উৎস। নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডিটক্স: জিরা পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে পারে। পরিপাকক্রিয়া ঠিক রাখায়, শরীর থেকে টক্সিন সহজেই পরিষ্কার হয়, ফলে ওজন হ্রাস এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: খালি পেটে জিরা পানি পান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। জিরা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৫. হৃদরোগ ও রক্তচাপ: উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় জিরা পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগজনিত নানা জটিলতা হ্রাস করে।
৬. ক্যানসার ঝুঁকি হ্রাস: জিরা পানিতে থাকা অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে অত্যন্ত কার্যকরী।
৭. ত্বক ও চুলের যত্ন: জিরা পানিতে থাকা উপকারী উপাদানগুলো ত্বক উজ্জ্বল করে। এটি ব্রণের সমস্যা দূর করে, সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে।
জিরা পানি তৈরির পদ্ধতি
জিরা পানি তৈরি করার নিয়মটি সহজ:
১. প্রথমে ১ চামচ জিরা পাত্রে সামান্য গরম করে নিন।
২. এরপর জিরা ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
৩. এক কাপ কুসুম গরম পানিতে জিরা ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
৪. ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন পানির রং হলদে ভাব আসা পর্যন্ত।
৫. পানি ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে নিয়মিত এই পানীয় পান করলে এক সপ্তাহের মধ্যেই উপকার পাবেন।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: বাড়িতে বসেই হৃদযন্ত্র সুস্থ কিনা, জানুন ৩ সহজ উপায়ে
হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি। এটি সারাদিন-রাত নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রার চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামহীনতা আমাদের হার্টের ওপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে, ফলে বয়স বাড়ার আগেই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, হার্টের যত্ন নেওয়া মানে নিয়মিত হাসপাতালের পরীক্ষা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতেই কিছু সহজ পরীক্ষা করে জানা যায় আপনার হৃদযন্ত্র কতটা সুস্থ।
হৃদযন্ত্রের সুস্থতা যাচাইয়ের ৩টি ঘরোয়া পদ্ধতি
১. হৃদস্পন্দন পরিমাপ (Heart Rate): আপনার হার্ট কতটা শক্তিশালী, তা বোঝার অন্যতম সহজ উপায় হলো নাড়ির হার পরিমাপ করা।
পদ্ধতি: তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল কব্জির ভিতরের দিকে, বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচে রাখুন। ঘড়ি বা স্টপওয়াচে ১০ সেকেন্ড গণনা করে স্পন্দন গুনুন। সংখ্যাটিকে ৬ দিয়ে গুণ করুন—এটাই প্রতি মিনিটে আপনার হৃদস্পন্দন।
সতর্কতা: বিশ্রামের সময় প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিট স্বাভাবিক ধরা হয়। যদি হৃদস্পন্দন ১০০-এর বেশি বা ৬০-এর কম হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২. সিঁড়ি পরীক্ষা (Stair Test): হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা যাচাইয়ের সহজ উপায় হলো ‘সিঁড়ি পরীক্ষা’।
পদ্ধতি: প্রায় ৪ তলা বা ৬০ ধাপ সিঁড়ি স্বাভাবিক গতিতে ওঠার চেষ্টা করুন।
ফলাফল বিশ্লেষণ: যদি ৯০ সেকেন্ডের কম সময় লাগে এবং শ্বাসকষ্ট না হয়, আপনার হৃদপিণ্ড সম্ভবত ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু বুক জ্বালাপোড়া, ব্যথা, ঘাম বা মাথা ঘোরা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
৩. স্মার্ট ডিভাইস ও অ্যাপ ব্যবহার: প্রযুক্তির যুগে নিজের হার্টের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এখন আরও সহজ। স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড বা মোবাইল অ্যাপ হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপের পরিবর্তন নজরে রাখে।
ব্যবহার পদ্ধতি: নিয়মিত রক্তচাপ, ওজন, ব্যায়াম ও ঘুমের ডেটা অ্যাপে রেকর্ড করুন। কিছু উন্নত ডিভাইস অনিয়মিত হৃদস্পন্দনও শনাক্ত করতে পারে। সেই তথ্য চিকিৎসকের সঙ্গে শেয়ার করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যাপ বা ডিভাইসগুলো কোনোভাবেই চিকিৎসা পরীক্ষার বিকল্প নয়। যদি কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসই হলো সুস্থ হৃদয়ের চাবিকাঠি।
উপকারী না ক্ষতিকর? শুঁটকি মাছ নিয়ে পুষ্টিবিদের বিশ্লেষণ
বাংলাদেশের গ্রামীণ ও উপকূলীয় সংস্কৃতিতে শুঁটকি একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার। শতাব্দী ধরে খাদ্য তালিকায় থাকা এই শুকনো মাছ শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। গবেষণা বলছে, শুঁটকি মাছ উচ্চ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দারুণ উৎস। তবে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না হলে এই খাবারটি স্বাস্থ্যহানিকর হয়ে উঠতে পারে।
শুঁটকির ৫টি প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতা
শুঁটকি মাছকে পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি একটি কার্যকর পুষ্টিকর খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পুষ্টিবিদের মতে, এর উপকারিতাগুলো হলো:
১. প্রোটিনের ভান্ডার: শুঁটকিতে প্রায় ৮০-৮৫% প্রোটিন থাকে, যা কোষ গঠনে, পেশি মজবুত রাখতে, চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং ক্ষত সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
২. আয়রনের উৎস: এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহন নিশ্চিত করে। আয়রনের অভাবে সৃষ্ট অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে এটি সহায়ক।
৩. ক্যালসিয়াম ও হাড়ের যত্ন: শুঁটকি ক্যালসিয়ামের অন্যতম ভালো উৎস। এটি হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্মৃতিশক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।
৫. ফসফরাস ও ভিটামিন: এতে থাকা ফসফরাস হাড় ও কোষীয় স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর। এছাড়া ভিটামিন এ, ডি ও বি-কমপ্লেক্স স্নায়ুতন্ত্র ও শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সতর্কতা
যদিও শুঁটকি পুষ্টিকর, তবে প্রচলিত উৎপাদন পদ্ধতির কারণে এটি স্বাস্থ্যহানিকর হতে পারে।
প্রক্রিয়াজাতকরণের সমস্যা: সাধারণত মাছ ধরার পর সরাসরি রোদে শুকানো হয়, যেখানে সঠিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকে। এতে ধুলোবালি, কীটপতঙ্গ, এমনকি কুকুর বা বিড়ালের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে।
রাসায়নিকের ব্যবহার: অনেক সময় শুঁটকি সংরক্ষণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাসি বা নষ্ট মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হলে তার গুণগত মান কমে যায়।
শুঁটকি খাওয়ার সময় করণীয়
পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি সতর্ক করে বলেন, শুঁটকি খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:
১. লবণ: শুঁটকিতে প্রাকৃতিকভাবেই লবণ থাকে, তাই অতিরিক্ত লবণ দিয়ে রান্না করা ঠিক নয়।
২. বিশুদ্ধতা: বাজারজাত অনেক শুঁটকিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়। তাই ভালো ব্র্যান্ড বা বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনা উচিত।
৩. তেল-মসলা: অতিরিক্ত তেল ও মসলা শুঁটকির হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।
৪. কিডনি রোগী: যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে বা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাদের জন্য শুঁটকি খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুঁটকি যাতে স্বাস্থ্যবান্ধব ও নিরাপদ হয়, তার জন্য প্রয়োজন উন্নত ও বিজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা।
সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য
রাতে কম ঘুমানো শুধু ক্লান্তি বাড়ায় না, বরং মস্তিষ্কের আকারও ছোট করে দিতে পারে—সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। একটি বৃহৎ আকারের এমআরআই-ভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মস্তিষ্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ২ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।
হিপোক্যাম্পাস ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি
গবেষকদের মতে, কম ঘুমের কারণে প্রতি বছর মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশের আয়তন গড়ে ০.২২ শতাংশ বেশি হ্রাস পায়। হিপোক্যাম্পাস হলো মস্তিষ্কের সেই অংশ, যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা এবং মানসিক ভারসাম্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।
স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি: গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ মধ্যবয়সে নিয়মিত ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি।
বার্ধক্যের প্রভাব: এমনকি তাদের মস্তিষ্কের গঠন তুলনামূলকভাবে ২.৬ বছর বেশি বয়স্ক মনে হয়েছে, যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম বজায় রেখেছেন তাদের তুলনায়।
গবেষকদের সতর্কবার্তা
ঘুমকে অনেকেই নমনীয় বিষয় বলে মনে করলেও, গবেষকরা বলছেন, ঘুমই হচ্ছে মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর ‘প্রাকৃতিক টুল’। নিয়মিত সময়মতো ঘুমানো শুধু স্মৃতি ও মনোযোগই নয়, বরং মানসিক স্থিতিশীলতাও রক্ষা করে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানীয় অবক্ষয় (cognitive decline) ধীর করে।
সংক্ষেপে, প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুম মানে শুধু পরদিনের ক্লান্তি নয়—এটি হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের ধীরে ধীরে সঙ্কোচনের সূচনা। তাই এখনই ঘুমকে গুরুত্ব দিন—এটাই হতে পারে ভবিষ্যতে স্মৃতি ও মানসিক সুস্থতা রক্ষার সবচেয়ে সহজ উপায়।
পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?
সাধারণ মনে হলেও সামান্য ব্যথা, পায়ে খিল ধরা বা আঙুলে ঘা—এই উপসর্গগুলো মারাত্মক বিপদের প্রকাশ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে এক ধরনের নীরব রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, যা প্রাথমিকভাবে অল্প সমস্যা মনে হলেও হঠাৎ করে গুরুতর অবস্থায় পৌঁছায়। এটি হলো পায়ের রক্তনালিতে ব্লক।
প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী এই সমস্যাকে সাধারণ ব্যথা বা হালকা ঘা বলে এড়িয়ে দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে হাঁটার সময় সীমা কমতে থাকে।
অবহেলার পরিণতি
বিশেষজ্ঞরা জানান, অনেকেই প্রথমে বলেন, "খিল ধরে গেছে," বিশ্রামে ব্যথা কমে আসে। কিন্তু কয়েক মাস বা বছর পর দেখা যায়, সামান্য হাঁটলেই তীব্র ব্যথা হয়। এরপর আঙুলে ঘা দেখা দেয়, যা সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগেও শুকায় না, পচন ধরে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী চিকিৎসকের কাছে আসার সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখানে পা কাটার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, শত রোগীর মধ্যে প্রায় ৯৭-৯৮ জনের সমস্যা সাধারণ রক্তনালির ব্লক, যা সঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসাযোগ্য। ব্লক শুরু হয় শরীরে জন্ম থেকেই, গর্ভকাল বা শিশুকাল থেকেই ধীরে ধীরে ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি?
জীবনযাপন: ধূমপানকারী, অনিয়মিত জীবনযাপনকারী এবং ব্যায়ামে অনিয়মিত ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।
স্বাস্থ্যগত কারণ: বংশগতভাবে রক্তে চর্বি জমার প্রবণতা থাকা, নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপও বড় কারণ। তবে নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঝুঁকি অনেক কমানো যায়।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি হাঁটতে গেলে ব্যথা হয়, আঙুলের ঘা শুকায় না বা ছোট ইনফেকশন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে চিকিৎসা সম্ভব, নাহলে শেষ পর্যন্ত বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে শুধুই অস্ত্রোপচার।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় সাফল্য,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে কৃত্রিম কিডনি
কিডনি বিকল হওয়ার সমস্যা ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠলেও, এবার কৃত্রিম কিডনি নিয়ে বড় সাফল্য দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কানাডা ও চীনের বিজ্ঞানীরা এমন এক ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ গড়ে নজির গড়তে চলেছেন, যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের ব্যক্তির শরীরেই সক্রিয় হবে এবং কিডনির মতো দ্রুত কাজ করবে।
‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ যেভাবে কাজ করবে
কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের শরীরেরই কোষ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কৃত্রিম কিডনি।
প্রতিস্থাপন: তলপেটে যেখানে শরীরের দু’পাশে কিডনি রয়েছে, সেখানেই যেকোনো এক দিকে এই কিডনি বসিয়ে দেওয়া যাবে। হার্ট থেকে আসা রক্তই একে চালাবে এবং এই কৃত্রিম কিডনি রক্তকে ফিল্টার করে নেবে।
ডায়ালিসিসের বিকল্প: এটি শরীরের ভিতরেই হিমো-ডায়ালিসিসের প্রক্রিয়া চালাবে। আসল কিডনি রক্ত থেকে শুধু বিষ বা দূষিত পদার্থ ছেঁকে নিলেও, কৃত্রিম কিডনির গায়ে আলাদা করে ‘মেমব্রেন’ বা ঝিল্লির স্তর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা যেকোনো রকম টক্সিনকে চিনে নিয়ে ছেঁকে বার করে দেবে।
বায়ো-রিঅ্যাক্টর: এর সঙ্গে একটি বায়ো-রিঅ্যাক্টরও থাকবে, যা কিডনির সুস্থ, সবল কোষগুলি দিয়ে তৈরি। এগুলি শরীরের স্বাভাবিক ডায়ালিসিস প্রক্রিয়াকে চালু রাখবে।
বাণিজ্যিক উৎপাদনের পথে
গবেষকরা জানিয়েছেন, আপাতত ব্রেন ডেথ হওয়া এক রোগীর শরীরে এই কৃত্রিম কিডনি বসিয়ে দেখা গিয়েছে, সেটি দিব্যি কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এটি বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে নিয়ে আসাও হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির অসুখ ক্রমেই বাড়ছে। কিডনি প্রতিস্থাপন বা বারবার ডায়ালিসিসের খরচ সবার সাধ্যের মধ্যে না থাকায়, এই সমস্যার সমাধান যদি কৃত্রিম কিডনি দিয়ে হয়, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে।
মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য অথবা কিছু খাবার খেলে অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এই ব্যথা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে এবং প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেনের সময় আলো, শব্দ সবকিছুই বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কারণ বা অভ্যাস এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা এড়িয়ে চললে মাইগ্রেন থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকা সম্ভব।
চলুন জেনে নিই মাইগ্রেন বাড়ানোর ৬টি কারণ:
১. মানসিক চাপ (স্ট্রেস): দীর্ঘদিনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের একটি বড় কারণ। দুশ্চিন্তা কমিয়ে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা উচিত।
২. অনিদ্রা: যথেষ্ট ঘুম না হলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৩. খাবারে অনিয়ম: ঠিক সময়ে না খেলে বা খাবার বাদ দিলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়ম করে সময়মতো খাওয়া জরুরি।
৪. ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা): কম পানি পান করলে শরীরে মিনারেলসের অভাব হয়, যা মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করা উচিত।
৫. উজ্জ্বল আলো: উজ্জ্বল আলো চোখের স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে মাইগ্রেন বাড়ায়। ব্যথা শুরু হলে দ্রুত অন্ধকার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিন।
৬. অতিরিক্ত ক্যাফেইন: কম পরিমাণে ক্যাফেইন (কফি বা চা) উপকারী হলেও, অতিরিক্ত পান করা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত সতর্কতা
উচ্চ শব্দ: জোরে শব্দ বা গান শুনলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। সম্ভব হলে শান্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।
প্রতিকার: মাইগ্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই কারণগুলো থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর ঘুম, পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও মানসিক শান্তিই হতে পারে আপনার মাথাব্যথা কমানোর চাবিকাঠি।
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় গোলাবর্ষণ
‘ফিলিস্তিনের ম্যান্ডেলা’খ্যাত মারওয়ান বারগুতিকে ইসরায়েলের কারাগারে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি কারারক্ষীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে তিনি কারাগারের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন বলে বারগুতির পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ
বারগুতির ছেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মুক্তি পাওয়া পাঁচ পৃথক বন্দির কাছ থেকে বারগুতিকে নির্যাতনের কথা জানতে পেরেছেন। বারগুতিকে প্রহরীরা হাতকড়া পরিয়ে নির্যাতন করে।
শারীরিক আঘাত: তাকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে আহত করা হয়। বারগুতির মাথা ও বুকে আঘাত করা হয়েছে এবং পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে।
পরিণতি: নির্যাতনে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অচেতন ছিলেন এবং তার শরীর থেকে রক্তপাত হয়েছে।
বারগুতিকে ইসরায়েল পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী আছেন।
বারগুতির রাজনৈতিক গুরুত্ব
১৯৫৯ সালে রামাল্লাহর কাছে কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বারগুতি কিশোর বয়সে ফাতাহ আন্দোলনে যোগ দেন এবং ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তিনি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের একজন ছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বারগুতির প্রভাব ফাতাহ আন্দোলন ছাড়িয়ে সমগ্র ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপৃত। জনমত জরিপেও তিনি ফিলিস্তিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী। এ কারণেই তাঁকে মুক্তি দিতে ভয় পায় ইসরায়েল।
গাজা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি
যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও উত্তর গাজার শুজাইয়ার পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ত্রাণ সংকট: জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পরও গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যাভাব ও হাহাকার রয়েই গেছে। এক কেজি টমেটোর দাম এখন ১৫ ডলার।
আন্তর্জাতিক বাহিনী: রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী দিনে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।
পাঠকের মতামত:
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
- ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
- সালমান শাহ হত্যা মামলা: নতুন করে আসামি হলেন যারা
- ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
- ১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
- দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
- ২১ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
- মস্তিষ্কের ক্যানসার: যে ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়
- রোনালদোকে নিয়ে হতাশা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের
- আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’—প্রেমিকার নির্মমতা প্রকাশ
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- আলোয় আলোকিত বলিউড: দীপাবলির ঝলমলে উৎসবে তারকাদের উচ্ছ্বাস
- নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
- ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া
- উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
- গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
- সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু
- ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
- মিরপুরের উইকেট: স্পিনারদের প্রতি মুশতাক আহমেদের বিশেষ বার্তা
- নতুন পে স্কেল: এক দশক পর বেতন কাঠামোয় আসছে বড় পরিবর্তন
- ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
- জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ
- সুখবর: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি নিয়ে বড় ঘোষণা
- বিএনপি-জামায়াত কেউ এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম
- চট্টগ্রামে চবি শিক্ষার্থীর হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার
- কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
- উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
- আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ