যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১০:০৬:০৯
যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিত্বকারী এএইচজেড এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং এখন পর্যন্ত ২৫,০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীকে তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করেছে।

এমএইচ গ্লোবাল গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এএইচজেড আজ একটি বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। ১৫টি দেশে তাদের ৬৫টিরও বেশি শাখা রয়েছে। বাংলাদেশেও ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনায় ১০টিরও বেশি স্থানীয় শাখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এভাবে শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষায় ও পরিচিত পরিবেশে সহজে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছে।

বাংলাদেশে এএইচজেড-এর কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়াহিদ জামান বলেন, “প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্নই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক কোর্স ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ভর্তি নিশ্চিত করা পর্যন্ত আমরা তাদের প্রতিটি ধাপে পাশে থাকি। আমাদের লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের জন্য এই যাত্রাকে যতটা সম্ভব সহজ, মসৃণ ও চাপমুক্ত করে তোলা।”

বর্তমানে এএইচজেড-এর বৈশ্বিক টিমে রয়েছে ৭৫০ জনেরও বেশি ব্রিটিশ কাউন্সিল-সার্টিফায়েড কাউন্সিলর, যারা সম্মিলিতভাবে ৬ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীকে সেবা প্রদান করেছেন। শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত কোর্স নির্বাচন, আবেদনপত্র তৈরি, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ এবং স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP) প্রস্তুতকরণে তারা নির্ভুল দিকনির্দেশনা দেন। তাদের এই অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ, এএইচজেড ৫০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।

এএইচজেড শুধু ভর্তি প্রক্রিয়া নয়, বরং শিক্ষার্থীদের নতুন জীবনের প্রস্তুতিতেও সহায়তা করে। তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আইইএলটিএস সহায়তা, প্রি-ডিপার্চার ব্রিফিং, ব্রিটিশ সংস্কৃতি ও জীবনযাপন বিষয়ে ধারণা, আবাসন খোঁজার পরামর্শ, পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ এবং সাংস্কৃতিক মানিয়ে নেওয়ার দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।

২০১২ সালে লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত এএইচজেড আজ নৈতিকতা ও বিনামূল্যে পূর্ণাঙ্গ সেবা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক বিশ্বস্ত শিক্ষা পরামর্শদাতা সংস্থায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন থেকে শুরু করে ভর্তি নিশ্চিতকরণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণই তাদের প্রধান অঙ্গীকার।


এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১৭:০৩:০৮
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সরকার দিল কঠোর নীতি
ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে মূল পেশার পাশাপাশি সাংবাদিকতা, আইনচর্চা বা বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কাজের মতো আর্থিকভাবে লাভজনক পেশায় যুক্ত ছিলেন। এতদিন এই অতিরিক্ত পেশাগুলোর বিষয়ে কোনো কার্যকর আইনি নিষেধাজ্ঞা না থাকায় দেশজুড়ে বহু এমপিওভুক্ত শিক্ষক স্বাভাবিকভাবেই এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।

কিন্তু সম্প্রতি ঘোষিত নতুন এমপিও নীতিমালায় এই বহুমুখী পেশায় যুক্ত থাকা শিক্ষকদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। নীতিমালায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী আর কোনো আর্থিক লাভজনক পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারবেন না। কোন কোন পেশাকে ‘আর্থিক লাভজনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, তাও নীতিমালায় নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে। এসব পেশার তালিকায় রয়েছে সাংবাদিকতা, আইনপেশা এবং যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার চাকরি।

৭ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে নতুন নীতিমালা কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনের ১১ নম্বর ধারার ১৭ উপধারার ‘ক’ ও ‘খ’ অংশে এই বিধানগুলো বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একাধিক চাকরি বা আর্থিকভাবে লাভজনক কোনো পদে থাকতে পারবেন না। কেউ এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে তদন্ত শেষে তার এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের রয়েছে।

নীতিমালার ‘খ’ ধারায় আর্থিক লাভজনক পদের সংজ্ঞা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি বেতন ও ভাতা থেকে শুরু করে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সাংবাদিকতা বা আইন পেশায় কাজের বিনিময়ে পাওয়া বেতন, ভাতা বা সম্মানী—সবই আর্থিক লাভজনক পদের আওতায় পড়বে।

নীতিমালা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই বিধান বিশেষভাবে সাংবাদিকতাকে লক্ষ্য করে প্রণয়ন করা হয়নি।” তিনি বলেন, সরকারি চাকরিজীবীদের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও সরকারের আর্থিক সহায়তা পান। তাই তাদের জন্যও একই ধরনের সীমাবদ্ধতা প্রযোজ্য হওয়া স্বাভাবিক।

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি বাড়িভাড়া ভাতা, ঈদ বোনাসসহ আরও বিভিন্ন সুবিধা পান। তাই সরকার তাদের আর্থিকভাবে লাভজনক অতিরিক্ত পেশায় যুক্ত না থাকার নির্দেশনা সমর্থনযোগ্য মনে করে।

অতিরিক্ত সচিব আরও জানান, কেউ যদি নতুন এমপিও নীতিমালা ভঙ্গ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের লক্ষ্য হলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কাজের প্রতি পূর্ণ মনোযোগ নিশ্চিত করা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখা।

-শরিফুল


পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০১ ১১:৫১:৩২
পরীক্ষা সময়মতোই: অনিয়মে কঠোর ব্যবস্থা দেবে মাউশি
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সরকারি ও বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক এবং স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বার্ষিক, নির্বাচনি ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। পরীক্ষার সময় কোনো ধরনের শৈথিল্য, গাফিলতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দেশের সব আঞ্চলিক উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেয় মাউশি। নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।

এমপিওভুক্তি, পদোন্নতিসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন করছেন। এর ফলে চলমান বার্ষিক ও নির্বাচনি পরীক্ষার কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষাগুলো নিয়মিতভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের এই কঠোর নির্দেশনা এলো।

চিঠিতে জানানো হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষা চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। একইভাবে ২৭ নভেম্বর শুরু হওয়া নির্বাচনি পরীক্ষা শেষ হবে ১১ ডিসেম্বর। আর মাউশির পৃথক নির্দেশনা অনুযায়ী জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর।

পরীক্ষাগুলো বিনা ব্যর্থতায়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রশাসনিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সুষ্ঠু ধারাবাহিকতা রক্ষায় পরীক্ষার মান ও শৃঙ্খলার বিষয়ে কোনো ধরনের অবহেলা বরদাশত করা হবে না। এ কারণে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানপ্রধান পর্যন্ত সবার ওপর কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

-শরিফুল


গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ২৩ ১৬:০৩:৩৪
গায়ের রং ও গঠন নিয়ে সহপাঠীদের বিদ্রূপের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের করুণ পরিণতি
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভবনের মাঝ থেকে মুশফিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, ইনসেটে মুশফিক

শরীরের গঠন ও গায়ের রং নিয়ে স্কুলজীবন থেকে সহপাঠীদের অস্বাভাবিক আচরণ সইতে হয়েছে ডি এম মুশফিকুজ্জামানকে। কখনো কখনো শিক্ষকরাও তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেছেন। স্কুল কলেজ পেরিয়ে মুশফিক পা রাখেন উচ্চশিক্ষার বিদ্যাপীঠে কিন্তু সেখানেও একই রকম আচরণ সইতে হয়েছে তাঁকে। সহপাঠীদের অব্যাহত হাসি ঠাট্টা তরুণ মনে দাগ কাটে যা ক্রমে রূপ নেয় বিষাদে। শেষ পর্যন্ত সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বেসরকারি ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুশফিকুজ্জামান।

মুশফিকের কয়েকজন সহপাঠী দুজন শিক্ষক স্কুলজীবনের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বডি শেমিংয়ের কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকার বিভিন্ন তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের ধারণা সহপাঠীদের ঠাট্টা বিদ্রূপে অভিমান করে ছাদ থেকে লাফ দিয়েছেন মুশফিক। যদিও পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজে তারা মুশফিককে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে দেখলেও ময়নাতদন্তের আগে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে মুশফিকের পরিবার দাবি জানিয়েছে তাদের সন্তান পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার কি না তা খতিয়ে দেখতে।

জানা যায় মুশফিকুজ্জামান ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাথমেটিকস অব ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথমবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে। পুলিশ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসের ডক্টর ফরাসউদ্দিন ভবন ও মূল ভবনের মাঝের ফাঁকা জায়গায় একটি নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরকে জানালে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ির একটি টহল দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মুশফিকের সহপাঠী আল শাহরিয়ার ইমন জানান মুশফিক যখনই স্যারের কাছে পড়া নিয়ে জিজ্ঞেস করত তখন অন্তত ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ওর দিকে বাজে দৃষ্টিতে তাকাত এবং হাসত। কারণ মুশফিকের কথা বলার ধরন একটু ভিন্নরকম ছিল এবং সে দেখতে কালো ও একটু স্বাস্থ্যবান ছিল।

মৃত্যুর আগে ক্লাসে সহপাঠীদের সঙ্গে মুশফিকের বাগবিতণ্ডা হয়। নাম প্রকাশ না করে এক সহপাঠী জানান সবাই ম্যামের জন্য অপেক্ষা করার সময় মুশফিককে কেউ একজন কিছু বলে। তখন মুশফিকও এক বান্ধবীকে নিয়ে মজা করে একটি কথা বলে উচ্চস্বরে হেসে ওঠে। এ সময় অন্যরা তাকে থামিয়ে দিলে মুশফিক মন খারাপ করে বসে থাকে। একপর্যায়ে মুশফিক বলতে শুরু করে তোমরাও আমাকে নিয়ে অনেক মজা করো হাসাহাসি করো কিন্তু তখন তো কেউ বলে না যে ক্লাসে ডিস্টার্ব হচ্ছে। আসলে তোমরা আমাকে সহ্য করতে পারো না। সে আরও বলে আমার সঙ্গে মিশতেও চাও না কারণ আমি মোটা ও কালো বলে এমন করো। এটা বলার পরপরই মুশফিক ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়।

মুশফিকের বাবা বি এম মুখলেছুজ্জামান অভিযোগ করেন তিন চার দিন আগে পড়াশোনা নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে মুশফিকের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি তিনি তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে শুনেছেন। ছেলে বলেছিল তারা তাকে ছাদে নিয়ে যেতে চাইত। এজন্য পরিবারের সন্দেহ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হতে পারে। মুশফিকের মা কমলা আক্তার আক্ষেপ করে বলেন আমার ছেলেকে নিয়ে এমন মন্তব্য করছেন অনেকে যেন কালো হয়ে জন্ম নেওয়াটাই অপরাধ।

পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার পর তারা ওই ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান সেখানে দেখা যায় মুশফিকুজ্জামান ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করেন এবং পরে ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাদে ওঠেন। তিনি ছাদে ওঠার এক ঘণ্টা আগে ও পরে অন্য কাউকে ওই ভবনের ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। এ কারণে প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন বডি শেমিং ও বুলিং ভয়াবহ মানসিক নির্যাতন। একজন শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা খুবই কাছের মানুষ হয়। কিন্তু তারাই যখন প্রতিনিয়ত কারও শারীরিক গঠন গায়ের রং বা স্মার্টনেস নিয়ে বাজে কথা বলে তখন মানসিকভাবে বিপর্যয় ঘটে। যত শক্ত মানুষই হোক না কেন অব্যাহত শেমিং ও বুলিংয়ের ক্ষত সইতে পারে না।

সূত্র: jagonews24


ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৮:৩৭:২১
ঢাবির বাঁধন ছিঁড়ে স্বতন্ত্র হচ্ছে সাত কলেজ, নতুন নাম কী?
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে একীভূত করে একটি সম্পূর্ণ নতুন ও স্বতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার মান উন্নয়ন, যথাসময়ে পরীক্ষা গ্রহণ, দ্রুত ফলাফল প্রকাশ এবং প্রশাসনিক কাজে গতি আনার লক্ষ্যেই এই বড় উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই কলেজগুলোর বর্তমান অধিভুক্তি বা সম্পর্ক বাতিল করা হবে। পরিবর্তে, এই সাতটি কলেজকে নিয়েই গঠিত হবে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’। দীর্ঘদিন ধরে এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসন ও মানসম্মত শিক্ষার দাবিতে যে আন্দোলন করে আসছিল, সেই যৌক্তিক চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়েই সরকার এই পথে হেঁটেছে।

এই নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ইতিমধ্যে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। এই খসড়াটি গত ২৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের মতামত চাওয়া হয়েছিল। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে পাঁচ হাজারের বেশি মতামত জমা পড়েছে। এছাড়া শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন সেই সব মতামত এবং আইনি দিকগুলো যাচাই-বাছাই করে খসড়াটি সংশোধনের কাজ চলছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন বা অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে এই অন্তর্বর্তী সময়ে যাতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে সরকার সজাগ রয়েছে। প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হওয়ার আগ পর্যন্ত সাত কলেজের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ এবং ঢাকা ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আগামী ২৩ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় আরও উল্লেখ করেছে, এই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। যেমন—সাত কলেজের বর্তমান শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চাকরি বা পদ ঠিক রাখা, প্রতিটি কলেজের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা এবং কলেজগুলোতে চলমান উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) স্তরের পড়াশোনা কীভাবে চলবে—সেগুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। তাই তাড়াহুড়ো না করে ধাপে ধাপে একটি সঠিক ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধানের মাধ্যমে অধ্যাদেশটি চূড়ান্ত করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগকে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে। তারা জানিয়েছে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং অভিভাবকদের স্বার্থ রক্ষা করাই তাদের মূল লক্ষ্য। একইসঙ্গে, কোনো ধরনের ব্যক্তিগত ধারণা বা অসম্পূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৬ মার্চ সরকার প্রথম এই সাতটি কলেজকে আলাদা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামে একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় করার ঘোষণা দিয়েছিল। এই কলেজগুলো হলো—ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।


 নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ২১:১৩:১৪
 নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি নিয়ে 'সুখবর' দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরার বলেছেন, সরকার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারীর সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। তিনি জানান, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং একটি টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি নিশ্চিত করতে একটি কার্যকর, স্বচ্ছ ও বাস্তবসম্মত এমপিও ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চলছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তকরণ বিষয়ে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। শিক্ষা উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই বৈঠকে শিক্ষক নেতা, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষক এবং দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আবরার আরও বলেন, শিক্ষা হলো জাতীয় উন্নয়নের মেরুদণ্ড। তার মতে, একটি জ্ঞানভিত্তিক ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবার সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলের নেতারাও সরকারের নেওয়া এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তারা সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন।

মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান এবং গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক জোনায়েদ সাকি।

এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সহসম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্পাদক ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির শিক্ষা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মো. ফয়সালসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।


বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৪৭:১৬
বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
ছবি: সংগৃহীত

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রকৌশল অনুষদের অধীনে নতুন বিভাগ হিসেবে ডিপার্টমেন্ট অব রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আরএমই) চালু করেছে। প্রযুক্তি–চালিত চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে রোবোটিক্স, অটোমেশন এবং বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার চাহিদা দ্রুত বাড়তে থাকায় বাংলাদেশে এই ধরনের একটি বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছিল। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হাবিব কাজল এক বিবৃতির মাধ্যমে এই নতুন উদ্যোগের ঘোষণা দেন।

স্প্রিং–২০২৬ সেমিস্টার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন রোবোটিক্স অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রাম আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এই কোর্সটিকে ডিজাইন করা হয়েছে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্ভাবনী মনোভাব, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং ইন্টেলিজেন্ট সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্যে। বাংলাদেশের প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আরও এগিয়ে নেওয়া এবং ইনোভেশন–নির্ভর অর্থনীতি গঠনে প্রোগ্রামটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

চার বছর মেয়াদী এই স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা রোবোটিক্স, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্স, কন্ট্রোল সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং এমবেডেড কম্পিউটিং–এর ওপর সমন্বিত ও গভীরতর শিক্ষা গ্রহণ করবে। মোট ১৫৪ ক্রেডিট বিশিষ্ট এই কোর্স কাঠামো শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তিমুখী গবেষণা এবং বাস্তব জীবন–সম্মত প্রকল্পে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

ভর্তি যোগ্যতার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এসএসসি ও এইচএসসিতে ন্যূনতম ২.৫ জিপিএ পাস করা শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। পাশাপাশি পদার্থবিদ্যা, গণিত ও ইংরেজিতে অন্তত ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া সমমানের অন্য শিক্ষাগত ব্যাকগ্রাউন্ড থেকেও আবেদন করা যাবে, তবে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে ন্যূনতম গ্রেড বজায় রাখতে হবে।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক যোগ্যতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি O-Level এবং অন্তত দুটি A-Level বিষয় সম্পন্ন থাকা আবশ্যক। সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটিতে ‘বি’ গ্রেড এবং তিনটিতে ‘সি’ গ্রেড থাকা বাধ্যতামূলক। আবেদনকারীদের O-Level ও A-Level উভয় ক্ষেত্রেই পদার্থবিদ্যা এবং গণিত থাকতে হবে। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার্থী প্রস্তুত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কঠোর একাডেমিক মান বজায় রেখেছে।

শিক্ষার্থীদের বিশ্বমুখী উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রসারে বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, বিশ্বের ৬০০–টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ক্রেডিট ট্রান্সফার ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের সুবিধা থাকবে। এতে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিবেশে গবেষণা ও শিক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে, যা তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে সহায়ক হবে।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আশা করছে, রোবোটিক্স ও মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ দেশের প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প, অটোমেশন, রোবট নির্মাণ, AI-চালিত সিস্টেম এবং উদ্ভাবনী গবেষণাক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবনী চেতনা বিকাশে বিভাগটি অন্যতম যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।


বেতন বাড়বে না আন্দোলন চলবে? শিক্ষকদের দাবিতে নতুন মোড়

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ১৬:৫৬:৩১
বেতন বাড়বে না আন্দোলন চলবে? শিক্ষকদের দাবিতে নতুন মোড়
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়টি সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম থেকে দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম করার প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও অর্থ বিভাগে পাঠিয়েছে। এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সরকারের বার্ষিক অতিরিক্ত ব্যয় হবে প্রায় ৮৩১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ৪ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো প্রস্তাবে সহকারী শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের বিষয়, তাদের দাবির যৌক্তিকতা এবং শিক্ষা মানোন্নয়নে তাদের ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে অর্থ বিভাগেও একই প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বর্তমানে সরকারি ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের, তাই তাদের বেতন কাঠামোও উন্নীত করা প্রয়োজন।

প্রাথমিক শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবি— সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা, শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি নিশ্চিত করা, এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়ার ব্যবস্থা করা। এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’-এর ব্যানারে শিক্ষকরা রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। একই সঙ্গে সারা দেশের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মবিরতিও চলছে। গত শনিবার শাহবাগে পুলিশের লাঠিপেটা, জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারে শতাধিক শিক্ষক আহত হন, যা আন্দোলনকে আরও উত্তপ্ত করেছে।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান, আর প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। সম্প্রতি রিট মামলার রায়ের পর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড ১০মে উন্নীত করা হয়েছে, যার ফলে সারা দেশের প্রধান শিক্ষকদের বেতন গ্রেডও ১০মে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের সমমানের। তাই তাদের বেতন গ্রেড উন্নীত করা যৌক্তিক। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সহকারী শিক্ষকদের কাজের গুণগত ও পরিমাণগত দিক এখন আগের তুলনায় বহুগুণ বেড়েছে। তারা শুধু ক্লাস পরিচালনা নয়, প্রশাসনিক কাজ, উপস্থিতি তদারকি, পরীক্ষার দায়িত্ব, অভিভাবক সমন্বয় ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে কর্মরত প্রায় ৩ লাখ ৫২ হাজার ২০৮ জন সহকারী শিক্ষকের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করলে বছরে অতিরিক্ত ৮৩২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভবিষ্যতে শূন্য ১৭ হাজার ৮টি পদে শিক্ষক নিয়োগ করা হলে আরও ৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় বাড়বে। বর্তমানে দেশে মোট ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ছয় লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তাই যৌক্তিকতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা প্রয়োজন। বর্তমানে ১০ম গ্রেডে শুরুর মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা, ১১তম গ্রেডে ১২ হাজার ৫০০ টাকা, এবং ১৩তম গ্রেডে ১১ হাজার টাকা। এই পার্থক্যের কারণে শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এ বিষয়ে বলেন, “সহকারী শিক্ষকদের দাবিটি যৌক্তিক। ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে এবং নতুন বেতন কমিশনকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।” অন্যদিকে, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ‘ঐক্য পরিষদ’ সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য। দাবি পূরণ না হলে তারা বার্ষিক পরীক্ষা ও বৃত্তি পরীক্ষা বর্জনসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

-রফিক


নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৬:১৬:৪৫

নতুন পদে পুরোনো বিতর্ক:প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পাবে না সংগীত শিক্ষক
ছবিঃ সংগৃহীত

ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সৃষ্ট সংগীত শিক্ষক এবং শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এই দুটি পদ বাদ দিয়ে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা–২০২৫’-এ আনা হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন। গত আগস্টে জারি করা মূল বিধিমালাটি সংশোধন করে এসব পরিবর্তন সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয় অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমকে এই সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল রবিবার সংশোধিত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। আগের বিধিমালায় শিক্ষক পদ চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হলেও সংশোধিত সংস্করণে তা দুটি ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে, সংগীত ও শরীরচর্চা বিষয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ নতুন বিধিমালায় আর থাকছে না।

এই দুটি পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত ধর্মভিত্তিক সংগঠনগুলোর চাপের ফল কি না—এমন প্রশ্নে অতিরিক্ত সচিব মাসুদ আকতার খান কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি বরং গণমাধ্যমকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পরামর্শ দেন।

এদিকে, পদ বাতিলের পাশাপাশি বিধিমালায় একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দগত সংশোধন আনা হয়েছে বলেও অতিরিক্ত সচিব নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগের বিধিমালায় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ পদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য সংরক্ষিত ছিল এবং বাকি ৮০ শতাংশ পদ 'অন্যান্য বিষয়ে' স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে, 'অন্যান্য বিষয়ে' শব্দবন্ধটি বিভ্রান্তিকর ছিল বলে মনে করা হয়। এই বিভ্রান্তি দূর করে এটি স্পষ্ট করা হয়েছে যে, ৮০ শতাংশ পদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন। এই অংশটি সংশোধন করে এখন বলা হয়েছে, "বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন স্নাতক ডিগ্রিধারী" প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই সংশোধনের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একটি অংশ আরও স্পষ্ট হলো বলে তিনি জানান।


৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৭:২৭:৫১
৮ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণে বোর্ডের সময়সূচি প্রকাশ
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ শিক্ষাবর্ষে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড আগামী ৪ নভেম্বর থেকে বিতরণ শুরু হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত। ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখা থেকেই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মাধ্যমে এসব রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে হবে বলে বোর্ডের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

রোববার (২ নভেম্বর) শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় শাখার পরিদর্শক ড. মো. মাসুদ রানা খানের স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা দিনে কার্ড বিতরণ করা হবে, যাতে পুরো প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও সময়মতো সম্পন্ন হয়।

বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, ৪ নভেম্বর প্রথম দিনে ঢাকা মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কার্ড বিতরণ করা হবে। ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ, ৬ নভেম্বর নরসিংদী ও কিশোরগঞ্জ, ৭ নভেম্বর ঢাকা জেলা ও মাদারীপুর, ৯ নভেম্বর শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী, ১০ নভেম্বর গাজীপুর ও ফরিদপুর এবং ১১ নভেম্বর টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ ও গোপালগঞ্জ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে রেজিস্ট্রেশন কার্ড বিতরণ সম্পন্ন হবে। সর্বশেষ ১২ নভেম্বর বাকি জেলার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ করতে পারবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিতরণকৃত কার্ডে কোনো ভুল, যেমন শিক্ষার্থীর নাম, জন্মতারিখ, প্রতিষ্ঠান কোড বা অন্যান্য তথ্যগত ত্রুটি দেখা দিলে তা সংশোধনের আবেদন ২০ নভেম্বরের মধ্যে করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আবেদন না করা হলে সংশোধনের দায়দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বহন করতে হবে।

আবেদন করার সময় প্রতিষ্ঠানকে বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম স্বীকৃতি বা সর্বশেষ স্বীকৃতি নবায়নের কপি ও কমিটি অনুমোদনপত্র সংযুক্ত করতে হবে। সংশোধন আবেদনের প্রক্রিয়াটি যথাযথ কাগজপত্রসহ সম্পন্ন করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

শিক্ষা বোর্ড আরও জানিয়েছে, যেসব সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে বা এখনো নবায়ন করা হয়নি, তাদের অবিলম্বে স্বীকৃতি নবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বীকৃতি নবায়ন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশন কার্ড গ্রহণ করতে পারবে না।

একই সঙ্গে বোর্ড সতর্ক করেছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কার্ড সংগ্রহ না করলে বা বোর্ডের নির্দেশনা উপেক্ষা করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলেন, রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ একাডেমিক রেকর্ডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সঠিকভাবে কার্ড সংগ্রহ ও যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করেন, যাতে ভবিষ্যতে কোনো জটিলতা বা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি না হয়।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত