শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৭ ১৪:০৪:৩০
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে ৬ দশমিক শূন্য মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রোববার (১৭ আগস্ট) ভোরে এই ভূমিকম্পে কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। এর প্রভাবে পসো অঞ্চলে প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয় এবং আশপাশের এলাকাও কেঁপে ওঠে। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনবিপি) জানিয়েছে, এতে ২৯ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

প্রশান্ত মহাসাগরের তথাকথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ ইন্দোনেশিয়ার অবস্থান হওয়ায় দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও সুনামির মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটে। এখানে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংঘর্ষ হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, জাপানসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব দেশই এ কারণে ভূমিকম্পের অত্যধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।


আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ২১:৫৯:৫০
আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারিকে পদত্যাগ করতে বলা হতে পারে এবং সেনাপ্রধান সর্বোচ্চ পদ গ্রহণ করবেন— এমন গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুলেছেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ব্রাসেলসে এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে এই দেশের অভিভাবক বানিয়েছেন’ এবং অন্য কোনো পদের প্রতি তার আকাঙ্ক্ষা নেই।

দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভিও এই গুঞ্জন প্রত্যাখ্যান করেছেন। শেহবাজ বলেন, ফিল্ড মার্শাল মুনির কখনো প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেননি এবং ভবিষ্যতে এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই।

সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপচারিতায় মুনির চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের দীর্ঘস্থায়ী অভিজ্ঞতার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “একজনের স্বার্থে আমরা অপর বন্ধুকে ত্যাগ করব না।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে মুনিরকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা ভারতকে অস্থির করে তুলেছে এবং একটি উল্লেখযোগ্য কূটনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে।


আলাস্কার আকাশে রহস্য: দুই নেতার সামনে কেন আচমকা মার্কিন বোমারু বিমান?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ২১:০৫:৪৩
আলাস্কার আকাশে রহস্য: দুই নেতার সামনে কেন আচমকা মার্কিন বোমারু বিমান?
আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্পের মাথার ওপর দিয়ে উড়ে যায় একঝাঁক মার্কিন যুদ্ধবিমান। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের সময় এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। দুই নেতার সামনে দিয়ে উড়ে যায় একঝাঁক মার্কিন যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ছিল ভয়ংকর বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমানও।

পুতিনের ওপর দিয়ে কেন বি-২ স্পিরিট ওড়ানো হলো?একটি ছোট ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানগুলো পুতিনের মাথার ওপর দিয়েই উড়ে যায়। এতে তিনি হালকা চমকে যান এবং আকাশের দিকে তাকান। এটি শুধু একটি কাকতালীয় ঘটনা ছিল না, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের একটি নিখুঁত উদাহরণ ছিল।

বি-২ স্পিরিট স্টেলথ বোমারু বিমান মার্কিন সামরিক শক্তির অন্যতম প্রতীক। প্রতিটি বিমানের দাম প্রায় ২.১ বিলিয়ন ডলার। এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমান এবং এর বিশেষ স্টেলথ প্রযুক্তির কারণে এটি শত্রুপক্ষের রাডার এড়িয়ে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে পারে। এটি সাধারণ ও পারমাণবিক উভয় ধরনের অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের সামরিক প্রদর্শনী কেবল রাজনৈতিক শাসককে ভয় দেখানোর জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও শক্তি প্রদর্শনের একটি অঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি রাশিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এবং বিশ্বমঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবকে জোরদার করে।

আলাস্কার এই দৃশ্য স্পষ্টভাবে দেখিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক আলোচনার পাশাপাশি তার সামরিক ক্ষমতাকে কার্যকরভাবে প্রদর্শনের প্রস্তুতি রাখে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রেমে বৃদ্ধের ঘরছাড়া, প্রাণঘাতী পরিণতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ১৩:০১:১৭
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রেমে বৃদ্ধের ঘরছাড়া, প্রাণঘাতী পরিণতি
ছবি: সংগৃহীত

মেটার তৈরি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবটের প্রেমে পড়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির বাসিন্দা ৭৬ বছর বয়সী থংবু ওয়াংবানডু। সেই ভার্চুয়াল প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন এবং পরবর্তীতে মারা যান। তার স্ত্রী লিন্ডা ওয়াংবানডু সরাসরি মেটাকে দায়ী করেছেন।

অসুস্থতার কারণে বাড়িতেই থাকা ওয়াংবানডু ফেসবুক মেসেঞ্জারে ‘বিগ সিস বিলি’ নামের একটি চ্যাটবটের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন। হলিউড তারকা কেন্ডাল জেনারের আদলে তৈরি এই বট নিজেকে একজন বাস্তব যুবতী হিসেবে পরিচয় দিত এবং তার সঙ্গে দেখা করার আশ্বাস দিত। এক পর্যায়ে চ্যাটবটটি নিউ ইয়র্কের একটি ঠিকানা পাঠিয়ে দিলে ওয়াংবানডু তার সঙ্গে দেখা করতে ব্যাগ গুছিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। পথেই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন এবং তিন দিন হাসপাতালে থাকার পর মারা যান।

স্ত্রী লিন্ডা ওয়াংবানডু বলেন, তার স্বামী একটি প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছিলেন এবং এর জন্য মেটা দায়ী। অন্যদিকে, ওয়াংবানডুর মেয়ে জুলি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোম্পানিগুলো মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে যন্ত্রকে মানুষের মতো বানাচ্ছে, কিন্তু এর সীমা কোথায়?’

সমালোচকরা বলছেন, চ্যাটবটটি স্পষ্টভাবে জানায় না যে এটি বাস্তব নয়, যা ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত করে। রয়টার্স জানিয়েছে, মেটা ১৩ বছরের বেশি বয়সীদের রোমান্টিক চ্যাটের অনুমতি দিলেও কিছু অঙ্গরাজ্য এআই চ্যাটবটকে স্পষ্ট জানাতে বাধ্য করার আইন করেছে, যদিও এতে মেটার আপত্তি রয়েছে।


গাজায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা: প্রতিদিনের বাস্তবতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ১১:৪৯:৪৮
গাজায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা: প্রতিদিনের বাস্তবতা
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় সাংবাদিকতা এখন এক 'মৃত্যুকূপে' পরিণত হয়েছে। চলমান ইসরায়েলি হামলায় সাংবাদিকরা যেমন জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন, তেমনি নিজেরাই ভয়াবহ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্যালেস্টাইন জার্নালিস্টস সিন্ডিকেটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ২৩৮ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন এবং ১২ জন এখনো কারাগারে বন্দি।

আহত সাংবাদিক সাফিনাজ আল-লুহ জানিয়েছেন, তিনি একাধিকবার হামলায় গুরুতর জখম হয়েছেন এবং তার সাংবাদিক ভাই আহমদকে হারিয়েছেন। আল জাজিরার প্রতিবেদক রামি আবু তাইমা বলেন, তিনি পরিবারসহ ২০ বারের বেশি জায়গা বদল করেছেন এবং প্রতিদিন সহকর্মীদের মৃত্যুর খবর শুনতে পাচ্ছেন।

আল আরাবিয়ার সাংবাদিক ওসামা আল-কাহলুত বলেন, এই যুদ্ধ আগের সব সংঘাতকে ছাড়িয়ে গেছে। তিনি তাঁবুতে সহকর্মীর সঙ্গে রুটি ভাগ করে খেয়েছেন, পরদিনই সেই সহকর্মীর মৃত্যুর খবর শুনেছেন।

সিন্ডিকেটের মহাসচিব আহেদ ফারওয়ানা জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের শুধু হামলা নয়—আটক, আহত হওয়া, পরিবার হারানো, অফিস ধ্বংস, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া এবং খাদ্য-সরঞ্জামের সংকটসহ সবকিছুই মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নের দাবি করেছেন।

সূত্র : শাফাক নিউজ


মেলানিয়ার চিঠি নিয়ে রহস্য: ট্রাম্প কেন ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের হাতে দিলেন?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ১১:৩৩:০৯
মেলানিয়ার চিঠি নিয়ে রহস্য: ট্রাম্প কেন ব্যক্তিগতভাবে পুতিনের হাতে দিলেন?
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে শিশুদের দুর্দশার কথা তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি ব্যক্তিগত চিঠি দিয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কার আঙ্করেজে এক শীর্ষ বৈঠকের সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরাসরি এই চিঠি পুতিনের কাছে হস্তান্তর করেন।

হোয়াইট হাউসের দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্লোভেনিয়ায় জন্ম নেওয়া মেলানিয়া ট্রাম্প স্বামীর সঙ্গে এই সফরে না গেলেও নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠিটি পাঠান। কর্মকর্তারা চিঠির বিস্তারিত না জানালেও বলেছেন, এতে রুশ বাহিনীর হাতে ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণের প্রসঙ্গ এসেছে।

ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, রুশ বাহিনী হাজার হাজার ইউক্রেনীয় শিশুকে অপহরণ করে তাদের পরিবার বা অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই রাশিয়া বা দখল করা এলাকায় নিয়ে গেছে। ইউক্রেনের মতে, এটি একটি যুদ্ধাপরাধ, যা জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত গণহত্যার সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরে ট্রাম্প ও পুতিন প্রায় তিন ঘণ্টা বৈঠক করলেও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো যুদ্ধবিরতি বা চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হয়নি।


নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প: নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে কী জানতে চাইলেন?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ০৯:৩২:৫০
নোবেল পেতে মরিয়া ট্রাম্প: নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে কী জানতে চাইলেন?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য গত মাসে নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করে নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিষয়েও জানতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নরওয়ের দৈনিক ‘দাগেনস নর্যিংনস্লিভ’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সরাসরিই নোবেল পুরস্কার ‘দাবি করে বসেছিলেন’।

ট্রাম্প মনে করেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েল, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াসহ কয়েকটি দেশ শান্তিচুক্তি বা যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ‘আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন’ দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন জানিয়েছে। ট্রাম্প নিজেও দাবি করেন, হোয়াইট হাউসের যে চার পূর্বসূরি এই সম্মাননা পেয়েছেন, তিনিও সেই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।


তিন ঘণ্টার বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধে অচলাবস্থা, কী বললেন পুতিন-ট্রাম্প?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৬ ০৮:৩১:৪১
তিন ঘণ্টার বৈঠকেও ইউক্রেন যুদ্ধে অচলাবস্থা, কী বললেন পুতিন-ট্রাম্প?
ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের কোনো চূড়ান্ত সমঝোতা ছাড়াই শেষ হয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কার আঙ্করেজের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ট্রাম্প এটিকে ‘ফলপ্রসূ’ বললেও স্বীকার করেন যে, ‘কয়েকটি বড় বিষয়ে আমরা এখনো একমত হতে পারিনি।’ তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে, পুতিন এই বৈঠককে ‘শান্তির সূচনা বিন্দু’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য সংঘাতের ‘মূল কারণগুলো’ দূর করতে হবে। কোনো পক্ষই ঠিক কী বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে, তা প্রকাশ করেনি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার হামলার পর এটিই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পুতিনের প্রথম বৈঠক। তাই এই বৈঠককে পুতিনের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বৈঠকের দিনও ইউক্রেনে রুশ হামলায় নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি রাশিয়ার হাতে কোনো ভূখণ্ড ছাড়বেন না।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার অগ্রগতি নিয়ে জেলেনস্কি ও ন্যাটো নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তবে যুদ্ধবিরতি বা শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো চূড়ান্ত ঘোষণা না আসায় ইউক্রেনের শান্তি এখনো অনিশ্চিতই রয়ে গেছে।

সূত্র : রয়টার্স


ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের পুতিনের মনোভাব জানালেন ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৫ ১৩:৪৮:২১
ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে পুতিনের পুতিনের মনোভাব জানালেন ট্রাম্প
ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার বিশ্বাস রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত। শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকের আগের দিন তিনি এ কথা বলেন। তবে ট্রাম্প মনে করেন, একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তি নিশ্চিত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে আরেক দফা বৈঠকের প্রয়োজন হবে। খবর আল জাজিরার।

বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজ রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, পুতিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই ভালো এবং সেই সম্পর্কের ভিত্তিতেই তিনি মনে করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী। তার ভাষায়, “আমি বিশ্বাস করি প্রেসিডেন্ট পুতিন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চান। আমি না হয়ে যদি অন্য কেউ থাকতেন, হয়তো পুতিন এ বিষয়ে কথা বলতেন না।”

তবে তিনি এও স্পষ্ট করে দেন যে, শুক্রবারের বৈঠক থেকে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি আসার সম্ভাবনা কম। বরং তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন একটি সম্ভাব্য দ্বিতীয় বৈঠকে, যেখানে পুতিন, জেলেনস্কি, তিনি নিজে এবং সম্ভব হলে কিছু ইউরোপীয় নেতা অংশ নিতে পারেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি শুক্রবারের বৈঠকটি ভালো হবে, কিন্তু দ্বিতীয় বৈঠকটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে। সেখানে প্রেসিডেন্ট পুতিন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি, আমি, আর হয়তো কিছু ইউরোপীয় নেতা থাকবেন নাও থাকতে পারেন। আমি এখনো নিশ্চিত নই।”

এই বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলছে যে, এটি ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ট্রাম্প ও পুতিনের মুখোমুখি আলোচনা। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে উচ্চমাত্রার আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ট্রাম্পের অন্যতম বড় লক্ষ্য হলো ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টেনে নিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করা।

এর আগে পুতিন তার শীর্ষ মন্ত্রী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আলাস্কার আলোচনার জন্য প্রস্তুতি নেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সংঘটিত সবচেয়ে বড় সশস্ত্র সংঘাত ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির সম্ভাব্য পথ উন্মুক্ত করতে পারে।

-রাফসান


পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল আর নয়: পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৫ ১০:৩০:৫০
পারমাণবিক ব্ল্যাকমেল আর নয়: পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানী নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা প্রাঙ্গণ থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে জানানো হয়েছে, এই ভাষণে তিনি সরাসরি পাকিস্তানকে উদ্দেশ করে কঠোর সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন, বিশেষত পারমাণবিক অস্ত্রকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের ‘ব্ল্যাকমেল’ আর বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানান।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, বহু বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি ব্যবহার করে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কিন্তু ভারত এখন সেই কৌশলকে চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি শত্রুরা এমন আচরণ অব্যাহত রাখে, তবে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী তাদের নিজের শর্ত অনুযায়ী, নিজের সময় বেছে, নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে জবাব দেবে। “আমরা উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত”—এ কথার মাধ্যমে তিনি দৃঢ়তার বার্তা দেন।

মোদির এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট হিসেবে রয়েছে সম্প্রতি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের বিতর্কিত বক্তব্য। যুক্তরাষ্ট্র সফরে মুনির বলেছিলেন, যদি ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে পাকিস্তান অস্তিত্বের সংকটে পড়ে, তবে তারা “অর্ধেক বিশ্বকে সঙ্গে নিয়ে ধ্বংস হবে”। মোদির কড়া প্রতিক্রিয়া মূলত এই ঘোষণারই জবাব হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান ‘অপারেশন সিঁদুরের’ সাফল্যের জন্য ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা করেন। তিনি জানান, এই অভিযানে ভারত পাকিস্তানের ভূখণ্ডের গভীরে প্রবেশ করে শত্রুপক্ষকে এমন একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যা কল্পনার অতীত। “আমাদের সাহসী সেনাদের বীরত্বকে আমি স্যালুট জানাই। অপারেশন সিঁদুরে আমাদের সেনারা শত্রুদের এমনভাবে জবাব দিয়েছেন যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারেনি”—বলেন মোদি।

তিনি মনে করিয়ে দেন, গত ২২ এপ্রিল সীমান্ত পেরিয়ে আসা সন্ত্রাসীরা নিরীহ সাধারণ মানুষকে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে টার্গেট করে হত্যা করেছিল। এ ঘটনা গোটা ভারতজুড়ে ক্ষোভের সঞ্চার করে। তার পরপরই সরকার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়, যাতে তারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক জবাব দিতে পারে।

মোদি আরও দাবি করেন, পাকিস্তানে এই অভিযানের ধ্বংসযজ্ঞ এতই ব্যাপক ছিল যে প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে, যা ভারতের সামরিক সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।

শুধু সামরিক সতর্কবার্তাই নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সিন্ধু নদের পানি বণ্টন চুক্তি নিয়েও কড়া অবস্থান নেন মোদি। তিনি বলেন, “ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে রক্ত এবং পানি একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।” এই মন্তব্য পাকিস্তানের প্রতি একটি কৌশলগত জলনীতি হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ গতিপথে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত: