গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা: একদিনেই নিহত শতাধিক

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৪ ০৯:৩৯:৫৭
গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলা: একদিনেই নিহত শতাধিক
ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই অন্তত ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শুধু গাজা সিটিরই ৬১ জন। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার ভোর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানির এ ঘটনা ঘটেছে। অবরুদ্ধ উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে হামলা আরও তীব্র হয়েছে।

গাজা সিটির উত্তরে ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলায় বুধবার অন্তত ১২ জন নিহত হন। এছাড়া দক্ষিণ গাজার রাফাহতে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে অন্তত ১৬ জন নিহত হন। সব মিলিয়ে খাদ্যের সন্ধানে থাকা অন্তত ৩৭ জন সেদিন নিহত হন।

এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছে তিন শিশুও। এ নিয়ে গাজায় দুর্ভিক্ষে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩৫ জনে, যার মধ্যে ১০৬ জনই শিশু।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসের বেশি সময় টানা অভিযানের পর সাময়িকভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। একই সঙ্গে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার মামলারও মুখোমুখি রয়েছে।


ফিলিস্তিন, মিশর ও জর্ডানের অংশ নিয়ে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ চান নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৪ ০৯:০৪:২২
ফিলিস্তিন, মিশর ও জর্ডানের অংশ নিয়ে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ চান নেতানিয়াহু
মিশর-জর্ডান নিয়ে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ চান নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সমগ্র ফিলিস্তিন, মিশর ও জর্ডানের একাংশ নিয়ে এক ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ (বৃহত্তর ইসরায়েল) প্রতিষ্ঠার ভিশনের কথা জানিয়েছেন। তিনি নিজেকে এ ধরনের একটি 'ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক মিশনে' নিয়োজিত বলেও মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল-এর এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নেতানিয়াহু আই-২৪ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তার 'বৃহত্তর ইসরায়েল' দর্শনের মধ্যে বর্তমান ইসরায়েল, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত এলাকা এবং জর্ডান ও মিশরের কিছু অংশও অন্তর্ভুক্ত। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী শ্যারন গাল, যিনি একজন ডানপন্থী নেসেট সদস্য ছিলেন, তিনি নেতানিয়াহুকে বৃহত্তর ইসরায়েলের মানচিত্রখচিত একটি তাবিজ উপহার দেন।

'বৃহত্তর ইসরায়েল' দর্শনের প্রতি তার কোনো সংযোগ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, তিনি 'অনেক বেশি' সংযোগ অনুভব করেন। তিনি আরও বলেন, তিনি 'প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এক মিশনে আছেন—বহু প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা এখানে আসার স্বপ্ন দেখেছে এবং আমাদের পরেও অনেক প্রজন্ম আসবে একই স্বপ্ন নিয়ে।' তিনি স্পষ্ট করে বলেন, 'ঐতিহাসিকভাবে এবং আধ্যাত্মিকভাবে আমার মধ্যে কোনো মিশন বা চেতনা কাজ করে কি না, তার উত্তর হলো হ্যাঁ।'

‘গ্রেটার ইসরায়েল’ শব্দটি মূলত ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল এবং দেশটির দখল করা এলাকাগুলোকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। গত বছর ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বাজায়েল স্মোরিচও 'বৃহৎ ইসরায়েল' নিয়ে মন্তব্য করে বলেছিলেন, তারা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক পর্যন্ত ইসরায়েলের পরিধি বাড়াবেন।

বর্তমানে দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং দক্ষিণ লেবানন ও সিরিয়ায় বর্বরতা চালাচ্ছে।

সূত্র:দ্য টাইমস অব ইসরায়েল


ধূমপান ছাড়তে বড়দের চুষনি, চীনে ভাইরাল এই পণ্যের চাহিদা আকাশচুম্বী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২১:৪৮:২৭
ধূমপান ছাড়তে বড়দের চুষনি, চীনে ভাইরাল এই পণ্যের চাহিদা আকাশচুম্বী
চীনে বড়দের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ‍উঠেছে চুষনি/ এআই দিয়ে তৈরি ছবি

চীনে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিশেষভাবে তৈরি চুষনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিক্রেতাদের দাবি, এই চুষনি মানসিক চাপ কমাতে, ভালো ঘুমাতে এবং ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে। তবে চিকিৎসকরা এর স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কভাভের তথ্য অনুযায়ী, শিশুদের চুষনির চেয়ে আকারে বড় এই চুষনিগুলো অনলাইন স্টোরে মাসে দুই হাজারেরও বেশি বিক্রি হচ্ছে। এর দাম ১০ থেকে ৫০০ ইউয়ানের (১.৪ থেকে ৭০ মার্কিন ডলার) মধ্যে।

এই চুষনি ব্যবহারকারীদের অনেকেই অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, এটি নরম ও আরামদায়ক, যা মানসিক স্বস্তি ও অস্থিরতা কমায়। আরেকজনের মতে, এটি তাকে ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করেছে। আরেকজন ব্যবহারকারী বলেন, কাজের চাপের সময় এটি ব্যবহার করলে শৈশবের নিরাপদ অনুভূতিতে ফিরে যাওয়া যায়।

বিক্রেতাদের দাবির বিপরীতে চীনা দন্ত বিশেষজ্ঞ তাং চাওমিন সতর্ক করে বলেন, এই চুষনি দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে চোয়াল পুরোপুরি খোলার ক্ষমতা সীমিত হতে পারে এবং চিবানোর সময় ব্যথা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তিন ঘণ্টার বেশি ব্যবহার করলে এক বছরের মধ্যেই দাঁতের অবস্থান বদলে যেতে পারে। মনোবিজ্ঞানী ঝাং মো মনে করেন, যারা এই পণ্য ব্যবহার করছেন, তাদের আবেগীয় চাহিদা পূরণ হচ্ছে না এবং নিজেকে শিশু ভাবাটা কোনো সমাধান নয়।

এদিকে, এই পণ্য নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। একটি প্ল্যাটফর্মে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় ৬ কোটি বার।

সূত্র: দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিন-কিমের ফোনালাপ: কী বার্তা দিলো দুই নেতা?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ২১:৩০:৫২
ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের আগে পুতিন-কিমের ফোনালাপ: কী বার্তা দিলো দুই নেতা?
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার একটি ফোনালাপে নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিম এবং পুতিন 'মৈত্রী, পারস্পরিক সদ্ভাব ও সহযোগিতার আরও উন্নয়নে' নিজেদের অঙ্গীকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমও কিমের পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা সহযোগিতার 'উচ্চ মূল্যায়ন' করার কথা উল্লেখ করেছে।

ফোনালাপ ও ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠকক্রেমলিন জানিয়েছে, ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে, যা আগামী শুক্রবার আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে এই তথ্যটি উত্তর কোরিয়ার সরকারি সূত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধ ও শ্রমিক সংকটরাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। জানা যায়, কমপক্ষে ১০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে কাজ করছে। এ সপ্তাহের শুরুতে খবর আসে যে, মস্কোর নির্মাণ কাজে পাঠানো উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকরা 'দাসের মতো জীবন' কাটাচ্ছে, যা যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকটকে আরও বাড়িয়েছে।


নেতানিয়াহু বনাম সেনা কর্মকর্তারা: গাজা পুনর্দখল নিয়ে ইসরায়েলে তীব্র মতবিরোধ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৮:৪০:৩৮
নেতানিয়াহু বনাম সেনা কর্মকর্তারা: গাজা পুনর্দখল নিয়ে ইসরায়েলে তীব্র মতবিরোধ
ফাইল ছবি: রয়টার্স

গাজা পুনর্দখল নিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এই মতবিরোধের মধ্যেই গাজা উপত্যকার শেষ বড় শহর গাজা সিটি দখল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা উপত্যকার বাকি ১০ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজার অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ জমিতে সমগ্র ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে ঠেলে দেওয়া হবে।

গোপন আলোচনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, গাজা সিটিতে ঢোকার এই পরিকল্পনাটি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আইয়াল জামির ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রস্তাবের চেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও রক্তক্ষয়ী। সেনা কর্মকর্তারা গাজা সিটি ঘিরে রেখে দূর থেকে হামলার প্রস্তাব দিলেও, নেতানিয়াহু ও তার রাজনৈতিক মিত্ররা পুরো গাজা দখলের পক্ষে ছিলেন।

সেনা কর্মকর্তাদের মতে, পুরো গাজা দখলের জন্য সেনাবাহিনীর পাঁচটি ডিভিশন প্রয়োজন। কিন্তু তাদের প্রস্তাবিত পর্যায়ক্রমিক অভিযানে এর অর্ধেকেরও কম ব্যবহার হবে। এই স্থল অভিযান তখনই শুরু হবে, যখন গাজা সিটির প্রায় ১০ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হবে।

সেনা কর্মকর্তাদের এই সিদ্ধান্তটি আসে নেতানিয়াহুর একটি সাক্ষাৎকারের ১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে, যেখানে তিনি পুরো গাজা দখলের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছিলেন। এ ঘটনায় তার অতি-ডানপন্থী মিত্ররা অসন্তুষ্ট হলেও, এটি প্রমাণ করে যে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা এখনো নেতানিয়াহুর বেসামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে সক্ষম।

নেতানিয়াহু নিজেও প্রকাশ্যে এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে বলেন, "আমি আইডিএফ, এর কমান্ডার ও আমাদের সৈনিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রাখি। কিন্তু আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইডিএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতের বিপরীতে গিয়ে। আমরা একটি দেশ, যার একটি সেনাবাহিনী আছে; সেনাবাহিনীর একটি দেশ নই।"

অন্যদিকে, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির সেনাপ্রধানকে সরকারের আদেশ মানার শপথ নিতে বলেন এবং নেতানিয়াহুর ছেলে ইয়ায়ির নেতানিয়াহু সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টার অভিযোগ তোলেন। এর জবাবে সেনাপ্রধান আইয়াল জামির বলেন, "বিতর্কের সংস্কৃতি ইহুদি জনগণের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আইডিএফ নির্ভয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে থাকবে।"

২২ মাস পরও গাজায় ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন এবং ইসরায়েলের হামলায় ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। মার্চ মাস থেকে ত্রাণ অবরোধের কারণে উপত্যকাটিতে ভয়াবহ মানবিক সংকট আরও গভীর হয়েছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র জার্মানি গাজায় ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এটি ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।


মিঠুন চক্রবর্তীর হুঁশিয়ারি:১৪০ কোটি মানুষের প্রস্রাবে পাকিস্তান সুনামিতে ভেসে যাবে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৮:২২:৪২
মিঠুন চক্রবর্তীর হুঁশিয়ারি:১৪০ কোটি মানুষের প্রস্রাবে পাকিস্তান সুনামিতে ভেসে যাবে
মিঠুন চক্রবর্তী/ ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের উদ্দেশে ভারতের বলিউড তারকা ও বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, "এভাবে কথা বলতে থাকলে আর যদি আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়, তাহলে একের পর এক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ছুটে যাবে। তাতেও যদি না হয়, তাহলে আমরা এমন একটি বাঁধ বানাবো, যেখানে ১৪০ কোটি মানুষ প্রস্রাব করবে। তারপর বাঁধের দরজা খুলে দিলে সুনামি হয়ে যাবে।"

মিঠুনের এই মন্তব্য মূলত পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এসেছে। পরে অবশ্য তিনি স্পষ্ট করেন যে, তার এসব কথা শুধু বিলাওয়াল ভুট্টোর উদ্দেশে, পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে নয়।

সোমবার (১১ আগস্ট) সিন্ধু প্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে বিলাওয়াল ভুট্টো বলেছিলেন, ভারত যদি সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখে, তবে পাকিস্তানের হাতে যুদ্ধ ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ভারত যদি এই পথে আগাতে থাকে, তাহলে আমরা যুদ্ধ করে ৬টি নদীর অধিকার ফেরত নেওয়ার মতো শক্তিশালী।

এর আগে চলতি মাসেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম মুনিরও ভারতের বিরুদ্ধে নতুন করে পারমাণবিক হামলার হুমকি দেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, অস্তিত্বের সংকট দেখা দিলে পাকিস্তান তার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার ব্যবহার করবে। একই সঙ্গে তিনি সিন্ধু নদের পানি প্রবাহ বন্ধ করলে ভারতের অবকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকিও দেন।

অসিম মুনিরের হুমকির জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পাকিস্তানের এই নতুন পারমাণবিক হুমকি দেশটির পারমাণবিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন আরও জোরদার করেছে। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ভারত কোনো ‘পারমাণবিক ব্ল্যাকমেইলের’ কাছে নতি স্বীকার করবে না।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর এই বিতর্কের সূত্রপাত। ওই ঘটনায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে। তখন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই চুক্তি আর কখনো পুনর্বহাল হবে না।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম:সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি গ্রেপ্তার

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১৪:১১:২৫
দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম:সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি গ্রেপ্তার
সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদা পাথরের চিত্র। ছবি : কালবেলা

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে কারসাজি, ঘুষ গ্রহণ এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপসহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি চার ঘণ্টা ধরে চলা আদালতের শুনানিতে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে সিউল আদালত প্রমাণ নষ্টের আশঙ্কায় তাকে রিমান্ডে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বিবিসি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী একই সময়ে কারাগারে বন্দি হলেন। কিমের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত বছর ব্যর্থ সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার হন। এই ঘটনাটি দেশে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে, যার ফলস্বরূপ ইউন সুক ইওল ক্ষমতা হারান।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, কিম ডয়েচ মোটর্স নামের একটি বিএমডব্লিউ ডিলারের শেয়ারমূল্য কারসাজির মাধ্যমে প্রায় ৫ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪০ মার্কিন ডলার অবৈধভাবে লাভ করেছেন। এই অভিযোগগুলো তার স্বামীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগের সময়ের হলেও, দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে তার স্বামীর সরকার প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি বিতর্কিত ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে ব্যবসায়িক সুবিধা পাওয়ার বিনিময়ে দুটি শ্যানেল ব্যাগ এবং একটি হীরার নেকলেস ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়াও, তিনি ২০২২ সালের সংসদীয় উপনির্বাচন এবং গত বছরের সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

আদালতে কালো স্যুট ও স্কার্ট পরে হাজির হয়ে কিম কিওন হি সাংবাদিকদের বলেন, "আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই, তবুও সমস্যার সৃষ্টি করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।"

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ইউন সুক ইওল তার বিরুদ্ধে আনা বিশেষ কাউন্সেল বিল তিনবার ভেটো দিয়েছিলেন। সর্বশেষ ভেটোটি তিনি দেন গত বছরের নভেম্বরে, যা সামরিক আইন জারির ঘোষণার এক সপ্তাহ আগে। ইউন সুক ইওলের প্রতিদ্বন্দ্বী লি জে মিয়ং চলতি বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সেই বিশেষ কাউন্সেল গঠন করা হয়।


মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর!

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:৫৪:৩১
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর!
ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর পাসের পর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ভিসা চালুর সম্ভাবনা উন্মোচিত হয়েছে। এই নীতি কার্যকর হলে হাজার হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে উচ্চ-দক্ষতা সম্পন্ন চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিষয়টি কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া-তে দেশটির উচ্চশিক্ষামন্ত্রী জাম্ব্রি আব্দুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে উত্থাপন করেন। আইন, বিচার ও বৈদেশিক নিয়োগ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মালয়েশিয়ার মন্ত্রী নীতিগতভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতকোত্তর পাস ভিসা চালুর বিষয়ে সম্মতি দেন। তবে নীতি কার্যকর হওয়ার আগে উভয় পক্ষকে কিছু প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হবে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মালয়েশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। যদিও অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর শেষে মালয়েশিয়ার চাকরি বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেয়ে থাকে, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা এ সুযোগ থেকে এতদিন বঞ্চিত ছিলেন।

এর আগে সোমবার কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ফাদলিনা বিন্তি সিদেকের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি সম্প্রসারণ, মালয়েশিয়ার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে শিক্ষাগত সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। পাশাপাশি, মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে বাংলাদেশের ডিগ্রির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির আবেদন জানান অধ্যাপক ইউনূস।

মালয়েশিয়ার মন্ত্রী অধ্যাপক ইউনূসের দীর্ঘমেয়াদি থ্রি জিরো অভিযানের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন, যার লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করা এবং কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনি যদি দারিদ্র্যবিহীন একটি পৃথিবী কল্পনা না করেন, তবে তা কখনও বাস্তবে রূপ নেবে না।” তিনি বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান, এমন একটি মানবিক ও ন্যায়ভিত্তিক সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য যৌথভাবে কাজ করার।

শিক্ষা সহযোগিতা জোরদারের অংশ হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রীকে ঢাকায় সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বৈঠকগুলোতে জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকি এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদও উপস্থিত ছিলেন, যা এই উদ্যোগের উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।

-শরিফুল


রপ্তানি শুল্ক সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি 

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:৩৭:০৬
রপ্তানি শুল্ক সংকটের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি 
ছবিঃ সংগৃহীত

রপ্তানি শুল্ককে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসন্ন সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, মোদি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করবেন এবং এ সফরের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জোর সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে। ২৩ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেবেন ট্রাম্প, আর ২৬ সেপ্টেম্বর বক্তব্য রাখবেন মোদি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, এই সময়সূচির মধ্যবর্তী সময়ে দু’দেশের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের বর্তমান উত্তেজনার সূত্রপাত ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত উচ্চ রপ্তানি শুল্ক। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল ১৫ শতাংশ। তবে গত ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের দেড় মাস পর, মার্চে ট্রাম্প তা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত করেন, যা ৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়।

পরিস্থিতি আরও জটিল হয় রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন রুশ তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যসীমা নির্ধারণ করলেও ভারত তুলনামূলক কম দামে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখে। এ বিষয়ে ট্রাম্প একাধিকবার প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়ে অভিযোগ করেন, ভারত এভাবে রাশিয়াকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করছে। এর জের ধরে গত ৬ আগস্ট ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, ফলে মোট শুল্কহার দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে।

নতুন শুল্ক আরোপের নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প স্পষ্ট করে লেখেন, “ভারত সরকার সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রুশ ফেডারেশন থেকে তেল আমদানি করছে... আমার বিচারে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর অ্যাড ভ্যালোরেম শুল্ক আরোপ প্রয়োজনীয়।”

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলে, “দেশের অভ্যন্তরীণ জ্বালানি তেলের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং জনগণকে ন্যায্য মূল্যে তেল সরবরাহ করা ভারতের জাতীয় স্বার্থের অন্তর্ভুক্ত। এই স্বার্থ রক্ষায় ভারত সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”

প্রসঙ্গত, এর আগে ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। এবার জাতিসংঘ অধিবেশন ঘিরে তার সফর শুধু বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক কার্যক্রম নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র–ভারত সম্পর্কের সাম্প্রতিক অস্থিরতা প্রশমনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

-রাফসান


সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৩ ১১:২৮:১৯
সিন্ধু নদ ইস্যুতে ভারতকে পাকিস্তানের কড়া হুঁশিয়ারি
ছবিঃ সংগৃহীত

সিন্ধু নদ ও পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে ভারতকে তীব্র হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ইসলামাবাদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, যদি ভারত সিন্ধু নদীর পানি আটকে রাখার চেষ্টা করে, তবে পাকিস্তান কঠোর জবাব দেবে। তার ভাষায়, “আমরা আমাদের পানির এক ফোঁটাও কাউকে নিতে দেব না। যদি কেউ এমন পরিকল্পনা করে, তবে তাকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে, যা সারাজীবন মনে থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রীর এই সতর্কবার্তা আসে জম্মু–কাশ্মিরের পেহেলগামে সম্প্রতি সংঘটিত এক জঙ্গি হামলার প্রেক্ষাপটে, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় ও একজন নেপালি নাগরিক নিহত হন। হামলার দায় স্বীকার করে পাকিস্তানভিত্তিক গোষ্ঠী ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’। এ ঘটনার পর ভারত তাৎক্ষণিকভাবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করে, যার ফলে পাকিস্তানে প্রবাহিত সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর পানির প্রবাহে বিঘ্ন ঘটে এবং দেশটির কৃষি খাত বড় ধরনের সংকটে পড়ে।

পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সালিশ আদালতে মামলা করে। ৮ আগস্ট আদালত রায় দেন, যেখানে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে এবং জলবিদ্যুৎ প্রকল্পসহ যেকোনো বাঁধ নির্মাণ চুক্তির শর্ত মেনে করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাকিস্তান রায়কে স্বাগত জানালেও ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে ভারতকে চুক্তিতে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সফররত পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল অসীম মুনির আরও কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ৯ আগস্ট ফ্লোরিডায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “ভারত যদি সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে, তবে তা ধ্বংস করতে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্রই যথেষ্ট। সিন্ধু নদ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, আর আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারে কোনো ঘাটতি নেই।”

১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী, ভারত পূর্বাঞ্চলের ইরাবতী, বিপাশা ও শতদ্রু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার পেয়েছে। অপরদিকে, পাকিস্তানকে পশ্চিমাঞ্চলের সিন্ধু, ঝিলাম ও চেনাব নদীর অধিকাংশ পানি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়। চুক্তিতে একতরফাভাবে বাতিল বা স্থগিতের সুযোগ নেই, তবে বিরোধ নিষ্পত্তির সুস্পষ্ট ধারা বিদ্যমান।

পাকিস্তানের জন্য সিন্ধু অববাহিকার পশ্চিমাঞ্চলীয় নদীগুলোর পানি কৃষি, নগর ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মূলভিত্তি হিসেবে অপরিহার্য। এসব নদীর প্রবাহ ব্যাহত হলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সেচব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে জ্বালানি উৎপাদন পর্যন্ত জাতীয় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো গভীর সংকটে পড়বে।

-রফিক

পাঠকের মতামত: