মানিকগঞ্জে চার আ.লীগ নেতা গ্রেফতার, ঘেরাও থানার দরজা!

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৮ ১১:১১:৩৭
মানিকগঞ্জে চার আ.লীগ নেতা গ্রেফতার, ঘেরাও থানার দরজা!

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের চার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও থানায় ঘেরাওয়ের ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ মোতায়েনসহ অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নেয় প্রশাসন।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাটুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাকা (৪৬), উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক (৪৫), আওয়ামী লীগ নেতা মো. হেলাল উদ্দিন (৪৮) এবং স্থানীয় কাওন্নারা গ্রামের যুবক রাব্বি মিয়া (২৩)। সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এদের বিরুদ্ধে চলমান একটি সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরই এ পদক্ষেপ নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুল ইসলাম।

গ্রেফতার অভিযানের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটে কাওন্নারা গ্রামের রাব্বি মিয়াকে ঘিরে। থানা সূত্রে জানা যায়, রাব্বির বাড়ি থানার খুব কাছেই। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর তার পরিবারের আহাজারি শুনে আশপাশের বহু মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা থানা ঘেরাও করে রাব্বির মুক্তির দাবি জানায়। পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয় যখন রাব্বিকে প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তার মা থানার সামনে এসে চিৎকার করতে করতে ভ্যানে শুয়ে পড়েন। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলেকে জেলে নিতে দিব না।’

জনতার বিক্ষোভ ও মানবিক আবেগঘন দৃশ্যের মধ্যে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর যথাযথ প্রক্রিয়ায় রাব্বিসহ অন্যান্য আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, যেসব কারণে গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়, তার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার অভিযোগ। ওই মামলায় মোট ১০ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে এবং আরও অজ্ঞাত ৬০ থেকে ৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাদের কী ধরনের ভূমিকা ছিল, তা বিস্তারিতভাবে জানায়নি।

সাটুরিয়া থানার ওসি মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার তদন্তে প্রাথমিকভাবে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, শুধু তাদেরই গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় হচ্ছে।’ তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত এবং থানা ও আশপাশে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

স্থানীয় রাজনীতি এবং ক্ষমতাসীন দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এই মামলার পেছনে কোনো প্রভাব রেখেছে কিনা তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। গ্রেফতার ও বিক্ষোভের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝেও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

এই ঘটনাটি সাটুরিয়ায় শুধু আইনশৃঙ্খলার প্রশ্নই নয়, বরং স্থানীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনের পারস্পরিক সম্পর্কের জটিলতা আরও একবার সামনে নিয়ে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনের উচিত হবে সব পক্ষকে আস্থায় নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং নিশ্চিত করা যে, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য যেন না থাকে।

এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাদের গ্রেফতারের ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আগামী কয়েক দিনে তারা কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় তা এলাকার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।


শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ২১:০৬:৩৬
শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবির সঙ্গে বিএনপি নীতিগতভাবে একমত বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, শিক্ষকদের আর্থসামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না করতে পারলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

চাকরি জাতীয়করণ ও শিক্ষা সংস্কার

‘বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ’সহ বিভিন্ন দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তারেক রহমান শিক্ষকদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে অবশ্যই একমত।” তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে:

আর্থিক নিরাপত্তা: রাষ্ট্রের সামর্থ্য অনুযায়ী শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা বেষ্টনী বাড়ানো, চাকরি স্থায়ীকরণ বা জাতীয়করণের বিষয়টি ইতিবাচক বিবেচনার জন্য উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করা হবে।

শিক্ষা সংস্কার: প্রচলিত শিক্ষা কারিকুলামকে ব্যবহারিক এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রধান করে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা হবে।

কর্মমুখী শিক্ষা: নৈতিকতা এবং ধর্মীয় সামাজিক মূল্যবোধের আলোকে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হবে।

তিনি বলেন, এই কম্পিটিশনের বিশ্বে টিকে থাকতে হলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুঁথি নির্ভর না রেখে ব্যবহারিক ও কারিগরি নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থায় রূপান্তর করার বিকল্প নেই।

শিক্ষকদের সম্মান ও জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শিক্ষকতা পেশা কখনোই উপায়হীন বিকল্প বা একটি সাধারণ চাকরি হতে পারে না। বরং শিক্ষাদীক্ষায় সবচেয়ে মেধাবী মানুষটি যাতে প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিতে পারে, সেভাবেই শিক্ষক নিয়োগ ও শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করছে বিএনপি।

তিনি মনে করেন, জাতীয় দিবসগুলোতে আমন্ত্রিত অতীতের তালিকায় প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের কমপক্ষে একজন করে শিক্ষককে রাষ্ট্রীয় ভবনে আমন্ত্রণ জানানো অত্যন্ত জরুরি।

অন্যান্য রাজনৈতিক মন্তব্য

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে, আপনারা প্রতিটি জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। গভীর ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে নির্বাচনকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করবার।” তিনি সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো সেলিম ভূঁইয়া বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে জনগণের ভোটে তারেক রহমানকে আমরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই—এটাই জনগণের কাছে শিক্ষকদের দাবি।” এ সময় তিনি শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে বাড়ি ভাড়া বাড়িয়েছে, তা প্রত্যাখান করার ঘোষণা দেন।


 ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৮:৫২:০১
 ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে প্রতীক ইস্যুতেই দুটি ভিন্ন অবস্থানে অনড় রয়েছে এনসিপি ও নির্বাচন কমিশন। এনসিপি শুরু থেকেই তাদের পছন্দের শাপলা প্রতীক চেয়ে আসছে, কিন্তু ইসি বলছে—শাপলা রাজনৈতিক দলের প্রতীকের তালিকায় নেই।

ইসি ৫০টি প্রতীকের একটি তালিকা থেকে যেকোনো একটি বাছাই করতে এনসিপিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এনসিপি সেই তালিকা প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, শাপলা প্রতীক না দেওয়া হলে তারা অন্য কোনো মার্কা নেবে না।

এনসিপি ও ইসি’র অনড় অবস্থান

এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও আইন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মুসা বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকেলে তারা ইমেইলের মাধ্যমে ইসিকে চিঠির জবাব দিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, শাপলার বাইরে অন্য কোনো প্রতীক তারা গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, “যেহেতু শাপলা প্রতীক পেতে আমাদের কোনো আইনগত জটিলতা নেই, সে কারণে আমরা ইসিকে আমাদের আগের অবস্থানই পুর্নব্যক্ত করেছি।”

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ইসি যদি শাপলা প্রতীক না দিয়ে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে, তাহলে এই কমিশনের যেকোনো কার্যক্রমে আমাদের অনাস্থা থাকবে।”

অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নতুন প্রতীক তালিকার গেজেটে যেহেতু শাপলা নেই, সে কারণে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার সুযোগ অনেকটাই কমে গেছে।” তবে কমিশন জানিয়েছে, গেজেট সংশোধন করা হলে সুযোগ থাকতে পারে, যদিও এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।

অদৃশ্য শক্তির চাপ ও মান্নার অবস্থান

এনসিপি নেতাদের অভিযোগ, এই জটিলতার পেছনে একটি গোয়েন্দা সংস্থা বা ‘অদৃশ্য শক্তি’ কাজ করছে, যার চাপে ইসি স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “ইসি কোনো অদৃশ্য শক্তির চাপে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক থেকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে।”

এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “তারা কোনো আইনি ব্যাখ্যা ছাড়া একটি সিদ্ধান্ত আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, এটা ভাবার কোনো সুযোগ নাই। এটা কোনোভাবে হবে না।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, শেষ পর্যন্ত শাপলা না পেলে তারা নিবন্ধন না নিয়ে রাজপথের কর্মসূচিতে নামবেন।

তবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও একসময় শাপলা প্রতীক চেয়েছিল। মান্না এই প্রসঙ্গে বলেন, “এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিলে ইসির প্রতি আমাদের আপত্তি থাকবে। তবে ছাত্রদের প্রতি আমাদের রেসপেক্ট আছে। সেখান থেকে আমরা বলেছি, আমরা কোনো মামলা করবো না বা আইনি লড়াইয়ে যাবো না।”

নিবন্ধন আটকে যাওয়ার শঙ্কা

নির্বাচন বিশ্লেষক ও সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রতীক নিয়ে এনসিপির সঙ্গে ইসির এই টানাপোড়েন চলতে থাকলে নতুন এই দলটির নিবন্ধন আটকে যাবে। ইসির সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, এনসিপি যদি গেজেটের ৫০টি প্রতীকের কোনোটি না নিতে চায়, তখন দলটির নিবন্ধন ঝুলে যাবে। তবে তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান সম্ভব।


উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৭:৩১:২১
উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখাচ্ছেন এবং কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে ‘এক্সিট’ নেওয়ার মানসিকতা নিয়ে এগোচ্ছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এত শহীদের রক্তের বিনিময়ে গড়া এই দায়িত্ব পালনে যদি কেউ ভয় করেন, তাহলে তাদের এই দায়িত্বে থাকার প্রয়োজন নেই।”

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নওগাঁয় জেলা শাখার সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

‘তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই’

সারজিস আলম কঠোর ভাষায় বলেন:

“যারা এই মানসিকতা পোষণ করেন, তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া কোনো সেফ এক্সিট নেই। পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান না কেন, বাংলাদেশের মানুষ তাদের খুঁজে বের করবে।”

তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বলেন, শাপলা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে এনসিপির কোনো আইনগত বাধা নেই। কিন্তু এরপরও ইসি যদি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ না করে, তাহলে তা স্বেচ্ছাচারিতা কিংবা কোনো গোষ্ঠীর চাপে পরিচালিত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। তিনি বলেন, “এটা আমরা কখনোই মেনে নেব না। আগামীর নির্বাচনে শাপলা নিয়েই আমরা নির্বাচন করব।”

রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জোটের সম্ভাবনা

রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, “বাংলাদেশের সৎ ও ভালো মানুষরা চাইলে একটি কার্যকর রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগের যেকোনো সংস্করণ, অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতায় বাংলাদেশে আর কোনোভাবেই প্রাসঙ্গিক নয়। এনসিপি এই অবস্থান দৃঢ়ভাবে বজায় রাখবে।”

তিনি জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এনসিপি কারও সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এখনো আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে তার আগেই সাংগঠনিক ভিত মজবুত করতে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে দেশের সব জেলা, উপজেলা এবং ইউনিট পর্যায়ে কমিটি গঠন সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।


ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১৫:০৯:২৫
ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
বিড়ালের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খুনসুটি। ছবি: সংগৃহীত

কয়েক দিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার পোষা বিড়ালের খুনসুটির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবার সেই বিড়ালটি আসলে কার, সেটা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। তারেক রহমান জানিয়েছেন, বিড়ালটি তার মেয়ের এবং এটি এখন পরিবারের সবারই প্রিয় হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিষয়ে কথা বলেন।

পশুপাখির সঙ্গে পরিবারের সম্পর্ক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা বিড়ালের সঙ্গে তার নিয়মিত ছবি দেখা যাওয়ার বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, বিড়ালটি মূলত তার মেয়ের হলেও “ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।”

তিনি আরও জানান, পশুপাখির প্রতি তার পরিবারের ভালোবাসা নতুন নয়:

“শুধু বিড়াল নয়, আমি ও আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। এমনকি তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস-মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল। কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল, যার মধ্যে বিভিন্ন রকমের পাখি ছিল এবং একটি ময়না ছিল, যে বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো।”

তিনি বলেন, পশুপাখির প্রতি এই বিষয়টি হঠাৎ করেই প্রকাশ পায়নি। এটি তার পরিবারে অনেক আগে থেকেই ছিল।

পরিবেশ ও প্রকৃতির গুরুত্ব

তারেক রহমান ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তাই আল্লাহর সৃষ্টি যা কিছু আছে, প্রকৃতির প্রতি যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, প্রকৃতি যদি না থাকে, প্রকৃতির ভারসাম্য যদি না থাকে, তবে মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন। তিনি দূষণের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “নরমালি আমরা জানি, একটি দেশের টোটাল অংশের মধ্যে অ্যাটলিস্ট ২৫ শতাংশ গ্রিন দরকার, বনায়ন দরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আমি যতটুকু জেনেছি, এটি ১২ পার্সেন্টের মতো। হুইচ ইজ ভেরি ডেঞ্জারাস।” তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রকৃতি ও পশুপাখির প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।


চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১১:৪৯:৪৫
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং এই সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন বলে বেইজিং মঙ্গলবার জানিয়েছে। দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই তাঁর এ সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লি চিয়াং ৯ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া সফর করবেন। তিনি একটি দল ও সরকার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে পিয়ংইয়ং যাবেন এবং সেখানে শাসক ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেবেন।

চীনের শি জিনপিংয়ের পর লি চিয়াং দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। তাঁর এই সফরকে কেবল সৌজন্য সফর নয়, বরং দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি এমন এক সময়ের সফর যখন উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও রাজনৈতিক একঘরে অবস্থার মধ্যেও চীনের সমর্থনের ওপর ক্রমেই নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়নহাপ নিউজ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এ উপলক্ষে একটি বৃহৎ সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করছে। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের প্রতিনিধিদল এই আনুষ্ঠানিক আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার সম্পর্ক আবারও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গত মাসে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং দুই দেশের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার আহ্বান জানান। এর আগে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বেইজিং সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন।

চীন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সহযোগী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও খাদ্যঘাটতির সময়েও বেইজিং দেশটির পাশে থেকেছে। অন্যদিকে, পিয়ংইয়ং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের কাছ থেকে “হুমকি”র কথা বলে নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চীনের সমর্থন উত্তর কোরিয়ার জন্য রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বিশ্লেষকদের মতে, লি চিয়াংয়ের এই সফর শুধু দুই দেশের বন্ধুত্বকেই তুলে ধরছে না, বরং এটি একটি ভূরাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার প্রেক্ষাপটে চীন এই সফরের মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছে যে, উত্তর-পূর্ব এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে তার উপস্থিতি এখনো গুরুত্বপূর্ণ।

চীন ও উত্তর কোরিয়া উভয়ই নিজেদের সম্পর্ককে “পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের” ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে চায়। তবে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, লি চিয়াংয়ের সফর শুধু সৌজন্য নয়—এটি আঞ্চলিক রাজনীতিতে এক নতুন ঘনিষ্ঠতার সূচনা হতে পারে।

-হাসানুজ্জামান


মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৮:২৬:১১
মেয়ে ও স্ত্রী রাজনীতিতে আসা নিয়ে কী ইঙ্গিত দিলেন তারেক রহমান?
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারেক রহমান, নাতনী ব্যারিস্টার জাইমা রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান

বিএনপির রাজনীতিতে ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান যুক্ত হবেন কি না, এই বিষয়ে কিছুটা কৌশলী জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার (০৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান বলেন, “আমি ওই যে বললাম, সময় পরিস্থিতি বলে দিবে ওটা।”

পরিবারের প্রভাব ও রাজনীতির প্রেক্ষাপট

বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে পরিবারের প্রভাব কতটা থাকবে, বিবিসি বাংলার এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বিষয়টিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “একজন চিকিৎসকের সন্তান যখন চিকিৎসক হয়, তখন সে ভালোও করে, খারাপও করে। একজন আইনজীবীর সন্তানও দেখা যায় যে, অনেক সময় বাবা-মায়ের মতো ভালো আইনজীবী হয় অথবা হয় না। রাজনীতিবিদদের ক্ষেত্রে অনেকের সন্তান পলিটিক্সে এসেছে। সবাই কি ভালো করেছে? সবাই ভালো করেনি।”

রাজনীতিতে পারিবারিকীকরণ নয়, নির্যাতন

তারেক রহমান বলেন, তাকে ইঙ্গিত করা হলে তিনি বলবেন যে, তিনি বিগত ১৭ বছরে রাজনীতিবিদদের রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হতে দেখেছেন। তিনি মন্তব্য করেন, বহু নেতাকর্মী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে, জেল খেটেছে এবং ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “আপনি কি বলতে পারবেন, এর কোনটার মধ্যে দিয়ে আমি যাইনি? এর প্রতিটার ভেতর দিয়ে আমি গিয়েছি। প্রত্যেকটা স্তর পার করে এসেছি আমি। আমি শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছি। যেই নির্যাতনের চিহ্ন এখনো কখনো কখনো আমাকে সহ্য করতে হয়।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন:

“কাজেই এইজন্য এই কথাগুলো আমি বললাম যে রাজনীতি পরিবারকরণ হয় না। এটি সমর্থনের ভিত্তিতে হয়। কাজেই যে অর্গানাইজ করে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে দলকে ঐক্যবদ্ধ করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে, সে এগিয়ে যেতে পারবে। কেউ যদি এগিয়ে যেতে না পারে, তাহলে সে এগিয়ে যেতে পারবে না। সময় পরিস্থিতি সবকিছু প্রমাণ করে দিবে।”


এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৭:১০:৩৫
এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি: ‘শাপলা প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে বিকল্প নেই’
নাটোরে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম/ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এনসিপি শাপলা প্রতীক নিয়েই অংশগ্রহণ করবে। এ বিষয়ে কোনো বিকল্প বিবেচনা করছে না দল।

সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে নাটোরের সমন্বয় সভায় সারজিস আলম এসব কথা বলেন। নাটোর জেলা প্রধান সমন্বয়ক এস.এম. জার্জিস কাদিরের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি

সারজিস আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষভাবে কাজ না করে, চাপ-প্রভাবের ফলে শাপলা প্রতীক এনসিপিকে না দেয়, তবে কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন হবে।”

তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যাতে সম্মানের সঙ্গে প্রতীক নিয়ে জনগণের কাছে যেতে পারে, সেই ধরনের মার্কাগুলো তালিকাভুক্ত করার আহ্বান জানাবে এনসিপি। তিনি মনে করেন, যেসব মার্কা হাস্যরস সৃষ্টি করে বা বিভ্রান্তি তৈরি করে (যেমন বেগুন, মুলা), সেগুলো তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত।

পার্বত্য অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব

সারজিস আলম পার্বত্য জেলা এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে সতর্ক বার্তা দেন। তিনি জানান, পার্বত্য তিন জেলা বাংলাদেশের অঙ্গ এবং এর সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করা অনুচিত। যারা দেশের ভেতর বা বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে জনগণ ও সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা থাকবে।


আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১৪:১২:২৯
আওয়ামী লীগের বিচার: ‘এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ’
ছবি: সংগৃহীত

জনগণ সমর্থন না করলে কোনো রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক সংগঠন টিকে থাকার কোনো কারণ দেখেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যেহেতু জনগণের শক্তিতে আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের সিদ্ধান্তের ওপরে আমরা আস্থা রাখতে চাই। এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় বিচারক আমি মনে করি জনগণ।”

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের বিচার ও জনগণের রায়

তারেক রহমান বলেন, যে আওয়ামী লীগ মানুষ হত্যা করে, মানুষের অর্থসম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে—জনগণ তাদের সমর্থন করতে পারে বলে তিনি মনে করেন না।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান কী, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান তার পরিবারের সংগ্রামের উদাহরণ টেনে বলেন, এই ধরনের অন্যায়, হত্যা এবং নির্যাতনের জন্য যারা দায়ী, যারা এসবের হুকুম দিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের বিচার হতে হবে।

তিনি বলেন:

“এটি প্রতিশোধের কোনো বিষয় নয়। এটি ন্যায়ের কথা। এটি আইনের কথা। অন্যায় হলে তার বিচার হতে হয়। কার সম্পর্কে কী মনোভাব সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

দল হিসেবে বিচার

আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে কি পারবে না—এই প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান কী হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, “দল হিসেবে তারা যদি অন্যায় করে থাকে, তাহলে দেশের আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। দেশের আইন সিদ্ধান্ত নেবে।”

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “সোজা কথায় অন্যায়কারীর বিচার হতে হবে। তো সেটি ব্যক্তি হোক, সেটি দলই হোক। যারা জুলুম করেছে তাদের তো বিচার হতে হবে। সেটি ব্যক্তিও হতে পারে। সেটি দলও হতে পারে।”


তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ০৬ ১১:০৭:১২
তারেক রহমানের ঘোষণা: “জনগণের নির্বাচনে আমি থাকব জনগণের মধ্যেই”
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচনের সময় তিনি জনগণের সঙ্গে থাকবেন। লন্ডন থেকে বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “রাজনীতি মানেই জনগণের সঙ্গে থাকা। আমি যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাই জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচনের সময় জনগণের মধ্যেই থাকব— ইনশাআল্লাহ।” সোমবার সকালে প্রচারিত এই ভিডিও সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের বক্তব্যকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

গত বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ এক বছর পার হলেও কেন তিনি এখনো দেশে ফিরেননি— এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, “কিছু বাস্তব কারণের জন্য হয়তো আমার ফেরা এখনো সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি সময় এসেছে। ইনশাআল্লাহ, আমি খুব শিগগিরই দেশে ফিরব।”

তারেক রহমান আরও বলেন, “রাজনীতি ও নির্বাচন একে অপরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। আমি নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী মনে করি। তাই দেশের জনগণের প্রতীক্ষিত নির্বাচনের সময় আমি জনগণের কাছ থেকে দূরে থাকতে পারি না। চেষ্টা থাকবে, ইচ্ছা থাকবে— যেন সেই নির্বাচনে আমি জনগণের সঙ্গে, জনগণের মাঝেই থাকতে পারি।”

সাক্ষাৎকারে গণমাধ্যমে তার নীরবতা সম্পর্কেও কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জানান, “পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী সরকারের আমলে আদালতের এক আদেশে আমার গণমাধ্যমে কথা বলার অধিকার কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। আমি কিছু বলতে চাইলেও অনেক সময় সংবাদমাধ্যম সেটি প্রকাশ করতে পারেনি।”

তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, “একবার আমি জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তব্য দিয়েছিলাম। পরদিন প্রেসক্লাবের তৎকালীন কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয় যে আমি যেহেতু আইনি প্রক্রিয়ায় পলাতক বিবেচিত, তাই এমন ব্যক্তিকে প্রেসক্লাবে বক্তব্য দেওয়ার অনুমতি দেওয়া ঠিক হবে না। এইভাবে আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল।”

তবে তারেক রহমান জানান, এসব বাধা সত্ত্বেও তিনি জনগণের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খুঁজে নিয়েছিলেন। “আমি নীরব ছিলাম না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে কথা বলেছি। ইনশাআল্লাহ, আমি জনগণের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি,” বলেন তিনি।

সাক্ষাৎকারের শেষাংশে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, “আমি বলেছি, বলছি এবং ভবিষ্যতেও বলব— যখনই জনগণের ভোটের সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ আসবে, বিএনপি সেই লড়াইয়ে থাকবে, আর আমি থাকব জনগণের সঙ্গে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তারেক রহমান শুধু নিজের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতই দেননি, বরং আগামী নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণের কৌশল নিয়েও নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করেছেন।

-নাজমুল হাসান

পাঠকের মতামত: