১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় মূল্যস্ফীতি, তবে কমছে মাসিক হার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ১৯:৩৪:০৮
১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় মূল্যস্ফীতি, তবে কমছে মাসিক হার

২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশের গড় মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে, ২০১০–১১ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ধাপে ধাপে কমছে মাসিক বা পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জুন মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হার নেমে এসেছে ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে—যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। মে মাসে এ হার ছিল ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।

বিবিএস জানায়, মাসভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হার প্রতি মাসে মাঠপর্যায় থেকে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য ও সেবার দাম সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়। পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় দাম কতটা বেড়েছে, তার শতাংশ হিসেবই হচ্ছে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি। আর ১২ মাসের চলন্ত গড় হিসাব করেই বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি নির্ধারিত হয়।

চলতি অর্থবছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকলেও গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা তিন মাস তা কমে আসে। মার্চে কিছুটা বেড়ে গেলেও এপ্রিল থেকে আবার কমার প্রবণতায় ফিরে আসে। তবে বছরের প্রথমার্ধে উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রভাবেই বার্ষিক গড় হার দুই অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে।

সরকার চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। পরে তা সংশোধন করে ৯ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তা ছাড়িয়ে গেছে।

এর আগের অর্থবছর ২০২৩–২৪-এ গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং ২০২২–২৩ অর্থবছরে ছিল ৯ শতাংশের কিছু বেশি। অর্থাৎ, গত তিন অর্থবছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক উঁচুতে অবস্থান করছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ