তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি

বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কমে আসার ধারা অব্যাহত রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতিতে সুসংবাদের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সোমবার (৭ জুলাই) জুন মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে জানায়, চলতি বছরের জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তর। এ তথ্য থেকে বোঝা যায়, ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির চাপ কিছুটা কমে এসেছে এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
খাদ্যপণ্যের দামের উপর ভিত্তি করে নির্ণীত খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুনে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৩৯ শতাংশে, যা গত বছরের জুলাইয়ের ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশের তুলনায় সামান্য কম। এটি ভোক্তাদের দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যের দাম বৃদ্ধির হার কিছুটা স্বস্তিদায়ক প্রমাণিত হচ্ছে। অন্যদিকে, খাদ্যবহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি জুনে ছিল ৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা মোট মূল্যস্ফীতির চেয়ে কিছুটা বেশি থাকলেও চলমান সংকট মোকাবেলায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের চাপ সম্পর্কে ধারণা দেয়।
বিবিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ ছিল, যা এপ্রিল, মে মাসে ধারাবাহিকভাবে কমে যথাক্রমে ৯ দশমিক ১৭ এবং ৯ দশমিক ০৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এই ধারাবাহিক কমতে থাকা প্রবণতা জুন মাসেও অব্যাহত রয়েছে, যা অর্থনীতির মন্দাবস্থা থেকে ধীরে ধীরে মুক্তির ইঙ্গিত বহন করে।
তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়নি। যদিও দীর্ঘ সময় পরই মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের নিচে নেমেছে, তবুও লক্ষ্য থেকে কিছুটা বিচ্যুতির বিষয়টি ভাবনীয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ওঠানামা এবং অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা মূল্যস্ফীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মূল্যস্ফীতির কমে আসা অবশ্যই ইতিবাচক সংবাদ। তবে সরকারের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই প্রবণতিকে ধরে রাখা এবং দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর নীতি প্রয়োগ করা। দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সফলতা অত্যন্ত জরুরি।
সার্বিকভাবে, দেশের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির হ্রাসে ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির বাতাস বয়ে এসেছে। তবে আগামীর বাজার পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব বিবেচনায় রেখে সুষ্ঠু নীতিমালা গ্রহণে সরকারের দৃঢ় মনোভাব ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। গত অর্থবছরে যা ছিল ৩.৯৭ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই ধারা আগামী অর্থবছরেও অব্যাহত থাকতে পারে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
প্রবৃদ্ধির চালিকাশক্তি ও চ্যালেঞ্জ
আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাটি বলছে, মূল্যস্ফীতি কমে আসা এবং ব্যক্তি খাতের ভোগব্যয় বৃদ্ধিই এই প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি।
ভোগব্যয় বৃদ্ধি: ভোগব্যয় বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পোশাক রপ্তানি খাত স্থিতিশীল থাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ: বিশ্বব্যাংকের মতে, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সংস্কার কার্যক্রমে বিলম্বের কারণে বিনিয়োগ নিম্নমুখী থাকতে পারে।
আমদানি ও ঘাটতি: আমদানি স্বাভাবিক হলে চলতি হিসাব আবার ঘাটতিতে ফিরে যাওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
এলডিসি উত্তরণ ও রাজস্ব সংস্কার
বিশ্বব্যাংকের বিভাগীয় পরিচালক জ্যঁ পেম মন্তব্য করেছেন, এলডিসি (LDC) গ্র্যাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশের জোরেশোরে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। তিনি বলেন, “এ ধরনের উত্তরণে অনেক ধরনের সুবিধাও আছে, এ বিষয়ে সরকারকে আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে। বেসরকারি খাতকে উপযোগী করে তুলতে মনোযোগ প্রয়োজন।”
সংস্কারের ফলে রাজস্ব আয় বাড়ায় বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলে ধারণা করছে বিশ্বব্যাংক। আগামী অর্থবছরে সরকারি ঋণ জিডিপির ৪১.৭ শতাংশে পৌঁছাবে।
অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
দেশের অর্থনৈতিক দিক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি। সে জন্য তো আমরা মোটামুটি একটু কনফিডেন্ট।”
দারিদ্র্যের হার নিয়ে প্রশ্ন
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ার কথা বলা হলে, অর্থ উপদেষ্টা তার উত্তরে এই পরিসংখ্যানের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “আমি তাত্ত্বিক দিকে এখন যাবো না। দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, দারিদ্র্য আছে—এগুলো বলতে হলে আমার অনেক বক্তব্য দিতে হবে।”
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পরিসংখ্যানের প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন:
“আপনি ৫ হাজার লোকের টেলিফোন করে ইন্টারভিউ নিয়ে বললেন দারিদ্র্য বেড়ে গেছে, এগুলো তো আমি জানি। আমাকে একজন বলে স্যার আপনি একটা পেপার লেখেন, আমি বলে দিলে একটা ফার্ম ২০ হাজার রিপ্লাই দিয়ে দিবে আপনাকে কালকের মধ্যে। এগুলো রিলাবিলিটির ব্যাপার।”
তিনি আরও বলেন, “তবে ডেফিনেটলি আমাদের চ্যালেঞ্জ আছে, এটা আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু এত পারসেন্ট বেড়ে গেছে…”
অমর্ত্য সেনের প্রসঙ্গ
তিনি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের একটি মন্তব্য উল্লেখ করে বলেন, “অমর্ত্য সেন একবার বলেছিলেন—খুব কঠিন দারিদ্র্য আমার মেজার করতে হবে না। দরিদ্র লোক দেখলেই চিনতে পারবেন, তার চেহারা, তার ভাবে।”
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
দেশের বাজারে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ানো হয়েছে স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরিতে ৩ হাজার ১৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭২৫ টাকায়। এটি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার (৪ অক্টোবর) প্রতি ভরিতে ২ হাজার ১৯৩ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল।
দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
চলতি অর্থবছরের আগস্টে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমার পর এক মাস বাদে তা আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এই সময়ে দেশের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত—উভয় খাতের পণ্যের দামই বেড়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচকে (সিপিআই) মূল্যস্ফীতির এই তথ্য উঠে এসেছে।
লক্ষ্যমাত্রার ওপরে মূল্যস্ফীতি
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেও, মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থাকায় এই অর্থবছরের লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সিপিআই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (আগস্টে ছিল ৭.৬ শতাংশ)। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (আগের মাসে ছিল ৮.৯ শতাংশ)।
গ্রামাঞ্চলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি
সর্বশেষ এ মাসে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে গ্রাম এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যেখানে শহর এলাকায় তা ৮ দশমিক ২৮ শতাংশে নেমেছে। তবে গ্রামাঞ্চলের মানুষ খাবারের (৭.৫৪ শতাংশ) চেয়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের (৯.৪ শতাংশ) কেনাকাটায় বেশি কষ্ট ভোগ করেছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান
সরকারের নানা পদক্ষেপের পরও দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশে। ভারতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ২.০৭ শতাংশ, পাকিস্তানে ৫.৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১.৫ শতাংশ এবং নেপালে ১.৬৮ শতাংশ।
তবে একক মাস হিসেবে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১.৫৬ শতাংশ কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৯২ শতাংশ।
প্রবাসী আয়ে বড় চমক: সেপ্টেম্বরের রেমিট্যান্স নিয়ে এল সুখবর
বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে ২৬৮ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৮ কোটি ৯৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির কারণ
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল ১৬৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহে বিশাল প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে।
ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, গত আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বৈধ চ্যানেলে প্রবাসী আয়প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এছাড়া ডলারের উচ্চ দামও বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে উৎসাহিত করছে। এসব কারণ মিলিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ব্যতিক্রম হয়নি চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও।
এর আগে, গত আগস্টে দেশে আসে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এবং জুলাইয়ে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
ব্যাংকিং খাতে দক্ষ এমডি পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ: গভর্নর আহসান এইচ মনসুর
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দক্ষ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খুঁজে পাওয়া এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে ফিন্যান্সিয়াল এক্সিলেন্স লিমিটেডের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এই মন্তব্য করেন।
দক্ষ জনবলের ঘাটতি
তিনি বলেন, “ভালো মানের এমডি পাওয়া এখন বড় সমস্যা। এমনকি ভালো হেড অব ডিপার্টমেন্ট খুঁজে পাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। সেটা কর্পোরেট বিভাগ হোক বা কনজিউমার বিভাগ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই দক্ষ জনবলের ঘাটতি স্পষ্ট।”
গভর্নর আরও বলেন:
“প্রোপার নলেজ ও প্রোপার ট্রেইনিংপ্রাপ্ত এমডি আমরা পাচ্ছি না। এটা ব্যাংকিং খাতের জন্য এক ধরনের ব্যর্থতা। ফলে সামনে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে।”
ডিজিটাল ব্যাংকিং প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ যখন আধুনিক প্রশাসনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন প্রতিটি সেক্টরে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি দেশের বেশিরভাগ ব্যাংক এখনো ভারতীয় কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারের ওপর নির্ভর করছে এবং দেশে এখনো নিজস্ব সফটওয়্যার তৈরি সম্ভব হয়নি।
মানসিকতা ও চ্যালেঞ্জ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অর্থনীতিবিদ ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “মানসিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, প্রশিক্ষিত কিন্তু মানসিকভাবে সঠিকভাবে প্রস্তুত নয় এমন জনবল অনেক সময় অপ্রশিক্ষিত জনবলের চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে পারে।” তিনি সতর্ক করেন, আগামী ৪-৫ মাসে দেশের সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আসছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
১৯৭৪ সালের ১ টাকা এখনকার কত টাকার সমান?
একসময় জমিদারদের প্রতাপ এতটাই ছিল যে, তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে জুতো পরে হাঁটার সাহস ছিল না কারও। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে টাকার মান এমনভাবে বদলে গেছে যে, তখনকার জমিদার জীবনে যত টাকা দেখেছেন, আজকের একজন ভিখারির ঝুলিতেও তার চেয়ে বেশি টাকা থাকতে পারে। তবে এই সংখ্যাধিক্য সত্ত্বেও, সাধারণ মানুষের হাতে থাকা ক্রয়ক্ষমতা অনেক কম—যা আগের দিনের ধনী-গরিবের অর্থনৈতিক ব্যবধানকে আরও প্রকট করেছে।
ক্রয়ক্ষমতার ঐতিহাসিক পতন
সম্প্রতি অর্থ বিভাগ টাকার ক্রয়ক্ষমতার এই পতন নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে টাকার মান কমে যাওয়ার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে:
১৯৭৪ বনাম ২০১৪: প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৭৪-৭৫ অর্থবছরে ১ টাকার ক্রয়ক্ষমতা সমান ছিল ২০১৪ সালের ১২ টাকা ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ, ১৯৭৪ সালে ১ টাকায় যা কেনা যেত, ২০১৪ সালে সেটি কিনতে খরচ হয় ১২ টাকারও বেশি।
২০১৪ বনাম ১৯৭৪: অন্যদিকে, ২০১৪ সালের ১ টাকার ক্রয়ক্ষমতা ১৯৭৪ সালের মাত্র ৮ পয়সার সমান। ২০১৪ সালের তুলনায় বর্তমানে ২০২৫ সালে এই হিসাব করতে গেলে ক্যালকুলেটর নিয়ে বসতে হবে।
১৯৭৪ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশে বার্ষিক গড়ে ৭.৩% হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এর ফলে সরকারি কয়েন ও ছোট নোটের (১ পয়সা থেকে ২ টাকা) ব্যবহার কার্যত বিলুপ্তির পথে।
স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক অবস্থা কেমন ছিল, তা কয়েকটি উদাহরণে স্পষ্ট:
ঐতিহাসিক মূল্য: স্বাধীনতার পরও মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যেত এক মণ চাল। ১ পয়সায় মিলত চকোলেট। ১৯৭৪ সালে চালের দাম দ্বিগুণ হয়ে ৪০ টাকায় পৌঁছালে সারা দেশে হাহাকার পড়ে যায়।
টিফিনের মূল্য: সেই সময় ধনী পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুলে টিফিন বাবদ পেত সর্বোচ্চ ৫০ পয়সা থেকে ১ টাকা, যা দিয়ে আইসক্রিম, চকোলেট, ঝালমুড়িসহ অনেক কিছু কেনা যেত।
বর্তমান বাস্তবতা: এখনকার প্রজন্ম এসব শুনলে রূপকথা মনে করে। কারণ আজ ভিক্ষুকও পাঁচ-দশ টাকার কম নিতে চায় না। বাসভাড়ার ন্যূনতম হার এখন ৫ টাকা, আর রাজধানীতে সিটিং বাসে অর্ধ কিলোমিটারের ভাড়া ১০ টাকার কম পাওয়া যায় না।
সময় বদলেছে, টাকার মানও বদলেছে। এক সময়ের "এক টাকা" এখন অনেকটাই কেবল ইতিহাস আর স্মৃতির অংশ।
পোশাক রপ্তানিতে চীনের হারানো বাজার হিস্যা বুঝে নিচ্ছে বাংলাদেশ
বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ক্রমে অবস্থান হারাচ্ছে প্রধান রপ্তানিকারক দেশ চীন। দেশটির হারানো অবস্থানে হিস্যা বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। মোট রপ্তানি আয়, রপ্তানির পরিমাণ ও পণ্যমূল্য—সব বিবেচনায় চীনের অবস্থান দুর্বল হচ্ছে। বিপরীতে শক্তিশালী হয়েছে বাংলাদেশ। তবে অর্থমূল্যের পরিমাণে চীনের রপ্তানি এখনো বাংলাদেশের দ্বিগুণেরও বেশি।
মার্কিন পাল্টা শুল্ক কাঠামোতে চীন ও অন্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। রপ্তানিকারক উদ্যোক্তারা আশা করছেন, আগামীতে চীনের বাজার হিস্যা বেশ ভালোভাবে বুঝে নেবে বাংলাদেশ।
দশকের তথ্য-উপাত্তে চিত্র
যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) ২০১৫ সাল থেকে গত বছর পর্যন্ত এক দশকের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়:
রপ্তানি মূল্য: এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ৪৬ শতাংশ। বিপরীতে, বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে চীনে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫৪ কোটি ডলার, যা গত বছর নেমে আসে ১ হাজার ৬৫১ কোটি ডলারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের রপ্তানি ৫৪০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৭৩৪ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
রপ্তানির পরিমাণ: পরিমাণে গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১৮ শতাংশের বেশি, যেখানে বাংলাদেশের বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশের মতো।
ইউনিট প্রাইস: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্যের গড় ইউনিট প্রাইসও কমেছে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বেড়েছে সাড়ে ৭ শতাংশের মতো।
সুবিধাজনক অবস্থানে বাংলাদেশ
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, “আগামীতে চীন আরও কম রপ্তানি করবে। সেখানে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে।” তিনি বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক লড়াই শুরু হওয়ার পর থেকেই চীনা পোশাকের রপ্তানি কমতে থাকে।
তবে রুবেল সতর্ক করে বলেন, “এখন ভলিউমে বেশি রপ্তানি করেও কম মূল্য পাই আমরা। ভিয়েতনাম কিংবা অন্যান্য দেশ কম রপ্তানি করেও বেশি মূল্য পায়। এখন মূল্য সংযোজিত পণ্যে মনোযোগ বাড়াতে হবে।”
মার্কিন নতুন শুল্ক কাঠামোয় চীনা পণ্যের শুল্ক ১৪৫ শতাংশের মতো। বিপরীতে, বাংলাদেশের পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক মাত্র ২০ শতাংশ। এছাড়া মার্কিন কাঁচামালে উৎপাদিত পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধার মতো বড় শুল্কছাড়ও পাচ্ছে বাংলাদেশ।
ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত: অর্থ উপদেষ্টার
দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থের একটি অংশ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে কী পরিমাণ অর্থ ফেরত আসবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
টাকা ফেরত আনা ও আইনি প্রক্রিয়া
পাচারের অর্থ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “টাকা যারা পাচার করে তারা বুদ্ধি সব জানে কীভাবে করতে হবে। এটা আনতে গেলে কিছুটা সময়ের প্রয়োজন। তবে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। অনেক লিগ্যাল ফার্মের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে হয়তো কিছু আসতে পারে। বাকিটার জন্য আমরা ক্ষেত্রে প্রস্তুত করছি।”
তিনি বলেন, “এই ফরমালিটি কোনো সরকার এড়িয়ে যেতে পারবে না। এটা তো ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা ছাড়া কীভাবে আনবে?” তিনি জানান, ১১-১২টি বড় অঙ্কের পাচারের ঘটনাকে উচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া ২০০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়েছে এমন বিষয়গুলোও তদন্ত করা হচ্ছে।
নতুন সরকারের প্রতি বার্তা
নতুন সরকার তাদের এই ধারাবাহিকতা রাখবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাখতে তারা বাধ্য। কারণ যে প্রসেসগুলো আমরা চালু করলাম, ওইটা চালু না থাকলে তো টাকা ফেরত আনতে পারবে না। আর যদি আনতে হয়, এই প্রসেসগুলো মেনটেইন করতে হবে।”
তিনি বলেন, “অলরেডি অ্যাসেট ফ্রিজ করা হয়েছে বাইরের কতগুলো দেশে। কোথায় ওদের টাকা আছে, কোথায় অ্যাকাউন্ট আছে, কোন কোন দেশে ওদের পাসপোর্ট আছে, সেটার তথ্যও আছে। এখন বাকি একটু কাজ করতে যতটুকু সময় লাগে।”
পুষ্টিহীনতা ও খাদ্য নিরাপত্তা
বিবিএসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের ১০টি পরিবারের মধ্যে তিনটি পরিবারে পুষ্টিহীনতা বা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা রয়েছে—এই প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের কিছুটা নিউট্রিশনের ঘাটতি আছে, বিশেষ করে শিশু আর মায়েদের মধ্যে।”
তিনি বলেন, “এটার জন্য আমরা চেষ্টা করছি যথাসম্ভব। আমাদের খাদ্য যেটা হয় সেটা সুষম নয়। চালের ওপর বেশি নির্ভর করি। কিন্তু অন্যগুলো এক্সেস। এগুলোর ক্রয় ক্ষমতা একটু কম। এই জন্য আমাদের খাদ্যের ঘাটতি। আমিষের জন্য ডিমটা সব থেকে বেশি দরকার, সেটাও কিন্তু অনেকে ক্রয় করতে পারবেন।”
পাঠকের মতামত:
- আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- আমি বাংলাদেশের মেসি নই: তকমা গায়ে মাখতে নারাজ হামজা চৌধুরী
- চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী সাফল্য: অন্ধদের চোখে ফের আলো!
- কোরআনের ভুল খুঁজতে গিয়েই ইসলাম কবুল: যে গল্প পাল্টে দিল এক প্রফেসরের জীবন
- শিক্ষক মহাসমাবেশে তারেক রহমান দিলেন শিক্ষা সংস্কারের রূপরেখা
- কূটনৈতিক জয়: ৩০-২৭ ভোটে জাপানকে হারিয়ে ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ
- মেদ কমাতে হিমশিম খাচ্ছেন? খাবারের পর ২ মিনিটের অভ্যাসেই মিলবে সমাধান
- পোষা প্রাণী কি অ্যালার্জি কমায়? গবেষণা যা বলছে
- নখকুনির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি: ঘরোয়া চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
- বিসিবি নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ: ‘উপদেষ্টা কাউন্সিলরদের হুমকি দিয়েছেন’
- বাংলাদেশ কিনছে চীনের জে-১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান
- ‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে অনড় এনসিপি, ইসি’র তালিকায় নেই কেন?
- বিপ্লব থেকে স্বৈরশাসন? ‘অ্যানিমেল ফার্ম’-এর রাজনৈতিক বার্তা
- উপদেষ্টাদের ‘এক্সিট’ মানসিকতা: তাদের জন্য মৃত্যু ছাড়া সেফ এক্সিট নেই—এনসিপি নেতা
- আজ রাতে দেখা যাবে বছরের প্রথম সুপারমুন ‘হার্ভেস্ট মুন’
- অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার: বিশ্বব্যাংক দিল বাংলাদেশকে সুখবর
- আইসিসি র্যাঙ্কিং: সুখবর পেলেন একাধিক বাংলাদেশি ক্রিকেটার
- বিপদের এলাকা’য় প্রবেশ করতে আর দেরি নেই, জানালেন শহিদুল আলম
- পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন ৩ মার্কিন বিজ্ঞানী
- ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
- পৃথিবীর ধ্বংসের সময় ২০৬০ সাল? নিউটনের রহস্যময় ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বজুড়ে তোলপাড়!
- টানা কমছে এলপিজি’র দাম: ১২ কেজি সিলিন্ডারের নতুন মূল্য কত?
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে সূচকে চাপ, দরপতনে প্রাধান্য
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ছবিতে বিড়াল, আসলে কার? তারেক রহমান জানালেন পশুপাখির প্রতি ভালোবাসার সেই গল্প
- অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমি স্বস্তিতে আছি: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
- সন্ধ্যার মধ্যে ১১ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার শঙ্কা
- দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মানবতাবিরোধী অপরাধের’ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু
- এবারের নির্বাচনকে জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে নিয়েছি: সিইসি
- ‘নতুন অবতারে রাশমিকা মন্দানা’: পরিচিত মুখের ভেতরে এক অচেনা বিস্ময়
- ফর্মহীন সালাহ: ‘মিশরের রাজা’র মুকুটে ধুলো পড়ছে?
- চীনের প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং-এর পিয়ংইয়ং সফর: নতুন ঘনিষ্ঠতার বার্তা
- নোবেল ঘিরে জল্পনা: কে জিতবেন এ বছরের সাহিত্যর মুকুট?
- “ন্যায়সঙ্গত নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত”—তারেক রহমান
- দুই বছর রক্তপাতের পর শান্তির চেষ্টা: কায়রোতে নতুন আলোচনায় হামাস ও ইসরায়েল
- সিঙ্গাপুরে প্রধান উপদেষ্টার দূতের ব্যস্ত সফর: বিনিয়োগ ও সহযোগিতায় নতুন গতি
- আন্দেসের হৃদয়ে এক বিপ্লবী দেশ: বলিভিয়ার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
- আগামীকাল মঙ্গলবার দৈনিক নামাজের ওয়াক্ত ও সূর্যোদয়ের সময়
- ভারতীয় ভিসা নিয়ে সুখবর, বিক্রম মিশ্রির কণ্ঠে স্বস্তির বার্তা
- কোরআনের বিস্ময়কর ভবিষ্যদ্বাণী: আধুনিক যানবাহন ও প্রযুক্তির কথা
- মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল, এক নজরে দেখে নিন সূচি
- স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আবারও বাড়ল মূল্য
- পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের নতুন পথ
- বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল
- জিরো-ওয়েস্ট কুকিং’: সবজির খোসাও হবে সুস্বাদু রেসিপি
- দেশের মূল্যস্ফীতি এখনও লক্ষ্যমাত্রার ওপরে, সেপ্টেম্বরের চিত্র প্রকাশ করল বিবিএস
- বাবিলের অভিশাপ থেকে মায়ং-এর তন্ত্র: কালো জাদুর আদি ইতিহাস
- শেখ হাসিনার আতঙ্ক কমার বদলে উল্টো বেড়েই চলেছে: গোলাম মাওলা রনি
- মাত্র ৬০ সেকেন্ডে ৭০ তলা! চীনের হুইজিয়াং ব্রিজে প্রযুক্তি ও রোমাঞ্চের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- যে সাগরে কেউ ডুবে না, কেন সেখানে লুকিয়ে আছে এক অভিশপ্ত ইতিহাস?
- রহস্যময় পাণ্ডুলিপি কোডেক্স জাইগাস: কেন এটি ‘শয়তানের বাইবেল’ নামে পরিচিত?
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- আফ্রিকার হৃদয়ে পাথরের রাজ্য: জিম্বাবুয়ের প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও আত্মার গল্প
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন