গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহু যে শর্ত দিল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৭ ১০:২৯:০৭
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নেতানিয়াহু যে শর্ত দিল

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার (৬ জুলাই) ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন, যেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গাজায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধবিরতি ও ভবিষ্যত কূটনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন। গত কয়েকদিন ধরে ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি দ্রুত সম্পাদনের আশা প্রকাশ করেছেন, তবে নেতানিয়াহু তার অবস্থান কঠোর রেখেছেন এবং স্পষ্ট করেছেন, গাজার ভূখণ্ডে হামাসের অস্তিত্ব মেনে নেয়া হবে না।

নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে এক বক্তব্যে জানান, তারা কোনোভাবেই এমন যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বীকার করবেন না যা হামাসকে ক্ষমতায় থাকতে বা তাদের সামরিক ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তিনি বলেন, “আমরা এমন কোনো পরিস্থিতি হতে দেব না যা কিডন্যাপার ও হত্যাকারীদের উদ্বুদ্ধ করে। অর্থাৎ, গাজায় হামাসের সামরিক সক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে শেষ করতে হবে এবং তারা আর সেখানে থাকবে না।” এই ঘোষণায় ইসরায়েলি নেতৃত্বের কঠোর ও অবিচল অবস্থান প্রতিফলিত হয়েছে।

অন্যদিকে, গাজার সংঘাতের পটভূমিতে নেতানিয়াহু উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েল ভবিষ্যতে এমন নতুন ধরনের শান্তিচুক্তি করবে, যা আন্তর্জাতিক পরিসরে কেউ ভাবতেই পারেনি। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তাপে সিরিয়া, লেবানন এবং এমনকি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের সম্ভাবনা উঠে এসেছে। যদিও সৌদি আরব স্পষ্ট করেছে, তারা বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবং স্থিতিশীলতায় বেশি মনোযোগী।

নেতানিয়াহুর এই ঘোষণাকে অনেক বিশ্লেষক গুরুত্বসহকারে দেখছেন, কারণ এটি ইসরায়েলের কূটনৈতিক নীতি ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে। গাজায় দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনা ও সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকেও কেন্দ্রীয় ভূমিকা দিতে চায় দুই দেশ। ট্রাম্প প্রশাসনও ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে আগ্রহী।

তবে, গাজার পরিস্থিতি এখনও অতি সংকটপূর্ণ, এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রক্রিয়া ও এর ফলাফল নিয়ে এখনও নানা প্রশ্ন ও অনিশ্চয়তা রয়েছে। নেতানিয়াহুর কঠোর অবস্থান এবং মধ্যপ্রাচ্যে সম্ভাব্য নতুন কূটনৈতিক অ্যালায়েন্স গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি এই অঞ্চলের ভবিষ্যতকে আরও জটিল ও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে।

আন্তর্জাতিক মহল বিশেষ মনোযোগ দিয়ে ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের বৈঠকের ফলাফল দেখছে, যার ওপর নির্ভর করবে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংকটের সমাধান এবং নতুন শান্তি উদ্যোগের সফলতা।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ