তানভীর ইসলামের জোড়া আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৫ ২০:২০:১১
তানভীর ইসলামের জোড়া আঘাতে চাপে শ্রীলঙ্কা

দ্রুত উইকেট হারিয়ে শুরুটা কিছুটা ধীরগতির হলেও কুশল মেন্ডিস ও নিশান মাদুশকার জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে দিয়ে লঙ্কানদের ইনিংসে ছন্দ কেটে দিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।

তানভীর প্রথম আঘাত হানেন ইনিংসের দশম ওভারে। তার ঘূর্ণি বুঝতে না পেরে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে দেন মাদুশকা, যার ইনিংস থামে ১৭ রানে। এরপর দ্বাদশ ওভারে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিসকে। ৩১ বলের ঝড়ো ইনিংসে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান ৫৬ রানের চোখধাঁধানো স্কোর।

এই দুই গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ওপর চাপ তৈরি করেছেন তানভীর, যার ফলে আবার ম্যাচে ফেরার পথ খুঁজছে বাংলাদেশ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ১৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮৯ রান। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আরও ১৬০ রান, অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৭ উইকেট।

ক্রিজে আছেন দুই নতুন ব্যাটার—কামিন্দু মেন্ডিস ৭ রানে এবং অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা ৪ রানে অপরাজিত।

স্পোর্টস ডেস্ক/আশিক


মাঠেই মুশফিকের হাতে ক্রেস্ট, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী বার্তা দিলেন উপদেষ্টা?

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৯ ২১:০১:২০
মাঠেই মুশফিকের হাতে ক্রেস্ট, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কী বার্তা দিলেন উপদেষ্টা?
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ১০০টি টেস্ট খেলার অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এই ঐতিহাসিক অর্জনের জন্য তাকে বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মাঠে নেমেই এই রেকর্ড গড়েন মুশফিক।

ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা শেষে ক্রীড়া উপদেষ্টা সরাসরি মাঠে উপস্থিত হয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে সম্মাননা স্মারক বা ক্রেস্ট তুলে দেন। এ সময় তার সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও উপস্থিত ছিলেন। দিনশেষে মুশফিকুর রহিম ৯৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। শততম টেস্টে সেঞ্চুরির মতো বিরল কীর্তি গড়ার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও মুশফিকের কাছে সেই প্রত্যাশার কথাই জানালেন।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আসিফ মাহমুদ বলেন, "বাংলাদেশের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে আজ শততম টেস্ট খেললেন মুশফিক ভাই। তিনি ৯৯ রানে দিন শেষ করেছেন। কাল তিনি শততম টেস্টে শতরান পূর্ণ করবেন, এটা আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি হবে।" তিনি আশা প্রকাশ করেন, মুশফিকুর রহিমকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের আরও অনেক ক্রিকেটার ভবিষ্যতে শততম টেস্ট খেলার মাইলফলক স্পর্শ করতে পারবেন।

মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিংয়ের ওপর নিজের আস্থার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, "মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের শৈশব জড়িয়ে আছে। আমাদের বয়সী যারা আছি, তারা যখন দেখতাম বাংলাদেশের খেলার অবস্থা খারাপ, তখন মুশফিক ভাই মাঠে নামলে একটা স্বস্তি লাগত। মনে হতো, এবার দলটা স্থিতিশীল হবে, রান আসবে এবং দল লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে।"

মুশফিকুর রহিমকে সম্মাননা জানানোর পাশাপাশি ক্রীড়া উপদেষ্টা মিরপুর স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড স্টাফদের সঙ্গেও দেখা করেন এবং কুশল বিনিময় করেন।


শততম টেস্টে মুশফিকের ফিফটি, মুমিনুলের বিদায়ের পর লিটনের মাইলফলক

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৫:৫৫:১৬
শততম টেস্টে মুশফিকের ফিফটি, মুমিনুলের বিদায়ের পর লিটনের মাইলফলক
ছবিঃ সংগৃহীত

নিজের ক্যারিয়ারের ঐতিহাসিক শততম টেস্ট ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যাট হাতে দারুণ আস্থার পরিচয় দিচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার নিজের মাইলফলক ম্যাচে তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি। আইরিশ বোলার ম্যাথিউ হামফ্রিসের বলে কাভার দিয়ে দৃষ্টিনন্দন এক চার মেরে ১০৯ বলে পঞ্চাশের ঘরে পৌঁছান তিনি। মুশফিকের এই ব্যাটে ভর করেই দলীয় সংগ্রহ দুইশ রানের কোটা পার করে বাংলাদেশ।

তবে মুশফিকের সঙ্গে ক্রিজে জমে যাওয়া মুমিনুল হক নিজের ইনিংসটি আর বেশিদূর টেনে নিতে পারেননি। চতুর্থ উইকেটে মুশফিক ও মুমিনুল মিলে ১০৭ রানের একটি অনবদ্য জুটি গড়েন, যা দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইনের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় মুমিনুলকে। আউট হওয়ার আগে তিনি ১২৮ বল মোকাবেলা করে ৬৩ রানের একটি দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন।

মুমিনুলের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন লিটন দাস। এসেই মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে নতুন করে দলের হাল ধরেছেন তিনি। উইকেটে থিতু হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত এক বড় অর্জনও নিজের ঝুলিতে পুরেছেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। এই ইনিংসের মাধ্যমেই টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন হাজার রানের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করেছেন লিটন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুশফিকুর রহিম ৭৩ রানে এবং লিটন দাস ২৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।


হামজা-মোরসালিনদের জয়ে ভাসছে দেশ, অথচ 'পুকুর শুকিয়ে' মরছে ঘরোয়া ফুটবল

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৯ ১৫:০২:৩২
হামজা-মোরসালিনদের জয়ে ভাসছে দেশ, অথচ 'পুকুর শুকিয়ে' মরছে ঘরোয়া ফুটবল
ম্যাচ শেষে গোলদাতা শেখ মোরছালিনের সঙ্গে হামজাপ্রথম আলো

ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১১টা ছুঁই ছুঁই। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে হামজা চৌধুরী প্রবেশ করতেই উপস্থিত সাংবাদিকরা করতালিতে ফেটে পড়লেন। ভারতকে হারানোর আনন্দে মাতোয়ারা তখন পুরো কক্ষ। লেস্টার সিটির হয়ে এফএ কাপ জেতা এই তারকা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে অভিনন্দন জানানো হলো ১–০ গোলে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের অন্যতম নায়ক হিসেবে।

২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে এই জয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের গ্যালারি তখনো কাঁপছিল। লাল-সবুজের ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছিল দেশের ফুটবলের এই তীর্থস্থান। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এই জয়টি শুধুই একটি ম্যাচ জয় নয়, এটি তার চেয়েও বেশি কিছু। গত দুই যুগে ভারতের কাছে বারবার হার বা জয়ের খুব কাছে গিয়েও ড্র করার যে হতাশার গল্প জমেছিল, এই জয় যেন সেই সব ক্ষতের উপশম। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর মুন্নার গোল্ডেন গোলে ভারতকে হারানোর পর গত ২২ বছরে ১০টি সাক্ষাতে বাংলাদেশ একবারও জিততে পারেনি। তাই প্রায় দুই যুগ পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারানোর এই মাহাত্ম্য অন্য যেকোনো জয়ের চেয়ে আলাদা, যেখানে মিশে আছে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান আর গর্ব।

এমন উৎসবের রাতে আবারও পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে এসেছেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজা চৌধুরী। ভারতের বিপক্ষে গোল করে ম্যাচের নায়ক হয়তো শেখ মোরসালিন, কিন্তু দুরন্ত হেডে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে হামজাও আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন। অবশ্য বাংলাদেশের জার্সিতে হামজার এই পারফরম্যান্স নতুন কিছু নয়। আগের ছয় ম্যাচে চার গোল করে তিনি দলের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছেন। ভুটান, হংকং বা নেপালের বিপক্ষে তার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। তাকে নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করতে খোদ লেস্টার সিটির প্রতিনিধিরাও ঢাকায় এসেছেন, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ফুটবলের বিজ্ঞাপন হিসেবে কাজ করছে।

বর্তমানে জাতীয় দলে হামজা ছাড়াও জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজী, শমিত সোমসহ মোট সাতজন প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন। তাদের অন্তর্ভুক্তি দলকে আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ও লড়াকু করেছে। কালোবাজারে ৬০০ টাকার টিকিট ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হওয়া কিংবা স্টেডিয়াম পাড়ায় নারীদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, মানুষ এই দলের ওপর আস্থা রাখছে।

তবে এই উৎসবের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক কঠিন বাস্তবতা। ভারতের বিপক্ষে এই জয়ে স্বস্তি মিললেও আসল লক্ষ্য পূরণ হয়নি। বাংলাদেশ ২০২৭ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। ইতিহাসের অন্যতম সেরা শক্তির দল নিয়েও বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে ব্যর্থতা। হামজা চৌধুরী নিজেই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, কোনো টুর্নামেন্ট জিততে পারলেই তিনি 'পুরোপুরি তৃপ্ত' হবেন।

এই অতৃপ্তির পেছনের মূল কারণ দেশের ঘরোয়া ফুটবলের ভয়াবহ অবস্থা। জাতীয় দল ২২ বছর পর ভারতকে হারালেও, এই লম্বা সময়ে দেশে ফুটবল অবকাঠামো সেভাবে গড়ে ওঠেনি। প্রিমিয়ার লিগের বেশির ভাগ ক্লাবের নিজস্ব মাঠ নেই, নেই পেশাদারত্ব বা ওয়েবসাইট। এমনকি অনেক ক্লাবে খেলোয়াড়রা নিয়মিত বেতনও পান না। গত বছর সরকার পরিবর্তনের পর দুটি ক্লাব লিগ থেকে হারিয়ে গেছে এবং ফুটবলারদের পারিশ্রমিকে বড় ধস নেমেছে।

হামজা, জামাল বা তারিকরা জাতীয় দলে আলো ছড়ালেও, দেশের ফুটবলের পায়ের নিচে মাটি নেই। তৃণমূল লিগ, কোচিং, রেফারিং এবং শক্তিশালী ক্লাব কাঠামো ছাড়া ফুটবলের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন অসম্ভব। বাফুফে বড় ম্যাচের আগে চাকচিক্য দেখালেও ভেতরের অবস্থা অত্যন্ত রুগ্‌ণ। রেফারিরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ধর্মঘট করেন, জেলা পর্যায়ে লিগ হয় না, আর বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলোও অনিয়মিত।

জাতীয় দলকে যদি 'রাজহাঁস' ধরা হয়, তবে ঘরোয়া লিগ হলো সেই পুকুর। পুকুরে পানি না থাকলে রাজহাঁস বাঁচবে না। হামজা চৌধুরীর পেছনে নামীদামি ব্র্যান্ডগুলো লাইন দিলেও, দেশের শীর্ষ ফুটবল লিগ শুরু হয়েছে কোনো আনুষ্ঠানিক স্পনসর ছাড়াই। প্রায় দুই মাস ধরে লিগ চললেও স্পন্সর বা লোগো কিছুই দৃশ্যমান নয়। ভারতকে হারানোর আনন্দ উপভোগ করার পাশাপাশি এই নির্মম বাস্তবতার দিকে নজর না দিলে জাতীয় দলের এই উজ্জ্বলতা দীর্ঘস্থায়ী হবে না।


ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: ঢাকার মাঠে ভারতকে হারিয়ে দাপুটে জয়

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ২২:০৩:৩১
ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ: ঢাকার মাঠে ভারতকে হারিয়ে দাপুটে জয়
ছবিঃ সংগৃহীত

এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার স্বপ্ন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু মর্যাদার লড়াইয়ে বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি ছিল না বাংলাদেশ। সেই জেদ আর আত্মবিশ্বাস থেকেই মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার মাঠে ইতিহাস গড়ল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শক্তিশালী ভারতকে ১-০ গোলে পরাজিত করে দীর্ঘ ২২ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল বাংলাদেশ দল। ঢাকার দর্শকরা সাক্ষী হলেন এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের, যেখানে পরিসংখ্যানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জয় ছিনিয়ে আনল স্বাগতিকরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ দলের শরীরী ভাষা ছিল আক্রমণাত্মক। প্রতিপক্ষ ভারত কাগজে-কলমে শক্তিশালী হলেও জামাল ভূঁইয়ার দল শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল। গ্যালারিভর্তি দর্শকের উল্লাস আর সমর্থনে উজ্জীবিত হয়ে ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় কাঙ্ক্ষিত গোলটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। আর এই জয়ের নায়ক তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন।

গোলের মুহূর্তটি ছিল দেখার মতো। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বিদ্যুৎগতিতে বল নিয়ে ভারতের রক্ষণভাগে হানা দেন রাকিব হোসেন। তিনি দুর্দান্ত দক্ষতার সঙ্গে ভারতের ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এবং একটি মাপা ক্রস বাড়ান। ঠিক সেই সময়েই সঠিক পজিশনে থাকা শেখ মোরসালিন ঠাণ্ডা মাথায় বলটি জালে জড়িয়ে দেন। ভারতের গোলরক্ষকের চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। মোরসালিনের এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়।

গোল হজম করার পর ভারত ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তারা একাধিকবার বাংলাদেশের রক্ষণভাগে হানা দেয় এবং গোল শোধের চেষ্টা চালায়। কিন্তু বাংলাদেশের রক্ষণভাগ ছিল ইস্পাতকঠিন। বিশেষ করে গোলরক্ষক মিতুল মারমা ছিলেন অবিশ্বাস্য ফর্মে। ভারতের বেশ কয়েকটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ তিনি দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন। তার দৃঢ়তা এবং ডিফেন্ডারদের বোঝাপড়ায় ভারতের আক্রমণগুলো বারবার ব্যর্থ হয়।

যদিও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের সমীকরণে এই ম্যাচের ফলাফল খুব একটা প্রভাব ফেলবে না, কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এই জয়টি এক বিশাল মাইলফলক। দীর্ঘ ২২ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে ভারতকে হারানোর স্বাদ পেল দেশের ফুটবলপ্রেমীরা। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই স্টেডিয়ামজুড়ে শুরু হয় দর্শকদের বাঁধভাঙা উল্লাস, যা প্রমাণ করে এই জয়টি কেবল একটি ম্যাচ জয় নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু।

/আশিকুজ্জামান


তিন অধিনায়কের তিন সহকারী চূড়ান্ত, টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভিন্ন সমীকরণ

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ২১:০৮:০৬
তিন অধিনায়কের তিন সহকারী চূড়ান্ত, টেস্ট ও ওয়ানডেতে ভিন্ন সমীকরণ
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জাতীয় দলের তিন সংস্করণের ক্রিকেটের জন্য নতুন সহ-অধিনায়কদের নাম ঘোষণা করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ দল তিন ফরম্যাটে আলাদা তিনজন অধিনায়কের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এবার তাদের সহযোগিতা করার জন্য তিনজনকে ডেপুটি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, যেখানে নতুন মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন সাইফ হাসান।

টেস্ট ক্রিকেটে বর্তমানে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ২০২৭ সাল পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদে এই দায়িত্বে থাকবেন। ক্রিকেটের এই অভিজাত সংস্করণে শান্তর সহকারী বা সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে।

মজার বিষয় হলো, একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা ওয়ানডে ফরম্যাটে চিত্রটি ঠিক তার উল্টো। সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজকেই অধিনায়কের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে তাকে এক বছরের জন্য ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছিল। ৫০ ওভারের এই ক্রিকেটে মিরাজের সহকারী হিসেবে কাজ করবেন টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের নেতৃত্বে রয়েছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন কুমার দাস। ২০২৬ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত তাকে অধিনায়কত্বের ভার দেওয়া হয়েছে। এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে তার সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার সাইফ হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নজরকাড়া পারফরম্যান্স করার পুরস্কার হিসেবেই সাইফ হাসানকে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি।


রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ২০:৩২:০৪
রাকিবের দুর্দান্ত দৌড়, মোরসালিনের ফিনিশিং: শুরুতেই ব্যাকফুটে ভারত
ছবিঃ সংগৃহীত

এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব থেকে আগেই ছিটকে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারত—দুই দলের জন্যই পয়েন্টের হিসাবে এই ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে ঢাকার মাঠে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের এই লড়াইটি আদতে রূপ নিয়েছে মর্যাদার দ্বৈরথে। সেই লড়াইয়ে শুরুতেই চমক দেখাল স্বাগতিকরা। খেলা শুরুর মাত্র ১২ মিনিটের মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে নিলেন তরুণ ফরোয়ার্ড শেখ মোরসালিন।

ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য ভারতের আধিপত্য ছিল চোখে পড়ার মতো। একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে তারা বাংলাদেশের পোস্ট লক্ষ্য করে চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে ১২তম মিনিটে এক দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে ভারতের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন রাকিব হোসেন। পথে তিনি দারুণ দক্ষতায় কাটিয়ে যান ভারতের তিনজন ডিফেন্ডারকে।

বক্সের ভেতর থেকে রাকিবের মাপা ক্রসে সঠিক সময়ে পা ছুঁইয়ে গোলটি করেন শেখ মোরসালিন। ভারতীয় গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। গ্যালারিভরা দর্শকের উল্লাসের মধ্যেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

দলে হামজা চৌধুরী এবং শামিত সোমের মতো তারকা ফুটবলারদের উপস্থিতির কারণে শুরু থেকেই দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। ভারতকে হারাতে পারলে তা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য একটি বড় মাইলফলক হবে বলে মনে করছেন সমর্থকরা।

আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে যারা খেলছেন তারা হলেন—মিতুল মারমা, তপু বর্মণ, তারিক কাজী, সাদ উদ্দিন, জায়ান আহমেদ, হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা, শামিত সোম, রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম।


ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ১৫:৩১:১৪
ইতিহাস ভারতের, বর্তমান বাংলাদেশের: পরিসংখ্যান ও শক্তির বিচারে কে এগিয়ে?

দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই তা মাঠের লড়াই ছাপিয়ে দুই প্রতিবেশীর সম্মান ও আবেগের লড়াইয়ে পরিণত হয়। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে উভয় দল ছিটকে যাওয়ায় এই ম্যাচের ফলাফল হয়তো পয়েন্ট টেবিলের বড় কোনো পরিবর্তন আনবে না, কিন্তু এর গুরুত্ব বা উত্তেজনার কমতি নেই। এই 'সাউথ এশিয়ান ক্লাসিকো' এখন দুই দলের জন্যই 'ব্র্যাগিং রাইটস' বা সম্মান ধরে রাখার লড়াই।

ইতিহাস ও পরিসংখ্যান কার পক্ষে?

কাগজে-কলমের পরিসংখ্যান এবং ঐতিহাসিক ফলাফল বিবেচনা করলে ভারত বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। দুই দল এখন পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে।

ভারতের জয়: প্রায় ১৬টি ম্যাচে

বাংলাদেশের জয়: মাত্র ৩টি ম্যাচে

ড্র: ১১টি ম্যাচ

পরিসংখ্যান স্পষ্টভাবে দেখাচ্ছে, এই দ্বৈরথে ভারতের আধিপত্যই একচেটিয়া। বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে হতাশাজনক তথ্য হলো, ভারতের বিপক্ষে তাদের সবশেষ জয়টি এসেছিল ১৯৯৯ সালে, সাউথ এশিয়ান গেমসে (বর্তমান সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ)। এরপর কেটে গেছে প্রায় ২৫ বছর, বাংলাদেশ আর ভারতকে হারাতে পারেনি।

সাম্প্রতিক লড়াইয়ে বদলে যাওয়া চিত্র

যদিও ইতিহাস ভারতের পক্ষে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে বেশ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। শেষ পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে মাত্র একটিতে, আর তিনটি ম্যাচই ড্র হয়েছে।

২০১৯ সালে কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৮৮ মিনিট পর্যন্ত বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত আদিল খানের গোলে ভারত কোনোমতে ড্র করে মাঠ ছাড়ে। এমনকি মার্চে শিলংয়ের ম্যাচেও বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো খেলে ড্র করেছিল। ভারতের সবশেষ জয়টিও (২-০) এসেছিল ২০২১ সালের জুনে, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ফিরতি লেগে। দুই দলের শেষ দেখাও (সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২১) ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এই পরিসংখ্যানই বলে দেয়, দুই দলের শক্তির ব্যবধান এখন অনেকটাই কমে এসেছে।

আজকের লড়াইয়ে কে বেশি শক্তিশালী?

ঐতিহাসিক পরিসংখ্যান একপাশে রাখলে, আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক প্রেক্ষাপটে। দুই দলেই এসেছে বড় ধরনের পরিবর্তন।

ভারত: তারকাবিহীন নতুন দল এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় টালমাটাল ভারতীয় ফুটবলে নতুন কোচ হিসেবে এসেছেন খালিদ জামিল। দায়িত্ব নিয়েই তিনি কড়া সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফিফা উইন্ডোর আগে ক্যাম্পে যোগ না দেওয়ায় দলের প্রধান তিন তারকা—লিস্টন কোলাসো, আপুইয়া এবং সুভাষিশ বসুকে তিনি দল থেকেই বাদ দিয়েছেন। এই তিনজনকে ছাড়া ভারতের শক্তি নিঃসন্দেহে কমেছে। তবে কোচ জামিল তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশ্রণে একটি নতুন দল গড়ার চেষ্টা করছেন। তাদের মূল ভরসা মুম্বাই সিটির ফরোয়ার্ড লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, যিনি বাংলাদেশের রক্ষণভাগের জন্য বড় হুমকি হতে পারেন।

বাংলাদেশ: 'হামজা ইফেক্ট' ও শক্তিশালী মধ্যমাঠ অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলও সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তির জায়গা এখন তার মধ্যমাঠ। বিশেষ করে লেস্টার সিটির খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দলকে আমূল বদলে দিয়েছে।

ভারতীয় বিশ্লেষক অরুণাভ চৌধুরী তো হামজাকে "এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা খেলোয়াড়" হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশের জার্সিতে হামজা এরই মধ্যে ৬ ম্যাচে ৪টি গোল করেছেন, যার মধ্যে ফ্রি-কিক, ওভারহেড কিক এবং পানেকা পেনাল্টিও রয়েছে। হামজার সঙ্গে সৌমিত সোমের মতো খেলোয়াড়ের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশের মধ্যমাঠকে করেছে ইস্পাতদৃঢ়।

বিশেষজ্ঞদের মত

পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতীয় বিশ্লেষকরাও এই ম্যাচে স্বস্তিতে নেই। অরুণাভ চৌধুরী টি-স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন, "প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের জন্য অত একটা সোজা দল না।" এমনকি তিনি শিলংয়ের ম্যাচেও বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছিলেন। তার ভবিষ্যদ্বাণী, ম্যাচটি ড্র হতে পারে।

সব মিলিয়ে, পরিসংখ্যানের খাতায় ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও, দল থেকে তিন তারকা বাদ পড়ায় এবং বাংলাদেশের মধ্যমাঠে হামজা-সৌমিত জুটির উপস্থিতিতে মাঠের লড়াইটি সম্পূর্ণ সমানে-সমান হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ২৫ বছরের জয়খরা কাটানোর এটাই হয়তো বাংলাদেশের জন্য সেরা সুযোগ।

/আশিকুজ্জামান


বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৮ ০৯:৩০:১২
বাংলাদেশ–ভারত লড়াইয়ে উত্তাপ সর্বোচ্চে
ছবি: সংগৃহীত

এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পঞ্চম রাউন্ডে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। যদিও দুই দলই আগেই প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছে, তবুও ম্যাচটিকে ঘিরে চারদিকে উত্তেজনার আবহ। ২২ বছর পর ভারতের বাংলাদেশে খেলা—এই ম্যাচকে আরও বিশেষ এবং মনস্তাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে। দুই দলেরই লক্ষ্য এখন আত্মসম্মান রক্ষা, গৌরব ফেরানো এবং আগামী টুর্নামেন্টগুলোর জন্য আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধার।

চার ম্যাচ শেষে সি গ্রুপে দুই দলেরই সমান চার পয়েন্ট। তবে গোলপার্থক্যে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ, আর তলানিতে ভারত। পয়েন্ট সমান হলেও মানসিক অবস্থা, চাপ ও প্রস্তুতিতে দুই দলের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশ সাম্প্রতিক ম্যাচগুলোতে লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছে, অন্যদিকে ভারত ভুটানের মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে বড় জয় পেলেও প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ব্যর্থতায় ভুগছে।

এই ম্যাচটি হবে দুই দলের ৩০তম মুখোমুখি লড়াই। এর আগে ভারত ১৪ বার জয় পেয়েছে, বাংলাদেশ জিতেছে চারটি এবং ১১টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। সর্বশেষ দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল চলতি বছরের মার্চে, শিলংয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ০-০ ড্রতে। আর ভারতের বাংলাদেশ সফর সবশেষ হয়েছিল ২০০৩ সালে, যখন সাফ গোল্ড কাপে স্বাগতিকরা ২–১ ব্যবধানে জিতেছিল। ২২ বছর পর আবারও ঢাকায় ভারতের উপস্থিতি ম্যাচটিতে নতুন উত্তাপ যোগ করেছে।

সাম্প্রতিক ফর্ম বিশ্লেষণে বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক ভালো। যদিও সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে পয়েন্ট হারিয়েছে, তবুও প্রতিটি ম্যাচেই লড়াই করেছে। নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচগুলোতেও দল নিজেদের স্থিতিশীলতা দেখিয়েছে। অপরদিকে ভারত সাম্প্রতিক পাঁচ ম্যাচে ওঠানামার ফর্ম দেখিয়েছে। ভুটানের বিপক্ষে ৬–১ গোলের বড় জয় পেলেও সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে হেরেছে এবং ওমান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পায়নি।

ম্যাচের আগে দুই শিবিরেই চাপ আছে, কিন্তু স্বাগতিক হিসেবে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাস কিছুটা বেশি। ঘরের মাঠে সমর্থকদের সামনে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় রয়েছে জামাল ভুঁইয়াদের মধ্যে। অন্যদিকে ভারতও চাইবে এই সফরকে স্মরণীয় করতে কমপক্ষে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে।

-রফিক


তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়

খেলা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১৯:১০:২৬
তারকাদের বাদ দিয়েই বাংলাদেশের মুখোমুখি ভারত, কোচের কড়া সিদ্ধান্তে তোলপাড়
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ১৮ নভেম্বর এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ ফুটবল দল ভারতের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। তবে এই ম্যাচের আগে, ভারতীয় ফুটবল দলের অন্দরে চলছে বড় ধরনের পরিবর্তন, যার কেন্দ্রে রয়েছেন দলের নতুন হেড কোচ খালিদ জামিল।

প্রায় তিন মাস আগে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই খালিদ জামিল ভারতীয় দলের খেলার ধরনে আমূল পরিবর্তন এনেছেন। একসময় যে দলটি টানা ১৬ ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছিল, সেই একই দল জামিলের অধীনে শেষ সাতটি ম্যাচে তিনটি জয় তুলে নিয়ে এখন বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে।

খালিদ জামিলের অধীনে এই নতুন ভারতীয় দলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো তার কড়া সিদ্ধান্ত এবং দল নির্বাচনে কোনো আপস না করার মানসিকতা। বাংলাদেশ ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য তিনি ফিফা উইন্ডো শুরু হওয়ার পাঁচ দিন আগেই খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিতে বলেছিলেন। কিন্তু ভারতের শীর্ষ ক্লাব মোহনবাগান নির্ধারিত সময়ে তাদের খেলোয়াড়দের ছাড়তে রাজি না হওয়ায় কোচ খালিদ জামিল এক নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

তিনি দলের প্রধান তারকা খেলোয়াড় লিস্টন কোলাসো, আপুইয়া এবং অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার সুভাষিশ বসুকে দল থেকে পুরোপুরি বাদ দেন। তারকা খেলোয়াড়দের বাদ দিয়েও কোচের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এই তারকাদের ছাড়াই একটি নতুন চেহারার ভারতীয় দল বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামতে প্রস্তুত। কোচ জামিল সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র সেইসব খেলোয়াড়দের নিয়েই ভাবছেন যারা ক্যাম্পে উপস্থিত আছেন এবং তিনি তাদের পারফরম্যান্সে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। তিনি আরও উল্লেখ করেন, দলের সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে এবং এই নতুন খেলোয়াড়দের নিয়েই তিনি ম্যাচ থেকে সেরা ফলাফল বের করে আনার চেষ্টা করবেন।

এই ম্যাচে ভারতের আক্রমণভাগের নেতৃত্বে থাকবেন মুম্বাই সিটির ফরোয়ার্ড লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে। তিনি সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি চমৎকার গোল করে নিজের ফর্ম চিনিয়েছেন। বাংলাদেশের রক্ষণভাগের জন্য ছাংতে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারেন, তাই তারিক কাজী, তপু বর্মন এবং সাদ উদ্দিনকে তাকে সামলাতে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।

ছাংতের পাশাপাশি, ভারতীয় দলে আরও একজন নতুন স্ট্রাইকার যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত রায়ান উইলিয়ামস যদি ফুটবল অস্ট্রেলিয়া, ফিফা এবং এএফসি থেকে খেলার জন্য চূড়ান্ত ছাড়পত্র পান, তবে তাকেও বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে দেখা যেতে পারে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, উইলিয়ামস খেলতে পারলে দলের কৌশল একরকম হবে, আর না পারলে অন্যরকম। কোচ জামিল উভয় পরিস্থিতি মাথায় রেখেই তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছেন।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরী এবং সৌমিত সোমের মতো খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে দলের মধ্যমাঠ বেশ শক্তিশালী হয়েছে। ভারতীয় কোচ এই জুটিকে নিয়ে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা করছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে, খালিদ জামিল নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়ের নাম না বলে পুরো বাংলাদেশ দলকেই কৃতিত্ব দেন।

তিনি মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ একটি ভালো দল এবং তাদের দলের সবাই মানসম্পন্ন খেলোয়াড়। তিনি আরও জানান, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না এবং একটি ইতিবাচক ফলাফল অর্জনের লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন।

ভারতীয় দলে রাহুল ভেকে এবং সন্দেশ ঝিঙ্গানের মতো অভিজ্ঞ রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রাও রয়েছেন, যারা বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডদের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সব মিলিয়ে, খালিদ জামিলের এই নতুন ও তারকাবিহীন ভারতের বিপক্ষে হামজা-সৌমিতরা কীভাবে বহু প্রতীক্ষিত জয়টি তুলে আনেন, সেটাই এখন ফুটবলপ্রেমীদের মূল আকর্ষণের বিষয়।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত