আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক: ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৪ ০৯:৩৭:১৭
আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক: ট্রাম্প

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, গাজার মানুষ যেন নিরাপদে থাকতে পারে, সেটাই এখন তার প্রধান কামনা। একইসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, গাজাবাসীরা বাস্তবিক অর্থেই ‘নরকের মধ্য দিয়ে’ গেছেন।

শুক্রবার (৪ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে। সেখানে এক সাংবাদিক তাকে প্রশ্ন করেন, তিনি এখনও কি চান যে যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ন্ত্রণ করুক? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদে থাকুক। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ওরা সত্যিই নরকের ভেতর দিয়ে গেছে।”

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রথমবারের মতো গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার প্রস্তাব দেন, যা বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলে। অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকার সংগঠন একে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার হরণের প্রচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেয়। তবে সেই বিতর্কের মধ্যেও ট্রাম্প তার অবস্থানে অনড় থেকেছেন এবং বিভিন্ন সময় এই প্রস্তাব পুনরায় সামনে এনেছেন।

এই সপ্তাহের শুরুতেও ট্রাম্প আশাবাদ প্রকাশ করেন যে, “আগামী সপ্তাহেই গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি হতে পারে।” তিনি আরও জানান, তিনি ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন, যেখানে গাজা পরিস্থিতি ও ইরান প্রসঙ্গ গুরুত্ব পাবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে, তা এখনও থামেনি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠন এই অভিযানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। জাতিসংঘের একাধিক প্রতিবেদনে এই হামলাকে “গণহত্যার সম্ভাব্য লক্ষণ” বলে অভিহিত করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজার ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠই নারী ও শিশু। খাদ্য, চিকিৎসা ও আশ্রয়ের সংকটে বিপর্যস্ত গাজার প্রায় ২৩ লাখ মানুষের মানবিক পরিস্থিতি ‘চরম বিপর্যয়ের’ মুখে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই মন্তব্য গাজাবাসীর প্রতি একটি মানবিক বার্তা দিলেও তার গাজা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগ্রহ এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভবিষ্যতের কূটনৈতিক অবস্থান এবং মানবিক প্রচেষ্টাকে কতটা প্রভাবিত করবে, তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ