রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন কেন জমা দিতে পারছেনা সিআইডি

২০১৬ সালের আলোচিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে আবারও সময় চাওয়ায় এবার আদালত সিআইডিকে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসেন এ নির্দেশ দেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মামলাটি দায়েরের পর থেকে সিআইডি ৮৬ বার সময় নিয়েছে, যা এক নজরে বিচার ব্যবস্থায় একটি অস্বাভাবিক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরি হয়। হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের নামে জালিয়াতি করে অর্থ স্থানান্তরের অনুরোধ পাঠায়, যার মধ্যে মাত্র একটি অনুরোধ ব্যর্থ হয় তাতে প্রায় ৮৫১ মিলিয়ন ডলার রক্ষা পায়। বাকি অর্থের মধ্যে কমপক্ষে ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (RCBC)-এর মাধ্যমে দেশটির ক্যাসিনো খাতে পৌঁছে যায়। আরও ২০ মিলিয়ন ডলার শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে পাঠানো হলেও তা আটকানো হয়।
চুরির এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর, ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক (হিসাব ও বাজেটিং) জোবায়ের বিন হুদা ঢাকার মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলার গুরুত্ব আন্তর্জাতিক হলেও তদন্ত প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই স্থবির।
চুরি যাওয়া অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার আরসিবিসি থেকে মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কা থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে পেরেছে। বাকিটুকু অর্থ বিশেষ করে ক্যাসিনো জুয়ার মাধ্যমে ম্যানিলায় পাচার হওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলারের প্রায় পুরোটাই এখনও অনুদ্ধারিত রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি আদালতে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে, ৬৬ মিলিয়ন ডলার ফেরতের দাবি জানিয়ে। মামলার অন্যতম দাবি ছিল, আরসিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে পাচার হওয়া অর্থ গ্রহণ ও তা লুকানোর প্রক্রিয়ায় সহায়তা করেছে।
২০২৩ সালের ২ মার্চ, নিউইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি চলমান রাখার অনুমতি দেয়, তবে একইসঙ্গে আরসিবিসির বিরুদ্ধে আনা কিছু অভিযোগ খারিজ করে দেয়। এর ফলে মামলার কাঠামো কিছুটা দুর্বল হলেও মূল বিষয় বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি আদালতের বিচারাধীন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
দুই দেশের আদালতে মামলা চললেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ তদন্তে সিআইডির ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। প্রায় ৮ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়া, ৮৬ দফা সময় চাওয়া, এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার ধীর গতি সব মিলিয়ে এটি এখন এক ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অপরাধের’ গৌরবহীন উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এত বড় একটি অর্থনৈতিক অপরাধে বাংলাদেশ যেভাবে তদন্তে ধীরতা দেখাচ্ছে, তা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক আর্থিক নেটওয়ার্কে দেশের অবস্থান দুর্বল করতে পারে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ কিংবা আন্তর্জাতিক ক্লিয়ারিং হাউসগুলোর কাছে এটি দেশীয় সক্ষমতা নিয়ে নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনাটি শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অপরাধ ইতিহাসের অন্যতম চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সিআইডির ৮৬ দফা সময় গ্রহণ এবং এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারণে মামলার গ্রহণযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আদালতের এবারকার সময়সীমা ২৪ জুলাই তদন্তে গতি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে কি না, তা এখন সময়ই বলে দেবে।
এই ঘটনায় যারা দায়ী ছিল চক্রটি দেশি হোক বা বিদেশি তাদের শনাক্ত ও বিচারের আওতায় আনতে না পারলে এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাষ্ট্রীয় নৈতিকতা ও কূটনৈতিক সক্ষমতার ব্যর্থতার প্রতীক হয়ে থাকবে।
অমীমাংসিত ইস্যু সরকারের বিষয়, মুসলিম বিশ্বের ঐক্য শক্তিশালী করার আহ্বান জামায়াতের
ঢাকায় সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো দুই দেশের সরকারের বিষয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত সে বিষয়ে মন্তব্য করতে চায় না। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, উপযুক্ত পরিবেশে সরকার এসব বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে পৌঁছাবে। শনিবার বিকেলে পাকিস্তান হাইকমিশনে আয়োজিত বৈঠকে জামায়াতের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয় এবং বৈঠকে বিভিন্ন আঞ্চলিক, রাজনৈতিক ও কৌশলগত ইস্যু উঠে আসে।
তাহের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি গত ১৫ বছরে একপেশে হয়ে পড়েছিল। এ সময়ে ভারতের প্রতি অতিরিক্ত ঝুঁকে থাকা নীতি পাকিস্তানসহ অন্যান্য প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ককে অনেকাংশে সীমিত করে রেখেছিল। তবে বর্তমান বাস্তবতায় বাংলাদেশের জন্য সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক অপরিহার্য। তিনি উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নে দুই পক্ষই জোর দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে আঞ্চলিক সম্পর্ক হবে সহযোগিতা ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে, যেখানে কোনো আধিপত্যবাদ বা কর্তৃত্ববাদী মনোভাব থাকবে না।
বৈঠকে মূলত আলোচিত হয়েছে আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে সহযোগিতা, দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) পুনরুজ্জীবনের পথ এবং মুসলিম বিশ্বে ঐক্য বৃদ্ধির কৌশল। সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, সার্ক কার্যত ভারতের কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে আছে, অথচ দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সংহতির জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। তাই পাকিস্তান ও বাংলাদেশ উভয়েই এ জোটকে নতুন করে সক্রিয় ও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।
একাত্তরের অমীমাংসিত ইস্যু প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তাহের বলেন, এটি বাংলাদেশের সরকার এবং পাকিস্তান সরকারের আলোচনার বিষয়। জামায়াত আশা করে সরকার সেই আলোচনায় যথাযথভাবে বিষয়গুলো তুলবে। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন এবং অবিভাজিত পাকিস্তানের সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা। তিনি উল্লেখ করেন, এসব ইস্যু সম্পর্কের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ালেও সেগুলো সমাধান হলে ভবিষ্যতের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হবে।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন প্রসঙ্গ বৈঠকে প্রাসঙ্গিকভাবে এসেছে, তবে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান যে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, নির্বাচন ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ইস্যু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং সেগুলো সমাধান করতে হবে দেশীয় রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে মুসলিম বিশ্বে ন্যায় ও মানবতার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ, মুসলিম জনগণের ওপর চলমান বৈশ্বিক আগ্রাসন মোকাবিলা এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য জোরদার করার বিষয়গুলো বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে। তার ভাষায়, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ভ্রাতৃত্ব শুধু রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক সীমায় আবদ্ধ নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার, মানবিকতা এবং সম্মিলিত অগ্রগতির ভিত্তিতে দাঁড়াতে হবে।
সব মিলিয়ে জামায়াতে ইসলামী মনে করে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করার সুযোগ রয়েছে। তবে এর জন্য সরকারের কূটনৈতিক দক্ষতা, ঐতিহাসিক ইস্যুগুলোর সমাধান এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাস্তবতায় সমন্বিত নীতির প্রয়োজন। তাহেরের বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে যে, আস্থা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্কই দুই দেশের জনগণের জন্য প্রকৃত সুফল বয়ে আনতে পারে।
পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে ভাবতে চায় এনসিপি, ৭১-এর অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের আহ্বান
বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, অতীতের বৈরী ইতিহাস ও তিক্ত অভিজ্ঞতার গণ্ডি পেরিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে একটি নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। তবে দলটির মতে, এ সম্পর্ককে অর্থবহ ও টেকসই করতে হলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-সংক্রান্ত অমীমাংসিত ইস্যুগুলোর সমাধান অবশ্যই করতে হবে। শনিবার বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনে সফররত পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে এনসিপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বৈঠক করে। বৈঠক শেষে দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পাকিস্তান সম্পর্কে বাংলাদেশের জনগণের ধারণা এবং প্রত্যাশা তারা তুলে ধরেছেন। অতীতে শত্রুভাবাপন্ন সম্পর্ক থাকলেও তা কাটিয়ে উঠে সুসম্পর্কের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ৭১-এর বিষয়টি কোনোভাবেই উপেক্ষিত হতে পারে না। সম্পর্ক উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে। তার ভাষায়, জনগণের পারসেপশন সবচেয়ে সংবেদনশীল বিষয়, তাই পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনো ধরনের সম্পর্ক সম্প্রসারণের আগে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য আনুষ্ঠানিক ক্ষমা, আটকে পড়া পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন এবং অবিভাজিত সম্পদে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এখনো সমাধান হয়নি তিনটি ঐতিহাসিক বিষয়—মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, বাংলাদেশে আটকে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রত্যাবাসন এবং অবিভাজিত পাকিস্তানের সম্পদে বাংলাদেশের প্রাপ্য অংশ হস্তান্তর। গত এপ্রিলে ঢাকা বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ে বাংলাদেশ সরকার বিষয়গুলো উত্থাপন করেছিল। রোববারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও এ ইস্যুগুলো আলোচনায় আসবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, তারা পাকিস্তানপক্ষকে স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ৭১ ইস্যুর দ্রুত সমাধান জরুরি, আর পাকিস্তান জানিয়েছে তারা এ ব্যাপারে প্রস্তুত। আলোচনায় শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, নদী ব্যবস্থাপনা এবং ওষুধশিল্পসহ নানা খাতের সহযোগিতা সম্ভাবনা উঠে এসেছে। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থী বিনিময় কর্মসূচি, পাকিস্তানি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন, প্রতিরক্ষা খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে। একই সঙ্গে ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে যে পরিবর্তন এসেছে, সেই বিষয়গুলোও আলোচনায় উঠে এসেছে। দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্কগুলোকে সমান মর্যাদা, ভ্রাতৃত্ববোধ এবং অ-আধিপত্যবাদী মনোভাবের ভিত্তিতে এগিয়ে নেওয়া উচিত বলেও এনসিপি নেতারা মত প্রকাশ করেছেন।
সার্ক প্রসঙ্গে এনসিপি নেতারা জানান, ভারতের কারণে সংগঠনটি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তাই পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যৌথ উদ্যোগে সার্ককে কীভাবে আরও কার্যকর করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের আঞ্চলিক প্রভাব এবং পারমাণবিক শক্তি হিসেবে তার ভূমিকার কথাও আলোচনায় উঠে এসেছে। সব মিলিয়ে এনসিপির বার্তাটি স্পষ্ট—বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার সুযোগ আছে, তবে সেটি হবে কেবল তখনই যখন ৭১-এর অমীমাংসিত তিনটি ইস্যুর যথাযথ সমাধান হবে, আর পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
প্রকৃতিবিরোধী কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বরদাশত করা হবে না: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রকৃতিবিরোধী কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বরদাশত করা হবে না। তিনি বলেন, এ দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে প্রকৃতির নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। তাই প্রকৃতিবিরোধী যে কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যাপারে আমরা কঠোর থাকবো। এ নিয়ে জনসচেতনতারও প্রয়োজন আছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে তরুণদের যে দেশপ্রেম ও সাহসিকতা দেখা গেছে, তা দেশে আন্দোলনের এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে আজকের তরুণদেরই কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রায় আড়াই হাজার কলেজে অধ্যয়নরত দেশের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের দক্ষ জনবল হিসেবে গড়ে তুলতে পুরোনো সিলেবাস সংস্কারের পাশাপাশি প্রযুক্তি ও কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।
/আশিক
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবনে যাবেন বাংলাদেশ সফররত পাকিস্তান উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাস ভবনে যাবেন তিনি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় দৈনিক কালের কণ্ঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আজ দুপুর আড়াইটার পর পাকিস্তানের বিশেষ একটি ফ্লাইটে ঢাকায় পৌঁছান ইসহাক দার। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম সিয়াম।
উল্লেখ্য, প্রায় ১৩ বছর পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলেন, যা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
/আশিক
ঢাকার অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দুটি এলাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও মিরপুরকে ঢাকার অন্যতম অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) হিমাগার পরিদর্শন শেষে তিনি মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম থানা ঘুরে দেখেন এবং সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকায় অপরাধপ্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই এলাকাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করছে।
এ সময় তিনি ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশের অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কথাও উল্লেখ করেন। তার ভাষায়, ডিএমপির মোট ৫০টি থানার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি, অর্থাৎ প্রায় ২৫টি থানা বর্তমানে ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। তবে আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আটটি থানা নিজস্ব ভবনে স্থানান্তর করা হবে, যা পুলিশের কার্যক্রম আরও গতিশীল করবে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি তিনি কৃষি খাত, বিশেষত আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়েও মন্তব্য করেন। উপদেষ্টা বলেন, আলু বেচাকেনায় সবচেয়ে বেশি লাভ করে মধ্যস্বত্বভোগীরা, অথচ পরিশ্রমী কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। এ অবস্থায় সরকার কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে আলুর দাম নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের উদ্যোগে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু কেনা হলে তারা তাদের পণ্যের সঠিক দাম পাবেন।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ এখনও বিদেশ থেকে আলুর বীজ আমদানি করছে, যা দেশের জন্য বড় ব্যয়ের কারণ। ভবিষ্যতে আলু, আনারস, খেজুরসহ বিভিন্ন ফসলের উন্নত মানের বীজ দেশেই উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কৃষকরা অল্প খরচে মানসম্পন্ন বীজ কিনতে পারবেন, আর কৃষি উৎপাদন বাড়বে।
এ বছরের আলুর বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার মতে, কৃষকরা সঠিক দাম না পাওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে তবে ভবিষ্যতে কৃষকরা আলু চাষে অনাগ্রহী হয়ে পড়তে পারেন। তাই কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় আলুর দাম নির্ধারণে সরকার সরাসরি উদ্যোগ নিচ্ছে।
পাটের বীজ উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ সীমিত হওয়ায় কৃষকরা ধান চাষেই বেশি মনোযোগী। পাটের বীজ উৎপাদনে সময় ও জমির প্রয়োজনীয়তা বেশি থাকায় কৃষকরা এতে আগ্রহ দেখান না। ফলে আপাতত আমদানিই সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বিকল্প।
-রফিক
নির্বাচনের প্রস্তুতি: ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বাক্সের হিসাব চাইল ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে, নির্বাচনের মালামাল সুষ্ঠুভাবে সংরক্ষণের জন্য গোডাউন খালি রাখতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের চাহিদাও পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ইতোমধ্যে সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যবহার উপযোগী ব্যালট বাক্সের হালনাগাদ হিসাব ২৫ আগস্টের মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা-১ অধিশাখায় পাঠাতে হবে। এছাড়া, আগামী নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তা শেষ করার পরিকল্পনা আছে।
ইসি সচিব আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে গল্প, সংলাপ, নাটিকা, প্রবন্ধ, কবিতা ও ছড়ার মতো লেখা একই সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে পাঠাতে হবে।
/আশিক
কোনো কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল:সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এ এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে রমজানের আগে নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাজশাহীতে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নাসির উদ্দিন বলেন, "কোনো কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা হবে।" তিনি আরও বলেন, যারা বাক্স দখলের স্বপ্ন দেখছেন, তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে এবং ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যেতে হবে।
তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকে নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করা হয়েছে এবং নির্বাচন হবে কি হবে না, এ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যের মধ্যে তারা যেতে চান না। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা এর আগে এ ধরনের কাজে যুক্ত ছিলেন, তাদের পদায়নের কোনো চিন্তা নেই।
আনুপাতিক পদ্ধতি (পিআর পদ্ধতি) নিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানে এ ধরনের নির্বাচন ব্যবস্থা নেই এবং তারা এর বাইরে যেতে পারেন না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না এবং দেখা যাক বিচারে কী হয়।
/আশিক
সামিট গ্রুপ: কালো টাকা সাদা করার আন্তর্জাতিক কৌশল
সামিট গ্রুপের ব্যবসা এবং কার্যক্রম নিয়ে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এটি। এতে বলা হয়েছে, সামিটের ব্যবসার মূল কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ এবং এখান থেকেই তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিপুল পরিমাণ মুনাফা অর্জন করেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামিট ইন্টারন্যাশনালের ব্যবসার ধরন সম্পূর্ণ ভিন্ন। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো দেশে তাদের কোনো মৌলিক ব্যবসা নেই। তারা মূলত যৌথ অংশীদারিত্ব এবং শেয়ার কেনার মাধ্যমে ব্যবসা করে। এর মাধ্যমে তারা বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামিট যেসব সেক্টরে বিনিয়োগ করেছে, সেগুলো হলো বিদ্যুৎ, টেলিকম, আবাসনসহ অন্যান্য খাত, যেখানে সহজে টাকা উপার্জন করা যায় এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আছে। এসব ব্যবসা করতে গিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে এবং বিপুল পরিমাণে কর রেয়াত পেয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কুইক রেন্টালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র অলস বসে থাকলেও সামিট টাকা পাবে। অর্থাৎ বিনিয়োগে কোনো ঝুঁকি নেই। একইভাবে, টেলিকম ব্যবসা শুরু করার সময়ও তারা শেয়ার বিক্রির জন্য কর রেয়াত পায়।
প্রতিবেদনটিতে অভিযোগ করা হয়েছে, সামিট সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের জন্য কাজ শুরু করার সময়ও সরকারের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। আর এই পুরো লভ্যাংশের টাকা সিঙ্গাপুরে চলে গেছে, যা সেখান থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে কালো টাকা সাদা টাকায় রূপান্তরিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত সামিট গ্রুপ বিদ্যুৎ এবং তথ্যপ্রযুক্তি ছাড়াও বন্দর ব্যবসায় যুক্ত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ব্যবসা থেকে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এবং নানানভাবে অর্থ লেনদেন করে তারা ভারতের কলকাতা ও পাটনায় বিনিয়োগ করেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বাইরে ভারতের ত্রিপুরায় একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শেয়ার কিনেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সামিট গ্রুপ বাংলাদেশের টাকা লুট করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছে। সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত সামিট ইন্টারন্যাশনালের ব্যবসা শুধুমাত্র বাংলাদেশে হলেও তারা বিশ্বজুড়ে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তার করছে। আজিজ খান পরিবারের ১১ সদস্যের প্রত্যেকেরই বিদেশে কোথাও না কোথাও সম্পদ আছে, যা বাংলাদেশের টাকা থেকে পাচার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে, আজিজ খান সিঙ্গাপুরের নাগরিক এবং তার ভাই মুহাম্মদ ফয়সাল করিম খান সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিপুল সাম্রাজ্যের মালিক। আঞ্জুম আজিজ খান, আয়েশা আজিজ খান এবং আদিবা আজিজ খান বিভিন্ন দেশে সম্পদ গড়েছেন। এ সব সম্পদ বাংলাদেশের লুন্ঠিত অর্থ থেকে করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করল অন্তর্বর্তী সরকার
শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার নিয়ে গণমাধ্যমকে কড়া সতর্কতা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শুক্রবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ সতর্কবার্তা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইন ও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার কিছু গণমাধ্যম ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার একটি ভাষণ প্রচার করেছে। ওই ভাষণে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন, যা গণমাধ্যমে প্রচার করা সংবিধান ও প্রচলিত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং আরও জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তিনি বর্তমানে বিচারের মুখোমুখি আসামি। আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুসারে, যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের নেতার বক্তব্য, কার্যক্রম বা প্রচারণা প্রচার বা পুনঃপ্রচার করে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার অডিও বা ভিডিও প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে। গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্বৈরশাসক কর্তৃক ঘৃণা ও সহিংসতা ছড়ানোর বক্তব্য প্রচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানায় যে, তারা যেন সর্বোচ্চ সতর্কতা ও দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করে। শেখ হাসিনার যেকোনো বক্তব্য বা মন্তব্য প্রচার করা কেবল দেশের স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে হুমকি সৃষ্টি করবে না, বরং সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে সহিংসতা ও অরাজকতাকে উসকে দিতে পারে।
বিবৃতিতে আরও সতর্ক করা হয়, ‘তার (শেখ হাসিনা) মন্তব্য, বক্তৃতা কিংবা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার বা পুনঃপ্রচার দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড জনসাধারণকে ভুল পথে পরিচালিত করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। সুতরাং এ বিষয়ে আইনি নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারী যেকোনো গণমাধ্যম বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কঠোর জবাবদিহির আওতায় আসবে।’
পাঠকের মতামত:
- মাহাথির মোহাম্মদ ও মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক রূপান্তর: নীতি, সংস্কার ও উত্তরাধিকার
- অমীমাংসিত ইস্যু সরকারের বিষয়, মুসলিম বিশ্বের ঐক্য শক্তিশালী করার আহ্বান জামায়াতের
- পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে ভাবতে চায় এনসিপি, ৭১-এর অমীমাংসিত ইস্যু সমাধানের আহ্বান
- বিএনপি থেকে নির্বাচন করবেন মাহফুজ? যা বললেন বাবা
- কুকুরকে খাবার দেওয়ায় নারীকে বেধড়ক মারধর, ভিডিও ভাইরাল
- প্রকৃতিবিরোধী কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বরদাশত করা হবে না: রিজওয়ানা হাসান
- ম্যানসিটি বনাম টটেনহাম: ইতিহাদে ফের বিধ্বস্ত সিটিজেনরা
- মওলানা ভাসানী সেতু: ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার তার চুরি
- যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য নেতানিয়াহু আলোচনা ভণ্ডুল করছেন: হামাস
- বিশ্বে এমন মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগে দেখা যায়নি: ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- এশিয়া কাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, মনে করেন প্রধান নির্বাচক
- জনগণের আকাঙ্ক্ষা যে দল বুঝবে না, তার ভবিষ্যৎ নেই: আমীর খসরু
- বঙ্গোপসাগরে নৌকাসহ বাংলাদেশি ১২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল 'আরাকান আর্মি
- দেশের সিস্টেমটাই হয়ে গেছে দখলের: মির্জা ফখরুল
- খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবনে যাবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঢাকার অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত দুটি এলাকা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নির্বাচনের প্রস্তুতি: ২৫ আগস্টের মধ্যে ব্যালট বাক্সের হিসাব চাইল ইসি
- ১৩ বছর পর ঢাকায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- শিশুদের সুরক্ষায় নতুন নোকিয়া ফোন: 'নগ্ন ছবি' ব্লক করবে এআই
- হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার: গ্রুপ কল শিডিউল করার সুযোগ!
- মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ৩৩ দিন পর মৃত্যুর কাছে হার মানল দগ্ধ শিক্ষার্থী তাসনিয়া
- খুলনায় ডুমুরিয়ায়া বাড়িতে ঢুকে যুবদল নেতাকে হত্যা
- ডিজিএফআই ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রভাবে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- কোনো কেন্দ্র দখল করলে পুরো কেন্দ্রের ভোট বাতিল:সিইসি
- আমদানি ব্যয় ৮০ টাকা, খুচরায় ৩০০: কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি
- ‘মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করা বাহার এখন মেয়েকে নিয়ে কলকাতায়’
- বেশি ভিউয়ের লোভে তরুণী সেজে ভিডিও বানাতেন টিকটকার, গ্রেপ্তার
- ১১ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম গ্রেপ্তার
- হৃদপিণ্ডের দুর্বলতার লক্ষণ: জেনে নিন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
- জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর: এক ভরি স্বর্ণ কিনতে কত টাকা লাগবে?
- ‘ক্রাশের’ স্বামীকে হত্যা করতে গুগলের সাহায্য নিয়ে বোমা বানালেন প্রেমিক!
- ‘সীমিত আয়ের মানুষ খাবেটা কী?’: ইলিশের পর পটোলের দামও আকাশছোঁয়া
- সামিট গ্রুপ: কালো টাকা সাদা করার আন্তর্জাতিক কৌশল
- গভীর সংকটে দেশের ব্যাংক খাত: মূলধন সংরক্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে বাংলাদেশ
- গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল সৌদি আরব
- টিভিতে আজকের খেলা: এক নজরে ক্রিকেট ও ফুটবলের সূচি
- দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস, অতি ভারি বর্ষণেরও সম্ভাবনা
- দেশের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন জরুরি: চরমোনাই পীর
- গাজায় ইসরাইলের হামলা বৃদ্ধি, গত একদিনে আরও ৭১ ফিলিস্তিনি নিহত
- মেঘনার বুকে ভেসে উঠল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের লাশ, স্তব্ধ পরিবার-সহকর্মীরা
- শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে গণমাধ্যমকে সতর্ক করল অন্তর্বর্তী সরকার
- আওয়ামী লীগ থেকে একসঙ্গে ৮ নেতার পদত্যাগ
- সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর জন্য সুখবর!
- ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বে জয়ী মাহফুজ আলমের বাবা
- বিএসএফের হাতে বিজিবি সদস্য আটক
- বাউফলে এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
- রাজধানীর বাজারে সবজির আগুন, খালি হাতে ফিরছেন অনেকে
- জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সম্মেলনের উদ্যোগে ইউনূস
- গাজা শহর দখলের চূড়ান্ত নির্দেশ নেতানিয়াহুর
- আগে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংবিধান সংশোধন, তারপর জাতীয় নির্বাচন: আখতার হোসেন
- একাদশে ভর্তি: প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ হলো,যেভাবে দেখবেন
- ফেসবুক পোস্টে রনির বিরুদ্ধে জুলকারনাইন সায়েরের ক্ষোভ
- ১৭ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে বেক্সিমকো ও ইসলামী ব্যাংকের সর্বশেষ দর-বদলের চিত্র
- আল্লাহ আমাকে পাকিস্তানের অভিভাবক বানিয়েছেন,প্রেসিডেন্ট হওয়ার আকাঙ্ক্ষা নেই: মুনির
- আলবার্ট আইনস্টাইনের শেষ মুহূর্ত: এক ছবিতে ধরা পড়ল এক যুগের অবসান
- আখেরি চাহার শোম্বা: সফর মাসের শেষ বুধবারের ইতিহাস ও তাৎপর্য
- দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম
- জিআইবি জানালো আইপিও অর্থ ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতার কারণ
- খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
- রহিমা ফুডসের শেয়ার মালিকানা বদল
- সপ্তাহ শুরুতেই ডিএসইতে উত্থান, সূচক ও লেনদেনে চাঙ্গাভাব
- পিকাসো থেকে নিকোলস: প্রতিভা, সংগ্রাম আর অর্থপূর্ণ জীবনের দিশা
- ১৮ আগস্ট ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশ শেয়ার
- ১৮ আগস্ট ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ দশ শেয়ার