অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০১ ১১:১৬:১৫
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে আয়োজিত মাসব্যাপী কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মোড় হিসেবে বিবেচিত, যা একনায়কতন্ত্রের অবসানে এবং নাগরিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণকে প্রতিফলিত করেছিল।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ১১টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে। উদ্বোধনী বক্তব্যে ড. ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জনগণের ত্যাগ ও অংশগ্রহণ এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতীয় সংহতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সারাদেশে ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী, কৃষক ও শ্রমিকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তা একপর্যায়ে রূপ নেয় বৃহত্তর রাজনৈতিক অভ্যুত্থানে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মুখে একটি অগণতান্ত্রিক সরকারের পতন ঘটে এবং গঠিত হয় একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন। এই প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষতা ও মানবাধিকার রক্ষায় দেশজুড়ে নতুন আশা তৈরি হয়।

মাসব্যাপী এই কর্মসূচিতে থাকবে শহীদ ও নির্যাতিতদের স্মরণ, আলোকচিত্র ও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, গণশুনানি, তরুণদের নিয়ে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রূপরেখা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে মুক্ত সংলাপ।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য শুধু অতীত স্মরণ নয়, বরং একটি সুশাসনভিত্তিক ভবিষ্যতের জন্য সম্মিলিত সামাজিক-রাজনৈতিক চেতনার উন্মেষ ঘটানো।

এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে গণতান্ত্রিক চর্চা ও নাগরিক সচেতনতার একটি নতুন আবহ তৈরি হচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ