স্বাস্থ্য
নতুন প্যানেল, পুরনো বিতর্ক: শিশু টিকা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে শিশুদের টিকা নিয়ে গৃহীত নীতিগুলোকে নতুনভাবে বিবেচনার জন্য গঠিত একটি সরকারি প্যানেল—যেটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সচিব রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র—বিজ্ঞানসম্মত গবেষণার পরিবর্তে বিতর্কিত মতবাদকে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে উদ্বেগ বাড়ছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের আওতাধীন Advisory Committee on Immunization Practices (ACIP) সাধারণত জনসমক্ষে খুব একটা আলোচনায় আসে না। এই কমিটি টিকার নিরাপত্তা, কার্যকারিতা ও উপযুক্ত সময় নিয়ে গবেষণালব্ধ প্রমাণ পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেয়। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন।
কেনেডি, যিনি অতীতে দুই দশক ধরে টিকা-বিরোধী ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানোর জন্য পরিচিত, সম্প্রতি ACIP-এর বিদ্যমান ১৭ সদস্যকে আকস্মিকভাবে বরখাস্ত করেছেন। তাঁর অভিযোগ—এদের মধ্যে অনেকেই ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে আর্থিকভাবে জড়িত, যদিও নিয়োগে সংঘাত-নিরসন পদ্ধতি আগেই অনুসরণ করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে তিনি যে ৮ জন নতুন সদস্য নিয়োগ দেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী রবার্ট মালোন, যিনি কোভিড-১৯ মহামারির সময় বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অকার্যকর ওষুধ (যেমন: আইভারমেকটিন) প্রচার করেছিলেন।
আগামী বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বৈঠকের এজেন্ডায় রয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে সাধারণ আলোচনা। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে হঠাৎ করে শিশুদের মিসলস, মাম্পস, রুবেলা ও চিকেনপক্স (MMRV) টিকা এবং থাইমেরোসাল (পারদ-ভিত্তিক সংরক্ষণ উপাদান) সমৃদ্ধ ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এটিকে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ও পুরনো বিতর্ক ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হিসেবে দেখছেন।
থাইমেরোসাল নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। ১৯৯৯ সালে জনমনে উদ্বেগের কারণে এটি শিশুদের টিকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, যদিও বহু গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে যে, এতে কোনো স্নায়ুবিক ক্ষতির প্রমাণ নেই। শিশু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. পল অফিট বলেন, "বহু গবেষণায় দেখা গেছে, এই মাত্রায় পারদ মানবদেহে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।"
তবে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন লিন রেডউড নামের এক নার্স, যিনি RFK জুনিয়রের নেতৃত্বাধীন 'Children’s Health Defense' নামের টিকা-বিরোধী সংস্থার সাবেক প্রেসিডেন্ট। তিনি তার ছেলের অটিজমের জন্য টিকাকে দায়ী করেন—যদিও এই দাবি কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণে প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো, বর্তমান সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিসলস (হাম) সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ২০০০ সালে দেশটি যখন মিসলস নির্মূল ঘোষণা করেছিল, তখন এমন প্রাদুর্ভাব কল্পনাও করা যেত না। কিন্তু বর্তমানে ১২০০-এর বেশি আক্রান্ত ও ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
এই বাস্তবতায় শিশুদের MMRV টিকা নিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। নিউ ইয়র্ক সিটি হেলথ + হসপিটালসের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সাইরা মাদাদ বলেন, "MMRV টিকা নিয়ে আলোচনা অবশ্যই বিজ্ঞাননির্ভর হওয়া উচিত, মতাদর্শের ভিত্তিতে নয়।"
হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এমেশ আদালজা সতর্ক করে বলেন, “ACIP যদি টিকা-বিরোধী মতবাদ প্রচারের প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়, তবে তারা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূলধারার বাইরে চলে যাবে।”
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ACIP-এর সুপারিশ শুধু সরকারি নীতিতে নয়, স্কুলে টিকা বাধ্যবাধকতা ও স্বাস্থ্যবিমা কাভারেজ নির্ধারণেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত দেশের শিশুস্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে—এমনটাই আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাবিদ ও জনস্বাস্থ্য মহল।
নীরব ঘাতক প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
পুরুষদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধরা পড়া ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম হলো প্রোস্টেট ক্যান্সার। বিশেষ করে ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদের জন্য এটি এক বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি। সমস্যা হলো, এই রোগটি প্রাথমিক অবস্থায় প্রায় নীরব থাকে। অনেক সময় কোনো উপসর্গই প্রকাশ পায় না, ফলে বেশিরভাগ পুরুষই বুঝতে পারেন না যে ভেতরে ভেতরে একটি বড় বিপদ বাড়ছে। তাই নিয়মিত পরীক্ষা এবং সতর্কতা অত্যন্ত জরুরি।
প্রোস্টেট গ্রন্থি মূত্রথলির নিচে অবস্থিত এবং এটি মূত্রনালিকে ঘিরে রাখে। টিউমার সাধারণত গ্রন্থির বাইরের দিকে তৈরি হয়, তাই শুরুর দিকে প্রস্রাবের ওপর তেমন প্রভাব পড়ে না। ফলে কোনো অস্বাভাবিকতা টের পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। বেশিরভাগ সময় যখন লক্ষণ চোখে পড়ে, তখন ক্যান্সার অনেকটাই ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্যই নিয়মিত পিএসএ রক্ত পরীক্ষা বা ডিজিটাল রেক্টাল এক্সাম (ডিআরই) গুরুত্বপূর্ণ, এমনকি যদি কোনো সমস্যা না থাকে।
যে লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে
অনেক পুরুষই প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রথম দিকের লক্ষণগুলোকে বয়সজনিত সমস্যা বা প্রোস্টেট বড় হওয়ার স্বাভাবিক প্রভাব ভেবে এড়িয়ে যান। অথচ এগুলোকে অবহেলা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
প্রস্রাবের ধরনে পরিবর্তন: প্রস্রাব শুরু বা থামাতে সমস্যা, প্রবাহ দুর্বল হওয়া বা থেমে থেমে আসা, বারবার প্রস্রাবের চাপ, হঠাৎ নিয়ন্ত্রণহীন প্রস্রাবের তাগিদ।
ব্যথা বা জ্বালা: প্রস্রাব বা বীর্যপাতের সময় অস্বস্তি শুধু সংক্রমণের কারণ নয়, প্রোস্টেট ক্যান্সারেরও ইঙ্গিত হতে পারে।
প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত: প্রস্রাব বা বীর্যে সামান্য রক্তও অবহেলা করা যাবে না, দ্রুত পরীক্ষা প্রয়োজন।
যৌন সমস্যা: হঠাৎ করে ইরেকশন ধরে রাখতে না পারা বা যৌন জীবনে অস্বাভাবিক পরিবর্তন।
অকারণ ব্যথা: কোমর, শ্রোণি বা উরুতে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা।
ঝুঁকিতে কারা?
যে কেউ প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে কিছু বিষয় ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
বয়স: সাধারণত ৫০-এর পর ঝুঁকি বাড়ে।
পারিবারিক ইতিহাস: বাবা বা ভাইয়ের এই রোগ থাকলে ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
অতিরিক্ত ওজন: স্থূলতা ঝুঁকি বাড়ানোর অন্যতম কারণ।
এই উপসর্গগুলো সবসময় ক্যান্সারের কারণে নাও হতে পারে। প্রোস্টেট বড় হয়ে যাওয়া (বিপিএইচ) বা মূত্রনালীর সংক্রমণের কারণেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। তাই নিজে নিজে অনুমান না করে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া দরকার।
কেন প্রাথমিক অবস্থায় ধরা জরুরি?
প্রোস্টেট ক্যান্সার সাধারণত ধীরে বাড়ে। তবে শুরুতেই ধরা পড়লে চিকিৎসা সহজ হয়, ঝুঁকি কমে এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। দেরি হলে চিকিৎসা জটিল হয়ে যায় এবং সুস্থ হতে সময়ও বেশি লাগে।
তাই ৫০ বছরের পর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের আরও আগে থেকেই সতর্ক হওয়া উচিত। প্রস্রাবের ধরনে পরিবর্তন, যৌন সমস্যা বা অকারণ ব্যথা অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জীবন বাঁচানোর জন্য জরুরি।
ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত
আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি। এটি সঠিকভাবে কাজ না করলে বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে, তাহলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না এবং বর্জ্য পদার্থ জমা হতে শুরু করে। এর ফলে কিছু সুস্পষ্ট লক্ষণ দেখা দেয়, যা সময়মতো চিহ্নিত করা জরুরি।
কিডনি সমস্যার প্রধান লক্ষণসমূহ
১. ফোলাভাব: কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হতে পারে না। এর ফলে পা, গোড়ালি, হাত বা চোখের নিচে ফোলাভাব দেখা দেয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ফুলে থাকলে, সেটি উপেক্ষা করবেন না।
২. ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে বর্জ্য জমে ক্লান্তি আসে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতির (রক্তাল্পতা) কারণেও দুর্বলতা বাড়ে।
৩. ক্ষুধা কমে যাওয়া ও বমি বমি ভাব: কিডনির সমস্যায় শরীরে টক্সিন জমা হয়। ফলে ক্ষুধা মরে যায়, মুখে ধাতব স্বাদ আসে এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
৪. ত্বক শুষ্ক ও চুলকানিযুক্ত হয়ে যাওয়া: কিডনি খনিজের ভারসাম্য ঠিক না রাখতে পারলে ফসফরাস বেড়ে যায়। এতে ত্বকে চুলকানি ও শুষ্কভাব দেখা দেয়।
৫. শ্বাসকষ্ট: কিডনি ব্যর্থ হলে শরীরে জমে থাকা পানি ফুসফুসে পৌঁছাতে পারে, ফলে শ্বাসকষ্ট বা বুক ভারী লাগার সমস্যা হতে পারে।
কিডনি সুস্থ রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
লবণ ও প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান।
রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
এই পদক্ষেপগুলো মেনে চললে কিডনিকে সুস্থ রাখা সম্ভব এবং সম্ভাব্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো যেতে পারে।
মোবাইলে স্ক্রলিং বাড়াচ্ছে পাইলসের ঝুঁকি
আপনি কি শৌচালয়ে বসে মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ স্ক্রল করেন? গবেষণা বলছে, এই অভ্যাসটি পাইলস বা অর্শের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যাঁরা প্রাতঃকৃত্য বা অন্যান্য কাজের জন্য দীর্ঘসময় কমোডে বসে থাকেন, তাঁদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা।
পাইলস কী ও কেন হয়?
পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারের চারপাশের শিরা ফুলে যাওয়া, যা সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্য বা দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে হয়ে থাকে। শিরা ফুলে গেলে মলত্যাগের সময় প্রবল চাপ এবং তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হয়। গুরুতর ক্ষেত্রে মলের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় কমোডে বসে মোবাইল ব্যবহার করলে পায়ুদ্বারের শিরার ওপর চাপ আরও বাড়ে। সামনের দিকে ঝুঁকে বসার ভঙ্গি এই চাপকে তীব্র করে তোলে এবং অর্শের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
অর্শের অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে কোষ্ঠকাঠিন্য, ফাইবারহীন খাদ্যাভ্যাস, স্থূলত্ব এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থার কারণে শরীরে অতিরিক্ত চাপ।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
১. সময় সীমিত করুন: কমোডে অকারণে দীর্ঘ সময় বসবেন না; প্রাতঃকৃত্যের জন্য ৫ মিনিট বরাদ্দ করুন।
২. খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন: খাদ্যে রাখুন সলিউবল ফাইবারযুক্ত খাবার, সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন।
৩. শারীরিক সক্রিয়তা: শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা জরুরি, যাতে মলদ্বারের শিরাগুলোর ওপর চাপ কমানো যায়।
গবেষকরা সতর্ক করে বলছেন, দৈনন্দিন অভ্যাসে পরিবর্তন না আনা হলে পাইলসের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। তাই শারীরিক ও খাদ্যাভ্যাসের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।
সূত্র: এই সময়।
সরকার টিকা ক্রয়ের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে
অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি (ACCEA) আজ মূলত অনুমোদন দিয়েছে যে, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (Expanded Programme on Immunization - EPI) এর টিকা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (Direct Procurement Method - DPM) মাধ্যমে ইউনিসেফের মাধ্যমে গাভি (GAVI) থেকে সংগ্রহ করা হবে।
কমিটির ৩০তম বৈঠকটি আজ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ড. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, প্রস্তাবিত টিকা ক্রয়কে প্রাথমিকভাবে অর্থবছর ২০২৫-২৬-এর তিন মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এখন আমরা তিন মাসের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে অনুমোদন দিচ্ছি। পরবর্তীতে আমরা প্রতিযোগিতামূলক নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করার চেষ্টা করব।”
কমিটির এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের টিকাদান কর্মসূচি নিরবিচ্ছিন্নভাবে চলমান রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে। বিশেষ করে, শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাভি ও ইউনিসেফের মাধ্যমে সরাসরি টিকা ক্রয় নিশ্চিত হলে, সময়মতো টিকা সরবরাহে ব্যাঘাতের ঝুঁকি কমবে এবং দেশের ইমিউনাইজেশন কর্মসূচি আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।
-নাজমুল হাসান
নীরব ঘাতক: যে ৫টি খাবার কিডনির ক্ষতি করছে
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনির যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু আমরা প্রায়ই এমন কিছু খাবার খাই, যা কিডনির ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে এবং দীর্ঘমেয়াদে এর ক্ষতি করতে পারে।
১. অতিরিক্ত লবণ
খাবারে বেশি লবণ ব্যবহার করলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। এতে কিডনিকে অতিরিক্ত পানি বের করতে বেশি কাজ করতে হয়, যা কিডনির ওপর চাপ তৈরি করে। অতিরিক্ত লবণ খেলে কিডনির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
২. অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
মিষ্টি পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর চিনি থাকে। অতিরিক্ত চিনি খেলে স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ হতে পারে, যা কিডনি রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।
৩. অ্যালকোহল
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে তা কিডনি ও লিভারের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করে। কিডনির প্রধান কাজ হলো শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে বের করে দেওয়া। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এবং কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়।
৪. লাল মাংস
লাল মাংসে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করলে তা কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে, কারণ প্রোটিন হজম হওয়ার পর যে বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়, তা কিডনিকে ফিল্টার করতে হয়। বিশেষ করে কিডনি রোগীদের জন্য লাল মাংস খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।
৫. ক্যাফেইন
অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে, যা কিডনির জন্য ক্ষতিকর। চা, কফি, এনার্জি ড্রিংকস বা কোমল পানীয়তে প্রচুর ক্যাফেইন থাকে। তাই এসব পানীয় অতিরিক্ত পরিমাণে পান করা উচিত নয়।
কিডনি সুস্থ রাখতে এই খাবারগুলো পরিহার করা জরুরি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান এবং নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে মাত্র ৫টি সহজ উপায়ে
ডায়াবেটিস এখন আর নির্দিষ্ট বয়সের রোগ নয়, বরং গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত এর বিস্তার ঘটেছে। চিকিৎসকদের মতে, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, স্থূলতা এবং মানসিক চাপ—এগুলোই ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ।
আমাদের শরীরে ইনসুলিন নামক হরমোন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অগ্ন্যাশয় যখন যথেষ্ট ইনসুলিন উৎপাদন করতে পারে না, তখনই রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস হয়। তবে এটি এমন কোনো রোগ নয়, যার জন্য পছন্দের সব খাবার বাদ দিতে হবে। বরং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন এনেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এ বিষয়ে ভারতীয় পুষ্টিবিদ ডা. অর্চনা বাত্রা পাঁচটি সহজ উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছেন:
১. প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার
স্ন্যাকস হিসেবে চিপস বা মিষ্টি বিস্কুটের বদলে গাজর-শসার স্টিকস, অঙ্কুরিত মুগ-ডালিমের চাট বা কালো ছোলার চাট খেতে পারেন। ফাইবার ও প্রোটিনে ভরপুর এই খাবারগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।
২. মিষ্টি পানীয়ের বদলে ইনফিউজড ওয়াটার
সফট ড্রিংক বা মিষ্টি চা-কফি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এর পরিবর্তে লেবু, বেরি, শসা বা পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি পানীয়, কিংবা চিনি ছাড়া হার্বাল চা পান করুন। ফলের রসের বদলে আস্ত ফল খেলে তার ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. বেশি স্টার্চযুক্ত সবজি এড়িয়ে চলুন
আলু বা ভুট্টার মতো বেশি স্টার্চযুক্ত সবজি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায়। তাই এই ধরনের সবজির বদলে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ব্রকোলি, ফুলকপি বা বেল পেপারের মতো কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত সবজি রাখুন।
৪. প্রক্রিয়াজাত স্ন্যাকসের বদলে বাদাম ও বীজ
চিপস বা ক্র্যাকারসের পরিবর্তে কাঠবাদাম, আখরোট, চিয়া বা ফ্ল্যাক্স সিডের মতো বাদাম ও বীজ খেতে পারেন। এগুলোতে থাকা প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবার রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. সাদা শস্যের বদলে পূর্ণ শস্য
সাদা চাল, সাদা পাউরুটি বা সাধারণ পাস্তার বদলে ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া বা হোল-হুইট ব্রেড বেছে নিন। পূর্ণ শস্যের ফাইবার গ্লুকোজকে ধীরে ধীরে শোষিত হতে সাহায্য করে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায় না।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ছোট ছোট সচেতন পরিবর্তন খুবই কার্যকর। দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রায় এই পরিবর্তনগুলো আনলেই সুস্থ থাকা সম্ভব।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষদের শরীর ও আচরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি হরমোন। পেশির ঘনত্ব, হাড়ের গঠন, মানসিক অবস্থা এবং সার্বিক সুস্থতার পাশাপাশি যৌন আকাঙ্ক্ষা ও সক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা অপরিহার্য। যদিও নারী-পুরুষ উভয়ের শরীরেই এই হরমোন থাকে, তবে পুরুষের শরীরে এর পরিমাণ অনেক গুণ বেশি, যার ঘাটতি হলে তা বিভিন্ন সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
টেস্টোস্টেরনের ভূমিকা
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, বয়ঃসন্ধিকালের পর ছেলেদের শরীরে এই হরমোনের মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। এর প্রভাবে দাড়ি-গোঁফ গজানো, যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা এবং মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণের মতো পরিবর্তনগুলো আসে। তার মতে, একজন পুরুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা অনেকাংশেই এই হরমোনের মাত্রার ওপর নির্ভরশীল।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেস্টোস্টেরনের প্রভাবে হাড় ও মাংসপেশির ঘনত্ব বাড়ে, কণ্ঠস্বর ভারী হয়, এবং লোম বাড়ে। এটি যৌন ক্রিয়া ও প্রজনন সক্ষমতাও বাড়ায়। সাধারণত, ১৭ বছর বয়সে এবং তার পরবর্তী দুই থেকে তিন দশক পর্যন্ত এই হরমোনের মাত্রা সর্বোচ্চ থাকে। একজন সুস্থ পুরুষ দিনে প্রায় ছয় মিলিগ্রাম টেস্টোস্টেরন উৎপাদন করে।
টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ও এর কারণ
কম টেস্টোস্টেরনের কারণে যৌন তাড়না কমে যাওয়া, অণ্ডকোষ সংকুচিত হওয়া, বন্ধ্যাত্ব, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি এবং কাজে উৎসাহের অভাব দেখা দিতে পারে। ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অণ্ডকোষের কোনো ক্ষতি হলে এই হরমোনের ঘাটতি হয়। বাংলাদেশে বয়ঃসন্ধিকালে মামস (mumps) আক্রান্ত হলে তা অণ্ডকোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির পথ তৈরি করে। এছাড়া, অতিরিক্ত গরম, রেডিয়েশন, অতিরিক্ত মদ্যপান, কিডনি বা লিভারের রোগ এবং কিছু ওষুধের কারণেও এই ঘাটতি হতে পারে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, বংশগত বা অন্য কোনো কারণে যদি এই হরমোনের মাত্রা কমে যায়, তার কোনো একক চিকিৎসা নেই। তবে কিছু জীবনযাত্রার অভ্যাস পরিবর্তন করে এর মাত্রা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব। এর মধ্যে রয়েছে:
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
- অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও মাদক থেকে দূরে থাকা
ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, দেহের ওজন কমানো এবং অতিরিক্ত গরম বা রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকলে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি প্রতিরোধ করা যায়। তিনি আরও বলেন, এই হরমোনের ঘাটতিজনিত চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক, মাত্রাভিত্তিক নয়। হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা সম্ভব, তবে এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করা উচিত, কারণ এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকতে পারে।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: বুকে ব্যথা না থাকলেও যে লক্ষণগুলো জানা জরুরি
হার্ট অ্যাটাক মানেই বুক চেপে ধরা ব্যথা—এই ধারণাটি অনেকের মধ্যে প্রচলিত। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, সব হার্ট অ্যাটাক এমন স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। কখনো কখনো কোনো রকম বড় ব্যথা বা লক্ষণ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, যাকে বলা হয় ‘নীরব হার্ট অ্যাটাক’ বা Silent Heart Attack। এটি অনেক সময় ধরা পড়ে না, কিন্তু এর পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
হার্ট অ্যাটাকের কারণ ও সাধারণ লক্ষণ
সাধারণত, হার্টের রক্তনালিতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাক হয়। এতে হার্টের পেশিগুলোতে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না এবং তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ হলো বুকের মাঝখানে হঠাৎ করে তীব্র ব্যথা, যা বিশ্রাম নিলেও কমে না। এর সঙ্গে ঘাম, বমিভাব বা বমি হওয়ার অনুভূতিও হতে পারে।
নীরব হার্ট অ্যাটাক: যারা বেশি ঝুঁকিতে
গবেষণা বলছে, প্রতি ৫ জন হার্ট অ্যাটাক রোগীর মধ্যে একজনের হয় নীরব হার্ট অ্যাটাক। এই ধরনের অ্যাটাক সাধারণত বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস বা স্নায়বিক সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি, এবং যারা নিয়মিত ব্যথানাশক বা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খান, তাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। নারীদের মধ্যেও এই ধরনের অ্যাটাকের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
বুকে ব্যথা না থাকলেও নীরব হার্ট অ্যাটাকের কিছু উপসর্গ থাকে, যেমন:
হঠাৎ হাতে, কাঁধে, চোয়ালে বা পিঠের ওপর দিকে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি।
গ্যাসের মতো পেটে অস্বস্তি বা বদহজম।
হঠাৎ অতিরিক্ত ক্লান্তি বা শ্বাসকষ্ট।
মাথা ঝিমঝিম করা বা মাথাব্যথা।
অতিরিক্ত ঘাম বা রক্তচাপ কমে যাওয়া।
কীভাবে ধরা পড়ে?
নীরব হার্ট অ্যাটাক নির্ণয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা করা হয়। যেমন: ইসিজি (ECG), ট্রপোনিন টেস্ট (রক্তের বিশেষ পরীক্ষা) এবং ইকোকার্ডিওগ্রাম। যদি উপরোক্ত কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি।
নীরব হার্ট অ্যাটাক ধরা না পড়লে হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে, পাম্পিং কমে যেতে পারে এবং জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই যেকোনো অস্বাভাবিকতাকে গুরুত্ব দিন, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান এবং ধূমপান বা অনিয়মিত জীবনযাপন থেকে দূরে থাকুন। সতর্কতা, সচেতনতা এবং সময়মতো পদক্ষেপই পারে জীবন বাঁচাতে।
কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
বর্তমানে উচ্চ কোলেস্টেরল একটি বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা কেবল বয়স্কদের নয়, তরুণদেরও সমানভাবে আক্রান্ত করছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, ধূমপান ও অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। অথচ চিকিৎসকরা বলছেন, জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলে মাত্র এক মাসেই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
সুষম আহার
কোলেস্টেরল কমাতে খাদ্যতালিকায় গোটা শস্য, প্রচুর শাকসবজি ও ফল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। শস্যে থাকা পুষ্টি উপাদান ও খনিজ পদার্থ এ ক্ষেত্রে সহায়ক। নিয়মিত তরমুজ, পেয়ারা, আপেল, কমলা, কলা ও পেঁপে খেলে স্বাস্থ্যকর ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণ
ধূমপান কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, তাই অবিলম্বে এই অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। যারা মদ্যপান করেন, তাদেরও এটি পরিহার করা উচিত।
নিয়মিত শরীরচর্চা
বাড়িতে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম এবং নিয়মিত হাঁটা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। সকালে কিছু সময় যোগাসন ও ধ্যানের জন্য বরাদ্দ রাখলে মানসিক চাপও কমে।
মানসিক চাপ কমান
অতিরিক্ত মানসিক চাপ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। নিয়মিত ধ্যান, যোগব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মনকে ভালো রাখতে গান শোনা, বই পড়া কিংবা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোও উপকারী হতে পারে।
কোলেস্টেরল কমানো একদিনের কাজ নয়, তবে এই সহজ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে মাত্র ৩০ দিনেই ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা সম্ভব। সুষম খাবার, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাই হলো সুস্থ থাকার কার্যকর উপায়।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
পাঠকের মতামত:
- ‘নিখোঁজ’ মামুনুর রশিদকে দ্রুত ফেরত চান জামায়াত আমির
- সারজিস আলম: ‘খুনি হাসিনার বিচারের আগে নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’
- পাকিস্তানকে হারানোর মিশনে দারুণ শুরু বাংলাদেশের, চাপে পাকিস্তান
- ‘আর জীবনে ইন্টারনেট দেব না’: ইনু-শেখ হাসিনার কথোপকথন
- সিলেটে ডিসি অফিস ঘেরাও, নগরভবনে ইটপাটকেল: রিকশাচালকদের তাণ্ডব
- অঘোষিত সেমিফাইনাল: টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত, দেখে নিন পরীক্ষার সময়সূচি
- মেয়ের লাশ ২০ বছর ধরে ডিপ ফ্রিজে রেখে দেন মা
- ইসরায়েলের তেল আবিবে গাড়ি বিস্ফোরণ
- রাজনৈতিক চাপের কারণে শাপলা প্রতীক দিতে পারছে না ইসি: এনসিপি নেতা
- ‘আমাকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা হয়নি’: ডা. তাসনিম জারা
- ‘আমাকে ধরতে চাইলে আপনারাও ধরা পড়বেন’: তামিম ইকবাল
- ভারতের লাদাখে বিক্ষোভের নেপথ্যে বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান?
- ‘যারা কম জনপ্রিয়, তাদের জন্যই পিআর লাভজনক’: সালাহউদ্দিন আহমদ
- যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের কড়া সমালোচনা করলেন ড. ইউনূস
- কম পুঁজিতে শুরু করা সম্ভব লাভজনক ৪টি ব্যবসা
- ইয়াবার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে চাল-সার পাচার হয়: কৃষি উপদেষ্টা
- ‘শাপলা প্রতীক কেন দেব না, তার ব্যাখ্যা দেব না’: সিইসি
- ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে জামায়াতের ইন্ধন’: রুহুল কবির রিজভী
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবারের লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবারের টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- আমিরাতে ধরপাকড় বেড়েছে, বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
- ‘৭১ এ হারাইছি, আজকেও হারাবো’: চমক
- গাজায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অঙ্গচ্ছেদ হওয়া শিশু: ইউএনআরডব্লিউএ
- গাজায় শান্তি ফেরাতে ট্রাম্পের ২১-দফা পরিকল্পনা
- নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন
- বাঁচা-মরার লড়াই: পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশর একাদশে কারা থাকছেন?
- চার বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন ড. ইউনূস, সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়: প্রেস সচিব
- কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরছেন তারেক রহমান
- ভিকি-ক্যাটরিনার সুখবর: সালমানের নামে ভাইরাল হলো ভুয়া পোস্ট
- পাবজি খেলার নেশায় মা ও তিন ভাইবোনকে হত্যা
- ডেনমার্কের আকাশে আবারও ‘রহস্যময়’ ড্রোন, বন্ধ হলো আলবর্গ বিমানবন্দর
- ফ্যাশনপ্রেমীদের আলোচনায় দিশা পাটানির নতুন লুক
- পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ পেলেন ড. ইউনূস
- সাবধান! ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে যে ৫ ধরনের অ্যাপ
- উত্তর কোরিয়ার হাতে দুই টন ইউরেনিয়াম, সতর্ক করল সিউল
- মেসির জোড়া গোল, নিউইয়র্ককে উড়িয়ে প্লে-অফে ইন্টার মায়ামি
- জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো নির্দিষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হ্রাসের প্রতিশ্রুতি বেইজিংয়ের
- নিউইয়র্কে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস রাউন্ডটেবিলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলেন প্রধান উপদেষ্টা
- মানবাধিকার ও শ্রম অধিকার ইস্যুতে জাতিসংঘে সক্রিয় প্রধান উপদেষ্টা
- নিউইয়র্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
- মানাসলুর শীর্ষে বাংলাদেশের পতাকা: নতুন ইতিহাস গড়লেন তৌফিক আহমেদ তমাল
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা নিখোঁজ, দাবি হাসনাতের
- খাবার পানি লবণমুক্ত হবে না, ২৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ক্ষুব্ধ খুলনাবাসী
- এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারত, বাংলাদেশের সামনে ফাইনালের কঠিন সমীকরণ
- ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
- জাতিসংঘের আহ্বান উপেক্ষা করে গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত
- প্রিমিয়ার গ্রুপের প্রতিবাদ: ২৮৭ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ভিত্তিহীন
- বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এশিয়া কাপ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, দেখে নিন আজকের খেলার সূচি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল কানাডা
- দিল্লি হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে জ্যাকুলিন ফের্নান্দেজের আপিল
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- তামিম ইকবালের অভিযোগ: বিসিবি নির্বাচনে ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ চলছে
- বিএনপি ক্ষমতায় এলে কুমিল্লা বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হবে: ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন