ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১৩:১৬:৪৭
ঢাকায় অবতরণ, প্রথম যোগাযোগ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে
ছবি: সংগৃহীত

বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশে ফেরার পরপরই তারেক রহমান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ঢাকায় অবতরণের পর বিমানবন্দরে নেমেই তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস–এর সঙ্গে।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইট বাংলাদেশ বিমান–এর বিজি ২০২ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। দীর্ঘদিন পর তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বিমানবন্দরে ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ।

বিমান থেকে নেমে ভিআইপি লাউঞ্জে প্রবেশ করলে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। সেখানে এক আবেগঘন মুহূর্তে অপেক্ষারত তার শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু তাকে গোলাপ ফুলের মালা পরিয়ে স্বাগত জানান। পরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি।

ভিআইপি লাউঞ্জেই অবস্থানকালে তারেক রহমান মোবাইল ফোনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন। আলাপকালে তিনি অধ্যাপক ইউনূসের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং দেশে ফেরার পুরো প্রক্রিয়ায় গৃহীত নিরাপত্তা ও প্রটোকল ব্যবস্থার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন সমীকরণ ও আলোচনার সূচনা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিএনপি সূত্রের মতে, এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, তারেক রহমানের সঙ্গে একই ফ্লাইটে দেশে এসেছেন তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। পরিবারসহ তার দেশে ফেরা রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

-রফিক


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১২:০১:৩৭
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে নতুন বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে স্বদেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রভাবশালী নেতা সারজিস আলম। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক দীর্ঘ পোস্টে তিনি তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। সারজিস আলম তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন যে স্বৈরাচারের পতন এবং পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির এই সন্ধিক্ষণে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সারজিস আলম তাঁর ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রায় দেড় যুগ পর বাংলাদেশে ফিরছেন। স্বৈরাচারের পতন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি, নানা উত্থান-পতন, রাজনৈতিক ক্রমধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে তিনি আজ বাংলাদেশে আসছেন। আমরা ২৪ এর অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে স্বাগত জানাই।” তাঁর এই বার্তাটি রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, কারণ এনসিপি ও বিএনপির মধ্যকার আগামীর সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক কৌতূহল ছিল।

আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার লড়াইয়ে বিএনপির সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে সারজিস আরও লেখেন, “পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান বাস্তবতাকে সামনে রেখে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক লড়াই, আধিপত্যবাদবিরোধী লড়াই থেকে শুরু করে আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ার পথে বাংলাদেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা কাজ করে যাব, এটাই প্রত্যাশা। স্বাগতম।” সারজিসের এই মন্তব্যকে বিশ্লেষকরা আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক শক্তির বৃহত্তর ঐক্যের ডাক হিসেবে দেখছেন।

এদিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি ইতিমধ্যেই ঢাকার আকাশে অবস্থান করছে। সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে সিলেটে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি শেষে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সেটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভেতরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজিরবিহীন কড়াকড়ি লক্ষ্য করা গেছে। সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত নিরাপত্তা বলয় বিমানবন্দর এলাকাটিকে দুর্ভেদ্য করে তুলেছে। সাধারণ জনতার প্রবেশাধিকার না থাকলেও বিমানবন্দরের আশপাশে উৎসুক মানুষের ভিড় বেড়েই চলেছে। সারজিস আলমের এই স্বাগত বার্তা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝেও বাড়তি উদ্দীপনা জুগিয়েছে।


ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১১:৪৪:১০
ঢাকার মাটিতে তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রবাসে কাটানোর পর অবশেষে নিজ জন্মভূমির মাটিতে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭-৯০০ উড়োজাহাজটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ করে। এর আগে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে বিমানটি সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি বা ‘গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড’ সম্পন্ন করে। লণ্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে এই ঐতিহাসিক ফ্লাইটে সপরিবারে দেশের উদ্দেশ্যে ডানা মেলেছিলেন তিনি।

তারেক রহমানের ফিরে আসা কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা আজ এক উৎসবমুখর এবং নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি সরাসরি ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ বুলেটপ্রুফ বা বুলেট নিরোধক গাড়ি ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অভ্যর্থনা শেষে তিনি সড়কপথে কুড়িল হয়ে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। সেখানে সমবেত লক্ষ লক্ষ জনতার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেবেন।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারেক রহমান দুপুর ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সংবর্ধনা স্থলে অবস্থান করবেন। এরপর তিনি সড়কপথে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের দিকে যাত্রা করবেন যেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর মা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ১৭ বছর পর মা ও ছেলের এই পুনর্মিলন দেশের রাজনীতিতে এক আবেগঘন মুহূর্ত তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করবেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমীকরণে এক বিশাল পরিবর্তনের সংকেত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাধারণ দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বেবিচক। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সোয়াট টিম এবং র‍্যাবের বিশেষ ইউনিটগুলোকে পুরো রুট জুড়ে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। তাঁর সাথে একই ফ্লাইটে বিএনপির আরও প্রায় ৫০ জন নেতাকর্মী স্বদেশে ফিরেছেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।


বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১১:৩২:৩৮
বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ অবিস্মরণীয় দিন: সালাহউদ্দিন আহমেদ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের গত সাড়ে পাঁচ দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসে আজ এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় রচিত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন যে বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির গত ৫৫ বছরের ইতিহাসে আজ যা ঘটতে যাচ্ছে তা সমসাময়িক রাজনীতিতে এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে এবং পুরো দেশবাসী সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে প্রহর গুনছে।

দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চলা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের কথা স্মরণ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ উল্লেখ করেন যে ছাত্র জনতার অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমেই এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি এসেছে। তাঁর মতে ফ্যাসিবাদের পতনের পর বর্তমানে দেশে যে মুক্তির আবহ বিরাজ করছে তারেক রহমানের ফিরে আসা সেই আবহে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তিনি মনে করেন যে এই প্রত্যাবর্তন কেবল একজন নেতার ঘরে ফেরা নয় বরং এটি বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার এক প্রতীকী বিজয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্যে সর্তকবার্তা উচ্চারণ করে বলেন যে ফ্যাসিবাদের দোসর এবং তাদের দেশি-বিদেশি মিত্ররা এখনও সক্রিয় রয়েছে। তারা বাংলাদেশের এই গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির সামনে এই ধরণের অপচেষ্টা কেবল তাদের জন্যই ‘দুঃস্বপ্ন’ হয়ে থাকবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। অগণতান্ত্রিক উপায়ে যারা দেশের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করতে চায় তাদের সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা।

ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র কাঠামো সম্পর্কে তিনি বলেন যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পর বিএনপি একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায়। সুশাসিত বাংলাদেশ গড়ার যে নতুন আকাঙ্ক্ষা সাধারণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই তা পূর্ণতা পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। বিমানবন্দরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির একঝাঁক সদস্যের উপস্থিতিতে তারেক রহমানকে বরণ করে নেওয়ার মাধ্যমে আজ এক উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১১:০৮:১৯
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে শীর্ষ নেতাদের ভিড়
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সালাহউদ্দিন আহমদ ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর আজ স্বদেশের মাটিতে ফিরে আসছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁকে রাজকীয় অভ্যর্থনা জানাতে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা ইতিমধ্যেই বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অবস্থান নিয়েছেন। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর এলাকায় এক উৎসবমুখর এবং আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে বিমানবন্দরে উপস্থিত রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলসহ দলের একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে বুধবার লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তাঁর এই ফিরে আসাকে বিএনপির রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী তারেক রহমানকে বহনকারী বিমানটি আজ সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি বা 'গ্রাউন্ড টার্নঅ্যারাউন্ড' শেষে সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে বিমানটি পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ডানা মেলবে। সব ঠিক থাকলে দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন তিনি। বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন যেখানে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী তাঁর অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।

তারেক রহমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ডিএমপির বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনার পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারিও কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এটি কেবল একজন রাজনৈতিক নেতার ফিরে আসা নয় বরং এটি গণতন্ত্রকামী মানুষের দীর্ঘ লড়াইয়ের এক বড় বিজয়। বিকেল নাগাদ তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


দেশের মাটিতে তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ১০:১০:০৪
দেশের মাটিতে তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৭ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে তাঁকে বহনকারী বিশেষ বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১৭ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে তিনি স্বদেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তাঁর সাথে একই বিমানে দেশে ফিরেছেন সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। সিলেট বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাঁকে এক নজর দেখতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে।

সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তারেক রহমান ভিআইপি লাউঞ্জ ‘রজনীগন্ধা’য় কিছুক্ষণ অবস্থান করবেন। প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তিনি আকাশপথে বা সড়কপথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। ঢাকায় পৌঁছে তিনি কুড়িল হয়ে সরাসরি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় নির্মিত বিশাল গণসংবর্ধনা মঞ্চে উপস্থিত হবেন। সেখানে লক্ষ লক্ষ সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেবেন। সূচি অনুযায়ী বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত তিনি সংবর্ধনা স্থলে অবস্থান করবেন এবং এরপর বসুন্ধরা জি ব্লকের গেট দিয়ে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন।

বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাঁর। দীর্ঘ দেড় যুগ পর মা ও ছেলের এই পুনর্মিলন এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর তিনি গুলশান অ্যাভিনিউয়ের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় যাবেন। তারেক রহমানের এই সফরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে তিন স্তরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

নিরাপত্তার স্বার্থে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দর্শনার্থী প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। বিমানবন্দর এবং সংলগ্ন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি সোয়াট (SWAT) টিমকে স্ট্যান্ডবাই বা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন মোড় ঘটাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ০৯:২৮:৩২
জামায়াতের সঙ্গী হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তরুণদের নেতৃত্বাধীন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতায় যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। দীর্ঘ আলোচনার পর বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির কোনো সুযোগ তৈরি না হওয়ায় এনসিপি নেতৃত্ব এই বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের দুই দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে সরাসরি জোট করার চেয়ে ‘আসন সমঝোতা’র বিষয়টিতেই উভয় পক্ষ বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সংস্কার এবং বিচারিক মৌলিক কিছু ইস্যুতেও দুই দল একমত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্র অনুযায়ী, এনসিপি অন্তত ৫০টি আসনের নিশ্চয়তা চেয়েছে তবে জামায়াতে ইসলামী ৩০টি আসন ছাড়ার প্রাথমিক ইঙ্গিত দিয়েছে। এই সমঝোতার আওতায় এনসিপির বর্তমান জোটসঙ্গী আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রার্থীরাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেন। এনসিপি এরই মধ্যে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং দ্বিতীয় ধাপে আরও ৪০-৫০ জনের নাম চূড়ান্ত করেছে। জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা চূড়ান্ত হলে এনসিপির শীর্ষ নেতাদের আসনেও রদবদল হতে পারে। এমনকি অনেক হেভিওয়েট নেতা ঢাকার আসন ছেড়ে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী লড়াইয়ে নামতে পারেন।

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে অন্য কোনো দলের সঙ্গে সমঝোতা হলেও এনসিপির প্রার্থীরা কখনোই ‘ধানের শীষ’ বা অন্য কোনো প্রতীকে নির্বাচন করবেন না। তারা নিজেদের ‘শাপলা কলি’ প্রতীকেই ভোটের মাঠে থাকবেন। এমনকি যেসব দলের নিবন্ধন নেই তারা শাপলা কলিতেই ভরসা রাখতে চাচ্ছেন। এনসিপি নেতাদের মতে, দেশের বড় দলগুলো গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হচ্ছে যা রাজনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের পর তরুণ সমাজের মধ্যে এক ধরণের ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে যা রুখতে সংসদে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব প্রয়োজন।

এদিকে ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ এর ব্যানারে এবি পার্টি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনও নিজেদের প্রস্তুতি গুছিয়ে আনছে। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু জানিয়েছেন যে তারা ইতিমধ্যেই ১০৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। আগামীতে জোটগতভাবে সমন্বিত প্রার্থী তালিকা এবং রাজনৈতিক ইশতেহার প্রকাশ করা হবে। তবে বাস্তবতার বিচারে জামায়াতের সঙ্গে একটি শক্তিশালী নির্বাচনী ঐক্য গড়ে তুলতে পারলে বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন জোটের নেতারা। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই এই নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।


ছয় স্তরের অভেদ্য নিরাপত্তায় তারেক রহমান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৫ ০৯:১৯:১৫
ছয় স্তরের অভেদ্য নিরাপত্তায় তারেক রহমান
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লণ্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা এখন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন শাখা এবং বিশেষায়িত গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ছয় স্তরের এক অভেদ্য সুরক্ষা বলয়। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন। বিমানবন্দর থেকে তাঁর গন্তব্যস্থল পর্যন্ত পুরো এলাকাটিকে বিশেষ নিরাপত্তা জোনে পরিণত করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় এভারকেয়ার হাসপাতাল, বিমানবন্দর এবং ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় সকল প্রকার ড্রোন উড্ডয়ন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছে বিশেষ রণকৌশল মাথায় রেখে। নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে সম্ভাব্য ‘স্নাইপার অ্যাটাক’ বা দূরপাল্লার বন্দুক হামলা ঠেকাতে মূল মঞ্চের অবস্থান অন্তত সাতবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়ের আশেপাশের সুউচ্চ ভবনগুলো থেকে সম্ভাব্য হামলার ‘অ্যাঙ্গেল’ বা কোণ গণনার পর মঞ্চের চূড়ান্ত স্থান নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া মঞ্চের ডায়াসটি সম্পূর্ণ বুলেটপ্রুফ বা বুলেট নিরোধক কাঁচ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। রাস্তা থেকে মূল মঞ্চের উচ্চতা রাখা হয়েছে ১৫ ফুট এবং দর্শকদের বসার স্থান এমন দূরত্বে রাখা হয়েছে যেন কোনো গ্রেনেড হামলা হলেও তার প্রভাব মূল মঞ্চ পর্যন্ত না পৌঁছায়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন যে অন্তত দুই শতাধিক সাদা পোশাকধারী সদস্য পুরো সময় ছায়ার মতো তারেক রহমানের চারপাশ ঘিরে রাখবে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে তাঁর ব্যক্তিগত কনভয় বা গাড়িবহরের সঙ্গে ডিবির সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারি বজায় রাখবে। সিএসএফ (চেয়ারপারসন্স সিকিউরিটি ফোর্স) ছাড়াও মিরপুর সেনানিবাসের এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ইউনিট, সেনাবাহিনীর ৪৬ ব্রিগেড, বিজিবি এবং র‍্যাবের চৌকশ দলগুলো বুধবার বিকেল থেকেই পুরো রুটটি পর্যবেক্ষণে রেখেছে। এমনকি স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর বড় বড় দালানের ছাদেও অবস্থান নিয়েছেন বিশেষ বাহিনীর সদস্যরা।

দলীয় সূত্রগুলো বলছে যে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী বা সিএসএফ সম্প্রতি পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং সদস্য সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে ১০ হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যে নিয়মিত ফ্লাইটে তিনি আসছেন সেখানেও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে দুজন কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার করে বিশেষ ভিআইপি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিমানবন্দরের ‘রেড জোনে’ তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে শুধুমাত্র দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অনুমতি দেওয়া হবে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তারেক রহমানকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বা ভিআইপি হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দেওয়া হলেও তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কোনো ধরণের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।


রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ২০:৪৪:৪০
রিকশায় চড়ে মনোনয়নপত্র কিনলেন আলোচিত বক্তা আমির হামজা
ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছে আলোচিত ইসলামি বক্তা ড. আমির হামজার উপস্থিতিতে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তিনি কোনো বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার না করে অত্যন্ত সাধারণ এক রিকশায় চড়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পৌঁছান। সেখানে তিনি কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন। এই সময় জেলা জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন। সচরাচর দাপুটে এবং চটকদার বক্তব্যের জন্য পরিচিত এই বক্তা বর্তমানে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষায় বেশ সতর্ক এবং অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছেন।

মনোনয়নপত্র সংগ্রহের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে আমির হামজা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন যে হত্যাকাণ্ড কখনোই কোনো সমাধান নয় এবং যারা হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাঁদের দ্রুত বিচার হওয়া প্রয়োজন। আমির হামজার মতে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে দেশি এবং বিদেশি অপশক্তির গভীর চক্রান্ত থাকতে পারে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে একটি বিশেষ মহল হাদি হত্যার প্রেক্ষাপটকে ব্যবহার করে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে দেশটিকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার নীল নকশা করছে। একটি নির্বাচিত সরকার না থাকলে দেশের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তা অতীতে দেখা গেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

নির্বাচনী মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে আমির হামজা বলেন যে তাঁরা অনেক আগে থেকেই সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েছেন। কুষ্টিয়া সদরের দুটি থানার প্রতিটি ঘরে তাঁদের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে বর্তমান নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকলে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন। আমির হামজা স্পষ্ট করে দেন যে কোনো ষড়যন্ত্রই যেন নির্বাচনকে ব্যাহত করতে না পারে সেদিকে নির্বাচন কমিশনকে সজাগ থাকতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আমির হামজার সাথে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজা উদ্দীন জোয়ার্দ্দার এবং শহর জামায়াতের আমির এনামুল হকসহ দলের জেলা ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। রিকশাযোগে তাঁর এই আগমনকে অনেকেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সংযোগের প্রতীক হিসেবে দেখছেন। কুষ্টিয়া সদর আসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আমির হামজার প্রার্থীতা স্থানীয় রাজনীতির সমীকরণ অনেকটা বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শান্ত ও শৃঙ্খলভাবে নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।


ভারত এবং আওয়ামী লীগ দেশ অস্থিতিশীল করছে: নাসীরুদ্দীন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২৪ ১৯:০২:১৪
ভারত এবং আওয়ামী লীগ দেশ অস্থিতিশীল করছে: নাসীরুদ্দীন
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেছেন যে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ এবং প্রতিবেশী দেশ ভারত বিভিন্ন উপায়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে তিনি এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী স্পষ্টভাবে জানান যে নির্বাচন কমিশন আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট আয়োজনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা থেকে যেন কোনোভাবেই সরে না আসে। নির্বাচন সময়মতো অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতেই তাঁরা আজ কমিশনের কাছে বিশেষ দাবি জানিয়েছেন।

বৈঠক পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এনসিপি নেতা বলেন যে নির্বাচন কমিশনের ভেতরে এখনো ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর সক্রিয় রয়েছে যারা বিভিন্ন স্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তিনি নির্বাচন কমিশনকে অধিকতর সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন যে আঞ্চলিক অফিসগুলোকে আরও শক্তিশালী এবং সক্রিয় করতে পারলে ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। কমিশনের সক্ষমতা বাড়ানো এবং প্রথমবারের মতো তিন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করার উদ্যোগকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি অনুরোধ করেন যেন কোনো ছোট ভুলের কারণে নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ পিছিয়ে না যায়।

নির্বাচনী প্রতীক এবং জোট প্রসঙ্গে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। তিনি ঘোষণা দেন যে এনসিপি অন্য কোনো দলের প্রতীকে নির্বাচন করবে না। তাঁরা নির্বাচনী মহাজোট বা 'ইলেকটোরাল অ্যালায়েন্স' করলেও নিজস্ব প্রতীক 'শাপলা কলি' নিয়েই ব্যালটে থাকবেন। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন যে সাময়িক সুবিধার জন্য কোনো দলেরই নিজস্ব স্বকীয়তা বিকিয়ে দেওয়া উচিত নয়। এছাড়া মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পুনর্মূল্যায়ন বা 'রিথিংকিং' করার জন্যও তিনি কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন।

দেশে চলমান বিভিন্ন বিশৃঙ্খলার কথা উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন যে এই আশঙ্কাগুলোকে মোকাবিলা করেই আমাদের নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। নির্বাচন কমিশন যেন কোনো ধরণের চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ফাঁদে না পা দেয় সেই বিষয়ে এনসিপি নজরদারি অব্যাহত রাখবে। যথাসময়ে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারলে দেশের গণতন্ত্র পুনরায় সুসংহত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

এক নজরে আজকের মুদ্রার বিনিময় হার

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান কারিগর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রসারে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের... বিস্তারিত