শেয়ারবাজারে মুনাফা বেড়েছে যেসব ব্যাংকের

২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে দেশের শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৬টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ব্যাংক তাদের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে ১৫টি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে, ১৭টি ব্যাংকের কমেছে, একটি অপরিবর্তিত রয়েছে এবং তিনটি ব্যাংক এখনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
মুনাফা বৃদ্ধির তালিকায় সবার আগে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্যাংকটি এ প্রান্তিকে ২ টাকা ২৭ পয়সা ইপিএস অর্জন করেছে, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা। উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে ব্যাংক এশিয়াও, যাদের ইপিএস ৬৭ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৪২ পয়সা।
প্রাইম ব্যাংক ইপিএসে ধারাবাহিক উন্নতি ধরে রেখেছে। এ প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৫ পয়সা, যা আগের বছরের তুলনায় ৬৯ পয়সা বেশি। উত্তরা ব্যাংক আগের বছরের ৬৯ পয়সা থেকে বেড়ে ১ টাকা ৪৬ পয়সা ইপিএস অর্জন করেছে, যা দ্বিগুণের কাছাকাছি।
পূবালী ব্যাংক কিছুটা কম হারে হলেও উন্নতি করেছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে তাদের ইপিএস ছিল ১ টাকা ৫৪ পয়সা, যা ২০২৫ সালে এসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। একইভাবে যমুনা ব্যাংক ইপিএসে ভালো অগ্রগতি দেখিয়েছে, ১ টাকা ৮৬ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৪ পয়সা।
ঢাকা ব্যাংক গত বছরের ৭৮ পয়সা থেকে ইপিএস বাড়িয়ে এনেছে ৮৪ পয়সায়। মার্কেন্টাইল ব্যাংক ২০২৪ সালের তুলনায় ইপিএসে ১১ পয়সা বেড়ে ৮৪ পয়সায় পৌঁছেছে। মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এ বছর অর্জন করেছে ৮৭ পয়সা ইপিএস, যা আগের বছরের ৭৮ পয়সার চেয়ে বেশি।
ইস্টার্ন ব্যাংকও এগিয়ে থেকেছে প্রবৃদ্ধির দৌড়ে। গত বছরের ১ টাকা ৭ পয়সা থেকে এবার ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সায়। মিডল্যান্ড ব্যাংক ১২ পয়সা থেকে বেড়ে ১৬ পয়সা অর্জন করেছে। যদিও সংখ্যা ছোট, এটি একটি ইতিবাচক প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।
এনসিসি ব্যাংক তাদের ইপিএস ১৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ২৫ পয়সা করেছে। এনআরবি ব্যাংকও ইপিএসে উন্নতি করেছে; গতবারের ২ পয়সা থেকে এবার ৬ পয়সা অর্জন করেছে। ওয়ান ব্যাংক ৩৯ পয়সা থেকে বেড়ে ৬১ পয়সা অর্জন করেছে, যা ২২ পয়সার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক গত বছরের তুলনায় ইপিএসে সামান্য উন্নতি করেছে ১৪ পয়সা থেকে বেড়ে ১৫ পয়সা হয়েছে। এদিকে, সিটি ব্যাংক একমাত্র ব্যাংক যাদের ইপিএস অপরিবর্তিত থেকে ৬৮ পয়সাই ছিল, যা ব্যাংকটির স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।
তবে এখনো গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক তাদের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব ব্যাংকের ভবিষ্যৎ আর্থিক প্রবণতা বিশ্লেষণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
সামগ্রিকভাবে বলা যায়, যেসব ব্যাংক ইপিএস বৃদ্ধি করেছে, তারা বাজারে তুলনামূলক ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। এরা দক্ষ ব্যয় নিয়ন্ত্রণ, সুদ আয়ের ভারসাম্য এবং কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে মুনাফায় এগিয়ে থাকতে পেরেছে। অন্যদিকে, প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় কিছু ব্যাংকের অবস্থান অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- দীর্ঘ পতনের পর শেয়ারবাজারে এল সুখবর!
- বিশ্ববিদ্যালয় সংকট, বাজেট বৈষম্য ও শিক্ষায় ন্যায্যতার দাবি
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের ১০টি বড় ক্ষতি
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মুখোমুখি বিশ্ব শক্তিগুলো
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় ভোট হবে কিনা জানালেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!
- এবার পাকিস্তানকে হামলার হুমকি দিল ইসরায়েল