ইরান ইসরাইলের যুদ্ধ
ইরান ছাড়ছে ব্রিটিশ দূতাবাস কর্মীরা—কী ঘটছে পর্দার আড়ালে?

মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে সাময়িকভাবে তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, এটি একটি ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’, যা বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রতি গভীর নজর রেখে নেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, “সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা ইরান থেকে আমাদের কিছু কর্মীকে সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করেছি। তবে আমাদের দূতাবাস দূরবর্তীভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।”
দূতাবাস বন্ধ না হলেও গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যক কর্মী সরিয়ে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা ও সম্ভাব্য কূটনৈতিক জটিলতার প্রভাব হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
এছাড়া চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যুক্তরাজ্য একই ধরনের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে ইসরায়েলে তাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেট থেকে কর্মীদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিল। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ পরিস্থিতির আশঙ্কা থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল উত্তেজনা, ইরান-ইসরায়েল সম্পর্কের অবনতি এবং সিরিয়ায় সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এমন পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর এখন পর্যন্ত ইরানে ভ্রমণ বা সেখানে অবস্থানরত নাগরিকদের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্কতা জারি না করলেও পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে
গাজার দীর্ঘদিনের সংঘাতের মধ্যেই তীব্র অনাহারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০১ জনে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ অনাহার ও অপুষ্টিতে ভুগছে, বিশেষ করে নারীদের ও শিশুদের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ইসরায়েলের সীমান্তে আকস্মিক হামলা চালায়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপক পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। এই সংঘাতের ফলস্বরূপ, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬১,৩৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৫২,৩৫৯ জন আহত হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। গাজা সিটি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। মন্ত্রিসভা যুদ্ধ শেষ করার জন্য পাঁচটি নীতি গৃহীত করেছে, যার মধ্যে একটি হলো হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয় এমন বিকল্প বেসামরিক সরকার গঠন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এই পদক্ষেপ দেশটির ভেতরে বিরোধিতার মুখে পড়েছে। হামাসের হাতে আটক থাকা জিম্মিদের পরিবার এই পরিকল্পনার কারণে তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এছাড়া এই সিদ্ধান্তের ফলে গাজার বেসামরিক জনগণের প্রাণহানির আশঙ্কাও বেড়েছে।
দেশটির সামরিক নেতৃত্ব ও বিরোধী দলও সতর্ক করে দিয়েছে যে, গাজা সিটি দখল নিয়ে এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক ক্ষোভ বাড়াতে পারে এবং ইসরায়েলকে আরো বিচ্ছিন্ন করতে পারে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা বেসামরিক জনগণের মানবিক সহায়তার সময় আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিকল্পনা মন্ত্রিসভার সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে অনুমোদিত হয়েছে।
/আশিক
আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী ১৫ আগস্ট আলাস্কায় সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিজেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আলাস্কায় ‘গ্রেট স্টেট অফ আলাস্কা’ এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে এই বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প আগে বলেছিলেন, পুতিনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ খুব শিগগিরই হতে যাচ্ছে। তবে বৈঠকের সঠিক তারিখ ও স্থান প্রকাশ করেননি, কারণ তিনি চাইছেন না এই খবর আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যবর্তী শান্তিচুক্তির গুরুত্বকে কমিয়ে দেয়। ওই শান্তিচুক্তি শুক্রবার হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, পুতিন যত দ্রুত সম্ভব এই বৈঠক করতে চান। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে কিছু এলাকা বিনিময় করবে। বিষয়টি জটিল হলেও, উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য ওই অঞ্চলগুলো অদলবদল হবে। এ ব্যাপারে আগামীকাল বা পরে আরও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় নেতারাও চান পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক। তিনি মনে করেন, উভয় নেতাই শান্তি চান। তবে জেলেনস্কিকে এখন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কিছু স্বাক্ষর করতে হবে, যার জন্য তিনি কঠোর পরিশ্রম করছেন।
গত বুধবার ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো সফর করেন এবং পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। চলতি বছরে এটি তার রাশিয়া সফরের পঞ্চম বার। এর আগে তিনি গত ২৫ এপ্রিল পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। ওই সফরটি রাশিয়াকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার ১০ দিনের সময়সীমার মাত্র দুই দিন আগে অনুষ্ঠিত হয়।
রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তা ইউরি উশাকভ বৈঠকটি ‘উপকারী ও গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।
/আশিক
ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল ইরাক
ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখল করার ইসরায়েলের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি এই পদক্ষেপকে গাজার নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে ‘ক্ষুধার নীতি’, বাস্তুচ্যুত করা এবং গণহত্যার অংশ বলে অভিহিত করেছে। ইরাকের মতে, এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল এবং এর জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা উচিত।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) শাফাক নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বিবৃতিতে ইরাক ফিলিস্তিনি জনগণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার—বিশেষ করে জেরুজালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আইনগত ও মানবিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে এসব লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে দেশটি।
এদিকে টাইমস অব ইসরাইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা উপত্যকা দখলের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে থাকা বেসামরিক জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে ইসরায়েল যে পাঁচটি শর্ত দেবে, মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য তা সমর্থন করেছেন। শর্তগুলো হলো—
হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ
হামাসের হাতে থাকা ৫০ জিম্মিকে ফেরত আনা (যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত বলে ধারণা)
গাজা উপত্যকার নিরস্ত্রীকরণ
গাজায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ
হামাস বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ নয়, বরং বিকল্প কোনো বেসামরিক সরকারের হাতে গাজার শাসন হস্তান্তর
/আশিক
মোদিকে গোপন পরামর্শ দেবেন নেতানিয়াহু
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এর পেছনে মূলত দুটি কারণকে দায়ী করা হচ্ছে প্রথমত, পাকিস্তানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা নিরসনে নয়াদিল্লির প্রত্যাশিত ভূমিকা না রাখা, এবং দ্বিতীয়ত, ওয়াশিংটনের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি অব্যাহত রাখা। যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিতে এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থেরও অবমাননা, বিশেষ করে যখন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে করার কৌশলকে তারা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ক্ষোভের প্রকাশ ঘটেছে বাণিজ্য ক্ষেত্রে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছে। এর ফলে ভারতের ওপর মোট মার্কিন রপ্তানি শুল্কের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটি ভারতের রপ্তানি খাত, বিশেষ করে টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবার বাজারে বড় ধাক্কা দেবে। ভারতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র শুধু একটি বৃহৎ বাজারই নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস, ফলে এই শুল্ক বৃদ্ধি সরাসরি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় মধ্যস্থতার আগ্রহ দেখিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুজনই আমার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অতীতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক সমঝোতার অভিজ্ঞতা থেকে আমি মোদিকে কিছু কার্যকর পরামর্শ দিতে পারি, তবে সেগুলো হবে সম্পূর্ণ নেপথ্যে ও গোপনীয়ভাবে।”
নেতানিয়াহু আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে দৃঢ় ও বহুমাত্রিক প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি, কৃষি, মহাকাশ গবেষণা ও কৌশলগত সহযোগিতাসহ নানা ক্ষেত্রে এই অংশীদারিত্ব বিস্তৃত। তবে শুল্ক ইস্যুটি এখন দুই দেশের জাতীয় স্বার্থের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। তাঁর মতে, আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি সমাধানে পৌঁছানো জরুরি, যা উভয় দেশের মর্যাদা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই সমঝোতা শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের জন্য নয়, ইসরায়েলের জন্যও উপকারী হবে। কারণ দুই দেশই ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ কৌশলগত মিত্র, এবং ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা বিশেষত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, কৃষি উদ্ভাবন ও বাণিজ্যে এই সমঝোতার ফলে আরও শক্তিশালী হবে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানি অব্যাহত রাখা শুধু অর্থনৈতিক হিসাবের ফল নয়, বরং জ্বালানি নিরাপত্তা ও মূল্যসাশ্রয়ের কৌশল। তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনৈতিক অগ্রাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। অন্যদিকে, পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের সীমিত সক্রিয়তা ট্রাম্প প্রশাসনের চোখে কৌশলগত হতাশা তৈরি করেছে, যা বর্তমান উত্তেজনার অন্যতম পটভূমি।
-রাফসান
ট্রাম্প বলেন, “খুব হতাশ”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের জন্য তিনি কোনো পূর্বশর্ত মানতে রাজি নন, এমনকি যদি পুতিন তার আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক না-ও করেন। এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প সরাসরি বলেন, “না, তার দরকার নেই, না” পুতিনকে আগে জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে হবে কিনা এমন প্রশ্নে। তার এই মন্তব্য মার্কিন গণমাধ্যমে এর আগে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ঐ প্রতিবেদনগুলোতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউস কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকই ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের পূর্বশর্ত।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “তারা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চায়, আর আমি যা পারি করব যেন হত্যা বন্ধ হয়।” এর আগের দিন তিনি জানিয়েছিলেন, পুতিনের সঙ্গে তার সরাসরি বৈঠক “খুব শিগগিরই হতে পারে”। এই মন্তব্য আসে তার বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মস্কো সফর ও পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প প্রকাশ্যে দাবি করে আসছেন যে তিনি রাশিয়ার ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন থামানোর চেষ্টা করছেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ও তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় গেলে “২৪ ঘণ্টার মধ্যেই যুদ্ধ থামিয়ে দেবেন”।
সম্প্রতি তিনি রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়িয়ে মস্কোকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন যে শুক্রবারের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাতে হবে, অন্যথায় আরও কঠোর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক শাস্তির মুখে পড়তে হবে। যদিও স্টিভ উইটকফের আলোচনার পর এই সময়সীমা বহাল আছে কিনা সে বিষয়ে ট্রাম্প স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। পরিবর্তে তিনি মন্তব্য করেন, “এটা পুতিনের ওপর নির্ভর করছে। আমরা দেখব সে কী বলে।”
তার বক্তব্যে হতাশার সুরও শোনা গেছে। ট্রাম্প বলেন, “খুব হতাশ”- যা ইঙ্গিত দেয় যে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনো পরিস্থিতি আশানুরূপ এগোয়নি।
চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে শুল্ক আরোপ করে নতুন বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেন, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতি এত বড় ধাক্কা সামলাতে পারবে না। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে চীন, যা তাদের মোট রপ্তানির প্রায় ১৫ শতাংশ। ফলে অনেকে ধরে নিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার হারালে চীনের অর্থনীতি ধসে পড়বে। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল তা সবাইকে বিস্মিত করল। চীন পশ্চাদপসরণ না করে পাল্টা আঘাত হানে—শুল্কে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি বন্ধ করে এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করে। বেইজিং স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—এটা আগের চীন নয়, এবং এখন আর তারা কারও শর্তে খেলবে না।
এই আত্মবিশ্বাসের পেছনে রয়েছে এক দশকব্যাপী এক নীরব বিপ্লব। চীনের নেতৃত্ব বুঝতে পেরেছিল যে পশ্চিমা বাজার ও পুঁজির ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকিপূর্ণ। ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছিল সেই পরিবর্তনের কারণ নয়, বরং একটি অনুঘটক যা একটি চলমান কৌশলগত পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করেছে। এই রূপান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি স্বপ্ন—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা ছাড়াই নিজস্ব অর্থনৈতিক বলয়ের নেতৃত্ব নেওয়া। এটি শুধু আত্মরক্ষার কৌশল নয়; এটি বৈশ্বিক নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুতির নামান্তর।
এই অর্থনৈতিক উত্তরণের পেছনের ইতিহাস বুঝতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই পুরোনো চীনের দিকে—যেখানে উৎপাদন ছিল কেন্দ্রীয় ভিত্তি। ১৯৭০-এর দশকে দেং শিয়াওপিংয়ের অর্থনৈতিক উদারীকরণের মাধ্যমে চীন ধীরে ধীরে বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদনকেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশাল সস্তা শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে তারা পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ আকৃষ্ট করে। আমাজন থেকে অ্যাপল—সবার পণ্য তৈরি হতো চীনের কারখানায়। এই মডেলেই চীন টানা তিন দশক ধরে ১০ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখে।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সম্পর্কের অসাম্য প্রকট হয়ে ওঠে। চীনা কোম্পানিগুলো যখন পশ্চিমা বাজারে আগ্রাসীভাবে প্রবেশ করছিল, তখন পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর জন্য চীনের বাজার ছিল সংকীর্ণ ও নিয়ন্ত্রিত। ২০১৮ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি ৪০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। অনেকেই তখন চীনকে ‘অবাধ বাজারের সুযোগ নিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করা এক কর্তৃত্ববাদী শক্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করে। ট্রাম্প এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসেন এবং ক্ষমতায় এসেই শত শত বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ করেন। শুধু তাই নয়, হুয়াওয়ের মতো কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করে এবং সেমিকন্ডাক্টরের মতো প্রযুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীনের প্রযুক্তিগত অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করতে চেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে চীন এ যুদ্ধে হেরে যায়নি। বরং তারা নতুন এক পথ বেছে নেয়। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং “ডুয়াল সার্কুলেশন” বা দ্বৈত প্রবাহনীতির কথা ঘোষণা করেন। এই কৌশলের মূল লক্ষ্য হলো দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও উদ্ভাবনশীলতা বৃদ্ধি করে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা এবং সমান্তরালভাবে বিশ্বের অন্যান্য অংশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা। দুই স্তরের এই কৌশলে একদিকে রয়েছে ‘আভ্যন্তরীণ প্রবাহ’—যা স্থানীয় চাহিদা, স্থানীয় প্রযুক্তি ও চীনা ভোক্তাকে কেন্দ্র করে; অন্যদিকে রয়েছে ‘বাহ্যিক প্রবাহ’—যা মার্কিন বাজারের বাইরে নতুন নতুন অংশীদার গড়ে তুলতে চায়, বিশেষ করে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে।
এই কৌশল বাস্তবায়নে চীন অভ্যন্তরীণভাবে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। অনেকেই চীনের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির কথা বলেন, কিন্তু ২০২৪ সালে দেশটির মোট জিডিপির প্রায় ৪৫ শতাংশ এসেছে দেশীয় ভোগব্যয় থেকে, যা রপ্তানির দ্বিগুণ। BYD, Huawei এবং TikTok-এর মতো কোম্পানিগুলো এখন চীনের গর্ব। দেশীয় বাজারে তৈরি গাড়ি, ফোন, বিলাসপণ্য—সবই চীনারা নিজেরাই ব্যবহার করছে। তবে সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামো দুর্বল হওয়ায় চীনের জনগণের মধ্যে সঞ্চয়ের প্রবণতা প্রবল, যা ভোগব্যয় বৃদ্ধির পথে একটি বড় বাধা।
একই সঙ্গে চীনের আবাসন খাতও সংকটে। ২০১৯ সালের পর থেকে বাড়ির মূল্য ক্রমাগত কমছে। জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে, কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী কমছে এবং প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে—যা ভবিষ্যৎ অর্থনীতিতে চাপ বাড়াবে।
তবে চীন এসব সংকটের মোকাবিলা করছে আরেকটি কৌশলগত পথে—বৃহৎ বিনিয়োগের মাধ্যমে। ২০১৮ সাল থেকে চীন গবেষণা ও উন্নয়নে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তাদের লক্ষ্য হলো: আধুনিক প্রযুক্তি যেমন সেমিকন্ডাক্টর, এআই, ইলেকট্রিক যানবাহন এবং সবুজ জ্বালানি উৎপাদনে স্বনির্ভর হওয়া। যুক্তরাষ্ট্র যখন সেমিকন্ডাক্টর সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তখন অনেকেই মনে করেছিলেন চীনের প্রযুক্তি খাত ভেঙে পড়বে। কিন্তু ২০২৩ সালে হুয়াওয়ে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ৭-ন্যানোমিটার চিপ উন্মোচন করে সবাইকে চমকে দেয়।
এই প্রযুক্তি বিপ্লবের পাশাপাশি চীনের অবকাঠামো উন্নয়নও বিশ্বে নজিরবিহীন। বিশ্বে যত কিলোমিটার হাই-স্পিড রেললাইন আছে, তার চেয়েও বেশি রয়েছে এককভাবে চীনে—৪০,০০০ কিলোমিটার! এর সঙ্গে রয়েছে বন্দর, মহাসড়ক, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ডিজিটাল নেটওয়ার্ক—সব মিলিয়ে এক বিশাল অর্থনৈতিক মেশিন। অনেকে বলেন চীন অনেক বেশি উৎপাদন করছে—প্রয়োজনের চেয়ে বেশি স্টিল, বেশি ইভি, বেশি সৌর প্যানেল। তবে চীন একে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। কম দামে বেশি উৎপাদন করে বিশ্ববাজারে প্রবেশ করে তারা শুধু পণ্য বিক্রি করছে না, বিশ্ব অর্থনীতির নাভিমূলে নিজেদের স্থানও পাকাপোক্ত করছে।
বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটেও চীনের কৌশল একই রকম দূরদর্শী। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিকল্প হিসেবে চীন বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI) প্রকল্প শুরু করে ২০১৩ সালে। এর মাধ্যমে তারা এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে রেললাইন, বন্দর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে—প্রায় ৭৫ শতাংশ বৈশ্বিক জনগোষ্ঠীকে ছুঁয়ে যাচ্ছে এই প্রকল্প। বিনিময়ে চীন পাচ্ছে নতুন বাজার, কাঁচামাল সরবরাহ, এবং কূটনৈতিক বন্ধুত্ব। এখন চীন শুধু ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেই বড় বাণিজ্য করছে না, বরং অনেক দেশেই তারাই এখন প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার।
তবে এই অগ্রগতির পেছনে অর্থনৈতিক ব্যয়ও রয়েছে। স্থানীয় সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। ২০২৬ সালের মধ্যে চীনের ঋণ-জিডিপি অনুপাত ১০০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগের ফলাফল অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে—ভুতুড়ে শহর, ফাঁকা রেললাইন বা অলস কারখানার মতো উদাহরণ এখন আর বিরল নয়।
তা সত্ত্বেও, বিশ্বে যে শক্তির ভারসাম্য ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে তা আর অস্বীকার করার উপায় নেই। চীন এখন আর শুধু বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কেন্দ্র নয়, বরং এক নতুন অর্থনৈতিক বলয়ের নেতা হওয়ার পথে। এটি প্রযুক্তি, অবকাঠামো, কূটনীতি, এবং বিপুল জনশক্তিকে কেন্দ্র করে নতুন এক যুগের সূচনা করেছে—যেখানে মার্কিন নেতৃত্ব আর একচ্ছত্র নয়।
অতীতের চীন যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা পূরণের জন্য উৎপাদন করত। আজকের চীন নিজের প্রয়োজন মেটাতে উৎপাদন করে, নিজের বাজার তৈরি করে এবং নিজের প্রভাব বিস্তার করে। এটি শুধু একটি বাণিজ্য যুদ্ধ নয়, বরং এটি একটি নতুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক আদর্শের জন্ম। প্রশ্ন এখন আর এটি নয় যে, “চীন টিকে থাকবে কিনা।” বরং প্রশ্ন হলো, “পশ্চিমা বিশ্ব কীভাবে মানিয়ে নেবে এমন একটি ভবিষ্যৎ যেখানে চীন আর কারও নিয়ম মেনে খেলতে রাজি নয়?”
২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ‘শুল্ক হামলা’! কাঁপছে ভারতীয় অর্থনীতি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উত্তেজনা ছড়ালেন। ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কার্যকর করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া সেমিকন্ডাক্টর চিপের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। নিউ হ্যাম্পশায়ারে এক নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন, যা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা আর বাইরের দেশ থেকে সস্তায় চিপ আনব না। চিপ উৎপাদন হবে আমাদের দেশেই। অন্য দেশ থেকে কেউ চিপ আমদানি করতে চাইলে তাকে ১০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।” ট্রাম্পের এই বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছে ব্লুমবার্গ, রয়টার্স, সিএনবিসি ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। রিপাবলিকান হেডকোয়ার্টার থেকেও তার বক্তব্যের স্বীকৃতি মিলেছে।
এই ঘোষণার ফলে সবচেয়ে বেশি চাপে পড়তে যাচ্ছে ভারত, যেটি এখনো সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। দেশটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে ব্যাপকভাবে চিপ আমদানি করে। যদিও ‘India Semiconductor Mission’-এর আওতায় ভারত নিজস্ব উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করছে, বাস্তবে দেশটির সিংহভাগ চাহিদাই আমদানিনির্ভর।
২০২২ সালে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজারের পরিমাণ ছিল প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়নে পৌঁছেছে। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৯ সালের মধ্যে এই খাতের পরিধি ১০০–১১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে দেশটিতে এখনও পূর্ণাঙ্গ চিপ ডিজাইন ও উৎপাদন পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি।
ফলে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক কার্যকর হলে মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি, গাড়ি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামের দাম বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে গুজরাট, কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে সেমিকন্ডাক্টর কারখানা স্থাপনের কাজ চলছে। টাটা, ফক্সকন, মাইক্রন ও অ্যাম্প্যাক-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্র সরকারের বিশেষ প্রণোদনা নিয়ে উৎপাদনে নামছে। কিন্তু এই ধাক্কা তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা ও বাজার সম্ভাবনায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
এর আগে, রাশিয়া থেকে তেল কেনার জেরে ভারতকে শাস্তি হিসেবে ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সেমিকন্ডাক্টর খাতে আরও বড় শুল্ক চাপের হুঁশিয়ারি সেই চাপকেই বহুগুণে বাড়িয়ে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ মার্কিন রাজনীতিতে ‘অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ’ ট্রাম্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রচারকৌশল। তবে এই কৌশল আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষ করে প্রযুক্তিনির্ভর দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভারতের মতো উন্নয়নশীল প্রযুক্তি অর্থনীতির জন্য এটি হতে পারে এক অপ্রত্যাশিত ধাক্কা।
/আশিক
ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ কার্যকর হচ্ছে যখন থেকে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি ৬ আগস্ট মধ্যরাত থেকে কার্যকর হচ্ছে। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে একতরফাভাবে সুবিধা নেওয়া দেশগুলোর কাছ থেকে এবার কোটি কোটি ডলার শুল্ক হিসেবে আদায় করা হবে। তিনি দাবি করেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ট্রাম্প পোস্টে আরও বলেন, “আমেরিকার মহত্ত্বকে থামাতে পারে কেবলমাত্র র্যাডিকাল বামপন্থি আদালত, যারা আমাদের দেশকে ব্যর্থ দেখতে চায়।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি মূলত তার নেওয়া শুল্ক উদ্যোগের বিরুদ্ধে মার্কিন আদালতগুলোতে চলমান মামলাগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কোম্পানি ও অঙ্গরাজ্য ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যেগুলোতে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, এ সিদ্ধান্ত মার্কিন অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং প্রেসিডেন্ট সংবিধানবিরোধীভাবে অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন।
বর্তমানে এসব মামলায় বাদীপক্ষ অনেকক্ষেত্রেই নিম্ন আদালতে জয়লাভ করছে। ট্রাম্প প্রশাসন এসব রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করেছে, এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ মামলাই শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়াতে পারে। এই পরিস্থিতি ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতিকে আইনি অনিশ্চয়তায় ফেলে দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সতর্ক করে বলেছেন, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে পারে। তিনি জানিয়েছেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নিয়ে সতর্কভাবে চিন্তা করছে। এই প্রেক্ষাপটে নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাবে এবং ভোক্তাপর্যায়ে পণ্যের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষকে মূল্যস্ফীতির চাপ বহন করতে হতে পারে।
-রফিক
একজোট হচ্ছে রাশিয়া-চীন-ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বিরুদ্ধে বার্তা
যুক্তরাষ্ট্রের এই চাপকে উপেক্ষা করে একত্রিত হতে চলেছে বিশ্ব রাজনীতির তিন গুরুত্বপূর্ণ শক্তি—রাশিয়া, চীন ও ভারত।
সম্প্রতি ঘোষণা এসেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘ ছয় বছর পর চীন সফরে যাচ্ছেন। সময়টা তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে একপ্রকার চূড়ান্ত টানাপোড়েনের মধ্যে রয়েছে। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ভারতের ওপর নতুন করে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এ প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে চাপ দিচ্ছে, তা বৈধ নয় এবং এটি সার্বভৌম দেশের অধিকার লঙ্ঘন করে। যদিও তিনি সরাসরি ভারতের নাম নেননি, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের প্রতি রাশিয়ার একপ্রকার কৌশলগত সমর্থনই এতে প্রতিফলিত হয়েছে।
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর চীনের তিয়ানজিন শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) শীর্ষ সম্মেলন। এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি, এবং একই সময় সেখানে থাকবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবিরোধী কৌশল, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও বাণিজ্যসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ভারত এখন রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার দিকে মনোযোগী। বিশেষ করে ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারত সেনা সংঘর্ষের পর উভয় দেশের সম্পর্কে যে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল, তা এখন কিছুটা কমে এসেছে। ২০২৪ সালে রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদির বৈঠকেও এ বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছিল।
বিশ্ব রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কৌশল একধরনের বৈশ্বিক বাস্তবতা তৈরি করেছে, যেখানে একতরফা শর্ত চাপিয়ে দিয়ে সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। তার বদলে, রাশিয়া-চীন-ভারত একটি নতুন কৌশলগত জোট বা অন্তত ঘনিষ্ঠ সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে, যা ভবিষ্যতের বৈশ্বিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
/আশিক
পাঠকের মতামত:
- লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হুমকি, প্রাণ সংকটে কপিল শর্মা
- যারা নির্বাচনে ভয় পায়, তারাই পিআর পদ্ধতি চান: শামসুজ্জামান দুদু
- তারেক রহমানই দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী: মির্জা ফখরুল
- গাজায় তীব্র খাদ্য সংকটের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে
- মাসিক আয় থেকে সঞ্চয় করার সহজ ছয়টি উপায়
- অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার
- রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া
- ফেসবুক প্রেমে ফাঁদ, ৯ কোটি রুপি হারালেন বৃদ্ধ
- গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার
- বড় কিছু নিয়ে ফিরছেন শাকিব খান, ভক্তদের জন্য বিশেষ বার্তা দিলেন
- নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা
- আওয়ামী লীগ ও ভারতের স্বার্থে বাংলাদেশে দাঙ্গা দরকার: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
- ছবিতে প্রথমে যা দেখলেন, সেটাই বলে দেবে আপনার চরিত্র
- সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়
- উপেক্ষার জবাব হ্যাটট্রিকের মাধ্যমে দিলেন রোনালদো
- আলাস্কায় পুতিন-ট্রাম্প সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক ইতিহাসের নতুন অধ্যায়
- দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত
- চীনে প্রথমবার হিউম্যানয়েড রোবট পিএইচডিতে ভর্তি
- হাইপোথাইরয়েডিজম নিয়ন্ত্রণ করে জীবনে ফিরুন প্রাণবন্ততা
- ইসরায়েলি দখল পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিল ইরাক
- বেতন বৈষম্য দূরীকরণে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের ঘোষণা
- নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কমিশনের সম্পৃক্ততা নেই: আলী রীয়াজ
- ছয় বছর পর ড্যাবের ভোটযুদ্ধ আজ, চিকিৎসক মহলে উত্তেজনা
- ১৮ হল কমিটি গঠনের পর বিক্ষোভ, ঢাবি উপাচার্যের কড়া বার্তা
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- মোদিকে গোপন পরামর্শ দেবেন নেতানিয়াহু
- খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিদ্রুপকারী পেলেন ছাত্রদলের পদ
- আসন্ন নির্বাচনে গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার তারেক রহমানের
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- সুরা আল-বাকারার উল্লেখযোগ্য ঘটনা ও বিষয়বস্তু বিস্তারিত জানুন
- কিশমিশের পানির বহুমুখী উপকারিতা: স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের সঙ্গী
- ভক্তদের উদ্দেশ্যে রহস্যময় বার্তা শাকিব খানের
- ক্রিকেটের তীর্থক্ষেত্রের স্মৃতি ঘরে তোলার বিরল সুযোগ
- চীনের রোবোটিক অঙ্গ পেলেন জুলাই বিপ্লবের আহতরা
- কানাডায় কপিল শর্মার রেস্তোরাঁয় ফের গুলিবর্ষণ
- যানবাহন পানিতে পড়লে বাঁচার উপায়: বিশেষজ্ঞের জরুরি পরামর্শ
- গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট
- বয়স থেমে গেছে ৪০-এ! আর মাধবনের ২১ দিনের তারুণ্যের গোপন রহস্য
- নিজের আয়ের হিসাব দিলেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ
- শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা এখনো সক্রিয়: জয়নুল আবদিন ফারুক
- ট্রাম্প বলেন, “খুব হতাশ”
- কলকাতায় গোপন কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন
- ভারতের পণ্যে উচ্চ শুল্ক: যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানির জন্য সুবর্ণ সুযোগ নাকি সীমিত সম্ভাবনা?
- হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.): ন্যায়, প্রজ্ঞা ও বিশ্বনেতৃত্বের এক স্বর্ণযুগ
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- ‘সাইয়ারা’কে ছাড়িয়ে অ্যানিমেটেড সিনেমা ‘মহাবতার নরসিংহ’র বক্স অফিস ঝড়
- আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ
- ‘চাঁদাবাজি’র ভিডিও পোস্টের পর খুন হলেন গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিন
- ২৪ ঘণ্টায় দ্বিতীয়বার ‘শুল্ক হামলা’! কাঁপছে ভারতীয় অর্থনীতি
- শেখ হাসিনার পতনের পর কূটনীতি ও নিরাপত্তার কঠিন প্রশ্নগুলো
- গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: মুক্তির স্বপ্ন ও গণতান্ত্রিক উত্তরণের চ্যালেঞ্জ
- ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের মনোবিশ্লেষণমূলক পাঠ: একটি প্রজন্মের অবচেতনের বিস্ফোরণ
- জামায়াতের ‘পিআর’ কৌশলে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ হাফিজ উদ্দিনের
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ধ্বংসের ছায়া থেকে নতুন বিশ্বব্যবস্থার উত্থান
- ভারতের ওপর ২৫% শুল্ক বৃদ্ধিতে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ
- ৫ আগস্ট ছুটি ঘোষণা: কোন কোন সেবা পাবেন, কোনগুলো বন্ধ থাকবে
- হুয়াংহে নদীর তীরে এক মহাজাতির উত্থান: চীনা সভ্যতার আদিগন্ত ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টা: "জুলাই শহীদদের স্বপ্নই হবে আমাদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের ভিত্তি"
- যুক্তরাষ্ট্রে শাকিব-বুবলীর সময় কাটানো নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস
- চীনের অর্থনৈতিক নীরব বিপ্লব: পশ্চিমা একপক্ষীয় বিশ্বনীতির অবসানের সংকেত
- তালেবানের আফগানিস্তান: ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্থনৈতিক পুনর্জাগরণ
- বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ‘জুলাই জাগরণ’-এ জনতার ঢল
- শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাথায় হাত!
- কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়