ইরান- ইসরায়েল সংঘাত

ইরান হামলার শঙ্কায় ঘাঁটি ছাড়ছে মার্কিন বাহিনী

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১৬:৪৪:১৯
ইরান হামলার শঙ্কায় ঘাঁটি ছাড়ছে মার্কিন বাহিনী

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবস্থান থেকে যুদ্ধবিমান ও জাহাজ সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো স্পষ্টভাবে জানাননি যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থেকে যৌথ হামলায় অংশ নেবে কি না।

রয়টার্সকে দেওয়া তথ্যে দুই মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাহরাইন ও কাতারের ঘাঁটিগুলো থেকে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনা, সামরিক সরঞ্জাম ও বিমান নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে কাতারের আল-উদেইদ বিমানঘাঁটি থেকে কিছু বিমান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘাঁটি থেকে সরানো হয়েছে এমন বিমানগুলো ছিল অপেক্ষাকৃত কম সুরক্ষিত, অর্থাৎ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় না থাকা অংশে অবস্থানরত।

বাহরাইনের একটি বন্দর থেকেও কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ওই বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের পঞ্চম নৌবহরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ মোতায়েন থাকে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে। এতে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাতারের মরুভূমিতে অবস্থিত আল-উদেইদ ঘাঁটিতে প্রবেশ সাময়িকভাবে সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় মধ্যপ্রাচ্য ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ ঘাঁটিতে ১০ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা কর্মরত রয়েছেন।

দূতাবাস থেকে পাঠানো বার্তায় কাতারে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদেরও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, “বর্তমান আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থির এবং যে কোনো সময় পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে।”

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা বাড়তে শুরু করে। বিশেষ করে, ইসরায়েলের তেলআবিব ও বেয়ের শেভা শহরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার পর, আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এই সংঘাত একটি পূর্ণাঙ্গ অঞ্চলে বিস্তৃত যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।

তবে মার্কিন কর্মকর্তারা এখনো পর্যন্ত ইরানে সরাসরি হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমি হামলা করতে পারি, আবার নাও করতে পারি।” এ ধরনের মন্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে হোয়াইট হাউসে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন।

এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ইউনিট ও রসদ সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপকে প্রতিরক্ষামূলক ও সম্ভাব্য আগাম নিরাপত্তাব্যবস্থা হিসেবে দেখা হচ্ছে। অঞ্চলজুড়ে মার্কিন স্বার্থ ও সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত