ইরান- ইসরায়েল সংঘাত

ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে ধ্বংসযজ্ঞ, হাসপাতালে জরুরি সতর্কতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১১:৩১:৪৩
ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে ধ্বংসযজ্ঞ, হাসপাতালে জরুরি সতর্কতা

ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন ঢেউয়ে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গুশ দান এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলটি বৃহত্তর তেলআবিব হিসেবে পরিচিত এবং জনবহুল ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারি ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, চারটি পৃথক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রীয় ইসরায়েলে এবং একটি আঘাত হানে সোরোকা হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সোরোকা হচ্ছে ইসরায়েলের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল এবং বর্তমান গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটি আহত সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিদের চিকিৎসার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।

বিস্ফোরণের ফলে হলোন শহরের একটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকা পড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে উদ্ধারকর্মীরা এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোরোকা হাসপাতালের পাশের ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে তীব্র কম্পন ও ভাঙচুর হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মূল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, আঘাতস্থল থেকে দূরে থাকতে সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত না হয়।

হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি প্রাথমিক সংখ্যা, এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর আহত বা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

চিকিৎসা জরুরি পরিষেবা (MDA) জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদের দ্রুত সোরোকা ও আশপাশের হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনা এখন সরাসরি ভূখণ্ডে বিস্তার লাভ করেছে। সোরোকার মতো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হানা সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক উভয় দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে হাসপাতাল সরাসরি লক্ষ্যবস্তু ছিল না, তবুও এ হামলা ইঙ্গিত দেয় বেসামরিক স্থাপনাও ঝুঁকিমুক্ত নয়।

এই ঘটনার পর ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে আতঙ্ক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। জরুরি বাহিনী, মেডিকেল টিম এবং নিরাপত্তা বাহিনী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে এই উত্তেজনা যদি আরেক ধাপ বাড়ে, তবে তা কেবল ইসরায়েল-ইরান নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

সূত্র: আল জাজিরা

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত