ইরান- ইসরায়েল সংঘাত

ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে ধ্বংসযজ্ঞ, হাসপাতালে জরুরি সতর্কতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৯ ১১:৩১:৪৩
ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে ধ্বংসযজ্ঞ, হাসপাতালে জরুরি সতর্কতা

ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের নতুন ঢেউয়ে ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের গুশ দান এলাকায় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই অঞ্চলটি বৃহত্তর তেলআবিব হিসেবে পরিচিত এবং জনবহুল ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

সরকারি ও স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, চারটি পৃথক স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রীয় ইসরায়েলে এবং একটি আঘাত হানে সোরোকা হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকায়। সোরোকা হচ্ছে ইসরায়েলের অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল এবং বর্তমান গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এটি আহত সেনা ও বেসামরিক ব্যক্তিদের চিকিৎসার অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।

বিস্ফোরণের ফলে হলোন শহরের একটি আবাসিক ভবন সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। ভবনটির ধ্বংসস্তূপে কেউ আটকা পড়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে উদ্ধারকর্মীরা এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোরোকা হাসপাতালের পাশের ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে তীব্র কম্পন ও ভাঙচুর হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মূল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও, আঘাতস্থল থেকে দূরে থাকতে সাধারণ জনগণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত না হয়।

হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি প্রাথমিক সংখ্যা, এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর পর আহত বা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

চিকিৎসা জরুরি পরিষেবা (MDA) জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, যাদের দ্রুত সোরোকা ও আশপাশের হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, গাজার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বেড়ে চলা উত্তেজনা এখন সরাসরি ভূখণ্ডে বিস্তার লাভ করেছে। সোরোকার মতো গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হানা সামরিক ও মনস্তাত্ত্বিক উভয় দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে হাসপাতাল সরাসরি লক্ষ্যবস্তু ছিল না, তবুও এ হামলা ইঙ্গিত দেয় বেসামরিক স্থাপনাও ঝুঁকিমুক্ত নয়।

এই ঘটনার পর ইসরায়েলের কেন্দ্রীয় শহরগুলোতে আতঙ্ক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। জরুরি বাহিনী, মেডিকেল টিম এবং নিরাপত্তা বাহিনী একযোগে কাজ করে যাচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে এই উত্তেজনা যদি আরেক ধাপ বাড়ে, তবে তা কেবল ইসরায়েল-ইরান নয়, পুরো অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।

সূত্র: আল জাজিরা


শুল্কে ধাক্কায় পোশাক খাতে ভারত হারাচ্ছে অর্ডার, যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তনে

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ২১:২৭:০৫
শুল্কে ধাক্কায় পোশাক খাতে ভারত হারাচ্ছে অর্ডার, যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তনে
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে ভারতের তৈরি পোশাক শিল্প মারাত্মক প্রভাবের মুখোমুখি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের কারণে বিশ্ববাজারের বড় বড় ব্র্যান্ডগুলি ভারতে অর্ডার স্থগিত বা বাতিল করতে শুরু করেছে। অনেক ব্র্যান্ড তাদের অর্ডার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার মতো শুল্ক কম দেশগুলোতে সরিয়ে নিচ্ছে। ভারতের নিটওয়্যার রাজধানী তামিলনাড়ুর তিরুপ্পুরের রপ্তানিকারকরা এই পরিবর্তন স্পষ্টভাবে অনুভব করছেন এবং ক্রেতাদের অর্ডার স্থগিত রাখার খবর দিয়েছেন।

নতুন শুল্ক কাঠামোর কারণে ভারতের কিছু নিটওয়্যার পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্ক হার ৬৪ শতাংশে পৌঁছেছে, যা প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি। এতে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা অন্য বিকল্প খুঁজছেন। তিরুপ্পুর, কোয়েম্বাটুর ও কারুর কারখানায় ১২ লাখের বেশি শ্রমিক কাজ করেন, যারা বছরে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকার পোশাক রপ্তানি করে থাকে। এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে এক থেকে দুই লাখ শ্রমিক চাকরি হারানোর ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।

তিরুপ্পুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম সুব্রাহ্মনিয়ান জানান, ক্রেতারা শুল্কের অতিরিক্ত বোঝা ভাগাভাগি করতে চায়, অথচ তাদের মুনাফা মাত্র ৫-৭ শতাংশ। মার্কিন বাজারে রপ্তানি কমলে পুরো শিল্পে বড় ধাক্কা পড়বে। এছাড়া হোম টেক্সটাইল খাতেও প্রভাব পড়ছে, যেখানে বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদির অর্ডার স্থগিত হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারত শুল্ক বৃদ্ধির কারণে মার্কিন বাজারে তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় বিশাল প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার শুল্ক ১৯ থেকে ২১ শতাংশের মধ্যে থাকলেও ভারতের শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বাজারে ভারতে ক্রেতাদের আগ্রহ কমিয়েছে। এতে রপ্তানি ও কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

শুল্কের পাশাপাশি তুলা আমদানি ও জিএসটি সংক্রান্ত বিভিন্ন অসঙ্গতি ও মানের প্রশ্ন ভারতের টেক্সটাইল শিল্পকে আরও দুর্বল করছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যদি কাঁচামালের ওপর শুল্ক কমানো না হয়, তবে ভারতের রপ্তানি খাত বড় ধাক্কা খাবে এবং মার্কিন বাজার থেকে স্থায়ীভাবে বাদ পড়তে পারে।

মোট মিলিয়ে, মার্কিন শুল্ক বৃদ্ধির কারণে ভারতের পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে, যা শ্রমিকদের চাকরি নিরাপত্তা ও দেশের রপ্তানি রাজস্বের জন্য উদ্বেগজনক।

/আশিক


যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ২০:২৪:০৭
যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিন সমর্থনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬
লন্ডনে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ/ ছবি: এপি, ইউএনবি

যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধের প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৪৬৬

যুক্তরাজ্যে ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করায় লন্ডনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে পার্লামেন্ট স্কয়ার ও হোয়াইট হল এলাকায় এই বিক্ষোভে পুলিশ সাড়ে চার শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ এক বিবৃতিতে জানায়, রাত ৯টা পর্যন্ত প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থনের অভিযোগে মোট ৪৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার অভিযোগে পাঁচজনসহ আরও আটজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে বিকেলে পার্লামেন্ট স্কয়ারে ‘ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস’ নামে একটি প্রচার সংগঠন বিক্ষোভের আয়োজন করে, যেখানে হাজারো মানুষ পোস্টার হাতে যোগ দেয়। সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, ‘গ্রেফতার ও কারাবাসের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বহু মানুষ রাস্তায় নেমেছে। গাজায় অব্যাহত গণহত্যায় যুক্তরাজ্য সরকারের সরাসরি জড়িত থাকার কারণে জনগণ ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত।’

বিক্ষোভে এক নারী পুলিশকে বলেন, ‘আপনাদের প্রিয়জন সবাই আছে, কিন্তু ভুল মানুষকে গ্রেফতার করছেন। যারা গণহত্যায় জড়িত, তাদের গ্রেফতার করুন।’ অন্য একজন বলেন, ‘রয়্যাল এয়ার ফোর্সের প্লেনে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনের প্রতিবাদ সন্ত্রাস নয়, বরং ওই বিমানগুলোই সন্ত্রাসী, যা গাজায় শিশু হত্যা করেছে। আমি শুধু একটি কাগজের টুকরো ধরে আছি, যা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হতে পারে না। বরং ২০ লাখ মানুষকে অনাহারে রাখা হলো, সেটাই আসল সন্ত্রাস।’

পুলিশি তৎপরতার প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই সংগঠনের প্রকৃত রূপ জানেন না, তবে এটি কোনো অহিংস সংগঠন নয়। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

অন্যদিকে, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুক্তরাজ্য বিক্ষোভে শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে। তাদের মতে, এটি মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার লঙ্ঘন।

গত জুন মাসে ব্রিটিশ সরকার প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর কিছুদিন পর সংগঠনের কর্মীরা আরএএফ ব্রাইজ নর্টনে দুটি সামরিক প্লেন বিকৃত করেন। নিষেধাজ্ঞার ফলে ২০০০ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী, সংগঠনের সদস্য হওয়া বা সমর্থন দেওয়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

সূত্র: ইউএনবি


হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ আমি: টিউলিপ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৯:৪৪:৩০
হাসিনা-ইউনূস দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ আমি: টিউলিপ
টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর নিজেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ জানান, মামলাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হয়েছে। বিষয়টি প্রথম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে।

৪২ বছর বয়সী লেবার পার্টির এই নেত্রী বলেন, গত সপ্তাহে এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, ঢাকার পূর্বাচলে জমি বরাদ্দে প্রভাব খাটানোর অভিযোগে তাকে এবং আরও ২০ জনকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার শুনানির তারিখ ১১ আগস্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখনো তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন বা অভিযোগপত্র পাননি। তার ভাষায়, “আমি যেন এক অদ্ভুত দুঃস্বপ্নের মধ্যে আছি, যেখানে বিচার শুরু হতে যাচ্ছে কিন্তু আমি জানি না আমার বিরুদ্ধে আসল অভিযোগ কী।”

বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় প্রয়োজনে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলতে পারে।

টিউলিপ বলেন, গত বছরের জুলাইয়ে লেবার পার্টির নির্বাচনী জয়ের পর তিনি অর্থনৈতিক সচিব ও সিটি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু একই সময়ে বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের পর শেখ হাসিনার সরকার পতন ঘটে। ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অর্থনীতিবিদ ও দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাম্মদ ইউনূস ক্ষমতায় এলে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনা শুরু হয়।

প্রথমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে, যা টিউলিপ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসে একটি ফ্ল্যাট উপহার পাওয়ার অভিযোগও আসে, যা তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে অন্যের মালিকানাধীন বাসায় থাকার বিষয়েও সমালোচনা হয়। তবে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের নীতিগত আচরণবিধি পর্যালোচনার স্বাধীন উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস তার আর্থিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে অভিযোগ থেকে তাকে মুক্তি দেন।

টিউলিপের অভিযোগ, বাংলাদেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর তার বিরুদ্ধে ‘নোংরা রাজনীতি’ চালানো হচ্ছে। তার ভাষায়, “এটি মুহাম্মদ ইউনূস ও আমার খালা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফল, আর আমি এর বলি হয়েছি। বাংলাদেশে যারা প্রকৃত অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত, কিন্তু আমি তাদের মধ্যে নই।”

/আশিক


‘বর্ণবাদী’ বার্তা প্রচারে চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৯:২৭:৪৭
‘বর্ণবাদী’ বার্তা প্রচারে চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড
চাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সুচেস মাসরা। ছবি: সংগৃহীত

চাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা সুচেস মাসরাকে বিদেশি নাগরিকদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও বর্ণবাদী বার্তা প্রচারের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শনিবার রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার আইনজীবী।

মাসরা দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহামত ইদ্রিস ডেবির কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত। চলতি বছরের মে মাসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ডেবির একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। এর আগে প্রায় পাঁচ মাস তিনি ডেবির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

চাদের প্রসিকিউশন কর্তৃপক্ষ গত মে মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মান্দাকাওতে সংঘটিত এক সহিংসতার ঘটনায় মাসরার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ওই সংঘর্ষে কয়েক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়।

আদালত মাসরাকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ বিলিয়ন সিএফএ ফ্রাঙ্ক (প্রায় ১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তার আইনজীবী জানান, তারা এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন।

/আশিক


গাজা সিটি দখলকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে  বিক্ষোভ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৭:০১:৩৬
গাজা সিটি দখলকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে  বিক্ষোভ
গাজায় সামরিক অভিযান বাড়ানো পরিকল্পনার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন হাজারো ইসরায়েলি। ছবি: বিবিসি

ইসরায়েলের গাজা উপত্যকা দখল নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক বিরোধিতা ও বিক্ষোভ চলছে। রোববার (১০ আগস্ট) বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাজার হাজার মানুষ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নেমে আসেন গাজায় সামরিক অভিযান বাড়িয়ে ‘গাজা সিটি’ দখলের পরিকল্পনার প্রতিবাদে। গত শুক্রবার ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রীসভা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য পাঁচটি নীতি অনুমোদন দেয়, যার মধ্যে রয়েছে গাজা শহরের ‘নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ’। দেশটির সেনাবাহিনীও গাজা সিটি দখলের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দ্য টাইমস অব ইসরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে গাজা শহর দখলের পরিকল্পনা পাস হয়েছে। বর্তমানে গাজায় ৫০ জন জিম্মির মধ্যে আনুমানিক ২০ জন জীবিত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। বিক্ষোভকারীরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, গাজা সিটি দখল করলে জিম্মিদের জীবন বিপদের মুখে পড়বে। তারা সরকারের প্রতি জিম্মিদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছেন।

গাজা দখলের পরিকল্পনার খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সামরিক অভিযান তাদের জিম্মিদের মুক্ত করতে সাহায্য করবে।

জিম্মিদের পরিবারের এক প্রতিনিধি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, গাজায় সামরিক অভিযান যুদ্ধকে আরও বিস্তৃত করবে এবং জিম্মিদের বিপদ বাড়াবে। ইসরায়েলের সাধারণ জনগণও তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না। জেরুজালেমে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বিবিসিকে জানান, যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে কারণ তাদের জিম্মিরা গাজায় বন্দি ও মৃত্যুর মুখে।

সেনাসদস্য ম্যাক্স ক্রেশ বলেন, তিনি শুরুতে গাজায় যুদ্ধের অংশ ছিলেন, তবে এখন রাজনৈতিক কারণে যুদ্ধে যেতে চান না। তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর যুদ্ধ তাদের বিপদে ফেলছে ও নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

তেল আবিবে আইডিএফ সদরদপ্তরের কাছে বিক্ষোভ হয়েছে, যেখানে জিম্মি ও সৈন্য পরিবারের সদস্যরা সামরিক অভিযানের বিস্তারের প্রতিবাদ জানান। একজন জিম্মির মা দেশজুড়ে ধর্মঘট ডাকলেও প্রধান শ্রমিক ইউনিয়ন তা সমর্থন করবে না।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত ও ২৫১ জনকে জিম্মি নেওয়া হয়। এর পর গাজায় ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলা শুরু হয়, যা প্রায় দুই বছর ধরে চলছে। এতে গাজায় অন্তত ৬১ হাজার ৩০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকার প্রায় ২১ লাখ বাসিন্দার অধিকাংশ বাস্তুচ্যুত।

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক শনিবার বলেন, গাজা দখল পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি। ফিলিস্তিন প্রেসিডেন্ট কার্যালয় নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে গণহত্যা ও পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আখ্যা দিয়েছে। হামাস হুঁশিয়ারি দিয়েছে, গাজা দখলে ইসরায়েলকে বড় মূল্য দিতে হবে এবং বাকি জিম্মিদেরও হারাতে হবে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও ইসরায়েলের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে উল্লেখ করেছেন। জার্মানি গাজায় ব্যবহৃত অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করেছে, চীন উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে।

সৌদি আরব, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং ইসরায়েলের বিরোধীদলীয় নেতা ইয়ার লাপিদ নেতানিয়াহুর পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স গাজা দখলের বিষয়ে মন্তব্য করতে অনিচ্ছুক ছিলেন।

গাজা দখলের ঘোষণা আসার পর গত শনিবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৫ সদস্যের পরিষদ থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা ছাড়া বাকি সবাই বৈঠকের আহ্বান জানায়। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র বলেন, তিনি এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন।

/আশিক


ভূপাতিত সু-২৭: ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ১৩:০৯:২৮
ভূপাতিত সু-২৭: ইউক্রেনের আকাশে রাশিয়ার বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সর্বশেষ উত্তেজনায়, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনীর একটি আধুনিক সু-২৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। শনিবার মস্কো থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে এই বিমানটি গুলি করে নামানো হয়।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে, একই দিনে তারা দুটি গাইডেড এরিয়াল বোমা, মার্কিন-নির্মিত হিমারস মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম থেকে ছোড়া দুটি রকেট এবং ৪৫৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে। মস্কোর মতে, এটি তাদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার স্পষ্ট প্রমাণ।

অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত তারা রাশিয়ার একটি ইস্কান্দার-কে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করেছে এবং অন্তত ৩১টি রুশ ড্রোন ধ্বংস করেছে। কিয়েভের মতে, এসব আক্রমণ রাশিয়ার অব্যাহত চাপের অংশ, যা ফ্রন্টলাইন ও বেসামরিক এলাকায় সমানভাবে প্রভাব ফেলছে।

বর্তমানে জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভূপাতিত সু-২৭ বিমানের পাইলটের অবস্থান ও অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০২২ সালে রাশিয়া খেরসন, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে বিতর্কিত গণভোটের মাধ্যমে এসব এলাকা নিজেদের সঙ্গে যুক্ত করে। ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো এই গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করে, যা এখনো বড় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিতর্কের বিষয়।

এদিকে, যুদ্ধ থামাতে নতুন উদ্যোগ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। কিছু পশ্চিমা গণমাধ্যমের দাবি, আলোচনায় ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রস্তাব থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা নেই।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এমন প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করে বলেছেন, “ইউক্রেনের এক ইঞ্চি জমিও রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হবে না।” তাঁর এই বক্তব্য শুধু রাশিয়ার প্রতি নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছেও স্পষ্ট বার্তা সার্বভৌমত্ব নিয়ে ইউক্রেন কোনো আপস করবে না।


দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের ও ভারতের পদক্ষেপ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ০৯:৫৩:৩০
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের ও ভারতের পদক্ষেপ
ছবিঃ সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তেমন অগ্রগতি করতে পারেনি। প্রায় এক বছর পার হলেও দুই দেশের সম্পর্ক প্রত্যাশামতো স্থিতিশীল ও উন্নত হয়নি। তবে কূটনৈতিক মহলে এবং দিল্লির বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিশ্বাস আছে, যে এই সম্পর্ক আবারও পুনরুজ্জীবিত হতে পারে যদি দুই দেশ নিজেদের বিশেষ প্রয়োজনগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে একে অপরের অবস্থান বুঝতে পারে।

ভারতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, আর বাংলাদেশের জন্য তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য ভাগাভাগি অন্যতম স্পর্শকাতর ইস্যু। এই দুই বিষয় যদি আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধানের পথে এগোনো হয়, তাহলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন করে গড়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রনীতির বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচলিত অ্যান্টি-ইন্ডিয়া ভাবনা মূলত তরুণ সমাজের মধ্যে বিদ্যমান দূরত্ব ও অসন্তোষ থেকে সৃষ্টি। এটি দূর করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। বিশেষ করে পানি বিষয়ে ন্যায্য সমঝোতা ঘটানো গেলে সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “ভারত কেন তিস্তা নদীর পানির ভাগাভাগি নিয়ে এগিয়ে আসেনি এবং কেন আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি তা একটি বড় প্রশ্ন। চীনের একটি প্রস্তাবও আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি, কিন্তু আমাদের নিজ উদ্যোগ দেখানো হয়নি।” এ অবস্থায় সম্পর্কের উন্নয়নে আন্তরিক পদক্ষেপ জরুরি।

অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্বার্থ এবং বাণিজ্যিক বাস্তবতা অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দুই প্রতিবেশীর পুনর্মিলনের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হতে পারে। আগামী বছর বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে উত্তরণ করবে। তবে এ সঙ্গে কিছু পুরানো বাণিজ্য সুবিধা বন্ধ হওয়ার কারণে নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে। এই সময় ভারতের সহযোগিতা বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

অর্থনীতিবিদ প্রবীর দে বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হওয়ার পর অর্থনীতির দ্রুত বিকাশের জন্য ‘থ্রাস্ট’ প্রয়োজন, যা ভারত ছাড়া সম্ভব নয়। তিনি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এই বন্দর থেকে ৬৫ শতাংশ কার্গো ভারতের পোর্ট থেকে আসবে, যা অর্থনৈতিক সংযোগের প্রমাণ।

প্রবীর দে আরও বলেন, “অর্থনৈতিক ও যোগাযোগ খাতে ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা থাকলে সম্পর্কের শীতলতা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।” দিল্লির অনেক বিশ্লেষকও আশাবাদী যে, দুই দেশের প্রয়োজন ও নির্ভরশীলতা একে অপরকে পুনরায় কাছাকাছি আনবে।

-শরিফুল


ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যে শুল্ক যুদ্ধে নতুন ধোঁয়াশা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১০ ০৮:৫০:৪৩
ভারত-আমেরিকা বাণিজ্যে শুল্ক যুদ্ধে নতুন ধোঁয়াশা
ছবিঃ সংগৃহীত

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন এই শুল্ক নীতি নিয়ে ওয়াশিংটন ও দিল্লির মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। আমেরিকার পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর শর্ত হিসেবে ভারতের রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ করার দাবি করা হয়েছে, কারণ ট্রাম্প মনে করেন এই তেল আমদানি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি বড় সমস্যা। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই শুল্ক আরোপকে অযৌক্তিক এবং আমেরিকার দ্বিমুখী নীতির প্রকাশ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

একসময় মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে ধরা হত। হিউস্টনের ‘হাউডি মোদি’ এবং আহমেদাবাদের ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানগুলি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাণিজ্য শুল্ক আরোপের কারণে সেই সম্পর্ক এখন কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি। ভারতের একটি বড় ভুল ছিল ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত বন্ধুত্বকে অর্থনৈতিক স্বার্থের ওপর প্রাধান্য দেয়া। যদিও মোদি ট্রাম্পকে ‘মহান বন্ধু’ বলতেন, ট্রাম্প মূলত ব্যবসায়িক স্বার্থে বন্ধুত্বকে গুরুত্ব দেন, যা ভারতের বুঝতে সময় লেগেছে।

ভারতের রাশিয়ার ওপর তেল আমদানির নির্ভরতা ট্রাম্পের বিরক্তির কারণ। মোট তেলের প্রায় ৪০ শতাংশ রাশিয়া থেকে আমদানি করে ভারত, যা ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের প্রেক্ষাপটে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা তৈরি করেছে। ট্রাম্প এই তেল আমদানিকে পুতিনের পক্ষে সমর্থন হিসেবে দেখেন এবং ভারতের ওপর বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছেন। ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপকে তিনি শুধু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং ভারতের প্রতি সতর্কবার্তা হিসেবে দেখেন। তাছাড়া, ট্রাম্পের পাকিস্তানপন্থী অবস্থান ও জ্বালানি সহযোগিতা ভারতের জন্য কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করেছে।


গাজা দখল রুখতে ওআইসির জরুরি সভার ঘোষণা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২০:৪২:২৯
গাজা দখল রুখতে ওআইসির জরুরি সভার ঘোষণা
ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর পতাকা। ফাইল ছবি

ইসরাইলের গাজা দখলের পরিকল্পনা প্রতিহত করতে জরুরি বৈঠক আহ্বানের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। শনিবার তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এ তথ্য জানান।

মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর আবদেলাত্তির সঙ্গে কায়রোতে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ফিদান বলেন, ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এই জরুরি বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইসরাইলের পরিকল্পনাকে সরাসরি নাকচ করে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজা দখলের চেষ্টা ইসরাইলের সম্প্রসারণবাদী ও গণহত্যামূলক নীতির নতুন ধাপ। তিনি জানান, তুরস্ক ও মিশর এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে অবস্থান নেবে।

মানবিক সহায়তার প্রসঙ্গে ফিদান বলেন, তুরস্ক এ পর্যন্ত গাজার জন্য প্রায় ১ লাখ ২ হাজার টন সহায়তা পাঠিয়েছে। এই সহায়তা পৌঁছাতে সহযোগিতা করার জন্য তিনি মিশরকে ধন্যবাদ জানান।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। অবরুদ্ধ এ এলাকায় ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি ক্ষুধা ও অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।

গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। একই সময়ে গণহত্যার অভিযোগে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলছে।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে আঙ্কারার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ফিদান বলেন, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই ভূমি, এবং তাদের উচ্ছেদের যেকোনো প্রচেষ্টা অবৈধ ও ব্যর্থ হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, তুরস্ক আন্তর্জাতিক আইন ও মানবিক নীতির ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের পাশে থাকবে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: