কারাগারে বসেই বিয়ে, নোবেল ও বাদীর আবেদনে আদালতের অনুমতি

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৮ ২৩:২৬:৩৩
কারাগারে বসেই বিয়ে, নোবেল ও বাদীর আবেদনে আদালতের অনুমতি

ঢাকা: ধর্ষণ মামলায় আটক সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল ও মামলার বাদী ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীর মধ্যে রেজিস্ট্রি কাবিননামা অনুযায়ী বিয়ে সম্পাদনের অনুমতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। উভয়ের সম্মতি থাকায় এবং বিবাহের ইচ্ছাপ্রকাশ করায় বুধবার (১৮ জুন) আদালত এ আদেশ দেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার আসামিপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে কারা কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করে আদালতকে অবহিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

নোবেলের পক্ষে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তিনি গত ২০ মে থেকে কারাবন্দি। বাদী ও আসামির মধ্যে এক সময়কার সম্পর্ক, পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝি এবং উভয়ের সদিচ্ছায় বিয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার পটভূমি ও অভিযোগের বিবরণউল্লেখ্য, ১৯ মে দিবাগত রাতে রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টারের বাসা থেকে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ইডেন কলেজের এক প্রাক্তন শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগ এনে ডেমরা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে আদালত নোবেলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, বাদীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয় ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর দীর্ঘদিন নিয়মিত যোগাযোগ চলতে থাকে। ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর, নোবেল বাদীকে তার স্টুডিও ঘুরিয়ে দেখানোর নাম করে নিজ বাসায় নিয়ে যান, যেখানে পরবর্তীতে সহযোগীদের সহায়তায় তাকে কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।

আসামির মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে বাদীকে ব্ল্যাকমেইল করারও অভিযোগ রয়েছে। বাদী অভিযোগ করেন, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিতে তিনি নীরব ছিলেন।

ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে বাদীর পরিবার তাকে চিনতে পারে এবং ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চায়। পরে ডেমরা থানা পুলিশ বাদীকে উদ্ধার করে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ ও ভবিষ্যৎ নির্দেশনাআদালতের আদেশে বলা হয়, যেহেতু উভয়পক্ষ বিয়েতে সম্মত এবং আইনগতভাবে এতে কোনো বাধা নেই, তাই কারা কর্তৃপক্ষকে নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে রেজিস্ট্রিকৃত বিয়ে সম্পাদনের অনুমতি দেওয়া হলো।

এ মামলার বিষয়ে এখনও তদন্ত চলমান। বাদীর অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

—আশিক নিউজ ডেস্ক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত