ইরান-ইসরাইল সংঘাত
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তপ্ত যুদ্ধের আবহ: ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রবর্ষণে কাঁপছে ইসরায়েল

মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে যুদ্ধের ঘনঘটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে শুরু হওয়া সামরিক সংঘাত ইতিমধ্যেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পাল্টাপাল্টি হামলার ধারাবাহিকতায় ইরান এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের উদ্দেশে চার শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। একইসঙ্গে তেহরান পাঠিয়েছে কয়েক শ সামরিক ড্রোন—যেগুলো ইসরায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ইরানি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৪ জন ইসরায়েলি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৮০০ জনের বেশি। আহতদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এছাড়া নিরাপত্তাজনিত কারণে ইসরায়েলের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলো থেকে ৩,৮০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়।
ঘটনার প্রকৃতি ও ভৌগোলিক বিস্তার বিচার করে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এটি কেবল দুটি দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এর প্রভাব পুরো মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষত, এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের অবস্থান কী হবে, তা নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যে উত্তেজনা চলছিল, তা এই সংঘাতে পরিণত হওয়া ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো হামলাগুলোর সময় ও পদ্ধতি ইঙ্গিত দেয় যে, তেহরান অনেক দিন ধরেই এই প্রতিক্রিয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছিল। অন্যদিকে, ইসরায়েলও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তুত রয়েছে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে। ইতোমধ্যে সংঘর্ষের জবাবে ইসরায়েলও কয়েকটি সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে।
এই পরিস্থিতি যদি অব্যাহত থাকে, তবে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক বড় যুদ্ধের সূচনা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে—যার পরিণতি শুধু ইসরায়েল ও ইরান নয়, গোটা অঞ্চলের ভূরাজনীতি ও মানবিক পরিস্থিতিকে গভীরভাবে নাড়া দিতে পারে।
গাজা নিয়ে আসছে ‘যৌথ ঘোষণা’, এরদোয়ান আশাবাদী
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ে শিগগিরই একটি ইতিবাচক ‘যৌথ ঘোষণা’ প্রকাশ করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি আশা করছেন যে, এই ঘোষণার ফলাফল ‘লাভজনক’ হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে গাজা নিয়ে একটি বৈঠক শেষে এরদোয়ান এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “আমরা সবেমাত্র একটি অত্যন্ত, অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক বৈঠক শেষ করেছি। আমি সন্তুষ্ট—ফলাফলটি উপকারী হবে।”
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন যে, ট্রাম্পের সঙ্গে এই বৈঠকটি শান্তি এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কোনো বাস্তব পদক্ষেপ আনতে পারে কি না। এর জবাবে এরদোয়ান বলেন, “চূড়ান্ত ঘোষণা সম্ভবত খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। ট্রাম্প এবং কাতারের আমির তামিমের বিবৃতির মাধ্যমে আজ রাতের বৈঠকের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে উঠবে।”
‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ঘিরে ভারতে উত্তেজনা
উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে শুরু হয়ে উন্নাও, বরেলি, কৌশাম্বী, লখনউ, মহারাজগঞ্জ, এমনকি উত্তরাখণ্ডের কাশীপুর ও তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা ঘিরে মুসলিম সম্প্রদায়ের আন্দোলন। এই আন্দোলনের ফলে ভারতজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় কানপুরের একটি ধর্মীয় মিছিলে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা হাতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা সাইনবোর্ড নিয়ে উপস্থিত হন। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করলেও, ৯ সেপ্টেম্বর কানপুর পুলিশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগে ২০ জনের বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং উন্নাওতে বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর ইট নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়, এতে ৫ জন নিহত হন এবং অনেকেই আহত হন। এরপর লখনউ এবং মহারাজগঞ্জেও একই ধরনের উত্তেজনা দেখা যায়। কয়েকটি এলাকায় ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে।
রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া
অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি পুলিশের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “‘আই লাভ মুহাম্মদ’ লেখা কোনো অপরাধ নয়। যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে, আমি শাস্তি নিতে প্রস্তুত।” তার মতে, পুলিশ প্ররোচনার ভিত্তিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে, যা সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র আমিক জামাই অভিযোগ করেন যে, পুলিশ সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, “‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বা ‘আই লাভ রাম’ লেখা অপরাধ নয়।”
বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী অবশ্য পুলিশের পদক্ষেপকে যথাযথ বলে উল্লেখ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে এবং সাধারণ মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধর্মীয় আবেগ এবং রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার সমন্বয়ে এই আন্দোলন দ্রুত বিস্তার লাভ করছে। পুলিশি তৎপরতা সত্ত্বেও মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ থামছে না, বরং তা আরও তীব্র হচ্ছে।
‘পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো মানেই ছিল না’:ট্রাম্প হতাশ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কোনো মানেই ছিল না, কারণ তিনি ভেবেছিলেন এই সম্পর্কের কারণে যুদ্ধ থামানো সহজ হবে, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
বহুল আলোচিত আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনের এক মাস পর ট্রাম্প এই মন্তব্য করলেন। ওই বৈঠকে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন সংঘাত সমাধানের জন্য উচ্চ পর্যায়ের শান্তি আলোচনায় মিলিত হন। বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়, প্রথমে রাশিয়া ও ইউক্রেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবে, পরে প্রয়োজনে ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। তবে সেই বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ তার ‘সবচেয়ে বড় হতাশা’। তিনি সাতটি যুদ্ধ শেষ করেছেন এবং এটি এমন একটি কাজ যা কোনো প্রেসিডেন্ট বা রাষ্ট্রনেতা আগে করেননি।
ট্রাম্প বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এটি সবচেয়ে সহজ সমাধান হবে, পুতিনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কারণে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সেই সম্পর্কের কোনো মানেই ছিল না।” তিনি জাতিসংঘকেও কঠোর ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, “তারা যুদ্ধ সমাধানে চেষ্টা করেনি। এটি যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনার কাছাকাছি পৌঁছায়নি, সবটাই ফাঁকা বুলি।”
সম্প্রতি ইউক্রেন নিয়ে ট্রাম্পের মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে। জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনার পর তিনি ন্যাটো দেশগুলোকে আহ্বান জানান, রাশিয়ার কোনো যুদ্ধবিমান যদি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, তা গুলি করে নামাতে হবে। তিনি তার নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় তার হারানো অঞ্চলগুলো ফিরে পেতে পারে এবং যুদ্ধে জয়ী হতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
‘কাতারের সার্বভৌমত্বে আঘাতের জবাব দেব’: ইসরায়েলকে হুমকি
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় কাতার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কাতার কোনো আগ্রাসনের মুখে নীরব থাকবে না এবং ‘যেকোনো পরিস্থিতিতেই’ প্রতিহত করবে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সামা টিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে। মুখপাত্রের বক্তব্যে স্পষ্ট করা হয়েছে, “আমরা চাই স্পষ্টভাবে বলা হোক যে, কাতারের সার্বভৌমত্বে আঘাতের জবাব আমরা দেব।” তিনি আরও বলেন, “বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।”
মুখপাত্র জানান, তারা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগে আছেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলের এই দায়বদ্ধতার অভাব এবার শেষ করতে চায় কাতার।
আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি হামলা
গত ৯ সেপ্টেম্বর ইসরায়েল দোহার একটি আবাসিক ভবনে বিমান হামলা চালায়। এটি এমন এক সময় ঘটেছিল, যখন সেখানে হামাস নেতাদের একটি পরামর্শ সভা চলছিল। হামাস নিশ্চিত করেছে যে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিরাপদ থাকলেও, হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে খলিল আল-হাইয়া-এর ছেলে এবং একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাও ছিলেন।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দোহার আবাসিক এলাকায় শক্তিশালী বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছিল। পরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার তথ্য নিশ্চিত করে। হামাস জানায়, এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় নিয়ে চলমান রাজনৈতিক আলোচনা ব্যাহত করা।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন জাসিম আল থানি বলেছেন, “প্রতিক্রিয়া আসছে। এর জন্য আরব রাষ্ট্রগুলো পরামর্শ করছে।” তিনি আরও বলেন, এই প্রতিক্রিয়া নিয়ে অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
লাদাখে ‘জেন-জি বিপ্লব’: সহিংস বিক্ষোভে পুলিশের গুলি
রাজ্যের মর্যাদা এবং ষষ্ঠ তফসিল কার্যকরের দাবিতে ভারতের লাদাখে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। বুধবারের এই বিক্ষোভে জনতা বিজেপি কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে তিন থেকে পাঁচজন তরুণ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অ্যাক্টিভিস্ট সোনম ওয়াংচুক।
সোনম ওয়াংচুক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আজকের তরুণদের এই বিক্ষোভ এক ধরনের ‘জেন-জি বিপ্লব’। তারা পাঁচ বছর ধরে বেকার। এটি সামাজিক অস্থিরতার একটি রেসিপি। এখানে কোনো গণতান্ত্রিক প্ল্যাটফর্ম নেই।” তবে তিনি সহিংসতার বিরুদ্ধে সংযমের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সহিংসতা কোনো সমাধান নয়।
বিক্ষোভের সূত্রপাত হয় যখন অনশনরত দুই প্রবীণ ব্যক্তি মঙ্গলবার অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষার্থী ও যুব সংগঠনগুলো লেহতে শাটডাউনের ডাক দেয়। কংগ্রেস নেতা সেরিং নামগিয়াল বলেন, “বুধবার সকালে বিপুলসংখ্যক মানুষ অনশনস্থলের দিকে এগিয়ে যান এবং যুবকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।”
আন্দোলনের পেছনের কারণ
অনুচ্ছেদ ৩৭০ রহিতকরণ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন ২০১৯ কার্যকর হওয়ার পর থেকে লাদাখের রাজনৈতিক ও আইনি অবস্থান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এর ফলে প্রাক্তন রাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়—একটি হলো আইনসভাসহ জম্মু ও কাশ্মীর, আরেকটি হলো আইনসভাবিহীন লাদাখ, যা সরাসরি কেন্দ্রীয় প্রশাসনের অধীনে চলে যায়।
এরপর থেকে লাদাখকে ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জোরদার হয়। ষষ্ঠ তফসিলের মাধ্যমে উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় স্বশাসিত জেলা পরিষদের মাধ্যমে আইন প্রণয়ন ও আর্থিক স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়। এই দাবির ভিত্তি হলো, লাদাখের মোট জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশিই অনগ্রসর উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত।
সোনম ওয়াংচুকসহ অনেকে গত ৩৫ দিন ধরে অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে আগামী ৬ অক্টোবরের জন্য পরবর্তী দফার আলোচনার ঘোষণা দিয়েছে।
সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, এনডিটিভি
ব্যাংককে বিশাল সিঙ্কহোলে তলিয়ে গেল ৩ গাড়ি
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে হঠাৎ করেই সড়কের মাটি ধসে এক বিশাল সিঙ্কহোল বা গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে তিনটি যানবাহন তলিয়ে গেছে। এই ঘটনার পর আশপাশের হাসপাতাল ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। পিপল ডটকমের এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
রয়্যাল থাই পুলিশ (আরটিপি) জানিয়েছে, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে স্থানীয় সময় প্রায় ৭টার দিকে রাজধানীর দুডসিত জেলার সামসেন রোডে এই সড়কধসের ঘটনা ঘটে। গর্তটির আকার প্রায় ৩০ বাই ৩০ মিটার এবং এর গভীরতা ৫০ মিটার।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ঘটনার পর দুটি বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং একটি স্টেশন কার গর্তে পড়ে যায়।” স্থানীয় সংবাদপত্র দ্য নেশন জানিয়েছে, সামসেন মেট্রোপলিটন পুলিশ স্টেশনেরও ক্ষতি হয়েছে। তাদের টো-ট্রাকসহ আরও দুটি গাড়ি গর্তে পড়ে গেছে।
ভাজিরা হাসপাতালের সামনে সিঙ্কহোলটি তৈরি হওয়ায় হাসপাতালটি খালি করে রোগীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদেরও নিরাপত্তার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংককের গভর্নর চাদচার্ট সিট্টিপুন্ট গণমাধ্যমকে বলেছেন, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিকটবর্তী আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশনের নির্মাণকাজ থেকেই এই সিঙ্কহোল তৈরি হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্যস্ত সড়কে হঠাৎ মাটি ধসে পড়তে শুরু করে। একাধিক গাড়ি দ্রুত পিছিয়ে গেলেও কয়েকটি যান গর্তে পড়ে যায়। দ্য নেশন জানিয়েছে, খারাপ আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে গর্তটি আরও বড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
অনলাইনে ভিডিও দেখে রকেট বানালেন চীনা তরুণ
অনলাইনে ভিডিও দেখে মাত্র ১৮ বছর বয়সে নিজের রকেট তৈরি করে চীনের হান প্রদেশের তরুণ ঝ্যাং শিজিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন। শূকরের খামারের নাইট্রেট দিয়ে রকেটের জ্বালানি তৈরি থেকে শুরু করে থ্রি-ডি প্রিন্টার ব্যবহার করে যন্ত্রাংশ বানানো—সবকিছুই তিনি শিখেছেন ইন্টারনেট থেকে। এই প্রচেষ্টার ফলস্বরূপ, তার তৈরি রকেট ৪০০ মিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।
১৪ বছর বয়সে টেলিভিশনে একটি রকেট উৎক্ষেপণ দেখে রকেট তৈরির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ঝ্যাং। তার পরিবার বা শিক্ষকদের কেউই এ বিষয়ে জানতেন না। শুধুমাত্র নিজের আগ্রহ ও ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে তিনি রকেট তৈরির বিভিন্ন কৌশল শেখেন। প্রথমে তিনি পরিবারের খামার থেকে নাইট্রেট, চিনি এবং পানি মিশিয়ে জ্বালানি তৈরির চেষ্টা করেন। পরে স্কুলের শেখা ফিলট্রেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে আরও বিশুদ্ধ জ্বালানি তৈরি করতে সক্ষম হন।
সফলতার পথে নানা বাধা
রকেটের যন্ত্রাংশ তৈরির জন্য থ্রি-ডি মডেলিং এবং সফটওয়্যার ডিজাইনও শেখেন ঝ্যাং। নববর্ষের উপহার হিসেবে পাওয়া টাকা ও বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নিয়ে একটি পুরোনো থ্রি-ডি প্রিন্টার কিনে নেন। শত শতবার ব্যর্থ চেষ্টার পর অবশেষে তিনি নিজের তৈরি রকেটটিকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে সক্ষম হন। তার এই প্রচেষ্টায় তিনি চার ধরনের রকেট ইঞ্জিন এবং একটি দুই ধাপের রকেট তৈরি করেন।
ঝ্যাংয়ের এই অদম্য আগ্রহ দেখে তার স্কুল কর্তৃপক্ষও তাকে সমর্থন জানায়। স্কুল থেকে তাকে সাড়ে তিন হাজার ইউয়ান (প্রায় ৫০০ ডলার) দেওয়া হয় এবং সহপাঠীরাও তার গবেষণার কাজে সহায়তা করে। তার একজন শিক্ষক বলেন, “৩০ বছরের শিক্ষকতার জীবনে আমি বিজ্ঞানের প্রতি এমন প্রগাঢ় ভালোবাসা আর দেখিনি।”
নতুন অধ্যায় ও স্বপ্ন
সম্প্রতি ঝ্যাং আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন যে, তিনি শেনইয়াং অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। এটি চীনের প্রথম সারির মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। ঝ্যাংয়ের চূড়ান্ত লক্ষ্য একদিন একটি সত্যিকারের রকেটের নকশা করা। তার বাবা বলেন, “ভিডিও গেমসের পরিবর্তে খেলনা ভেঙে তার যন্ত্রাংশ বের করার আগ্রহ দেখেই আমি বুঝেছিলাম, সে অন্য শিশুদের থেকে আলাদা।”
গাজামুখী ফ্লোটিলায় ড্রোন হামলার অভিযোগ, আতঙ্কে মানবাধিকারকর্মীরা
গাজামুখী আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ দাবি করেছে, তাদের একাধিক নৌযানকে ড্রোন হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে সংগঠকরা জানান, গ্রিসের উপকূলের কাছে অবস্থানকালে তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন এবং আকাশে একাধিক ড্রোন দেখতে পেয়েছেন।
এক বিবৃতিতে ফ্লোটিলা কর্তৃপক্ষ জানায়, “একাধিক ড্রোন আমাদের নৌযান লক্ষ্য করে অজ্ঞাত বস্তু নিক্ষেপ করেছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি নৌকা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।” তবে হতাহতের কোনো খবর তারা জানাতে পারেনি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা এই মনস্তাত্ত্বিক হামলার প্রত্যক্ষ সাক্ষী, কিন্তু আমরা ভয় পাব না।”
ফ্লোটিলার সদস্য জার্মান মানবাধিকারকর্মী ইয়াসেমিন আকার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে জানান, অন্তত পাঁচটি নৌযান হামলার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা শুধু মানবিক সহায়তা বহন করছি। আমাদের কাছে কোনো অস্ত্র নেই। আমরা কারও জন্য হুমকি নই। কিন্তু ইসরায়েল হাজার হাজার মানুষ হত্যা করছে এবং গোটা একটি জনগোষ্ঠীকে অনাহারে রাখছে।”
আকারের আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, ফ্লোটিলার সদস্যরা ১৫ থেকে ১৬টি ড্রোন শনাক্ত করেছেন। তাদের রেডিও সংযোগ জ্যাম করে দেওয়া হয় এবং উচ্চশব্দে সংগীত বাজানো হয়। ফ্লোটিলার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা গেছে রাত ১টা ৪৩ মিনিটে (স্থানীয় সময়) ‘স্পেক্টর’ নামের একটি নৌযানের কাছে বিস্ফোরণ ঘটতে। আরেক ভিডিওতে ব্রাজিলিয়ান কর্মী থিয়াগো অ্যাভিলা বলেন, চারটি নৌযানে ড্রোন থেকে বস্তু নিক্ষেপ করা হয়েছে, ঠিক তখনই আরেকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
বার্সেলোনা থেকে এ মাসের শুরুতে গাজা অভিমুখে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। ইসরায়েলের অবরোধ ভেঙে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোই এর মূল লক্ষ্য। বর্তমানে এ বহরে ৫১টি নৌযান রয়েছে, যার বেশিরভাগ গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের উপকূলে অবস্থান করছে।
এটি প্রথম হামলা নয়। টিউনিশিয়ার উপকূলে নোঙর করার সময়ও অন্তত দুটি ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল বহরের নৌযানগুলো।
এ ফ্লোটিলায় সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শান্তিকর্মী অংশ নিয়েছেন। ইসরায়েল ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে, তারা এই নৌবহরকে গাজায় পৌঁছাতে দেবে না। এর আগে জুন ও জুলাই মাসে গাজাগামী এমন দুটি নৌবহরকে ইসরায়েল আটক করেছিল।
গাজায় চলমান যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ছে। গত মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত এক সংস্থা গাজার কিছু এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দেয়। ১৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের তদন্তকারীরা গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে “গণহত্যা” বলে আখ্যায়িত করে। এই অভিযোগের পটভূমি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পর শুরু হওয়া যুদ্ধ।
-সুত্রঃ এ এফ পি
ট্রাম্পের কারণে রাস্তায় আটকে গেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে এসে নিউইয়র্কে যানজটে আটকে গেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। সোমবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোটরকেড যাওয়ার কারণে নিউইয়র্কের এক পুলিশ কর্মকর্তা তাকে রাস্তা পার হতে বাধা দিলে তিনি ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, বিব্রত পুলিশ কর্মকর্তা ম্যাখোঁকে বলেন, “আমি দুঃখিত, মিস্টার প্রেসিডেন্ট, আমি সত্যিই দুঃখিত। এখন সবকিছু বন্ধ রাখা হয়েছে। একটি মোটরকেড আসছে।”
তবে ম্যাখোঁ বিরক্ত না হয়ে বিষয়টি রসিকতার ছলে নেন। তিনি তখন ট্রাম্পকে ব্যক্তিগতভাবে ফোন দেন এবং মজা করে কথা বলেন। ফোনে তিনি বলেন, “ভাবুন তো—আমি রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, কারণ সবকিছু আপনার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ এক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ম্যাখোঁ হাঁটার সময় ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাদের কথোপকথন ছিল আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ এবং এ সময় তারা কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
পাঠকের মতামত:
- প্রিমিয়ার গ্রুপের প্রতিবাদ: ২৮৭ কোটি টাকা উত্তোলনের অভিযোগ ভিত্তিহীন
- বাংলাদেশের সামনে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিল ভারত
- রিশাদের ঘূর্ণিতে চাপে ভারত, বাংলাদেশের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় পরিবর্তন
- নৌকা প্রতীক স্থগিত রেখে ১১৫টি প্রতীকের তালিকা প্রকাশ করল ইসি
- গাজা নিয়ে আসছে ‘যৌথ ঘোষণা’, এরদোয়ান আশাবাদী
- ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগান ঘিরে ভারতে উত্তেজনা
- ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালেন ড. ইউনূস
- ‘পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো মানেই ছিল না’:ট্রাম্প হতাশ
- ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে এনসিপির আবেদন
- টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল বাংলাদেশ
- ‘কাতারের সার্বভৌমত্বে আঘাতের জবাব দেব’: ইসরায়েলকে হুমকি
- ভোরের অ্যালার্মে বাড়তে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকি, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা
- লাদাখে ‘জেন-জি বিপ্লব’: সহিংস বিক্ষোভে পুলিশের গুলি
- নীরব ঘাতক প্রোস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
- নিউইয়র্কে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক
- ‘সৃষ্টিকর্তা কোনো দেশের মানুষের ভাগ্যে এমন কাউকে না লেখেন’: ফারুকী
- লুকিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তথ্য দিলে মিলবে সহায়তা
- গাজীপুরে ডাকাত সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
- ‘ভারতের আধিপত্যে আর রাজনীতি চলবে না’: সারজিস আলম
- আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে অডিও ক্লিপ শোনানো হলো, ‘মারণাস্ত্র ব্যবহার করো’
- হ্যাকারের কবলে এনবিআর চেয়ারম্যানের হোয়াটসঅ্যাপ, টাকা চেয়ে বার্তা
- ব্যাংককে বিশাল সিঙ্কহোলে তলিয়ে গেল ৩ গাড়ি
- কুড়িগ্রামে বউ-শাশুড়ি মেলা: পারিবারিক সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন উদ্যোগ
- বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থেকে ককটেল উদ্ধার
- ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বৃদ্ধি, শেষ মুহূর্তে চাঙ্গা ছিল বাজার
- অনলাইনে ভিডিও দেখে রকেট বানালেন চীনা তরুণ
- আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্পত্তি দখল: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে উত্তেজনা
- মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোট নিয়ে নতুন আলোচনা, বিএনপিতে বিভাজন
- ‘টাইগার কউন?’: বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আফ্রিদির কটাক্ষ
- লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর নতুন অ্যাকশন-থ্রিলার, মুক্তি পাচ্ছে একই দিনে বাংলাদেশেও
- টঙ্গীর কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: মারা গেলেন আরেক ফায়ার ফাইটার
- বিসিবি নির্বাচন: আদালতের সিদ্ধান্তে বিলম্ব, নানা বিতর্কে উত্তপ্ত বোর্ড
- ফার্মগেটে ঝটিকা মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক অর্ধশত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী
- সরকার গঠনে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা কোন দলের? জরিপের ফল কী বলছে?
- ডিএসইতে বুধবারের শেয়ারবাজার লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে বুধবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ‘স্পাইডার-ম্যান’-এর সেটে দুর্ঘটনা, হাসপাতালে টম হল্যান্ড
- নিউইয়র্কে ‘মির্জা ফখরুলকে লাঞ্ছিত করা হয়নি’: রুহুল কবির রিজভী
- ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে’: ড. ইউনূস
- মোস্তাফিজের রেকর্ডের সামনে: ভারতের কোচ কেন এত প্রশংসা করলেন?
- ৮০ শতাংশ ব্যবহারকারী বঞ্চিত, জেনে নিন ফেসবুক মনিটাইজেশন পাওয়ার উপায়
- বিআরটিএ ও এনবিআরের নতুন পরিকল্পনা: নিবন্ধনহীন গাড়ি চিহ্নিত করে কর আদায়
- সাইফের এক ইনিংসই কি ভারতের হিসাব পাল্টে দেবে?
- রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে উদ্বেগ: আইএইএ’র প্রতিবেদন কী বলছে?
- গাজামুখী ফ্লোটিলায় ড্রোন হামলার অভিযোগ, আতঙ্কে মানবাধিকারকর্মীরা
- ট্রাম্পের কারণে রাস্তায় আটকে গেলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ
- সাও পাওলো গভর্নর থেকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী? আলোচনায় তার্সিসিও
- ইসলামের সেবায় আজীবন নিবেদিত গ্র্যান্ড মুফতি, গভীর শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার
- “উদ্ভাবন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক”— বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে প্রধান উপদেষ্টা
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এশিয়া কাপ থেকে প্রিমিয়ার লিগ, দেখে নিন আজকের খেলার সূচি
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- যে কারণে পুরুষের টেস্টোস্টেরন কমে: না জানলে বিপদ