ভারত-পাক উত্তেজনায় মোদি-ট্রাম্পের জরুরি ফোনালাপ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। মঙ্গলবার রাতে অনুষ্ঠিত ৩৫ মিনিটব্যাপী এ ফোনালাপে আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সাম্প্রতিক সশস্ত্র দ্বন্দ্ব।
বুধবার এক ভিডিও বিবৃতিতে বিক্রম মিশ্রি বলেন, মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার বড় অংশজুড়ে ছিল সম্প্রতি পরিচালিত ‘অপারেশন সিঁদুর’–যা ছিল পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নাম। মোদি ট্রাম্পকে বলেন, এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত শুধু নির্দিষ্ট সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করেছে এবং এতে উত্তেজনা বৃদ্ধির কোনো ইচ্ছা ছিল না।
মোদি বলেন, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হয়েছে এবং পাকিস্তানের যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারত সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ৬ ও ৭ মে রাতে পরিচালিত অভিযানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পরিমিত আঘাত হানা হয় যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয়। পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটি ও বিমানঘাঁটি টার্গেট করে ভারতীয় বাহিনী উল্লেখযোগ্য সাফল্য পায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মোদির বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানের প্রতি সমর্থন জানান। তবে মোদি ফোনালাপে স্পষ্ট করে দেন যে, এই পুরো ঘটনার প্রেক্ষাপটে ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনা বা কোনও ধরনের মধ্যস্থতা নিয়ে আলোচনার অবকাশ তৈরি হয়নি।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, ইতিপূর্বে, ৯ মে রাতে মোদিকে ফোন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। তখন তিনি পাকিস্তান থেকে সম্ভাব্য বড়সড় হামলার বিষয়ে সতর্ক করেন। জবাবে মোদি জানান, ভারতের জবাব আরও কঠোর হবে যদি পাকিস্তান এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়।
এরপর ৯-১০ মে রাতে ভারত সরাসরি সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায় এবং পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ওপর সফল হামলা পরিচালনা করে। এতে পাকিস্তানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা, বিশেষ করে বিমানঘাঁটি অকেজো হয়ে পড়ে। ভারতের দৃঢ় অবস্থানে পাকিস্তান সশস্ত্র উত্তেজনা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
বিক্রম মিশ্রি বলেন, জি-সেভেন সম্মেলনে মোদি-ট্রাম্প সরাসরি দেখা করার কথা থাকলেও, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জরুরি দেশে ফেরা সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয়। এই প্রেক্ষাপটেই দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপটি অনুষ্ঠিত হয়, যা দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।
সূত্র: বিবিসি
পাঠকের মতামত:
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- ভবিষ্যতের গণতন্ত্র না পুরাতনের পুনরাবৃত্তি? ইউনুস-তারেক সাক্ষাৎ পর্যালোচনা
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- জুলাই চার্টার ও জাতীয় ঐকমত্য: জামায়াতের অনুপস্থিতি কতটা যুক্তিসঙ্গত?
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রিজার্ভের দাপট: বিদ্যুৎ খাতের ১৪ কোম্পানি বিনিয়োগের নতুন ঠিকানা
- ইউনূস-তারেক ঐতিহাসিক ও সফল বৈঠক: সংস্কার, একতা ও ন্যায়বিচার— এই তিন স্তম্ভে গড়ে উঠুক নতুন বাংলাদেশ
- উৎসব: ঈদের পর্দায় অনবদ্য এক উদযাপন
- মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ভূ-রাজনৈতিক আধিপত্যের নতুন কৌশল: চীন ও রাশিয়া কী করবে?
- লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠকের পরে পর পর ২টি স্ট্যাটাসে কি বললেন পিনাকী?
- Clash of Civilizations: মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের নতুন রূপরেখা
- তুরস্ক, সৌদি, ইরান-পাকিস্তানের হাতে ‘ইসলামিক আর্মি’ গঠন! কি হতে যাচ্ছে?
- ইসরায়েলে ইরানি মিসাইল, নিহত অন্তত ৭
- ভোক্তার কষ্ট বুঝছে সরকার:বাণিজ্য উপদেষ্টা
- ইসরায়েল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাশিয়ার সতর্কবার্তা
- ২৮ জুন ঢাকায় জনতার ঢল: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবে মহাসমুদ্র!