রাতভর যুদ্ধের আগুন! ইরান-ইসরায়েলের সংঘর্ষের চূড়ান্ত দৃশ্য

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১৪ ০৯:২৮:৩৫
রাতভর যুদ্ধের আগুন! ইরান-ইসরায়েলের সংঘর্ষের চূড়ান্ত দৃশ্য

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় চলমান পরমাণু কর্মসূচি বিষয়ক আলোচনার মাঝেই হঠাৎ ইরানের উপর ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। তারা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছে, ইরানকে কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্রধারী শক্তিতে পরিণত হতে দেওয়া হবে না। এই ঘোষণার অংশ হিসেবে ইসরায়েল এবার একটি দীর্ঘমেয়াদি ও সুনির্দিষ্ট অভিযানের সূচনা করেছ যার প্রাথমিক ধাপে প্রাণ হারিয়েছেন ইরানের একজন শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী এবং সামরিক বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের একাধিক কমান্ডার।

শুক্রবার (১৩ জুন) রাতভর এই হামলার পর একের পর এক বিস্ফোরক ঘটনা ঘটে, যা গোটা মধ্যপ্রাচ্য এবং আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ইসরায়েলের দিকে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। যদিও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) এ সংখ্যা ১০০-এর নিচে বলে দাবি করছে। হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেলআবিবসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে প্রবল বিস্ফোরণ হয়, আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায় এবং জনগণ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে থাকে। আইডিএফ জানিয়েছে, তেলআবিবের একটি বেসামরিক ভবনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত করেছে।

রাতভর ইরান একাধিক ব্যারেজ আকারে মিসাইল হামলা চালায়। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত ও ৬০ জনের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হোম ফ্রন্ট কমান্ড ও উদ্ধারকারী বাহিনী এখনও বিভিন্ন শহরে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এদিকে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয় এবং এক নারী পাইলট আটক হন বলে দাবি করেছে ইরান।

সামরিক উত্তেজনা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ USS Thomas Hudner পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই জাহাজ ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরোধে সক্ষম, যা অঞ্চলটিতে সম্ভাব্য পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ইরানের রাজধানী তেহরানের মেহরাবাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও, যেখানে হামলার পরপরই আগুন ধরে যায় এবং পুরো এলাকা ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও দ্রুত দেখা যাচ্ছে। কাতারের আমির মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং কূটনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হলো, রাশিয়ার এক প্রভাবশালী মেজর জেনারেল আপতি আলাদিনোভ এই সংঘাতকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ঘোষণা দিয়েছেন, “ইসরায়েলের সম্মুখ যুদ্ধে ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এবার প্রতিশোধ হবে ভয়াবহ, আর তা কেবল শুরু।”

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত