“নিঝুম দ্বীপ হবে বাংলাদেশের মালদ্বীপ”—বিএনপির প্রতিশ্রুতি

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১২ ১১:১২:৫৭
“নিঝুম দ্বীপ হবে বাংলাদেশের মালদ্বীপ”—বিএনপির প্রতিশ্রুতি

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম এক জনসভায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, দল ক্ষমতায় গেলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা নিঝুম দ্বীপকে একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তর করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মালদ্বীপ গেছি, অনেক জায়গা ঘুরেছি, কিন্তু নিঝুম দ্বীপের মতো অপার সৌন্দর্য কোথাও দেখিনি। একে বিশ্বমানের পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করাই হবে বিএনপির অগ্রাধিকার।’’

বুধবার (১১ জুন) বিকেলে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বন্দরটিলা বাজারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জনসভায় স্থানীয়দের উন্নয়নচাহিদা এবং দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অবহেলার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি।

মাহবুবের রহমান শামীম বর্তমান ও পূর্বতন সরকারগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, “পতিত স্বৈরাচার যতদিন ক্ষমতায় থেকেছে, নিঝুম দ্বীপে প্রকৃত কোনো উন্নয়ন হয়নি। যা হয়েছে তা হলো জবরদখল, লুটপাট, চাঁদাবাজি আর সন্ত্রাস।’’ তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের ব্যর্থতায় এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দ্বীপটিতে বসবাসরত জনগণ এখনও বঞ্চিত উন্নয়ন ও নিরাপদ জীবনের অধিকার থেকে।

তিনি স্থানীয় জনসাধারণের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি এখনই নিঝুম দ্বীপে পূর্ণাঙ্গ বেড়িবাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হোক।’’ পাশাপাশি বিএনপি সরকার গঠন করলে শুধু বেড়িবাঁধ নয়, দ্বীপের যোগাযোগব্যবস্থা, অবকাঠামো এবং জীবনমান উন্নয়নে বিস্তৃত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

জনসভায় মাহবুবের রহমান শামীম দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে নিঝুম দ্বীপে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ বা ভূমিদস্যু থাকতে পারবে না। এটি হবে শান্তি ও সৌন্দর্যের আধার, যেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদে ও সম্মানে বসবাস করবে।”

তিনি বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনাদের দায়িত্ব শুধু নির্বাচনের সময় নয়, বরং চিরকাল মানুষের পাশে থাকা। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেমন জনগণের পাশে ছিলেন, তেমনি সব সময় পাশে থাকতে হবে।”

বক্তব্যের শেষাংশে মাহবুবের রহমান শামীম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বিএনপি সরকার গঠন করলে নিঝুম দ্বীপ হবে এমন এক পর্যটন কেন্দ্র, যেখানে শুধু বাংলাদেশের পর্যটক নয়, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসবে। উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য মিলিয়ে এই দ্বীপ হতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য।”

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত