স্মৃতিশক্তি জাগিয়ে তুলবে এই ১৪টি খাবার!

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১২ ১০:৪৩:২৯
স্মৃতিশক্তি জাগিয়ে তুলবে এই ১৪টি খাবার!

একটি সুস্থ ও কার্যকর মস্তিষ্ক মানেই নতুন জ্ঞান অর্জন, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া, মনোযোগ ধরে রাখা এবং আবেগীয় ভারসাম্য বজায় রাখা সহজ হয়। ঘুম ও ব্যায়ামের মতোই, খাদ্যাভ্যাসের প্রভাবও মস্তিষ্কের সুস্থতায় অস্বীকারযোগ্য নয়। কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে, মানসিক অবসন্নতা হ্রাসে এবং বয়সজনিত মস্তিষ্কজনিত রোগ প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।

নিচে তুলে ধরা হলো ১৪টি বিজ্ঞানসম্মতভাবে স্বীকৃত খাবার, যেগুলো নিয়মিত খেলে আপনি দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে সক্ষম হবেন:

১. সিমের বিচি

ফলেট ও ভিটামিন-বি সমৃদ্ধ সিমের বিচি মস্তিষ্কে কোষ সংকোচন প্রতিরোধ করে, যা বার্ধক্যজনিত মানসিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর।

২. টমেটো

টমেটোতে থাকা লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে স্নায়ুকে রক্ষা করে এবং অ্যালঝেইমারস ও ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।

৩. হলুদ

কারকিউমিন নামক উপাদানটি হলুদের প্রধান শক্তি, যা মস্তিষ্কে প্রদাহ হ্রাস করে, মন ভালো রাখে এবং মেমোরি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।

৪. ব্রোকলি

ভিটামিন-কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর ব্রোকলি মস্তিষ্ক কোষের সুগঠিত গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে, বিশেষত স্ফিংগোলিপিড তৈরিতে।

৫. কুমড়োর বিচি

জিঙ্ক, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এই ছোট বিচিগুলো স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা ও স্নায়ুবিক বার্তা প্রেরণে সহায়ক।

৬. ডার্ক চকলেট

ফ্ল্যাভোনয়েড ও ক্যাফেইনের উপস্থিতিতে ডার্ক চকলেট মনোযোগ ও স্বল্পমেয়াদি মেমোরি বাড়ায় এবং মেজাজ উন্নত করে।

৭. বাদাম (বিশেষ করে আখরোট)

ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ বাদাম ব্রেইন কোষকে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। আখরোট স্মৃতিশক্তি উন্নয়নে বিশেষভাবে কার্যকর।

৮. কমলা

প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি এর উৎস এই ফল মানসিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করে এবং কগনিটিভ ফাংশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

৯. ডিম

কোলিন সমৃদ্ধ ডিম নিউরোট্রান্সমিটার অ্যাসিটাইলকোলিন তৈরিতে সহায়তা করে, যা স্মৃতিশক্তির জন্য অপরিহার্য।

১০. গ্রিন টি

এল-থিয়ানিন এবং ক্যাফেইন একত্রে স্নায়ু শান্ত রাখে, মনোযোগ বাড়ায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর গ্রিন টি ব্রেইনের বার্ধক্য প্রতিরোধে কার্যকর।

১১. পূর্ণশস্য (যেমন: ওটস, ব্রাউন রাইস, কুইনোয়া)

এই শস্যগুলো ধীরে গ্লুকোজ সরবরাহ করে, ফলে মস্তিষ্ক দীর্ঘ সময় সক্রিয় ও সজাগ থাকে।

১২. বিটরুট

নাইট্রেটসমৃদ্ধ বিটরুট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায় এবং কর্মক্ষমতা ও মানসিক দক্ষতা উন্নত করে।

১৩. বীজজাত খাবার (চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্সসিড)

ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ এই বীজগুলো নিউরোনের সংযোগ উন্নত করে ও ব্রেইন কোষ রক্ষা করে।

১৪. কফি

ক্যাফেইন অ্যাডেনোসিন ব্লক করে সজাগতা বাড়ায়, এবং দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তি সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।

শুধু পেট নয়, মস্তিষ্কও চায় সঠিক পুষ্টি। তাই যদি আপনি চান স্মার্ট ও মেন্টালি ফিট থাকতে, তবে উপরের খাবারগুলোকে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এগুলো শুধু মস্তিষ্ককে সচল রাখবে না, বরং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত