"ড. ইউনুসের ‘পদত্যাগ নাটক’ ছিল জনগণকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার কৌশল"

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, সরকার প্রধান ড. ইউনুস আহমেদের ‘পদত্যাগ নাটক’ ছিল জনসাধারণকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করার একটি কৌশল। তিনি বলেন, “আমরা কখনোই তাঁর পদত্যাগ চাইনি, বরং সরকারের ভুল সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি। সরকার এভাবে জনগণের আবেগ নিয়ে খেলছে।”
বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা আব্দুল আল মামুন ও রিহান হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের রকিবুল হাসান, পৌর কমিটির মাহফুজুর রহমান এবং সদর উপজেলা কমিটির হালিম পারভেজ।
রাশেদ খান আরও বলেন, “সরকার শুধুমাত্র নিজেদের সাফল্য প্রচার করছে, কিন্তু অসংখ্য ব্যর্থতা গোপন রাখা হচ্ছে। জনগণের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, যা স্বৈরাচারী মনোভাবেরই প্রতিফলন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার নির্বাচনের সময় নির্ধারণে দেশের বৃহত্তর অংশের মতামত উপেক্ষা করেছে। “এপ্রিল মাস প্রচণ্ড গরমের সময়। এ সময় ভোট গ্রহণ পরিকল্পনা জনগণের অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করার কৌশল বলেই মনে হয়। আমাদের সুপারিশ ছিল ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজন।”
রাশেদ খান প্রশ্ন তোলেন, “মাত্র তিনটি দলের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন সময়সূচি ঠিক করা হলে, বাকি রাজনৈতিক দলগুলো কি গণতন্ত্রের অংশ নয়? তারা কি আন্দোলন করেনি?”
সরকারি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, প্রতি মাসে উপদেষ্টারা সম্পদের হিসাব দেবেন। অথচ গত ১০ মাসে কেউ সে দায়িত্ব পালন করেনি। বরং কয়েকজন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সহকারীদের বিরুদ্ধে নাটকীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা প্রকৃত দুর্নীতির তদন্ত না করে কেবল লোক দেখানো কার্যকলাপ।”
সরকারের একজন নারী উপদেষ্টার বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ থাকলেও তাতে কোনো তদন্ত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রাশেদ খান দাবি করেন, সরকার যদি সত্যিই ‘গণঅভ্যুত্থানের ফসল’ হয়ে থাকে, তাহলে শেখ পরিবার ও ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। “শেখ পরিবারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে, তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে নইলে দাতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে এবং সেই নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের 'ডামি এমপি' হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে এল বড় সুখবর!
- কবে থামবে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিভেদের রাজনীতি?
- ২০২৬ সালের এপ্রিলেই জাতীয় নির্বাচন: জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা
- নির্বাচনের ঘোষণায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া: বিএনপি অসন্তুষ্ট, জামায়াত সন্তুষ্ট, এনসিপি শর্তসাপেক্ষে সমর্থন
- স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ
- রোজা, পরীক্ষা ও বাজেটের মাঝে নির্বাচন অযৌক্তিক: বিএনপি
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি নেতার বাড়িতে সেনা অভিযান:উদ্ধার ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র!
- দ্বিতীয় দিনেও চলছে কোরবানি, কসাই না পাওয়ায় আজ জবাই অনেকের
- তিন মাসেই যে ১০ বেসরকারি ব্যাংকে ৩২ হাজার কোটি টাকার আমানত বৃদ্ধি!
- তারেক-ইউনূস বৈঠক: উত্তপ্ত রাজনীতিতে সম্ভাব্য টার্নিং পয়েন্ট?
- তারেক রহমানের দেশেফেরার সম্ভাব্য সময় জানালেনমির্জা ফখরুল
- উত্তর-পূর্ব ভারতের ক্ষোভ কি ভারতের কেন্দ্রীয় কূটনীতি পাল্টাবে?
- সাক্ষাৎ চাইলেন শেখ হাসিনার ভাগ্নি, মুখ ফিরিয়ে নিলেন ড. ইউনূস
- তারেক রহমানের ঈদ শুভেচ্ছা
- আবদুল হামিদের দেশে ফেরা: স্বপ্ন না বাস্তব? সারজিস আলম যা বললেন