চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগুন! অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ১০ ১২:০০:২৯
চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আগুন! অভিযুক্ত বিএনপি নেতা

রাজশাহীর পুঠিয়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী দাবি করেছেন, পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় তার বাড়িতে পরিকল্পিত এই হামলা চালানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের বিড়লদহ হাতিনাদা গ্রামে। আগুন লাগানোর পর ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর একটি দল ও পুঠিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

ভুক্তভোগী আবদুল হান্নান নামের ওই ব্যবসায়ী পুঠিয়া থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে বলেন, বানেশ্বর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম গত আগস্ট থেকে তার কাছে নিয়মিতভাবে চাঁদা দাবি করছিলেন। হান্নান চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, গত ৯ জুন বিকালে রফিকুলের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল সশস্ত্র অবস্থায় তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা ঘরে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে দুটি ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

আগ্নিকাণ্ডে বাড়ির মূল্যবান মালামালসহ একটি ছাগল পুড়ে মারা যায় এবং আরেকটি দগ্ধ হয়। আতঙ্কিত হান্নান ও তার পরিবার স্থানীয় একটি ধানের চাতালে আশ্রয় নেন।

ব্যবসায়ী হান্নান দাবি করেন, “আমি কোনো রাজনৈতিক পদে নেই, তবে আওয়ামী লীগের সমর্থক। রফিকুল ইসলাম বারবার চাঁদা চেয়ে হয়রানি করছিলেন। শেষ পর্যন্ত চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে তাণ্ডব চালান।”

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রফিকুল ও তার সহযোগীরা বর্তমানে পলাতক।

এদিকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, “রফিকুল যদি সত্যিই এমন অপরাধে জড়িত থাকেন, দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েই পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক


উত্তরবঙ্গে রাজশাহী ও দক্ষিণে বরিশাল-খুলনায় বিপিএল ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা: আসিফ মাহমুদ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ২১:৪১:৩৩
উত্তরবঙ্গে রাজশাহী ও দক্ষিণে বরিশাল-খুলনায় বিপিএল ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা: আসিফ মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় ও যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ও বিপিএল আয়োজন করা হয়। তবে এখন এই কার্যক্রমকে বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গে রাজশাহী স্টেডিয়াম এবং দক্ষিণবঙ্গে বরিশাল বা খুলনা স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা চলছে। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিসিবির দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা রাজশাহী স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেছেন এবং সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা যাচাই করেছেন। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে রাজশাহী স্টেডিয়ামে বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচ আয়োজন সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শনকালে এসব কথা জানান তিনি। একইদিনে রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ‘নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

পরিদর্শনকালে যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:১৮:১৫
অন্তর্বর্তী সরকারের আট উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ আছে:সাবেক সচিব সাত্তার
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা এ বি এম আব্দুস সাত্তার দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতি সীমাহীন এবং এ সংক্রান্ত প্রমাণ তার কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বা বদলি করা হয় না।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে ‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারে এসব মন্তব্য করেন আব্দুস সাত্তার। তিনি বর্তমানে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের সভাপতি। এই সেমিনার আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। এতে প্রশাসন ক্যাডারের শীর্ষ পদে থাকা প্রায় সব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

আব্দুস সাত্তার বলেন, “একজন উপদেষ্টার এপিএসের অ্যাকাউন্টে ২০০ কোটি টাকা থাকার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এমন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় অনভিজ্ঞ উপদেষ্টাদের হাতে দেওয়া হয়েছে, যা প্রশ্নবিদ্ধ।”

তিনি আরও জানান, গত এক বছরে দুর্নীতি কমার বদলে বেড়েছে। এক সহকারী কমিশনার (ভূমি) একটি স্কুলের জমির নামজারির জন্য ৩০ লাখ টাকা চেয়েছেন। ঢাকার আশপাশের একজন ইউএনও একটি কারখানার লে-আউট পাশ করার জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন।

আব্দুস সাত্তার জানান, তিনি একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে কাজ করেন। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে সেখানে হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ভিড় করছেন। তার বস তারেক রহমান তাকে বলেছেন, “কারা এরা? তারা কেন আসে?” তিনি জানান, আসলে তারা গত ১৫ বছর সরকারের বঞ্চনায় ভোগা মানুষ, যারা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য এসেছে। কিন্তু দলীয় অফিসে ইন-সার্ভিস কর্মকর্তাদের আসা ভাল লক্ষণ নয় বলে নির্দেশ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, “আমলাদের চরিত্র খারাপ হয়ে গেছে বলে হতাশ। জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর বসে থাকা আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ আমি দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এদের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে, তবে কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

সেমিনারে বিগত সরকারের ১৫ বছরের প্রশাসনিক দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে তীব্র আলোচনা হয়। কর্মকর্তারা কিভাবে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। আগামীতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে কাজ না করার আহ্বান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কানিজ মওলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা লাসনা কবির ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শাফিউল ইসলামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।

সেমিনারে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মাহমুদুর রহমান সৈকত এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের পরিবারের সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন। সরকারি কর্মকমিশনের সচিব সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম।

/আশিক


 রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১২:০০:৩৭
 রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা সজীব ভূঁইয়া
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী জেলায় ১২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজশাহী জেলা সার্কিট হাউজে ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এই অনুষ্ঠানে ৯টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। উদ্বোধনকৃত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে পবা উপজেলার হরিপুর হাটের নতুন মার্কেটের দ্বিতীয় তলা, বাঘা উপজেলার চক ছাতারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন (চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়), রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারতলা ভবন, মোহনপুর উপজেলার ধোরসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন (চাহিদা ভিত্তিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প-পর্যায়-১), গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, রাজশাহী নগরের হড়গ্রাম নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা, রাজশাহী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, গোদাগাড়ী উপজেলার পান্তাপাড়া-ভাগাইল ৭২ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ, এবং চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া-হাবিবপুর খালের পলি অপসারণ কাজ।

এছাড়া তানোর উপজেলার কাশিম বাজার থেকে বায়া রাস্তার প্রশস্তকরণ ও শক্তিকরণ, বাগমারা উপজেলার একতলা ভূমি অফিস এবং বাগমারা উপজেলার বীরকৎসা হাটের দুইতলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানসহ স্থানীয় প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সকাল ৮টার দিকে বিমানযোগে রাজশাহীতে পৌঁছান। সার্কিট হাউজে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশগ্রহণের পর তিনি এসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেন, যেখানে নাটোর সদরের মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন ও জেলা পরিষদে আলোচনা সভায় অংশ নেবেন। পাশাপাশি তিনি নাটোর সার্কিট হাউজে এলজিইডির কাজের উদ্বোধন করবেন। পরে রাজশাহী ফিরে ঢাকায় যান।

উপদেষ্টা জানান, বিকেলে রাজশাহীতে ফিরে বিভাগীয় স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন এবং সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

/আশিক


গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১১:৪৩:৩১
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় সাতজন গ্রেফতার
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন (৩৮) কে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, আল আমিন, মো. স্বাধীন, শাহজালাল, ফয়সাল হাসান ও মো. সুমন।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) এর উপকমিশনার রবিউল হাসান। তিনি জানান, শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে পুলিশের তিনটি ইউনিট পৃথক স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে এই সাতজনকে গ্রেফতার করে।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ভিডিও সংক্রান্ত বিরোধের জেরে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে।

তুহিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই মো. সেলিম বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, তুহিন তার পরিবার নিয়ে গাজীপুর মহানগরীর চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বাস করতেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাকে ধাওয়া করলে তুহিন ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুর্বৃত্তরা দোকানের ভিতর ঢুকে তাকে কোপাতে থাকে। পরে তিনি মারা যান এবং দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চেহারা ধরা পড়ে। পুলিশ রাতেই মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচ জনকে আটক করে।

রবিউল হাসান জানান, সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে আসামিদের শনাক্তের পর পুলিশ তিনটি টিম গঠিত করে গ্রেফতার অভিযান চালায়। শুক্রবার রাত প্রায় ১০টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকা থেকে কেটু মিজান ও তার স্ত্রী গোলাপিকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের অন্য একটি টিম গাজীপুর শহরের পাশ থেকে স্বাধীনকে আটক করে। তুরাগ থানা এলাকা থেকে আল আমিনকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে শাহজালাল এবং বাসন এলাকা থেকে ফয়সাল ও সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উপকমিশনার আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রত্যেকেই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাদের থেকে হত্যার প্রকৃত কারণ জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে পুলিশ বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে।

/আশিক


নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১১:২০:১০
নাসির উদ্দিন: মানুষের আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন ব্যবস্থা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন।ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা অনেকাংশে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি বলেন, জনগণকে কেন্দ্রে এনে নির্বাচন পরিচালনা করা এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রংপুরে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। নাসির উদ্দিন আরও জানান, আগামী নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হিসেবে থাকবে, তবে নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসবে পরিস্থিতি উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।

তিনি উল্লেখ করেন, গত নির্বাচনে যারা প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জোর দিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচন কমিশন কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। ১৮ কোটি জনগণের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ ভোটের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুন্দর ও ন্যায্য করার জন্য সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

/আশিক


সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১০:০৫:৫০
সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে সরকারের নির্ধারিত ২৭ টাকার সার বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়
ছবি: কালের কণ্ঠ

গ্রামের মাঠগুলোতে আমন ধান ও শীতকালীন সবজির জন্য প্রস্তুতি চলছে। তবে সারের দাম বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছেন। সরকার যেখানে টিএসপি সারের প্রতি কেজির দাম ২৭ টাকা নির্ধারণ করেছে, সেখানে স্থানীয় বাজারে তা ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঝিনাইদহের সদর, শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় সার ক্রয়ে কৃষকরা প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের কথা জানাচ্ছেন। কৃষি অফিস ও ডিলারদের থেকে সঠিক পরিমাণ সার না পেয়ে কৃষকরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে অন্য জায়গা থেকে কিনছেন। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু ডিলার সরকারি গুদামের সার কালোবাজারে পাচার করছেন।

স্থানীয় সারের ডিলারদের মধ্যে পোড়াহাটি ইউনিয়নের হাজী জাহাঙ্গীর, দোগাছী ইউনিয়নের উজ্জ্বল হোসেন, শৈলকুপার দুধসর ইউনিয়নের সাইয়ুব আলী জোয়ার্দার, হরিণাকুণ্ডু পৌরসভার মাহবুব হোসেন ও কাপাসাটিয়া ইউনিয়নের সোনা জোয়ার্দার দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় একটি সিন্ডিকেট গঠন করেছেন। তারা বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সারের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইউরিয়া সার বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা, এমওপি ২৭ থেকে ৩০ টাকা, ডিএপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এবং টিএসপি ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।

একজন ডিলার জানিয়েছেন, সবজি চাষের কারণে টিএসপির চাহিদা বেড়েছে, তাই ডিলাররা অধিক দামে বিক্রি করছে। কৃষক আব্দুর রশিদ মল্লিক বলেন, সরকারি দামে সার না পেয়ে তিনি অন্য ডিলারের কাছে দ্বিগুণ মূল্যে সার কিনতে বাধ্য হয়েছেন। শৈলকুপার কৃষক গোলাম নবী অভিযোগ করেছেন, প্রতিবার একই সমস্যা হয়, প্রশাসন জানানো হলেও পদক্ষেপ নেই।

জেলা সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত হোসেন সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ষষ্ঠী চন্দ্র রায় জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপসহ বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে এবং জিরো টলারেন্স নীতি নেওয়া হয়েছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিগগির এই সমস্যা সমাধান হবে।

/আশিক


দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৯ ০৯:৩৪:২৭
দুই কারণ সামনে রেখে গাজীপুরে সাংবাদিক হত্যা ঘটনায় তদন্ত
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানের স্ত্রী মুক্তা বেগম স্বামী হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।ছবি: প্রথম আলো

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামানকে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনায় দুই সম্ভাব্য কারণ নিয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। একদিকে রয়েছে গাজীপুরের সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের বিরুদ্ধে ভিডিও ধারণের ঘটনা, অন্যদিকে পূর্বশত্রুতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে হত্যাকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের নাম মো. মিজান ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, মো. স্বাধীন ও আল আমিন। সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করার পর গত কয়েক দিনে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আসাদুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। সেটি দেখে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে তিনটি পুলিশের টিম ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে মিজান ও তার স্ত্রী, শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে স্বাধীন এবং রাজধানীর তুরাগ থেকে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) তাহেরুল হক চৌহান জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ঘটনার পর আসাদুজ্জামানের বড় ভাই মো. সেলিম গাজীপুর বাসন থানায় মামলা করেছেন। আসাদুজ্জামান গত বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইকারী ও সন্ত্রাসীদের দ্বারা কুপিয়ে নিহত হন। তিনি দৈনিক ‘প্রতিদিনের কাগজ’ এর স্টাফ রিপোর্টার ছিলেন এবং ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার রবিউল হাসান জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ছিনতাইকারী দল ধারালো দেশি অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করছে। সেই সময় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ওই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ভিডিও করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, চান্দনা চৌরাস্তা মসজিদ মার্কেটের পশ্চিম পাশে, সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিটে একটি নারী ও পুরুষের ধস্তাধস্তির দৃশ্য। নারীকে টেনে ধরছে একজন পুরুষ, যিনি পরে তার উপর চড়াও হন। তখন পাশ থেকে ধারালো অস্ত্র হাতে কিছু যুবক ওই ব্যক্তিকে কোপানোর চেষ্টা করেন। ওই ব্যক্তি পালাতে সক্ষম হন।

আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি এবং তাঁর সহকর্মী শামীম হোসেন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় একসঙ্গে হাঁটছিলেন। শামীম বলেন, কয়েকজন ধারালো অস্ত্রধারী ওই পুরুষকে তাড়া করছিল। আসাদুজ্জামান মোবাইল ফোন বের করে তাদের ভিডিও করতে থাকেন। পরে চায়ের দোকানে ঢুকে পালানোর চেষ্টা করলেও তারা ঢুকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। শামীম পরে পুলিশকে খবর দেন।

ধস্তাধস্তির সময় আহত ব্যক্তি বাদশা মিয়া হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তিনি বলেন, তাদের একটি দল তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।

পুলিশ জানায়, গাজীপুর বাসন, ভোগরা ও চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ছিনতাইকারী একটি চক্র সক্রিয়। ভিডিওতে ধরা পড়ে ছিনতাইকারীদের মধ্যে এক নারীও রয়েছে, যিনি ওই চক্রের সদস্য বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন গতকাল চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে। গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে কর্মসূচিতে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকরা হত্যার নিন্দা জানিয়ে বিচার ও নিরাপত্তা দাবি করেন।

এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও গণ অধিকার পরিষদ ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা বাসন থানায় মিছিল করে থানা ঘেরাও করে।

আসাদুজ্জামানের জানাজা গতকাল চান্দনা মসজিদ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সন্ধ্যায় তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরিবারের সদস্যরা শোকাহত।

এদিকে গাজীপুরের সাহাপাড়া এলাকায় সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মো. ফরিদ নামের এক যুবককে। গত বুধবার চাঁদাবাজির সংবাদ সংগ্রহকালে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা হয়। মামলার বাদী তার মা। গ্রেপ্তারকৃত ফরিদকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে। পুলিশ অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।

/আশিক


গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৮ ১৬:১৩:১৬
গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের আপডেট
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার (৮ আগস্ট) সংস্থাটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নিহতের বড় ভাই সেলিম মিয়া গাজীপুর সদর উপজেলার বাসন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, তুহিন অন্য এক যুবককে মারধরের ভিডিও ধারণ করছিলেন। সেই সময় ঘটনাস্থলে থাকা অস্ত্রধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে ধাওয়া করে। জীবন বাঁচাতে তিনি পাশের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন, কিন্তু সেখানেই তাকে ঘিরে ফেলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

৩২ বছর বয়সী আসাদুজ্জামান তুহিন দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার মো. রবিউল হাসান জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তার মতে, অভিযুক্তরা ধরা পড়লেই হত্যার পেছনের প্রকৃত উদ্দেশ্য উদঘাটিত হবে।

-রফিক


আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৭ ২১:৫৭:১৩
আদালতে দীপু মনিকে কঠোর ভাষায় দুষলেন কলিমউল্লাহ
আদালতে বেরোবির সাবেক ভিসি নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। ছবি: সমকাল

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।

শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে কলিমউল্লাহ সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিকে তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। আদালতে উপস্থিত থাকাকালে তিনি জানান, ২০১৭ সালে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করেছেন; কোনও অনিয়ম বা দুর্নীতি করেননি।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমী জানান, মামলায় মোট পাঁচজন আসামি রয়েছে, যারা যোগসাজশে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতিগ্রস্ত কাজ দিয়েছেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদন করেন।

বিচারক মামলার জটিলতাসহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। কলিমউল্লাহ জানান, তাঁর ক্যাম্পাসে উপস্থিতি কম ছিল কারণ তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তাঁর কাছে অন্যায় দাবি করতেন এবং এই কারণে ক্যাম্পাসে যেতেন কম। তিনি বলেন, “আমি সারাদিন কাজ করে রাতে টকশো করতাম।”

বিচারক আরও জানতে চান, তিনি কীভাবে একই সঙ্গে উপাচার্য, বিভাগের চেয়ারম্যান এবং অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করতেন। কলিমউল্লাহ বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর নিয়ন্ত্রণে নয়।

বিচারক নকশা ও উন্নয়ন কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করলে কলিমউল্লাহ জানান, অনেক কাজ পূর্ববর্তী উপাচার্যের আমলের, নকশাও আগের। তিনি দাবি করেন, ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করেছেন, এজন্যই তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ থাকায় তদন্ত হবে জানিয়ে বিচারক বলেন, “আপনি জানেন কী করেছেন, কিছুদিন পর দুদক জানবে, তারপর বাকি মানুষও জানবে।”

গ্রেপ্তারের সময় তিনি অপ্রস্তুত ছিলেন এবং দুদক থেকে তলব না হওয়ার বিষয়েও আপত্তি জানান। তবে বিচারক স্পষ্ট করে বলেন, যারা দুর্নীতি করেছেন, তাদেরকে জেলেই থাকতে হবে।

অবশেষে বিচারক কলিমউল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং জানান, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা জেল কর্তৃপক্ষ দেবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। একই আদালত বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির মামলায় কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু, সাবেক উপাচার্য এ কে এম নূর-উন-নবী এবং এম এম হাবিবুর রহমান।

/আশিক

পাঠকের মতামত: