জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যা ৭টায় এই ভাষণ প্রচারিত হবে। জাতির উদ্দেশে ভাষণটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি শুক্রবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেন, “পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।”
এদিকে, আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) দেশে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। বরাবরের মতো এবারও রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানেই ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের দিন সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এই জামাত শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা। শুক্রবার সকালে ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে এসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, “পুরো এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদগাহে প্রবেশের সময় কেউ ধারালো বস্তু বহন করতে পারবেন না।”
অন্যদিকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে ঈদের প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহ থেকে সরিয়ে সকাল ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথম ঈদুল আজহায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে যাচ্ছেন। এই ভাষণে তিনি ঈদুল আজহার তাৎপর্য, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি, সামাজিক সম্প্রীতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।

দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ‘১০টি চুক্তি বা প্রকল্প বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়। তিনি দাবি করেছেন, প্রকৃতপক্ষে শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চুক্তি বাতিলের সত্যতা
এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে দাবি করেছিলেন, হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য: এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “যে তালিকাটি এসেছে, সম্ভবত একজন উপদেষ্টা তা প্রচার করেছেন। হয়তো এটা তিনি না করলেও পারতেন। তবে যে তালিকা সেখানে এসেছে, সেটি সঠিক নয়। এর অধিকাংশ চুক্তিই বাস্তবে নেই।”
বাতিল হওয়া চুক্তি: তিনি নিশ্চিত করেন, শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে, সেটি হলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগবোট সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আসিফ মাহমুদের প্রকাশিত তালিকা
গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে বাতিল ও বিবেচনাধীন চুক্তি/প্রকল্পগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় তিনি ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (মিরসরাই ও মোংলা আইইজেড) মোট ১০টি চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
গ্রামীণ মাটির রাস্তা সংস্কারসহ মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫৩ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত প্রধান প্রকল্পগুলো
একনেকে অনুমোদিত ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:
খাদ্য ও কৃষি: রেজিলিয়েন্স স্ট্রেংদেনিং থ্রো অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প।
নগর উন্নয়ন: খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১-৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ, এবং উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প।
স্বাস্থ্য: পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প।
যোগাযোগ ও রেলওয়ে: কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন প্রকল্প।
অন্যান্য: ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ, এবং বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষণ ল্যাবরেটরি সম্প্রসারণ।
আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বসবে এই বৈঠক, যেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা।
এটি হবে বিএনপি ও ড. ইউনূসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক—এর আগে ৩১ আগস্টও তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, কারণ জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা—বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কী? কেবল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, নাকি নতুন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা? সূত্রমতে, বিএনপি এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের রোডম্যাপ চাইতে পারে। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে পারস্পরিক সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।
একজন জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, “এটি কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণ করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈঠকে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনরুত্থানের নতুন ভিত্তি হতে পারে।
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ—যেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল স্বাক্ষর করেছে—রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, এই আলোচনায় সনদের বাস্তবায়নই মুখ্য বিষয় হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সনদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, “জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটি গণআকাঙ্ক্ষার দলিল।” তাই বৈঠকে তিনি সরকারের কাছ থেকে এই সনদের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার আশ্বাস চাইতে পারেন।
বিএনপি এবার সংলাপে অংশ নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে। একদিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চাপও অনুভব করছে। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, “আমরা সংলাপে যাচ্ছি, কিন্তু জনগণের রায়ের বাইরে কোনো সমাধান গ্রহণ করবো না।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতের পথে নয় বরং নীতি ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এই বৈঠকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদে তার ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি এর বাস্তবায়নে বিলম্ব ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক তার জন্য এক ধরনের “টেস্ট কেস”—যেখানে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিই নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
সরকারি সূত্র বলছে, ইউনূসের লক্ষ্য হলো আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সর্বসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। তিনি চান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার টেবিলে ফিরুক, যাতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর অপব্যবহার এখন একটি বৈশ্বিক মাথা ব্যথার কারণ। এই সমস্যা মোকাবিলায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এআই-এর অপব্যবহার রোধ করতে এটিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বলেন, ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্যের দ্রুত মোকাবেলায় গঠিত সেলকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
কর্মশালার লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
সুনির্দিষ্ট সমাধান: সিইসি বলেন, “আমরা সবাই মিলে একত্রে চিন্তা করলে আরো অনেক ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। এই কর্মশালা থেকে শুধুমাত্র নীতিগত নির্দেশিকা নয়, বরং বাস্তবায়নযোগ্য খুটিনাটিসহ সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ চাই।”
পাহাড়ি অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ: তিনি বলেন, পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চল বা সমুদ্র উপকূলের অফশোর আইল্যান্ডগুলো থেকে অস্বাভাবিক বা মিথ্যা তথ্য আসতে পারে। সেই তথ্যের কাছে পৌঁছানো এবং সেগুলোকে মোকাবেলা করার উপায় বের করা জরুরি।
ফ্যাক্ট চেকিংয়ের দাবি
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে মৌলিক সুপারিশ চেয়েছেন:
সময়সীমা: ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্যের দ্রুত মোকাবেলায় গঠিত সেলকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
পদ্ধতি: ফ্যাক্ট চেকিংয়ের পদ্ধতি কেমন হবে, কত দ্রুত তথ্য যাচাই করা যাবে এবং কোন কোন সংস্থাকে এর জন্য কাজে লাগানো হবে—এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সমাধান দরকার।
জনবল: প্রয়োজনে প্রতি শিফটে কতজন কর্মী নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের শিক্ষাগত পটভূমি বা অভিজ্ঞতা কেমন হতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত সুপারিশ দিতে হবে।
সিইসি বলেন, এই কর্মশালাটি অত্যন্ত কার্যকর হবে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে তার যাত্রাপথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।
সমঝোতা ও কার্যকরের সময়
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ এবং পরবর্তী জুলাই মাস থেকে ১৫ শতাংশ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।
আহ্বান: সিআর আবরার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ইতি টেনে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে, আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি, যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার।”
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য: তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সমঝোতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং গুণগত মানসম্মত শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে এক নতুন সূচনা করবে।
আগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছিল, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) দেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষকরা ওই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশনসহ সব ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নতুন এই ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মূল দাবির (২০ শতাংশ) কাছাকাছি পৌঁছেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, উক্ত বাড়ি ভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে এবং এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্থানিক পরিকল্পনা (Spatial Planning) সংযুক্ত করতে এবং জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর কৌশল নির্ধারণে সরকার নয় সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দেশের ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতনামা নগর পরিকল্পনাবিদ ও শিক্ষাবিদদের, যারা জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানিক দৃষ্টিকোণ যুক্ত করে উন্নয়ন কাঠামোকে আরও বাস্তবসম্মত ও টেকসই করতে সুপারিশ প্রণয়ন করবেন।
পরিকল্পনা কমিশনের জারি করা এক অফিস আদেশ অনুযায়ী, এ টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রখ্যাত নগর পরিকল্পনাবিদ ড. এ.টি.এম. নুরুল আমিন—যিনি এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সম্মানিত সদস্য।
টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ও বিআইপির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. সেলিম রশিদ; বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান; সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান; সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিজিআইএস)-এর ড. ফারহানা আহমেদ; বিআইপি সদস্য এ.কে.এম. রিয়াজ উদ্দিন; বিআইপির সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন; এবং বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন হাসান।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)-এর একজন প্রতিনিধি টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ শেষে টাস্কফোর্স দুই মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রয়োজনে টাস্কফোর্স অতিরিক্ত সদস্য যুক্ত করার ক্ষমতাও রাখবে। টাস্কফোর্সের কাজের সার্বিক প্রশাসনিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সরকার দেশের উন্নয়ন কাঠামোয় একটি দীর্ঘমেয়াদি, অঞ্চলভিত্তিক এবং তথ্যনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি সংযোজনের চেষ্টা করছে। নগরায়ণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভূমি ব্যবহার ও অবকাঠামো পরিকল্পনা—সবকিছুকে এক ছাতার নিচে এনে ‘ন্যাশনাল স্পেশাল প্ল্যানিং’-এর মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি সমন্বিত রূপরেখা তৈরি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় পরিকল্পনার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনের পথে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
-নাজমুল হাসান
সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু
একসময় বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
শুনানি ও আবেদনকারী
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করবেন।
এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। আপিলকারী বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন:
ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন বিশিষ্ট নাগরিক।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনি ইতিহাস
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী: ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
হাইকোর্টের রায়: ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়। হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট এই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করেন।
আপিল বিভাগের রায়: এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ধারাবাহিকতায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
পঞ্চদশ সংশোধনী: এই রায়ের পর পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়, যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং রাজনৈতিক নেতারা আবেদন করেন।
নতুন পে স্কেল: এক দশক পর বেতন কাঠামোয় আসছে বড় পরিবর্তন
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে জাতীয় বেতন কমিশন। প্রস্তাবে গত ১০ বছরের ব্যবধানে বেতন ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) জাতীয় বেতন কমিশন এই খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে।
নতুন বেতন স্কেলের প্রস্তাব
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, সর্বনিম্ন গ্রেড-২০ থেকে সর্বোচ্চ গ্রেড-১ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের মূল বেতনের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসছে:
সর্বোচ্চ গ্রেড-১: কর্মকর্তাদের মূল বেতন ১ লাখ ৫০ হাজার ৫৯৪ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
গ্রেড-২ থেকে গ্রেড-৯: গ্রেড-২ এ ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২৬ টাকা, গ্রেড-৩ এ ১ লাখ ৯ হাজার ৮৪ টাকা, গ্রেড-৪ এ ৯৬ হাজার ৫৩৪ টাকা, গ্রেড-৫ এ ৮৩ হাজার ২০ টাকা, গ্রেড-৬ এ ৬৮ হাজার ৫৩৯ টাকা, গ্রেড-৭ এ ৫৫ হাজার ৯৯০ টাকা, গ্রেড-৮ এ ৪৪ হাজার ৪০৬ টাকা এবং গ্রেড-৯ এ ৪২ হাজার ৪৭৫ টাকা মূল বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সর্বনিম্ন গ্রেড-২০: গ্রেড-২০ এর কর্মচারীদের জন্য ১৫ হাজার ৯২৮ টাকা মূল বেতন নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে জাতীয় বেতন কমিশন।
অন্যান্য গ্রেডের প্রস্তাব
কমিশনের প্রস্তাবে গ্রেড-১০ এ ৩০ হাজার ৮৯১ টাকা, গ্রেড-১১ তে ২৪ হাজার ১৩৪ টাকা, গ্রেড-১২ তে ২১ হাজার ৮১৭ টাকা, গ্রেড-১৩ তে ২১ হাজার ২৩৮ টাকা, গ্রেড-১৪ তে ১৯ হাজার ৬৯৩ টাকা, গ্রেড-১৫ তে ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা, গ্রেড-১৬ তে ১৭ হাজার ৯৫৫, গ্রেড-১৭ তে ১৭ হাজার ৩৭৬ টাকা, গ্রেড-১৮ তে ১৬ হাজার ৯৯০ টাকা, এবং গ্রেড-১৯ তে ১৬ হাজার ৪৪১ টাকা মূল বেতনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুখবর: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি নিয়ে বড় ঘোষণা
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ই-গেট খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি জানান, যাদের ই-পাসপোর্ট রয়েছে, তারা পাসপোর্ট দেখিয়ে ই-গেট দিয়ে দ্রুত প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য পাসপোর্ট ফি কমানো হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও ফি কমানোর উদ্যোগ
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, আজকের সভায় সাম্প্রতিক কয়েকটি আগুনের দুর্ঘটনা এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ফি কমানো: তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা শুধু সব সময় রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলি, কিন্তু তারা যে সম্মানটা পাওয়ার দরকার, সেটা অনেক ক্ষেত্রে পায় না। এ জন্য আপাতত তাদের পাসপোর্টের ফি কমিয়ে দেওয়া হবে।”
পদ্ধতি: কতটুকু কমানো হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশ অনেকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে একটি যুক্তিসঙ্গত ফি নির্ধারণ করা হবে। এখন থেকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা থেকেও সাধারণের মতো পাসপোর্ট ফি নেওয়া হবে এবং পাসপোর্ট ফি সবার জন্য সমান থাকবে।
বিমানবন্দরে সুবিধা: তিনি জানান, প্রবাসীরা যাতে বিমানে এবং বিমানবন্দরে আসার পরও ভালো সার্ভিস পান, সেই চেষ্টা করা হবে। বিমানের ভাড়া কমানো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অবশ্যই চেষ্টা করব। লাভজনক পর্যায় থেকে যতটুকু সুবিধা দেওয়া যায়, ততটুকুই তারা দেবে।”
তিনি আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে প্রবাসীদেরও ই-পাসপোর্ট করে দেওয়া হবে। ই-গেট ইনস্টল হয়ে গেছে এবং হয়তো দুই-চার দিনের মধ্যে এটি চালু করে দেওয়া যাবে।
পাঠকের মতামত:
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
- ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
- সালমান শাহ হত্যা মামলা: নতুন করে আসামি হলেন যারা
- ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
- ১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
- দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
- ২১ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
- মস্তিষ্কের ক্যানসার: যে ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়
- রোনালদোকে নিয়ে হতাশা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের
- আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’—প্রেমিকার নির্মমতা প্রকাশ
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- আলোয় আলোকিত বলিউড: দীপাবলির ঝলমলে উৎসবে তারকাদের উচ্ছ্বাস
- নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
- ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া
- উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
- গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
- সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু
- ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
- মিরপুরের উইকেট: স্পিনারদের প্রতি মুশতাক আহমেদের বিশেষ বার্তা
- নতুন পে স্কেল: এক দশক পর বেতন কাঠামোয় আসছে বড় পরিবর্তন
- ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
- জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ
- সুখবর: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি নিয়ে বড় ঘোষণা
- বিএনপি-জামায়াত কেউ এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম
- চট্টগ্রামে চবি শিক্ষার্থীর হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার
- কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
- উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
- আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ