সুদানে কার্গো বিমানে ভয়াবহ বোমা হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৪ ২২:১৬:৪২
সুদানে কার্গো বিমানে ভয়াবহ বোমা হামলা

সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলে আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ (র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস)-এর নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানবন্দরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালানো হয়েছে একটি কার্গো বিমানে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় ৪ জুন বুধবার সকাল ৫টা ৩০ মিনিটে বিমানটি অবতরণের পরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে এ খবর জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে, বিস্ফোরণের সময় বিমান থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায় এবং শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। হামলাটি ঘটে দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের রাজধানী নিয়ালার একটি বিমানবন্দরে, যা আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত চলছে। সেনাবাহিনী দেশটির বর্তমান প্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে এবং আরএসএফ নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোহাম্মদ হামদান দাগলো, যিনি হামিদতি নামেও পরিচিত।

হামলার দায় এখনো কোনো পক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ জানিয়ে বলছে, এই ধরনের হামলা মূলত বেসামরিক জনগণের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, নিয়ালায় গত কয়েক মাস ধরে বারবার বিমান হামলা হয়েছে। ৩ ফেব্রুয়ারির এক হামলায় বেসামরিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় পাঁচটি বোমা ফেলা হয়, যাতে অন্তত ৩২ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে শিশু ও নারীও ছিলেন।

চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স’ জানায়, এই ধরনের ভুল হামলা পরিবার ধ্বংস করছে, মানুষকে বাস্তুচ্যুত করছে এবং মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করছে।

সুদানে চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ। দেশটি এখন কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত। উত্তর, পূর্ব এবং কেন্দ্রীয় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী; আর দারফুর ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএফ।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ