জুনে ভোটের পেছনে রহস্য কী? প্রশ্ন তুললেন মান্না

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জবাবদিহিহীন আচরণ এবং জাতীয় নির্বাচন ঘিরে অনিশ্চয়তা ও অস্পষ্টতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি অভিযোগ করেন, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক আলোচনায় অংশ নিলেও ড. ইউনূস প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান, যা উদ্বেগজনক ও অনভিপ্রেত।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্র সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।
‘ভোট হবে কি না, সেটাই এখন প্রশ্ন’
মান্না বলেন, “দেশের মানুষ আজ ভোট আদৌ হবে কিনা, তা নিয়েই সন্দিহান। অথচ এই ভোটের জন্যই জনগণ রক্ত দিয়েছে, জীবন দিয়েছে।” তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের এক সময় প্রত্যাশা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্য সেই আস্থায় চিড় ধরিয়েছে।
ইউনূসের বক্তব্যে বিভ্রান্তি
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ‘শুধুমাত্র একটি দলই নির্বাচন চায়’ প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “এটি ড. ইউনূসের মতো একজন সম্মানিত ব্যক্তির জন্য একটি অগ্রহণযোগ্য ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য। দেশের ৩০টিরও বেশি দল এর মধ্যেই ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট চেয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এই তথ্য তার অজানা থাকার কথা নয়।”
তিনি আরও বলেন, “পাঁচবার বৈঠকে ড. ইউনূস বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বললে তিনি মানসিকভাবে ভালো বোধ করেন। কিন্তু তিনি কখনোই রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা বা নিরপেক্ষ নির্বাচনের রূপরেখা উপস্থাপন করেননি।”
জুনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন
মান্না প্রশ্ন তোলেন, “জামায়াতে ইসলামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন চায়, অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও একই সময় উল্লেখ করেছে। তাহলে এই গ্রীষ্মের প্রতিকূল সময়ে জুন মাসে ভোট করার কথা কোথা থেকে এলো? এর পেছনে কী উদ্দেশ্য?”
আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
আলোচনায় তিনি প্রতিবেশী দেশের ভূমিকা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মান্না বলেন, “প্রতিবেশী দেশ পতিত স্বৈরাচারকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সীমান্তে ‘পুশ-ইন’ নীতির মাধ্যমে উত্তেজনা বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্ম দিতে পারে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালউদ্দীন আহমদ, এলডিপির মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফওজুল হাকিম ও গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- বাহরাইনেরমানামায় বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন, নেতৃত্বে আক্তার হোসেন
- বাহরাইনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণ: গ্যালালী শাখায় নতুন নেতৃত্ব
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান: রাষ্ট্র নির্মাণের এক উজ্জ্বল প্রতিমূর্তি
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় হঠাৎ বিরতি: যুক্তরাষ্ট্র কি নতুন কৌশল নিচ্ছে?