ঈদে কোরবানির জন্য রেকর্ড দেশের ১.২৪ কোটি পশু

পবিত্র ঈদুল আজহা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং দেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোরবানির পশু কেনাবেচা, মসলা, সরঞ্জাম, চামড়া, পরিবহন ও শ্রমজীবী মানুষের অস্থায়ী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে কোরবানিকেন্দ্রিক অর্থনীতি সৃষ্টি করছে অন্তত ৭০ হাজার কোটি টাকার চক্র।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার। এর মধ্যে ৫৬ লাখ গরু-মহিষ ও ৬৮ লাখ ছাগল-ভেড়া রয়েছে। শুধু গরু-মহিষ বিক্রি থেকে সরকার পাবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা রাজস্ব।
এদিকে চামড়া ও পশুবর্জ্য খাতেও তৈরি হয়েছে হাজার কোটি টাকার সম্ভাবনা। দেশের বার্ষিক চামড়ার ৬০ শতাংশই সংগৃহীত হয় এই ঈদে। গরু ও ছাগলের চামড়া থেকে প্রত্যক্ষভাবে গরিবদের হাতে যাচ্ছে প্রায় ৬৩০ কোটি টাকা। রপ্তানিযোগ্য বর্জ্য যথাযথভাবে ব্যবহারে শত কোটি টাকার উপার্জনের সম্ভাবনা থাকলেও সচেতনতার অভাবে অপচয় হচ্ছে বিপুল সম্পদ।
চামড়াশিল্প দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হিসেবে জিডিপিতে ০.৬% এবং রপ্তানির ৩.৮% অবদান রাখছে। ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রসহ বহু দেশে রপ্তানি হচ্ছে চামড়াজাত পণ্য।
এদিকে কোরবানির পশুর নিরাপদ লালন-পালন ও অমানবিক আচরণ বন্ধে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, মনিটরিং টিম, মোবাইল কোর্ট ও মেডিকেল টিম নিয়োগ করেছে। রাজধানীর ১৯টি হাটে চালু হয়েছে ২০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম।
অবৈধ পশু অনুপ্রবেশ রোধে এবার কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। চালু হয়েছে হটলাইন, গঠিত হয়েছে কন্ট্রোল রুম ও মনিটরিং সেল। পশুবাহী ট্রাক নিরাপদে চলাচলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোরবানির ঈদ ঘিরে শুধু পশু নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িত হাজারো কার্যক্রম দেশের অর্থনীতির চাকায় গতি আনছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাংলাদেশ এখন মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ, যা ঈদুল আজহায় স্থানীয় পশুর মাধ্যমেই কোরবানির চাহিদা পূরণে সক্ষমতা অর্জন করেছে।
- অনন্যা, নিজস্ব প্রতিবেদক
ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেছেন, “কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠকে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জুলাই সনদের গুরুত্ব
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আপনাদের দীর্ঘদিনের আলোচনার ফল হলো ‘জুলাই সনদ’। আপনারা অনেক ভেবে-চিন্তে মতামত দিয়ে জুলাই সনদকে একটি চূড়ান্ত পর্যায়ে এনেছেন। এর মাধ্যমে আপনারা ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছেন।”
তিনি আরও জানান, ‘জুলাই সনদ’-এর কপি সব দলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন:
“আমি যতদিন এখানে আছি, আপনাদের তৈরি এই গুরুত্বপূর্ণ দলিলগুলো সংরক্ষণ ও প্রচারের কাজ করব। প্রত্যেকের কাছে কপি পৌঁছে দেব, যাতে আপনারা বুঝতে পারেন—কোন কোন বিষয়ে আপনারা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। এই দলিলটি সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানান, ‘জুলাই সনদ’-এ যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে, সেগুলো দৈনন্দিন জীবন এবং রাজনৈতিক চর্চায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
সংস্কারের পটভূমি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন খাতে সংস্কার উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে ৬টি পৃথক সংস্কার কমিশন গঠিত হয়—সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন, পুলিশ এবং বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। এই কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বহু প্রতীক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’-এর চূড়ান্ত অনুলিপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হয়। তবে সনদে উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে কোনো সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরে কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত সুপারিশ পেশ করবে।
সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: নির্বাচনী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রক্রিয়া ও সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ও বহুসাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী ড. অ্যান অ্যালি।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের চলমান কার্যক্রম, প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিনির্ভর নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “এটি ছিল মূলত একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ। তাঁরা আমাদের নির্বাচন আয়োজন, প্রস্তুতি এবং সার্বিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। পাশাপাশি নিজেদের অভিজ্ঞতাও ভাগ করেছেন।”
আলোচনায় নির্বাচনী সহযোগিতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়েও মতবিনিময় হয়। সচিব বলেন, “আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), তথ্যের অপব্যবহার, ভুয়া খবর ও বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা বিষয়ে কথা বলেছি। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারাও এসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।”
অস্ট্রেলীয় মন্ত্রী আসন্ন ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কমিশনকে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করার অনুরোধ জানান, যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও স্বচ্ছ করা যায়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা আরও আধুনিক ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে উদ্যোগ নিয়েছে।
-নাজমুল হাসান
তিন গোয়েন্দা সিরিজের লেখক রকিব হাসান আর নেই
জননন্দিত কিশোর থ্রিলার ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজের লেখক রকিব হাসান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মহিবুল্লাহ খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, “রকিব হাসান নিয়মিত আমাদের হাসপাতালে এসে কিডনি ডায়ালাইসিস করতেন। আজও তিনি এসেছিলেন। তবে ডায়ালাইসিস শুরুর কিছুক্ষণ আগে তার মৃত্যু হয়।”
লেখক জীবন ও সৃষ্টি
১৯৫০ সালের ১২ ডিসেম্বর কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন রকিব হাসান। বাবার চাকরির কারণে শৈশব কেটেছে ফেনীতে। ফেনী থেকে স্কুলজীবন শেষ করে তিনি ভর্তি হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। পড়াশোনা শেষে বিভিন্ন চাকরিতে যুক্ত হলেও, অবশেষে তিনি লেখালেখিকেই জীবনের একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেন।
সেবা প্রকাশনী থেকেই তার লেখকজীবনের সূচনা হয়। প্রথমদিকে তিনি বিশ্বসেরা ক্লাসিক বই অনুবাদ করে লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। এরপর টারজান, গোয়েন্দা রাজু, রেজা-সুজা সিরিজসহ চার শতাধিক জনপ্রিয় বই লেখেন। তবে তার পরিচয়ের সবচেয়ে বড় জায়গা হলো ‘তিন গোয়েন্দা’ সিরিজ লেখক হিসেবে, যা বাংলাদেশের অসংখ্য কিশোর-কিশোরীর কৈশোরের সঙ্গী।
পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
রাজউকের পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় আজ নতুন করে পাঁচজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলাগুলোতে মোট ৪৭ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।
আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ সাক্ষ্য দেন রাজউকের পরিচালক তানজিলুর রহমান ও আল মামুন মিয়া, টাইপিস্ট জাকির হোসেন, কালীগঞ্জ উপ-রেজিস্ট্রার মাহমুদুর রহমান এবং জায়িদুর রহমান।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন শুনানি মুলতবি রেখে পরবর্তী তারিখ হিসেবে ২৯ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।
প্রথমে পাঁচ সাক্ষী শেখ হাসিনাসহ ১২ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দেন। এরপর তাঁরা শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাতেও সাক্ষ্য প্রদান করেন। এ ছাড়া রাজউকের পরিচালক আল মামুন মিয়া ও টাইপিস্ট জাকির হোসেন শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ আসামির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাতেও সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী।
এর আগে চলতি বছরের ৩১ জুলাই, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এই তিন মামলার অভিযোগ গঠন করেন এবং আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই দিনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ বাকি তিনটি অনুরূপ মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে।
২০ জুলাই, ঢাকার মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব আসামিদের হাজির না হওয়ায় মামলাগুলো বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট ট্রায়াল কোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এরও আগে, ১ জুলাই, আদালত শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ আসামিকে হাজির হতে সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ দেন।
দুদক চলতি বছরের ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫-এর মধ্যে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করে এবং ১০ মার্চ এসব মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে প্রথম মামলা করেন। পরে ওই মামলায় ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
একই দিনে দুদকের সহকারী পরিচালক এস. এম. রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন; পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে আসামির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭ জনে।
১৩ জানুয়ারি, সালাহউদ্দিন আরও দুটি মামলা করেন—একটিতে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব, তুলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিকসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়, অপরটিতে শেখ হাসিনা, তুলিপ ও আজমিনাসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে উভয় মামলায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
অন্যদিকে, রাদওয়ান মুজিব ও ১৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও একটি মামলায়ও অভিযোগপত্রে ১৮ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সবশেষে, ১২ জানুয়ারি, দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন, যার অভিযোগপত্রে ১৮ জনের নাম আসে।
বর্তমানে ছয়টি মামলাই ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
-সুত্রঃ বি এস এস
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর। এ নিয়ে সরকারের আর কোনো দ্বিতীয় চিন্তা নেই। নির্বাচন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে।”
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই সনদ ও বিচার বিভাগের সংস্কার
জুলাই সনদ: আইন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করে বলেন, “আগামী ১৭ তারিখে জুলাই সনদে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে। এই সনদ প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে অংশ নিয়েছে।” তিনি জানান, সনদে কোনো বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে স্বাক্ষর হচ্ছে না, এটি কেবল একটি কনটেন্ট।
বিচার বিভাগ: বিচার বিভাগের সংস্কার প্রসঙ্গে ড. আসিফ নজরুল জানান, বিচার বিভাগের জন্য একটি আলাদা সচিবালয় গঠনের জন্য আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। তিনি আশা করেন, এই খসড়াটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় উত্থাপিত হবে এবং “এ সরকারের সময় এই আইন হবে।”
রাজনৈতিক সমালোচনা প্রসঙ্গে
উপদেষ্টাদের লক্ষ্য করে রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো এখন উপদেষ্টাদের হুমকি দিচ্ছে, নানা সমালোচনা করছে। এটিকে গণতান্ত্রিক উত্তোরণ বলা যায়।” তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, যারা এই সমালোচনা করছেন, তাদেরও যদি কেউ সমালোচনা করে, সেটি শোনার মানসিকতা থাকতে হবে।
‘আর যেন মিরপুরের মতো ট্র্যাজেডি না ঘটে’—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল
অবৈধ রাসায়নিক গুদাম নির্মাণ বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, “অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম নির্মাণের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। এই সচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধই পারে ভবিষ্যতে মিরপুরের মতো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রোধ করতে।”
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম কোথাও থাকলে প্রশাসন বা ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা নিয়ে তা উচ্ছেদ করতে হবে। এতে কিছু মানুষের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু এতে রক্ষা পাবে বহু মানুষের জীবন।”
ফায়ার সার্ভিসের ডিজি জানান, শিয়ালবাড়ির ওই কেমিক্যাল গুদামের আগুন সম্পূর্ণ নেভাতে আরও দুই থেকে তিন দিন সময় লাগতে পারে। তবে আগুন বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুন নেভানোর কাজে সতর্কতার সঙ্গে অগ্রসর হচ্ছি, কারণ টঙ্গীর সাম্প্রতিক এক কেমিক্যাল কারখানার আগুনে আমাদের তিনজন সাহসী অগ্নিনির্বাপক সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। তাই এখন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কাজ চলছে।”
তিনি সবাইকে ওই দুর্ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানান, কারণ এলাকাটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানা ও পাশের একটি কেমিক্যাল গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কারখানার ভেতর থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় অন্তত আটজন দগ্ধ হন, যাদের মধ্যে তিনজন বর্তমানে জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে (NIBPS) চিকিৎসাধীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, দগ্ধদের অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো পরিবার আগুনে প্রিয়জন হারাক। তাই সবার সম্মিলিত উদ্যোগে এই অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।”
-আলমগীর হোসেন
স্বাস্থ্য থেকে ভূমি উন্নয়ন—বিভিন্ন খাতে অনিয়মে দুদকের হানা
রাজধানী ঢাকাসহ সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় পৃথক অভিযানে অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। এসব অভিযানে স্বাস্থ্য, ভূমি উন্নয়ন ও খাদ্য খাতে নানা অনিয়ম, দালালচক্রের তৎপরতা এবং নিম্নমানের পণ্য মজুদের প্রমাণ মেলে।
দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) পরিচালিত এই অভিযানে দালালচক্র, অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান, নথিতে গরমিল এবং নিম্নমানের খাদ্যপণ্য সংরক্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানোর অভিযোগে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানে দালালচক্রের সক্রিয় ভূমিকা ধরা পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে সাতজন দালালকে হাতেনাতে আটক করা হয় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তাঁদের হাতে তুলে দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করে।
অভিযান চলাকালে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন অধিকাংশ ডায়াগনস্টিক সেন্টার অনুমোদনবিহীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং দালালদের মাধ্যমে রোগী সংগ্রহ করছে। দুদক কর্মকর্তারা উপস্থিতি টের পেতেই কিছু ক্লিনিক মালিক কার্যক্রম বন্ধ করে পালিয়ে যান। সেবা গ্রহণকারীদের সাক্ষ্য, নথিপত্র ও现场 পরিদর্শনের মাধ্যমে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত করা হয়।
অন্যদিকে, রাজধানীতে রাজউকের পুর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদক প্রধান কার্যালয়ের একটি দল পৃথক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযোগ রয়েছে, রাজউকের অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির নানা কর্মকাণ্ড চলছে।
অভিযান চলাকালে দুদক কর্মকর্তারা প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত আবেদনপত্র, ব্যাংক বিবরণী, এমআইএস তথ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংগ্রহ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেন।
এছাড়া যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ সরকারি খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল দেখিয়ে মজুত থাকা ভালো চাল অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগে দুদকের যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযান চালায়। গুদামে চালের প্রকৃত মজুত যাচাইয়ের সময় দশ বস্তা নিম্নমানের চালের প্রমাণ পাওয়া যায়। একইসঙ্গে গুদাম কর্মকর্তারা কৃষকদের কাছ থেকে সংগৃহীত ধানের তালিকা দেখাতে ব্যর্থ হন। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হয়।
দুদক সূত্র জানায়, এসব অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে সরকারি সেবাখাতে দালালচক্র ও দুর্নীতিবাজদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করা এবং জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। কমিশনের কর্মকর্তারা বলেন, প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে এখন পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
-নাজমুল হাসান
রোম সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস
দুই দিনের ইতালি সফর শেষে আজ সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস। রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সদর দফতরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড ফুড ফোরাম’ (ডব্লিউএফএফ)-এ যোগ দিতে তিনি এই সফরে অংশ নেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে প্রধান উপদেষ্টা আজ বুধবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। রোম সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে।
সফরকালে অধ্যাপক ইউনুস সোমবার রোমে এফএও সদর দফতরে আয়োজিত ডব্লিউএফএফের উদ্বোধনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই কৃষি উন্নয়ন নিয়ে তাঁর উপস্থাপনাটি অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
ডব্লিউএফএফের মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অধ্যাপক ইউনুস বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, রোমের মেয়র রবার্তো গুয়ালতিয়েরি, জিবুতির প্রধানমন্ত্রী আবদুলকাদার কামিল মোহাম্মদ, এফএও মহাপরিচালক ড. কু ডংইউ এবং ব্রাজিলের খ্যাতনামা কৃষিবিজ্ঞানী ও লেখক জোসে গ্রাজিয়ানো দা সিলভা।
এফএও সদর দফতরে পৌঁছালে অধ্যাপক ইউনুসকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. কু ডংইউ। পরবর্তীতে তিনি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা ও ড. ডংইউ-র সঙ্গে মিলে ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স এগেইনস্ট হাঙ্গার অ্যান্ড পোভার্টি’-র নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। বৈশ্বিক ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মোকাবিলায় এই উদ্যোগকে আন্তর্জাতিক মহল মানবিক অঙ্গীকারের এক প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে।
এছাড়া বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)-এর ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক কার্ল স্কাউ রোমে অধ্যাপক ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে ইতালিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসী নেতারাও তাঁর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। একই দিন আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফ্যাড) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও অধ্যাপক ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং কৃষি উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদারে বিভিন্ন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই দিনের এই সফর শেষে দেশে ফিরে আসার পর অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের এই সফরকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও উন্নয়ন অঙ্গনে একটি ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্যবিমোচন উদ্যোগের প্রতি বৈশ্বিক আগ্রহ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে পর্যবেক্ষকদের মত।
-আলমগীর হোসেন
বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত: এক ক্লিকে জামিননামা যাবে জেলখানায়
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আগামীকাল বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকে জামিননামা (বেলবন্ড) গ্রহণপ্রক্রিয়া অনলাইনে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হতে যাচ্ছে। এই নতুন ব্যবস্থার ফলে ‘এক ক্লিকে’ আদালতের রায় সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘অ্যাটর্নি জেনারেল’স অফিস ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম-২০২৫’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই তথ্য জানান।
হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রিতা কমবে
আইন উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে একজন লোককে জামিনের পর ছাড়া পাওয়া পর্যন্ত ১২টি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ধাপে ধাপে হয়রানি এবং টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
ড. আসিফ নজরুল বলেন:
“আগামীকাল আমরা পাইলট প্রজেক্ট চালু করতে যাচ্ছি। একটা ক্লিক করবে, আদালতের রায় থেকে সরাসরি এটা জেলখানায় পৌঁছে যাবে, যে জেলখানায় আসামি আছে।”
এই ব্যবস্থার মাধ্যমে জামিন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে এবং হয়রানি কমানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যাকন আরাল্ড গুলব্রানসেন এবং সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস লিনাস রাগনার উইকস বক্তব্য দেন।
পাঠকের মতামত:
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- দেশজুড়ে টাইফয়েড টিকাদান অভিযানে সাড়ে ৩৮ লাখ শিশুর টিকা সম্পন্ন
- নতুন মহামারির আশঙ্কা! জাপানে ফ্লু-এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব, রোগী বেড়েছে চারগুণ
- সিইসির সঙ্গে অস্ট্রেলীয় মন্ত্রীর সাক্ষাৎ: নির্বাচনী সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা
- ডিমেনশিয়া শুরু হয় মস্তিষ্ক থেকে নয়, বরং পা থেকে: স্নায়ু বিশেষজ্ঞের চমকপ্রদ তথ্য
- ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
- তিন গোয়েন্দা সিরিজের লেখক রকিব হাসান আর নেই
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল
- ১৫ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৫ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- সবুজ শিল্পে নতুন মাইলফলক: আরও পাঁচটি কারখানা পেল লিড সার্টিফিকেশন
- আগামীকাল প্রকাশিত হচ্ছে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল
- দেশটাকে বাঁচান, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
- গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত পেরু: আইনশৃঙ্খলা পুনর্গঠনে তরুণ প্রেসিডেন্টের কঠোর পদক্ষেপ
- ‘আর যেন মিরপুরের মতো ট্র্যাজেডি না ঘটে’—ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহেদ কামাল
- সরল মা–বাবাকে নিয়ে যারা ব্যবসা করেছে, তাদের বিচার হবে: রিপন মিয়া
- স্বাস্থ্য থেকে ভূমি উন্নয়ন—বিভিন্ন খাতে অনিয়মে দুদকের হানা
- মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল
- ২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
- রোম সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস
- সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির
- যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের
- ১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি
- নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
- পৃথিবীর মানচিত্রেও যার অস্তিত্ব নেই! তিব্বতের সেই লুকানো জগতের অবিশ্বাস্য রূপ
- শায়খ আহমাদুল্লাহর কণ্ঠে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে স্বচ্ছতার আহ্বান
- এশিয়ান কাপের স্বপ্ন শেষ বাংলাদেশের
- ইতালি তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে? গাজা শান্তি সম্মেলনের নতুন বার্তা
- মিরপুরের আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬, নিখোঁজদের খোঁজে স্বজনদের ভিড়
- মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
- শাপলা প্রতীক না পেলে আদায় করে নেব: এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি
- তাওয়া গরম করছি: রাজপথে নেমে সরকারকে হুঁশিয়ারি জামায়াত নেতার
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- স্বনির্ভরতা অর্জনেই জোর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- হোয়াটসঅ্যাপে আর লাগবে না নম্বর,ইউজার নেম দিয়েই করা যাবে যোগাযোগ
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- কন্যা হত্যা ও গোত্রীয় সংঘাতের যুগে এক বিশ্বস্ত শিশুর বেড়ে ওঠা