রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগ: ক্ষমতার ছায়া থেকে পলায়ন—তারেক রহমান

সত্য নিউজ: লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনাকে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিক পরিণতি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, “যিনি এক সময় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন, তিনি আজ যদি বিদেশে আশ্রয় নেন—তাহলে বোঝা যায়, ক্ষমতার ছায়ায় থেকেও কেউ দায়মুক্ত নয়।”
এই মন্তব্য তিনি আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্য বিএনপির এক ভার্চুয়াল সভায় দেন, যেখানে দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও শাসকদলের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে আলোচনা হয়।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে ইঙ্গিত
তারেক রহমান তাঁর বক্তব্যে সরাসরি আবদুল হামিদের নাম নিলেও, সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগকে "পলায়ন নয়, বরং রাষ্ট্রক্ষমতার দায় এড়ানোর অপচেষ্টা" বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, “যারা এতদিন দুর্নীতি, লুটপাট, বিচারব্যবস্থার দলীয়করণে ভূমিকা রেখেছে, আজ তাদের অনেকে দেশ ছাড়ছে। এটা শুধু একক কোনো ব্যক্তির নয়, বরং গোটা ব্যবস্থার ব্যর্থতার প্রতিফলন।”
বিচারহীনতার সংস্কৃতির ধারাবাহিকতা
তারেক রহমান বলেন, "বাংলাদেশে বিচারহীনতার একটি ভয়ংকর সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, যেখানে ক্ষমতাসীনরা মনে করে তারা আইনের ঊর্ধ্বে। আর সেই কারণে রাষ্ট্রপতির আসনে থেকেও কেউ যদি বিতর্কিত হন, তাহলে বিচার থেকে বাঁচতে একমাত্র পথ হয়ে ওঠে দেশত্যাগ।"
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার তাদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করেছে, এবং যারা তাদের সহযোগী ছিল, আজ তারাও সেই ব্যবস্থার শিকার হয়ে পড়ছে।”
দলীয় প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ বার্তা
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি চায় একটি "জবাবদিহিমূলক সরকার" যেখানে রাষ্ট্রপতির পদও প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। “বাংলাদেশের মানুষ আজ পরিবর্তন চায়। আমরা এই ভাঙনের মাঝেই নবনির্মাণের আহ্বান জানাই।”
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, আবদুল হামিদের দেশত্যাগ দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বার্তা দিয়েছে। কারণ, সংবিধানের একজন প্রতীকী প্রধান যদি স্বেচ্ছায় দেশের বাইরে চলে যান এবং জনসমক্ষে কোনো ব্যাখ্যা না দেন, তবে তা গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য শুভ নয়।
প্রেক্ষাপট: আবদুল হামিদের বিদেশযাত্রা
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সম্প্রতি ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার’ উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেছেন বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়। তবে তিনি কোন দেশে গেছেন, কতদিন থাকবেন, কিংবা ফেরার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ আছে কি না—এসব বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সরকারি বিবৃতি আসেনি। এই অনিশ্চয়তার মাঝেই রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বীকার করেছেন, আবদুল হামিদ বর্তমানে "স্বেচ্ছা নির্বাসনের" মতো অবস্থায় রয়েছেন, এবং তার বিদেশে অবস্থান রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রে চলে এসেছে।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে চার্জ দাখিল, বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার
- বাহরাইনেরমানামায় বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠন, নেতৃত্বে আক্তার হোসেন
- বাহরাইনে জাতীয়তাবাদী শক্তির পুনর্জাগরণ: গ্যালালী শাখায় নতুন নেতৃত্ব
- চীন না ভারত? উন্নয়ন না আনুগত্য? বুলেট ট্রেন বলছে স্পষ্ট জবাব
- অবশেষে বিসিবি সভাপতি ফারুককে নিয়ে মুখ খুললেন আসিফ
- বিশ্বশক্তির নজর এখন বাংলাদেশে: খনিজ ভাণ্ডারের নতুন মানচিত্র
- তারেক-ইউনুস উত্তপ্ত ফোনালাপ: যা জানা গেল
- হালদা নদীতে ডিম ছাড়ল রুই জাতীয় মা মাছ, সংগ্রহ প্রায় ১৪ হাজার কেজি নিষিক্ত ডিম
- নতুন বিসিবি সভাপতিবুলবুলের কাছে আশরাফুলের চাওয়া
- ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি?
- চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন ভোর: দক্ষিণ এশিয়ার তেলের ‘রাজসিংহাসন’ দখলের পথে বাংলাদেশ?
- ভারতের গর্ব এস-৪০০ ধ্বংস: বাস্তবতা নাকি প্রচারযুদ্ধ?
- ধ্বংস থেকে নেতৃত্ব: ৫ আগস্ট থেকে যেভাবে শুরু হলো অর্থনীতির পুনর্জাগরণ
- ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় হঠাৎ বিরতি: যুক্তরাষ্ট্র কি নতুন কৌশল নিচ্ছে?
- ধর্ম-সংস্কৃতি উপেক্ষা নয়: সংবিধান সংশোধনে ১৮০ শিক্ষকের সরব প্রতিবাদ