সেনাবাহিনী নিয়ে  জামায়াত আমির এর মন্তব্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ২৪ ১২:৩৬:৪৪
সেনাবাহিনী নিয়ে  জামায়াত আমির এর মন্তব্য

সত্য নিউজ: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান সেনাবাহিনীর মর্যাদা রক্ষা ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দেশের এই সম্মানজনক বাহিনীকে বিতর্কিত করা হলে স্বাধীন রাষ্ট্র বড় ঝুঁকিতে পড়বে। তিনি আজ (শনিবার) রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার বৈঠকে এ মন্তব্য করেন।

শফিকুর রহমান বলেন, “সেনাবাহিনী আমাদের জাতীয় গর্বের প্রতিষ্ঠান। এই বাহিনীকে ঘিরে কেউ যেন বিতর্ক তৈরি না করেন, সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকা উচিত।” তিনি আরও বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত একটি সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বান করা উচিত। “সমস্যা যত জটিলই হোক, সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব,” বলেন তিনি।

সংস্কার ও নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়ে স্পষ্টতা চান জামায়াত আমির। তার মতে, সরকার যদি দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য রূপরেখা ও নির্বাচন পরিকল্পনা জনসমক্ষে উপস্থাপন করে, তবে জনগণের আস্থা ফেরানো সম্ভব হবে।

মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর ইস্যুতেও তিনি সংবেদনশীলতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আহ্বান জানান। মানবিক করিডর নিয়ে সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে বা ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত হবে বলে মত দেন। আর চট্টগ্রাম বন্দর বিষয়ে হঠাৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ নয়, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পথ খোঁজার পরামর্শ দেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা যে টাইমলাইন দিয়েছেন, আমরা তা মেনে চলেছি এবং ইতিমধ্যে সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখিয়েছি।” একইসঙ্গে তিনি অন্যান্য দলগুলোকেও সহযোগিতার আহ্বান জানান।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ শীর্ষ নেতারা।

এই বক্তব্য জামায়াতের বর্তমান অবস্থান ও রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি মধ্যপন্থী ও আলোচনাভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

স্টারমারের নীরবতা: কূটনৈতিক শিষ্টাচার বনাম রাজনৈতিক সংকোচ

একজন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সামাজিক ব্যবসার পথপ্রদর্শক এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রনায়ক—এই তিনটি পরিচয়ই এখন সমভাবে প্রযোজ্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের... বিস্তারিত