কড়াইল বস্তিতে গৃহহীনদের সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শত শত ঘর পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার মধ্যরাতে এক সরকারি প্রেস বিবৃতিতে তিনি এ দুর্ঘটনাকে অত্যন্ত বেদনাদায়ক উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সহমর্মিতা জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কড়াইল বস্তির অগ্নিকাণ্ডে যে পরিবারগুলো মুহূর্তের মধ্যে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, তাদের দুঃখ-কষ্ট আমাদের সকলের বেদনার বিষয়। তিনি আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকার সকল প্রয়োজনীয় সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দেন।
বিবৃতিতে তিনি জানান, জরুরি ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত ও কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের উৎস ও কারণ নির্ণয়ে তদন্ত শুরু করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডে বহু পরিবার তাদের সবকিছু হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে দমকল বাহিনীর পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিতভাবে ত্রাণ–উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডের মাত্রা বিবেচনা করে দ্রুত পুনর্বাসন ও পুনর্গঠনের পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে।
-রফিক
বাউল শিল্পী আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি খতমে নবুওয়তের
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাউল শিল্পী আবুল সরকারের বিষয়ে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর এক বিবৃতিতে তিনি বলেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত ও আইনানুগ বিচার নিশ্চিত করা জরুরি যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের দায়িত্বহীন মন্তব্য করার সাহস না পায়।
বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত বক্তব্যে আবুল সরকার মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় মূল্যবোধকে আঘাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে যা দেশব্যাপী উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতিতে আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সঠিক তদন্ত ও বিচার হওয়াই একমাত্র গ্রহণযোগ্য পথ। তিনি সতর্ক করে বলেন কোনোভাবেই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা বা সংঘর্ষ সৃষ্টি করা উচিত নয়।
মাওলানা রাব্বানী বলেন সংবেদনশীল ধর্মীয় বিষয়ে দায়িত্বশীলতা ও সংযম বজায় রাখা সবার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার যে কোনো প্রয়াসকে আইনগত কাঠামোর মধ্য দিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন ব্যক্তিগত আক্রমণ বিদ্বেষ উসকে দেওয়া বা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো আচরণ সম্পূর্ণরূপে অনভিপ্রেত।
তিনি আরও উল্লেখ করেন সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে বিষয়টি আলোচনায় আসে। এ ধরনের যে কোনো ঘটনার বিচার হতে হবে স্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে যা গুজব বা আবেগের ওপর নির্ভর করে নয়। সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই সর্বাধিক জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
বিবৃতির শেষে তিনি সবাইকে শান্ত ও সংযত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন আইনের যথাযথ প্রয়োগ সামাজিক শান্তি রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পাশাপাশি কোনো পক্ষ যেন উত্তেজনা সৃষ্টি না করে বা আইন হাতে তুলে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি না করে এটি সমাজের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থেও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আশা প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত পরিচালনা করবেন এবং আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবেন।
অবশেষে জানা গেল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময়
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় জানালেন নির্বাচন কমিশনার ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের যেকোনো সময় নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হবে। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ হবে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় যেকোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করলে তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তিনি পর্যবেক্ষকদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন কোনো পর্যবেক্ষক ব্যক্তি বা পারিবারিকভাবে এমনকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। পর্যবেক্ষকদের তালিকা তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন মানহীন পর্যবেক্ষক নির্বাচনের প্রয়োজন নেই এবং কমিশন শুধু মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ চায়। কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুয়া পর্যবেক্ষক শনাক্ত করতে পরিচয়পত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন কোনো বিদেশি নাগরিক দেশি সংস্থার হয়ে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের নিজস্ব আইন বিধিতে আবেদন করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
সংলাপে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবাধে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং পোস্টাল ব্যালট পর্যবেক্ষণে স্পষ্টিকরণসহ ভোটের তিন দিন আগে পরিচয়পত্র দেওয়ার মতো একাধিক সুপারিশ করেছেন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিরা। ভোটকেন্দ্রে বাধাহীন পরিবেশ এবং আইনি ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে ভোটের আগে ও পরে ১০ দিন করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দেন তাঁরা।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের পর্যবেক্ষক নীতিমালা বাতিল ও নতুন নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। গত জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ আমলে দায়িত্ব পালন করা ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এর দুই মাস পর নতুন করে ৮১টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। এদিন সকাল ও বিকেল দুই পর্বে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। আমন্ত্রিত ৮১টি সংস্থার মধ্যে পাঁচটি সংস্থা বাদে সবাই এই সংলাপে অংশ নেয়।
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ঝালাই করতে ইসির বিশেষ আয়োজনের ঘোষণা
আগামী ২৯ নভেম্বর মক ভোটের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ। এ ছাড়া প্রবাসীরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের ভোটের পাশাপাশি গণভোটেও অংশ নিতে পারবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হয়।
ইসি সচিব বলেন আগামী ২৯ নভেম্বর কমিশনে মক ভোটিং বা পরীক্ষামূলক ভোট গ্রহণ করা হবে। সেখানে বোঝা যাবে মূল ভোট আয়োজনে আর কী কী দরকার। তিনি আশ্বস্ত করেন যে নির্বাচনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। শেষ মুহূর্তে যাতে কোনো ঝামেলা না হয় সেজন্য সেগুলো আগে থেকেই সরবরাহ করা হবে। ভোটার তালিকা প্রসঙ্গে তিনি জানান তালিকার প্রিভিউ চলছে এবং ডিসেম্বরের ৫ তারিখের মধ্যেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি হবে। একই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র বা বুথ বাড়ানো লাগবে কি না তা নিয়েও পর্যালোচনা চলছে।
এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান আগামী দু এক দিনের মধ্যে গণভোট আইন অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। তিনি বলেন গণভোট আইন অধ্যাদেশ আকারে উপদেষ্টা পরিষদ চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। এই আইনের গেজেট ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই প্রকাশ হবে। গণভোটের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট করে বলেন গণভোটে একটি প্রশ্ন থাকবে এবং সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে জনগণ হ্যাঁ বা না ভোট দেবে।
আইন উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেন যে গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রঙের যাতে ভোটাররা সহজেই পার্থক্য বুঝতে পারেন। কোনো কেন্দ্রে জাতীয় নির্বাচনের ভোট না হলেও অবশিষ্ট ভোট হয়ে গেলে এবং গণভোট অনুষ্ঠিত হলে তা কমিশন বিবেচনা করবে। তিনি নিশ্চিত করেন যে জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত সময় অনুযায়ীই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
সমুদ্র পরিবহন খাতে ঢাকার সঙ্গে হাত মেলাতে ইসলামাবাদের নতুন প্রস্তাব
সমুদ্র পরিবহন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন বা বিএসসি এবং পাকিস্তান ন্যাশনাল শিপিং করপোরেশন বা পিএনএসসির মধ্যে অংশীদারত্ব গঠনের আনুষ্ঠানিক রূপরেখা প্রস্তাব করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের দৈনিক দ্য ডন জানিয়েছে সোমবার লন্ডনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে পাকিস্তানের সমুদ্রবিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ জুনায়েদ আনোয়ার চৌধুরী এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন বা আইএমও এর ৩৪তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে সাখাওয়াত হোসেন বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয় পাকিস্তানের প্রস্তাবে দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অংশীদারত্বের একটি বিস্তৃত পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কনটেইনার ও বাল্ক শিপিং সেবায় যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করা। এছাড়া সামুদ্রিক নিরাপত্তা উন্নয়ন নাবিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে যৌথ প্রশিক্ষণ এবং পারস্পরিক বন্দর কল সুবিধাও এই প্রস্তাবের অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি কূটনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পৃক্ততা জোরদার করার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
জুনায়েদ আনোয়ার জানান আইএমও ও আইএলওসহ আঞ্চলিক সামুদ্রিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতামূলক কাঠামো গড়ে তোলাই তাদের বৃহত্তর লক্ষ্য। তিনি করাচি বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্রমবর্ধমান সক্ষমতা আধুনিকীকরণ উদ্যোগ এবং উন্নত টার্নঅ্যারাউন্ড সময়ের কথাও তুলে ধরেন। পাকিস্তানের মন্ত্রীর মতে বন্দরভিত্তিক ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা সরবরাহ ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ কমাতে আঞ্চলিক বাধা দূর করতে এবং দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে বাণিজ্যিক একত্রীকরণের নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে।
এক দিনেই দুই ভোট আয়োজনে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করল সরকার
গণভোট অধ্যাদেশ ২০২৫ এর খসড়া নীতিমালার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই আদেশ অনুমোদিত হয়। সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকটি শুরু হয়েছিল এবং সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ২০ নভেম্বর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল এ বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য আগামী সপ্তাহেই আইন হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন যা আজ উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলো।
উল্লেখ্য গত ১৩ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের রোডম্যাপ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সরকার কাজ করছে। ওই নির্বাচনের দিনেই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজকের এই অনুমোদনের ফলে সেই ঘোষণার আইনি ভিত্তি তৈরি হলো এবং নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজনের পথ সুগম হলো।
সরকারি কলেজ এখন চার ক্যাটাগরিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন
বাংলাদেশের সরকারি কলেজ ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের কাঠামোগত অসংগতি ও প্রশাসনিক জটিলতা দূর করতে শিক্ষামন্ত্রণালয় অভূতপূর্ব এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার ২৪ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে দেশের সব সরকারি কলেজকে চারটি ক্যাটাগরিতে এ, বি, সি ও ডি বিভাজন করে নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান, সক্ষমতা ও অবকাঠামোর ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো জাতীয়স্তরে দলগত শ্রেণিবিন্যাস তৈরি হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা, অনার্স-বিষয় সংখ্যা, শিক্ষক-সংখ্যা, অবকাঠামো, ফলাফল, প্রশাসনিক দক্ষতা, গবেষণা কর্মকাণ্ড এবং সরকারি নীতিমালা পালনে কার্যকারিতা এসব সূচক বিবেচনায় ক্যাটাগরি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ভিত্তিতে যে কলেজগুলোর শিক্ষার্থী সংখ্যা আট হাজারের বেশি এবং অনার্স বিষয়ে ১০টির বেশি বিভাগ রয়েছে, সেগুলোকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়া কলেজগুলোকে দেশের উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হবে, এবং ভবিষ্যতে বাজেট বরাদ্দ, শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, গবেষণা সহায়তা এবং প্রশাসনিক তদারকিতে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবে।
এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেশের রাজধানী, বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ের প্রায় সব শীর্ষ সরকারি কলেজ। যেমন-ঢাকা কলেজ, চট্টগ্রাম কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, রাজশাহী কলেজ, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, মুরারি চাঁদ কলেজ, সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজ, সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ, কারমাইকেল কলেজ, ব্রজলাল কলেজ, রাজেন্দ্র কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, রংপুর সরকারি কলেজ, ভাওয়াল বদরে আলম কলেজসহ দেশের সর্বাধিক পরিচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই তালিকায় দেশের মোট ৮১টি সরকারি কলেজ রয়েছে, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে অনার্স ও মাস্টার্স শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
শিক্ষাবিদদের মতে, এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া মানে হলো উন্নয়ন অগ্রাধিকার, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, গবেষণা অনুদান, অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ এবং একাডেমিক নজরদারিতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো শীর্ষ গুরুত্ব পাবে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, পাঠক্রম সম্প্রসারণ, কো-কারিকুলার কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও এগুলো বিশেষ সুবিধায় থাকবে।
দীর্ঘদিন ধরে দেশের সরকারি কলেজগুলো একই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও তাদের মধ্যে মানগত পার্থক্য ছিল বিশাল। কোথাও ছাত্রসংখ্যা ১২–১৫ হাজার, আবার কোথাও ৮০০–১২০০। তেমনি অনার্স বিষয়ে কোথাও ২০–২৫টি বিভাগ, আবার কোথাও মাত্র ৩–৫টি। ফলে নীতি নির্ধারণ, শিক্ষক বণ্টন এবং বাজেট বরাদ্দে সমতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। এই পরিস্থিতি দূর করে একটি তথ্যনির্ভর প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির জন্যই প্রথমবারের মতো সরকারি কলেজগুলোকে সক্ষমতাভিত্তিক ক্যাটাগরি ব্যবস্থায় আনা হলো।
এই পরিবর্তন বাস্তবায়নের মাধ্যমে-
- উচ্চশিক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে
- কলেজগুলোর প্রতিযোগিতা ও মানোন্নয়ন নিশ্চিত হবে
- শিক্ষক নিয়োগে মান নির্ধারণ সহজ হবে
- বাজেট ও অবকাঠামো উন্নয়ন অধিক যুক্তিসঙ্গত হবে
- দুর্বল কলেজগুলোকে লক্ষ্যভিত্তিক উন্নয়নের সুযোগ দেওয়া যাবে
- বি, সি এবং ডি ক্যাটাগরির তালিকা শিগগিরই প্রকাশ পাবে
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বি, সি এবং ডি ক্যাটাগরিতে কোন কোন কলেজ পড়বে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে মাঝারি আকারের অনার্স কলেজ, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে সাধারণ ডিগ্রি কলেজ, আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে অনার্সবিহীন বা ছোট কলেজগুলো থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই তালিকা প্রকাশিত হলে দেশের সরকারি কলেজ নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ নতুন কাঠামোতে চলে যাবে।
-শরিফুল
বাউল অধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে ৭৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকের গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ
দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৭৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক মানিকগঞ্জে বাউলশিল্পী আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার এবং তাঁর ভক্ত–অনুরাগীদের ওপর সংঘটিত হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। রোববার প্রকাশিত নাগরিক বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়া সাধারণ মানুষের ওপর যে নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে তা শুধু বাউল সম্প্রদায়ের ওপর নয়, বরং সমগ্র দেশের নাগরিক নিরাপত্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, হামলার সময় স্থানীয় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে বহু মানুষ রক্তাক্ত হয়েছেন। তাঁদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর “ধর্ম অবমাননা”র অভিযোগকে কেন্দ্র করে ‘তৌহিদি জনতা’ নামের একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন এলাকায় প্রকাশ্যে আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে এবং মানিকগঞ্জের এই হামলা সেই ধারাবাহিকতারই অংশ। সংবাদমাধ্যমে হামলাকারীদের নাম, ছবি ও রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ পাওয়ায় তাদের ‘মব’ হিসেবে দায়মুক্তি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে বিবৃতিতে বলা হয়। বিবৃতিদাতারা সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের চিহ্নিত গোষ্ঠীকে ছাড় দিলে তা সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার এমন সময়ে প্রশাসনের দায়িত্ব নিয়েছে যখন বহু বছর ধরে দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা আঘাতের মুখে পড়েছে। সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাম্প্রতিক ঘটনাবলিতে সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বাউলদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মিছিল, তাদের প্রকাশ্যে জবাই করার হুমকি, গ্রেপ্তার হওয়া আবুল সরকারের মুক্তি না পাওয়া এবং হামলার পরেও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাব—এসবই নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় সরকারের অদক্ষতা তুলে ধরেছে।
নাগরিক বিবৃতিতে পাঁচটি নির্দিষ্ট দাবি জানানো হয়েছে। প্রথম দাবি, মানিকগঞ্জসহ সারা দেশে বাউলশিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি, মানিকগঞ্জে হামলার ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের মুখোমুখি করতে হবে এবং ঘটনার সময় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করতে হবে। তৃতীয়ত, ধর্মীয় অনুভূতির নামে উসকানি, হামলা ও সহিংসতা বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃশ্যমান ও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। চতুর্থ দাবি, “ধর্ম অবমাননা”র অভিযোগে আটক বাউলশিল্পী আবুল সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইনের আওতায় সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং এসব মামলার অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। পঞ্চম দাবি, অন্তর্বর্তী সরকারকে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে হবে যে দেশের বাউল, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক, একাডেমিক ও সব নাগরিকের শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশ, গান গাওয়া এবং সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার তারা রক্ষা করবে এবং তার প্রমাণ হিসেবে বাস্তব পদক্ষেপ নেবে।
এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৭৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ জিয়া হাসান; দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রুবাইয়াত মান্নান রাফি; শিক্ষক ও নাট্যকর্মী সামিনা লুৎফা; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মোহাম্মদ শাহান; স্থপতি মারজিয়া মিথিলা; শিক্ষক–গবেষক–অধিকারকর্মী আহমেদ আবিদ; অ্যাক্টিভিস্ট এমডি রাশেদ; লেখক সুবাইল বিন আলম; বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী সারা হোসেন; দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাদিক মাহবুব ইসলাম; শিক্ষক ও লেখক ফাহমিদুল হক; অর্থনীতিবিদ ইসলামুল হক; গবেষক মীর হুযাইফা আল মামদূহ; গণমাধ্যমকর্মী ও উন্নয়নকর্মী তাজওয়ার মাহমিদ; জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল ফেলো আসিফ বিন আলী; ব্রেইনের এক্সিকিউটিভ মেম্বার আসিফ ইকবাল; ডিয়াস্পোরা এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসির শামারুহ মির্জা; অর্থনীতি গবেষক ও অ্যাক্টিভিস্ট হুমায়ুন কবির; সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী মৌমিতা জান্নাত; লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট অনুপম সৈকত শান্ত; কৌশিক আহমেদ; সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট রঞ্জন কুমার দে; লেখক ও সংগঠক নাহিদ হাসান; সাংবাদিকতার শিক্ষক আর রাজী; শিক্ষক মানস চৌধুরী; উন্নয়নকর্মী কামরুজ্জামান রিপন; লেখক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও শিক্ষক মো. আদনান আরিফ সালিম; লেখক ও সাংবাদিক হাসনাত শোয়েব; গবেষক ও শিল্পী জাকারিয়া সুরেশ্বরী; শিল্পী শহীদুল ইসলাম শিশির; গবেষক ও নাট্যকর্মী আশিক ইসতিয়াক; অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষক ও লেখক ড. মোবাশ্বার হাসান; উপন্যাসিক আশীফ এন্তাজ রবি; স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাতা সজীব তানভীর; নৃবিজ্ঞান গবেষক পুন্নি কবীর; টাইমস অব বাংলাদেশের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার তাকী মোহাম্মদ জোবায়ের; অ্যাক্টিভিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুরশীদ সেলিন; কবি ও অধিকারকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী; ভিজ্যুয়াল আর্টিস্ট ইশরাত জাহান প্রীতিলতা; লেখক ও সাংবাদিক সাবিদিন ইব্রাহিম; কবি ও সাংবাদিক রহমান মুফিজ; গবেষক রাইসুল ইসলাম আকাশ; পলিসি রিসার্চ অ্যানালিস্ট হাসনাত কালাম সুহান; শিক্ষক–গবেষক–অনুবাদক টিনা নন্দী; নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্রকার রাফসান আহমেদ; আইনজীবী মাসুদ রানা; লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট রাহাত মুস্তাফিজ; ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির জিএসজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার এবং সত্য নিউজের নির্বাহী সম্পাদক মো. অহিদুজ্জামান; গণিতবিদ ও অ্যাক্টিভিস্ট নাফিসা রায়হানা; রাজনৈতিক কর্মী ও অস্ট্রেলিয়াস্থ সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ সামনান; স্থপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আমিনুল ইসলাম ইমন; সাংবাদিক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আলমগীর স্বপন; প্রবাসী চিকিৎসক ও গবেষক শাহেদ ইকবাল; শিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ; প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও রাজনীতিক ফিরোজ আহমেদ; সাংবাদিক ও ফ্যাক্টচেকার কদরুদ্দিন শিশির; যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাইফুল খোন্দকার; সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দিন ভূঁইয়া; অর্থনীতিবিদ গালিব ইবনে আনোয়ারুল আজীম; সাংবাদিক মুক্তাদির রশীদ; যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ম্যানচেস্টারের পিএইচডি গবেষক মো. ইমরান হোসেন ভূঁইয়া; দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ইতিহাস গবেষক আলতাফ পারভেজ; সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ইমতিয়াজ মির্জা; লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী তুহিন খান; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মনোবিজ্ঞানী কামাল চৌধুরী; আইনজীবী ও ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির কর্পোরেট আইন প্রভাষক এহতেশামুল হক; সিডনি পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস সেন্টার; অ্যাক্টিভিস্ট রাসেল হিমাদ্রী; শার্প, পলিসি ওয়াচ বিডির ফাউন্ডিং মেম্বার রন্টি চৌধুরী; সোশ্যাল ইনোভেশন স্পেশালিস্ট আশরাফুল হাসান; রাজনৈতিক কর্মী ফারুক সাদিক; কনকর্ডিয়া ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক রেসাত আমিন প্রিয়া; ব্রেইনের নির্বাহী পরিচালক সফিকুর রহমান; কাউন্টারপয়েন্টের নির্বাহী সম্পাদক জ্যোতি রহমান এবং কবি ও সাংবাদিক রাফসান গালিব।
জমি রেকর্ডে জনসাধারণকে সরকারের জরুরি সতর্কতা
বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের জটিলতা, অনিয়ম ও দ্বন্দ্ব দূর করতে সরকার বড় ধরনের প্রযুক্তিগত রূপান্তরের পথে হাঁটছে। শুধু দলিল থাকলেই আর জমির মালিকানা প্রমাণ হবে না এমন যুগান্তকারী পরিবর্তন আনছে ভূমি মন্ত্রণালয়। সরকারি নির্দেশনায় পরিষ্কার করা হয়েছে, দলিলের পাশাপাশি নামজারি এখন থেকে বাধ্যতামূলক, এবং নামজারি ছাড়া জমি সরকারি রেকর্ডে মালিক হিসেবে গণ্য হবে না।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে দেশের ২১টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে যে ডিজিটাল নামজারি পদ্ধতি চালু হয়েছে, সেটি শিগগিরই সারা দেশে বাস্তবায়ন করা হবে। এই পুরো সিস্টেম ডিজিটাল ভূমি সেবা কাঠামোয় নতুন মাত্রা যোগ করবে, যা জমি লেনদেনে স্বচ্ছতা বাড়াবে এবং মালিকানা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নতুন বিধান অনুসারে, জমি কেনা বা উত্তরাধিকারসূত্রে জমি পাওয়ার পর শুধুমাত্র দলিলের কপি জমার মাধ্যমে আর মালিকানা প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩’ অনুযায়ী, রেকর্ডে মালিকানা গ্রহণযোগ্য হবে শুধু তখনই, যখন দলিলের সঙ্গে নামজারি সম্পন্ন থাকবে। ফলে নামজারি না থাকলে জমি বিক্রি, হস্তান্তর, বন্ধক রাখা বা খাজনা পরিশোধ সবই স্থগিত হয়ে যাবে। এছাড়া ভবিষ্যতে জমির মালিকানা নিয়ে মামলাকানুন ও বিরোধের সম্ভাবনা বহুগুণ বাড়বে।
সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র দলিলের ভিত্তিতে জমি রেকর্ডভুক্ত করার আগের পদ্ধতি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ জমি কেনা বা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়ার পর দ্রুততম সময়ে নামজারি সম্পন্ন করাই বৈধ মালিকানা নিশ্চিত করার একমাত্র পথ। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে নামজারি ছাড়া কোনো দলিলকে রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত না করা হয়।
জনস্বার্থে সরকার নাগরিকদের বিশেষভাবে সতর্ক করে বলেছে, “দলিল থাকলেই মালিকানা নয় নামজারি ছাড়া মালিকানা সরকারি খাতায় বৈধ হবে না।” সেই সঙ্গে সবাইকে সময়মতো ডিজিটাল নামজারি সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জমি সম্পর্কিত মামলাজট ও প্রতারণা এড়ানো যায়।
-রাফসান
নতুন পে স্কেলে বড় ঘোষণা সামনে আলোচনার অন্তরালে কী ঘটছে
নতুন জাতীয় পে স্কেল প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন ধাপে ধাপে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক, যেখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা অংশ নেন। বৈঠকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়।
সভা শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন যে সচিবদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। যদিও সব সচিব সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি, তাই অনুপস্থিত সচিবদের সঙ্গে শিগগিরই আলাদা করে বৈঠক করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি জানান, আলোচনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে দ্রুতই সুপারিশ চূড়ান্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়া সম্ভব হবে।
সরকার গত ২৭ জুলাই জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাধীন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত বেতন কাঠামো নির্ধারণে জাতীয় বেতন কমিশন গঠন করে। এরপর ১ থেকে ১৫ অক্টোবর অনলাইনের মাধ্যমে সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণির মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হয়। প্রশ্নমালাভিত্তিক এ মতামত কমিশনের সুপারিশ প্রণয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ পূর্বে জানিয়েছেন যে পে কমিশনের জন্য আলাদা একটি কমিশনও কাজ করছে। তিনটি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে। বর্তমান সরকার মূল কাঠামো তৈরি করবে, যা পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছে। পে কমিশনকে সুপারিশ জমা দেওয়ার জন্য ৩০ নভেম্বরকে আলটিমেটাম দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুপারিশ না পেলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। একই দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- কড়াইল বস্তিতে গৃহহীনদের সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- মেয়র মামদানির টিমে একসাথে ১০ বাংলাদেশি
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে এনএভি হালনাগাদ
- ভারতে মূর্তির পায়ে হাতজোড় করতে বাধ্য করল তিন মুসলিম ছাত্রকে
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস
- বুধবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি–সরকারি কর্মসূচিতে রাজধানীতে ব্যস্ত দিন
- বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কে রাজশাহী জুড়ে আগুনঝরা প্রতিক্রিয়া
- টিউলিপ সিদ্দিকির মামলা নিয়ে বিষ্ফোড়ক মন্তব্য ব্রিটিশ আইনজীবীদের
- পাকিস্তানের জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা
- ই–১ প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ‘শেষ কফিন’
- যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা
- পানির তীব্র সংকটে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কবে কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ জেনে নিন সময়সূচি
- ক্ষুধার্ত সন্তানের কান্না আর নিঃস্ব বাবা মায়ের হাহাকারে ভারী বনানীর বাতাস
- পুষ্টির বিচারে হাঁস নাকি মুরগির ডিম কোনটি শরীরের জন্য সেরা? জানালেন বিশেষজ্ঞ
- বাউল শিল্পী আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি খতমে নবুওয়তের
- নারী ও শিশু নির্যাতনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নতুন কৌশল জানালেন উপদেষ্টা
- বিপিএলে বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানকে ফিরিয়ে এনে শেষ মুহূর্তে বিসিবির নাটকীয় ইউ টার্ন
- মাইগ্রেনের তীব্রতা কমাতে দৈনন্দিন জীবনে যে পরিবর্তন আনা জরুরি
- পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় ও দাজ্জালসহ কেয়ামতের ১০টি ভয়াবহ আলামত
- অবশেষে জানা গেল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময়
- চট্টগ্রাম ৫: মীর হেলাল নাকি অধ্যাপক মালেক কার পাল্লা ভারী হাটহাজারীর ভোটে
- চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি নিয়ে রিটকারীর পেছনে ভোমা বিড়াল বসে আছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
- রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
- জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি ঝালাই করতে ইসির বিশেষ আয়োজনের ঘোষণা
- কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: মির্জা ফখরুল
- গাজীপুরে গভীর রাতে কবর খুঁড়ে মায়ের লাশ বাড়িতে আনার লোমহর্ষক ঘটনা
- এনসিপি নিয়ে রিজভীর মন্তব্যে রাজনীতির নতুন সমীকরণের আভাস
- সেরে উঠুন দেশনেত্রী বলে খালেদা জিয়াকে নিয়ে মির্জা ফখরুলের আবেগঘন বার্তা
- ইসরায়েলকে পাশ কাটিয়ে সৌদি আরবের দিকে ঝুঁকছেন ট্রাম্প
- শান্তিতে ঘুমান ধরমজি বলে বলিউড কিং খান জানালেন শেষ শ্রদ্ধা
- ২৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৫ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ভারতীয় সিনেমার টাকা নিয়ে প্রযোজককে আইনি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিশা
- মেট্রোরেলের কার্ড এখন ঘরে বসেই রিচার্জ করা যাবে, জানুন পুরো প্রক্রিয়া
- বিপিএলে শেষ মুহূর্তে বড় চমক হিসেবে যুক্ত হলো নতুন দল
- সমুদ্র পরিবহন খাতে ঢাকার সঙ্গে হাত মেলাতে ইসলামাবাদের নতুন প্রস্তাব
- অবশেষে ঘনিয়ে এল প্লট জালিয়াতি মামলায় শেখ হাসিনা,শেখ রেহানা ও টিউলিপের রায়ের দিনক্ষণ
- এক দিনেই দুই ভোট আয়োজনে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করল সরকার
- সরকারি কলেজ এখন চার ক্যাটাগরিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন
- শুধু আওয়ামী লীগ করার কারণে যেন বিচার না হয়: আইনজীবী আমির হোসেন
- সৌদিতে প্রথমবার বার চালু, বিশ্বজুড়ে বাড়ছে কৌতূহল
- বাউল অধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে ৭৫ জন বিশিষ্ট নাগরিকের গভীর উদ্বেগ ও তীব্র প্রতিবাদ
- জমি রেকর্ডে জনসাধারণকে সরকারের জরুরি সতর্কতা
- কোরআন–হাদিসে গিবতের ভয়াবহ শাস্তির বর্ণনা
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে বড় বৈষম্য NAV বিশ্লেষণে বাজারচাপ স্পষ্ট
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল
- সপ্তাহজুড়ে টানা উত্থানে চাঙ্গা শেয়ারবাজার
- চট্টগ্রাম ১ আসনে বিএনপির নুরুল আমিন নাকি জামায়াতের সাইফুর রহমান কার পাল্লা ভারী






-(5).jpg)

