অবশেষে জানা গেল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সম্ভাব্য সময়

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় জানালেন নির্বাচন কমিশনার ইসি আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেছেন ডিসেম্বরের প্রথমার্ধের যেকোনো সময় নির্বাচনের তফসিল দেওয়া হবে। মঙ্গলবার ২৫ নভেম্বর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানান।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ হবে উল্লেখ করে সানাউল্লাহ বলেন নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় যেকোনো ধরনের ব্যত্যয় ঘটানোর চেষ্টা করলে তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে তিনি পর্যবেক্ষকদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন কোনো পর্যবেক্ষক ব্যক্তি বা পারিবারিকভাবে এমনকি প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। পর্যবেক্ষকদের তালিকা তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন মানহীন পর্যবেক্ষক নির্বাচনের প্রয়োজন নেই এবং কমিশন শুধু মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ চায়। কোনো পর্যবেক্ষক সংস্থা পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভুয়া পর্যবেক্ষক শনাক্ত করতে পরিচয়পত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে ইসি সানাউল্লাহ নতুন নিয়মের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন কোনো বিদেশি নাগরিক দেশি সংস্থার হয়ে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের নিজস্ব আইন বিধিতে আবেদন করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।
সংলাপে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অবাধে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ এবং পোস্টাল ব্যালট পর্যবেক্ষণে স্পষ্টিকরণসহ ভোটের তিন দিন আগে পরিচয়পত্র দেওয়ার মতো একাধিক সুপারিশ করেছেন পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিরা। ভোটকেন্দ্রে বাধাহীন পরিবেশ এবং আইনি ও সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিতসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে ভোটের আগে ও পরে ১০ দিন করে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরামর্শ দেন তাঁরা।
উল্লেখ্য ২০২৩ সালের পর্যবেক্ষক নীতিমালা বাতিল ও নতুন নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। গত জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ আমলে দায়িত্ব পালন করা ৯৬টি সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। এর দুই মাস পর নতুন করে ৮১টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় ইসি। এদিন সকাল ও বিকেল দুই পর্বে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করছে নির্বাচন কমিশন। আমন্ত্রিত ৮১টি সংস্থার মধ্যে পাঁচটি সংস্থা বাদে সবাই এই সংলাপে অংশ নেয়।
মাঝরাতের পর থেকেই বদলে যাচ্ছে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার নিয়ম
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক সীমাবদ্ধতা এবং পাঁচ দিনের সময়সীমা তুলে নেওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর ফলে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরা। মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে টিকটকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
ইসি সচিব জানান পূর্বনির্ধারিত পদ্ধতিতে বিশ্বকে আটটি অঞ্চলে ভাগ করে প্রতিটি অঞ্চলের জন্য পাঁচ দিন করে সময় নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আজ রাত ১২টার পর অর্থাৎ ২৭ তারিখ থেকে সেই অঞ্চলভিত্তিক সীমাবদ্ধতা এবং পাঁচ দিনের সময়সীমা তুলে নেওয়া হচ্ছে। তিনি নিশ্চিত করেন যে প্রবাসীরা বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে তাদের সুবিধামতো সময়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন তবে নিবন্ধনের শেষ তারিখ ১৮ ডিসেম্বর অপরিবর্তিত থাকবে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করার ফলে কিছু কারিগরি ত্রুটি দেখা যেতে পারে বলে সচিব স্বীকার করেন। তিনি বলেন ঠিকানা কাঠামোর কারণে কিছু জায়গায় ওটিপি পৌঁছায়নি এমন সমস্যা আমরা পেয়েছি। যেসব ত্রুটি পাওয়া যাবে সেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে। ইসি সচিব আরও আশ্বস্ত করেন যে তাদের টেকনিক্যাল সহকর্মীরা এই সমস্যাগুলো অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত সমাধান করবেন।
একই দিনে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের পুরো প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মক ভোটিং বা মহড়া আয়োজনের কথাও জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন আগামী শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মক ভোটিং করা হবে। এই মক ভোটিংয়ের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সমন্বয় প্রয়োজন কি না তা যাচাই করা হবে। এছাড়া ভোটকক্ষ বা জনবল বাড়ানো বা কমানোর বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হওয়ার অধ্যাদেশ জারি হয়েছে উল্লেখ করে আখতার আহমেদ বলেন দায়িত্বের আভাস পাওয়ার পর থেকেই আমরা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছি। কাগজে কলমে ও মাঠপর্যায়ের প্রস্তুতিও আগেই শুরু করা হয়েছে এবং কমিশন অগ্রিম প্রস্তুতি নিয়ে কাজ এগিয়ে রাখছে বলে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে মার্কিং করা স্বর্ণালংকার নিয়ে দুদকের চাঞ্চল্যকর তথ্য
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি লকার থেকে ৮৩২ ভরি সোনার গয়না পাওয়া গেছে। রাজধানীর অগ্রণী ব্যাংকে থাকা ওই লকার দুটি জব্দ করা হয়েছিল। তবে এসব স্বর্ণ কেবল শেখ হাসিনার একার নয় বরং তাঁর বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও স্বর্ণ ছিল বলে নিশ্চিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক।
বুধবার ২৬ নভেম্বর দুদকের মহাপরিচালক প্রতিরোধ মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান ভল্টে থাকা নথি এবং অন্যান্য তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে জব্দ করা স্বর্ণালংকারের মধ্যে কিছু অংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত এবং বাকি অংশ তাঁর বোন ও মেয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ। তিনি উল্লেখ করেন স্বর্ণালংকারগুলো আলাদাভাবে মার্কিং বা চিহ্নিত করা ছিল। দুদকের অনুসন্ধানকারী দলের কর্মকর্তারা এখন স্বর্ণালংকারগুলো আলাদা করবেন এবং কার কোন অংশ আছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করবেন।
দুদকের চোখে জব্দ হওয়া এসব স্বর্ণ বৈধ না অবৈধ এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন সম্পদ বিবরণী যাচাই করলেই জানা যাবে স্বর্ণগুলো জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না। তিনি ব্যাখ্যা করেন যদি আয়ের উৎস জানা না যায় বা তা বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ না হয় তবেই তা অবৈধ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। সেই অংশটুকু নির্ধারণ করার জন্যই ইনভেন্ট্রি করা হয়েছে এবং শেখ হাসিনা যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন তার সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করে তাঁর অংশটুকু নির্ধারণ করা হবে।
শেখ হাসিনার সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনার আলোকে এই সম্পদ জব্দ করা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক কর্মকর্তা জানান সেটা ভিন্ন বিষয় কারণ আদালতের একটা আলাদা আদেশ রয়েছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও বিধির আলোকে অনুসন্ধান দল কার্যক্রম ঠিক করে আদালতের অনুমতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার ২৬ নভেম্বর তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। এর ফলে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হলে পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ট্রাইব্যুনালের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
গত ১৭ নভেম্বর দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ এই দুই আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের স্থাবর অস্থাবর সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে নিহত ও আহতদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার আরেক আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বা আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছরের লঘু দণ্ড। ট্রাইব্যুনাল পর্যবেক্ষণে বলেছেন চৌধুরী মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে ৩৬ দিনের আন্দোলনের সব ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন এবং সত্য প্রকাশে অবদান রেখেছেন। তাঁর এই স্বীকারোক্তি ও অবদানের কারণে সর্বোচ্চ শাস্তির অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার পরেও তাঁকে নমনীয়তা দেখিয়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামুন জবানবন্দিতে বলেছিলেন ছাত্র আন্দোলন দমনে সরাসরি লেথাল উইপন বা মারণাস্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রায়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে। প্রথমত ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের রাজাকারের বাচ্চা সম্বোধন করে উসকানিমূলক বক্তব্য এবং একই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মাকসুদ কামালের সঙ্গে ফোনে আন্দোলনকারীদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলার দায়ে তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই উসকানি ও আদেশের ফলেই রংপুরে আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।
দ্বিতীয়ত আন্দোলনকারীদের হত্যা করতে ড্রোন হেলিকপ্টার ও লেথাল উইপন ব্যবহারের আদেশ দেওয়ায় শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে তাঁর আদেশের পরিপ্রেক্ষিতেই চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যা করা হয় এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়া হয় যা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এই অপরাধগুলোর জন্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের কারণ হিসেবে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন তিনি চানখাঁরপুল ও আশুলিয়ায় হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেছেন এবং নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর বাসা থেকে কোর কমিটির মিটিংয়ের মাধ্যমে হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়ন হতো বলে রায়ে উঠে এসেছে।
শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক থাকায় রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে আপিলের সুযোগ পাচ্ছেন না। শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবীও নিশ্চিত করেছেন যে আইনে না থাকায় আত্মসমর্পণ ছাড়া আসামির আপিলের কোনো সুযোগ নেই। ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে এই রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন জুলাই যোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। এটিই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো সাবেক সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে আসা মৃত্যুদণ্ডের রায়।
শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লির চিঠির জবাব নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হওয়ার পর তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভারতকে চিঠি পাঠিয়েছিল ঢাকা। কিন্তু সেই চিঠির কোনো জবাব এখনো আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
চিঠির বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন যে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে লেখা চিঠির জবাব ঠিক কবে আসবে তা তাঁর জানা নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার ধরণ অনুযায়ী দিল্লির কাছ থেকে এত দ্রুত উত্তর আশাও করে না ঢাকা।
নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে তিনি স্পষ্ট করেন যে আগামী নির্বাচন অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে পশ্চিমাদের তরফ থেকে কোনো ধরনের চাপ নেই। নির্বাচনে ভারত পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না বা পাঠাতে চাইলে কী হবে সে বিষয়ে তিনি জানান যে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশন নেবে। এ সময় ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস না কেনার সিদ্ধান্তের বিষয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি আশ্বস্ত করেন যে ফ্রান্স থেকে এয়ারবাস না কেনায় ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
প্রসঙ্গত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার রায়ের আগেও তাঁকে ফেরাতে দিল্লিকে একাধিকবার চিঠি দিয়েছিল ঢাকা। কিন্তু সেসব চিঠির কোনো জবাব তখনো আসেনি। এবার রায়ের পর তাঁকে ফেরাতে আবারও আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছে ঢাকা তবে সেটির জবাবের অপেক্ষায় আছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় শেন ইয়ার
বঙ্গোপসাগর এখন বেশ বিক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছে। মালাক্কা প্রণালি ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে প্রথমে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় শেন ইয়ার এ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার ২৬ নভেম্বর সকাল ৯টায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল এবং এটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয় দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন শ্রীলঙ্কা উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত আরেকটি লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তর উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
তবে স্বস্তির বিষয় হলো আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় শেন ইয়ার যতই শক্তিশালী হোক না কেন এটির বাংলাদেশে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই। একইভাবে বঙ্গোপসাগরের অপর লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলেও বাংলাদেশের দিকে আসার কোনো আশঙ্কা নেই বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে শেন ইয়ার বা সেনিয়ার। শেন ইয়ার শব্দের বাংলা অর্থ সিংহ। সাগরে সৃষ্ট এই দুটি সিস্টেমের ওপর আবহাওয়া অধিদপ্তর নিয়মিত নজর রাখছে।
এসপি পদায়নের লটারি কীভাবে হয়েছে তা বিস্তারিত জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের ৬৪ জেলায় পুলিশ সুপার বা এসপি পদায়ন করা হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ায় লটারি পদ্ধতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তাদের বেছে নেওয়ার পর কে কোন জেলায় যাবেন তা লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। বুধবার ২৬ নভেম্বর সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে জেলাগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এসপি পদে পদায়নে প্রথমে মেধাবী কর্মকর্তাদের বেছে নেওয়া হয়েছে এবং মেধাবীরা কেউ বাদ পড়েননি। কে কোন জেলায় যাবেন তা নির্ধারণেই মূলত লটারির আয়োজন করা হয়েছিল।
এসপি নিয়োগে লটারির বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে গিয়ে তিনি বলেন সংবাদমাধ্যমে যে খবর এসেছে তা সঠিক এবং যেইভাবে লটারি করার কথা ছিল ওইভাবেই লটারি করে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তিনটি ক্রাইটেরিয়া বা মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে যা হলো এ ক্যাটাগরি বি ক্যাটাগরি এবং সি ক্যাটাগরি। তিনি স্পষ্ট করেন যে এই ভাগ জেলার আয়তনের ভিত্তিতে করা হয়নি বরং করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।
মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন জেলাগুলো নির্ধারণ করার পর আমরা ঠিক করেছি এসপিদের কারে কারে দেব। ৬৪ জেলা থেকে ১৮ জনকে উঠিয়ে আনা হয়েছে এবং ১৮ জনের জায়গায় আবার নতুন কর্মকর্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি মন্তব্য করেন লটারি করে যারটা যেই জেলায় বা যার কপাল যেখানে আছে ওই জেলায় পোস্টিং পড়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ইঙ্গিত দেন যে ওসিদের পদায়নও লটারির মাধ্যমে হতে পারে। ওসিদের পদায়ন লটারিতে হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন ইনশাআল্লাহ। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন যে প্রথমে মেধাবী এসপিদের বেছে নেওয়া হয়েছে এবং পরে মেধাবীদের মধ্যে কে কোন জেলায় যাবে সেটা লটারির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা সরকারের কাছ থেকে যে বিশেষ আর্থিক ছাড় পাচ্ছেন
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসের প্রথম রিচার্জে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা হয়। আর কোনো মাসে রিচার্জ করা না হলে পরবর্তী রিচার্জে তা সমন্বয় করা হয় বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বুধবার ২৬ নভেম্বর এক বার্তায় বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহকদের সুবিধার্থে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে।
বার্তায় বলা হয়েছে প্রিপেইড মিটার ও পোস্ট পেইড মিটার উভয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ও খরচ সমান। তবে প্রিপেইড মিটারে ব্যবহার্য বিদ্যুতের বিপরীতে রিচার্জ করা এনার্জির ওপর সরকারের প্রণোদনা হিসেবে ০ দশমিক ৫ শতাংশ রিবেট বা ছাড় দেওয়া হয়। এছাড়া প্রিপেইড মিটার সংযোগের ক্ষেত্রে কোনো নিরাপত্তা জামানত লাগে না। পোস্ট পেইড মিটারের মতো প্রিপেইড মিটারের অনুমোদিত লোডের বিপরীতে ডিমান্ড চার্জ কিলোওয়াট প্রতি মাসিক ৪২ টাকা হারে আবাসিক গ্রাহকের ক্ষেত্রে এবং ভ্যাট ৫ শতাংশ নিয়ম অনুসারে কাটা হয়।
মিটার ভাড়ার বিষয়ে জানানো হয় বিতরণ প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ করা মিটারের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে সিঙ্গেল ফেজ ৪০ টাকা ও থ্রি ফেজ ২৫০ টাকা হারে মিটার ভাড়া কাটা হয়। এক্ষেত্রে প্রাকৃতিক বা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মিটার নষ্ট হলে সংস্থা কর্তৃক বিনামূল্যে মিটার বদলে দেওয়া হয়। তবে গ্রাহকের নিজস্ব সরবরাহ করা মিটারের ক্ষেত্রে কোনো মিটার ভাড়া প্রযোজ্য নয়।
গ্রাহকের সুবিধার কথা উল্লেখ করে বার্তায় বলা হয়েছে গ্রাহক আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী প্রয়োজনমাফিক প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করতে পারেন। যেকোনো সময় ও স্থান হতে অনলাইনে যেমন বিকাশ নগদ জিপি রবি উপায় ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদির মাধ্যমে রিচার্জ করার সুযোগ থাকায় যাতায়াতের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হয়। এছাড়াও সংস্থার ভেন্ডিং স্টেশন পস এজেন্ট ও ব্যাংক বুথের মাধ্যমেও প্রিপেইড মিটার রিচার্জ করা যায়। এর ফলে তাৎক্ষণিকভাবে মিটার থেকে এনার্জি ব্যালেন্স জানা যায় এবং মিটারের ব্যালেন্স কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম বা নোটিফিকেশন দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ আরও জানায় প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলেও গ্রাহক বিকেল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন অর্থাৎ শুক্রবার ও শনিবার ইমার্জেন্সি ক্রেডিট ফ্যাসিলিটিজ ভোগ করতে পারেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের ব্যবহৃত ইউনিটের বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে ইতোপূর্বে গৃহীত বকেয়া ব্যালেন্স হিসেবে মিটারে জমা হয় যা পরবর্তী রিচার্জের সময় এনার্জি ব্যালেন্স থেকে কেটে নেওয়া হয়।
মিটারে এনার্জি ব্যালেন্স অবশিষ্ট থাকলে পরবর্তী মাসে মিটার রিচার্জ না করলে অবশিষ্ট ব্যালেন্স হতে ব্যবহৃত এনার্জি খরচ কাটা হয়। তবে জমা বা অবশিষ্ট ব্যালেন্স থেকে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা হয় না। শুধু প্রতি মাসের প্রথম রিচার্জে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা হয়। যদি কোনো মাসে রিচার্জ করা না হয় তাহলে পরবর্তী রিচার্জের সময় পূর্ববর্তী সব মাসের অপরিশোধিত ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়ার বকেয়া কেটে নেওয়া হয়।
যমুনায় ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হলো ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার
দেশের ৬৪ জেলায় নতুন পুলিশ সুপারদের বা এসপিদের পদায়নের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বুধবার ২৬ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয় জনস্বার্থে জারি করা এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য দেশের ৬৪ জেলার পুলিশ সুপারকে লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত করার এক অভিনব সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত সোমবার ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত ম্যানুয়াল লটারিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ সদর দপ্তর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় এবং ডিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে সে সময় জানানো হয়েছিল যা আজ বাস্তবায়িত হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় নির্বাচনকালীন দায়িত্বে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে এবারই প্রথম ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে এসপি নিয়োগ দেওয়া হলো। লটারির আগে কয়েক দফা যাচাই বাছাই করা হয়। যারা আগে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বাদ দিয়ে পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৬ ও ২৭তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের নিয়ে ফিট লিস্ট বা যোগ্যদের তালিকা তৈরি করা হয়। সেখান থেকেই ৬৪ জনকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার একটি বড় চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল অব. মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন সড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি এদিন তিনি দেশের কৃষি খাত ও বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেন।
সার ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপদেষ্টা জানান দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণের সার মজুত রয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন কেউ যদি কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য সার মজুত করে তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে এখন থেকে সারের ডিলারশিপ আর রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া হবে না বরং যোগ্যতার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
সবজির বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি আশ্বস্ত করেন যে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। পেঁয়াজের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই এবং দামও কমে গেছে। তিনি জানান কিছু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ আমদানির জন্য চাপ দিচ্ছিল কিন্তু কৃষকদের স্বার্থে সরকার তা করেনি। মুড়িকাটা পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে তাই আমাদের কৃষকবান্ধব হতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আলুর দাম ও সংরক্ষণ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন আলুর দাম আগে কৃষক পায়নি তবে এখন কিছুটা দাম বাড়ছে। কৃষকদের সুবিধার্থে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে আলু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ প্রশাসনে রদবদল ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসপি বা পুলিশ সুপার নিয়োগের বিষয়ে তিনি জানান এসপি নিয়োগে এ বি সি তিনটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ১৮ জনকে আগে নেওয়া হয়েছে এবং এই প্রক্রিয়ায় মেধাবীরা কেউ বাদ পড়েনি বলে তিনি দাবি করেন।
পাঠকের মতামত:
- মাঝরাতের পর থেকেই বদলে যাচ্ছে প্রবাসীদের ভোটার হওয়ার নিয়ম
- বাউল বনাম তৌহিদি জনতা: পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে আবারও রণক্ষেত্র
- বরিশাল ১: ধানের শীষের অভিজ্ঞতার কাছে কি টিকবে জামায়াতের কৌশল
- ওজন কমাতে চিনির বদলে মধু খাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
- শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে মার্কিং করা স্বর্ণালংকার নিয়ে দুদকের চাঞ্চল্যকর তথ্য
- জুলাই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- সাগরের তল থেকে মরুভূমির বুক আসলে কী রহস্য লুকিয়ে আছে এখানে
- শেখ হাসিনাকে ফেরাতে দিল্লির চিঠির জবাব নিয়ে যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পার্লামেন্ট নির্বাচন জরুরি: মির্জা ফখরুল
- গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় শেন ইয়ার
- এসপি পদায়নের লটারি কীভাবে হয়েছে তা বিস্তারিত জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ছাত্র আন্দোলন থেকে উঠে এসেছি তাই যা ধরি শেষ করে ছাড়ি বলে হুঙ্কার মমতার
- আয়ারল্যান্ড সিরিজের আগে সংবাদ সম্মেলনে লিটন দাসের নজিরবিহীন ক্ষোভ ও বিস্ফোরক মন্তব্য
- হৃদ্রোগে আক্রান্ত বাবা নাকি অন্য কোনো কারণ কেন স্থগিত হলো তারকা জুটির বিয়ে
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- জনসংখ্যার বিচারে টোকিওকে টপকে ঢাকার নতুন বিশ্বরেকর্ড
- প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা সরকারের কাছ থেকে যে বিশেষ আর্থিক ছাড় পাচ্ছেন
- দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চায়: রিজভীর
- যমুনায় ম্যানুয়াল লটারির মাধ্যমে বেছে নেওয়া হলো ৬৪ জেলার পুলিশ সুপার
- সড়কে চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- জন্মনিয়ন্ত্রণে হরমোনাল পিল নিয়ে নতুন গবেষণায় যা উঠে আসল
- শেখ হাসিনার দুই লকারে মিলল স্বর্ণের পাহাড়
- ইস্টার্ন কেবলসের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ
- গোল্ডেন সনের টানা লোকসানে ডিভিডেন্ড বন্ধ ঘোষণা
- এমটিবি পারপেচুয়াল বন্ডের কুপন রেট ঘোষণা
- হুয়াওয়ের ম্যাট ৮০ সিরিজে বিপ্লবী কিরিন ৯০৩০ চিপ উন্মোচন
- কড়াইল বস্তিতে গৃহহীনদের সহায়তার আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার
- মেয়র মামদানির টিমে একসাথে ১০ বাংলাদেশি
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা
- ডিএসই মিউচুয়াল ফান্ডে এনএভি হালনাগাদ
- ভারতে মূর্তির পায়ে হাতজোড় করতে বাধ্য করল তিন মুসলিম ছাত্রকে
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- নভেম্বরেই রেমিট্যান্সের নতুন রেকর্ডের আভাস
- বুধবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা প্রকাশ
- বিএনপি–সরকারি কর্মসূচিতে রাজধানীতে ব্যস্ত দিন
- বিএনপির মনোনয়ন বিতর্কে রাজশাহী জুড়ে আগুনঝরা প্রতিক্রিয়া
- টিউলিপ সিদ্দিকির মামলা নিয়ে বিষ্ফোড়ক মন্তব্য ব্রিটিশ আইনজীবীদের
- পাকিস্তানের জাহাজ-বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা
- ই–১ প্রকল্প ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ‘শেষ কফিন’
- যবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের তুমুল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা
- পানির তীব্র সংকটে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসকে
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কবে কার বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ জেনে নিন সময়সূচি
- ক্ষুধার্ত সন্তানের কান্না আর নিঃস্ব বাবা মায়ের হাহাকারে ভারী বনানীর বাতাস
- পুষ্টির বিচারে হাঁস নাকি মুরগির ডিম কোনটি শরীরের জন্য সেরা? জানালেন বিশেষজ্ঞ
- বাউল শিল্পী আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি খতমে নবুওয়তের
- নারী ও শিশু নির্যাতনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নতুন কৌশল জানালেন উপদেষ্টা
- বিপিএলে বাতিল হওয়া প্রতিষ্ঠানকে ফিরিয়ে এনে শেষ মুহূর্তে বিসিবির নাটকীয় ইউ টার্ন
- মাইগ্রেনের তীব্রতা কমাতে দৈনন্দিন জীবনে যে পরিবর্তন আনা জরুরি
- শিরোপা জয়ের রেসে আজ বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান কার পাল্লা ভারীে
- ভয়ংকর ঝুঁকিতে দেশের তিন বড় শহর: মাটির নিচ থেকে আসছে বড় বিপদের বার্তা
- আজকের ভূমিকম্প আমাদের কী শিক্ষা দিচ্ছে: একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৬ নভেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- ফায়ার সার্ভিসে ফোনের বন্যা, হেলে পড়েছে কয়েকটি ভবন
- ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর তালিকা এবং বিশেষজ্ঞদের ভয়াবহ পরিসংখ্যান
- ভূমিকম্পের পর আগামী ৭২ ঘণ্টাকে কেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা
- ২৫০ বছরের ইতিহাস বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ কি বড় ভূমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে?
- প্রপাগান্ডা আর ষড়যন্ত্র পেরিয়ে জনতার কাতারে: জন্মদিনে তারেক রহমানকে নিয়ে ভাবনা
- ঢাকার বংশালে ভূমিকম্পে ৩ জনের মৃত্যু হলো যেভাবে
- মাটির নিচে তিন প্লেটের সংযোগস্থলে থাকা চট্টগ্রাম যেভাবে মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে
- ভারতকে হারানোর পর ৯ বছরের মধ্যে সেরা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ
- চট্টগ্রাম ৪ আসনে বিএনপির অভিজ্ঞতা নাকি জামায়াতের কৌশল কার পাল্লা ভারী
- ভূমিকম্প মুহূর্তে যে দোয়া পড়তেন রাসূল (সা.)
- নৌকার ভোট বাগে আনতে বিএনপি ও জামায়াতের যত কৌশল








