রোজকার শেয়ারবাজার

১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১৬:০৫:৫৫
১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

সোমবার (১৭ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামে পতন লক্ষ্য করা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে এই দরপতন পরিমাপ করা হয়েছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে FEKDIL। অন্যদিকে, দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে PRIMETEX।

Close Price vs YCP

গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায়, দরপতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে FEKDIL। কোম্পানিটির শেয়ার দর ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটির YCP ছিল ১৬ টাকা, যা আজ লেনদেন শেষে ১৪ টাকা ৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে PHOENIXFIN, যার দর কমেছে ৫ শতাংশ। ৪ দশমিক ৬৪৫৭ শতাংশ দর হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে SQURPHARMA।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো RUNNERAUTO (-৪ শতাংশ), CROWNCEMNT (-৩.৯৩৩৭ শতাংশ), PREMIERLEA (-৩.৭০৩৭ শতাংশ), SQUARETEXT (-৩.৪১৩৭ শতাংশ), LHB (-২.৪৮৪৫ শতাংশ), UNILEVERCL (-২.৪১০৬ শতাংশ) এবং SPCL (-২.০০৮ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে, অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে, সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে PRIMETEX। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ১০ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ১২ টাকা ৫ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ১১ টাকা ২ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে MEGHNACEM, যার ডেভিয়েশন মাইনাস ৮ দশমিক ৫৪৪৩ শতাংশ। FAMILYTEX মাইনাস ৮ দশমিক ৩৩৩৩ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো UNIONCAP (-৬.৬৬৬৭ শতাংশ), RELIANCE1 (-৬.১২২৪ শতাংশ), RUNNERAUTO (-৫.৪১৮৭ শতাংশ), USMANIAGL (-৪.৮৮৬ শতাংশ), PRIME1ICBA (-৪.৪৪৪৪ শতাংশ), SINGERBD (-৪.২৮৫৭ শতাংশ) এবং STANCERAM (-৪.২৫৮৭ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায়, RUNNERAUTO উভয় তালিকাতেই দরপতনের শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে কোম্পানিটি শুধু গতকালের তুলনায়ই নয়, বরং আজকের দিনের লেনদেনের শুরুতেও বিক্রয় চাপের মুখে ছিল।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১৫:৫৯:০৫
১৭ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

সোমবার (১৭ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে মূল্যবৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। দিনের শেষে দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে কোম্পানিগুলোর দরবৃদ্ধি পরিমাপ করা হয়। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে GPHISPAT। অন্যদিকে, দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে VAMLBDMF1।

Close Price vs YCP

গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায়, শীর্ষ গেইনারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে GPHISPAT। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৮৬৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির YCP ছিল ১৫ টাকা ২ পয়সা, যা আজ লেনদেন শেষে ১৬ টাকা ৭ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে INTECH, যার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৮৪৪৬ শতাংশ। ৯ দশমিক ৮৩৬১ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ISNLTD।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো SHARPIND (৯.৮০৩৯ শতাংশ), LOVELLO (৯.৫৭৪৫ শতাংশ), NCCBLMF1 (৯.০৯০৯ শতাংশ), POPULAR1MF (৯.০৯০৯ শতাংশ), LRGLOBMF1 (৮.৬৯৫৭ শতাংশ), SILCOPHL (৮.৬২০৭ শতাংশ) এবং ABB1STMF (৮.৩৩৩৩ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে, অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে, সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল VAMLBDMF1। মিউচুয়াল ফান্ডটির দর দিনের মধ্যেই ১১ দশমিক ৪৭৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৬ টাকা ১ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ৬ টাকা ৮ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে GPHISPAT, যার ডেভিয়েশন ৯ দশমিক ৮৬৮৪ শতাংশ। DAFODILCOM ৯ দশমিক ৫৭১ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো INTECH (৯.২৭৮৪ শতাংশ), SHARPIND (৮.৭৩৭৯ শতাংশ), MERCANBANK (৮.৬৯NT শতাংশ), APEXTANRY (৮.৩৪NT শতাংশ), ABB1STMF (৮.৩৩৩৩ শতাংশ), ABBANK (৮.৩৩৩৩ শতাংশ) এবং NORTHRNINS (৭.৯৬৮১ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায়, GPHISPAT, INTECH, SHARPIND এবং ABB1STMF এই চারটি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড উভয় তালিকাতেই শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে, যা এগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের শক্তিশালী আগ্রহের প্রতিফলন।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


এবি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের রেটিং ঘোষণা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১১:০০:৪২
এবি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের রেটিং ঘোষণা
ছবি: সংগৃহীত

এবি ব্যাংকের পারপেচুয়াল বন্ডের নতুন ক্রেডিট রেটিং ঘোষণা করেছে আর্গাস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস লিমিটেড বা এসিআরএসএল। ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ২০২৪ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থাটি বন্ডটির দীর্ঘমেয়াদি রেটিং নির্ধারণ করেছে বিবিবি এবং স্বল্পমেয়াদি রেটিং দিয়েছে এসটি–৩। রেটিংয়ের দৃষ্টিভঙ্গি বা আউটলুক রাখা হয়েছে নেগেটিভ।

ডিএসই–তে প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়, রেটিং নির্ধারণে বন্ডটির আর্থিক কার্যক্রম, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, বাজার পরিস্থিতি, সম্পদের গুণমান, মূলধন যথেষ্টতা এবং রিটার্ন সক্ষমতাসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে বিবিবি রেটিং সাধারণত মাঝারি ঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে দায় পরিশোধের সক্ষমতা থাকলেও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আর্থিক চাপ বাড়তে পারে।

স্বল্পমেয়াদি রেটিং এসটি–৩ নির্দেশ করে যে বন্ডটির স্বল্পমেয়াদি দায় পরিশোধের সক্ষমতা গ্রহণযোগ্য হলেও অনুকূলহীন বাজার অবস্থা বা আর্থিক চাপের মুখে ঝুঁকি বাড়তে পারে। রেটিং আউটলুক নেগেটিভ হওয়া মানে ভবিষ্যতে বন্ডটির ঝুঁকি প্রোফাইলে অবনতি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

-শরিফুল


মাগুরাপ্লেক্সের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১০:৫৭:৩৭
মাগুরাপ্লেক্সের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন
ছবি: সংগৃহীত

তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান মাগুরাপ্লেক্স ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় কিছুটা কমলেও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্যে সামান্য বৃদ্ধি দেখা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়।

২০২৫ সালের জুলাই–সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস দাঁড়িয়েছে ০ টাকা ৮৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ০২ পয়সা। অর্থাৎ বছরে তুলনায় আয় কিছুটা কমেছে, যা বিক্রয় বা ব্যয় ব্যবস্থাপনার ভারসাম্যে চাপ পড়ার ইঙ্গিত দেয়।

এ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ বা এনওসিএফপিএস হয়েছে ০ দশমিক ২৪ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০ দশমিক ৩৫ টাকা। নগদ প্রবাহের এই হ্রাসকে কোম্পানির কার্যক্রমে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট ও দায় পরিশোধ ব্যবস্থার পরিবর্তনজনিত প্রভাব বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যদিও আয় ও নগদ প্রবাহে কিছুটা মন্থরতা দেখা গেছে, তবে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য বা এনএভি বেড়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৭৫ টাকা ৬৭ পয়সা, যা ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে ছিল ৭৪ টাকা ৭৯ পয়সা। অর্থাৎ তিন মাসে সম্পদমূল্যে প্রায় ৮৮ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছে।

-রাফসান


মনোস্পুলের ইপিএসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৭ ১০:৫২:৩৮
মনোস্পুলের ইপিএসে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি
ছবি: সংগৃহীত

তালিকাভুক্ত কোম্পানি মনোস্পুল প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ২০২৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানির আয় ও নগদ প্রবাহ উভয় ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় উন্নতি হয়েছে। ডিএসই–তে প্রকাশিত ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ে মনোস্পুলের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ১৯ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানির ইপিএস ছিল ১ টাকা ১৪ পয়সা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইপিএসে সামান্য ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে।

নগদ প্রবাহের ক্ষেত্রেও কোম্পানি উন্নতির ইঙ্গিত দিয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ বা এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ২৮ টাকা। আগের বছরের একই সময়ে এটি ছিল মাত্র ০ দশমিক ০৭ টাকা। কোম্পানির ব্যাখ্যা অনুযায়ী, এই প্রবৃদ্ধির পেছনে সরবরাহকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা অর্থাৎ ডেইজ পে–এবল আউটস্ট্যান্ডিং বা ডিপিও বৃদ্ধির পাশাপাশি ইনভেন্টরি টার্নওভার অনুপাত বৃদ্ধি ভূমিকা রেখেছে। এর ফলে নগদ প্রবাহ আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়েছে।

এদিকে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য বা এনএভি প্রবৃদ্ধিও উল্লেখযোগ্য। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২৫ পয়সা, যা ৩০ জুন ২০২৫–এ ছিল ৪৫ টাকা ০৫ পয়সা। অর্থাৎ তিন মাসে সম্পদমূল্যে ইতিবাচক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায়।

-রাফসান


১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:২০:৩৭
১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ

রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) লেনদেন শেষে বাজারের সামগ্রিক চিত্রে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। দিনশেষে মোট ২৩৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বিপরীতে দর কমেছে ১১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, লেনদেন হওয়া মোট ৩৮৪টি ইস্যুর মধ্যে এই পরিবর্তন এসেছে। বেশিরভাগ ক্যাটাগরিতেই ছিল ঊর্ধ্বগতি। 'A' ক্যাটাগরিতে ১৩৮টি কোম্পানির দর বেড়েছে এবং ৫৭টির দর কমেছে। 'B' ক্যাটাগরিতে ৫১টি ইস্যু এগিয়েছে, বিপরীতে কমেছে ১৮টি। 'Z' ক্যাটাগরিতে ৪৭টির দর বাড়লেও ৩৮টির দরপতন হয়েছে।

খাতভিত্তিক লেনদেনে, মিউচুয়াল ফান্ড (MF) সেক্টরে ১৭টি ফান্ডের দর বৃদ্ধি ও ৮টির দর হ্রাস পেয়েছে। তবে গভর্নমেন্ট সিকিউরিটিজ (G-Sec) বিভাগে ১টির দর বাড়লেও ৬টির দর কমেছে।

এদিন বাজারে মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২,৯৮১.০৭ মিলিয়ন টাকা (প্রায় ২ শত ৯৮ কোটি টাকা)। মোট ১,২৫,৩০৯টি ট্রেডের মাধ্যমে ১২১,৫৭৪,১২৩টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন ১১০ মিলিয়ন টাকা

মূল বাজারের পাশাপাশি ব্লক মার্কেটে আজ উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে। মোট ১৮টি স্ক্রিপের লেনদেনে ১১০.৬৩৫ মিলিয়ন টাকার (প্রায় ১১.০৬ কোটি টাকা) শেয়ার হাতবদল হয়।

ব্লক মার্কেটে লেনদেনের শীর্ষে ছিল GQBALLPEN, যার ২৯.৯৪৩ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য লেনদেনের মধ্যে ACI ১১.৫৮৬ মিলিয়ন, LANKABAFIN ১০.৯৫৩ মিলিয়ন এবং CITYGENINS ৯.৯৮৬ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।

দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মোট বাজার মূলধন (Total Market Capitalisation) দাঁড়িয়েছে ৬,৭৪৯,২৫১.৯৮ মিলিয়ন টাকায়।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:১৬:৫০
১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (১৬ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের দামে পতন লক্ষ্য করা গেছে। দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে এই দরপতন পরিমাপ করা হয়েছে। গতকালের সমাপনী মূল্যের (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে (CloseP) সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে SHEPHERD। অন্যদিকে, দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে IBP।

Close Price vs YCP

গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে আজকের সমাপনী মূল্যের (CloseP) শতাংশ পরিবর্তন বিবেচনায়, দরপতনের তালিকার শীর্ষে রয়েছে SHEPHERD। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৭৩৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এটির YCP ছিল ১১ টাকা ৩ পয়সা, যা আজ লেনদেন শেষে ১০ টাকা ২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে SIMTEX, যার দর কমেছে ৯ দশমিক ৭২৬৪ শতাংশ। ৯ দশমিক ৬০৪৫ শতাংশ দর হারিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে FEKDIL।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো MATINSPINN (-৯.০৫৩৫ শতাংশ), GQBALLPEN (-৮.৭১৭৫ শতাংশ), FASFIN (-৮.৪৩৩৭ শতাংশ), MEGCONMILK (-৭.৮৭৪ শতাংশ), UTTARAFIN (-৭.৭৬৭ শতাংশ), BAYLEASING (-৭.৪০৭৪ শতাংশ) এবং MEGHNAPET (-৭.৩২৯৮ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে, অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে, সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে IBP। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ২৪ দশমিক ১১৩৫ শতাংশ হ্রাস পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ১৪ টাকা ১ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ১০ টাকা ৭ পয়সায়।

এই তালিকায় বড় পতন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে MEGHNAPET, যার ডেভিয়েশন মাইনাস ১২ দশমিক ৮০৭৯ শতাংশ। INTRACO মাইনাস ১১ দশমিক ২১০৮ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো SIMTEX (-১১.০৭৭৮ শতাংশ), CONTININS (-১০.৩৪৪৮ শতাংশ), SHEPHERD (-৯.৭৩৪৫ শতাংশ), METROSPIN (-৯.৫২৩৮ শতাংশ), MIDASFIN (-৯.৫২৩৮ শতাংশ), NEWLINE (-৯.৩৭৫ শতাংশ) এবং GQBALLPEN (-৯.১৭৩৯ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায়, SHEPHERD, SIMTEX, GQBALLPEN এবং MEGHNAPET এই চারটি কোম্পানি উভয় তালিকাতেই দরপতনের শীর্ষ দশে স্থান পেয়েছে। এটি নির্দেশ করে যে এই কোম্পানিগুলো শুধু গতকালের তুলনায়ই নয়, বরং আজকের দিনের লেনদেনের শুরুতেও বড় ধরনের বিক্রয় চাপের মুখে ছিল।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:০৭:৪৫
১৬ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ

রবিবার (১৬ নভেম্বর) শেয়ারবাজারের লেনদেনে মূল্যবৃদ্ধির দিক থেকে দুটি ভিন্ন মানদণ্ডে দুটি কোম্পানি শীর্ষস্থান দখল করেছে। গতকালের সমাপনী মূল্য (YCP) তুলনায় আজকের সমাপনী মূল্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল RUNNERAUTO। অন্যদিকে, দিনের লেনদেনের উদ্বোধনী মূল্যের তুলনায় সর্বশেষ মূল্যে (LTP) সবচেয়ে বেশি মুনাফা দিয়েছে MONOSPOOL।

Close Price vs YCP

গতকালকের সমাপনী মূল্যের (YCP) সাথে তুলনা করে আজকের সমাপনী মূল্যের শতাংশ পরিবর্তনে শীর্ষ দশ গেইনারের তালিকায় এক নম্বরে রয়েছে RUNNERAUTO। কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯ দশমিক ৮৯০১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর YCP ছিল ৩৬ টাকা ৪ পয়সা, যা আজ লেনদেন শেষে (CloseP) ৪০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে SAIHAMCOT, যার দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৯ দশমিক ৬১৫৪ শতাংশ। ৯ দশমিক ৬ শতাংশ দর বৃদ্ধি পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে SALVOCHEM।

শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো ICB (৯.১৬৯১ শতাংশ), MONNOFABR (৯.১৫০৩ শতাংশ), ANWARGALV (৮.৯৯৭৪ শতাংশ), CVOPRL (৮.৯১৮১ শতাংশ), SONARGAON (৮.৭১৫৬ শতাংশ), ICB3RDNRB (৮.৩৩৩৩ শতাংশ) এবং DSHGARME (৮.২১৯২ শতাংশ)।

Opening Price vs LTP (Intra-day)

দিনের লেনদেনের মধ্যে, অর্থাৎ উদ্বোধনী মূল্যের (Open) তুলনায় সর্বশেষ লেনদেন মূল্যের (LTP) ডেভিয়েশন বা পরিবর্তনে, সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল MONOSPOOL। কোম্পানিটির শেয়ার দর দিনের মধ্যেই ১৬ দশমিক ৩৯৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ৯২ টাকা ১ পয়সা দিয়ে এবং সর্বশেষ LTP দাঁড়ায় ১০৭ টাকা ২ পয়সায়।

এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে EXIM1STMF, যার ডেভিয়েশন ১৩ দশমিক ০৪৩৫ শতাংশ। PROVATIINS ১০ দশমিক ৪৮০৩ শতাংশ ডেভিয়েশন নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হলো IFILISLMF (১০ শতাংশ), SONARGAON (৯.৭২২২ শতাংশ), SICL (৯.২৫৯৩ শতাংশ), RDFOOD (৯.২১০৫ শতাংশ), NORTHRNINS (৯.০৯০৯ শতাংশ), HWAWELLTEX (৮.৯৮৮৮ শতাংশ) এবং ANWARGALV (৮.৭১৭৯ শতাংশ)।

পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ANWARGALV এবং SONARGAON কোম্পানি দুটিই উভয় তালিকায় শীর্ষ দশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে প্রদত্ত তথ্য কেবল শিক্ষামূলক ও বাজার বিশ্লেষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। বিনিয়োগের আগে অবশ্যই যোগ্য পরামর্শকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

/আশিক


২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:৪৯:৪৯
২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের ১৬ নভেম্বর, সকাল ১১টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত প্রকাশিত ডেট বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক মার্কেটে লেনদেন প্রায় সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে আছে। পুঁজিবাজারের তুলনামূলক নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ খাত হিসেবে ডেট মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর কার্যক্রম আজকের দিনে ছিল অত্যন্ত সীমিত।

ডেট বোর্ডে তালিকাভুক্ত মোট ২৪টি সিকিউরিটির মধ্যে ২৩টিতেই কোনো লেনদেন হয়নি। ঐসব সিকিউরিটিগুলোর Last Traded Price (LTP), HIGH, LOW এবং CLOSEP সবই শূন্য দেখাচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে বাজারে বন্ড ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম একেবারে স্থবির অবস্থায় রয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম।

এমন পরিস্থিতিতে পুরো বাজারে একমাত্র সক্রিয় সিকিউরিটি ছিল BEXGSUKUK। এই সুকুকটিতে সীমিত আকারে হলেও ট্রেড হয়েছে। দেখা যায়, এর LTP ছিল ৫৯.৫, HIGH ছিল ৫৯.৫ এবং LOW ছিল ৫৯। গতকালের YCP ছিল ৫৯ টাকা। ফলে আজকের CHANGE দাঁড়িয়েছে ০.৫ টাকা বৃদ্ধি। মোট ৩টি ট্রেডের মাধ্যমে ০.০৩৬ মিলিয়ন টাকার লেনদেন হয়েছে এবং ৬০০ ইউনিটের ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়েছে।

এই সুকুকের সক্রিয়তা বাজারের সার্বিক স্থবিরতার মধ্যেও কিছুটা ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে। এটি স্পষ্ট যে অন্তত কিছু বিনিয়োগকারী শরিয়াহ ভিত্তিক সুকুকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে এই লেনদেনের পরিমাণ পুরো ডেট মার্কেটের তুলনায় খুবই সামান্য, যা সামগ্রিক চিত্রকে পরিবর্তন করে না।

অন্যদিকে ABBLPBOND, AIBLPBOND, APSCLBOND, BANKASI1PB, CBLPBOND, DBLPBOND, MTBPBOND সহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন করপোরেট বন্ডে কোনো লেনদেন হয়নি। এই বন্ডগুলোর YCP উল্লেখ থাকলেও মূল্য পরিবর্তন হয়নি, কারণ LTP শূন্য রয়েছে। ফলে দিনের বাজার পুরোপুরি স্থির থেকে গেছে।

ডেট বাজারে এমন নিস্ক্রিয়তার পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করতে পারে। প্রথমত, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্ড মার্কেট সম্পর্কে সচেতনতা তুলনামূলকভাবে কম। শেয়ার বাজারের তুলনায় দ্রুত মুনাফা পাওয়া যায় না বলে অনেকেই বন্ডে আগ্রহী হন না। এর ফলে দ্বিতীয়িক বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি খুবই সীমিত।

দ্বিতীয়ত, দেশের চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিহীন দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। তবে বন্ড বাজার ঝুঁকিহীন হলেও দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃতি ও সীমিত লেনদেন সুবিধা অনেকের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তা চাইলেও বাজারের নিষ্ক্রিয়তা তাদের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে।

তৃতীয়ত, নীতিনির্ধারক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বাজার গভীরীকরণের অভাবও দায়ী। বন্ড মার্কেট সক্রিয় না হলে দেশের সামগ্রিক পুঁজিবাজার শক্তিশালী হতে পারে না। বিশেষত সরকারি সিকিউরিটিজ ও করপোরেট বন্ডের প্রবাহ বাড়ানো, কর-সুবিধা দেওয়া এবং স্বচ্ছ প্রাইসিং মেকানিজম চালু করা জরুরি।

এছাড়া ডিজিটাল সিস্টেম আরও সহজ করা, বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্রেনিং ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু করা এবং মার্কেট মেকার কার্যক্রম বিস্তৃত করাও প্রয়োজন। এসব উদ্যোগ বন্ড বাজারে তারল্য বৃদ্ধি করবে এবং বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।

আজকের সার্বিক চিত্র দেখায় যে ডেট মার্কেট এখনও তার প্রত্যাশিত অবস্থান থেকে দূরে। একমাত্র BEXGSUKUK বাদে বাজার সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। বিনিয়োগকারীরা এই বাজারে অংশ নিলে স্থিতিশীল ও ঝুঁকিহীন মুনাফার সুযোগ পেতে পারেন, কিন্তু তার জন্য বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।

-রাফসান


তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:৪৪:৪৮
তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সপ্তাহের শুরুতে DSE–৩০ সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেন সামগ্রিকভাবে চাপের মধ্যে ছিল। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য সংকট, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষমান অবস্থান বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ ব্লু-চিপ শেয়ারের দাম কমেছে এবং সূচকেও চাপ পড়েছে।

সকালের লেনদেনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে লভেলো আইসক্রিমের শেয়ার থেকে। কোম্পানিটির শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৬২.৫ টাকায় নেমে আসে। এদিন লভেলোর ৮৮৭টি ট্রেডে প্রায় ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ব্যয় বৃদ্ধি, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপে ফেলেছে।

টেলিকম খাতেও উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ২.৯২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৬৯.১ টাকায়, যা সূচকের ওপর বেশ স্পষ্ট প্রভাব ফেলে। টেলিকম নীতিমালা সংশোধন ও নিয়মকানুনের সম্ভাব্য পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে রবি আজিয়াটার দর অপরিবর্তিত থাকলেও লেনদেন ছিল বেশ সক্রিয়।

ব্যাংকিং খাতের শেয়ারেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক ২ শতাংশের বেশি দর হারায় এবং সিটি ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারও নিম্নমুখী ছিল। ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণের চাপ এবং নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করছে। তবে প্রাইম ব্যাংক সামান্য বৃদ্ধি দেখিয়ে খাতটিতে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া দেয়।

জ্বালানি খাতে দর পরিবর্তন ছিল তুলনামূলকভাবে সীমিত। জামুনা অয়েলের দর সামান্য বেড়েছে, তবে পদ্মা অয়েলের শেয়ার দামে পতন দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক তেলের দামের ওঠানামা দেশীয় জ্বালানি কোম্পানির শেয়ারে সরাসরি প্রভাব ফেলছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা থাকলেও কয়েকটি বড় কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়। বেক্সিমকো ফার্মা, রেনাটা, স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দামের নিম্নগতি বাজারে চাপ বাড়ায়। ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয়ের প্রভাব উৎপাদন খাতে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানির মধ্যে ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ারের দর ১ শতাংশের বেশি কমে ৩৬০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। বৈশ্বিক বাজারের চাপ, কাঁচামালের দাম এবং রপ্তানি আয়ের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত করছে। কোহিনূর কেমিক্যালস, অলিম্পিক এবং লিন্ডে বাংলাদেশ–এ লেনদেন সীমিত থাকলেও দর সামান্য ওঠানামা করেছে।

লেনদেনের পরিমাণে এগিয়ে ছিল সিটি ব্যাংক, রবি এবং লভেলো। সিটি ব্যাংকের লেনদেন প্রায় ২৭.৯ কোটি টাকা, রবি ২৪.৬ কোটি টাকা এবং লভেলো ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে দিনটি জমজমাট করে তোলে। তবে দাম পতনের কারণে বাজারে আশাবাদ কমেছে।

সামগ্রিকভাবে ডিএসই ৩০–এর শেয়ারের লেনদেনে বিক্রয়চাপ ছিল প্রবল। বাজারে তারল্য বাড়ানো, নীতি–স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি না হলে এ ধরনের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে বলে মনে করছে বাজারবিশ্লেষকেরা।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত