মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ মৃত্যু

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ২০:৩২:০০
মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে শিশুসহ ৫ মৃত্যু
ছবি: সমকাল

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি বাস ও ট্রাকের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও অন্তত ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মহাসড়কের বটতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, যাত্রীবাহী বাসটি খুব বেপরোয়া গতিতে চলছিল। হঠাৎ করে এটি লেন পরিবর্তন করতে গেলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। সংঘর্ষের পরপরই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন যাত্রীর মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানিয়েছেন, বাসটি শুরু থেকেই এলোমেলোভাবে বাঁক নিচ্ছিল। হঠাৎ জোরে ধাক্কা লাগার সাথে সাথে তারা সবাই সিট থেকে ছিটকে পড়েন।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। নিহতদের কারও পরিচয় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। গুরুতর আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ ইমরান জানিয়েছেন, "এখন পর্যন্ত ২০ জনকে এখানে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"

জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত আরেক চিকিৎসক ডা. শারমিন জানান, আহতদের অনেকের মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি আরও জানান, নিহত পাঁচজনই পুরুষ।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জাকির রাব্বানী দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "মোট পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের বেশিরভাগকেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।"


গণভোটের আইনি ভিত্তি নেই: রিজভী

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১৫:২৭:২৭
গণভোটের আইনি ভিত্তি নেই: রিজভী
দুস্থ পরিবারের মাঝে সহায়তা দেন রিজভী। ছবি : কালবেলা

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশে গণভোটের কোনো আইনি ভিত্তি নেই। তিনি মন্তব্য করেন, ভোটের সঙ্গে গণভোট হতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু আইনগত কাঠামো ছাড়া আইনের কোনো কাজ করা হলে তা ভবিষ্যতের জন্য সংকট তৈরি করবে।

রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর একটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করা এক অসহায় বৃদ্ধ দম্পতির হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন রিজভী। এরপর সেখানে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে চায়। কিন্তু এই নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহল 'পিআর পদ্ধতি' (Proportional Representation) এবং 'গণভোট' নিয়ে নানা ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তিনি উল্লেখ করেন, বিশেষজ্ঞরা এরই মধ্যে স্পষ্ট করে বলেছেন যে, গণভোটের কোনো আইনি কাঠামো এখনও দেশে নেই।

দেশের চলমান বিভিন্ন সংকট প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি, নিত্যপণ্যের বাজারদর এবং কৃষকদের উৎপাদন সংকটসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে।

সমাবেশে রুহুল কবির রিজভী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে হওয়া বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওইসব চুক্তি দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে ছিল। তিনি দাবি করেন, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা বিদ্যুৎ চুক্তি এবং চট্টগ্রাম বন্দর কোনো বিদেশি অপারেটরের হাতে তুলে দেওয়ার মতো আলোচনা দেশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারে।

রিজভী বলেন, ভবিষ্যতে যেসব চুক্তি করা হবে, তা অবশ্যই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিবেচনায় নিয়ে করতে হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা সরকারের করা কিছু চুক্তির শর্ত দেশের জনগণ জানতেও পারেনি। তিনি সতর্ক করে বলেন, দেশের বন্দর বা সমুদ্রবন্দর যদি ধীরে ধীরে বিদেশি কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, তবে তা দেশের নিরাপত্তার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করবে। ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে এই বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে 'আমরা বিএনপি পরিবারের' সদস্য সচিব আতিকুর রহমান রুমান এবং পটুয়াখালী জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় কয়েকশ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।


রাজধানীতে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জেনে নিন বিস্তারিত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:০৬:০২
রাজধানীতে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জেনে নিন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই সরকারি দপ্তর, বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল ও অসংখ্য সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে। এসব কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর ব্যস্ত সড়কগুলোতে যানজট সৃষ্টি হওয়াটা নিয়মিত ঘটনা। ফলে প্রতিদিন কর্মজীবী মানুষ, শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। তাই সকালে ঘর থেকে বের হওয়ার আগে দিনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলো জেনে নেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। আজ রবিবার, ১৬ নভেম্বর, রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন স্থানে কী কী উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্মসূচি রয়েছে, তার বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।

বিএনপির কর্মসূচি

আজকের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিএনপির আয়োজন। সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত হবে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঐতিহাসিক নেতার স্মরণসভাটিতে দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শহীদ রিফাত পার্ক থেকে শুরু হবে একটি ‘গণ মিছিল’। বেলা ৩টায় শুরু হওয়া এই মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। স্থানীয় পর্যায়ে দলটির সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এই মিছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ছাড়া সকাল ১০টায় পটুয়াখালী সদর উপজেলার বিঘাই হাট স্কুল সংলগ্ন আবাসন প্রকল্পে অনুষ্ঠিত হবে ‘আমরা বিএনপি পরিবার কর্মসূচি’ যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কর্মসূচি

বেলা ১১টায় সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংবাদ সম্মেলন। দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক সেখানে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দলীয় অবস্থান তুলে ধরবেন বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার কর্মসূচি

দুপুর ১২টায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে শুরু হবে 12th International Conference on Psychiatry–এর পুরস্কার বিতরণ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন দেশে গবেষণা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন।

জামায়াতের কর্মসূচি

দুপুর সাড়ে ১২টায় মগবাজারের আল-ফালাহ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রেস ব্রিফিং। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংঘাতমুক্ত সমাধানের পথ নিয়ে সংগঠনটির বক্তব্য সেখানে উপস্থাপন করা হবে।

স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কর্মসূচি

বেলা ১১টায় রায়েরবাজার কবরস্থানে গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি পালন করবেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শহীদদের প্রতি সম্মান জানাতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ সেখানে সম্মিলিত হবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।


আজ বন্ধ ঢাকার প্রধান যেসব মার্কেটগুলো

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:০০:৩৭
আজ বন্ধ ঢাকার প্রধান যেসব মার্কেটগুলো
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে বিভিন্ন এলাকার বাজার ও মার্কেট বন্ধ রাখা হয়—যা নগরীর বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে নিয়মিত ছন্দে রাখার পাশাপাশি শ্রমিক ও দোকানিদের বিশ্রাম ও পুনর্গঠনের সুযোগ করে দেয়। রবিবারও তার ব্যতিক্রম নয়। সপ্তাহের এই দিনে রাজধানীর বেশ কিছু জনপ্রিয় মার্কেট বন্ধ থাকায় অনেকেই কেনাকাটায় গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। তাই পূর্বপরিকল্পনা করার জন্য কোন কোন এলাকা ও মার্কেট রবিবার বন্ধ থাকে তা জানা জরুরি।

ঢাকার উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রবিবার দোকানপাট বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর–১০ থেকে মিরপুর–১৪ পর্যন্ত বিস্তৃত মার্কেট এলাকা, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত ও কাফরুল অঞ্চল। এই সব এলাকায় যাদের নিয়মিত বাজার বা প্রয়োজনীয় কেনাকাটার পরিকল্পনা আছে, তাদের বিকল্প দিন বা বিকল্প এলাকা বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এ ছাড়া মহাখালী থেকে নিউ ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট এবং তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলজুড়ে থাকা দোকানপাটও রবিবার বন্ধ থাকবে। রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা গুলশান–১, গুলশান–২ ও বনানী অঞ্চলের মার্কেটগুলিও আজ বন্ধ থাকবে, ফলে এসব এলাকায় অভিজাত বা ব্র্যান্ডের কেনাকাটা করতে চাইলে অন্যদিন পরিকল্পনা করা উচিত। মহাখালী বাণিজ্যিক এলাকা, ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল এলাকা, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর এবং সায়েদাবাদকেন্দ্রিক বাজার এলাকাগুলোও আজ বন্ধের তালিকায় রয়েছে।

রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া এবং রায়েরবাগেও রবিবার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। ওইসব এলাকায় সাধারণ বাজার থেকে শুরু করে পোশাক, ইলেকট্রনিক্স ও গৃহস্থালি সব ধরনের দোকানই আজ সাপ্তাহিক ছুটিতে থাকবে।

মার্কেটগুলোর তালিকা অনুযায়ী, রবিবার বন্ধ থাকবে বিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), যা দেশের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযুক্তিপণ্যের কেনাকাটা কেন্দ্র। পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসী পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট ও ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্সও আজ খোলা থাকবে না। গুলশান এলাকার ডিসিসি মার্কেট–১ ও ২, গুলশান পিংক সিটি, বনানী সুপার মার্কেট ও মোল্লা টাওয়ারও রবিবার বন্ধের তালিকায় রয়েছে।

রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স ও মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেটসহ বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য মার্কেটও আজ বন্ধ থাকবে।

-রফিক


সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ২১:৩১:৩৭
সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ
সংগৃহীত ছবি

রাজধানী ঢাকার মিরপুর ও হাতিরঝিল এলাকায় পৃথক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই বিস্ফোরণগুলো ঘটানো হয়। এর মধ্যে হাতিরঝিলে একটি ককটেলের আঘাতে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে মোট চারটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। স্থানগুলো হলো মিরপুরের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এলাকা, মিরপুর-১২ মেট্রো স্টেশন এবং হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজ। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর বিআরটিএ এলাকায় প্রথম ককটেল বিস্ফোরণটি ঘটে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

এর কিছুক্ষণ পর, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে আরেকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। হাতিরঝিল থানা পুলিশ এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। থানার ডিউটি অফিসার, উপপরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের ফলে ঘটনাস্থলে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন লেগে যায়। তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে।

এদিকে, পল্লবী থানা পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে মিরপুর-১২ মেট্রো স্টেশনের নিচে দুর্বৃত্তরা পরপর দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এই ঘটনাতেও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রতিটি ঘটনার পরই সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।


বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ২০:৪৩:৩৭
বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
বরিশালে ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শহরে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার নামে ওই নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাটি শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে বরিশাল নগরের ভাটারখাল এলাকায় ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার বরিশাল মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

পুলিশের ভাষ্যমতে, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশের একটি দল ভাটারখাল এলাকায় মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাসুম এবং তার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন লোক এক হয়ে পুলিশের ওপর লাঠি এবং ইট ছুড়তে শুরু করে।

এই হট্টগোলের মধ্যেই এক পর্যায়ে মাসুম পুলিশের হাতে কামড় দেন এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। হামলায় এসআই নাসিম হোসেনসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একটি নতুন মামলা দায়ের করেছে। টিএসআই মাহাবুব আলম বাদী হয়ে শনিবার কোতয়ালী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরিশাল নগরীর ভাটারখাল এলাকার রুস্তম হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার, পালিয়ে যাওয়া মাসুমের স্ত্রী রিমি বেগম এবং একই এলাকার রিফাত ও শিল্পি আক্তার।

কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পালিয়ে যাওয়া মাসুমসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১৮:৫৫:৪১
টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য
ছবি : সংগৃহীত

ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে (৪২) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জরেজুল ইসলাম (৩৯) ও শামীমা আক্তারকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ এবং র‍্যাব পৃথকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে। এই হত্যাকাণ্ড এবং গ্রেপ্তার পরবর্তী তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুটি বাহিনী আলাদা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তবে দুই বাহিনীর সংবাদ সম্মেলন থেকে দুই আসামির জবানবন্দির বরাতে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) জানিয়েছে, আশরাফুলকে ফাঁদে ফেলে দশ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ক দায়ী।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বিস্তারিত জানান। তিনি আসামি শামীমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলেন, শামীমার সাথে জরেজুলের এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জরেজুলই আশরাফুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, শামীমা আশরাফুলকে শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর জরেজুল আশরাফুল ও শামীমার ভিডিও ধারণ করেন। এই ভিডিও দেখিয়ে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের। র‍্যাব জানিয়েছে, ধারণ করা সেই ভিডিওটি শামীমার মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব আরও জানায়, ১২ নভেম্বর দুপুরের দিকে আশরাফুল পুরোপুরি অচেতন হয়ে পড়লে জরেজুল তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেন। এরপর হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আশরাফুলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

১৩ নভেম্বর সকালে, মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে তারা পাশের বাজার থেকে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে আনেন। পরে জরেজুল একটি চাপাতি দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে ড্রাম দুটিতে ভরেন এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে রেখে যান। র‍্যাব আশরাফুলের রক্তমাখা সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং হত্যায় ব্যবহৃত দড়ি ও স্কচটেপ উদ্ধার করেছে।

অন্যদিকে, বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম অপর আসামি জরেজুল ইসলামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার বর্ণনা দেন।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, এই হত্যার মূল আসামি জরেজুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় থাকতেন। সেখানে থাকা অবস্থায় একটি অ্যাপের মাধ্যমে শামীমা আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

জরেজুল প্রায় দেড় মাস আগে দেশে ফেরেন। দেশে আসার পরও শামীমা ও জরেজুলের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ হতো। বিষয়টি জরেজুলের স্ত্রী জানতে পারেন। তখন জরেজুলের স্ত্রী তার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল ইসলামের সহায়তা চান এবং আশরাফুলকে শামীমার নম্বর দেন। কিন্তু এরপর আশরাফুল নিজেই শামীমার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ভিডিও কলেও যোগাযোগ হতো।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, এর মধ্যেই শামীমা জরেজুলকে জাপান পাঠানোর কথা বলেন। তিনি জানান, জাপানে যেতে ১৪ লাখ টাকা লাগবে, যার মধ্যে ৭ লাখ টাকা শামীমা নিজেই দেবেন। এই টাকা নেওয়া এবং জাপান যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যই ১১ নভেম্বর জরেজুল ও আশরাফুল একসাথে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে তারা তিনজন শনির আখড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন।

বাসায় ওঠার পর জরেজুল তার বন্ধু আশরাফুলের সাথে শামীমার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীমা চিৎকার করলে জরেজুল আশরাফুলের হাত বেঁধে ফেলেন এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে তিনি আশরাফুলের মুখের ভেতরে শামীমার ওড়না ঢুকিয়ে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আশরাফুল মারা যান। এরপর তারা একইভাবে মরদেহ টুকরো করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে আসেন।


শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:০৭:০০
শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি মাসের শুরুতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও মুলার মতো শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছিল। তখন বেশিরভাগ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। এখন বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ আরও বাড়লেও ফল হয়েছে উল্টো। দাম কমার বদলে কেজিপ্রতি অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে, কোনো কোনো সবজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বছরের শেষের দিকে আলুর দামেও বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে কমেছে ডিমের দাম। অন্যদিকে চালের বাজার চড়া দামেই স্থির হয়ে আছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, করলা, পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দলের মতো সবজিগুলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগেই এসব সবজি ক্রেতারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনতে পারতেন।

প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ ও মরিচের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। লাউ আগের মতোই প্রতিটি ৬০ টাকা এবং মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

সবজির বাজারে শিমের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন সরাসরি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন আজ ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সবুজ গোল বেগুনের দামও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় উঠেছে। তবে তাল বেগুনের দাম ১৪০ টাকা কেজিতে অপরিবর্তিত আছে।

বাজারে উচ্ছের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কচুর লতির দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকা হয়েছে। শসার দামও ৫০ থেকে ৬০ টাকা এক লাফে বেড়ে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি শীতের সবজি মুলার দামও ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আনিসুর রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আশা করেছিলাম শীতের সবজির দাম ধীরে ধীরে কমবে। কিন্তু দাম উল্টো বেড়ে গেল। এটা কীভাবে হলো বুঝলাম না। আজকের বাজারে সব ধরনের সবজির দামই বেশি মনে হচ্ছে।’

দেশে উৎপাদিত সবজির পাশাপাশি আমদানি করা পণ্যের দামও বেড়েছে। আমদানি করা পাকা টমেটোর দাম ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা এবং গাজরের দাম ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ক্রেতারা সারা বছর সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পেয়েছেন তা হলো পেঁপে, যা প্রতি কেজি ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একজন বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘বাজারে শিমের সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়ছে। আর শীতের সবজি বাজারে এলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় অন্যান্য নিয়মিত সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এবারের বন্যা আর বৃষ্টিতে ফসলের গাছের অনেক ক্ষতি হয়েছে, যা চাষাবাদে খারাপ প্রভাব ফেলেছে।’

বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। কারওয়ান বাজারে ১১৫ টাকায় পেঁয়াজ পাওয়া গেলেও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ১২০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।

আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, ‘আলুর দাম সামনে আরও বাড়তে পারে। পুরোনো আলুর সরবরাহ বাজারে কমে গেছে। নতুন আলু উঠলে পুরোনো আলুর দাম সাধারণত বাড়ে। গত তিন দিন ধরেই ৫ টাকা করে বাড়ছে। আর পেঁয়াজের দাম এখনও সেভাবে কমেনি।’

আদা ও রসুনের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাজারে চায়না রসুন ১৬০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। থাইল্যান্ডের আদা ২০০ টাকা এবং চায়না আদা ১৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

ডিমের দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে, ডজনপ্রতি লাল ডিম ৫ টাকা কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে হালি হিসেবে কিনলে ক্রেতাদের আগের দাম অর্থাৎ ৪৫ টাকাতেই কিনতে হচ্ছে।

মুরগির দামেও বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং হাইব্রিড সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম এমনই রয়েছে।

বাজারে অন্যান্য পণ্যের দামে ওঠা-নামা দেখা গেলেও চালের দাম চড়া অবস্থাতেই স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারি বাজারে কোনো চালই ৫৮ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। খুচরা বাজারে ক্রেতাদের সেই চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে পাইজাম ও আটাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ক্রেতাদের এসব চাল কেজিতে অন্তত ৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:০৫:৪৩
রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিনের মতো আজ শনিবারও সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর নানা কর্মসূচি শহরের বিভিন্ন সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ছুটির দিনে অপ্রয়োজনীয় বিড়ম্বনা এড়াতে কোথায় কী আয়োজন রয়েছে তা আগেভাগে জেনে নেওয়া নাগরিকদের যাতায়াত পরিকল্পনাকে সহজ করে। শনিবার ১৫ নভেম্বরের কর্মসূচিগুলো এক নজরে তুলে ধরা হলো।

দিনের শুরুতেই সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের আটি বাজার দড়িপাড়ায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রকল্পটির মাধ্যমে নগর ও শহরতলির জলাশয়গুলোর পুনরুদ্ধার এবং পরিবেশবান্ধব জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।

অপরদিকে বিকেল ৩টায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘গণতন্ত্র বিনির্মাণে নারী: আমরা কী পেলাম’ শীর্ষক রাউন্ড টেবিল আলোচনায় অংশ নেবেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সমসাময়িক রাজনীতি, নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং গণতন্ত্রের নতুন পথরেখা নিয়ে আয়োজিত এ সভায় সরকারের পরিকল্পনা ও নীতিমালা নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে বিএনপির একাধিক আয়োজন রয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় শ্যামলী পিসি কালচার হাউজিংয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যোগ দেবে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রতিনিধি দল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের খতমে নবুয়াত মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

এ দিন শ্রমঘন খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় কাকরাইলের আইডিইবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে ‘শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। শ্রম অধিকার, কর্মপরিবেশ ও নীতিমালার সংস্কার নিয়ে ফেডারেশনের এই বৈঠক শ্রমজীবী মানুষের প্রত্যাশাকে সামনে আনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

-রফিক


৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১০:২৭:৪১
৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে অনলাইনের স্বাধীনতা কমলেও বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস। গতকাল শুক্রবার সংস্থাটি ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি করেছে। এই গবেষণাটি ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই গণতন্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনের ফলে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার এনেছে।

এর ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়েছে। ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর এখন ৪৫, যা গত বছর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা অবস্থান। তবে, এত উন্নতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকাবদ্ধ রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকেই বাংলাদেশ এই তালিকায় আছে।

ফ্রিডম হাউস মূলত তিনটি বড় বিষয় বিবেচনা করে এই স্কোর নির্ধারণ করে। এগুলো হলো—ইন্টারনেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা, অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারকারীদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই তিনটি বিভাগের অধীনে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা ঠিক করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেছে। ২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি করা হয়।

এই নতুন অধ্যাদেশে কিছু ভালো দিক রয়েছে, যেমন অনলাইনে হয়রানি ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার ব্যবস্থা। তবে, অনলাইনে মত প্রকাশের জন্য শাস্তি এবং নজরদারির মতো কিছু উদ্বেগজনক বিষয় আগের মতোই রয়ে গেছে।

এদিকে, ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে, তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান এই সূচকে ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটি দেশই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে অবস্থান করছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত