২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট

২০২৫ সালের ১৬ নভেম্বর, সকাল ১১টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত প্রকাশিত ডেট বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে যে বাংলাদেশের বন্ড ও সুকুক মার্কেটে লেনদেন প্রায় সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে আছে। পুঁজিবাজারের তুলনামূলক নিরাপদ ও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ খাত হিসেবে ডেট মার্কেট গুরুত্বপূর্ণ হলেও এর কার্যক্রম আজকের দিনে ছিল অত্যন্ত সীমিত।
ডেট বোর্ডে তালিকাভুক্ত মোট ২৪টি সিকিউরিটির মধ্যে ২৩টিতেই কোনো লেনদেন হয়নি। ঐসব সিকিউরিটিগুলোর Last Traded Price (LTP), HIGH, LOW এবং CLOSEP সবই শূন্য দেখাচ্ছে। এটি প্রমাণ করে যে বাজারে বন্ড ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম একেবারে স্থবির অবস্থায় রয়েছে এবং বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কম।
এমন পরিস্থিতিতে পুরো বাজারে একমাত্র সক্রিয় সিকিউরিটি ছিল BEXGSUKUK। এই সুকুকটিতে সীমিত আকারে হলেও ট্রেড হয়েছে। দেখা যায়, এর LTP ছিল ৫৯.৫, HIGH ছিল ৫৯.৫ এবং LOW ছিল ৫৯। গতকালের YCP ছিল ৫৯ টাকা। ফলে আজকের CHANGE দাঁড়িয়েছে ০.৫ টাকা বৃদ্ধি। মোট ৩টি ট্রেডের মাধ্যমে ০.০৩৬ মিলিয়ন টাকার লেনদেন হয়েছে এবং ৬০০ ইউনিটের ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়েছে।
এই সুকুকের সক্রিয়তা বাজারের সার্বিক স্থবিরতার মধ্যেও কিছুটা ইতিবাচক দিক নির্দেশ করে। এটি স্পষ্ট যে অন্তত কিছু বিনিয়োগকারী শরিয়াহ ভিত্তিক সুকুকে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তবে এই লেনদেনের পরিমাণ পুরো ডেট মার্কেটের তুলনায় খুবই সামান্য, যা সামগ্রিক চিত্রকে পরিবর্তন করে না।
অন্যদিকে ABBLPBOND, AIBLPBOND, APSCLBOND, BANKASI1PB, CBLPBOND, DBLPBOND, MTBPBOND সহ উচ্চমূল্যের বিভিন্ন করপোরেট বন্ডে কোনো লেনদেন হয়নি। এই বন্ডগুলোর YCP উল্লেখ থাকলেও মূল্য পরিবর্তন হয়নি, কারণ LTP শূন্য রয়েছে। ফলে দিনের বাজার পুরোপুরি স্থির থেকে গেছে।
ডেট বাজারে এমন নিস্ক্রিয়তার পেছনে বিভিন্ন কারণ কাজ করতে পারে। প্রথমত, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বন্ড মার্কেট সম্পর্কে সচেতনতা তুলনামূলকভাবে কম। শেয়ার বাজারের তুলনায় দ্রুত মুনাফা পাওয়া যায় না বলে অনেকেই বন্ডে আগ্রহী হন না। এর ফলে দ্বিতীয়িক বাজারে তারল্য সংকট তৈরি হয়, যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি খুবই সীমিত।
দ্বিতীয়ত, দেশের চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকিহীন দিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। তবে বন্ড বাজার ঝুঁকিহীন হলেও দীর্ঘমেয়াদি প্রকৃতি ও সীমিত লেনদেন সুবিধা অনেকের আগ্রহ কমিয়ে দেয়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা নিরাপত্তা চাইলেও বাজারের নিষ্ক্রিয়তা তাদের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে।
তৃতীয়ত, নীতিনির্ধারক পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বাজার গভীরীকরণের অভাবও দায়ী। বন্ড মার্কেট সক্রিয় না হলে দেশের সামগ্রিক পুঁজিবাজার শক্তিশালী হতে পারে না। বিশেষত সরকারি সিকিউরিটিজ ও করপোরেট বন্ডের প্রবাহ বাড়ানো, কর-সুবিধা দেওয়া এবং স্বচ্ছ প্রাইসিং মেকানিজম চালু করা জরুরি।
এছাড়া ডিজিটাল সিস্টেম আরও সহজ করা, বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্রেনিং ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু করা এবং মার্কেট মেকার কার্যক্রম বিস্তৃত করাও প্রয়োজন। এসব উদ্যোগ বন্ড বাজারে তারল্য বৃদ্ধি করবে এবং বাজারকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।
আজকের সার্বিক চিত্র দেখায় যে ডেট মার্কেট এখনও তার প্রত্যাশিত অবস্থান থেকে দূরে। একমাত্র BEXGSUKUK বাদে বাজার সম্পূর্ণ নিস্তব্ধ। বিনিয়োগকারীরা এই বাজারে অংশ নিলে স্থিতিশীল ও ঝুঁকিহীন মুনাফার সুযোগ পেতে পারেন, কিন্তু তার জন্য বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি।
-রাফসান
তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সপ্তাহের শুরুতে DSE–৩০ সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেন সামগ্রিকভাবে চাপের মধ্যে ছিল। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য সংকট, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষমান অবস্থান বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ ব্লু-চিপ শেয়ারের দাম কমেছে এবং সূচকেও চাপ পড়েছে।
সকালের লেনদেনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে লভেলো আইসক্রিমের শেয়ার থেকে। কোম্পানিটির শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৬২.৫ টাকায় নেমে আসে। এদিন লভেলোর ৮৮৭টি ট্রেডে প্রায় ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ব্যয় বৃদ্ধি, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপে ফেলেছে।
টেলিকম খাতেও উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ২.৯২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৬৯.১ টাকায়, যা সূচকের ওপর বেশ স্পষ্ট প্রভাব ফেলে। টেলিকম নীতিমালা সংশোধন ও নিয়মকানুনের সম্ভাব্য পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে রবি আজিয়াটার দর অপরিবর্তিত থাকলেও লেনদেন ছিল বেশ সক্রিয়।
ব্যাংকিং খাতের শেয়ারেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক ২ শতাংশের বেশি দর হারায় এবং সিটি ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারও নিম্নমুখী ছিল। ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণের চাপ এবং নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করছে। তবে প্রাইম ব্যাংক সামান্য বৃদ্ধি দেখিয়ে খাতটিতে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া দেয়।
জ্বালানি খাতে দর পরিবর্তন ছিল তুলনামূলকভাবে সীমিত। জামুনা অয়েলের দর সামান্য বেড়েছে, তবে পদ্মা অয়েলের শেয়ার দামে পতন দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক তেলের দামের ওঠানামা দেশীয় জ্বালানি কোম্পানির শেয়ারে সরাসরি প্রভাব ফেলছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা থাকলেও কয়েকটি বড় কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়। বেক্সিমকো ফার্মা, রেনাটা, স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দামের নিম্নগতি বাজারে চাপ বাড়ায়। ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয়ের প্রভাব উৎপাদন খাতে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানির মধ্যে ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ারের দর ১ শতাংশের বেশি কমে ৩৬০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। বৈশ্বিক বাজারের চাপ, কাঁচামালের দাম এবং রপ্তানি আয়ের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত করছে। কোহিনূর কেমিক্যালস, অলিম্পিক এবং লিন্ডে বাংলাদেশ–এ লেনদেন সীমিত থাকলেও দর সামান্য ওঠানামা করেছে।
লেনদেনের পরিমাণে এগিয়ে ছিল সিটি ব্যাংক, রবি এবং লভেলো। সিটি ব্যাংকের লেনদেন প্রায় ২৭.৯ কোটি টাকা, রবি ২৪.৬ কোটি টাকা এবং লভেলো ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে দিনটি জমজমাট করে তোলে। তবে দাম পতনের কারণে বাজারে আশাবাদ কমেছে।
সামগ্রিকভাবে ডিএসই ৩০–এর শেয়ারের লেনদেনে বিক্রয়চাপ ছিল প্রবল। বাজারে তারল্য বাড়ানো, নীতি–স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি না হলে এ ধরনের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে বলে মনে করছে বাজারবিশ্লেষকেরা।
-রাফসান
রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান রহিমা ফুডস (RAHIMAFOOD)–এর আর্থিক সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের উপাত্তে দেখা যায়—EPS, NOCFPS এবং NAV—সব সূচকেই উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে, যা কোম্পানির বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং রাজস্ব সংকটের প্রতিফলন।
প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) নেমে দাঁড়িয়েছে –০.০৫ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে EPS ছিল ০.২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে পড়েছে। ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, বিক্রি কমে যাওয়ায় নেট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে এবং EPS–এ সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
অন্যদিকে, Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে। ২০২৫ Q1–এ NOCFPS দাঁড়িয়েছে ০.০৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৬৪ টাকা। কোম্পানি জানিয়েছে,“ত্রৈমাসিকটিতে রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় NOCFPS হ্রাস পেয়েছে।”অর্থাৎ বিক্রয় আদায়ের দুর্বলতা নগদপ্রবাহকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
এছাড়া কোম্পানির সম্পদভিত্তিতেও (NAV) স্পষ্ট পতন দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV per share নেমে দাঁড়িয়েছে ৯.৫২ টাকা, যা অর্থবছরের শুরুতে (৩০ জুন ২০২৫) ছিল ১০.৫৮ টাকা। NAV–এর এই অবনতি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার দুর্বলতাকে আরও স্পষ্ট করে।
-রাফসান
সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সায়হাম কটন মিলস (SAIHAMCOT)। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা, নগদপ্রবাহ এবং সম্পদমূল্য তিন ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় উন্নতি অর্জন করেছে। আর্থিক ব্যয় কমে যাওয়া এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মুনাফা (unrealized gain) বৃদ্ধি হওয়ায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) সামান্য হলেও ইতিবাচকভাবে বেড়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়ে কোম্পানির EPS বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.২৮ টাকা, যেখানে গত বছরের একই প্রান্তিকে EPS ছিল ০.২৭ টাকা। যদিও বৃদ্ধি সামান্য, তবে ব্যবস্থাপনা জানিয়েছে, ফাইন্যান্স কস্ট কমে যাওয়া এবং unrealized gain বৃদ্ধি পাওয়া এই দুটি কারণই নেট মুনাফাকে সহায়তা করেছে।
সবচেয়ে শক্তিশালী উন্নতি দেখা গেছে কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS)–এ। গত বছরের একই সময়ে NOCFPS ছিল ০.১১ টাকা, যা চলতি প্রান্তিকে উন্নত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১.০৬ টাকা, অর্থাৎ প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি। কোম্পানির মতে, প্রান্তিকে ব্যয় ও খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় নগদপ্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে।
সম্পদমূল্যেও উন্নতি হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV per share বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৫৬ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ছিল ৩৮.২৬ টাকা। এটি প্রতিষ্ঠানটির সম্পদভিত্তির স্থিতিশীলতা ও সামান্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
-রাফসান
উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) NAVANA Group-এর জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান NAVANACNG–এর আর্থিক প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চাপ, উপকরণ সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার বহুমুখী প্রভাব। কোম্পানির অনিরীক্ষিত সমন্বিত আর্থিক ফলাফল (Q1) প্রান্তিকটিকে কঠিন সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে NAVANACNG-এর Consolidated EPS কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.০১ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, এই পতনের পেছনে প্রধান কারণ উপকরণ সংকট, বিশেষত কোম্পানির মূল সাবসিডিয়ারিগুলোর জন্য জরুরি উপাদানের ঘাটতি। এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এবং কম মুনাফাযুক্ত ব্যবসায় ঝুঁকে পড়তে হয়েছে।
কোম্পানি জানিয়েছে, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় অস্থিরতা, ডলারের অনিশ্চয়তা, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চাপ এবং কিছু খাতে আমদানি ব্যয়ের বৃদ্ধি গ্রস প্রফিটে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে। এতে সমন্বিত মুনাফা হ্রাস পেয়েছে এবং EPS–এর ওপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে।
এর পাশাপাশি, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রাজস্ব সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। অনিশ্চয়তা ও কিছু অঞ্চলে পরিবহন সংকটের কারণে রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি দেখা যায়। তবে সব বাধা সত্ত্বেও NAVANACNG তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।
ইতিবাচক দিক হলো, কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই সূচক ছিল নেতিবাচক (০.৭২), যা এবার উন্নতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩২ টাকা। কঠিন সময়ে নগদ প্রবাহের এই পুনরুদ্ধার ব্যবসার সক্ষমতা ও রাজস্ব সৃষ্টির স্থায়িত্বের প্রমাণ বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
কোম্পানির সম্পদমূল্যেও সামান্য উন্নতি দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV per share) দাঁড়িয়েছে ৩০.৮১ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫–এর ৩০.৭৯ টাকার তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। যদিও এ বৃদ্ধি সীমিত, তবুও কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি সম্পদভিত্তি স্থিতিশীল রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
-রফিক
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের শীর্ষ কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস (NAVANAPHAR) চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের তথ্য জানিয়েছে। প্রান্তিকের আর্থিক সূচকসমূহে দেখা যায়, কোম্পানির বিক্রি, গ্রস প্রফিট, শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) এবং নগদপ্রবাহ—সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী উন্নতি হয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালে কোম্পানির EPS বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭১ টাকা, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের ১.২৫ টাকার তুলনায় ৬২.৪০ শতাংশ বেশি। Diluted EPS দাঁড়িয়েছে ১.৬৯ টাকা। নাভানা ফার্মার মতে, বিক্রয় আয়ের বৃদ্ধি, গ্রস প্রফিট মার্জিনের উন্নতি এবং ফাইন্যান্স কস্ট কমে যাওয়া মিলে নেট মুনাফায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এনেছে।
একই সময়ে কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.০৮ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২.০০ টাকা। ব্যবস্থাপনা সূত্র জানিয়েছে, প্রান্তিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে নগদ আদায় সরবরাহকারী ও পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় ক্যাশ ফ্লো শক্তিশালী হয়েছে।
এছাড়া কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV per share) সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.০৩ টাকা, যা চলতি অর্থবছরের শুরুতে (৩০ জুন ২০২৫) ছিল ৪৫.২৯ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির সম্পদভিত্তি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় হয়েছে।
-রফিক
ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (ICB) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত সমন্বিত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরে আর্থিক চাপে পড়েছে এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকে আগের বছরের তুলনায় তীব্র নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। Q1 মেয়াদে ICB–এর সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১.৭৭ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ০.৮৭ টাকা। এ আয় সূচকের এই স্বল্প–সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ পতন প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ পোর্টফোলিও এবং মোট পরিচালন কার্যক্রমে চাপের ইঙ্গিত দেয়।
একই সময়ে সমন্বিত কার্যকর নগদ প্রবাহ (NOCFPS) আরও দুর্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২.২৭ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে এ সূচক ছিল মাইনাস ১.৮০ টাকা। নগদ প্রবাহের এই নেতিবাচক প্রবণতা ICB–এর নগদ ব্যবস্থাপনা, বাজার পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারে ধীরগতির প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV) কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৭৯ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে ছিল ৩৭.৪৫ টাকা। NAV–এর এই পতন ICB–এর মোট সম্পদ–মূলায়নে নিম্নচাপ এবং বাজারমূল্যের ওঠানামার প্রভাব নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান পুঁজিবাজারের অস্থিরতা, সুদের হারের প্রভাব এবং বিনিয়োগ–ব্যয়ে আংশিক বৃদ্ধি ICB–এর ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
-রাফসান
নভেম্বরেই চারটি সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন পুনরায় চালু
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একাধিক সরকারি ট্রেজারি বন্ডের (BGTB) লেনদেন স্থগিত ও পুনরায় শুরুর তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, 5Y BGTB 16/11/2027 (Trading Code: TB5Y1127), 15Y BGTB 16/11/2026 (TB15Y1126), 05Y BGTB 15/05/2029 (TB5Y0529) এবং 5Y BGTB 15/11/2028 (TB5Y1128)—এই চারটি সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন আগামী ১৬ নভেম্বর ২০২৫ থেকে পুনরায় চালু হবে।
অন্যদিকে 05Y BGTB 18/05/2027 (Trading Code: TB5Y0527) সিকিউরিটির লেনদেন রেকর্ড ডেট ১৭ নভেম্বর ২০২৫ এবং তার আগের দিন ১৬ নভেম্বর ২০২৫ স্থগিত থাকবে। লেনদেন স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু হবে ১৮ নভেম্বর ২০২৫ থেকে।
এ ছাড়া 20Y BGTB 24/11/2030 (Trading Code: TB20Y1130) সিকিউরিটির কুপন পেমেন্টের সুবিধার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ নভেম্বর ২০২৫।
-রাফসান
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে উত্থান
Al-Arafah Islami Bank PLC–এর শেয়ারে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) লেনদেনে ছিল ইতিবাচক গতি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, দিনশেষে শেয়ারের শেষ লেনদেন মূল্য দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা গতকালকের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় ৫০ পয়সা বা ৩.৫৭ শতাংশ বেশি।
দিনের শুরুতে শেয়ারটি ১৩ টাকা ৯০ পয়সায় ওপেন করলেও লেনদেনের সময় তা ১৩.৭০ থেকে ১৫.১০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। মোট ১৪৬টি ট্রেডে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৩.৫৪ মিলিয়ন টাকা।
ব্যাংকটির বর্তমান মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১৬,১২৩.৬৮৪ মিলিয়ন টাকা এবং এর সেক্টর হলো ব্যাংকিং। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর এই ইক্যুইটি শেয়ারের মোট শেয়ার সংখ্যা ১,১৫১,৬৯১,৭১৩টি। ৫২ সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩.৮০ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে এর দীর্ঘমেয়াদী ওঠানামার একটা ধারণা দেয়।
শেয়ারের এই মূল্যবৃদ্ধি এবং লেনদেনের স্থিতিশীলতা বাজারে Al-Arafah Islami Bank-এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।
বাজারমন্দার মধ্যেও কারা লাভ করল? ডিএসইর টপ গেইনারে চিত্র
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সার্বিক দরপতনের মধ্যেও কিছু শেয়ার ইতিবাচক প্রবণতা ধরে রাখতে পেরেছে। পুরো বাজারে যেখানে ৩৫০টির বেশি সিকিউরিটিজের দর কমেছে, সেখানে ব্যাংক, বিমা এবং কয়েকটি বাছাইকৃত মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে দেখা গেছে সতর্ক উত্থান। ক্লোজিং প্রাইস (CLOSEP) এবং গতকালের ক্লোজিং প্রাইস (YCP) বিবেচনায় শীর্ষ গেইনার তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। শেয়ারের মূল্য ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৪ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছেছে, যা ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। বাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পরও ব্যাংকিং সেক্টরের এই শেয়ারটি তুলনামূলক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের স্বল্পমেয়াদি আগ্রহের প্রতিফলন দেখিয়েছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ফাইন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের (PF1STMF) মূল্য বেড়েছে ২ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে একটি পরিমিত রিবাউন্ডের ইঙ্গিত দেয়। Summit Power Company Limited (SPCL) ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছে। তাছাড়া সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রহিম টেক্সটাইল এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজও সামান্য হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা সামগ্রিক নিম্নমুখী বাজারের মধ্যে কিছু নির্বাচিত খাতের টেকনিক্যাল স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।
দিনব্যাপী লেনদেনে ওপেনিং প্রাইস থেকে লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেভিয়েশনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে DBH1STMF, যার মূল্য বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে PRIME1ICBA, যা বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে EBLNRBMF, যার বৃদ্ধি ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই তালিকায় মিউচুয়াল ফান্ডের আধিপত্য বিশেষভাবে চোখে পড়েছে, যা বিশ্লেষকদের মতে বাজারে অতিরিক্ত পতনের পর কিছু সস্তা ফান্ডে স্বল্পমেয়াদি কারিগরি রিবাউন্ড বা জল্পনামূলক ট্রেডিং কার্যক্রমকে ইঙ্গিত করে।
বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় যে দিনের গেইনার তালিকাগুলো বিনিয়োগকারীদের মানসিকতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়। যেখানে বাজারের অধিকাংশ সিকিউরিটিজ দর হারিয়েছে, সেখানে শীর্ষ গেইনারদের উত্থান নির্দেশ করে যে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ কৌশল, নির্বাচিত শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাজার এখনও প্রাণবন্ত। বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উচ্চ ডেভিয়েশন বাজারে ট্রেডিং অ্যাক্টিভিটির ভারসাম্য খুঁজে পেতে বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের ডিএসইর লেনদেন বাজারের ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট খাতে স্বল্পমেয়াদি আস্থা ও কারিগরি পুনরুদ্ধারের একটি চিত্র এঁকেছে। দিনশেষে শীর্ষ গেইনার তালিকা বাজারে সীমিত হলেও একটি সিলেক্টিভ উত্থান প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। চাইলে আমি এ তথ্য দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাজার বিশ্লেষণ, চার্ট বা গ্রাফসহ বিশদ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও তৈরি করে দিতে পারি।
পাঠকের মতামত:
- ২৪টি বন্ডে লেনদেনহীন দিন: কেন স্থবির বাংলাদেশের ডেট মার্কেট
- তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
- ২০১৮ নির্বাচনের গোপন নীলনকশা: ‘কপোতাক্ষ কক্ষে’ কী ঘটেছিল
- ৩১ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন পুষ্টিকর খাবার
- নির্বাচনের আগে সংলাপ ম্যারাথন- সকালে ৬ দল, বিকেলে আরও ৬ দল
- শীতে ত্বক বাঁচানোর কার্যকর উপায়
- শীতে ঘরোয়া উপায়ে চুলের পূর্ণাঙ্গ যত্ন
- রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
- সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
- উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
- নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
- ১,৪৪৪ টন সোনার সবচেয়ে বড় স্বর্ণভান্ডার আবিষ্কার
- “আমার ভাই মেয়র হবে না, ভাগিনা চেয়ারম্যান নয়”
- বিএনপির মনোনয়ন সংকট ও আসন–সমঝোতা
- ১৬ নভেম্বর সকালে ঢাকার বাতাসের মান নেমে গেল বিপজ্জনক পর্যায়ে
- রাজধানীতে আজ রাজনৈতিক কর্মসূচির ছড়াছড়ি, জেনে নিন বিস্তারিত
- ঢাকা ও আশপাশে আজ নামাজের নির্ধারিত সময় জানুন
- আজ বন্ধ ঢাকার প্রধান যেসব মার্কেটগুলো
- এনসিএলে আজ চার ম্যাচ: ঘরোয়া ক্রিকেটে উত্তাপ বাড়ছে
- নতুন দামে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্যও কমল
- আজ একটি যুদ্ধ থামালাম, কাদের উদ্দেশে এই মন্তব্য ট্রাম্পের?
- ধূমপান ছাড়ার পর শরীর যেভাবে নিজেকে 'মেরামত' করে, জানুন বিস্তারিত
- সন্ধ্যার আতঙ্ক: মাত্র দুই ঘণ্টায় ঢাকার তিন এলাকায় ৪টি বিস্ফোরণ
- অ্যাকশন, রিভেঞ্জ আর সিক্রেট মিশন: দেখুন সেরা ১০ কোরিয়ান অ্যাকশন সিরিজ!
- রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলছে: ডাকসু ভিপি
- বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
- "বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে মহান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনর্বহাল করা হবে"
- রেকর্ড ভাঙল সরকারের ঋণ, অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে নতুন তথ্য
- প্রকাশ হলো ২০২৬ সালের ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ
- মতিঝিলে শরিফ ওসমান হাদির প্রচারে বাধা, গায়ে ময়লা পানি নিক্ষেপ
- ২০ হাজার সেনা প্রস্তুত: গাজা নিয়ে জর্ডানের সাথে তথ্য বিনিময়ে ইন্দোনেশিয়া
- টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য
- পুলিশের মনোবল ও দক্ষতা বেড়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- এ মাসেই আত্মপ্রকাশ ঘটছে বামপন্থিদের নতুন বৃহত্তর জোটের
- 'ভারতের দাদাগিরি' নিয়ে ফখরুলের মন্তব্য, ক্ষমতায় এলে কী করবে বিএনপি?
- আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
- ১৫ মাস পর মুখ খুললেন হাসিনা, যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে হঠাৎ ভিন্ন সুর
- ক্ষমতার চূড়ান্ত কেন্দ্রীকরণ: পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনী কি সর্বশক্তিমান?
- ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
- নষ্ট ছবি ঠিক করতে আর অ্যাপ লাগবে না, গুগল ফটোসেই নতুন 'জাদু'
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন, জেনে নিন সহজ নিয়ম
- ভোটের মাঠে নতুন দল এনসিপি, কারা লড়ছেন কোন আসন থেকে?
- সংঘাতের ছায়ায় দম্পতির শোচনীয় পরিণতি: কোনাবাড়িতে স্ত্রী নিহত, স্বামী গুরুতর আহত
- ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে সোচ্চার সোহেল তাজ
- শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল? শুনলেই ভয়, কিন্তু এর উপকার জানলে অবাক হবেন
- বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য দেশে প্রথমবার পূর্ণাঙ্গ রোবোটিক্স ডিগ্রি
- ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
- 'ভাড়াটে টোকাই' দিয়ে চলে দল? আওয়ামী লীগ নিয়ে প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট
- এক লাল কার্ডে জটিল সমীকরণ: রোনালদোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন কি ভাঙবে?
- গলায় সাদা দানা? এটি খাবারের টুকরো নয়, হতে পারে টনসিল স্টোন
- সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ড অলআউট ২৮৬ রানে, দুর্দান্ত সূচনায় বাংলাদেশ
- গোলের রাজা কে, মেসি না রোনালদো? সংখ্যার হিসাবে কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে!
- কোরিয়ান ড্রামায় মুগ্ধ বিশ্ব: মিস্ট্রি থ্রিলার থেকে টাইম ট্রাভেল, দেখুন সেরা ১০ সিরিজ!
- সাদমানের পর মুমিনুলকে নিয়ে জয়ী রথ বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি
- মামলার রেশ না কাটতেই তিশার বিরুদ্ধে প্রাণনাশের অভিযোগ
- বাংলাদেশ নেপাল ম্যাচের আগে জেনে নিন হেড টু হেড পরিসংখ্যানে কারা চালকের আসনে
- নেপালের বিপক্ষে দুর্দান্ত হামজা জোড়া গোলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিল বাংলাদেশ
- ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে
- আজ বিশ্ব ব্যাচেলর দিবস: একাকীত্ব নয়, স্বাধীনতার উৎসব
- আজকের খেলাধুলা সূচি
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে
- আজ রাজধানীতে রাজনৈতিক যেসব কর্মসূচি, কোথায় কী হচ্ছে জেনে নিন
- লকডাউনের দিনেও দোকান-শপিংমল খোলা থাকবে: মালিক সমিতি
- বাংলাদেশ–ভারত ফুটবল ম্যাচের টিকিটের দাম প্রকাশ
- রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা








