তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১১:৪৪:৪৮
তারল্য সংকটে চাপ বাড়ছে DSE–৩০ সূচকে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সপ্তাহের শুরুতে DSE–৩০ সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর লেনদেন সামগ্রিকভাবে চাপের মধ্যে ছিল। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, তারল্য সংকট, রাজনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষমান অবস্থান বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ ব্লু-চিপ শেয়ারের দাম কমেছে এবং সূচকেও চাপ পড়েছে।

সকালের লেনদেনে সবচেয়ে বড় ধাক্কা আসে লভেলো আইসক্রিমের শেয়ার থেকে। কোম্পানিটির শেয়ারের দর প্রায় ১০ শতাংশ কমে ৬২.৫ টাকায় নেমে আসে। এদিন লভেলোর ৮৮৭টি ট্রেডে প্রায় ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ব্যয় বৃদ্ধি, মৌসুমি চাহিদা কমে যাওয়া এবং আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপে ফেলেছে।

টেলিকম খাতেও উল্লেখযোগ্য চাপ দেখা গেছে। গ্রামীণফোনের শেয়ার দর ২.৯২ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ২৬৯.১ টাকায়, যা সূচকের ওপর বেশ স্পষ্ট প্রভাব ফেলে। টেলিকম নীতিমালা সংশোধন ও নিয়মকানুনের সম্ভাব্য পরিবর্তন বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে রবি আজিয়াটার দর অপরিবর্তিত থাকলেও লেনদেন ছিল বেশ সক্রিয়।

ব্যাংকিং খাতের শেয়ারেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ব্র্যাক ব্যাংক ২ শতাংশের বেশি দর হারায় এবং সিটি ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক ও লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ারও নিম্নমুখী ছিল। ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট, খেলাপি ঋণের চাপ এবং নীতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করছে। তবে প্রাইম ব্যাংক সামান্য বৃদ্ধি দেখিয়ে খাতটিতে কিছুটা ইতিবাচক সাড়া দেয়।

জ্বালানি খাতে দর পরিবর্তন ছিল তুলনামূলকভাবে সীমিত। জামুনা অয়েলের দর সামান্য বেড়েছে, তবে পদ্মা অয়েলের শেয়ার দামে পতন দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক তেলের দামের ওঠানামা দেশীয় জ্বালানি কোম্পানির শেয়ারে সরাসরি প্রভাব ফেলছে বলে বিশ্লেষকদের মত।

ফার্মাসিউটিক্যালস খাতে তুলনামূলক স্থিতিশীলতা থাকলেও কয়েকটি বড় কোম্পানির শেয়ারে পতন হয়। বেক্সিমকো ফার্মা, রেনাটা, স্কয়ার ফার্মার শেয়ার দামের নিম্নগতি বাজারে চাপ বাড়ায়। ডলারের দাম বৃদ্ধি এবং আমদানি ব্যয়ের প্রভাব উৎপাদন খাতে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানির মধ্যে ওয়ালটন হাই-টেকের শেয়ারের দর ১ শতাংশের বেশি কমে ৩৬০ টাকায় লেনদেন শেষ হয়। বৈশ্বিক বাজারের চাপ, কাঁচামালের দাম এবং রপ্তানি আয়ের অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের শঙ্কিত করছে। কোহিনূর কেমিক্যালস, অলিম্পিক এবং লিন্ডে বাংলাদেশ–এ লেনদেন সীমিত থাকলেও দর সামান্য ওঠানামা করেছে।

লেনদেনের পরিমাণে এগিয়ে ছিল সিটি ব্যাংক, রবি এবং লভেলো। সিটি ব্যাংকের লেনদেন প্রায় ২৭.৯ কোটি টাকা, রবি ২৪.৬ কোটি টাকা এবং লভেলো ৪৩.৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে দিনটি জমজমাট করে তোলে। তবে দাম পতনের কারণে বাজারে আশাবাদ কমেছে।

সামগ্রিকভাবে ডিএসই ৩০–এর শেয়ারের লেনদেনে বিক্রয়চাপ ছিল প্রবল। বাজারে তারল্য বাড়ানো, নীতি–স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি না হলে এ ধরনের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান থাকতে পারে বলে মনে করছে বাজারবিশ্লেষকেরা।

-রাফসান


রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:৪৬:০৩
রাহিমা ফুডসের প্রান্তিক ফলাফল যেমন
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান রহিমা ফুডস (RAHIMAFOOD)–এর আর্থিক সূচকে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। অনিরীক্ষিত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনের উপাত্তে দেখা যায়—EPS, NOCFPS এবং NAV—সব সূচকেই উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটেছে, যা কোম্পানির বর্তমান বাজার পরিস্থিতি এবং রাজস্ব সংকটের প্রতিফলন।

প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) নেমে দাঁড়িয়েছে –০.০৫ টাকা, যেখানে গত বছরের একই সময়ে EPS ছিল ০.২০ টাকা। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি প্রথম প্রান্তিকে লোকসানে পড়েছে। ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, বিক্রি কমে যাওয়ায় নেট মুনাফা হ্রাস পেয়েছে এবং EPS–এ সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

অন্যদিকে, Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) বড় ধরনের পতনের মুখে পড়েছে। ২০২৫ Q1–এ NOCFPS দাঁড়িয়েছে ০.০৫ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ০.৬৪ টাকা। কোম্পানি জানিয়েছে,“ত্রৈমাসিকটিতে রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় NOCFPS হ্রাস পেয়েছে।”অর্থাৎ বিক্রয় আদায়ের দুর্বলতা নগদপ্রবাহকে গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এছাড়া কোম্পানির সম্পদভিত্তিতেও (NAV) স্পষ্ট পতন দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV per share নেমে দাঁড়িয়েছে ৯.৫২ টাকা, যা অর্থবছরের শুরুতে (৩০ জুন ২০২৫) ছিল ১০.৫৮ টাকা। NAV–এর এই অবনতি কোম্পানির আর্থিক অবস্থার দুর্বলতাকে আরও স্পষ্ট করে।

-রাফসান


সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:৪২:৩৮
সায়হাম টেক্সটাইল এর প্রথম প্রান্তিক প্রকাশ
ফাইল ছবি

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সায়হাম কটন মিলস (SAIHAMCOT)। প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মুনাফা, নগদপ্রবাহ এবং সম্পদমূল্য তিন ক্ষেত্রেই আগের বছরের তুলনায় উন্নতি অর্জন করেছে। আর্থিক ব্যয় কমে যাওয়া এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক মুনাফা (unrealized gain) বৃদ্ধি হওয়ায় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) সামান্য হলেও ইতিবাচকভাবে বেড়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়ে কোম্পানির EPS বেড়ে দাঁড়িয়েছে ০.২৮ টাকা, যেখানে গত বছরের একই প্রান্তিকে EPS ছিল ০.২৭ টাকা। যদিও বৃদ্ধি সামান্য, তবে ব্যবস্থাপনা জানিয়েছে, ফাইন্যান্স কস্ট কমে যাওয়া এবং unrealized gain বৃদ্ধি পাওয়া এই দুটি কারণই নেট মুনাফাকে সহায়তা করেছে।

সবচেয়ে শক্তিশালী উন্নতি দেখা গেছে কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS)–এ। গত বছরের একই সময়ে NOCFPS ছিল ০.১১ টাকা, যা চলতি প্রান্তিকে উন্নত হয়ে দাঁড়িয়েছে ১.০৬ টাকা, অর্থাৎ প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি। কোম্পানির মতে, প্রান্তিকে ব্যয় ও খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় নগদপ্রবাহ শক্তিশালী হয়েছে।

সম্পদমূল্যেও উন্নতি হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে NAV per share বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.৫৬ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ শেষে ছিল ৩৮.২৬ টাকা। এটি প্রতিষ্ঠানটির সম্পদভিত্তির স্থিতিশীলতা ও সামান্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

-রাফসান


উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:৩৭:৫১
উপকরণ সংকটে নাভানা সিএনজি-এর মুনাফায় ধাক্কা
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) NAVANA Group-এর জ্বালানি খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান NAVANACNG–এর আর্থিক প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক চাপ, উপকরণ সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার বহুমুখী প্রভাব। কোম্পানির অনিরীক্ষিত সমন্বিত আর্থিক ফলাফল (Q1) প্রান্তিকটিকে কঠিন সময় হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে NAVANACNG-এর Consolidated EPS কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ০.০১ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ০.০২ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ব্যবস্থাপনা সূত্র বলছে, এই পতনের পেছনে প্রধান কারণ উপকরণ সংকট, বিশেষত কোম্পানির মূল সাবসিডিয়ারিগুলোর জন্য জরুরি উপাদানের ঘাটতি। এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে এবং কম মুনাফাযুক্ত ব্যবসায় ঝুঁকে পড়তে হয়েছে।

কোম্পানি জানিয়েছে, বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থায় অস্থিরতা, ডলারের অনিশ্চয়তা, অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক চাপ এবং কিছু খাতে আমদানি ব্যয়ের বৃদ্ধি গ্রস প্রফিটে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করেছে। এতে সমন্বিত মুনাফা হ্রাস পেয়েছে এবং EPS–এর ওপর সরাসরি প্রভাব পড়েছে।

এর পাশাপাশি, দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা রাজস্ব সংগ্রহে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। অনিশ্চয়তা ও কিছু অঞ্চলে পরিবহন সংকটের কারণে রাজস্ব আদায়ে ধীরগতি দেখা যায়। তবে সব বাধা সত্ত্বেও NAVANACNG তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে স্থিতিশীলতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে।

ইতিবাচক দিক হলো, কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ে এই সূচক ছিল নেতিবাচক (০.৭২), যা এবার উন্নতি হয়ে দাঁড়িয়েছে ০.৩২ টাকা। কঠিন সময়ে নগদ প্রবাহের এই পুনরুদ্ধার ব্যবসার সক্ষমতা ও রাজস্ব সৃষ্টির স্থায়িত্বের প্রমাণ বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

কোম্পানির সম্পদমূল্যেও সামান্য উন্নতি দেখা গেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV per share) দাঁড়িয়েছে ৩০.৮১ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫–এর ৩০.৭৯ টাকার তুলনায় সামান্য বৃদ্ধি নির্দেশ করে। যদিও এ বৃদ্ধি সীমিত, তবুও কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি সম্পদভিত্তি স্থিতিশীল রয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

-রফিক


নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৬ ১০:৩৫:১৯
নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1
ছবি: সংগৃহীত

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের শীর্ষ কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস (NAVANAPHAR) চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের তথ্য জানিয়েছে। প্রান্তিকের আর্থিক সূচকসমূহে দেখা যায়, কোম্পানির বিক্রি, গ্রস প্রফিট, শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) এবং নগদপ্রবাহ—সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী উন্নতি হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫ সময়কালে কোম্পানির EPS বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭১ টাকা, যা আগের বছরের একই প্রান্তিকের ১.২৫ টাকার তুলনায় ৬২.৪০ শতাংশ বেশি। Diluted EPS দাঁড়িয়েছে ১.৬৯ টাকা। নাভানা ফার্মার মতে, বিক্রয় আয়ের বৃদ্ধি, গ্রস প্রফিট মার্জিনের উন্নতি এবং ফাইন্যান্স কস্ট কমে যাওয়া মিলে নেট মুনাফায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি এনেছে।

একই সময়ে কোম্পানির Net Operating Cash Flow per Share (NOCFPS) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.০৮ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২.০০ টাকা। ব্যবস্থাপনা সূত্র জানিয়েছে, প্রান্তিকে গ্রাহকদের কাছ থেকে নগদ আদায় সরবরাহকারী ও পরিচালন ব্যয়ের তুলনায় বেশি হওয়ায় ক্যাশ ফ্লো শক্তিশালী হয়েছে।

এছাড়া কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV per share) সেপ্টেম্বর ২০২৫ শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭.০৩ টাকা, যা চলতি অর্থবছরের শুরুতে (৩০ জুন ২০২৫) ছিল ৪৫.২৯ টাকা। অর্থাৎ কোম্পানির সম্পদভিত্তি ও আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় হয়েছে।

-রফিক


ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১২:৩০:৫২
ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদনে ICB–এর যেমন পারফরম্যান্স
ছবি: সংগৃহীত

ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (ICB) ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত সমন্বিত আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছরে আর্থিক চাপে পড়েছে এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচকে আগের বছরের তুলনায় তীব্র নেতিবাচক প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। Q1 মেয়াদে ICB–এর সমন্বিত শেয়ারপ্রতি আয় (EPS) দাঁড়িয়েছে মাইনাস ১.৭৭ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল মাইনাস ০.৮৭ টাকা। এ আয় সূচকের এই স্বল্প–সময়ের মধ্যে দ্বিগুণ পতন প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগ পোর্টফোলিও এবং মোট পরিচালন কার্যক্রমে চাপের ইঙ্গিত দেয়।

একই সময়ে সমন্বিত কার্যকর নগদ প্রবাহ (NOCFPS) আরও দুর্বল হয়ে দাঁড়িয়েছে মাইনাস ২.২৭ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে এ সূচক ছিল মাইনাস ১.৮০ টাকা। নগদ প্রবাহের এই নেতিবাচক প্রবণতা ICB–এর নগদ ব্যবস্থাপনা, বাজার পরিস্থিতি এবং বিনিয়োগ পুনরুদ্ধারে ধীরগতির প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অন্যদিকে, সমন্বিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (NAV) কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৭৯ টাকা, যা ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে ছিল ৩৭.৪৫ টাকা। NAV–এর এই পতন ICB–এর মোট সম্পদ–মূলায়নে নিম্নচাপ এবং বাজারমূল্যের ওঠানামার প্রভাব নির্দেশ করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, চলমান পুঁজিবাজারের অস্থিরতা, সুদের হারের প্রভাব এবং বিনিয়োগ–ব্যয়ে আংশিক বৃদ্ধি ICB–এর ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।

-রাফসান


নভেম্বরেই চারটি সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন পুনরায় চালু

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১৩:০৬:১৮
নভেম্বরেই চারটি সরকারি সিকিউরিটিজে লেনদেন পুনরায় চালু
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) একাধিক সরকারি ট্রেজারি বন্ডের (BGTB) লেনদেন স্থগিত ও পুনরায় শুরুর তথ্য প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, 5Y BGTB 16/11/2027 (Trading Code: TB5Y1127), 15Y BGTB 16/11/2026 (TB15Y1126), 05Y BGTB 15/05/2029 (TB5Y0529) এবং 5Y BGTB 15/11/2028 (TB5Y1128)—এই চারটি সরকারি সিকিউরিটিজের লেনদেন আগামী ১৬ নভেম্বর ২০২৫ থেকে পুনরায় চালু হবে।

অন্যদিকে 05Y BGTB 18/05/2027 (Trading Code: TB5Y0527) সিকিউরিটির লেনদেন রেকর্ড ডেট ১৭ নভেম্বর ২০২৫ এবং তার আগের দিন ১৬ নভেম্বর ২০২৫ স্থগিত থাকবে। লেনদেন স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু হবে ১৮ নভেম্বর ২০২৫ থেকে।

এ ছাড়া 20Y BGTB 24/11/2030 (Trading Code: TB20Y1130) সিকিউরিটির কুপন পেমেন্টের সুবিধার জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ নভেম্বর ২০২৫।

-রাফসান


আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে উত্থান

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১২:৫০:০৪
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে উত্থান
ছবি: সংগৃহীত

Al-Arafah Islami Bank PLC–এর শেয়ারে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) লেনদেনে ছিল ইতিবাচক গতি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, দিনশেষে শেয়ারের শেষ লেনদেন মূল্য দাঁড়ায় ১৪ টাকা ৫০ পয়সা, যা গতকালকের ক্লোজিং প্রাইসের তুলনায় ৫০ পয়সা বা ৩.৫৭ শতাংশ বেশি।

দিনের শুরুতে শেয়ারটি ১৩ টাকা ৯০ পয়সায় ওপেন করলেও লেনদেনের সময় তা ১৩.৭০ থেকে ১৫.১০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। মোট ১৪৬টি ট্রেডে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৮টি শেয়ার লেনদেন হয়, যার আর্থিক মূল্য ছিল ৩.৫৪ মিলিয়ন টাকা।

ব্যাংকটির বর্তমান মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১৬,১২৩.৬৮৪ মিলিয়ন টাকা এবং এর সেক্টর হলো ব্যাংকিং। ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর এই ইক্যুইটি শেয়ারের মোট শেয়ার সংখ্যা ১,১৫১,৬৯১,৭১৩টি। ৫২ সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বনিম্ন মূল্য ছিল ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৩.৮০ টাকা, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে এর দীর্ঘমেয়াদী ওঠানামার একটা ধারণা দেয়।

শেয়ারের এই মূল্যবৃদ্ধি এবং লেনদেনের স্থিতিশীলতা বাজারে Al-Arafah Islami Bank-এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার ইঙ্গিত দেয়।


বাজারমন্দার মধ্যেও কারা লাভ করল? ডিএসইর টপ গেইনারে চিত্র

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৬:৪৪:৩৯
বাজারমন্দার মধ্যেও কারা লাভ করল? ডিএসইর টপ গেইনারে চিত্র

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে সার্বিক দরপতনের মধ্যেও কিছু শেয়ার ইতিবাচক প্রবণতা ধরে রাখতে পেরেছে। পুরো বাজারে যেখানে ৩৫০টির বেশি সিকিউরিটিজের দর কমেছে, সেখানে ব্যাংক, বিমা এবং কয়েকটি বাছাইকৃত মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ারে দেখা গেছে সতর্ক উত্থান। ক্লোজিং প্রাইস (CLOSEP) এবং গতকালের ক্লোজিং প্রাইস (YCP) বিবেচনায় শীর্ষ গেইনার তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক। শেয়ারের মূল্য ১৪ টাকা থেকে বেড়ে ১৪ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছেছে, যা ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি নির্দেশ করে। বাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পরও ব্যাংকিং সেক্টরের এই শেয়ারটি তুলনামূলক স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের স্বল্পমেয়াদি আগ্রহের প্রতিফলন দেখিয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাইম ফাইন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের (PF1STMF) মূল্য বেড়েছে ২ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে একটি পরিমিত রিবাউন্ডের ইঙ্গিত দেয়। Summit Power Company Limited (SPCL) ১ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছে। তাছাড়া সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রহিম টেক্সটাইল এবং ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজও সামান্য হলেও ইতিবাচক পরিবর্তন ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা সামগ্রিক নিম্নমুখী বাজারের মধ্যে কিছু নির্বাচিত খাতের টেকনিক্যাল স্থিতিশীলতা নির্দেশ করে।

দিনব্যাপী লেনদেনে ওপেনিং প্রাইস থেকে লাস্ট ট্রেডেড প্রাইস পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ডেভিয়েশনের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে DBH1STMF, যার মূল্য বেড়েছে ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে PRIME1ICBA, যা বেড়েছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে EBLNRBMF, যার বৃদ্ধি ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এই তালিকায় মিউচুয়াল ফান্ডের আধিপত্য বিশেষভাবে চোখে পড়েছে, যা বিশ্লেষকদের মতে বাজারে অতিরিক্ত পতনের পর কিছু সস্তা ফান্ডে স্বল্পমেয়াদি কারিগরি রিবাউন্ড বা জল্পনামূলক ট্রেডিং কার্যক্রমকে ইঙ্গিত করে।

বাজারের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করলে দেখা যায় যে দিনের গেইনার তালিকাগুলো বিনিয়োগকারীদের মানসিকতা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেয়। যেখানে বাজারের অধিকাংশ সিকিউরিটিজ দর হারিয়েছে, সেখানে শীর্ষ গেইনারদের উত্থান নির্দেশ করে যে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগ কৌশল, নির্বাচিত শেয়ারে প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাজার এখনও প্রাণবন্ত। বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উচ্চ ডেভিয়েশন বাজারে ট্রেডিং অ্যাক্টিভিটির ভারসাম্য খুঁজে পেতে বিনিয়োগকারীদের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের ডিএসইর লেনদেন বাজারের ভঙ্গুর পরিস্থিতির মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট খাতে স্বল্পমেয়াদি আস্থা ও কারিগরি পুনরুদ্ধারের একটি চিত্র এঁকেছে। দিনশেষে শীর্ষ গেইনার তালিকা বাজারে সীমিত হলেও একটি সিলেক্টিভ উত্থান প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়। চাইলে আমি এ তথ্য দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বাজার বিশ্লেষণ, চার্ট বা গ্রাফসহ বিশদ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও তৈরি করে দিতে পারি।


ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৫:১৪:০০
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বড় ধরনের পতন: ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে তীব্র দরপতনের মুখে পড়েছে, যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় নেগেটিভ ব্রেডথ নির্দেশ করে। লেনদেন শেষে ডিএসইতে মোট ৩৮৪টি সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, যার মধ্যে মাত্র ১৫টি অগ্রগতি দেখায় এবং বিপরীতে ৩৫২টির দর কমে যায়, আর ১৭টি অপরিবর্তিত থাকে। পুরো বাজারজুড়ে এ ধরনের ব্যাপক পতন বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট ও বাজারে ঝুঁকির মাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

এ ক্যাটাগরির সিকিউরিটিজগুলো, যেগুলো সাধারণত বাজারের মূল ভরসা হিসেবে বিবেচিত, সেখানেও পরিস্থিতি ছিল আরো সংকটজনক। এখানে ২০৯টি সিকিউরিটিজের মধ্যে মাত্র ১১টির দাম বেড়েছে, কিন্তু ১৮৮টির দাম কমে যায় এবং ১০টি অপরিবর্তিত থাকে। এটি স্পষ্ট করে যে মার্কেটের বড় ও তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল কোম্পানিগুলোও চাপের মুখে পড়েছে। বি ক্যাটাগরিতে ৭৯টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ৭৭টির দাম কমেছে, যা এই ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোর দুর্বলতা এবং স্বল্পমেয়াদি আতঙ্ককে আরও তীব্র করে। জেড ক্যাটাগরিতে তুলনামূলক উন্নতি থাকলেও সার্বিক চিত্র নেতিবাচক—৯৬টির মধ্যে ৮৭টির দরপতন হয়।

মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরেও একই ধরনের দুরবস্থা দেখা গেছে। ৩৫টি ফান্ড লেনদেনে মাত্র একটি বাড়ে এবং ২৮টির দর কমে। সম্প্রতি মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫ প্রকাশের পর এই সেক্টরে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের চাপ কিছুটা বেড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। কর্পোরেট বন্ড বাজার তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকলেও সামগ্রিকভাবে বাজারে অংশগ্রহণ ছিল কম।

দিনব্যাপী লেনদেনে মোট ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি ট্রেড সম্পন্ন হয়, এবং মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১৩ কোটি ৯০ লাখ শেয়ার, যার আর্থিক মূল্য ৩৮৩ কোটি টাকারও বেশি। লেনদেনের পরিমাণ যথেষ্ট হলেও দরপতনের বিস্তৃতি বাজারে বড়সড় মূল্যসংশোধনের ইঙ্গিত দেয়।

ডিএসইর প্রকাশিত বাজার মূলধন অনুযায়ী, ইকুইটি মার্কেটের মোট মূলধন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩১৪৮ শ’ কোটি টাকা, মিউচুয়াল ফান্ডের ২১ হাজার কোটি টাকা এবং ঋণ সিকিউরিটিজে ছিল প্রায় ৩৫৭০ শ’ কোটি টাকা। বাজার মূলধনের সম্মিলিত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৭৩৯ শ’ কোটি টাকারও বেশি।

ব্লক মার্কেটে মোট ২৭টি কোম্পানির সিকিউরিটিজ লেনদেন হয় এবং ৭০টি ট্রেডে মোট লেনদেনের পরিমাণ থাকে প্রায় ৩৯ লাখ ৬ হাজার শেয়ার। ব্লক মার্কেটেও বেশির ভাগ লেনদেন নিম্নমুখী দামে হয়েছে, যদিও কয়েকটি ব্লু-চিপ কোম্পানি যেমন ACI, Fine Foods, GQ Ballpen, Lovello এবং Orion Infusion স্থিতিশীল লেনদেন বজায় রেখেছে।

বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সার্বিক পতনের পিছনে রয়েছে বিনিয়োগকারীদের অনিশ্চয়তা, তারল্য সংকট, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চাপ, এবং সাম্প্রতিক নীতিমালাগত পরিবর্তন। বিশেষ করে মিউচুয়াল ফান্ড সেক্টরে বড় ধরনের বিধিমালা পরিবর্তনের ঘোষণা বাজারে চাপ বাড়িয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতাও বাজারের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

সার্বিকভাবে, ১৩ নভেম্বরের বাজার পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে দিয়েছে যে বাজার এখনও চাপের মধ্যে রয়েছে এবং স্থিতিশীলতা ফিরতে আরও সময় লাগতে পারে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1

নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের দুর্দান্ত Q1

ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের শীর্ষ কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস (NAVANAPHAR) চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জনের... বিস্তারিত