বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ২০:৪৩:৩৭
বরিশালে হুলস্থুল কাণ্ড: পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে ছাত্রদল নেতার পলায়ন
বরিশালে ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের আদালতে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল শহরে এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার নামে ওই নেতা গ্রেপ্তার এড়াতে পুলিশের হাতে কামড় দিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাটি শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে বরিশাল নগরের ভাটারখাল এলাকায় ঘটেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত মাসুম হাওলাদার বরিশাল মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

পুলিশের ভাষ্যমতে, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পুলিশের একটি দল ভাটারখাল এলাকায় মাসুমকে গ্রেপ্তার করতে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাসুম এবং তার পরিবারের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ জন লোক এক হয়ে পুলিশের ওপর লাঠি এবং ইট ছুড়তে শুরু করে।

এই হট্টগোলের মধ্যেই এক পর্যায়ে মাসুম পুলিশের হাতে কামড় দেন এবং পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। হামলায় এসআই নাসিম হোসেনসহ তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে একটি নতুন মামলা দায়ের করেছে। টিএসআই মাহাবুব আলম বাদী হয়ে শনিবার কোতয়ালী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ৬০ থেকে ৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বরিশাল নগরীর ভাটারখাল এলাকার রুস্তম হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার, পালিয়ে যাওয়া মাসুমের স্ত্রী রিমি বেগম এবং একই এলাকার রিফাত ও শিল্পি আক্তার।

কোতয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পালিয়ে যাওয়া মাসুমসহ বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১৮:৫৫:৪১
টাকার ফাঁদ নাকি ত্রিভুজ প্রেম? আশরাফুল হত্যায় দুই আসামি দিলেন দুই ভাষ্য, বাড়ছে রহস্য
ছবি : সংগৃহীত

ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে (৪২) হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জরেজুল ইসলাম (৩৯) ও শামীমা আক্তারকে (৩৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ এবং র‍্যাব পৃথকভাবে তাদের গ্রেপ্তার করে। এই হত্যাকাণ্ড এবং গ্রেপ্তার পরবর্তী তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুটি বাহিনী আলাদা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তবে দুই বাহিনীর সংবাদ সম্মেলন থেকে দুই আসামির জবানবন্দির বরাতে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) জানিয়েছে, আশরাফুলকে ফাঁদে ফেলে দশ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যা পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়। অন্যদিকে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্ক দায়ী।

শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন বিস্তারিত জানান। তিনি আসামি শামীমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বলেন, শামীমার সাথে জরেজুলের এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। জরেজুলই আশরাফুলকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেন।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, শামীমা আশরাফুলকে শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এরপর জরেজুল আশরাফুল ও শামীমার ভিডিও ধারণ করেন। এই ভিডিও দেখিয়ে টাকা আদায়ের পরিকল্পনা ছিল তাদের। র‍্যাব জানিয়েছে, ধারণ করা সেই ভিডিওটি শামীমার মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

র‍্যাব আরও জানায়, ১২ নভেম্বর দুপুরের দিকে আশরাফুল পুরোপুরি অচেতন হয়ে পড়লে জরেজুল তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন এবং মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে দেন। এরপর হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে আশরাফুলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

১৩ নভেম্বর সকালে, মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে তারা পাশের বাজার থেকে দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম ও অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে আনেন। পরে জরেজুল একটি চাপাতি দিয়ে লাশ টুকরো টুকরো করে ড্রাম দুটিতে ভরেন এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে রেখে যান। র‍্যাব আশরাফুলের রক্তমাখা সাদা রঙের পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং হত্যায় ব্যবহৃত দড়ি ও স্কচটেপ উদ্ধার করেছে।

অন্যদিকে, বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আরেকটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম অপর আসামি জরেজুল ইসলামের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার বর্ণনা দেন।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, এই হত্যার মূল আসামি জরেজুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় থাকতেন। সেখানে থাকা অবস্থায় একটি অ্যাপের মাধ্যমে শামীমা আক্তারের সাথে তার পরিচয় হয় এবং একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

জরেজুল প্রায় দেড় মাস আগে দেশে ফেরেন। দেশে আসার পরও শামীমা ও জরেজুলের মধ্যে ফোনে যোগাযোগ হতো। বিষয়টি জরেজুলের স্ত্রী জানতে পারেন। তখন জরেজুলের স্ত্রী তার স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আশরাফুল ইসলামের সহায়তা চান এবং আশরাফুলকে শামীমার নম্বর দেন। কিন্তু এরপর আশরাফুল নিজেই শামীমার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে ভিডিও কলেও যোগাযোগ হতো।

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আরও জানান, এর মধ্যেই শামীমা জরেজুলকে জাপান পাঠানোর কথা বলেন। তিনি জানান, জাপানে যেতে ১৪ লাখ টাকা লাগবে, যার মধ্যে ৭ লাখ টাকা শামীমা নিজেই দেবেন। এই টাকা নেওয়া এবং জাপান যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যই ১১ নভেম্বর জরেজুল ও আশরাফুল একসাথে রংপুর থেকে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় এসে তারা তিনজন শনির আখড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন।

বাসায় ওঠার পর জরেজুল তার বন্ধু আশরাফুলের সাথে শামীমার সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে শামীমা চিৎকার করলে জরেজুল আশরাফুলের হাত বেঁধে ফেলেন এবং হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে তিনি আশরাফুলের মুখের ভেতরে শামীমার ওড়না ঢুকিয়ে স্কচটেপ দিয়ে পেঁচিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পর আশরাফুল মারা যান। এরপর তারা একইভাবে মরদেহ টুকরো করে প্লাস্টিকের ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকায় ফেলে আসেন।


শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:০৭:০০
শীতের সবজি এলেও স্বস্তি নেই, বাজারে গিয়ে ক্রেতাদের মাথায় হাত
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি মাসের শুরুতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম ও মুলার মতো শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছিল। তখন বেশিরভাগ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। এখন বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ আরও বাড়লেও ফল হয়েছে উল্টো। দাম কমার বদলে কেজিপ্রতি অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে, কোনো কোনো সবজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। বছরের শেষের দিকে আলুর দামেও বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে কমেছে ডিমের দাম। অন্যদিকে চালের বাজার চড়া দামেই স্থির হয়ে আছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢেঁড়স, চিচিঙ্গা, করলা, পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দলের মতো সবজিগুলো ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অথচ মাত্র এক সপ্তাহ আগেই এসব সবজি ক্রেতারা ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কিনতে পারতেন।

প্রতিটি ফুলকপি ও বাঁধাকপি এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা করে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে লাউ ও মরিচের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। লাউ আগের মতোই প্রতিটি ৬০ টাকা এবং মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

সবজির বাজারে শিমের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে যে শিম ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা এখন সরাসরি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে, গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন আজ ৮০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সবুজ গোল বেগুনের দামও কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকায় উঠেছে। তবে তাল বেগুনের দাম ১৪০ টাকা কেজিতে অপরিবর্তিত আছে।

বাজারে উচ্ছের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কচুর লতির দাম ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ৭০ টাকা হয়েছে। শসার দামও ৫০ থেকে ৬০ টাকা এক লাফে বেড়ে প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি শীতের সবজি মুলার দামও ১০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আনিসুর রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘আশা করেছিলাম শীতের সবজির দাম ধীরে ধীরে কমবে। কিন্তু দাম উল্টো বেড়ে গেল। এটা কীভাবে হলো বুঝলাম না। আজকের বাজারে সব ধরনের সবজির দামই বেশি মনে হচ্ছে।’

দেশে উৎপাদিত সবজির পাশাপাশি আমদানি করা পণ্যের দামও বেড়েছে। আমদানি করা পাকা টমেটোর দাম ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা এবং গাজরের দাম ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ক্রেতারা সারা বছর সবচেয়ে কম দামে যে সবজিটি পেয়েছেন তা হলো পেঁপে, যা প্রতি কেজি ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। একজন বিক্রেতা সাদ্দাম হোসেন দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘বাজারে শিমের সরবরাহ কম, তাই দাম বাড়ছে। আর শীতের সবজি বাজারে এলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় অন্যান্য নিয়মিত সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এবারের বন্যা আর বৃষ্টিতে ফসলের গাছের অনেক ক্ষতি হয়েছে, যা চাষাবাদে খারাপ প্রভাব ফেলেছে।’

বাজারে আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা কেজি দরে। কারওয়ান বাজারে ১১৫ টাকায় পেঁয়াজ পাওয়া গেলেও পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ১২০ টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে।

আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা নাজমুল হাসান বলেন, ‘আলুর দাম সামনে আরও বাড়তে পারে। পুরোনো আলুর সরবরাহ বাজারে কমে গেছে। নতুন আলু উঠলে পুরোনো আলুর দাম সাধারণত বাড়ে। গত তিন দিন ধরেই ৫ টাকা করে বাড়ছে। আর পেঁয়াজের দাম এখনও সেভাবে কমেনি।’

আদা ও রসুনের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বাজারে চায়না রসুন ১৬০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। থাইল্যান্ডের আদা ২০০ টাকা এবং চায়না আদা ১৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

ডিমের দামে কিছুটা স্বস্তি এসেছে, ডজনপ্রতি লাল ডিম ৫ টাকা কমে ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে খুচরা পর্যায়ে হালি হিসেবে কিনলে ক্রেতাদের আগের দাম অর্থাৎ ৪৫ টাকাতেই কিনতে হচ্ছে।

মুরগির দামেও বিশেষ কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি কেজিপ্রতি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং হাইব্রিড সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে মুরগির দাম এমনই রয়েছে।

বাজারে অন্যান্য পণ্যের দামে ওঠা-নামা দেখা গেলেও চালের দাম চড়া অবস্থাতেই স্থিতিশীল রয়েছে। পাইকারি বাজারে কোনো চালই ৫৮ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। খুচরা বাজারে ক্রেতাদের সেই চাল ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারে পাইজাম ও আটাশ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় এবং মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ক্রেতাদের এসব চাল কেজিতে অন্তত ৫ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে, বাজারে গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত আছে। গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:০৫:৪৩
রাজধানীতে আজ চারটি গুরুত্বপূর্ণ সভা ও আলোচনা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিনের মতো আজ শনিবারও সরকারি দপ্তর, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্ল্যাটফর্মগুলোর নানা কর্মসূচি শহরের বিভিন্ন সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ছুটির দিনে অপ্রয়োজনীয় বিড়ম্বনা এড়াতে কোথায় কী আয়োজন রয়েছে তা আগেভাগে জেনে নেওয়া নাগরিকদের যাতায়াত পরিকল্পনাকে সহজ করে। শনিবার ১৫ নভেম্বরের কর্মসূচিগুলো এক নজরে তুলে ধরা হলো।

দিনের শুরুতেই সকাল ১০টায় কেরানীগঞ্জের আটি বাজার দড়িপাড়ায় জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ৪৪টি খাস পুকুর ও জলাশয় সংস্কার, উন্নয়ন ও পরিবেশ সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। প্রকল্পটির মাধ্যমে নগর ও শহরতলির জলাশয়গুলোর পুনরুদ্ধার এবং পরিবেশবান্ধব জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।

অপরদিকে বিকেল ৩টায় বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘গণতন্ত্র বিনির্মাণে নারী: আমরা কী পেলাম’ শীর্ষক রাউন্ড টেবিল আলোচনায় অংশ নেবেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। সমসাময়িক রাজনীতি, নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং গণতন্ত্রের নতুন পথরেখা নিয়ে আয়োজিত এ সভায় সরকারের পরিকল্পনা ও নীতিমালা নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্যে বিএনপির একাধিক আয়োজন রয়েছে। বেলা সাড়ে ১১টায় শ্যামলী পিসি কালচার হাউজিংয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বেতার শিল্পী আফরোজা নিজামীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যোগ দেবে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’র প্রতিনিধি দল। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া বেলা ১১টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের খতমে নবুয়াত মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

এ দিন শ্রমঘন খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়েও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় কাকরাইলের আইডিইবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের আয়োজনে ‘শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। শ্রম অধিকার, কর্মপরিবেশ ও নীতিমালার সংস্কার নিয়ে ফেডারেশনের এই বৈঠক শ্রমজীবী মানুষের প্রত্যাশাকে সামনে আনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে।

-রফিক


৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১০:২৭:৪১
৭ বছরের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সেরা অবস্থানে বাংলাদেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে অনলাইনের স্বাধীনতা কমলেও বাংলাদেশে এই ক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউস। গতকাল শুক্রবার সংস্থাটি ‘ফ্রিডম অন দ্য নেট ২০২৫’ নামের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়েছে, এ বছর মূল্যায়নে থাকা ৭২টি দেশের মধ্যে ইন্টারনেট স্বাধীনতায় বাংলাদেশ ভালো অগ্রগতি করেছে। এই গবেষণাটি ২০২৪ সালের জুন থেকে ২০২৫ সালের মে মাস পর্যন্ত সময়ের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই গণতন্ত্র পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাটি বলছে, ২০২৪ সালের আগস্টে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনের ফলে একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ডিজিটাল ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক সংস্কার এনেছে।

এর ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট স্বাধীনতা সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়েছে। ১০০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর এখন ৪৫, যা গত বছর ছিল ৪০। এটি গত সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সেরা অবস্থান। তবে, এত উন্নতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখনও ‘আংশিক মুক্ত’ দেশ হিসেবে তালিকাবদ্ধ রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকেই বাংলাদেশ এই তালিকায় আছে।

ফ্রিডম হাউস মূলত তিনটি বড় বিষয় বিবেচনা করে এই স্কোর নির্ধারণ করে। এগুলো হলো—ইন্টারনেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা, অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন বিষয়বস্তুর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবহারকারীদের অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা। এই তিনটি বিভাগের অধীনে মোট ২১টি সূচক ব্যবহার করে প্রতিটি দেশের অনলাইন স্বাধীনতার মাত্রা ঠিক করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইন্টারনেট বন্ধ না করার নীতি গ্রহণ করেছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগকে মানবাধিকার হিসেবে দেখার কথা বলেছে। ২০২৫ সালের মে মাসে সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন (সিএসএ) বাতিল করে। এর বদলে সাইবার নিরাপত্তা অধ্যাদেশ (সিএসও) জারি করা হয়।

এই নতুন অধ্যাদেশে কিছু ভালো দিক রয়েছে, যেমন অনলাইনে হয়রানি ও যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সুরক্ষার ব্যবস্থা। তবে, অনলাইনে মত প্রকাশের জন্য শাস্তি এবং নজরদারির মতো কিছু উদ্বেগজনক বিষয় আগের মতোই রয়ে গেছে।

এদিকে, ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে, তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। পাকিস্তান এই সূচকে ২৭ পয়েন্ট পেয়ে ‘মুক্ত নয়’ দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কা ৫৩ ও ভারত ৫১ পয়েন্ট পেয়ে দুটি দেশই ‘আংশিক মুক্ত’ শ্রেণিতে অবস্থান করছে।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১০:২১:০৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসে আগুন
ছবিঃ সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে শিমরাইল মোড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অফিসের সামনে পার্ক করা নাফ পরিবহনের একটি মিনিবাসে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজন আগুন দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বাসটি খালি থাকায় এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে আগুনের তাপে বাসের ভেতরের সিট, কাচসহ অন্যান্য অংশ পুড়ে গেছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, বাসটির চালক আগের দিন, অর্থাৎ শুক্রবার, রাত প্রায় ১০টার দিকে গাড়িটি ওই স্থানে পার্ক করে চলে গিয়েছিলেন। পরদিন সকালেই হঠাৎ করে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।

এই বিষয়ে শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ (টিআই) জুলহাস উদ্দিন একটি প্রাথমিক তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, বাবু নামে একজন নৈশপ্রহরী সেখানে ছিলেন। ওই নৈশপ্রহরী পুলিশকে বলেছেন, তিনি কিছুক্ষণের জন্য প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে পাশে গিয়েছিলেন। ফিরে এসেই তিনি দেখেন গাড়িতে আগুন জ্বলছে এবং ভেতরের সিট ও গ্লাস পুড়ে যাচ্ছে। তবে তিনি আগুন লাগাতে পারে এমন কাউকে দেখেননি।

বাসে আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। এটি কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ঘটেছে, নাকি এটি পরিকল্পিত নাশকতা, তা পুলিশ নিশ্চিত হতে পারেনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আগুন লাগার আসল কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।


জরুরি সংস্কার: আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১০:১৫:২৩
জরুরি সংস্কার: আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকা
ছবিঃ সংগৃহীত

সিলেট শহরের বেশ কিছু এলাকায় শনিবার (১৫ নভেম্বর) টানা দশ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের উন্নয়ন এবং জরুরি সংস্কার কাজের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাকের স্বাক্ষর করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে ট্রান্সফর্মারের সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ, বৈদ্যুতিক লাইনের উন্নয়নমূলক কাজ এবং গাছপালার ডালপালা ছাঁটাই করা হবে।

বিদ্যুৎ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ১১ কেভি বালুচর ফিডারের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এই এলাকাগুলো হলো— বালুচর, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, নতুনবাজার, আল ইসলাহ, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, আরামবাগ, ফোকাস, জোনাকী, ছড়ারপার এবং এর আশেপাশের এলাকা।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে। এই সাময়িক অসুবিধার জন্য সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।


বন্ধুকে হত্যা করে ২৬ টুকরো, আশরাফুল হত্যায় মিলছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ০৯:৫৫:৪২
বন্ধুকে হত্যা করে ২৬ টুকরো, আশরাফুল হত্যায় মিলছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য
ছবিঃ সংগৃহীত

ঢাকায় একজন ব্যবসায়ীকে হত্যার পর তার লাশ ২৬ টুকরো করার মতো ভয়ঙ্কর একটি ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে নিহতের বন্ধু জারেজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, একজন নারীর সাথে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই আশরাফুল হক নামের ওই ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়।

হত্যার পর তার খণ্ডিত দেহ দুটি নীল রঙের ড্রামে ভরে হাইকোর্ট এলাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের কাছে ফেলে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার রাতে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে জারেজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জারেজুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ডিবির একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আশরাফুলকে হত্যার পর জারেজুল এবং ওই নারী, শামীমা, অন্তত ২৪ ঘণ্টা লাশের সাথে একই বাসায় ছিলেন। তারা পরিকল্পনা করছিলেন কীভাবে লাশটি গুম করা যায়। একসময় তারা সিদ্ধান্ত নেন, লাশ টুকরো করে ড্রামে ভরে ফেলে দেবেন, যাতে কেউ সহজে শনাক্ত করতে না পারে।

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, তারা একটি দা ব্যবহার করে লাশ ২৬ টুকরো করেন এবং ড্রামে ভরে হাইকোর্টের সামনে ফেলে আসেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শামীমাকেও র‍্যাব-৩ এর একটি দল বিভিন্ন আলামতসহ গ্রেপ্তার করেছে।

ডিবি এবং র‍্যাবের কর্মকর্তারা এই হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য দিয়েছেন। জানা গেছে, নিহত আশরাফুল এবং মালয়েশিয়া প্রবাসী জারেজুল দুজনই রংপুরের বাসিন্দা এবং ছোটবেলার বন্ধু। প্রায় তিন বছর আগে জারেজুলের সাথে ফেসবুকে শামীমার পরিচয় হয়। শামীমা কুমিল্লার একজন প্রবাসীর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের মা।

জারেজুল ও শামীমার মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। জারেজুল মাঝে মাঝে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে শামীমার সাথে দেখা করতেন এবং এই সম্পর্কের কথা তিনি বন্ধু আশরাফুলকে জানিয়েছিলেন।

পরে জারেজুলের কাছ থেকেই আশরাফুল শামীমার ফোন নম্বর সংগ্রহ করেন এবং তার সাথেও যোগাযোগ শুরু করেন। একটা সময় আশরাফুলের সাথেও শামীমার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

তদন্তকারীরা জানান, জারেজুল গত ২৩ অক্টোবর মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে ঢাকার দক্ষিণ দনিয়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। তিনি শামীমাকে নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। আশরাফুলও সেই বাসায় তাদের সাথে দেখা করতে আসেন। তখনই জারেজুল জানতে পারেন যে, তার বন্ধু আশরাফুলের সাথেও শামীমার সম্পর্ক রয়েছে।

এই বিষয়টি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। এর জের ধরে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাত থেকে বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালের মধ্যে কোনো এক সময় ওই বাসাতেই আশরাফুলকে হত্যা করা হয়।

জারেজুল ও শামীমা বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত লাশের সাথে ওই বাসায় অবস্থান করেন। জারেজুল বাইরে থেকে খাবার কিনে আনতেন এবং তারা দুজনে তা খেতেন। বৃহস্পতিবার সকালে তারা বাথরুমে নিয়ে লাশটি ২৬ টুকরো করেন। এরপর খণ্ডিত অংশগুলো দুটি ড্রামে ভরে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরে শেষে হাইকোর্টের সামনে ফেলে রেখে যান।

এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও কিছু তথ্য সামনে আসছে। নিহত আশরাফুলের শ্যালক রেজওয়ান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আশরাফুলের স্ত্রী লাকি বেগম তার স্বামীর নম্বরে ফোন করলে জারেজুল ফোন ধরেন। জারেজুল তখন লাকি বেগমকে বলেন, 'ভাবি, আমি শুনেছি ভাই (আশরাফুল) চট্টগ্রামে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তিনি খুন হয়েছেন।'

তবে নিহতের পরিবার এই হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত বলে মনে করছে এবং এর জন্য তারা জারেজুলকেই প্রধানত দায়ী করছে। আশরাফুলের ছোট বোন মোছা. আনজিরা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে জারেজুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে আনজিরা বেগম উল্লেখ করেছেন, তার ভাই আশরাফুল হক (যিনি হিলি বন্দর থেকে সারাদেশে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচসহ কাঁচামাল সরবরাহ করতেন) মঙ্গলবার রাত ৮টায় জারেজুলকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। এরপর থেকেই আশরাফুলের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরিবারের সন্দেহ, জারেজুল তার সহযোগীদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১১ থেকে ১৩ নভেম্বরের মধ্যে আশরাফুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন।

বদরগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আতিকুর রহমান বলেছেন, নিহতের পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তা ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশকে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে, জারেজুলের সাথে নিহত আশরাফুলের ছোট বোন রাহেনা বেগমের সর্বশেষ কথা হয়েছিল। জারেজুল তখন জানিয়েছিলেন যে তিনি সায়েদাবাদ থেকে বাসে উঠছেন এবং বাড়ি পৌঁছে সব জানাবেন। এরপরই জারেজুল মোবাইল বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে, জারেজুলের স্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, তার স্বামী পাওনা টাকা আনতে বন্ধু আশরাফুলের সাথে চট্টগ্রামে গেছেন বলে তিনি জানতেন।

নিহতের শ্যালক রেজওয়ান একটি পুরনো ব্যবসায়িক ঝামেলার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, দুই বছর আগে পেঁয়াজ আমদানির সময় টেকনাফের এক ব্যবসায়ীর সাথে আশরাফুলের ৩০ লাখ টাকার একটি বিরোধ তৈরি হয়েছিল এবং সেই ঘটনায় মামলা হলে ওই ব্যবসায়ী তিন মাস জেল খাটেন।

আশরাফুলের মৃত্যুর খবরে তার গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তার মা এছরা খাতুন এবং স্ত্রী লাকি বেগম কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। মা এছরা খাতুন বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আমার একটা ছেলেও তাকে মেরে ফেললো। আমার ছেলেকে কেন মারলো রে বাবা!’ স্ত্রী লাকি বেগম শোকে প্রায় স্থির হয়ে গেছেন, কিছুক্ষণ পরপর কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। বড় বোন রওশনারা বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, 'আমাদের ভাই তো আর নেই! কিন্তু আমরা ওর (জারেজুল) বিচার চাই।'


জলবায়ু সম্মেলন তেল গ্যাস কোম্পানির দখলে আলোচনা এখন দূষণকারীদের হাতে

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ০৯:২৬:২৯
জলবায়ু সম্মেলন তেল গ্যাস কোম্পানির দখলে আলোচনা এখন দূষণকারীদের হাতে
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গলঘেঁষা বেলেম শহরে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে (কপ৩০) প্রতি ২৫ অংশগ্রহণকারীর একজন জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানির লবিস্ট। আন্তর্জাতিক জোট কিক বিগ পলিউটার্স আউট (কেবিপিও) জানাচ্ছে, এ বছর সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতের এক হাজার ৬০০ জনেরও বেশি লবিস্ট অংশ নিয়েছেন, যা জাতিসংঘের যেকোনো জলবায়ু সম্মেলনে রেকর্ড সর্বোচ্চ।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেল, গ্যাস, কয়লা কিংবা রাসায়নিক বিষ কোম্পানির লবিস্টরা ‘বনোয়াট কুতর্ক’ আর ‘মিথ্যা সমাধান’-এর বিজ্ঞাপন দিয়ে পৃথিবীর বাঁচা-মরার প্রশ্নের সম্মেলনের গতিকে নষ্ট করেছে। জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর এ বড় উপস্থিতি বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনার জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য, যারা ইতোমধ্যেই জলবায়ু-সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি ও অর্থায়ন সংকটে ভুগছে।

লবিস্টের আধিপত্য এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কণ্ঠরোধ

কেবিপিওর শুক্রবার প্রকাশিত বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে বলা হয়, কপ৩০-এ লবিস্টদের উপস্থিতি বিশ্বের প্রায় সব দেশের সরকারি প্রতিনিধি দলের চেয়ে বেশি। শুধু ব্যতিক্রম আয়োজক ব্রাজিল, যাদের প্রতিনিধি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৮০৫ জনে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শীর্ষ ১০টি সবচেয়ে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশের প্রতিনিধিদের তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্টরা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বেশি পাস পেয়েছেন। ফিলিপাইনের সরকারি প্রতিনিধিদের তুলনায় জীবাশ্ম জ্বালানির লবিস্টদের সংখ্যা প্রায় ৫০ গুণ বেশি, জ্যামাইকার তুলনায় ৪০ গুণ বেশি।

কেপিবিওর মুখপাত্র অনা সানচেজ বলেন, যেসব শিল্পপ্রতিষ্ঠান জলবায়ু সংকটের জন্য দায়ী, তারা এখনও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে, যা মূলত তাদের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণ ও হ্রাসের জন্য হওয়া উচিত।

ব্রাজিল যদিও এবারের সম্মেলনকে প্যারিস চুক্তির বাস্তবায়ন ও জলবায়ু তহবিল জোরদারের মোড় বদল হিসেবে দেখাতে চাচ্ছে, কিন্তু করপোরেট উপস্থিতি সেই লক্ষ্য পূরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

স্বাস্থ্য ও বাংলাদেশের অবস্থান

ল্যানসেট কাউন্টডাউনের নির্বাহী পরিচালক ড. মারিনা রোমানেল্লো জানান, প্রতি বছর তীব্র গরমে বিশ্বে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভবিষ্যতের ঝুঁকি সামলানোর মতো প্রস্তুত নয়।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের প্রধান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ফারিদা আখতার বলেন, গ্লোবাল জলবায়ু কূটনীতিতে সমতা ও ন্যায়বিচার প্রশ্নে বাংলাদেশের অবস্থান বদলায়নি। বাংলাদেশ অভিযোজন অর্থায়ন তিন গুণ বৃদ্ধির দাবি তুলছে এবং ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার জন্য নতুন তহবিলকে দ্রুত কার্যকর দেখতে চায়।

পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়াউল হক জানান, স্বাস্থ্য খাতের অভিযোজন অর্থায়ন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রতিশ্রুত অর্থ দ্রুত ছাড়ের অনুরোধ জানান তিনি।

নাগরিক সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী সতর্ক করেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি লবির আধিপত্য ঝুঁকিপূর্ণ দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর জন্য হুমকি। বিশেষ করে বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, লবণাক্ততা আর তীব্র তাপদাহের মধ্যে নির্গমন-নির্ভর উন্নয়ন মডেল আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে।


রাজধানীতে আজ চার সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১১:০৪:০৩
রাজধানীতে আজ চার সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক এবং পেশাজীবী সংগঠনের নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিনটিও ব্যতিক্রম নয়। দিনের শুরুতেই এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিগুলো-

বিএনপির কর্মসূচি

• সকাল ১০টা — শাহবাগ, জাতীয় জাদুঘরের সামনে

নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। নারীর অধিকার, নির্যাতন প্রতিরোধ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে বক্তব্য থাকবে সভায়।

শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মানববন্ধন

• সকাল ১০টা — নয়াপল্টন, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে

অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং আরও ১০ জন শিক্ষক নেতার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রাপ্তির দাবিতে মানববন্ধন করবে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট। তারা রাজনৈতিকভাবে যোগ্য এবং দীর্ঘদিনের শিক্ষা আন্দোলনের সাথে যুক্ত—এ যুক্তিতে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানাবে সংগঠনটি।

সিপিবির জাতীয় সমাবেশ

• দুপুর ২টা — সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে। এতে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, বৈষম্য দূরীকরণ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হবে। সমাবেশে বিভিন্ন বাম দলের নেতাকর্মীর উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে।

বুয়েটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা

• সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা — বুয়েট ক্যাম্পাস

ইনোভার্স বাংলাদেশ আয়োজন করেছে দুই দিনব্যাপী ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা’। মেলার উদ্বোধন করবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। ১৪ ও ১৫ নভেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দেশব্যাপী তরুণ উদ্ভাবকদের প্রযুক্তিগত প্রদর্শনী, রোবটিক্স, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্টার্টআপ আইডিয়াস প্রদর্শনের সুযোগ থাকবে এখানে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত