সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন হলে কী হবে জানালেন শিশির মনির

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি হওয়াকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছেন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ শিশির মনির। শুক্রবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া বিশ্লেষণে তিনি মন্তব্য করেন এ আদেশ জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার সরাসরি প্রয়োগের পথ উন্মুক্ত করেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেন। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিষয়টি অনুমোদিত হয়। জাতীয় সনদের বিভিন্ন দিক, বাস্তবায়ন কাঠামো ও রাজনৈতিক গুরুত্ব জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ব্যাখ্যা করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর ভাষণে ঘোষণা দেন যে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। সময় হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ। তিনি বলেন, চারটি বিষয়ে গণভোট হবে; তবে ব্যালটে থাকবে মাত্র একটি প্রশ্ন হ্যাঁ বা না।
গণভোটে জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ মত ‘হ্যাঁ’ হলে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যদের দিয়েই গঠিত হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদ। এই পরিষদকে প্রথম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পূর্ণ প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে হবে।
এই কাঠামোকে বাংলাদেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব আখ্যা দিয়ে শিশির মনির বলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রথমবারের মতো জনগণই সরাসরি সাংবিধানিক সংস্কারের ম্যান্ডেট দিতে যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, এটি ১০৬ অনুচ্ছেদের বিকল্প নয়; বরং জনগণের সার্বভৌমাধিকার প্রয়োগের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া।
তিনি উল্লেখ করেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ফলে রাষ্ট্রপতি–প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ চালু, অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির প্রয়োগ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জোরদার, নারীর প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি এবং স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নের মতো কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে।
জুলাই সনদ অনুযায়ী, উচ্চ কক্ষ হবে ১০০ সদস্যবিশিষ্ট; দলগুলোর মোট ভোটের আনুপাতিক ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে আসন বণ্টন। এতে ক্ষুদ্র দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং একক দলীয় আধিপত্য কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করার প্রস্তাবটিকে শিশির মনির বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন। তাঁর মতে, দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় একক দল বা ব্যক্তি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দুর্বল করে; নতুন প্রস্তাব সে ঝুঁকি কমাবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের প্রসঙ্গেও তিনি বলেন এগুলো কার্যকর হলে দেশের শাসন কাঠামো আরও সুশাসনমুখী হবে। স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার প্রস্তাবও গণতন্ত্রের গভীরতর রূপায়নে সহায়ক হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণায় একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিএনপি ইতিমধ্যে জরুরি বৈঠক ডেকেছে; অন্যান্য দলগুলোর মধ্যেও পরামর্শ-সমন্বয় চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ আগামী নির্বাচনের ফলাফল ও পরবর্তী রাজনৈতিক স্থিতি নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন গণভোটের বিষয়গুলো মোটামুটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের জায়গা থেকে এসেছে। তবে জনগণ ‘হ্যাঁ’ না ‘না’ বলবেন, সে সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে দেশের ভবিষ্যৎ সাংবিধানিক স্থাপত্য কেমন হবে।
এদিকে, আইনবিদ শিশির মনির তাঁর পোস্টে মন্তব্য করেন এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় আইনজীবী সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও নাগরিকদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে, যেন সংস্কারের স্বচ্ছতা ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ নিশ্চিত হয়।
মাহমুদুর রহমান মান্নার ভোটযুদ্ধ শেষ: আদালত দিল বড় রায়
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নির্বাচনী স্বপ্নে বড় ধাক্কা লেগেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণখেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে তাঁর করা রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান এবং বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাহমুদুর রহমান মান্না আর অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে যে মাহমুদুর রহমান মান্নার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান 'আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড' বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বকেয়া ঋণে জর্জরিত। গত ৩ ডিসেম্বর ব্যাংকের বগুড়া বড়গোলা শাখা থেকে পাওনা অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে একটি 'কল ব্যাক নোটিশ' জারি করা হয়। উক্ত নোটিশে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। লাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘ সময় ধরে মুনাফা এবং মূল অর্থ পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটিকে ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই দায় মাথায় নিয়েই মান্না আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিন্তু আইনগতভাবে তিনি কোনো সুরাহা পাননি।
আদালতে মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি খারিজ করার আদেশ দিলে মান্নার নির্বাচনী অংশগ্রহণের পথ কার্যত রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া জানিয়েছেন যে হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন। ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন পাওয়ার পর বর্তমান সুদে-আসলে সেই ঋণের পরিমাণ ৩৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
উল্লেখ্য যে আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডে মাহমুদুর রহমান মান্নার ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। বাকি অংশীদারিত্ব রয়েছে তাঁর ব্যবসায়ী পার্টনার এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরী এবং তাঁর স্ত্রীর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে নির্বাচনের ঠিক আগ মুহূর্তে মাহমুদুর রহমান মান্নার মতো একজন হেভিওয়েট প্রার্থীর অযোগ্য ঘোষণা হওয়া নাগরিক ঐক্যের জন্য বড় একটি রাজনৈতিক বিপর্যয়। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী খেলাপি ঋণের দায়মুক্ত না হলে কোনো নাগরিকের সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ নেই যার কোপে পড়লেন এই প্রবীণ নেতা।
ঋণের নামে লুটপাট: এস আলমের সাম্রাজ্যে দুদকের হানা
জনতা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশের অন্যতম শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার দুদকের চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
মামলা দুটিতে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদসহ মোট ৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আসামি করা হয়েছে ৩২ জনকে এবং অপরটিতে ৩৬ জনকে। ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ সরিয়ে নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে এই আইনি ব্যবস্থা নিল দুদক।
দুদকের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানিয়েছেন, প্রথম মামলাটি করা হয়েছে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নামে ২ হাজার ৩২ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার ৯১৮ টাকা ৪০ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগে।
এই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সাইফুল আলম মাসুদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। তার সঙ্গে আসামি হয়েছেন পরিচালক আব্দুল্লাহ হাসান, সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ট্রেডিং কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল আলমসহ এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ।
এছাড়া ঋণ জালিয়াতিতে সহায়তার অভিযোগে জনতা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও এই মামলার আসামি করা হয়েছে। মামলার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০০৯ সালের ২৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ৬ মার্চ পর্যন্ত কোভিড প্রণোদনা এবং এলটিআর লোনসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ঋণ নিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেডের বিরুদ্ধে। এই প্রতিষ্ঠানের নামে ১ হাজার ১৫২ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার ১০৭ টাকা ৫২ পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক শাহানা ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিসকাত আহমেদ এবং জনতা ব্যাংকের দুইজন কর্মকর্তাসহ মোট ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে এই অনিয়ম চলেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
উভয় মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারা অনুযায়ী অর্থ পাচারের অভিযোগও যুক্ত করা হয়েছে।
আমি হালুয়া-রুটি খাওয়া সাংবাদিক নই: রিমান্ড শুনানিতে আনিসের হুঙ্কার
রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় দায়েরকৃত সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত তবে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন যে কোনো রাজনৈতিক বাধার মুখে তিনি নতি স্বীকার করবেন না এবং ক্ষমতাকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকবেন না। সোমবার বিকেলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে রিমান্ড শুনানিকালে এই কলমযোদ্ধা তার বক্তব্যে দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন যে তিনি গত দুই যুগ ধরে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার সরকারকে যেমন প্রশ্নবানে বিদ্ধ করেছেন ঠিক তেমনি বর্তমান ইউনূস সরকার বা ভবিষ্যতের যেকোনো সরকারকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পিছপা হবেন না। নিজেকে হালুয়া রুটি খাওয়া সুবিধাবাদী সাংবাদিকের কাতারে ফেলতে নারাজ আনিস আলমগীর বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন যে তালেবানদের হাতে আটক হওয়ার সময়েই তার মন থেকে মৃত্যুভয় চিরতরে দূর হয়ে গেছে এবং সত্য বলার ক্ষেত্রে তিনি আপসহীন।
শুনানির এক পর্যায়ে তিনি অভিযোগের সুরে বলেন যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চাইলে গোটা দেশকে কারাগার বা দোজখে পরিণত করতে পারেন কিন্তু প্যারিস ও নিউইয়র্কে বসে থাকা দুইজন ব্যক্তি নির্বাচন বানচালের যে নীল নকশা আঁকছে তার বিরুদ্ধে কথা বলায় তাকে আজ কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। তিনি দাবি করেন যে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলকে অন্যায্য সুবিধা পাইয়ে দিতেই প্রধান উপদেষ্টার কাছে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়েছে এবং তাকে ফেসবুকে লেখালেখি ও টেলিভিশন টকশোতে কথা বলা থেকে বিরত রাখার গভীর চক্রান্ত চলছে। নিজের পেশাগত সততার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন যে কারো কাছে নতজানু হওয়া তার কাজ নয় এবং যারা তাকে নির্দিষ্ট কোনো দলের গোলাম বানাতে চায় তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলেও আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেন ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম।
বিদায়ী অভিভাষণে নিজের ও বিচার বিভাগের ভুল স্বীকার করলেন প্রধান বিচারপতি
বিচারকদের অনেক অভিমতই রাষ্ট্র ও ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারণে অসামান্য ভূমিকা রাখে। তবে অতীতের ভুল স্বীকার করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন বিচারকদের নৈতিক বিচ্যুতিই জনসাধারণকে শেষ পর্যন্ত জুলাই আগস্টের রক্তক্ষয়ী প্রতিরোধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করার অন্যতম অনুঘটক।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে অবসর গ্রহণের আগে রোববার ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে দেওয়া বিদায়ী অভিভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
বিচার বিভাগের আত্মসমালোচনা বিদায়ী অভিভাষণে প্রধান বিচারপতি অকপটে স্বীকার করেন যে বিভিন্ন রাজনৈতিক পর্বে বিচার বিভাগ অসাংবিধানিক ক্ষমতা অপশাসন ও রাষ্ট্রীয় কপট কৌশলের অঘোষিত সহযোগী হিসেবেও পরিগণিত হয়েছে। তিনি বলেন দুঃশাসনের বলয়কে আবরণ দিয়েছেন অনেক বিচারক। অন্যায় ও অবিচারে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এই সত্য অস্বীকার করা যায় না।
রাজনীতি ও বিচারক বিচারকদের রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন কেবল ক্ষমতাবান শাসক শ্রেণির পক্ষে প্রয়োজনীয় পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব নিলে বিচার বিভাগের আলাদা কোনো অস্তিত্বেরই প্রয়োজন নেই। সে কাজের জন্য নির্বাহী বিভাগ ও পুলিশই যথেষ্ট। তিনি বিচারকদের সতর্ক করে বলেন পছন্দসই পদায়নের জন্য রাজনৈতিক পদলেহন পরিহার করতে হবে। অসৎ ও অসাধু বিচারকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
জ্ঞান অর্জনের তাগিদ বিচারকদের কেবল প্রথাগত আইনের বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন প্রথাগত পড়াশোনার বাইরে এসে সমাজ সংস্কৃতি নৃতত্ত্ব ইতিহাস অর্থনীতি ও রাষ্ট্রচিন্তার জগতে জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করতে হবে। সেই সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিবেশ বিজ্ঞান ও সাইবার নিরাপত্তার মতো আধুনিক বিষয়েও বিচারকদের বিচরণ বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।
পৃথক সচিবালয় ও স্বাধীনতা ঐতিহাসিক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন পৃথক সচিবালয় এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে এদেশের আপামর জনসাধারণের সাংবিধানিক সব অধিকার সুরক্ষিত করার প্রধান নিয়ন্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। বিচারকদের দ্বারা সৃষ্ট যাবতীয় অন্যায়ের জন্য এখন থেকে অন্যের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ বন্ধ করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান এবং বার কাউন্সিলের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
গণহত্যার আড়ালে ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনায় জয়ের ভূমিকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত গণহত্যার তথ্য আড়াল করতে ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনার মূল নকশা প্রণয়ন করেছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। আর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তাই বাংলাদেশি আইনের আওতায় জয়ের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশের আদালতেই হওয়া উচিত বলে তিনি মত দেন।
বুধবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জয় বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেও বিচার থেকে তিনি অব্যাহতি পাবেন না। তার ভাষায়, জয় কখনো বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কহীন ছিলেন না। তিনি সরকারি বিশেষ উপদেষ্টা, প্রজাতন্ত্রের বেতনভুক্ত কর্মী এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের অংশ ছিলেন। বিশেষ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
চিফ প্রসিকিউটর অভিযোগ করেন, আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে গণহত্যার ঘটনা গোপন করার চেষ্টা হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন জয়। দেশজুড়ে নৃশংসতার খবর যাতে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে না পৌঁছায়, সেই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ডিজিটাল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, পলক দেশে বসে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন। আর পরিকল্পনার “নির্দেশদাতা” হিসাবে জয়ের ভূমিকা পরিষ্কার। তাই আইন অনুযায়ী তার বিচার বাংলাদেশের আদালতেই হওয়া আবশ্যক।
ঘটনার সময় জয় দেশে ছিলেন না এই প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক নয়। দেশের বাইরে থেকেও ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশ দেওয়া বা হত্যার হুমকি প্রদান করা যেতে পারে।
চিফ প্রসিকিউটর জানান, ঘটনাসংক্রান্ত সবপ্রকার প্রমাণ, নথিপত্র ও সাক্ষ্য আদালতে ইতিমধ্যেই জমা রয়েছে। বিচারপ্রক্রিয়ায় এসব প্রমাণ একে একে উপস্থাপিত হলে পুরো বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
এদিন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
-রফিক
১২ কোটি টাকার অভিযোগ, এনামুরের কর ফাইল জব্দ
দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের আয়কর সংক্রান্ত সব নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মুহাম্মদ কামরুল হাসান খান দুদকের আবেদনের পর শুনানি শেষে এ আদেশ প্রদান করেন।
দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় ডা. এনামুর রহমান ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অপরাধমূলক অসদাচরণের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী তার নামে অনিয়মিতভাবে অর্জিত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ ৯২ হাজার ৭৮৫ টাকা।
এছাড়া তার পাঁচটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশ্লেষণে দুদক আরও উদ্বেগজনক তথ্য পেয়েছে। এসব হিসাবে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৮ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন জমা হয়েছে এবং ৬ কোটি ২৬ লাখ ৮ হাজার ৪৮৭ টাকা উত্তোলনের অসঙ্গতিরও প্রমাণ মিলেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ কোটি ৬৯ লাখ টাকার মানিলন্ডারিং–সংক্রান্ত অভিযোগ দুদক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার মতো তথ্য পেয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
দুদক জানায়, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত নিশ্চিত করতে ডা. এনামুর রহমানের প্রথম করবর্ষ থেকে ২০২৪–২৫ করবর্ষ পর্যন্ত সব আয়কর নথি পর্যালোচনা জরুরি। সংশ্লিষ্ট নথি ঢাকার কর অঞ্চল–১০-এ সংরক্ষিত থাকায় সেগুলো জব্দে আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। আদালত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নথিগুলো জব্দের অনুমোদন দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমি বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা পাপন কুমার সরকার প্রয়োজনীয় নথি জব্দের আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছিলেন, যা আদালত গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচনা করেছেন।
দুদকের মতে, এসব নথি সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পর অভিযোগ আরও সুস্পষ্ট হবে এবং তদন্ত দ্রুত অগ্রসর করা সম্ভব হবে।
প্রিজনভ্যানে উঠে জাতীয় সংগীত গাইলেন পলক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই আগস্টে গণহত্যার দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আদালতের কার্যক্রম শেষে প্রিজনভ্যানে ওঠার সময় এক নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেছে। সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রিজনভ্যানে উঠেই জাতীয় সংগীত গাইতে শুরু করেন। এমনকি তাঁর সঙ্গে প্রিজনভ্যানে থাকা অন্য আসামিদেরও সুর মেলাতে শোনা গেছে যা উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
সোমবার ৮ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাঁদের প্রিজনভ্যানে ওঠানো হয়। এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে এই ১৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ।
আদালতে আসামিদের তালিকায় ছিলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এছাড়া সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক ই এলাহী চৌধুরী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারকেও হাজির করা হয়। তবে অসুস্থ থাকায় সাবেক এমপি ফারুক খানকে আনা হয়নি।
ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। তিনি মামলার তদন্ত শেষ করতে আরও দুই মাস সময় চাইলে ট্রাইব্যুনাল ১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ওবায়দুল কাদেরের মামলায় ৪৫ জনের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল হওয়ায় অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে এবং বাকিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রসিকিউশন।
মামলার অভিযোগের বিষয়ে জানা গেছে সালমান আনিসুল ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা ফরমাল চার্জ দিয়েছে প্রসিকিউশন। ইনুর মামলায় ইতিমধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ পলকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল ১। একই সঙ্গে জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমানের ফরমাল চার্জে কারফিউ জারি করে ছাত্র জনতাকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আমলে নিয়ে শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
কে হচ্ছেন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি? জল্পনা চূড়ায়
দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। তার অবসরের সময় ঘনিয়ে আসায় বিচারাঙ্গনে জল্পনা তৈরি হয়েছে কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ছয়জন বিচারপতি রয়েছেন। জ্যেষ্ঠতার তালিকায় শীর্ষে থাকা বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে। রীতি অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতিদের মধ্য থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে, যদিও সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে এই বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া আছে।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারও আপিল বিভাগ থেকেই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তবে জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থান-পরবর্তী অস্থির সময়ে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটে ছাত্র-জনতার দাবির মুখে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়। বিচার বিভাগের ইতিহাসে এটি এক অনন্য নজির, কারণ অতীতে সব প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগ থেকে নিয়োগ পেয়েছেন।
সংবিধানের ৯৫ ও ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন এবং প্রয়োজনে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যদিও সংবিধানে জ্যেষ্ঠতা বাধ্যতামূলক বলা হয়নি, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করার সুপারিশ করেছিল। কমিশন আরও বলেছে, জ্যেষ্ঠ বিচারপতির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকলে দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ বিচারপতিকে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বর্তমান সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার বাধ্যবাধকতা নেই; রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যেকোনো বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করতে পারেন। এখন সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপতির হাতে তিনি কাকে দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বেছে নেবেন।
আসন্ন নিয়োগকে সামনে রেখে আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির প্রোফাইল নিয়েও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম নুরুল ইসলাম ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি জাহানারা আরজুর সন্তান। ১৯৮৩ সালে আইন পেশায় প্রবেশ করে তিনি ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং ২০২২ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ২০০৩ সালে হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ধাপে ধাপে উন্নীত হয়ে ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে যোগ দেন। তিনিও সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পরিবারের সন্তান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ১৯৮৪ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে যাত্রা শুরু করেন এবং ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০২৪ সালে তিনি আপিল বিভাগের বিচারপতি হন। বিচারপতি এস.এম. ইমদাদুল হক ১৯৯০ সালে আইন পেশায় প্রবেশ করেন। ২০০৪ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০২৪ সালে আপিল বিভাগে উন্নীত হন।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান দীর্ঘ আইনি অভিজ্ঞতার পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ২০২৫ সালে আপিল বিভাগে ওঠেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব আইনজীবী পরিবারের সন্তান হাইকোর্টের বিচারক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর ২০২৫ সালে আপিল বিভাগের বিচারপতি হন।
প্রধান বিচারপতি নিয়োগকে ঘিরে এখন আদালতপাড়া সরগরম। আইনজীবী মহলে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের যোগ্যতা, সিনিয়রিটি ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা। সবশেষ সিদ্ধান্ত এখন রাষ্ট্রপতির হাতে, যিনি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতির নাম ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
-রফিক
জুলাই–আগস্ট হত্যামামলায় সাবেক ১৭ মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী ট্রাইব্যুনালে
জুলাই–আগস্ট ২০২৪-এর ছাত্র–জনতার গণআন্দোলন দমনকালে সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা সরকারের সময়কার সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীসহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার শুনানি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় তাদের প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আনা হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা একে একে তাদের হাজতখানায় নিয়ে যায়।
এদিন ট্রাইব্যুনাল–১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার অগ্রগতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে গঠনমূলক অভিযোগ উত্থাপনসহ বেশ কয়েকটি মামলার প্রমাণ উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হাজির করা আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদ সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক এমপি সোলায়মান সেলিম, সাবেক এমপি ফারুক খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সাবেক বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
প্রসিকিউশন ইতোমধ্যে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও পলকের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠন করেছে। ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণও চলছে। আরও একটি মামলায় জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখে গণহত্যায় প্রত্যক্ষ ভূমিকার অভিযোগ এনে সজীব ওয়াজেদ জয় ও পলকের অভিযোগ আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে।
কারফিউ জারি ও বলপ্রয়োগ করে ছাত্র–জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনার অভিযোগে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধেও পৃথক শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছে আদালত।
এছাড়া গত ১৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল–১ সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দাখিলযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা দিতে নির্দেশ দেয়। পরবর্তীতে প্রসিকিউশনের সময় চাওয়ার পরও তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল অতিরিক্ত সময় দিয়েছে।
সকালে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নজিরবিহীন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আদালত চত্বরে প্রবেশকারী প্রায় সকলকেই তল্লাশি করে ভিতরে ঢুকতে দেন। পরিস্থিতি ছিল অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ও সতর্কতামূলক।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- ২৯ ডিসেম্বরের শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ২৯ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ ১০ দরহারানো শেয়ার
- বাজারে উত্থান: সেরা ১০ শেয়ারের তালিকা
- সাইবেরিয়ান বিড়াল জেবু ও তারেক রহমান পরিবারের গল্প
- ঢাকা-১৫ জামায়াত আমিরের বিপক্ষে নামলেন যে বিএনপি প্রার্থী
- এমবিবিএস-বিডিএস ভর্তি পিছাল, নতুন তারিখ ঘোষণা
- শীতের সুপারফুড মূলার অজানা উপকারিতা
- রাতে ঘুমানোর আগে শক্তিশালী আমল জেনে নিন
- ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ঈদের ছুটি থাকবে যতদিন
- গাজর খেলেই সুস্থতা, জানুন ৫টি বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
- একদিনেই রেকর্ড, দেশে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ বিক্রি
- শেয়ারবাজারে মার্জিন সুবিধা পাচ্ছে কোন কোম্পানিগুলো
- ডায়েট না কি চিকিৎসা: কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার গোপন টিপস
- ডিএসই মধ্যাহ্ন বাজারে শীর্ষ ২০ শেয়ারের চিত্র
- শীতে দীর্ঘমেয়াদী কাশি এড়াতে জাদুকরী ৪ টিপস
- হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য মাঠ ছাড়লেন জামায়াত নেতা
- ডিএসই পরিদর্শন যে পাঁচ কোম্পানির কারখানা বন্ধ
- আল-হাজ টেক্সটাইলসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিক প্রকাশ
- ডক্টর ডুম বনাম এক্স-মেন: ফাঁস হওয়া টিজারে মার্ভেলের সবচেয়ে বড় ধামাকা
- আল-হাজ টেক্সটাইলসের লভ্যাংশ ঘোষণা, জানুন রেকর্ড তারিখ
- মিউচুয়াল ফান্ডে ডিসকাউন্ট, কোনগুলো এগিয়ে
- বছরের শেষ প্রান্তে শেয়ারবাজারে অনিশ্চয়তা
- হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশা থেকে মুক্তি কবে? যা জানাল আবহাওয়া অফিস
- গত ৪৮ ঘণ্টার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল যশোর
- এনসিপি প্রধানের জন্য মাঠ খালি করল জামায়াত
- অপরাধী পালানো রুখতে সীমান্তে লাল সতর্কতা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- সাধারণের নাগালের বাইরে সোনার বাজার: মধ্যবিত্তের সোনা কেনার স্বপ্ন কি তবে শেষ
- পারমাণবিক শক্তি হবে সীমাহীন: কিম জং উনের নতুন নির্দেশে কাঁপছে বিশ্ব
- কেন আর সিনেমায় দেখা যাবে না বিজয়কে: বিদায়বেলায় বড় রহস্য ফাঁস
- ঘরের বাইরে যাওয়ার আগে জেনে নিন আজকের আবহাওয়ার হালচাল
- সোমবারের ঢাকা: যেসব কর্মসূচির কারণে অচল হতে পারে রাজপথ
- রিজার্ভ বাড়লেও কেন কাটছে না মানুষের দুর্ভোগ: অর্থনীতির আসল চিত্র ফাঁস
- এক নজরে টিভিতে আজকের খেলা: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
- নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এনসিপি নেত্রী
- আজ ২৯ ডিসেম্বরের নামাজের সময়সূচি
- দুই মেরুতে বিভক্ত বাংলাদেশ: ২৯ বনাম ১০ দলের লড়াইয়ে কার পাল্লা ভারী
- একই দলে রোনালদো ও মেসি: অবিশ্বাস্য খবরের আসল রহস্য ফাঁস
- পৃথিবী থেকে সাহায্য ছাড়াই মঙ্গলে থাকা সম্ভব: বিজ্ঞানীদের অবিশ্বাস্য দাবি
- শীতে ত্বক উজ্জ্বল করার জাদুকরী ৩ উপায়
- চক্রান্তকারীদের ফাঁদে পা দেবেন না :আলেমদের সামনে কেন এমন বললেন ফখরুল
- কেন জামায়াতের হাত ধরল এনসিপি: সংবাদ সম্মেলনে জানালেন নাহিদ
- নৈতিকতা বিক্রি করে রাজনীতি করব না: এনসিপি নেত্রী
- প্রবাসীদের অবিশ্বাস্য সাড়ায় রেমিট্যান্সের বন্যায় ভাসছে দেশ
- ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনে ঢাকার কড়া প্রতিবাদ
- লড়াইয়ের আগেই ময়দান ছাড়লেন আন্দালিভ পার্থ
- আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন এনসিপি নেতা আখতার
- শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের হুংকার: অন্তর্বর্তী সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি
- নির্বাচনের আগে নয়া মেরুকরণ: জামায়াতের জোটের পরিধি বেড়ে হলো ১০
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- কোরআন ও সুন্নাহই হবে আইনের ভিত্তি: মির্জা ফখরুল
- আজ ঢাবির ভর্তি যুদ্ধ: আছে এমআইএসটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ খবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- নারী-সঙ্গীর হাতে পুরুষের যৌনাঙ্গ ছিন্নকরণ: বাংলাদেশে অবহেলিত এক সহিংসতার সংকট
- আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের নতুন মূল্য
- আজ টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের জন্য বড় সুখবর
- আজকের স্বর্ণের দাম: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ ইতিহাসের দামী সোনা কিনবেন ক্রেতারা
- বাবার কবরের সামনে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদেছেন তারেক রহমান
- আজ থেকে শুরু বিপিএলের দ্বাদশ আসর, জানুন পূর্ণাঙ্গ সময়সূচী
- বাংলা দখল করতে এলে দিল্লি কেড়ে নেব: মমতা
- জামায়াত-চরমোনাই দ্বিমুখী লড়াই: সংকটে ইসলামী জোট
- আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন থাকবে যেসব এলাকাই
- ২০২৬ সালে স্কুলে ছুটি কমলো ১২ দিন, দেখে নিন তালিকা
- নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?








