১ কোটি টাকার বদলে ১৮ লাখ টাকার লিফট! দুর্নীতির মহোৎসব

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ০৯:৫২:০৫
১ কোটি টাকার বদলে ১৮ লাখ টাকার লিফট! দুর্নীতির মহোৎসব
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যুৎ বিভাগে লিফট কেনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এক শক্তিশালী দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট। সাম্প্রতিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অন্তত ছয়টি প্রকল্পে নিম্নমানের লিফট সরবরাহ করে এই চক্র কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রকল্পের টেন্ডারে উল্লেখ ছিল ‘এ’ গ্রেড আন্তর্জাতিক মানের লিফট সরবরাহের কথা, কিন্তু বাস্তবে দেওয়া হয়েছে ‘সি’ ও ‘ডি’ গ্রেডের চায়না প্রোডাক্ট। দরপত্রে প্রতিটি লিফটের মূল্য ধরা হয়েছিল এক কোটি ১৫ লাখ টাকা, অথচ যেগুলো সরবরাহ করা হয়েছে তাদের বাজারমূল্য মাত্র ১৮ লাখ টাকার মতো। ফলে একাধিক প্রকল্প থেকে প্রায় সাত কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এই অর্থ লোপাটে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে বন্দরের বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচালক এসএম সাইফুল ইসলাম, উপপ্রধান প্রকৌশলী মো. মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক এমপি আলি আজগর, সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদের ব্যক্তিগত সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আরশাদ পারভেজ এবং ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে। তারা একত্রে বন্দরে এমন একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন, যারা নিয়মবহির্ভূতভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়াকে “ওয়ার্কস” হিসেবে সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট ঠিকাদারদের পক্ষে সুবিধা নিশ্চিত করেছে। সরকারি ক্রয়বিধি অনুযায়ী, লিফট কেনা পণ্য শ্রেণির (গুডস) প্রকল্পের আওতায় পড়ে এবং এতে আন্তর্জাতিক মান যাচাই বাধ্যতামূলক। কিন্তু “ওয়ার্কস” হিসেবে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ফলে আন্তর্জাতিক মান যাচাই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে, যা দুর্নীতির একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

২০২২ সালে বন্দরের চার নম্বর গেটের ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিসিং বিল্ডিং’-এর জন্য চারটি ‘এ’ গ্রেড লিফট সরবরাহের দরপত্র আহ্বান করা হয়। শর্ত ছিল জাপানের ফুজিটেক, হিটাচি, মিৎসুবিশি, ফিনল্যান্ডের কোনে, যুক্তরাষ্ট্র-ফ্রান্সের ওটিস বা জার্মানির থাইসেনক্রুপের মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের লিফট সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ‘ফুজাও, ফুজি এলিভেটেড কো. লি., চায়না’ নামের নিম্নমানের লিফট, যার প্রতিটির দাম সর্বোচ্চ ১৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটির কাজ পেয়েছিল ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলমের প্রতিষ্ঠান ‘এ অ্যান্ড জে ইন্টারন্যাশনাল’। তিনি চারটি নিম্নমানের লিফট সরবরাহ করেন এবং এর মাধ্যমে প্রায় চার কোটি টাকার বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেন।

একই ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে বন্দর হাসপাতাল সংলগ্ন ফার্স্ট ক্লাস অফিসার্স কোয়ার্টার, অফিসার্স ডরমিটরি, স্টোর ভবন, প্রশাসনিক ভবন ও কার শেড প্রকল্পেও। এসব জায়গায় ‘এ’ গ্রেডের পরিবর্তে ‘বি’, ‘সি’ এবং ‘ডি’ গ্রেড লিফট বসানো হয়েছে। এভাবে ছয়টি প্রকল্পে সাত কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এ অ্যান্ড জে ইন্টারন্যাশনাল’, ‘ম্যাক্সওয়েল সিমেন্স পাওয়ার প্লাস’, ‘এবিএম ওয়াটার কোম্পানি’ ও ‘গ্রিন ডট’। এগুলোর মালিক যথাক্রমে মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. শাখাওয়াত হোসেন এবং আতাউল করিম সেলিম। বন্দরের কর্মকর্তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এরা একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটায়। ঠিকাদাররা জানান, এখন বন্দরে টেন্ডার মানে এক ধরনের ‘প্যাকেজ সিস্টেম’, যেখানে আগেই ঠিক করে রাখা হয় কে কাজ পাবে, বাকিরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, ‘এ’ গ্রেড লিফটে উচ্চমানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ইউরোপীয় গিয়ারলেস মোটর, কার্বন স্টিল রোপ, অয়েল ফ্রি প্রযুক্তি এবং সার্টিফায়েড কন্ট্রোল ইউনিট থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু বন্দরে স্থাপিত লিফটগুলোতে এসব উপাদান অনুপস্থিত। একজন প্রকৌশলী বলেন, “এই লিফটগুলো শুধুই নিম্নমানের নয়, এগুলো কর্মীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।” অনেক ভবনে এসব লিফট বারবার আটকে যাচ্ছে, সার্ভিসিং করতে হচ্ছে ঘন ঘন, অথচ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, সিন্ডিকেটে জড়িত কয়েকজন কর্মকর্তা বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারেরও তথ্য রয়েছে। বিষয়টি এখন দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে এসেছে।

এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী। তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের মতো কৌশলগত একটি প্রতিষ্ঠানে বছরের পর বছর এমন অনিয়ম চলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এক কোটি ১৫ লাখ টাকার লিফটের জায়গায় ১৮ লাখ টাকার লিফট বসানো মানে রাষ্ট্রীয় অর্থ সরাসরি লুট। এটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির স্পষ্ট উদাহরণ।” তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের আহ্বান জানান।

অন্যদিকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তিনজন অভিজ্ঞ প্রকৌশলী মনে করেন, বন্দরে স্থাপিত লিফটগুলোর মান ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের জন্য একটি স্বাধীন টেকনিক্যাল অডিট টিম গঠন করা জরুরি। তারা বলেন, “এ’ গ্রেডের টেন্ডারে যদি ‘সি’ গ্রেড লিফট বসানো হয়, তাহলে এটি কেবল আর্থিক নয়, জননিরাপত্তার বিরুদ্ধেও অপরাধ।”

ঠিকাদার মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, “কোন ধরনের লিফট সরবরাহ করা হয়েছে, তা প্রকৌশলীরাই ভালো জানেন।” পরে আর কোনো মন্তব্য না করে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। বন্দরের বিদ্যুৎ বিভাগের পরিচালক এসএম সাইফুল ইসলাম বলেন, “সরেজমিনে দেখে তারপর প্রতিবেদন লিখুন।” উপপ্রধান প্রকৌশলী মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম বন্দরের চিফ পারসোনাল অফিসার মো. নাসির উদ্দিন বলেছেন, “এটি ভয়াবহ দুর্নীতির একটি অংশ। আমরা তদন্ত করব এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

-শরিফুল


রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৯ ০৯:২৪:৪৪
রবিবার ঢাকায় বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট ও এলাকা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকায় সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে বিভিন্ন মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে, যা ঢাকা সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়। রবিবারও তার ব্যতিক্রম নয়। তাই কেনাকাটার পরিকল্পনা করার আগে জানা জরুরি আজ কোন কোন এলাকার দোকানপাট এবং জনপ্রিয় মার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে। এতে যেমন সময় বাঁচবে, তেমনি অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা থেকেও রেহাই পাওয়া যাবে।

রবিবার রাজধানীর উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে আগারগাঁও, তালতলা, শেরেবাংলা নগর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, পল্লবী, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১২, মিরপুর-১৩, মিরপুর-১৪, ইব্রাহীমপুর, কচুক্ষেত, কাফরুল, মহাখালী, নিউ ডিওএইচএস, ওল্ড ডিওএইচএস, কাকলী, তেজগাঁও ওল্ড এয়ারপোর্ট অঞ্চল, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান-১, গুলশান-২, বনানী, মহাখালী বাণিজ্যিক অঞ্চল, নাখালপাড়া, মহাখালী ইন্টারসিটি বাস টার্মিনাল অঞ্চল, রামপুরা, বনশ্রী, খিলগাঁও, গোড়ান, মালিবাগের একাংশ, বাসাবো, ধলপুর, সায়েদাবাদ, মাদারটেক, মুগদা, কমলাপুরের একাংশ, যাত্রাবাড়ীর একাংশ, শনির আখড়া, দনিয়া এবং রায়েরবাগ। এই সব এলাকায় রবিবারের দিনে দোকানপাট, বাজার এবং শপিং সেন্টার বন্ধ থাকে। তবে ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান এবং ছোট গ্রোসারি স্টোরগুলো খোলা থাকতে পারে।

এছাড়া রাজধানীর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটও রবিবার বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে বিসিএস কম্পিউটার সিটি (আইডিবি), পল্লবী সুপার মার্কেট, মিরপুর বেনারসী পল্লী, ইব্রাহীমপুর বাজার, রজনীগন্ধা মার্কেট, ইউএই মৈত্রী কমপ্লেক্স, বনানী সুপার মার্কেট, ডিসিসি মার্কেট গুলশান-১ ও ২, গুলশান পিংক সিটি, মোল্লা টাওয়ার, আল-আমিন সুপার মার্কেট, রামপুরা সুপার মার্কেট, মালিবাগ সুপার মার্কেট, তালতলা সিটি করপোরেশন মার্কেট, কমলাপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, গোড়ান বাজার, আবেদিন টাওয়ার, ঢাকা শপিং সেন্টার, আয়েশা মোশারফ শপিং কমপ্লেক্স এবং মিতালী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস সুপার মার্কেট।

ঢাকায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বিভিন্ন মার্কেট ও বাণিজ্যিক এলাকায় কেনাকাটা, ব্যবসা বা কর্মক্ষেত্রের কাজে যান। অনেক সময় তারা মার্কেট বন্ধ থাকার বিষয়টি না জানায় বিপাকে পড়েন। তাই আগেভাগেই মার্কেট বন্ধের দিন জানা থাকলে সময় ও যাতায়াত উভয়ই বাঁচানো সম্ভব। বিশেষ করে যারা দূরবর্তী এলাকা থেকে আসেন, তাদের জন্য এটি জানা আরও জরুরি।

রবিবার যদি কেউ কেনাকাটার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে বিকল্প হিসেবে রাজধানীর কিছু এলাকা খোলা থাকবে। যেমন গুলিস্তান, নিউ মার্কেট, হাতিরপুল, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, চাঁদনী চক ও মালিবাগের কিছু অংশের দোকান খোলা থাকে। এসব এলাকায় রবিবার ক্রেতাদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম থাকে, ফলে সহজে কেনাকাটা করা যায়।

-রাফসান


রাজধানীতে ডিএমপি'র 'বড় মহড়া': যমুনা, সচিবালয়সহ ১৪২ স্পটে সাত হাজার পুলিশ সদস্যের তৎপরতা

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ২১:৪৬:৫৯
রাজধানীতে ডিএমপি'র 'বড় মহড়া': যমুনা, সচিবালয়সহ ১৪২ স্পটে সাত হাজার পুলিশ সদস্যের তৎপরতা

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর ১৪২টি গুরুত্বপূর্ণ স্পটে একযোগে একটি ‘বড় মহড়া’ পরিচালনা করেছে। এই মহড়ায় ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার মোট সাত হাজার পুলিশ সদস্য অংশ নেন। শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত চলে এই মহড়া। এই মহড়ার অন্তর্ভুক্ত ছিল দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনের স্পটগুলো। এর মধ্যে অন্যতম হলো প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা, বাংলাদেশ সচিবালয়, হাইকোর্ট, বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।

নিয়মিত কার্যক্রম না নিরাপত্তা জোরদার?

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই মহড়া নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, "আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমেরই অংশ হিসেবে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কুইক রেসপন্স মহড়া করা হয়েছে।"

তবে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজধানীজুড়ে ঘটে যাওয়া কিছু সহিংস ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বাড়ানোর অংশ হিসেবেই এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল গির্জায় ককটেল নিক্ষেপ এবং ধানমন্ডি শংকর এলাকায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা।

মহড়ার এলাকা ও উদ্দেশ্য

ডিএমপি'র আটটি বিভাগ জুড়ে মোট ১৪২টি স্পটে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগ অনুযায়ী মহড়ার স্পটগুলো হলো: তেজগাঁও (১৬টি), রমনা (৩৪টি), মিরপুর (১৪টি), মতিঝিল (১৭টি), ওয়ারী (১৬টি), লালবাগ (১৫টি), গুলশান (১৪টি) এবং উত্তরা (১৬টি)।

ডিএমপির এক উপকমিশনার (ডিসি) জানান, পুলিশের এই মহড়াটি মূলত ফোর্স ও অফিসারদের এক্সিভিশন বা প্রদর্শনীর মতো। এর মূল উদ্দেশ্য হলো রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশের নিয়ন্ত্রণমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। যারা অপরাধ করতে চায় বা অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়, এই মহড়া মূলত তাদের বিরুদ্ধে একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। এর আগে চলতি বছরের ৫ আগস্টের আগে সীমিত আকারে এ ধরনের মহড়া অনুষ্ঠিত হলেও, এটি দ্বিতীয়বারের মতো ডিএমপি'র বৃহৎ পরিসরের মহড়া।


নাটোরে প্রকৃতির বিস্ময়! এক কাণ্ডে ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৫:৪৯:০৮
নাটোরে প্রকৃতির বিস্ময়! এক কাণ্ডে ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছ
ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে আছে এক অবিশ্বাস্য প্রাকৃতিক বিস্ময় একটি ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছ। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে অনেকগুলো গাছ। কিন্তু কাছে গেলে বোঝা যায়, এটি আসলে একক কাণ্ড থেকে জন্ম নেওয়া বহু মাথাওয়ালা একটিমাত্র গাছ। এই গাছটি এখন স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘কুদরতি নিদর্শন’ নামে, এবং প্রতিদিন শত শত মানুষ এই গাছ দেখতে আসছেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, গাছটির বয়স প্রায় ২৫ থেকে ২৬ বছর। একসময় এর মাথার সংখ্যা ছিল ১৪টি, বর্তমানে ১৩টি মাথা সবুজ ও সতেজভাবে বেড়ে উঠেছে। প্রতিটি মাথায় ঘন ও ছড়ানো পাতা এমনভাবে বিস্তৃত যে মনে হয়, প্রকৃতি নিজেই যেন এক অনন্য ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছে। এর প্রতিটি ডগায় ঝুলছে নতুন কচি পাতার মেলা দেখলে মনে হয় প্রকৃতি যেন এক শিল্পীর তুলি দিয়ে গড়েছে এই সৃষ্টিকে।

কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম বলেন, “গাছটি আমরা প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে লাগিয়েছিলাম। কয়েক বছর পর থেকেই কাণ্ডে একাধিক মাথা গজাতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাথার সংখ্যা বেড়েছে, আবার কিছু শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে ১৩টি মাথা টিকে আছে। আমরা নিয়মিত সার ও ওষুধ দিয়ে গাছটির যত্ন নিই।” তিনি বলেন, “আমার জীবনে এমন গাছ আর দেখিনি। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধু এই গাছটি একবার দেখার জন্য। এটি নিঃসন্দেহে প্রকৃতির এক বিরল ও সুন্দর নিদর্শন।”

স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বলেন, “একটি নারকেল গাছে এতগুলো মাথা—এমন দৃশ্য আমরা শুধু ছবিতে দেখি। এটি আল্লাহর এক অসাধারণ সৃষ্টি, একেবারে কুদরতি নিদর্শন। বর্তমানে ১৩টি মাথা পুরোপুরি সতেজ রয়েছে। মানুষ গাছটি দেখতে আসে, ছবি তোলে, ফেসবুকে শেয়ার করে—আমাদের এলাকার গর্ব এখন এই গাছ।”

শুধু বড়রাই নয়, ছোটরাও সমান উৎসাহী। কাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম জানায়, “আমাদের স্কুলে অনেক মানুষ আসে এই নারকেল গাছ দেখতে। সবাই গাছটি দেখে খুশি হয়, আর আমরা গর্ব করি যে এমন গাছ আমাদের স্কুলে আছে।”

এলাকার মানুষ মনে করেন, এই গাছটি কেবল একটি প্রাকৃতিক বিস্ময় নয়, এটি স্থানীয় পর্যটন আকর্ষণেরও সম্ভাবনা তৈরি করেছে। কেউ কেউ বলছেন, গাছটি যদি যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও প্রচার করা যায়, তবে এটি নাটোর জেলার একটি পর্যটন স্পট হিসেবেও পরিচিতি পেতে পারে। এতে যেমন বাড়বে এলাকার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব, তেমনি মানুষ কাছ থেকে প্রকৃতির এই বৈচিত্র্য দেখার সুযোগ পাবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে. এম. রাফিউল ইসলাম বলেন, “একটি নারকেল গাছে ১৩-১৪টি মাথা গজানো সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। এটি একটি বিরল জেনেটিক মিউটেশন, যা অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও গবেষণাযোগ্য। সাধারণত একটি নারকেল গাছে একটি কাণ্ড ও একটি মাথা থাকে, কিন্তু এটির জিনগত বৈশিষ্ট্য ভিন্ন হওয়ায় একাধিক শাখা বা মাথা তৈরি হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “গাছটির পরিচর্যা এবং সার ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত তত্ত্বাবধান করবেন। সঠিক যত্ন নেওয়া গেলে এটি দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে এবং ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।”

স্থানীয় কৃষকরা বলেন, গাছটি আশেপাশের এলাকায় একটি প্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছে। অনেকেই এখন বিশেষ ধরনের নারকেল গাছ বা ফলের প্রজাতি নিয়ে গবেষণা ও চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গাছটি যেন এখন কেবল প্রকৃতির উপহার নয়, এক অনুপ্রেরণার উৎসও বটে।

প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় মানুষ ও বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়ে জমজমাট থাকে কলেজ প্রাঙ্গণ। কেউ ছবি তোলে, কেউ ভিডিও করে, কেউ আবার গাছটির পাশে বসে গল্প করে বা প্রার্থনা করে। প্রকৃতির এই অনন্য সৃষ্টিকে ঘিরে সবার মনে একটাই অনুভূতি বিস্ময় আর মুগ্ধতা।

এলাকাবাসীর দাবি, গাছটি যদি সরকারি উদ্যোগে সংরক্ষণ করা হয় এবং এর চারপাশে পর্যটন অবকাঠামো গড়ে তোলা যায়, তবে এটি নাটোরের একটি ‘নেচার হেরিটেজ’ বা প্রাকৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে।


তুলার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট, নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনো

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১৪:০৬:৩৭
তুলার গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট, নিয়ন্ত্রণে আসেনি এখনো
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় একটি তুলার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।

আগুন লাগার বিবরণ ও তৎপরতা

প্রত্যক্ষদর্শী এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় অবস্থিত একটি তুলার গুদামে প্রথম আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখে আশপাশের লোকজন আগুন নেভানোর জন্য দ্রুত ছুটে আসেন। তবে দ্রুতই আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কাজ শুরু করে।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এখনো আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


এবার সামনে এলো বাবলা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য: কিলিং মিশনে জড়িত ৪ জন শনাক্ত

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১২:৫৫:৫১
এবার সামনে এলো বাবলা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য: কিলিং মিশনে জড়িত ৪ জন শনাক্ত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে সরোয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যা করার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলায় বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদকে প্রধান হোতা বা মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগকালে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে নিহত সরোয়ার বাবলা'র বাবা আবদুল কাদের বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সাজ্জাদ আলীসহ মোট সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং ১৪ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

কিলিং মিশনে জড়িতদের পরিচয়

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন, মামলার এজাহারভুক্ত চারজন আসামি সরাসরি কিলিং মিশনে জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় নিম্নরূপ:

রায়হান (৩৫): পূর্ব রাউজানের বদিউল আলমের ছেলে।

মোবারক হোসেন ইমন (২২): ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর গ্রামের মোহাম্মদ মুসার ছেলে।

বোরহান (২৭): নগরীর খুলশী সিডিএ পুনর্বাসন এলাকার খায়রুল আলমের ছেলে।

মো. খোরশেদ (৪৫): রাউজানের পরীর দিঘির পাড় এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

হত্যার পদ্ধতি ও র‍্যাবের অভিযান

হামলাকারীরা সরোয়ার বাবলার মৃত্যু নিশ্চিত করতে ৭.৬২ বোরের বিদেশি পিস্তল ব্যবহার করেছিল। প্রাথমিক তিনটি গুলির পর তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং আরও কয়েকটি গুলি করে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

মামলা দায়েরের পরপরই র‍্যাব অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার ভোরে চান্দগাঁও থানার হাজীরপুল এলাকা থেকে দুই আসামি আলাউদ্দিন ও হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। র‍্যাব-৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে, তবে মামলার অন্যান্য আসামিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।

গণসংযোগ চলাকালে এই হামলায় গুলিবিদ্ধ হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন, তাঁর বুকের ডান পাশে ও পায়ে গুলি লেগেছিল। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

'বড় সাজ্জাদ' যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন অপরাধ জগৎ

নগরীর পুলিশ ও পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বড় সাজ্জাদের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে বসে চট্টগ্রামের অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছেন। পুলিশ জানায়, তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়, যার মধ্যে রয়েছে মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি, বালুমহাল-ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার।


আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের রাজশাহী সফর: নির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে টিটিসি পরিদর্শন

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৮ ১২:৩৭:১৮
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের রাজশাহী সফর: নির্বাচনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে টিটিসি পরিদর্শন
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (ফাইল ফটো)

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল রাজশাহী সফরে গিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। শনিবার সকালে তিনি নগরীর রাজশাহী মহিলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

এ সময় সাংবাদিকরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে আমি রাজশাহীতে আসিনি।"

কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিদর্শনে মনোযোগ

নির্বাচন সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়ে আইন উপদেষ্টা তার সফরের মূল উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, "এটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)। সারাদেশে শতাধিক টিটিসি আছে।"

আসিফ নজরুল বলেন, এসব কেন্দ্রে যারা কাজ করেন, তারা কর্মসংস্থানের জন্য দেশে-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, "মেয়েদের যে টিটিসি রাজশাহীতে অবস্থিত, সেটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম।"

এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বিভিন্ন কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। এই সময় রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ টিটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


চট্টগ্রামের রাউজানে ফের হামলা: বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ০৯:৩৭:১৮
চট্টগ্রামের রাউজানে ফের হামলা: বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ
আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার ১৪ নম্বর বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কোয়েপাড়া গ্রামের চৌধুরী পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে, কারণ তার বুকে গুলি লেগেছে। আহত বাকি চারজন হলেন— বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল এবং বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। আহতরা সবাই বাগোয়ান ইউনিয়নের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুলি চালিয়ে দুর্বৃত্তরা একটি গাড়িতে করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আহত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এই হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও, এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


রকেটের গতিতে পেঁয়াজের দাম; সরকার কি হার মানবে সিন্ডিকেটের কাছে?

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৬ ০৯:২৫:৩৮
রকেটের গতিতে পেঁয়াজের দাম; সরকার কি হার মানবে সিন্ডিকেটের কাছে?
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের পেঁয়াজের বাজারে আবারও হঠাৎ করেই অস্থিরতা শুরু হয়েছে। মাত্র পাঁচ থেকে ছয় দিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রায় ৫২ শতাংশ।

আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কম থাকার অজুহাত দেখালেও, ভোক্তা অধিকার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এটি স্বাভাবিক ওঠানামা নয়। বরং একটি সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে, যাতে সরকার আমদানির অনুমতি দিতে বাধ্য হয়।

গতকাল বুধবার রাজধানীর মালিবাগ, কারওয়ান বাজার ও আগারগাঁওয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতি কেজি দেশি ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, যা পাঁচ-ছয় দিন আগে ছিল ৮০ টাকার আশপাশে।

আমদানিকারক ও বড় পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে দৈনিক পেঁয়াজের চাহিদা ছয় থেকে সাত হাজার টন হলেও বাজারে এখন সরবরাহ কম। মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানোর পর সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিপাতে সেসব পেঁয়াজ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন চাষির ঘরে পেঁয়াজ নেই। দেড় থেকে দুই মাসের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ আসবে, তাই আমদানির বিকল্প নেই। শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজেদ বলেন, আমদানির পথ খুলে দিলে দুই দিনের মাথায় কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় নেমে আসবে।

কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলছেন, পেঁয়াজ এখন মজুতদারদের হাতে। প্রতিবছর এই সময়ে সংকটের অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়ানো হয়। তিনি অভিযোগ করেন, আইপি বন্ধের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা মানুষের পকেট কাটছে এবং সরকার নির্বাচন ও রাজনৈতিক চাপে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে নজর কম।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) ড. জামাল উদ্দীন বলেন, এই মুহূর্তে দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। এটি কারসাজি ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত ১৫ বছরে যারা বিভিন্নভাবে সিন্ডিকেট করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করত, তারা ফের সক্রিয় হয়ে বাজার অস্থির করার চেষ্টা করছে।

বর্তমানে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হলেও কৃষি মন্ত্রণালয় এখনই পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দিতে নারাজ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুর রহমান বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ এ মাসেই বাজারে আসবে এবং এখন আমদানি করলে স্থানীয় কৃষক বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন। কৃষকের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করাই তাদের অগ্রাধিকার।

এই অবস্থানের পক্ষে কৃষকরাও সমর্থন দিচ্ছেন। পাবনার চাটমোহরের কৃষক রণজিৎ চন্দ্র দাশ বলেন, প্রতি কেজি পেঁয়াজ উৎপাদনে ৪০ টাকা খরচ হয়। ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে ঢুকলে তারা আবারও ক্ষতির মুখে পড়বেন এবং টিকতে পারবেন না।

অন্যদিকে, জানা গেছে যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ে ইতোমধ্যে দুই হাজার ৮০০টি আইপি আবেদন জমা পড়েছে। কিছু ব্যবসায়ী আইপি ছাড়া এলসি খুলে পেঁয়াজ বন্দরে এনে সরকারকে চাপে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বার্ষিক চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন, আর দেশীয় উৎপাদন ৩৫ থেকে ৩৭ লাখ টন। তবে সংরক্ষণে ২৫ শতাংশ নষ্ট হওয়ায় প্রতি বছর ছয় থেকে সাত লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

বাজার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছু ব্যবসায়ী ভারতের সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কম দামে পেঁয়াজ কিনে দেশে এনে বেশি দামে বিক্রি করেন। হাইকোর্টে আইপি না দেওয়ার বিরুদ্ধে করা ১৪টি রিটও ইতোমধ্যে খারিজ হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. এমদাদ উল্লাহ জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য হলো কৃষক যেন লাভবান হন এবং ভোক্তাও যেন ন্যায্যমূল্যে পণ্য পান। স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সরকার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে জোর দিয়েছে এবং সংরক্ষণে সহায়তার জন্য আট হাজার 'এয়ার ফ্লো মেশিন' স্থাপন করা হয়েছে।


মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই হামলা; চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৫ ২০:০৯:১৬
মনোনয়ন ঘোষণার একদিন পরই হামলা; চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ
হামজারবাগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন একজন। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও-পাঁচলাইশ-বায়েজিদ আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গণসংযোগ চালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানার হামজারবাগ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এরশাদ উল্লাহ ছাড়াও সারোয়ার বাবলাসহ আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ আহত এরশাদ উল্লাহকে দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে (এভারকেয়ার হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাকি দুজনকেও হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তবে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এরশাদ উল্লাহ নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় দুর্বৃত্তরা সরওয়ার বাবলা নামের একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে এরশাদ উল্লাহ, সরওয়ার বাবলাসহ মোট তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) আমিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার খবর পাওয়ার পরপরই তারা ঘটনাস্থলে গেছেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন নিশ্চিত করেন, এরশাদ উল্লাহ বায়েজিদ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন, এই সময় দুর্বৃত্তরা এসে গুলি করে।

ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, "এরশাদ উল্লাহসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি।"

এদিকে আজ সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেল নিশ্চিত করেছে, চট্টগ্রামের হামজারবাগ এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে দুর্বৃত্তরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর হামলা চালায় এবং পায়ে গুলি করে।

স্থানীয় বিএনপি নেতারা জানান, গত সোমবার নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরপরই বুধবার সন্ধ্যার দিকে তিনি হামজারবাগ এলাকায় নেতাকর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টিতে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এই তালিকায় বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী বাদ পড়েছেন এবং বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গত সোমবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সারা দেশের ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেন।

পাঠকের মতামত:

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

গবেষণা ভিত্তিক শিক্ষা: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য এক নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পাঠদান, দীর্ঘদিন ধরে পাঠ্যপুস্তকনির্ভর শিক্ষা ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক মূল্যায়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এই ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের... বিস্তারিত

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

হাউসকা দুর্গের ভূগর্ভ আর ‘শয়তানের বাইবেল’ কোডেক্স গিগাস: কিংবদন্তি, ইতিহাস ও ভয়ের মনস্তত্ত্ব

বোহেমিয়ার অরণ্যমালায় একটি দুর্গ, হাউসকা ক্যাসেল, আর তার কয়েক মাইল দূরে এক সন্ন্যাসীর লেখা বিশাল এক পুঁথি, কোডেক্স গিগাস। শতাব্দীজুড়ে... বিস্তারিত

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় মহা সাফল্য: নতুন ভ্যাকসিনের প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা

ক্যানসার চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় শতভাগ সাড়া পাওয়ার দাবি... বিস্তারিত