ব্রিটিশ প্রতিনিধির হুঁশিয়ারি: বাংলাদেশের নির্বাচনে 'অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না হয়'

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সতর্কবার্তা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড অ্যালেক্স কার্লাইল। তিনি বলেছেন, অতীতের মতো বিতর্কিত নির্বাচন যেন আর না হয়, সে বিষয়ে সব পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে, সেটিকে 'আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জরুরি সংস্কার' প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে লর্ড কার্লাইল বলেন, "বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলের জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। ২০২৪ সালের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা একাধিক সংকট সৃষ্টি করেছে, যেগুলোর দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।"
লর্ড কার্লাইলের এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এলো, যখন নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘের কারিগরি সহযোগিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে।
২০০৮ সালে বিপুল বিজয়ে ক্ষমতায় আসার পর টানা সাড়ে ১৫ বছর দেশ শাসন করে আওয়ামী লীগ। তবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে এবং তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। তার শাসনামলে হওয়া তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে দুটি বিরোধী দলগুলোর বর্জনের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল।
লর্ড কার্লাইল বলেন, "আগামী জাতীয় নির্বাচনে অতীতের ভুল যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা নিতে হবে এবং স্বাধীন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের তত্ত্বাবধানে তা নিশ্চিত করতে হবে।" তিনি যোগ করেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পুনর্জাগরণ ও চেতনা পুনরুদ্ধারের স্বার্থে বাংলাদেশের সমাজের সব অংশকেই এই প্রক্রিয়ার অংশ হতে হবে।
জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে আন্দোলন দমনে চালানো সহিংসতায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয় এবং আরও কয়েক হাজার আহত হন। সেখানে উল্লেখ করা হয়, 'সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে' বলপ্রয়োগ করা হয়েছিল। ওই সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোর বিচারের জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আইন সংশোধন করে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়ার পথও খুলে দিয়েছে।
লর্ড কার্লাইল বলেন, "আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলছে, তবে এই আদালতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। বিচার হতে হবে স্বচ্ছ, ন্যায়সংগত এবং সংবিধান ও আইনের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত।"
তিনি আরও বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়গুলো এখন মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা রাষ্ট্র ও বিরোধী উভয় পক্ষের কাছ থেকেই নিশ্চিত করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যেও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে, তাই আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এখন অত্যন্ত জরুরি।
বদলে গেল চিরচেনা মরুভূমি: সৌদিতে তুষারপাতের ভাইরাল দৃশ্য
মরুপ্রধান দেশ সৌদি আরবে তুষারপাতের মতো এক বিরল ও অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা। উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা তীব্র শীতল বায়ুস্তরের প্রভাবে দেশটির উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের বিশাল এলাকা এখন বরফের সাদা চাদরে ঢাকা পড়েছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সৌদির বিভিন্ন প্রান্তে ভারী তুষারপাত ও বৃষ্টির ফলে তপ্ত বালুরাশির চিরচেনা মরুভূমি যেন এক মুহূর্তেই রূপ নিয়েছে শীতের রূপকথার কোনো দৃশ্যে। বিশেষ করে তাবুক ও হাইল প্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে বরফ জমে থাকতে দেখে পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তৈরি হয়েছে।
সৌদি আরবের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) জানিয়েছে যে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের তাপমাত্রা অনেক জায়গায় শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। তাবুক প্রদেশের বিখ্যাত জাবাল আল-লাওজ পাহাড়ে তুষারপাতের পাশাপাশি মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া রিয়াদের উত্তরের আল-মাজমাআ ও আল-ঘাত এলাকায় ভোরের দিকে তুষারপাত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী রিয়াদে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় জনজীবন কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাময়িকভাবে অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এনসিএমের মুখপাত্র হুসেইন আল-কাহতানি জানিয়েছেন যে উত্তর দিক থেকে আসা শীতল বায়ুর সাথে বৃষ্টিবাহী মেঘের সংমিশ্রণে এই বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে আগামী কয়েক ঘণ্টা তাপমাত্রা আরও কম থাকতে পারে এবং খোলা সড়কে তুষার জমে বরফে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাড়ি চালানোর সময় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন এবং পাহাড়ি উপত্যকা ও নিম্নাঞ্চল এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে সৌদির সিভিল ডিফেন্স বিভাগ।
এদিকে মরুভূমিতে তুষারপাতের এই বিরল দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। রিয়াদ ও এর আশপাশের অনেক বাসিন্দা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তুষারপাত দেখতে উঁচু ভূমি ও খোলা এলাকাগুলোতে ভিড় করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা একে ‘অভূতপূর্ব এক বিস্ময়’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কাসিম, হাইল এবং উত্তর সীমান্ত অঞ্চলসহ আরও বেশ কিছু এলাকায় দমকা হাওয়া ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লোহিত সাগর ও আরব উপসাগরেও ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা সাম্প্রতিক ইতিহাসের অন্যতম ব্যতিক্রমী আবহাওয়া পরিস্থিতি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের বলি ভেনেজুয়েলা: বরফশূন্য হয়ে গড়ল বিষাদময় রেকর্ড
জলবায়ু পরিবর্তনের এক ভয়াবহ পরিণতির সাক্ষী হলো দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। আধুনিক ইতিহাসের প্রথম দেশ হিসেবে দেশটি তার ভূখণ্ডের সবকটি হিমবাহ হারিয়েছে। দীর্ঘকাল ধরে ধুঁকতে থাকা ভেনেজুয়েলার শেষ অবশিষ্ট হিমবাহ ‘হামবোল্ট’ বা স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘লা করোনা’ এখন আর হিমবাহের সংজ্ঞায় পড়ে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রায়োস্ফিয়ার ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভ’ বা আইসিসিআই জানিয়েছে যে এই বরফখণ্ডটি আকারে এতটাই সংকুচিত হয়ে গেছে যে একে এখন কেবল একটি মৃতপ্রায় ‘আইস ফিল্ড’ বা বরফ ক্ষেত্র হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে একটি তুষারস্তূপকে হিমবাহ হিসেবে টিকে থাকতে হলে তার নিজস্ব ওজনে নিচের দিকে প্রবাহিত হওয়ার ক্ষমতা থাকতে হয়। হামবোল্ট হিমবাহটি গলে এখন মাত্র দুই হেক্টর বা ৫ একরেরও কম জায়গায় এসে ঠেকেছে যা এক সময় ছিল প্রায় ৪৫০ হেক্টর। সাধারণত ১০ হেক্টরের কম আয়তনের বরফখণ্ডকে আর হিমবাহ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না। ভেনেজুয়েলার সিয়েরা নেভাদা দা মেরিদা পর্বতমালায় এক সময় ছয়টি প্রকাণ্ড হিমবাহ থাকলেও গত এক শতকের ব্যবধানে সেগুলো একে একে বিলীন হয়ে গেছে। ২০১১ সালের আগেই পাঁচটি হিমবাহ গলে গিয়েছিল এবং শেষ ভরসা হিসেবে টিকে ছিল এই হামবোল্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক এল নিনোর প্রভাবে ভেনেজুয়েলার আন্দিজ অঞ্চলে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেছিলেন যে হামবোল্ট হয়তো আরও এক দশক টিকে থাকবে কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের গতি তাদের সেই আশাকে ভুল প্রমাণিত করেছে। ভেনেজুয়েলার এই চরম পরিণতিকে বিজ্ঞানীরা বিশ্বের জন্য একটি ‘আয়না’ বা সতর্কবার্তা হিসেবে দেখছেন। তাদের মতে ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো এবং স্লোভেনিয়াও খুব শীঘ্রই একই পরিণতির শিকার হতে পারে। ক্রান্তীয় অঞ্চলের এই হিমবাহগুলো গলে যাওয়ায় একদিকে যেমন স্থানীয় বাস্তুসংস্থান ধ্বংস হচ্ছে, তেমনি পাহাড়ি অঞ্চলের সুপেয় পানির উৎসগুলোও বড় ধরণের ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
পরিবেশবাদীরা সতর্ক করে বলেছেন যে একবার কোনো হিমবাহ সম্পূর্ণ গলে গেলে প্রাকৃতিক উপায়ে সেটি ফিরে আসা প্রায় অসম্ভব। ভেনেজুয়েলার এই বিয়োগান্তক ঘটনা প্রমাণ করে যে মানবসৃষ্ট কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ না করলে চলতি শতকের শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় ৮০ শতাংশ হিমবাহ চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। হিমবাহের এই অন্তর্ধান কেবল একটি দেশের ভৌগোলিক ক্ষতি নয় বরং এটি বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের এক অশনিসংকেত যা বিশ্বনেতাদের জলবায়ু ইস্যুতে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করছে।
তথ্যসূত্র : বিবিসি
ভারতের প্রেসনোট মানছে না বাংলাদেশ, কড়া বার্তা
নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের সামনে বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার স্পষ্ট প্রশ্ন হলো, কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কূটনৈতিক এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল এবং কীভাবে তারা হাইকমিশনের মূল ফটক পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হলো।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন–কে কেন্দ্র করে ঘটনার বিষয়ে ভারতের দেওয়া প্রেসনোট বাংলাদেশ সরকার পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য মনে করে। কূটনৈতিক এলাকার গভীরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ এবং হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার চেষ্টার খবরে মিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে আসে।
তিনি আরও জানান, যদি ভবিষ্যতেও বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ভারতে ঢাকার কূটনৈতিক উপস্থিতি সীমিত বা মিশনের পরিসর ছোট করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়ে ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তোলে।
জয়সওয়ালের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা কোনো পর্যায়েই নিরাপত্তা বেষ্টনি ভাঙার চেষ্টা করেনি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় এবং এর দৃশ্যমান প্রমাণ জনসমক্ষে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত সব বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ঢাকাকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শনিবার রাত স্থানীয় সময় প্রায় ৯টার দিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি দল সব নিরাপত্তা স্তর অতিক্রম করে বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। তারা বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেয় এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ–কে হত্যার হুমকিও দেয়, যা কূটনৈতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ঢাকা।
-রাফসান
কেন ডিভি লটারি বন্ধ করলেন ট্রাম্প? আসল রহস্য ফাঁস
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) সাম্প্রতিক ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনার জেরে নজিরবিহীন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘদিনের বিতর্কিত ‘ডাইভারসিটি ভিসা’ (ডিভি) বা গ্রিন কার্ড লটারি কর্মসূচিটি তিনি সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, ব্রাউন ও এমআইটি হত্যাকাণ্ডে প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্লদিও নেভেস ভ্যালান্তে একজন পর্তুগিজ নাগরিক, যিনি ২০১৭ সালে এই ডিভি লটারির মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলেন। এই চাঞ্চল্যকর তথ্যই লটারি পদ্ধতি বাতিলের পথ প্রশস্ত করেছে।
মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, লটারি ভিত্তিক এই অভিবাসন ব্যবস্থা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ছিদ্রপথ হিসেবে কাজ করছে। ক্রিস্টি নোম তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন যে, এই ধরনের ‘হিনিয়াস’ বা জঘন্য ব্যক্তিদের দেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া একটি বিশাল প্রশাসনিক ব্যর্থতা।
রিপাবলিকান সিনেটরদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ হলো, লটারির মাধ্যমে যখন কম্পিউটার কোড কাউকে নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়, তখন সেই ব্যক্তির পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ‘ডাইভারসিটি, ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন’ (DEI) নীতির পরিবর্তে এখন থেকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় কড়া স্ক্রিনিং এবং মেধাভিত্তিক অভিবাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর দল রিপাবলিকানরা মেধাভিত্তিক বা ‘মেরিট-বেজড’ অভিবাসন ব্যবস্থার দিকেই চূড়ান্তভাবে ঝুঁকছেন। প্রস্তাবিত নতুন নীতি অনুযায়ী, দৈবচয়ন বা ভাগ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রিন কার্ড না দিয়ে আবেদনকারীর শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা এবং মার্কিন অর্থনীতিতে অবদান রাখার সক্ষমতাকে যাচাই করা হবে।
এতে করে কেবল দক্ষ এবং নিরাপদ ব্যক্তিদেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ মিলবে। প্রশাসনের মতে, এতে করে মজুরি বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি ডিভি লটারির মাধ্যমে যে 'চেইন মাইগ্রেশন' বা পারিবারিক অভিবাসন ঘটে, তা-ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
মার্কিন সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৫ কোটির মতো মানুষ এই লটারির স্বপ্ন দেখেন, যার মধ্যে বাংলাদেশও এক সময় বড় অংশীদার ছিল (যদিও ২০১৩ সাল থেকে উচ্চ অভিবাসনের কারণে বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই)।
তবে ডিভি লটারি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে পারিবারিক বা পেশাগত দক্ষতাবিহীন ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকার স্বপ্ন চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে। মেধা ও কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভিসা পাওয়ার প্রতিযোগিতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া হবে অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ। যদিও এই স্থগিতাদেশটি বর্তমানে সাময়িক, তবে রিপাবলিকানরা এটিকে স্থায়ীভাবে বিলোপ করতে কংগ্রেসের মাধ্যমে নতুন আইন পাসের চেষ্টাচালাচ্ছে।
সূত্র:টাইমস অব ইন্ডিয়া
পুতিনের প্রেমের কবুলনামা: কার প্রেমে মজেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট?
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তিনি বর্তমানে কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই চরম গোপনীয়তা বজায় রাখা এই শক্তিশালী নেতা মস্কোয় আয়োজিত তার ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন। তবে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও তার সেই প্রেমিকার পরিচয় বা সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে সাফ অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। পুতিনের এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্পষ্ট স্বীকারোক্তি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিক পুতিনের কাছে জানতে চান যে তিনি ‘প্রথম দেখায় প্রেমে’ বিশ্বাস করেন কিনা। এর উত্তরে ইতিবাচক জবাব দেওয়ার পর সরাসরি তার নিজের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিন কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলেন যে তিনি প্রেম করছেন। ২০১৪ সালে দীর্ঘদিনের স্ত্রী লিউডমিলা পুতিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা গুজব ডালপালা মেললেও এবারই প্রথম তিনি নিজে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে গুঞ্জন রয়েছে যে অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভার সঙ্গে তার দীর্ঘ ১৮ বছরের গোপন সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সন্তানও রয়েছে। তবে ক্রেমলিন বা পুতিন নিজে কখনোই এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেননি।
সংবাদ সম্মেলনের এই গম্ভীর রাজনৈতিক আবহে এক অভূতপূর্ব মানবিক মুহূর্তের সৃষ্টি হয় যখন কিরিল বাঝানোভ নামে এক তরুণ সাংবাদিক ‘আমি বিয়ে করতে চাই’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। পুতিন বিষয়টি লক্ষ্য করে ঠাট্টার ছলে মন্তব্য করেন যে ওই সাংবাদিক যেন রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার জন্যই পোশাক পরে এসেছেন। এই সুযোগে কিরিল সরাসরি লাইভ সম্প্রচারে তার প্রেমিকা ‘ওলেচকা’কে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং সম্মেলনে উপস্থিত থাকা পুতিনকেও তার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে খবর আসে যে ওই তরুণী বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন যা পুরো হলের গাম্ভীর্য কাটিয়ে কিছুটা আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে।
বিশ্লেষকদের মতে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তপ্ত সম্পর্কের মাঝে পুতিনের এমন ব্যক্তিগত ও নমনীয় আলাপ মূলত তার ভাবমূর্তিকে কিছুটা মানবিক করার একটি কৌশল হতে পারে। ৭৩ বছর বয়সী এই রুশ নেতা এর আগেও একাধিকবার জানিয়েছেন যে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে কারো হস্তক্ষেপ পছন্দ করেন না এবং একে সম্মান করা উচিত। তবে বছরের শেষ প্রান্তের এই সংবাদ সম্মেলনে তার প্রেমের অকপট স্বীকারোক্তি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে হয়তো তিনি তার দীর্ঘদিনের গোপনীয়তার দেয়াল ধীরে ধীরে কিছুটা শিথিল করতে চাইছেন।
কোলের শিশু কেন ফর্সা? ভিক্ষুক নারীকে ঘিরে তুলকালাম
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় একটি কোলের শিশুকে নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে এক নারী চরম হেনস্তা ও জনরোষের শিকার হয়েছেন। ওই নারী ও তার কোলের শিশুর গায়ের রঙের মধ্যে ব্যাপক অসামঞ্জস্য থাকার কারণে পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। আগ্রার ব্যস্ততম সারাফা মার্কেটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতার অনেকেরই দাবি ছিল যে শিশুটি হয়তো চুরি করা বা পাচারকৃত কোনো পরিবারের সন্তান।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন পরনে সোয়েটার এবং কাপড়ে মুখ ঢাকা এক মলিন চেহারার নারীকে রাজপুত্রের মতো সুন্দর একটি শিশু কোলে নিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ওই নারীর গায়ের রং কিছুটা চাপা হলেও শিশুটি ছিল ফটিকের মতো ফর্সা ও অত্যন্ত সুন্দর। এই বৈপরীত্য দেখে মার্কেটে আসা ব্যক্তিরা ওই নারীকে ঘিরে ধরেন এবং শিশুটির পরিচয় নিয়ে জেরা শুরু করেন। পরিস্থিতি এক পর্যায়ে এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অনেকেরই বিশ্বাস ছিল যে মলিন পোশাকের ওই নারীর পক্ষে এত সুন্দর সন্তানের মা হওয়া অসম্ভব।
খবর পেয়ে আগ্রা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে ওই নারী একটি মেডিকেল কলেজের কাছে অস্থায়ী ঝুপড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী একজন দিনমজুর এবং তাদের সংসারে মোট চারটি সন্তান রয়েছে। জনরোষের মুখে পুলিশ ওই নারীর পরিচয় এবং শিশুটির মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও জন্মসংক্রান্ত প্রমাণাদি তলব করে।
যাবতীয় তথ্য এবং জন্মসনদ পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে ওই শিশুটি ওই নারীরই গর্ভজাত সন্তান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কেবল গায়ের রঙের অমিলের কারণে কোনো নাগরিককে এভাবে হেনস্তা করা আইনত দণ্ডনীয়। তদন্ত শেষে সত্য সামনে আসায় উত্তেজিত জনতা শান্ত হয় এবং শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী তার গন্তব্যে ফিরে যান। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবৈষম্য এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এক তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বড় সাজা পেলেন ইমরান-বুশরা: পাকিস্তান রাজনীতিতে নতুন মোড়
পাকিস্তানের রাজনীতিতে আবারও বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। তোশাখানা-২ মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আদিয়ালা কারাগারে আয়োজিত এক বিশেষ শুনানিতে স্পেশাল জজ সেন্ট্রাল শাহরুখ আরজুমন্দ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি এই দম্পতিকে ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে যা পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইমরান খানের জন্য বড় একটি আইনি বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪ ও ৪০৯ ধারায় উভয়কে ১০ বছর করে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ ধারায় অতিরিক্ত ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় বিচারক উল্লেখ করেন যে ইমরান খানের বয়স এবং বুশরা বিবি একজন নারী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত তুলনামূলক নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। এছাড়া উভয় দণ্ডপ্রাপ্তকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮২-বি ধারার সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে। এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে পাওয়া বুলগারি ব্র্যান্ডের একটি অত্যন্ত মূল্যবান গয়নার সেট যা তোশাখানায় জমা না দিয়ে কম মূল্যে নিজেদের কাছে রাখার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।
ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এফআইএ-র নথি অনুযায়ী ওই গয়না সেটটির প্রকৃত বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৭ কোটি ১০ লাখ রুপি। তবে অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেটটির মূল্য মাত্র ৫৯ লাখ রুপি দেখিয়েছিলেন। গয়নার সেটটিতে একটি নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুল অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই মামলায় প্রায় ৮০টিরও বেশি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে ২৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে ইমরান খানের সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ইনাম শাহের প্রভাব খাটিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গয়নার সেটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কম দেখানো হয়েছিল।
ইমরান খান ও বুশরা বিবি গত মাসেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তবে আজকের এই রায়ের ফলে তাদের পুনরায় দীর্ঘ সময় কারান্তরীণ থাকতে হবে। পিটিআই সমর্থকরা এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করলেও প্রসিকিউশন বলছে যে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই রায়ের ফলে পাকিস্তানের আসন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ এবং ইমরান খানের মুক্তি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।
হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান যে ওসমান হাদির এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মহলের নজরে এসেছে এবং মহাসচিব এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। গুতেরেস বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণ করে এই ঘটনার একটি দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান যে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ। এই প্রেক্ষাপটে মহাসচিব সকল রাজনৈতিক পক্ষকে যে কোনো ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে উত্তেজনা কমাতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে যাতে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় থাকে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর বিচার হওয়া আবশ্যক।
এর আগে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জেনেভা থেকে একটি বিশেষ বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। বিবৃতিতে তিনি বলেন যে গত বছর বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের খবরে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির প্রয়াণকে তিনি একটি বড় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলকার তুর্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা কেবল সমাজের বিভেদকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সবার মৌলিক মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।
সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর
সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৫০০টি বৃত্তি প্রদান করা হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দূতাবাস জানায়, সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০টি সরকারি এবং ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রদান করে আসছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও ডিপ্লোমা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এসব কোর্সে পূর্ণ বৃত্তি সুবিধাসহ অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।
বৃত্তির আওতায় যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে তার মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, ধর্ম ও ভাষা শিক্ষা, কৃষি, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল। মোট ১০টি বিষয়ের ওপর এই বৃত্তি কার্যক্রম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।
শিক্ষাগত স্তর অনুযায়ী আবেদনকারীদের বয়সসীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছর।
বৃত্তির আওতায় যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পাবেন, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা, কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সৌদ ইউনিভার্সিটি, তায়েফ ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন বর্ডার ইউনিভার্সিটি, হাইল বিশ্ববিদ্যালয়, নাজরান বিশ্ববিদ্যালয়, জাযান বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল ক্বোরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আগে সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হতো। তবে নতুন ব্যবস্থায় এই প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এখন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে পছন্দের যেকোনো তিনটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাই শেষে মেধা ও নির্ধারিত কোটার ভিত্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।
এই উদ্দেশ্যে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “Study in Saudi” নামে একটি একক অনলাইন আবেদন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সৌদি বৃত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ও আবেদন প্রক্রিয়া জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- ২২ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- শেয়ারবাজারে আজকের শীর্ষ ১০ দরপতনের শেয়ার
- শেয়ারবাজারে আজকের শীর্ষ ১০ দরবৃদ্ধির শেয়ার
- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নতুন কড়া নির্দেশনা
- অলিম্পিক স্বর্ণপদক কি সত্যিই খাঁটি সোনা, জানুন ইতিহাস
- রক্তপাত শুরু হলে থামাতে পারবেন না: শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের হুঁশিয়ারি
- আইবিএ ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, জানবেন যেভাবে
- হাদি হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতেই খুলনায় একই কায়দায় এনসিপির নেতাকে গুলি
- আজকের বাংলাদেশ আমার স্বপ্নের বাংলাদেশ নয়: মির্জা ফখরুল
- পাঁচ দিনের আবহাওয়া রিপোর্ট প্রকাশ করল অধিদপ্তর
- ডিএসই–৩০ তালিকায় অধিকাংশ শেয়ারের দর যেমন
- ইবিএলের বন্ডে কুপন হার নির্ধারণ হবে নতুন যে নিয়মে
- বক্স অফিস কাঁপাচ্ছে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’, আয় ছাড়াল যত
- Q1 আর্থিক তথ্যে INTRACO–র চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- কোন ফান্ডের এনএভি সবচেয়ে বেশি, দেখে নিন
- যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন কোম্পানির এমডি
- সূচকের বড় উত্থানে চাঙ্গা শেয়ারবাজার
- মেট্রোরেলের কার্ড রিচার্জ এখন ঘরে বসেই: জানুন সহজ নিয়ম
- বড় বিনিয়োগে কম মুনাফা: সঞ্চয়পত্রে নতুন নীতি আনছে সরকার
- নির্বাচন ও রমজানের কবলে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা: নতুন তারিখ কবে?
- শতাধিক হোটেল বুকিং: পর্যটন নগরী কক্সবাজারে তিল ধারণের ঠাঁই নেই
- পত্রিকা অফিস থেকে টাকা লুট করে টিভি-ফ্রিজ ক্রয় করেছেন নাঈম
- নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান উপদেষ্টার নতুন রোডম্যাপ
- বিপিএল প্রীতি ম্যাচ সহ টিভিতে আজকের খেলা
- আজকের টাকার রেট: সোমবার ২২ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার
- কুয়াশার চাদরে ঢাকা পঞ্চগড়: হাড়কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
- জেনে নিন আজকের নামাজের সঠিক সময়
- আজ ইনকিলাব মঞ্চের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- বদলে গেল চিরচেনা মরুভূমি: সৌদিতে তুষারপাতের ভাইরাল দৃশ্য
- কেমন থাকবে আজ ঢাকার আবহাওয়া?
- তিন বছর পর চিত্র বদলাল: সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বাড়ছে সরকারের
- বিশ্ব উষ্ণায়নের বলি ভেনেজুয়েলা: বরফশূন্য হয়ে গড়ল বিষাদময় রেকর্ড
- সোমবারের ঢাকা: কোন এলাকায় কোন কর্মসূচি ও ট্রাফিক আপডেট
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হবে স্বর্ণ
- ঘোষণা দিয়ে হামলা ও পুলিশের ‘নির্লিপ্ততা’: উত্তাল দেশ
- হাদি হত্যার ঘাতক ফয়সালের ব্যাংক হিসাবে ১২৭ কোটির রহস্যময় লেনদেন
- রান্নাঘরের যে ৫টি জিনিস নিঃশব্দে শরীরে বিষ ছড়াচ্ছে
- পুলিশ ও প্রশাসন চালানো এখন কঠিন কাজ: আইন উপদেষ্টা
- দেশকে রক্ষা করবে বিএনপিই: তারেক রহমান
- কূটনৈতিক এলাকায় বিক্ষোভকারীদের হানা: দিল্লির কাছে জবাবদিহি চায় ঢাকা
- ভারতের যুবাদের নিয়ে ছেলেখেলা: এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান
- হাদি হত্যার ঘাতক সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই: অতিরিক্ত আইজিপি
- ৩ দিনের রিমান্ড শেষে জানা গেল হান্নান নির্দোষ: পেলেন জামিন
- দুধপুলি পিঠা বানাতে জানুন গোপন টিপস
- তফসিলের পর সেনাপ্রধানের সাথে প্রথম বৈঠক: বড় সিদ্ধান্তের আভাস
- অনিদ্রা দূর করতে রাতের সহজ অভ্যাস
- মুজিবর হল হবে ‘ওসমান হাদি’: নাম বদলের দাবিতে উত্তাল ঢাবি
- মরুভূমিতে রহমতের ঝরনা: যেভাবে সৃষ্টি হলো পবিত্র জমজম কূপ
- রাতে ঘুমানোর আগে কী খাবেন, কী খাবেন না
- স্থগিত হওয়া ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা: জানুন নিয়ম
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- স্বর্ণের বাজারে আগুন: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে নতুন আকাশছোঁয়া দাম
- রেকর্ড দামে স্বর্ণ: আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে বাজুসের নতুন মূল্য
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- আজ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- আইপিএল নিলামে তোলপাড়: রেকর্ড দামে বিক্রি ফিজ
- মাত্র ৫টি অভ্যাসে জব্দ হবে ডায়াবেটিস
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- খালি পেটে পাকা কলা খাওয়া: উপকার, ঝুঁকি ও সঠিক নিয়ম








