ভারতের প্রেসনোট মানছে না বাংলাদেশ, কড়া বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৭:৫২:২৭
ভারতের প্রেসনোট মানছে না বাংলাদেশ, কড়া বার্তা
ছবি: সংগৃহীত

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের সামনে বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার স্পষ্ট প্রশ্ন হলো, কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত কূটনৈতিক এলাকায় বিক্ষোভকারীরা কীভাবে প্রবেশ করল এবং কীভাবে তারা হাইকমিশনের মূল ফটক পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হলো।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন–কে কেন্দ্র করে ঘটনার বিষয়ে ভারতের দেওয়া প্রেসনোট বাংলাদেশ সরকার পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য মনে করে। কূটনৈতিক এলাকার গভীরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত প্রবেশ এবং হাইকমিশনারের বাসভবনে হামলার চেষ্টার খবরে মিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠে আসে।

তিনি আরও জানান, যদি ভবিষ্যতেও বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে ভারতে ঢাকার কূটনৈতিক উপস্থিতি সীমিত বা মিশনের পরিসর ছোট করার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া হতে পারে।

অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ নিয়ে কিছু গণমাধ্যম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ হাইকমিশনের সামনে জড়ো হয়ে ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানায় এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তোলে।

জয়সওয়ালের দাবি অনুযায়ী, বিক্ষোভকারীরা কোনো পর্যায়েই নিরাপত্তা বেষ্টনি ভাঙার চেষ্টা করেনি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় এবং এর দৃশ্যমান প্রমাণ জনসমক্ষে রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ভারতের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে ভারতের ভূখণ্ডে অবস্থিত সব বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির ওপর ভারত নিবিড়ভাবে নজর রাখছে এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ঢাকাকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, শনিবার রাত স্থানীয় সময় প্রায় ৯টার দিকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী একটি দল সব নিরাপত্তা স্তর অতিক্রম করে বাংলাদেশ হাউসের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। তারা বাংলাদেশবিরোধী স্লোগান দেয় এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ–কে হত্যার হুমকিও দেয়, যা কূটনৈতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম উদ্বেগজনক বলে মনে করছে ঢাকা।

-রাফসান


কেন ডিভি লটারি বন্ধ করলেন ট্রাম্প? আসল রহস্য ফাঁস

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৪:৫০:১৯
কেন ডিভি লটারি বন্ধ করলেন ট্রাম্প? আসল রহস্য ফাঁস
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটি এবং ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি) সাম্প্রতিক ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনার জেরে নজিরবিহীন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দীর্ঘদিনের বিতর্কিত ‘ডাইভারসিটি ভিসা’ (ডিভি) বা গ্রিন কার্ড লটারি কর্মসূচিটি তিনি সাময়িকভাবে স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে যে, ব্রাউন ও এমআইটি হত্যাকাণ্ডে প্রধান সন্দেহভাজন ব্যক্তি ক্লদিও নেভেস ভ্যালান্তে একজন পর্তুগিজ নাগরিক, যিনি ২০১৭ সালে এই ডিভি লটারির মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেয়েছিলেন। এই চাঞ্চল্যকর তথ্যই লটারি পদ্ধতি বাতিলের পথ প্রশস্ত করেছে।

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, লটারি ভিত্তিক এই অভিবাসন ব্যবস্থা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি বড় ছিদ্রপথ হিসেবে কাজ করছে। ক্রিস্টি নোম তাঁর বিবৃতিতে স্পষ্ট করেছেন যে, এই ধরনের ‘হিনিয়াস’ বা জঘন্য ব্যক্তিদের দেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া একটি বিশাল প্রশাসনিক ব্যর্থতা।

রিপাবলিকান সিনেটরদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ হলো, লটারির মাধ্যমে যখন কম্পিউটার কোড কাউকে নাগরিকত্বের সুযোগ দেয়, তখন সেই ব্যক্তির পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাকগ্রাউন্ড যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ‘ডাইভারসিটি, ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনক্লুশন’ (DEI) নীতির পরিবর্তে এখন থেকে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় কড়া স্ক্রিনিং এবং মেধাভিত্তিক অভিবাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর দল রিপাবলিকানরা মেধাভিত্তিক বা ‘মেরিট-বেজড’ অভিবাসন ব্যবস্থার দিকেই চূড়ান্তভাবে ঝুঁকছেন। প্রস্তাবিত নতুন নীতি অনুযায়ী, দৈবচয়ন বা ভাগ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্রিন কার্ড না দিয়ে আবেদনকারীর শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা এবং মার্কিন অর্থনীতিতে অবদান রাখার সক্ষমতাকে যাচাই করা হবে।

এতে করে কেবল দক্ষ এবং নিরাপদ ব্যক্তিদেরই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ মিলবে। প্রশাসনের মতে, এতে করে মজুরি বৃদ্ধি পাবে এবং মার্কিন নাগরিকদের কর্মসংস্থান সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি ডিভি লটারির মাধ্যমে যে 'চেইন মাইগ্রেশন' বা পারিবারিক অভিবাসন ঘটে, তা-ও নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মার্কিন সরকারের এই আকস্মিক সিদ্ধান্তে বিশ্বজুড়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৫ কোটির মতো মানুষ এই লটারির স্বপ্ন দেখেন, যার মধ্যে বাংলাদেশও এক সময় বড় অংশীদার ছিল (যদিও ২০১৩ সাল থেকে উচ্চ অভিবাসনের কারণে বাংলাদেশ এই তালিকায় নেই)।

তবে ডিভি লটারি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেলে পারিবারিক বা পেশাগত দক্ষতাবিহীন ব্যক্তিদের জন্য আমেরিকার স্বপ্ন চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে। মেধা ও কাজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভিসা পাওয়ার প্রতিযোগিতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া হবে অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ। যদিও এই স্থগিতাদেশটি বর্তমানে সাময়িক, তবে রিপাবলিকানরা এটিকে স্থায়ীভাবে বিলোপ করতে কংগ্রেসের মাধ্যমে নতুন আইন পাসের চেষ্টাচালাচ্ছে।

সূত্র:টাইমস অব ইন্ডিয়া


পুতিনের প্রেমের কবুলনামা: কার প্রেমে মজেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ০৯:৩৯:০৫
পুতিনের প্রেমের কবুলনামা: কার প্রেমে মজেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট?
ছবি : সংগৃহীত

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে তিনি বর্তমানে কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই চরম গোপনীয়তা বজায় রাখা এই শক্তিশালী নেতা মস্কোয় আয়োজিত তার ঐতিহ্যবাহী বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেন। তবে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও তার সেই প্রেমিকার পরিচয় বা সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে সাফ অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। পুতিনের এই সংক্ষিপ্ত কিন্তু স্পষ্ট স্বীকারোক্তি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও ব্যাপক কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে।

শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের এক সাংবাদিক পুতিনের কাছে জানতে চান যে তিনি ‘প্রথম দেখায় প্রেমে’ বিশ্বাস করেন কিনা। এর উত্তরে ইতিবাচক জবাব দেওয়ার পর সরাসরি তার নিজের সম্পর্কের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পুতিন কোনো দ্বিধা ছাড়াই বলেন যে তিনি প্রেম করছেন। ২০১৪ সালে দীর্ঘদিনের স্ত্রী লিউডমিলা পুতিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে পুতিনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা গুজব ডালপালা মেললেও এবারই প্রথম তিনি নিজে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। যদিও দীর্ঘ সময় ধরে গুঞ্জন রয়েছে যে অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী জিমন্যাস্ট আলিনা কাবায়েভার সঙ্গে তার দীর্ঘ ১৮ বছরের গোপন সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের সন্তানও রয়েছে। তবে ক্রেমলিন বা পুতিন নিজে কখনোই এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেননি।

সংবাদ সম্মেলনের এই গম্ভীর রাজনৈতিক আবহে এক অভূতপূর্ব মানবিক মুহূর্তের সৃষ্টি হয় যখন কিরিল বাঝানোভ নামে এক তরুণ সাংবাদিক ‘আমি বিয়ে করতে চাই’ লেখা একটি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। পুতিন বিষয়টি লক্ষ্য করে ঠাট্টার ছলে মন্তব্য করেন যে ওই সাংবাদিক যেন রেজিস্ট্রি অফিসে যাওয়ার জন্যই পোশাক পরে এসেছেন। এই সুযোগে কিরিল সরাসরি লাইভ সম্প্রচারে তার প্রেমিকা ‘ওলেচকা’কে বিয়ের প্রস্তাব দেন এবং সম্মেলনে উপস্থিত থাকা পুতিনকেও তার বিয়েতে আমন্ত্রণ জানান। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে খবর আসে যে ওই তরুণী বিয়ের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন যা পুরো হলের গাম্ভীর্য কাটিয়ে কিছুটা আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি করে।

বিশ্লেষকদের মতে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পশ্চিমাদের সঙ্গে উত্তপ্ত সম্পর্কের মাঝে পুতিনের এমন ব্যক্তিগত ও নমনীয় আলাপ মূলত তার ভাবমূর্তিকে কিছুটা মানবিক করার একটি কৌশল হতে পারে। ৭৩ বছর বয়সী এই রুশ নেতা এর আগেও একাধিকবার জানিয়েছেন যে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনে কারো হস্তক্ষেপ পছন্দ করেন না এবং একে সম্মান করা উচিত। তবে বছরের শেষ প্রান্তের এই সংবাদ সম্মেলনে তার প্রেমের অকপট স্বীকারোক্তি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে হয়তো তিনি তার দীর্ঘদিনের গোপনীয়তার দেয়াল ধীরে ধীরে কিছুটা শিথিল করতে চাইছেন।


কোলের শিশু কেন ফর্সা? ভিক্ষুক নারীকে ঘিরে তুলকালাম

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ২১:৩৪:১৫
কোলের শিশু কেন ফর্সা? ভিক্ষুক নারীকে ঘিরে তুলকালাম
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায় একটি কোলের শিশুকে নিয়ে ভিক্ষা করতে বেরিয়ে এক নারী চরম হেনস্তা ও জনরোষের শিকার হয়েছেন। ওই নারী ও তার কোলের শিশুর গায়ের রঙের মধ্যে ব্যাপক অসামঞ্জস্য থাকার কারণে পথচারী ও স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি হয়। আগ্রার ব্যস্ততম সারাফা মার্কেটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজিত জনতার অনেকেরই দাবি ছিল যে শিশুটি হয়তো চুরি করা বা পাচারকৃত কোনো পরিবারের সন্তান।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন পরনে সোয়েটার এবং কাপড়ে মুখ ঢাকা এক মলিন চেহারার নারীকে রাজপুত্রের মতো সুন্দর একটি শিশু কোলে নিয়ে ভিক্ষা করতে দেখা যায়। ওই নারীর গায়ের রং কিছুটা চাপা হলেও শিশুটি ছিল ফটিকের মতো ফর্সা ও অত্যন্ত সুন্দর। এই বৈপরীত্য দেখে মার্কেটে আসা ব্যক্তিরা ওই নারীকে ঘিরে ধরেন এবং শিশুটির পরিচয় নিয়ে জেরা শুরু করেন। পরিস্থিতি এক পর্যায়ে এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। স্থানীয়দের অনেকেরই বিশ্বাস ছিল যে মলিন পোশাকের ওই নারীর পক্ষে এত সুন্দর সন্তানের মা হওয়া অসম্ভব।

খবর পেয়ে আগ্রা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে যে ওই নারী একটি মেডিকেল কলেজের কাছে অস্থায়ী ঝুপড়িতে বসবাস করেন। তার স্বামী একজন দিনমজুর এবং তাদের সংসারে মোট চারটি সন্তান রয়েছে। জনরোষের মুখে পুলিশ ওই নারীর পরিচয় এবং শিশুটির মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও জন্মসংক্রান্ত প্রমাণাদি তলব করে।

যাবতীয় তথ্য এবং জন্মসনদ পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই শেষে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে ওই শিশুটি ওই নারীরই গর্ভজাত সন্তান। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কেবল গায়ের রঙের অমিলের কারণে কোনো নাগরিককে এভাবে হেনস্তা করা আইনত দণ্ডনীয়। তদন্ত শেষে সত্য সামনে আসায় উত্তেজিত জনতা শান্ত হয় এবং শিশুটিকে নিয়ে ওই নারী তার গন্তব্যে ফিরে যান। এই ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্ণবৈষম্য এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে এক তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।


বড় সাজা পেলেন ইমরান-বুশরা: পাকিস্তান রাজনীতিতে নতুন মোড়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ২০:২৫:৫১
বড় সাজা পেলেন ইমরান-বুশরা: পাকিস্তান রাজনীতিতে নতুন মোড়
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের রাজনীতিতে আবারও বড় ধরনের ধাক্কা লেগেছে। তোশাখানা-২ মামলায় দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) আদিয়ালা কারাগারে আয়োজিত এক বিশেষ শুনানিতে স্পেশাল জজ সেন্ট্রাল শাহরুখ আরজুমন্দ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি এই দম্পতিকে ১ কোটি ৬৪ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে যা পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইমরান খানের জন্য বড় একটি আইনি বিপর্যয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে যে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪ ও ৪০৯ ধারায় উভয়কে ১০ বছর করে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫ ধারায় অতিরিক্ত ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় বিচারক উল্লেখ করেন যে ইমরান খানের বয়স এবং বুশরা বিবি একজন নারী হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আদালত তুলনামূলক নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। এছাড়া উভয় দণ্ডপ্রাপ্তকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৮২-বি ধারার সুবিধাও প্রদান করা হয়েছে। এই মামলার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে পাওয়া বুলগারি ব্র্যান্ডের একটি অত্যন্ত মূল্যবান গয়নার সেট যা তোশাখানায় জমা না দিয়ে কম মূল্যে নিজেদের কাছে রাখার অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে।

ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এফআইএ-র নথি অনুযায়ী ওই গয়না সেটটির প্রকৃত বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৭ কোটি ১০ লাখ রুপি। তবে অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেটটির মূল্য মাত্র ৫৯ লাখ রুপি দেখিয়েছিলেন। গয়নার সেটটিতে একটি নেকলেস, ব্রেসলেট, আংটি ও কানের দুল অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া এই মামলায় প্রায় ৮০টিরও বেশি শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে যেখানে ২৪ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়। প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে ইমরান খানের সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ইনাম শাহের প্রভাব খাটিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাধ্যমে গয়নার সেটের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে কম দেখানো হয়েছিল।

ইমরান খান ও বুশরা বিবি গত মাসেই উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তবে আজকের এই রায়ের ফলে তাদের পুনরায় দীর্ঘ সময় কারান্তরীণ থাকতে হবে। পিটিআই সমর্থকরা এই রায়কে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করলেও প্রসিকিউশন বলছে যে যথাযথ তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতেই আদালত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই রায়ের ফলে পাকিস্তানের আসন্ন রাজনৈতিক সমীকরণ এবং ইমরান খানের মুক্তি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে।


হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৫৬:২৯
হাদি হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত চাইল জাতিসংঘ: জেনেভা থেকে কড়া বার্তা
ছবি : সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান যে ওসমান হাদির এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জাতিসংঘের সর্বোচ্চ মহলের নজরে এসেছে এবং মহাসচিব এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। গুতেরেস বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণ করে এই ঘটনার একটি দ্রুত নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত পরিচালনার জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক জানান যে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জাতিসংঘ। এই প্রেক্ষাপটে মহাসচিব সকল রাজনৈতিক পক্ষকে যে কোনো ধরনের সহিংসতা থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে উত্তেজনা কমাতে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করতে হবে যাতে দেশে একটি শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় থাকে। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে এই ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর বিচার হওয়া আবশ্যক।

এর আগে শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জেনেভা থেকে একটি বিশেষ বিবৃতি দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ফলকার তুর্ক। বিবৃতিতে তিনি বলেন যে গত বছর বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের বিশিষ্ট নেতা ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের খবরে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত। গত ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদির প্রয়াণকে তিনি একটি বড় ক্ষতি হিসেবে অভিহিত করেন। ফলকার তুর্ক সতর্ক করে দিয়ে বলেন যে প্রতিশোধ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা কেবল সমাজের বিভেদকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং সবার মৌলিক মানবাধিকারকে ক্ষুণ্ন করবে। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ অনুসন্ধানে পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।


সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১৩:৪৩:২০
সৌদি আরবে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৫০০টি বৃত্তি প্রদান করা হবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দূতাবাস জানায়, সৌদি আরবে বর্তমানে ৩০টি সরকারি এবং ১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো আন্তর্জাতিক মানের উচ্চশিক্ষা প্রদান করে আসছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি ও ডিপ্লোমা পর্যায়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এসব কোর্সে পূর্ণ বৃত্তি সুবিধাসহ অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।

বৃত্তির আওতায় যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে তার মধ্যে রয়েছে অর্থনীতি, ব্যবসায় প্রশাসন, শিক্ষা, আইন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ, ধর্ম ও ভাষা শিক্ষা, কৃষি, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল। মোট ১০টি বিষয়ের ওপর এই বৃত্তি কার্যক্রম প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয়েছে।

শিক্ষাগত স্তর অনুযায়ী আবেদনকারীদের বয়সসীমাও নির্ধারণ করা হয়েছে। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ বছর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য বয়সসীমা ৩৫ বছর।

বৃত্তির আওতায় যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ পাবেন, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মদিনা, কিং সৌদ ইউনিভার্সিটি, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সৌদ ইউনিভার্সিটি, তায়েফ ইউনিভার্সিটি, নর্দার্ন বর্ডার ইউনিভার্সিটি, হাইল বিশ্ববিদ্যালয়, নাজরান বিশ্ববিদ্যালয়, জাযান বিশ্ববিদ্যালয়, উম্মুল ক্বোরা বিশ্ববিদ্যালয় এবং কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আগে সৌদি আরবের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হতো। তবে নতুন ব্যবস্থায় এই প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এখন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে পছন্দের যেকোনো তিনটি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাই শেষে মেধা ও নির্ধারিত কোটার ভিত্তিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে।

এই উদ্দেশ্যে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে “Study in Saudi” নামে একটি একক অনলাইন আবেদন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। আগ্রহী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সৌদি বৃত্তি সংক্রান্ত সব তথ্য ও আবেদন প্রক্রিয়া জানতে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।

-রফিক


গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২০ ১১:২৯:৪৬
গাজায় ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি: ইসরাইলি গোলার আঘাতে ঝরল প্রাণ
ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় একটি স্কুলভিত্তিক আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরাইলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থার পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন যে গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় তুফাহ এলাকার গাজা মার্টায়ার্স স্কুলে অবস্থিত আশ্রয়কেন্দ্রটি লক্ষ্য করে ইসরাইলি সেনারা গোলাবর্ষণ করে। সেখান থেকে ইতিমধ্যে পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এই হামলার বিষয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তারা দাবি করেছে যে উত্তর গাজা উপত্যকার তথাকথিত ‘ইয়েলো লাইন’-এর পশ্চিমে কমান্ড কাঠামোর কাছে কয়েকজন ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি’ শনাক্ত করা হয়েছিল। সেনাদের ভাষ্য অনুযায়ী হুমকির আশঙ্কা দূর করতে তারা ওই ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে বেসামরিক হতাহতের খবরের বিষয়ে তারা অবগত এবং বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনী তাদের বিবৃতিতে অসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানোর দাবি করেছে।

গাজার এই রক্তক্ষয়ী ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইসরাইলি বাহিনী বর্তমানে ‘ইয়েলো লাইন’-এর পূর্ব দিকে অবস্থান নিয়েছে। তবে গত অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি বর্তমানে অত্যন্ত নাজুক অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাস উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে নিয়মিতভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা আশঙ্কা করছেন যে দুই পক্ষই শান্তি প্রক্রিয়াটিকে দীর্ঘায়িত বা বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে যা গাজার সাধারণ মানুষের জন্য নতুন করে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।


মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ২১:২২:০০
মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়
ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত তাবুক ও হাইল অঞ্চলসহ কয়েকটি এলাকায় বিরল তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে, যা স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল ও আনন্দের সৃষ্টি করেছে। সাধারণত মরুপ্রধান দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবে এমন আবহাওয়াজনিত দৃশ্য খুবই অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গালফ নিউজ জানায়, তাবুক ও হাইলের পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে তুষারপাত হয়েছে। বিশেষ করে জর্ডান সীমান্তবর্তী জাবাল আল লজের উঁচু পাহাড়ি এলাকা সম্পূর্ণভাবে বরফে আচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। হঠাৎ এই তুষারপাত দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে ছুটে যান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে তুষারাবৃত পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ কেউ স্মৃতি ধরে রাখতে ছবি তুলছেন, আবার অনেকে ঐতিহ্যবাহী আরবি সংগীতের তালে নাচে মেতে উঠেছেন। এমনকি কয়েকজন পর্যটককে সেখানে অ্যাডভেঞ্চারমূলক কার্যক্রম, যেমন স্কাই ডাইভিংয়েও অংশ নিতে দেখা গেছে।

জাবাল আল লজ সৌদি আরবের অন্যতম উচ্চভূমি হিসেবে পরিচিত। এবারের তুষারপাতের ফলে পাহাড়টির বিস্তীর্ণ অংশ সাদা চাদরে ঢাকা পড়ে, যা এলাকাটিকে এক অনন্য শীতকালীন সৌন্দর্যে রূপ দিয়েছে।

সৌদি আরবের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, উত্তরাঞ্চলের আরও কয়েকটি স্থানে তুষারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানী রিয়াদের নিকটবর্তী আল ঘাট এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তাদের জীবনে এমন দৃশ্য দেখা অত্যন্ত বিরল। অনেকের মতে, কয়েক দশকের মধ্যে এটিই প্রথমবার ওই এলাকায় তুষারপাতের ঘটনা।

-রাফসান


হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ০৯:৫১:৫৬
হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবের অগ্রসেনানী এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের দৃঢ় কণ্ঠস্বর শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তার মৃত্যু ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণবিক্ষোভ এবং সহিংস ঘটনার খবর গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছে বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলো।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে হাদির মৃত্যুকে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তাদের শিরোনামে বলা হয়, “বাংলাদেশের ছাত্র বিক্ষোভের এক নেতার সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু।” প্রতিবেদনে জানানো হয়, চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালালেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। আল জাজিরা আরও উল্লেখ করে যে, হাদির মৃত্যুর খবরে রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুব্ধ সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেয়।

হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ ও সহিংসতার খবর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে ভারতের একাধিক শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম। এনডিটিভি তাদের প্রতিবেদনে শিরোনাম করে, “ছাত্রনেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ উত্তাল, গণমাধ্যম কার্যালয়ে আগুন।” প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিস্থিতি দ্রুত অস্থির হয়ে ওঠে এবং সংবাদমাধ্যমের অফিসে হামলার ঘটনাও ঘটে।

ভারতের আরেক প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশজুড়ে ব্যাপক অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন স্থানে ভারতবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করতে পারে।

দ্য হিন্দু পত্রিকা তাদের শিরোনামে উল্লেখ করে, “তরুণ নেতা হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে সহিংসতা, সংবাদমাধ্যম কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ।” প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

কলকাতাভিত্তিক দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিস্থিতিকে ‘রাতভর উত্তাল’ হিসেবে বর্ণনা করে। শিরোনামে তারা উল্লেখ করে, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর সংবাদপত্রের কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষ ও হামলার খবর তুলে ধরা হয়।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম জিও টিভি জানায়, তরুণ রাজনৈতিক নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে ব্যাপক গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘটনাকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত