শেয়ারবাজারে আজকের শীর্ষ ১০ দরপতনের শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১৫:০০:৩৩
শেয়ারবাজারে আজকের শীর্ষ ১০ দরপতনের শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা শেয়ারবাজারে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) লেনদেনের শেষভাগে দরপতনের দিক থেকে উল্লেখযোগ্য চাপের মুখে পড়েছে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার। দিনের ক্লোজিং প্রাইস এবং আগের দিনের সমাপনী দর (YCP) তুলনায় হিসাব করলে দেখা যায়, চিনি, বীমা, ব্যাংক, জুট ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের কিছু শেয়ার শীর্ষ দরপতনকারীর তালিকায় উঠে এসেছে। এই প্রবণতা বাজারে স্বল্পমেয়াদি মুনাফা তুলে নেওয়া এবং নির্বাচিত শেয়ারে বিক্রয়চাপ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শীর্ষ দরপতনকারী হিসেবে উঠে এসেছে শ্যামপুর সুগার মিলস (SHYAMPSUG)। কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৮.৪ শতাংশ কমে ১৫৯ টাকা ২০ পয়সায় নেমে আসে, যা দিনের সর্বনিম্ন দর কাছাকাছি অবস্থান করেছে। এর পরেই রয়েছে নুরানি ডাইং অ্যান্ড সুইটার্স (NURANI), যার শেয়ারদর ৫ শতাংশ কমে ১ টাকা ৯০ পয়সায় নেমে আসে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং (NORTHERN) শেয়ারের দর কমেছে প্রায় ৩.৬৭ শতাংশ, যা বাজারে জুট খাতের শেয়ারে চাপের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের (ALARABANK) শেয়ারদরও প্রায় ৩.২৩ শতাংশ কমে ১৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

ইয়াংওয়ান পলিমার (YPL) এবং ইস্টার্ন ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (EBL1STMF)–এর শেয়ারেও উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গেছে। ওয়াইপিএলের শেয়ার প্রায় ৩.১৯ শতাংশ এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর প্রায় ২.৯৪ শতাংশ কমেছে।

এ ছাড়া জুট স্পিনার্স (JUTESPINN), আইসিবি ইপিএমএফ ফার্স্ট স্কিম (ICBEPMF1S1), জিল বাংলা সুগার মিলস (ZEALBANGLA) এবং মেরিন ইন্স্যুরেন্স (MERCINS)–এর শেয়ারও শীর্ষ দরপতনকারীর তালিকায় রয়েছে। এসব শেয়ারের দরপতনের হার প্রায় ২.৪ থেকে ২.৯ শতাংশের মধ্যে অবস্থান করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, দিনের শেষভাগে এই দরপতন মূলত স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের বিক্রয়চাপ এবং সাম্প্রতিক দরবৃদ্ধির পর মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার ফল। তারা বলছেন, সামগ্রিক বাজারে বড় ধরনের নেতিবাচক সংকেত না থাকলেও নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারে সংশোধন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ।

-রাফসান


শেয়ারবাজারে আজকের শীর্ষ ১০ দরবৃদ্ধির শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১৪:৫৭:১৬
শেয়ারবাজারে আজকের শীর্ষ ১০ দরবৃদ্ধির শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা শেয়ারবাজারে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) লেনদেনের শেষভাগে দরবৃদ্ধির দিক থেকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে বেশ কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার। দিনের ক্লোজিং প্রাইস ও আগের দিনের সমাপনী দর (YCP) বিবেচনায় শীর্ষ ১০ দরবৃদ্ধিকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে এসেছে শিল্প, টেক্সটাইল, বীমা ও মিউচুয়াল ফান্ড খাতের শেয়ার, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের নির্বাচিত আগ্রহের প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তালিকার শীর্ষে রয়েছে মনো অ্যাগ্রোমেশিনারি লিমিটেড (MONNOAGML)। কোম্পানিটির শেয়ার দিনের লেনদেন শেষে ৩৬৯ টাকা ৩০ পয়সায় বন্ধ হয়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় ৮.৭৫ শতাংশ বেশি। দিনের সর্বোচ্চ দরও ছিল একই পর্যায়ে, যা শেয়ারটিতে শক্ত ক্রয়চাপের ইঙ্গিত দেয়। এর পরেই অবস্থান করছে রহিম টেক্সটাইল মিলস (RAHIMTEXT), যার শেয়ারদর ৮.৭১ শতাংশ বেড়ে ২৩০ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

তৃতীয় অবস্থানে থাকা আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড (ICBAMCL2ND) দিনের শেষে ৫.৮৮ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে ৫ টাকা ৪০ পয়সায় বন্ধ হয়। পাশাপাশি কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স (CLICL) শেয়ারের দর প্রায় ৫.৬৬ শতাংশ বেড়ে ৫৪ টাকা ১০ পয়সায় উঠে আসে, যা বীমা খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের ইঙ্গিত দেয়।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (SHEPHERD) এবং সাইহাম কটন মিলস (SAIHAMCOT)–এর শেয়ারেও উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গেছে। শেফার্ডের দর বেড়ে ১৩ টাকা ৫০ পয়সায় এবং সাইহাম কটনের শেয়ার ২০ টাকায় বন্ধ হয়, উভয় ক্ষেত্রেই দরবৃদ্ধি ছিল ৫ শতাংশের ওপরে।

এ ছাড়া জেমিনি সি ফুড (GEMINISEA) শেয়ারের দর প্রায় ৫.২৫ শতাংশ বেড়ে ১৪০ টাকা ৪০ পয়সায় দাঁড়ায়। একই সঙ্গে কেবিপিপিডব্লিউবিআইএল (KBPPWBIL) শেয়ার প্রায় ৫ শতাংশ দরবৃদ্ধি নিয়ে তালিকায় জায়গা করে নেয়, যা দিনের অন্যতম সক্রিয় শেয়ার হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে।

তালিকার শেষের দিকে থাকা নিটল ইন্স্যুরেন্স (NITOLINS) এবং মনো স্পুলিং মিলস (MONOSPOOL)–এর শেয়ারেও প্রায় ৫ শতাংশের কাছাকাছি দরবৃদ্ধি দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারে এই দরবৃদ্ধি বাজারে স্বল্পমেয়াদি ইতিবাচক মনোভাব ও নির্বাচিত খাতভিত্তিক বিনিয়োগ কৌশলের প্রতিফলন।

-রাফসান


ডিএসই–৩০ তালিকায় অধিকাংশ শেয়ারের দর যেমন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:৪২:৩১
ডিএসই–৩০ তালিকায় অধিকাংশ শেয়ারের দর যেমন
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা শেয়ারবাজারে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসই–৩০–এ অন্তর্ভুক্ত শেয়ারগুলোতে সোমবার (২২ ডিসেম্বর) মধ্যাহ্ন পর্যন্ত সক্রিয় লেনদেন ও দরের উত্থান-পতনের মিশ্র চিত্র দেখা গেছে। দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বেশিরভাগ শেয়ারের দর আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে, যদিও কিছু শেয়ারে স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা গেছে। বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ মূলত ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, জ্বালানি ও শিল্প খাতের শেয়ার ঘিরেই কেন্দ্রীভূত ছিল।

তালিকার শীর্ষে থাকা ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেনে দাঁড়িয়েছে ২৪৮ টাকা ৭০ পয়সায়, যা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দেড় শতাংশ বেশি। একইভাবে ওষুধ খাতের বীকন ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক এবং গ্রামীণফোনের শেয়ারেও সীমিত পরিসরে দর বৃদ্ধি দেখা গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিপিং করপোরেশনের শেয়ার উল্লেখযোগ্য লেনদেন ও দরের উত্থানের মাধ্যমে দিনের অন্যতম সক্রিয় শেয়ারে পরিণত হয়েছে।

ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সিটি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, প্রাইম ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংকের শেয়ারে দরের ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা গেছে। বিশেষ করে মধ্যম মূলধনী ব্যাংক শেয়ারগুলোতে লেনদেনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি ছিল, যা স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ফার্মাসিউটিক্যালস ও ভোগ্যপণ্য খাতে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, রেনাটা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং লাভেলোর শেয়ারে স্থিতিশীল থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এদিকে কেবিপিপিডব্লিউবিআইএল শেয়ারটি উল্লেখযোগ্য দরের উত্থান ও লেনদেনের পরিমাণের কারণে ডিএসই–৩০ তালিকায় দিনের সবচেয়ে আলোচিত শেয়ারের একটি হয়ে ওঠে।

জ্বালানি ও শিল্প খাতেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। যমুনা অয়েল, পদ্মা অয়েল, এলএইচবি এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্টের শেয়ারে দরের উন্নতি দেখা গেছে। প্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ খাতে রবির শেয়ারে সীমিত উত্থান হলেও লেনদেন ছিল তুলনামূলক বেশি, যা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বজায় থাকার ইঙ্গিত দেয়।

সামগ্রিকভাবে, ডিএসই–৩০ তালিকাভুক্ত ৩০টি কোম্পানির মধ্যে বড় অংশের শেয়ারের দর বেড়েছে, কয়েকটির দর অপরিবর্তিত রয়েছে এবং অল্প কয়েকটিতে সামান্য সংশোধন দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই চিত্র বাজারে স্বল্পমেয়াদি ইতিবাচক মনোভাব এবং নির্বাচিত শেয়ারকেন্দ্রিক বিনিয়োগ কৌশলের প্রতিফলন।

-রফিক


ইবিএলের বন্ডে কুপন হার নির্ধারণ হবে নতুন যে নিয়মে

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:৩৬:৫৯
ইবিএলের বন্ডে কুপন হার নির্ধারণ হবে নতুন যে নিয়মে
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি খাতের অন্যতম ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) তাদের টিয়ার–টু মূলধন জোরদারে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। ব্যাংকটির অনিরাপদ ও নন-কনভার্টিবল সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংক্রান্ত অনুমোদনপত্র ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে ইবিএলকে প্রদান করা হয়।

ডিএসইতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এই অনুমোদনের মাধ্যমে ইবিএল বেসেল–৩ নীতিমালার আওতায় ৮০০ কোটি টাকা টিয়ার–টু মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে। বন্ডটির অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি ইউনিট ১০ লাখ টাকা, যা সমমূল্যে (at par) ইস্যু করা হবে। বন্ডটির মেয়াদ হবে ৭ বছর, এবং এটি সম্পূর্ণ রিডিমেবল ও নন-কনভার্টিবল হিসেবে বিবেচিত হবে।

এই মূলধন সংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালিত হবে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে, যেখানে অনিরাপদ, ভাসমান সুদহারযুক্ত ও কুপন-বহনকারী সাব-অর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যু করা হবে। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বন্ড কোনো সম্পদ দ্বারা জামানতযুক্ত নয় এবং মেয়াদ শেষে নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধযোগ্য হবে।

বন্ডটির কুপন বা সুদহার নির্ধারণ করা হবে ভাসমান ভিত্তিতে। সুদহার হিসাবের ক্ষেত্রে সর্বশেষ প্রকাশিত এক মাসের তথ্য অনুযায়ী ৬ মাস মেয়াদি ফিক্সড ডিপোজিটের সর্বোচ্চ সুদহার (প্রতিটি ব্যাংকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ হার বিবেচনায়) গ্রহণ করা হবে। এই হিসাবের আওতায় শুধুমাত্র বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে; ইসলামী শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক এবং চতুর্থ ও পঞ্চম প্রজন্মের ব্যাংকগুলো এই গণনার বাইরে থাকবে। নির্ধারিত এই গড় সুদহারের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩ শতাংশ মার্জিন যোগ করে বার্ষিক কুপন হার নির্ধারণ করা হবে। কুপন পরিশোধ করা হবে অর্ধবার্ষিক ভিত্তিতে।

-রফিক


Q1 আর্থিক তথ্যে INTRACO–র চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:২৬:০৩
Q1 আর্থিক তথ্যে INTRACO–র চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
ছবি: সংগৃহীত

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই–সেপ্টেম্বর) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত Intraco Refueling Station Limited। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত আয় ও নগদ প্রবাহে কিছুটা চাপ দেখা গেলেও নিট সম্পদমূল্যে (এনএভি) ইতিবাচক অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৫ সালের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ০.২১ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ০.২৬ টাকা থেকে কম। এতে স্পষ্ট হয় যে এক বছরে কোম্পানির মুনাফায় সামান্য হ্রাস ঘটেছে।

নগদ প্রবাহের চিত্রেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি কার্যকরী নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) ছিল ০.১৩ টাকা, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে এই সূচক ছিল ০.৩৬ টাকা। এর মাধ্যমে কার্যক্রম থেকে নগদ আহরণে উল্লেখযোগ্য কমতির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

তবে মুনাফা ও নগদ প্রবাহে চাপ থাকলেও কোম্পানির আর্থিক অবস্থানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক ইতিবাচক ধারা দেখিয়েছে। ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৩.৪৫ টাকা, যা এক বছর আগে একই তারিখে ছিল ১২.৫২ টাকা। এনএভি বৃদ্ধির এই ধারা কোম্পানির সামগ্রিক সম্পদভিত্তি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, স্বল্পমেয়াদে আয় ও নগদ প্রবাহে চাপ থাকলেও এনএভির উন্নতি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। তারা বলছেন, ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির পরবর্তী প্রান্তিকের আর্থিক পারফরম্যান্স এবং নগদ প্রবাহ পুনরুদ্ধারের সক্ষমতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

-রফিক


কোন ফান্ডের এনএভি সবচেয়ে বেশি, দেখে নিন

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:২২:১৪
কোন ফান্ডের এনএভি সবচেয়ে বেশি, দেখে নিন
ছবি: সংগৃহীত

২১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক মিউচুয়াল ফান্ড তাদের দৈনিক নিট সম্পদ মূল্য (এনএভি) প্রকাশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ–এ প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, অধিকাংশ ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি এখনো অভিহিত মূল্য ১০ টাকার নিচে অবস্থান করছে, যদিও কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে প্রায় সব ফান্ডের ইউনিটপ্রতি এনএভি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই বৈপরীত্য বাজারের বর্তমান মূল্যায়ন ও ফান্ডগুলোর অন্তর্নিহিত সম্পদমূল্যের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য তুলে ধরছে।

বাজারদরের ভিত্তিতে এনএভি পর্যালোচনায় দেখা যায়, বেশিরভাগ মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি মূল্য ৬ থেকে ৯ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এর মধ্যে কিছু ফান্ড তুলনামূলক শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। বিশেষ করে গ্রামীণস টু (GRAMEENS2) ফান্ডের বাজারমূল্যভিত্তিক এনএভি ১৫ টাকার বেশি, যা অন্যান্য ফান্ডের তুলনায় ব্যতিক্রমী। পাশাপাশি রিলায়েন্স ওয়ান (RELIANCE1), ক্যাপিটেক জিবিএফ (CAPITECGBF), এসইএমএল এলইসি এমএফ (SEMLLECMF) ও এসইএমএল আইবিবিএলএসএফ (SEMLIBBLSF)–এর মতো কয়েকটি ফান্ডের এনএভি অভিহিত মূল্যের কাছাকাছি বা তার ওপরে রয়েছে। অন্যদিকে, জানাতা, ইবিএল, ট্রাস্ট ব্যাংক ও পপুলার ব্যাংক–সংশ্লিষ্ট কিছু ফান্ডের বাজারদরের এনএভি তুলনামূলকভাবে দুর্বল অবস্থানে রয়েছে।

তবে কস্ট প্রাইসের ভিত্তিতে হিসাব করলে চিত্রটি ভিন্নভাবে ধরা পড়ে। প্রায় সব মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি কস্টভিত্তিক এনএভি ১০ টাকার অনেক ওপরে রয়েছে, যা ফান্ডগুলোর প্রকৃত সম্পদমূল্যের শক্ত অবস্থান নির্দেশ করে। কিছু ফান্ডের ক্ষেত্রে এই কস্ট এনএভি ১২ থেকে ১৬ টাকারও বেশি, যা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সম্ভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রাইম ফার্স্ট, আইসিবি–সংশ্লিষ্ট একাধিক ফান্ড এবং কিছু ব্যাংক–স্পন্সরড ফান্ড কস্ট প্রাইসে উল্লেখযোগ্য ব্যবধানে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।

মোট নিট সম্পদের দিক থেকেও ফান্ডগুলোর মধ্যে বড় পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকটি বড় ফান্ডের নিট সম্পদের পরিমাণ কয়েক শ কোটি থেকে হাজার কোটিরও বেশি, যা বাজারে তাদের প্রভাব ও বিনিয়োগ বিস্তৃতির ইঙ্গিত দেয়। বিশ্লেষকদের মতে, বাজারদরে এনএভি কম থাকলেও কস্ট প্রাইসে শক্ত অবস্থান থাকা ফান্ডগুলো দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগকারীদের জন্য সম্ভাব্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তবে তারা সতর্ক করে বলেছেন, শুধু এনএভি নয়, ফান্ডের পোর্টফোলিও গঠন, ডিভিডেন্ড ইতিহাস, ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।

-শরিফুল


যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন কোম্পানির এমডি

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:১৮:০৬
যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন কোম্পানির এমডি
ছবি: সংগৃহীত

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত Salvo Chemical Industry Limited–এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কোম্পানিটির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শেয়ার কেনার এই ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সালাম ওবায়দুল করিম বাজারদরে মোট ৬ লাখ শেয়ার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি পাবলিক মার্কেট অথবা ব্লক মার্কেটের মাধ্যমে এই শেয়ার সংগ্রহ করবেন।

ডিএসইতে প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এই শেয়ার কেনার কার্যক্রম সম্পন্ন করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (লিস্টিং) রেগুলেশনস, ২০১৫–এর রেগুলেশন ৩৪(১) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব গ্রহণ বিধিমালা, ২০১৮–এর রুল ৪ অনুসরণ করেই এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, কোনো কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহী যখন নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন, তখন তা সাধারণত কোম্পানির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আস্থার বার্তা হিসেবে দেখা হয়। এতে স্বল্পমেয়াদে সংশ্লিষ্ট শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়তে পারে বলেও তারা মনে করছেন।

ঘোষণাটি ডিএসইর ওয়েবসাইটে ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রকাশ করা হয়।

-রাফসান


সূচকের বড় উত্থানে চাঙ্গা শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২২ ১২:১৪:৪৫
সূচকের বড় উত্থানে চাঙ্গা শেয়ারবাজার
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের শেয়ারবাজারে শক্তিশালী ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। সূচকের বড় উত্থান, লেনদেনের গতি এবং অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের আস্থার প্রতিফলন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ১২ মিনিট পর্যন্ত বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী, প্রধান সূচক ডিএসইএক্স (DSEX) উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়ে ৪ হাজার ৮৬৮ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সময়ের তুলনায় এই সূচক বেড়েছে ৯৪ দশমিক ২২ পয়েন্ট, যা শতাংশের হিসাবে প্রায় শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।

একই সময়ে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস (DSES) ৩৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ দশমিক ৯২ পয়েন্টে। এই সূচকে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় শূন্য দশমিক ৮৮ শতাংশ, যা শরিয়াহভিত্তিক শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

অন্যদিকে, শীর্ষ ৩০ কোম্পানিকে নিয়ে গঠিত সূচক ডিএস-৩০ (DS30) ১৫ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৬৮ দশমিক ৯১ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এই সূচকে উত্থানের হার শূন্য দশমিক ৮২ শতাংশের বেশি।

লেনদেনের চিত্রেও দেখা যাচ্ছে সক্রিয়তা। দুপুর পর্যন্ত মোট লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৫ কোটি ৩৫ লাখ ৫৬ হাজার ইউনিটে। আর্থিক হিসাবে মোট লেনদেনের মূল্য প্রায় ১৯৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকার বেশি।

বাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বড় অংশের শেয়ারের দর বেড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ৩২০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, বিপরীতে ২০৪টির দর কমেছে এবং ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এই চিত্র সামগ্রিকভাবে বাজারে ক্রয়চাপের আধিক্য নির্দেশ করছে।

-রফিক


২১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৫:৩৬:১৫
২১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে এক প্রবল প্রতিযোগিতামূলক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে। দিনশেষে বাজারের সার্বিক সূচক ও শেয়ার দরের ওঠানামা বিশ্লেষণ করলে একটি মিশ্র চিত্র ফুটে ওঠে।

আজকের অধিবেশনে মোট ৩৮৮টি স্ক্রিপ্ট লেনদেনে অংশ নেয়, যার মধ্যে ১৬১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ১৫৭টি প্রতিষ্ঠানের দরপতন ঘটেছে। বাকি ৭০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য অপরিবর্তিত ছিল, যা বাজারের একটি স্থিতিশীল কিন্তু সতর্ক অবস্থানের ইঙ্গিত দেয়।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৩টি কোম্পানির মধ্যে ৯৪টির দরপতন হলেও ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলো ছিল অত্যন্ত চাঙ্গা; যেখানে ৭৯টির মধ্যে ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে।

বাজারের আর্থিক সক্ষমতা ও লেনদেনের গভীরতা আজ বেশ সন্তোষজনক ছিল। দিনভর মোট ১ লাখ ১২ হাজার ৬৬৮টি সফল ট্রেডের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৯ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৯৫টি শেয়ার হাতবদল করেছেন। এর ফলে দিনশেষে মোট লেনদেনের আর্থিক মূল্য দাঁড়িয়েছে ২,৯৩২.০৭ মিলিয়ন টাকা বা প্রায় ২৯৩ কোটি টাকা।

বাজার মূলধনের দিকে তাকালে দেখা যায়, মোট ইক্যুইটির পরিমাণ ৩.১৮ ট্রিলিয়ন টাকা এবং ডেট সিকিউরিটিজের পরিমাণ ৩.৫৭ ট্রিলিয়ন টাকা ছাড়িয়েছে, যা সামগ্রিক বাজার মূলধনকে ৬.৭৮ ট্রিলিয়ন টাকার একটি শক্তিশালী অবস্থানে ধরে রেখেছে। তবে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে আজ কিছুটা মন্দা লক্ষ্য করা গেছে, যেখানে ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে ১৫টিই দর হারিয়েছে।

আজকের বাজারের অন্যতম আকর্ষণ ছিল ব্লক ট্রানজেকশন বা বড় অংকের শেয়ার লেনদেন। ব্লক মার্কেটে মোট ২০টি কোম্পানির ৪১টি ট্রেডের মাধ্যমে ১৮৯.২৬ মিলিয়ন টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এই বিশেষ বাজারে এককভাবে আধিপত্য বিস্তার করেছে ব্র্যাক ব্যাংক (BRACBANK), যেখানে ১.২ মিলিয়ন শেয়ারের একটি বড় লেনদেনের মাধ্যমে মোট ৭৬.৬৮ মিলিয়ন টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়াও তৌফিকা ফুডস (LOVELLO) ৩৩.৬৩ মিলিয়ন এবং ওষুধ খাতের রেনাটা (RENATA) ১৯.৮৮ মিলিয়ন টাকার বড় লেনদেন করে বিনিয়োগকারীদের নজরে ছিল। অন্যদিকে, এশিয়াটিক ল্যাবস এবং সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারেও ব্লক মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক আগ্রহ দেখা গেছে।

-রফিক


২১ ডিসেম্বর ডিএসইতে বড় দরপতনের ১০টি শেয়ার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ২১ ১৫:০৪:২৩
২১ ডিসেম্বর ডিএসইতে বড় দরপতনের ১০টি শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মিশ্র প্রবণতা থাকলেও বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দরে বড় ধরনের পতন পরিলক্ষিত হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টা ৫৬ মিনিটের বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিনিয়োগকারীদের বিক্রয় চাপের মুখে দর হারানোর তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে স্বল্প মূলধনী ও দুর্বল মৌলভিত্তির বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান।

বিশেষ করে টেক্সটাইল ও আর্থিক খাতের কয়েকটি শেয়ারে আজ নেতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। আজকের বাজারে সবচেয়ে বেশি মূল্য হারিয়েছে ফ্যামিলি টেক্সটাইল (FAMILYTEX), যার শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৮.৩৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে মাত্র ১.১ টাকায় নেমে এসেছে।

পতনের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেট্রো স্পিনিং (METROSPIN), যার শেয়ার প্রতি মূল্য প্রায় ৭ শতাংশ কমে ৮ টাকায় স্থির হয়েছে। একইভাবে আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বে লিজিং (BAYLEASING) ৬.৮৯ শতাংশ দর হারিয়ে ২.৭ টাকায় অবস্থান করছে।

মিউচুয়াল ফান্ড খাতেও আজ উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গেছে; যেখানে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড (CAPMBDBLMF) ৬.১৯ শতাংশ এবং ইবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড (EBL1STMF) ৫.৫৫ শতাংশ মূল্য হারিয়েছে। এছাড়াও বিআইএফসি (BIFC) এবং আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ডও (ICBAMCL2ND) ৫.৫৫ শতাংশ দর পতনের শিকার হয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যান্য খাতের মধ্যে আজিজ পাইপস (AZIZPIPES) আজ ৫.৪২ শতাংশ দর হারিয়ে ৪১.৯ টাকায় লেনদেন শেষ করেছে। প্যাসিফিক ডেনিমস (PDL) ৪.৪৪ শতাংশ এবং সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল (CNATEX) ৪.৩৪ শতাংশ দর হারিয়ে দিনশেষে টপ লুজার বা দর হারানোর তালিকার শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস বা নির্দিষ্ট সীমার আশেপাশে থাকা পেনিস্টকগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের অনাস্থাই এই ধসের প্রধান কারণ। মুনাফা গ্রহণের প্রবণতা এবং দীর্ঘমেয়াদী অনিশ্চয়তার কারণে ছোট শেয়ারগুলোতে আজ ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতার সংখ্যা ছিল অনেক বেশি।

-রাফসান

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত