উন্মোচিত হল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সত্যতা

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, তেহরান এখনও পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)-এর প্রতি অটল রয়েছে এবং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই সীমাবদ্ধ।
গ্রোসি স্বীকার করেছেন যে, জাতিসংঘের পরমাণু পরিদর্শকদের সঙ্গে তেহরানের সহযোগিতা সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমে গেছে। তবে তিনি নিশ্চিত করেছেন, ইরান NPT-এর প্রতিশ্রুতি পূর্ণাঙ্গভাবে মানছে। উল্লেখ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের প্রক্রিয়া বা ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তেহরান আইএইএর সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়নের ঘোষণা দেয়।
গ্রোসি বলেন, “আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি এবং ধীরে ধীরে ইরানে পরিদর্শন কার্যক্রম পুনরায় শুরু করছি। যদিও সব স্থানে এখনও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, যেখানে আমাদের থাকা উচিত।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু স্থাপনার পরিদর্শন এখনো সম্পূর্ণভাবে করা হয়নি এবং সেগুলো নিয়ে ইরানের সঙ্গে চলমান আলোচনার পর্যায়ে আছি।
আইএইএর প্রধান উল্লেখ করেছেন, ইরান পরিদর্শনের ক্ষেত্রে বাস্তব চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে কিছু সময় পরিদর্শকরা ইরান থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি পরিদর্শন কাঠামো পুনর্নির্মাণ এবং কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন।
ইরান বারবার জোর দিয়ে বলেছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। আইএইএ প্রধান গ্রোসির এই মন্তব্যগুলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহলে ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমকে অস্ত্র উৎপাদনকেন্দ্রিক নয়, বরং নিয়ন্ত্রিত এবং শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।
-রাফসান
নিজ দেশে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ
ইসরায়েলে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদানের নীতির প্রতিবাদে সম্প্রতি ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় দুই লাখ আল্ট্রা অর্থোডক্স ইহুদি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, যারা দাবি করেছেন যে তারা ধর্মীয় কারণে সেনা সেবা থেকে অব্যাহতি পান। বৃহৎ বিক্ষোভটি বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পশ্চিম জেরুজালেমে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ২,০০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। পুলিশ জানায়, বিক্ষোভ চলাকালীন এক কিশোর নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মারা গেছেন। বিক্ষোভকারীরা ঐতিহ্যবাহী কালো পোশাক ও টুপি পরে হাতে প্ল্যাকার্ড এবং ব্যানার নিয়ে মিছিল করেছেন। প্রদর্শিত ব্যানারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘তোরা-র পক্ষে জনগণ’ এবং ‘ইয়েশিভা বন্ধ মানে ইহুদিবাদের মৃত্যু’। কিছু স্থানে আগুন ধরানো হলে শহরের বিভিন্ন অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়েছে, যখন ইসরায়েল সরকার আল্ট্রা অর্থোডক্স যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের নোটিশ পাঠানো শুরু করেছে। সরকারী আদেশ ও সেনা আইন অমান্য করার দায়ে ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে কারাগারে পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। এক প্রতিবাদী, শমুয়েল অরবাখ, বলেন, “যারা সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করছে, তাদের জেলে নেওয়া হচ্ছে। এখানে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর লড়াই করা সম্ভব নয়।”
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যারা পূর্ণ সময় ধর্মীয় পাঠে নিয়োজিত থাকবে, তারা সেনাসেবা থেকে অব্যাহতি পাবেন। বর্তমানে এই শ্রেণির সংখ্যা বেড়ে ৬৬,০০০, যা ইসরায়েলের মোট ইহুদি জনসংখ্যার প্রায় ১৪ শতাংশ।
তবে ২০২৪ সালে ইসরায়েলের সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, যে সব নাগরিকের মতো আল্ট্রা অর্থোডক্স পুরুষদেরও সেনাসেবায় অংশ নিতে হবে। এই রায় প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু’র জোট সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। আইন বাস্তবায়নের প্রতিবাদে গত জুলাইয়ে অতি-রক্ষণশীল দল ইউনাইটেড তোরা জুডেইজম (ইউটিজে) জোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সংকট ইসরায়েলের ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে নেতানিয়াহু’র রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও দুর্বল করতে পারে। দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সেনাবাহিনীর বাধ্যতামূলক নীতি নিয়ে চলমান বিতর্ক দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় আসছেন, ভারতের দাবি হস্তান্তরের
আগামী নভেম্বরে ঢাকায় আসছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ধর্মপ্রচারক ডা. জাকির নায়েক। তবে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মালয়েশিয়া থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেন ভারতের হাতে হস্তান্তর করা হয়—এমনটাই আশা করছে নয়াদিল্লি। বিষয়টি ভারতীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।
৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ডা. জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি, যার বিরুদ্ধে ভারতে আইনানুগ মামলা রয়েছে। আমরা আশা করি, তিনি যেখানে থাকবেন না কেন, সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো বিবেচনায় রাখবে।”
জাকির নায়েক ২০১৬ সালের আগ পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করতেন এবং বিভিন্ন ইসলামিক অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ‘ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচার’ ও অর্থ পাচারের মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া, তার নিয়ন্ত্রিত চ্যানেল পিস টিভি-এর সম্প্রচারও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ৬০ বছর বয়সি ধর্মপ্রচারক ২০১৬ সালে ভারতে থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পান। ভারতের বিচারিক আওতার বাইরে থাকা অবস্থায় জাকির নায়েক একাধিকবার জানিয়েছেন, “আমি ভারতে ফিরে যাব না, যতক্ষণ না ন্যায়বিচারের নিশ্চয়তা পাই।”
এবারের ঢাকায় আগমন হবে ২৮ ও ২৯ নভেম্বর, যেখানে তিনি বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানটি স্পার্ক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট আয়োজন করছে এবং সম্ভবত আগারগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
ভারতীয় দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও আগে জাকির নায়েকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ২০১৬ সালের হলি আর্টিজান হামলার পর অন্তত দুই হামলাকারীকে তার বক্তৃতা থেকে অনুপ্রাণিত বলে রিপোর্ট করা হয়। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশে তার প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পর নিয়মাবলী শিথিল হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, ডা. জাকির নায়েকের ঢাকায় আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ভারত আশা করছে, তিনি যেন হাতেন হস্তান্তরিত হন। বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে উত্তেজক হওয়ায় দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এবং আইনগত অবস্থান নজরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
-রাফসান
পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ফের উত্তেজনায় ট্রাম্প ও ইরান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) তিনি পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কর্মসূচি পুনরায় চালু করতে। এই ঘোষণার পরপরই ইরানের পক্ষ থেকে আসে কঠোর প্রতিক্রিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি এক বিবৃতিতে ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে ‘পশ্চাদমুখী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যা দেন এবং বলেন, এটি বিশ্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি এক প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ।
আরাগচি তার বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আক্রমণাত্মক মনোভাবাপন্ন একটি ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত দখলদার দানব’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, “ওয়াশিংটন তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রকৃত স্বরূপ লুকাতে পারছে না। তারা নিজেদের ‘ডিপার্টমেন্ট অব ডিফেন্স’-এর নাম পরিবর্তন করে আসলে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির আসল চরিত্র প্রকাশ করে।” ইরানি মন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নীতিকে কটাক্ষ করে বলেন, “যে দেশ বিশ্বব্যাপী আগ্রাসন চালাচ্ছে, সেটি এখন নিজেকে রক্ষার নামে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে- এ এক ভয়ংকর ভণ্ডামি।”
তিনি আরও বলেন, “এই দখলদার রাষ্ট্রই ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিকে অপবাদ দিচ্ছে, অথচ তারাই পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও সুরক্ষিত স্থাপনাগুলোতে হামলার হুমকি দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন।” আরাগচির মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই আচরণ শুধুমাত্র দ্বিচারিতা নয়, বরং বৈশ্বিক শান্তির জন্য গুরুতর হুমকি।
তিনি বলেন, “একদিকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণ করছে, অন্যদিকে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক গবেষণাকে অপরাধ হিসেবে উপস্থাপন করছে এটি এক অতি স্পষ্ট আন্তর্জাতিক ভণ্ডামি। ভুল করবেন না, যুক্তরাষ্ট্রই আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিস্তার-ঝুঁকি।”
আরাগচি সতর্ক করে বলেন, “এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যের জন্য এক ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে। এমন সময় যখন বিশ্বব্যাপী সংঘাত কমিয়ে আনার আহ্বান উঠছে, তখন যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা বাড়াবে।”
এর আগে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, “অন্য দেশগুলো পরীক্ষামূলক পারমাণবিক কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি, আমরাও সমানভাবে আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু করব।” তিনি আরও দাবি করেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড়। রাশিয়া রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, আর চীন অনেক পিছিয়ে তৃতীয় অবস্থানে।”
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির প্রতি এক সরাসরি আঘাত। ঠান্ডা যুদ্ধের পর থেকে স্থিতিশীল থাকা বৈশ্বিক পরমাণু ভারসাম্য এখন নতুন করে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু ইরান নয়, বরং রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতার ঝুঁকি তৈরি করবে।
ইরান বহুদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, যা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (IAEA) তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। অন্যদিকে, ওয়াশিংটন দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির অভিযোগ তুলে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ইরানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানকে আরও শত্রুভাবাপন্ন করে তুলেছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
-রফিক
তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন শান্তির বার্তা
দীর্ঘ পাঁচ দিনের বৈঠক শেষে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতায় অবশেষে যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। বৃহস্পতিবার রাতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দুই দেশই যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং সীমান্তে নতুন করে কোনো সংঘাতের উদ্ভব না ঘটাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” একইসঙ্গে জানানো হয়, যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত শর্তাবলির বিস্তারিত নিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সরকারি প্রতিনিধিরা আবারও বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠক পর্যন্ত উভয় দেশ সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখবে এবং শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
দুই দেশের মধ্যে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ যে সীমান্ত রেখা রয়েছে, তা ডুরান্ড লাইন নামে পরিচিত। ১৮৯৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের আমলে নির্ধারিত এই সীমান্তই আজও দুই দেশের সম্পর্কের সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু। ২০২১ সালে তালেবান সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্ক দ্রুত অবনতির দিকে যেতে থাকে। বর্তমানে সম্পর্কটি প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এই অবনতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পাকিস্তানের নিষিদ্ধ তালেবানপন্থি সশস্ত্র সংগঠন তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। বহু বছর আগে ইসলামাবাদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় এখনো সক্রিয়ভাবে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তানের তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় ও প্রশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল সরকার সব সময়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে, আফগানিস্তানের ভূখণ্ড থেকে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয় না।
গত ৯ অক্টোবর কাবুলে টিটিপির শীর্ষ নেতাদের অবস্থানে বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। এতে গোষ্ঠীটির আমির নূর ওয়ালি মেহসুদ, তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ক্বারি সাইফুল্লাহ মেহসুদসহ একাধিক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হন। আফগানিস্তান এ হামলাকে তাদের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করে। ঘটনার দুই দিন পর, অর্থাৎ ১১ অক্টোবর, আফগান সেনাবাহিনী সীমান্তে পাকিস্তানি সেনা অবস্থানগুলো লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়। এরপর উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি গোলাগুলিতে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।
১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই সংঘর্ষে অন্তত ২০০ আফগান সেনা ও ২৩ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। মানবিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় ১৫ অক্টোবর উভয় দেশই ৪৮ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত ছিল।
পরবর্তীতে ১৮ অক্টোবর দোহায় দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হয়। আলোচনার প্রাথমিক পর্ব শেষে ২৫ অক্টোবর থেকে বৈঠকের স্থানান্তর হয় তুরস্কের ইস্তাম্বুলে, যেখানে মধ্যস্থতার ভূমিকা নেয় কাতার ও তুরস্ক।
২৮ অক্টোবর আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দিলেও মধ্যস্থতাকারীদের কূটনৈতিক তৎপরতায় তা পুনরুজ্জীবিত হয়। এরপর ২৯ অক্টোবর থেকে নতুন করে বৈঠক শুরু হয়, যার ফলশ্রুতিতে ৩০ অক্টোবর দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে এই অগ্রগতিকে “দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ” বলে অভিহিত করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, “দীর্ঘদিনের পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সীমান্তসংঘাতের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য ইতিবাচক বার্তা বয়ে আনবে।”
দীর্ঘ বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তান ও আফগানিস্তান চলমান যুদ্ধবিরতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পাঁচ দিন ধরে চলা বৈঠকের পর অবশেষে দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে দুই দেশের প্রতিনিধিরা পুনরায় বৈঠকে বসবেন। সেই বৈঠকের আগ পর্যন্ত যাতে সীমান্তে কোনো সংঘাত সৃষ্টি না হয়—সে ব্যাপারে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সরকার সজাগ থাকবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে, যা 'ডুরান্ড লাইন' নামে পরিচিত। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটে এবং বর্তমানে তা তলানিতে ঠেকেছে।
এই অবনতির প্রধান কারণ হলো পাকিস্তানের তালেবানপন্থি রাজনৈতিক গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠীটি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়াকে তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে, যার সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। আফগান তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে পাকিস্তান বারবার অভিযোগ করে আসছে। তবে আফগানিস্তান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পাকিস্তান বিমান হামলা চালায়, যাতে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদ ও দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ক্বারি সাইফুল্লাহ মেহসুদসহ বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হন। এই হামলাকে আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্বে আঘাত হিসেবে অভিযোগ করে আফগান সেনাবাহিনী দুই দিন পর ১১ অক্টোবর সীমান্তে পাকিস্তানের সেনাচৌকি লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যার পালটা জবাব দেয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীও।
১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই সংঘাতের পর ১৫ অক্টোবর দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। এই সংঘাত চলাকালীন ২ শতাধিক আফগান সেনা এবং ২৩ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছিলেন।
১৮ অক্টোবর থেকে দোহায় শুরু হওয়া দুই দেশের সরকারি প্রতিনিধিদের বৈঠক পরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে স্থানান্তর করা হয়। ২৫ অক্টোবর থেকে সেখানে দুই দেশের প্রতিনিধিরা ফের বৈঠক শুরু করেন। এই আলোচনায় কাতার ও তুরস্ক গুরুত্বপূর্ণ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে। মাঝে ২৮ অক্টোবর বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হলেও, মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতায় তা এড়ানো সম্ভব হয় এবং ৩০ অক্টোবর দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।
সূত্র: জিও নিউজ
সামরিক প্রস্তুতি লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের কঠোর নির্দেশ
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি অনুপ্রবেশ ও হামলা অব্যাহত থাকায় দেশটির আরব-সমর্থিত প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন সেনাবাহিনীকে যেকোনো ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ দিয়েছেন। ২০২৪ সালের শেষের দিকে যুদ্ধবিরতি সই হওয়ার পর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবাননের পক্ষ থেকে এটিই প্রথম সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্থানীয় গণমাধ্যম এই আদেশের খবর নিশ্চিত করে। এর একদিন আগেই গত রাতে দক্ষিণ লেবাননের ব্লিদা শহরে একটি পৌরসভা ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়ে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা করে।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ইসরায়েলি হামলার কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এটিকে 'ইসরায়েলি আগ্রাসনের ধারাবাহিক প্যাটার্নের অংশ' বলে অভিহিত করেছেন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে যে, ব্লিদার পৌরসভা ভবনটি বেসামরিক অবকাঠামো হলেও তা সম্প্রতি হিজবুল্লাহর কার্যকলাপের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল।
হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট আউনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা লেবাননের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের নভেম্বরে হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি সই হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, আগামী জানুয়ারিতে দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি সেনাদের পূর্ণাঙ্গ প্রত্যাহারের কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল কেবল আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয় এবং পাঁচটি সীমান্ত চৌকিতে তাদের সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখে।
গত আগস্ট মাসে লেবাননের আরব-সমর্থিত সরকার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছিল, যেখানে দেশের সমস্ত অস্ত্র রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনার কথা বলা হয়েছিল। তবে হিজবুল্লাহ সেই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেছিল, দখলকৃত পাঁচটি সীমান্ত ফাঁড়ি থেকে ইসরায়েলি সেনারা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত তারা নিজেদের কাছে অস্ত্র রাখবে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরু হওয়ার পর হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধেও আক্রমণ শুরু হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইসরায়েলি পূর্ণাঙ্গ আক্রমণের পর থেকে এই অঞ্চলে ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং প্রায় ১৭ হাজার জন আহত হয়েছে।
এক শতাব্দী পর সৈকতে ভেসে এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোতলবন্দি চিঠি
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়া দুই অস্ট্রেলিয়ান সেনার লেখা বোতলবন্দি একটি চিঠি এক শতাব্দীরও বেশি সময় পর দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে ভেসে এসেছে। ১৯১৬ সালে লেখা এই চিঠিগুলোতে যুদ্ধযাত্রা শুরুর উত্তেজনা ও আনন্দ থাকলেও, তাদের একজন সেনা কয়েক মাস পরই যুদ্ধক্ষেত্রে প্রাণ হারান। বুধবার (২৯ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯১৬ সালে যখন সেনারা ফ্রান্সগামী জাহাজে উঠছিলেন, তার কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁরা চিঠি দুটি লিখে বোতলবন্দি করেছিলেন। চিঠিগুলোর ভাষা ছিল হাসিখুশি এবং তাতে তারুণ্যের এক তীব্র উত্তেজনা মিশে ছিল।
চিঠি লেখা দুই সেনার মধ্যে একজন ছিলেন ২৮ বছর বয়সী প্রাইভেট ম্যালকম নেভিল। তিনি তার মাকে লিখেছিলেন যে জাহাজের খাবার ‘দারুণ ভালো’ এবং তারা ‘ভীষণ খুশি’। তবে, এই চিঠি লেখার মাত্র কয়েক মাস পরই তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত হন। অপর সেনা, ৩৭ বছর বয়সী প্রাইভেট উইলিয়াম হার্লি, যুদ্ধ থেকে জীবিত ফিরে এসেছিলেন।
পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার দূরবর্তী হোয়াইটন সৈকতে বোতলটি খুঁজে পান স্থানীয় বাসিন্দা ডেব ব্রাউন এবং তার পরিবার। নিয়মিত সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করার সময় বালুর ভেতর পুরু কাচের বোতলটি তাদের চোখে পড়ে।
ব্রাউন বলেন, “আমরা প্রায়ই সৈকত পরিষ্কার করি, তাই ময়লা দেখলে কখনও ফেলে যাই না। ছোট্ট এই বোতলটাও এমনভাবেই খুঁজে পাই আমরা।”
পরিবারের কাছে চিঠি
বিবিসি-র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চিঠির কাগজ ভিজে গেলেও লেখাগুলো অক্ষত ও পরিষ্কার ছিল। বোতলটি পাওয়ার পর ডেব ব্রাউন সেনাদের পরিবারের খোঁজ শুরু করেন, যাতে চিঠিগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া যায়।
নেভিলের চিঠিতে তাঁর মায়ের ঠিকানা লেখা ছিল, যা ব্রাউনকে অনলাইনে নেভিলের আত্মীয় হার্বি নেভিলকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে। হার্বি নেভিল এই ঘটনাকে তার পরিবারের জন্য ‘অবিশ্বাস্য এক অভিজ্ঞতা’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বিশেষ করে তার খালা মারিয়ান ডেভিসের জন্য এটি খুবই আবেগপূর্ণ, কারণ তিনি শৈশবে তার চাচাকে যুদ্ধে যেতে দেখেছিলেন, কিন্তু তিনি আর ফেরেননি।
অন্য চিঠিটি লিখেছিলেন প্রাইভেট উইলিয়াম হার্লি। যেহেতু তার মা তখন বেঁচে ছিলেন না, তাই তিনি বোতলটি যে খুঁজে পাবে তাকে সম্বোধন করে চিঠিটি লিখেছিলেন। হার্লির নাতনি অ্যান টার্নার এই ঘটনাকে ‘এক অলৌকিক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “মনে হচ্ছে দাদু যেন সমাধি থেকে আমাদের উদ্দেশে হাত বাড়িয়েছেন।” টার্নার আরও বলেন, তার দাদু চিঠিটি লিখেছিলেন ‘অজানা খুঁজে-পাওয়া মানুষের উদ্দেশে’, যা ঘটনাটিকে আরও বেশি আবেগময় করে তুলেছে।
হার্লি তার চিঠিতে বোতলটি অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ উপকূলবর্তী বিশাল সাগরীয় অঞ্চল ‘দ্য গ্রেট অস্ট্রেলিয়ান বাইট’-এর কোথাও থেকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (এবিসি) একজন সমুদ্রবিজ্ঞান অধ্যাপক জানিয়েছেন, বোতলটি হয়তো প্রথমে মাত্র কয়েক সপ্তাহ পানিতে ভেসেছিল, এরপর হোয়াইটন সৈকতের বালুর নিচেই শত বছর ধরে চাপা পড়ে ছিল।
পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে কি বিশ্ব? ট্রাম্পের নির্দেশে বাড়ছে উদ্বেগ
সম্প্রতি রাশিয়া সীমাহীন পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর একদিন পরই পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম এক সুপার টর্পেডোর পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেন। পুতিনের দাবি, কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এই টর্পেডোগুলিকে আটকাতে পারবে না। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়াও নিজেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পারমাণবিক শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রমাণ করতে কিম জং উনের নেতৃত্বে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।
ট্রাম্প বলেছেন, তার হাতে আর কোনো বিকল্প নেই এবং প্রতিদ্বন্দ্বীরাই তাকে এই মহা ঝুঁকিপূর্ণ খেলার ময়দানে নামতে বাধ্য করছে।
সমতা রক্ষার যুক্তি
ট্রাম্পের দাবি, বর্তমানে বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। এরপর রয়েছে রাশিয়া, এবং চীন অনেক পেছনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন যে, মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যেই চীনের পারমাণবিক কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও লেখেন, পারমাণবিক অস্ত্রের প্রচণ্ড ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্বীকার করেও তার হাতে অস্ত্রাগারকে হালনাগাদ ও সংস্কার করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না। মাত্র কয়েক দিন আগেই ট্রাম্প সীমাহীন পাল্লার পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষার জন্য রাশিয়ার কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
পরীক্ষার ইতিহাস
যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভূগর্ভে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সে সময়কার রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ.ডব্লিউ. বুশ স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পর এই ধরনের পরীক্ষা স্থগিতের নির্দেশ দেন। নেভাডার যে স্থানে শেষ পরীক্ষা হয়েছিল, সেই নেভাডা টেস্ট সাইটটি এখনও মার্কিন সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জানা গেছে, প্রয়োজন হলে ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ নিউক্লিয়ার সায়েন্স অ্যান্ড হিস্ট্রির অনুমোদন সাপেক্ষে সেখানে আবারও পরীক্ষা শুরু করা যেতে পারে।
তবে ট্রাম্প তার পোস্টে পরীক্ষাগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি। তার এই আচমকা নির্দেশ বিশ্বজুড়ে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ কাঠামোকে দুর্বল করে এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: বিবিসি
ট্রাম্প-শি আলোচনা সম্পন্ন: বৈঠকের পর কী বড় সিদ্ধান্ত এলো?
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠক দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুই নেতার মধ্যে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠক শেষে এক বছরের জন্য চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তি নিয়মিতভাবে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ২০১৯ সালের পর এটাই ছিল দুই বিশ্বনেতার প্রথম শীর্ষ সম্মেলন।
রয়টার্স ও আলজাজিরার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠক শেষে দুই নেতাই ভারমুক্ত অবস্থায় ছিলেন। তবে সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিদায় নেওয়ার সময় শি জিন পিংয়ের কানে কানে কিছু একটা বলেন। এরপরই দুই নেতা নিজ নিজ গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বাণিজ্য চুক্তি ও ভবিষ্যৎ সফর:
বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাণিজ্য চুক্তিটি আগামী এক বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, "আমাদের একটি চুক্তি হয়েছে। চীনের শুল্ক ৫৭% থেকে কমিয়ে ৪৭% করা হবে।"
বৈঠকের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী এপ্রিলে চীন সফর করবেন এবং এর কিছুদিন পরেই প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। ট্রাম্প আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মন্তব্য করেছেন যে, "পৃথিবীর বিরল সমস্যাটি নিষ্পত্তি হয়েছে" এবং "আগামী বৈঠকগুলোতে [দুই দেশের] সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।"
বৈঠকের মূল্যায়ন:
দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এটাই ছিল শি জিন পিংয়ের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক। ট্রাম্প এই আলোচনাকে 'অসাধারণ' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বৈঠকটিকে দশের মধ্যে বারো নম্বর এবং 'সেরা' বলে মূল্যায়ন করেন।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় তার প্রশংসা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই ধরনের আলোচনার পর দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে।
বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি বুসানের বিমানবন্দরে যান এবং এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন। এর মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের এবারের এশিয়া সফর শেষ হলো। দক্ষিণ কোরিয়ার আগে তিনি মালয়েশিয়া ও জাপানও সফর করেন।
পাঠকের মতামত:
- একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট? জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কঠিন দ্বিধায় অন্তর্বর্তী সরকার
- ফখরুলের অভিযোগ: অন্তর্বর্তী সরকার আস্থার সেতু ভেঙে দিয়েছে
- শেষ হলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ
- অনন্য মামুনের পোস্টে ঢালিউডে তামান্না ভাটিয়ার সম্ভাব্য আগমন
- নিজ দেশে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ
- ডা. জাকির নায়েক ঢাকায় আসছেন, ভারতের দাবি হস্তান্তরের
- রক্তদান শুধু মানবসেবা নয়, এটি এক মহৎ ইবাদত
- জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে ড. গালিবের সতর্কবার্তা
- পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ফের উত্তেজনায় ট্রাম্প ও ইরান
- জান্নাত-জাহান্নামের রহস্য উন্মোচন কুরআনের আলোকে
- তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে নতুন শান্তির বার্তা
- দেশের ২১ জেলায় ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
- স্বাক্ষরের পরে বিপক্ষে অবস্থান জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপিকে কঠোর বার্তা হাসনাত আবদুল্লাহর
- দীর্ঘ বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতি চালিয়ে যেতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
- সৌদি আরবে ওমরাহ ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর নতুন নিয়ম
- সামরিক শাসন থেকে সংসদীয় ব্যবস্থা বাংলাদেশে গণভোটের অতীত জানা-অজানা
- শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচুন রাতে ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়তেন নবীজি (সা.)
- ঘুমের ওষুধ নয় অনিদ্রা দূর করবে আপনার রান্নাঘরের ৬ খাবার
- ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- সামরিক প্রস্তুতি লেবাননে ইসরায়েলি আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রেসিডেন্টের কঠোর নির্দেশ
- শাপলা কলি দিয়ে ইসি বুঝিয়েছে আমরা শিশুদের দল: সামান্তা
- রেকর্ড বৃদ্ধি পরদিনই দরপতন শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে নতুন স্বর্ণের মূল্য
- অধ্যাপক ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুমোদন পেল নতুন মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ
- আমরা কীভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না: আসিফ নজরুল
- ৩০ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ৩০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এনসিপি সমন্বয়কের হুঁশিয়ারি গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি হলে দায়ভার প্রধান উপদেষ্টার
- উন্মোচিত হল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সত্যতা
- এক শতাব্দী পর সৈকতে ভেসে এলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বোতলবন্দি চিঠি
- ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ একপাক্ষিক ও জাতির সঙ্গে প্রতারণা: মির্জা ফখরুল
- বিটিআরসি'র নতুন নিয়ম ১৬ ডিসেম্বর থেকে: আপনার ফোন বৈধ কিনা, জেনে নিন প্রক্রিয়া
- কর্মসংস্থানকে কেন্দ্রে রেখে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ার লক্ষ্য তারেক রহমানের
- গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে ৮ দলের ৫ দফা দাবি নিয়ে বিক্ষোভ
- বাংলাদেশি টাকার আজকের বিনিময় হার প্রকাশিত
- ওয়ান ব্যাংক পিএলসি-এর Q3 ২০২৫ আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
- ফ্রিজে ঘন ঘন বরফ জমছে? স্থায়ী সমাধান দেবে ৩টি সহজ টিপস
- RELIANCINS-এর Q3 ২০২৫ আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- উচ্চ রক্তচাপই স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়: জীবন রক্ষায় প্রতিরোধের উপায়গুলি জেনে নিন
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পরমাণু যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে কি বিশ্ব? ট্রাম্পের নির্দেশে বাড়ছে উদ্বেগ
- মেঘনা ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ট্রাম্প-শি আলোচনা সম্পন্ন: বৈঠকের পর কী বড় সিদ্ধান্ত এলো?
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এশিয়া সফরের মধ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন বাহিনীর নতুন হামলা
- বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্র-চীনের ঐতিহাসিক চুক্তি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য সুখবর!
- রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
- ছবি, ভিডিও আর ভয়ের ব্যবসা: অনলাইনে হানিট্র্যাপের অন্ধকার দুনিয়া
- IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
- ২৮ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থা’ প্রভাবে ৫ দিন দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস
- রাসুল (সা.) কেন অন্যের পাপকাজ প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন?
- আজকের বাজারের সেরা এবং খারাপ পারফরমার: লাভের সম্ভাবনা কোথায়?
- রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
- ২৮ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২৭ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মেট্রোরেল দুর্ঘটনায় বাবা হারানো: দুই শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্ত্রীর আকুল আবেদন
- GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ








