গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন তৈরিতে ট্রাম্পের নতুন বোর্ড

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে ‘বোর্ড অব পিস’ নামের একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, ২০২৬ সালের শুরুতেই এ বোর্ডের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, এই বোর্ড এমন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হবে যাদের উপস্থিতি বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, বিশ্বের কয়েকজন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতা ইতোমধ্যেই এতে যোগদানের আগ্রহ জানিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ট্রাম্প যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, সেই পরিকল্পনার কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে কাজ করবে বোর্ড অব পিস। ঘোষণার আগে থেকেই তিনি জানিয়েছেন যে, বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই।
এদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি মাইক ওয়াল্টজ জানান, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির রূপরেখা এগিয়ে নিতে অচিরেই আরও কিছু বড় ঘোষণা আসবে। বুধবার নিউইয়র্কে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হ্যারজগের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, বোর্ড অব পিস গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে এবং পাশাপাশি দক্ষ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে যাতে গাজার জনগণ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
হ্যারজগ বৈঠকে বলেন, এই পরিকল্পনায় দেরি করা উচিত হবে না। তাঁর মতে, সময়ক্ষেপণ হলে অন্য রাষ্ট্র বা গোষ্ঠী গাজায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে। তিনি বিশেষভাবে ইঙ্গিত দেন ইরানের দিকে, যারা ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে সক্রিয়তার মাত্রা বাড়িয়েছে।
অপরদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ বজায় রাখার বিষয়ে দুপক্ষ আলোচনা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই যৌথ প্রচেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনর্বহাল প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।
-শরিফুল
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব লাভে আগ্রহী ধনী ব্যক্তিদের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে নতুন ভিসা কর্মসূচি ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’। মঙ্গলবার প্রথমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বিষয়টি ঘোষণা করেন, পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়েও এ উদ্যোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “যোগ্য এবং যাচাইকৃত আগ্রহীদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ। ট্রাম্প গোল্ড ভিসা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সরাসরি পথ হিসেবে কাজ করবে। আমাদের মহান মার্কিন কোম্পানিগুলো তাদের মেধাবী কর্মীদের ধরে রাখতে পারবে।”
কীভাবে পাওয়া যাবে ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’?
মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে trumpcard.gov ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ বোতামে ক্লিক করলে আবেদনপত্র প্রদর্শিত হবে। ফরম জমা দেওয়ার সময় প্রসেসিং ফি হিসেবে দিতে হবে ১৫ হাজার ডলার, যা আদায় করবে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (DHS)।
আবেদন যাচাই–বাছাই শেষে যোগ্যতা নিশ্চিত হলে আবেদনকারীকে আরও ১০ লাখ ডলার ‘ডোনেশন’ বা আর্থিক অবদান দিতে হবে। ওয়েবসাইটে একে ‘গিফট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিসা কার্যত গ্রিন কার্ডের সমতুল্য সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাস ও কাজের অধিকারসহ।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটি এক অর্থে গ্রিন কার্ডেরই উন্নত সংস্করণ। আরও শক্তিশালী, আরও কার্যকর এবং নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এটি আদর্শ পথ।”
-শরিফুল
আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার প্রায় ২০০ অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী জোর করে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করে, যাদের নিরাপত্তায় ছিল ইসরায়েলি পুলিশ। আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুপ্রবেশকারীরা ডোম অব দ্য রকের নিকটে গিয়ে ‘তালমুদিক’ ধর্মীয় আচার পালন করে, যা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও প্রজ্বলিত করেছে।
জেরুজালেম প্রাদেশিক প্রশাসন জানায়, সকাল ও বিকেলে দুই দফায় মোট ১৮২ জন বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে এবং কুব্বাতুস সাখরার কাছে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে। একই দিনে ৭৭৮ জন বিদেশি পর্যটকও মসজিদ এলাকায় প্রবেশের অনুমতি পায়। এ ধরনের কার্যক্রম পবিত্র মসজিদ এলাকার সাংবিধানিক স্থিতি ও ধর্মীয় পরিবেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই ৪ হাজার ২৬৬ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি দর্শনার্থী আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব বারবারের অনুপ্রবেশ হচ্ছে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই অংশ, যার উদ্দেশ্য আল-আকসাকে সময়ভিত্তিক কিংবা স্থানভিত্তিকভাবে বিভক্ত করা।
ইসলামিক ওয়াকফ প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে, আল-আকসার মোট ১৪৪ দুনুম এলাকা মুসলমানদের একক ইবাদতের স্থান। এর ধর্মীয় মর্যাদা ও স্থিতি রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাইরের কোনো চাপের কাছে তা নতিস্বীকার করবে না।
আল-আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী মরক্কো গেট দিয়ে অনুপ্রবেশ বাড়িয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের কাছে আল-আকসা শুধু একটি উপাসনালয় নয়, বরং তাদের জাতীয় প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতীক।
-রফিক
ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ–রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের ভারতীয় প্রভাবকে পুনর্বিন্যস্ত করতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন পথ তৈরির লক্ষ্যে পাকিস্তান নতুন এক বহুপাক্ষিক জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির উপ–প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে বিদ্যমান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করে অন্যান্য আঞ্চলিক ও অতিরাষ্ট্রীয় অংশীদারদের যুক্ত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ইসলামাবাদ। এই প্রস্তাব বর্তমানে সার্কের স্থবিরতা এবং ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নতুন ভূ–কৌশলগত সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে দার প্রকাশ্যে বলেন, বহু বছর ধরে অচলাবস্থায় থাকা সার্কের পরিবর্তে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কার্যকর একটি নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। সম্প্রতি চারদিনের সীমান্ত–সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় তিনি মন্তব্য করেন যে, দক্ষিণ এশিয়া আর শূন্য–ফলাফলভিত্তিক প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক বিভাজন এবং অকেজো আঞ্চলিক কাঠামোর বেড়াজালে আটকে থাকতে পারে না। তিনি এমন একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেন, যা উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৃহত্তর ভূ–রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও চীন চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ফোরাম চালু করে, যার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চীনের কুনমিংয়ে। দারের মতে, এ কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করা সম্ভব, এবং আঞ্চলিক স্বার্থ কোনো সদস্যের একগুঁয়েমি বা রাজনৈতিক অবস্থানের কাছে বন্দি থাকা উচিত নয়। তার বক্তব্যে ভারতের প্রতি এই ক্ষুদ্র কিন্তু স্পষ্ট ইঙ্গিতটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
১৯৮৫ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া সার্ক দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সংহতি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা উন্নয়নকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় এই জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০১৬ সালের উরি হামলার পর ভারতের আপত্তিতে সার্ক সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর আর কোনো শীর্ষ বৈঠক হয়নি। ফলে ভারত এখন পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে বিমসটেকের দিকে কৌশলগতভাবে ঝুঁকেছে।
সার্ক অঞ্চলে দুইশ কোটি মানুষের বসবাস হলেও আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, বিভিন্ন বাণিজ্য–বাধা দূর করা গেলে এই বাণিজ্য তিনগুণ বেড়ে কমপক্ষে ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারত।
লাহোরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক–বিশেষজ্ঞ রাবিয়া আখতার মনে করেন, পাকিস্তানের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেয়ে বরং আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ বেশি। তার মতে, উদ্যোগটি মূলত পাকিস্তানের আঞ্চলিক কূটনীতিকে বহুমাত্রিক করার ইঙ্গিত দিলেও এর সফলতা নির্ভর করবে দুইটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত, সম্ভাব্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো কি ছোট ও ইস্যুভিত্তিক ফোরামে বাস্তব উপযোগিতা দেখতে পায় কিনা। দ্বিতীয়ত, এই জোটে যোগ দিলে তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাজনৈতিক মূল্য বা ঝুঁকি তৈরি হয় কিনা।
-শরিফুল
১৬ বছরের নিচে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে, যা কার্যকর হওয়া মাত্র লাখো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এমন কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া এক নতুন নজির স্থাপন করেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানান, শিশুর নিরাপত্তা সুরক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া এই পদক্ষেপ তার কাছে “একটি গর্বের মুহূর্ত”।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১৬ বছরের নিচের কেউই আর ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, এক্স, স্ন্যাপচ্যাট, কিক, রেডিট, টুইচ, টিকটক এবং ইউটিউবসহ যেকোনো প্রধান সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতেই অস্ট্রেলিয়ার কিশোর সমাজে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এটিকে অসম্মানজনক ও সীমাবদ্ধতাসৃষ্টিকারী হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হবে।
ড্যানি ইলাচি নামে পাঁচ সন্তানের এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের হাতে স্মার্টফোন ও সামাজিক মাধ্যম তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের সীমা যত দেরি করা যায়, পরিবার ও সমাজের জন্য তা ততই উপকারী। তিনি জানান, ১০ বছর বয়সে বড় সন্তানের হাতে ফোন তুলে দেওয়ার পর তাকে সঠিক ব্যবহার শেখাতে না পারার জন্য তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করেন। ইলাচির মতে, শিশুবয়সের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রলিং ও লাইক পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নষ্ট হওয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে ১৪ বছর বয়সী কনটেন্ট ক্রিয়েটর জোয়ির অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তিনি বলেন, তার ক্যারিয়ার গড়তে সামাজিক মাধ্যম ছিল প্রধান ভরসা। তার বাবা মার্ক জানান, নতুন প্রজন্ম নিজেদের প্রতিভা প্রচার ও ব্র্যান্ড তৈরি করতে সামাজিক মাধ্যমই সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছিল, আর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা বড় একটি সুযোগ হারাবে।
ডিজিটাল ক্ষতি প্রতিরোধ, অনলাইন হয়রানি কমানো এবং শিশুদের মানসিক সুস্থতা সুরক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত এই সিদ্ধান্তটি অস্ট্রেলিয়ায় বড় ধরনের জনআলোচনা তৈরি করেছে। একদিকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি, অন্যদিকে সৃজনশীলতা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা সব মিলিয়ে এই নতুন আইন দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
-শরিফুল
পুরুষ কমে যাওয়ায় স্বামী ভাড়া করছেন নারীরা
ইউরোপের উত্তরাঞ্চলের দেশ লাটভিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভয়াবহ লিঙ্গ বৈষম্যের মুখে পড়েছে। দেশটিতে নারীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে গেলেও পুরুষের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কমে যাওয়ায় দুই লিঙ্গের অনুপাত অস্বাভাবিক হারে বিঘ্নিত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেক নারী উপযুক্ত সঙ্গী না পেয়ে বাধ্য হয়ে ভাড়া করা ‘অস্থায়ী স্বামী’-এর সাহায্য নিচ্ছেন।
‘দ্য নিউইয়র্ক পোস্ট’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে লাটভিয়াতেই নারী-পুরুষ অনুপাতের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। সেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা প্রায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। যা ইউরোপীয় গড় অনুপাতের প্রায় তিনগুণ। ফলে সামাজিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র—সব জায়গায়ই পুরুষের ঘাটতি স্পষ্ট।
অনেক কর্মস্থলে এখন পুরুষ কর্মী খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। লাটভিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ এক তরুণ জানিয়েছেন, তার কর্মস্থলের অধিকাংশই নারী সহকর্মী। কাজের পরিবেশ সুখকর হলেও দেশের লিঙ্গ ভারসাম্যহীনতা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
লাটভিয়ার বেশিরভাগ নারীর অভিযোগ, সঙ্গী পাওয়ার মতো উপযুক্ত পুরুষের অভাব প্রকট। অনেক ক্ষেত্রে একজন পুরুষ একসঙ্গে বহু নারীর কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছেন, কিন্তু তা সীমিত সময়ের জন্য। দেশের বার্ধক্যসীমার তথ্যে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সের পর নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় তিনগুণ বেশি যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
এ অবস্থায় অনেক নারী দৈনন্দিন গৃহস্থালি কাজ, সময় কাটানো বা সাময়িক সহায়তার জন্য ‘ভাড়া স্বামী’ পরিষেবার দিকে ঝুঁকছেন। মিস্ত্রি কাজ, বাড়ি রঙ করা, ইলেকট্রনিকস ইনস্টলেশন, ভাঙা জিনিস মেরামত কিংবা পোষ্যের যত্ন নেওয়া সব ধরনের কাজে প্রশিক্ষিত পুরুষকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া করে এনেছেন তারা। এসব সেবার জনপ্রিয়তা বাড়ায় লাটভিয়ার কয়েকটি ই-কমার্স কোম্পানি পুরুষ কর্মী নিয়োগ শুরু করেছে।
শুধু সরাসরি কাজ নয়, অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে ‘এক ঘণ্টার জন্য স্বামী ভাড়া’ পরিষেবাও বিপুল সাড়া ফেলেছে। সংস্থাগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী দক্ষ পুরুষ পাঠায়, যারা গিয়ে পরিবারের কর্তার মতো সমাধান দিয়ে আসে পর্দা টাঙানো থেকে শুরু করে ফার্নিচার মেরামত সবই।
প্রশ্ন হচ্ছে, এমন অস্বাভাবিক লিঙ্গ অসাম্য তৈরি হলো কেন? বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, সামাজিক কাঠামোগত কারণের পাশাপাশি পুরুষদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অতিরিক্ত ধূমপান, স্থূলতা ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস পুরুষদের আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, লাটভিয়ার ৩১ শতাংশ পুরুষ নিয়মিত ও মাত্রাতিরিক্ত ধূমপান করেন, যেখানে নারীদের মধ্যে এই হার মাত্র ১০ শতাংশ। ফলে পুরুষরা গুরুতর রোগে বেশি আক্রান্ত হন ও তুলনামূলক কম বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে ইতোমধ্যেই “রেন্ট মাই হ্যান্ডি হাজব্যান্ড” নামের অনুরূপ সেবা চালু হয়েছে, যেখানে ঘণ্টাভিত্তিক বা দৈনিক ভিত্তিতে পুরুষ কর্মী ভাড়া দেওয়া হয়।
-
আফগান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনা নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আফগানিস্তান সীমান্তের নিকটবর্তী একটি নিরাপত্তা চৌকিতে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ছয় সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে যে সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার ভোরের মধ্যবর্তী সময়ে এ হামলা সংঘটিত হয়।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার স্থানটি আগে উপজাতীয় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল এবং দীর্ঘদিন ধরেই এ এলাকায় জঙ্গি তৎপরতা উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান। এখনো বিস্তৃত তথ্য প্রকাশ না করা হলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুরো এলাকাজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। হামলাকারীদের সন্ধানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে নিরাপত্তা বাহিনী এবং সম্ভাব্য সব পথ নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।
পাকিস্তান চলতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলার জন্য তালেবান সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করে আসছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক অনেক হামলায় আফগান নাগরিকরা জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের অভিযোগ, আফগানিস্তান তালেবানদের আশ্রয় দিচ্ছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের কার্যক্রম উপেক্ষা করছে।
এই পরিস্থিতি দুই দেশের সম্পর্ককে উত্তেজনার চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সীমান্ত এলাকায় কয়েকবার গোলাগুলি, পাল্টাপাল্টি আক্রমণ এবং সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। সাম্প্রতিক হামলাটি সেই অস্থিতিশীলতারই আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা।
সূত্র:রয়টার্স
ভারতকে নতুন শুল্কের হুমকি ট্রাম্পের
ভারতের বিরুদ্ধে আবারও কঠোর শুল্ক আরোপের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত ও কানাডার সঙ্গে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় তিনি এ ধরনের কঠোর বার্তা দেন। স্থানীয় সময় সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ভারত থেকে চাল এবং কানাডা থেকে সার আমদানির ওপর তাঁর প্রশাসন ভারী শুল্ক বসানোর চিন্তা-ভাবনা করছে, কারণ আলোচনাগুলো এখন কার্যত অচলাবস্থায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, ওই বৈঠকে ট্রাম্প মার্কিন কৃষকদের জন্য কয়েকশ কোটি ডলারের নতুন কৃষি ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করেন এবং বিশেষ করে ভারতসহ এশীয় দেশগুলো থেকে কৃষিপণ্য আমদানির তীব্র সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, বিদেশি কৃষিপণ্য যুক্তরাষ্ট্রের দেশের ভেতরের কৃষকদের উৎপাদন ও বাজারকে বিপর্যস্ত করছে। তিনি পরিষ্কার ভাষায় জানান, আমেরিকান কৃষকদের সুরক্ষায় শুল্কই হবে তাঁর প্রধান নীতি। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কৃষি সহায়তা প্যাকেজে ১২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হবে, যা আন্তর্জাতিক আমদানি বাণিজ্য থেকে সংগৃহীত শুল্ক রাজস্ব থেকে আসবে।
ট্রাম্প দাবি করেন, বহু দেশ অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। তাঁর মতে, পূর্ববর্তী প্রশাসন থেকে পাওয়া উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও নিম্ন কৃষিপণ্যমূল্যের চাপে থাকা খামার অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতেই এখন বৃহত্তর সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
বৈঠকে চাল আমদানির প্রসঙ্গে ভারতকে বিশেষভাবে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। লুইজিয়ানার একজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন যে ভারতীয় চাল দক্ষিণ যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আলোচনার একপর্যায়ে ট্রাম্পকে জানানো হয় যে মার্কিন বাজারে বিক্রি হওয়া দুটি বড় চাল ব্র্যান্ডই ভারতীয় মালিকানাধীন। জবাবে ট্রাম্প বলেন, শুল্ক আরোপ করা হলে মাত্র কয়েক মিনিটেই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। তিনি ভারতকে ডাম্পিং বা অস্বাভাবিকভাবে কম দামে পণ্য রপ্তানির অভিযোগও তোলেন।
একই বৈঠকে কানাডার সারের ওপরও নতুন করে শুল্ক আরোপের ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প। তাঁর মতে, কঠোর শুল্ক আরোপ করলে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিখাতকে আরও শক্তিশালী করবে।
গত দশ বছরে ভারত–মার্কিন কৃষি বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বিস্তৃত হয়েছে। ভারত যুক্তরাষ্ট্রে বাসমতি চাল, চালজাত খাদ্য, মসলা ও সামুদ্রিক পণ্য রপ্তানি করে, অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে বাদাম, তুলা ও ডাল বিক্রি করে। তবে ভর্তুকি নীতি, বাজারে প্রবেশাধিকার এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চাল ও চিনিসংক্রান্ত অভিযোগ এই তিনটি বিষয় দুই দেশের আলোচনায় এখনও বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে রয়ে গেছে।
-শরিফুল
ইমরানে খানের বিরুদ্ধে নতুন করে তোপ দাগলেন সানাউল্লাহ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের রাজনৈতিক ও জনসংযোগ উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান খুব শিগগিরই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার প্রভাবশালী অবস্থান হারাতে চলেছেন। সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, খান আর আগের মতো পাকিস্তানের রাজনীতিতে গ্রহণযোগ্য থাকবেন না।
গুজরানওয়ালায় এক বিশাল জনসভায় বক্তব্য রাখার সময়ে সানাউল্লাহ ইমরান খানের শাসনকাল, সেনাবাহিনী বা এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে তার টানাপোড়েন এবং পিটিআইয়ের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা সম্পর্কে তীব্র সমালোচনা করেন। তার মতে, ইমরান খানের নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার যে রাজনৈতিক ধারা দেখা গিয়েছিল, তা পাকিস্তানের জন্য ক্ষতিকর ছিল।
তিনি আরও বলেন, ইমরানের সরকার এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যা দেশের জন্য তীব্র সংকট ডেকে আনে। এসব সিদ্ধান্তের দায় শুধু সরকারের নয়, তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার বাজবার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রানা সানাউল্লাহ মন্তব্য করেন যে নওয়াজ শরিফ তার রাজনৈতিক জীবনে কখনোই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করেননি, যা পিটিআইয়ের রাজনৈতিক আচরণের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত একটি ধারা।
তার দাবি, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের দমন করার উদ্দেশ্য থেকেই ইমরান খান ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের সূচনা হয়েছিল। তিনি বলেন, ইমরান খান এস্টাবলিশমেন্টকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে চাপ দিচ্ছিলেন, যা শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়।
সানাউল্লাহ আরও অভিযোগ করেন, ইমরান খান তার রাজনৈতিক উচ্চাশা পূরণের লক্ষ্যে এস্টাবলিশমেন্টকে একাধিকবার ব্ল্যাকমেইল করতে চাইছিলেন, যা দেশে দীর্ঘমেয়াদি অস্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি করে।
এক পর্যায়ে রানা সানাউল্লাহ বলেন, পিটিআইয়ের প্রায় ৮৫ শতাংশ সদস্য এখন আর ইমরান খানের রাজনৈতিক কর্মপদ্ধতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বোধ করেন না। তার মন্তব্য অনুযায়ী, পিটিআইয়ের বর্তমান রাজনৈতিক কৌশল এমকিউএম প্রতিষ্ঠাতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তুলনাযোগ্য হয়ে উঠেছে এবং এই পদ্ধতি কখনোই সফলতার মুখ দেখবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, অতীতে দেশে যে ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান ছড়ানো হয়েছিল, বিশেষ করে পাকিস্তানবিরোধী বক্তব্য, সেগুলো ইমরান খানের প্রচার করা রাজনৈতিক বয়ানেরই অংশ ছিল। দেশের সাধারণ মানুষ এমন উগ্র বক্তব্যকে কখনোই গ্রহণ করবে না বলেও তিনি মনে করেন।
তথ্যসূত্র:সামা টিভি
৪৫ মিনিটের তুমুল গোলাগুলি আর রকেট লঞ্চারের আঘাতে তছনছ আফগান চেকপোস্ট
পাকিস্তানের সেনাদের গত দুই দিনের হামলায় কমপক্ষে ২৩ আফগান তালেবান সেনা নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। রবিবার ৭ ডিসেম্বর এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ। বেলুচিস্তানের চামান সীমান্তে এসব সেনা নিহত হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে শুক্রবার মধ্যরাতে সীমান্তের জামান সেক্টরে আফগান সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে প্রথমে ছোট অস্ত্র দিয়ে গুলি করে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে পাকিস্তানের সেনারা এর কড়া জবাব দেয়। প্রথমে হালকা অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলাগুলি চলে। তালেবান সেনারা যেন পাল্টা জবাব দিতে না পারে সেজন্য পরে ভারী অস্ত্র মোতায়েন ও ব্যবহার করা হয় যার মধ্যে রকেট লঞ্চার কামান এবং ভারী মেশিনগান ছিল। পাকিস্তানের এই হামলায় আফগান তালেবান সেনাদের তিনটি সীমান্ত চৌকি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
একটি সূত্র জানিয়েছে সাধারণ আফগান জনগণ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তবে প্রথম হামলার পর আফগান সেনারা জনবহুল এলাকায় চলে যায় বলে দাবি করেছে সূত্রগুলো। এরপর সেখান থেকে তারা আবার গুলি ছোড়ে। এর জবাবে ওই জনবহুল এলাকাতেও ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালানো হয় যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে।
পাঠকের মতামত:
- গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন তৈরিতে ট্রাম্পের নতুন বোর্ড
- রিজার্ভ ফের শক্তিশালী, আমদানি ব্যয় মেটাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- কাফনের কাপড়ে বিএনপির মিছিল, পটুয়াখালী-২ তে তোলপাড়
- ব্যালট পেপারে ভোট, সংসদ ও গণভোট আলাদা বাক্সে
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট, তফসিল ঘোষণা
- কুমিল্লা ৪ এ বিএনপি প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়
- শক্তিশালী লেনদেনে দিন শেষ করল ডিএসই মূল বোর্ড
- ১১ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ডিএসইতে বড় দরপতন: শীর্ষ দশ লুজারে কোন শেয়ার
- ডিএসইতে শীর্ষ দশ গেইনার: কোন শেয়ার আজ সবচেয়ে এগিয়ে
- ডিএসই–৩০ সূচকে মিশ্র প্রবণতা, কোন শেয়ার উঠল-নামল
- কাদের মোল্লার অবদান স্মরণে জামায়াত আমিরের আবেগঘন বক্তব্য
- নেতা দেশে পা রাখলে পুরো বাংলাদেশ উন্মাদনায় কেঁপে উঠবে: ফখরুল
- তবে কী গণঅধিকার পরিষদে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ
- মিউচুয়াল ফান্ডের নতুন এনএভি প্রকাশ, কোথায় কত উঠল
- আর্থিক প্রতিবেদনে বিশেষ মন্তব্য পেল দেশবন্ধু পলিমার
- লিংকন রাজ্জাক বিডি লিমিটেড এর প্রথম প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
- পাঁচ কোম্পানির নতুন ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
- ঠান্ডায় জয়েন্ট পেইন বাড়ে কেন এবং কীভাবে কমাবেন
- শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের সব যাত্রীসেবা স্থগিত, জানুন বিস্তারিত
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- আজকের আপডেট মুদ্রাবাজার: কত টাকায় কোন মুদ্রা
- সহজ রেসিপিতে ৭ ধরনের মজার চা বানান
- নারীর ক্ষমতায়নে বিএনপির রোডম্যাপ তুলে ধরলেন নওশীন
- ইউসিএলে আর্সেনালের তুঙ্গে ফর্ম, পিএসজি হতাশ
- জামায়াত-বিএনপি মুখোমুখি, কিশোরগঞ্জ–২ আসন বিশ্লেষণ
- শীতে শিশু অসুস্থ হচ্ছে? কোন রোগ কীভাবে চিনবেন
- শীতে চুল পড়া কমাতে ঘরোয়া ৫টি দারুন উপায়
- যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন
- গণহত্যার আড়ালে ইন্টারনেট বন্ধের পরিকল্পনায় জয়ের ভূমিকা
- কত দামে মিলবে ২১ ও ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ? দেখুন নতুন হার
- বিএনপির বড় কর্মসূচি আজ, সংক্ষিপ্ত তালিকা দেখুন
- শীতে খুশকি বাড়ছে? লেবুপাতা হতে পারে সহজ সমাধান
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- আজকের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় প্রকাশ
- পঞ্চগড়ে আরও নামতে পারে তাপমাত্রা:আবহাওয়া অফিস
- বৃহস্পতিবার কোন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ? তালিকা দেখুন
- আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ
- ইউরোপা লিগ ও টি২০, আজকের সব ম্যাচ কখন কোথায়
- কেন রাত ৮টার পর খাবার খাওয়া হজমে সমস্যা তৈরি করে
- প্রাথমিক প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সুখবর!
- দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ গ্রহণ, ড. ইউনূসের আবেগঘন বার্তা
- ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান
- পদত্যাগ–নির্বাচন দুটিতেই মুখ খুললেন আসিফ মাহমুদ
- ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় প্রকাশ
- ব্লক মার্কেটে বড় লেনদেন আজ, শীর্ষে যে শেয়ার
- ১০ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১০ ডিসেম্বর ডিএসইতে শীর্ষ দরপতনের ১০ শেয়ার
- ১০ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- প্রবৃদ্ধির সুফল গরিবের ঘরে পৌঁছাচ্ছে না বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা
- আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- কর্মবিরতি নিয়ে ফার্মাসিস্ট টেকনোলজিস্টদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিল সরকার
- ৭ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ৭ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সোজা এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা রহমান
- নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা
- ২০২৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচ কবে ও কখন জেনে নিন সময়সূচি








