সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা

সুদানের সংঘাতপীড়িত কর্দোফান অঞ্চলে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলায় ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর মধ্য সুদানের কাদুগলি শহরে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা লজিস্টিক ঘাঁটিতে এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া ও ড. ইউনূসের শোক
এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বিবৃতিতে তিনি জানান হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয় এবং আহত হয়েছেন আরও আটজন। তিনি জাতিসংঘকে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে এই কঠিন সময়ে সরকার নিহতদের পরিবারের পাশে থাকবে।
সেনাবাহিনীর অভিযোগ ও ভিডিও প্রকাশ
এই হামলার পেছনে সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস বা আরএসএফকে দায়ী করেছে। সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায় এই হামলা বিদ্রোহী মিলিশিয়া ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ধ্বংসাত্মক মনোভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে। একই সঙ্গে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে জাতিসংঘের ওই স্থাপনার ওপর ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়।
জাতিসংঘের কঠোর নিন্দা ও যুদ্ধাপরাধের সতর্কবার্তা
হামলার ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন আমি সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা লজিস্টিক ঘাঁটিতে চালানো ভয়াবহ ড্রোন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক আইনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। দক্ষিণ কর্দোফানে শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই ন্যায়সংগত নয় এবং এর জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বুলেটের আঘাতে নিথর দেহ থেকে নোবেল জয় পর্যন্ত মালালার অদম্য যাত্রা
মাথার এক পাশ ভেদ করে গুলি এবং মুহূর্তেই নিথর পুরো শরীর। চিকিৎসকদের ভাষায় এটি ছিল প্রায় অসম্ভব পরিস্থিতি। তবুও বেঁচে গেছেন মালালা ইউসুফজাই। শুধু বেঁচেই যাননি পরবর্তী সময়ে হয়ে উঠেছেন নারী শিক্ষার পক্ষে বৈশ্বিক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ। কীভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি তার বিস্তারিত নিচে তুলে ধরা হলো।
যেভাবে গুলিবিদ্ধ হন
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর আর দশটা দিনের মতোই বন্ধুদের সঙ্গে বাসে করে স্কুলে গিয়েছিলেন ১৫ বছর বয়সী মালালা। স্কুল থেকে ফেরার পথে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকায় তার ওপর হামলা চালায় তালেবান। বাসে উঠে এক বন্দুকধারী খুব কাছ থেকে মালালার মাথায় গুলি করে। গুলিটি ঢুকে কানের পাশ দিয়ে মস্তিষ্কের কাছাকাছি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল যে প্রথম কয়েক ঘণ্টা তাকে বাঁচিয়ে রাখা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যেই সংশয় ছিল। হামলায় তার দুই বান্ধবী কাইনাত রিয়াজ এবং শাজিয়া রমজানও আহত হন। এরপর মালালাকে দ্রুত পেশাওয়ারের একটি সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়।
প্রথম ৭২ ঘণ্টা ও জীবন মৃত্যুর লড়াই
হাসপাতালে পৌঁছানোর পর মালালার অবস্থা ছিল অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তৎক্ষণাৎ সেনা নিউরোসার্জন কর্নেল জুনায়েদ খান তাকে পরীক্ষা করে দেখেন অবস্থা অস্থিতিশীল। চার ঘণ্টা পর মস্তিষ্কে ফোলা বেড়ে যাওয়ায় তার অবস্থা আরও খারাপ হয়। এ সময় জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন নিউরোসার্জন। কিন্তু মালালার পরিবার প্রথমে রাজি হয়নি। জুনায়েদ খানের বয়স তুলনামূলক কম থাকায় তারা তার ওপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারছিলেন না। তারা বেসামরিক চিকিৎসক বা দুবাইয়ে স্থানান্তরের কথা ভাবছিলেন। তবে চিকিৎসক জুনায়েদ খান মালালার বাবাকে বোঝান অস্ত্রোপচার না হলে সে মারা যেতে পারে অথবা কথা বলার ক্ষমতা হারাতে পারে। শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতের পর অস্ত্রোপচার শুরু হয়। খুলির একটি অংশ সরিয়ে জমাট রক্ত বের করা হয় এবং তাকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। এই অস্ত্রোপচার মস্তিষ্কের চাপ কমিয়ে প্রাথমিকভাবে তার জীবন বাঁচায়। কিন্তু পরের দিন ইনফেকশন দেখা দিলে তাকে মেডিক্যালি ইন্ডিউসড কোমায় রাখা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যুক্তরাজ্যের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
যেভাবে সেরে উঠলেন
মালালা চিকিৎসকদের মতে মালালার বেঁচে যাওয়ার পেছনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ও ধাপ ছিল।
প্রথমত গুলিটি মস্তিষ্কের সেই অংশে সরাসরি আঘাত করেনি যা জীবনধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দ্বিতীয়ত দ্রুত চিকিৎসা ও সঠিক সময়ে নিউরোসার্জন জুনায়েদ খানের অস্ত্রোপচার তার জীবন বাঁচাতে বড় ভূমিকা রাখে।
তৃতীয়ত সংক্রমণ ঠেকাতে নিবিড় পরিচর্যা ও আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার কার্যকর প্রয়োগ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বার্মিংহামে বেশ কয়েকটি ধাপে তার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়।
মুখের পুনর্গঠনমূলক অস্ত্রোপচার
বুলেট তার মুখের হাড় ও স্নায়ুতে যে ক্ষতি করেছিল তা সারিয়ে তুলতে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়।
ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট
গুলির আঘাতে তার কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিল যা ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে ঠিক করা হয়।
টাইটানিয়াম প্লেট স্থাপন
পেশোয়ারে খোলা মাথার খুলির অংশটির পরিবর্তে একটি কাস্টম মেড বা আলাদাভাবে তৈরি টাইটানিয়াম প্লেট স্থাপন করে তার মাথা পুনর্গঠন করা হয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মালালা হাঁটতে লিখতে ও পড়তে শুরু করেন এবং ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মানসিক শক্তি ও ফিরে আসা
শারীরিক চিকিৎসার পাশাপাশি মালালার প্রবল মানসিক শক্তি এবং বাঁচার অদম্য ইচ্ছাশক্তিও তাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। চিকিৎসকরা তার এই মানসিক দৃঢ়তার কথা বারবার উল্লেখ করেছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর দীর্ঘ সময় ধরে ফিজিওথেরাপি এবং কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। চিকিৎসকদের মতে যদিও আঘাতটি ছিল প্রাণঘাতী তবুও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা এবং মালালার শারীরিক প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেই তিনি মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসতে পেরেছেন।
গুলি খেয়েও অদম্য
মালালা এমন ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার পরও মালালা থেমে যাননি বরং তার কণ্ঠ আরও জোরালো হয়ে ওঠে। মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে বিশ্বজুড়ে আন্দোলন শুরু করেন তিনি। পরবর্তী সময়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান মালালা ইউসুফজাই যা তাকে করে তোলে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীদের একজন। মালালা নিজে বলেছেন তালেবানের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসার ঘটনা তাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
সূত্র: সিএনএন, এবিসি নিউজ, এনবিসি নিউজ, উইকিপিডিয়াকেএএ/
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্যের মামলা
দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ এইচ–১বি ভিসার ফি অস্বাভাবিক হারে বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ২০টি অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল একযোগে মামলা দায়ের করেছেন, যা দেশটির অভিবাসন ও শ্রমবাজার নীতিতে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
মামলার প্রধান বাদী হিসেবে রয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনতা এবং ম্যাসাচুসেটসের অ্যাটর্নি জেনারেল জয় ক্যাম্পবেল। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অ্যারিজোনা, কলোরাডো, কানেকটিকাট, ডেলাওয়্যার, হাওয়াই, ইলিনয়েস, মেরিল্যান্ড, মিশিগান, মিনেসোটা, নেভাদা, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ওরিগন, রোড আইল্যান্ড, ভারমন্ট, ওয়াশিংটন ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের প্রধান আইন কর্মকর্তারাও।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন এইচ–১বি ভিসার ফি এক লাফে এক লাখ ডলারে উন্নীত করেছে, যা আইনি কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং যুক্তিহীন। প্রধান বাদী রব বনতা অভিযোগ করেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ জনশক্তি আসার পথ কার্যত রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। এতে একদিকে বিদেশি কর্মীরা আবেদন করতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করছে।
অভিযোগপত্রে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনৈতিক বাস্তবতার কথাও তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক দক্ষ কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। রাজ্যটির ভাষ্য অনুযায়ী, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও উদ্ভাবন খাতে বৈশ্বিক প্রতিভার অবদান ছাড়া এই অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব নয়।
এইচ–১বি ভিসা কর্মসূচি ২০০৪ সাল থেকে চালু রয়েছে। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো প্রতিবছর সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার দক্ষ বিদেশি কর্মীকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের সুযোগ পায়। মূলত বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি, প্রকৌশল ও ব্যবসায় প্রশাসন খাতে বিশেষ দক্ষতা সম্পন্ন কর্মীদের এই ভিসার আওতায় আনা হয়।
মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা, অ্যাপল ও গুগলের মতো শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই ভিসা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। এসব কোম্পানিতে শত শত বিদেশি দক্ষ কর্মী কাজ করে আসছেন, যারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।
এই ভিসার আরেকটি বড় আকর্ষণ ছিল স্থায়ী বসবাস ও নাগরিকত্বের সুযোগ। এইচ–১বি ভিসাধারীরা সহজেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পেতেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করে তা লাভ করতেন। ফলে এই কর্মসূচি বহু বিদেশি পেশাজীবীর কাছে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যারিয়ার গড়ার প্রধান মাধ্যম ছিল।
এর আগে এই কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত কোম্পানিগুলোকে ভিসা ফি হিসেবে বছরে মাত্র ১ হাজার ৫০০ ডলার দিতে হতো। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর ট্রাম্প প্রশাসন হঠাৎ করেই এই ফি বাড়িয়ে এক লাখ ডলারে উন্নীত করে, যা ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
ফি বৃদ্ধির প্রভাব শুধু করপোরেট খাতেই সীমাবদ্ধ নেই। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতেও এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ভিসা ফি বৃদ্ধির কারণে বিদেশি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসকদের আবেদন উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। সাম্প্রতিক এক জরিপে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৭৪ শতাংশ স্কুলে স্পেশাল এডুকেশন, ফিজিক্যাল সায়েন্স, বাইলিঙ্গুয়াল শিক্ষা এবং বিদেশি ভাষা শিক্ষায় শিক্ষক সংকট শুরু হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে মামলাকারী অঙ্গরাজ্যগুলো বলছে, এইচ–১বি ভিসার ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বহাল থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাত দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।
-রাফসান
ভারতের ওপর আবারও ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক
যুক্তরাষ্ট্রে নতুন বাণিজ্য নীতির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই পথে হাঁটলো প্রতিবেশী মেক্সিকো। দেশটি ঘোষণা করেছে যে ভারতসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। মেক্সিকোর এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের রপ্তানি বাজারে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে এমন সময়ে যখন ওয়াশিংটনের আরোপিত শুল্কসংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা এগিয়ে চলছে।
মেক্সিকো সরকার জানিয়েছে, ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ কিছু এশীয় দেশ থেকে আমদানি করা শিল্পপণ্যের ওপর সমান হারে উচ্চ শুল্ক কার্যকর হবে। সরকারের বক্তব্য, দেশীয় উৎপাদকদের ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা–চাপ থেকে রক্ষা করতে এবং স্থানীয় শিল্পের টেকসই বিকাশ নিশ্চিত করতে এই শুল্কসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন ট্যারিফ কাঠামোর আওতায় যেসব পণ্যে শুল্ক বাড়বে সেগুলোর তালিকা বিস্তৃত। অটো পার্টস, হালকা মোটরযান, পোশাক, টেক্সটাইল, প্লাস্টিক ও স্টিলজাত পণ্য, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, খেলনা, চামড়াজাত পণ্য, গৃহস্থালির প্লাস্টিক সামগ্রী এবং সাবান ও পারফিউমসহ বিস্তৃত কসমেটিক্স পণ্য এতে অন্তর্ভুক্ত। মেক্সিকো বলছে, তাদের স্থানীয় শিল্প বিদেশি উৎপাদকের আক্রমণাত্মক মূল্যের কারণে টিকে থাকতে পারছে না, তাই শুল্ক–বাঁধা দিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষিত করাই এই নীতির মূল উদ্দেশ্য।
সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই নতুন শুল্ক নীতির ফলে বছরে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউমের প্রশাসন অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্পক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তাদের মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকো এশীয় শিল্পপণ্য, বিশেষ করে চীনা নির্মাতাদের ওপর অতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল, যা দেশের বাণিজ্য ঘাটতি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমদানি সীমিত করে দেশীয় পণ্যের বাজারভিত্তি দ্রুত পুনর্গঠনের লক্ষ্যেই এই উচ্চ ট্যারিফ আরোপ করা হচ্ছে।
যদিও সিদ্ধান্তটি মেক্সিকোর শিল্প সুরক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে নেওয়া হয়েছে, তবে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে ভারতের রপ্তানি খাতে। মেক্সিকো ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্পের অন্যতম বড় বাজার। গাড়ি আমদানিতে শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করায় ভারতীয় নির্মাতারা বাড়তি ব্যয় ও প্রতিযোগিতার চাপে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শিল্প মহলের মতে, এতে ভারতের গাড়ি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য পতন দেখা দিতে পারে, যা আর্থিক মূল্য হিসেবে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি করছে।
ভারত ইতোমধ্যে কূটনৈতিক আলোচনার উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। ব্যবসায়িক সংগঠন ও শিল্পখাতের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় সরকারকে মেক্সিকোর সঙ্গে আলোচনায় বসার অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই সমাধানের পথ বের করা যায়।
-রাফসান
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ হল
অস্ট্রিয়ার সংসদে প্রবল সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে পাস হয়েছে একটি বিতর্কিত আইন, যেখানে ১৪ বছরের কম বয়সী মেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ভোটে আইনটি অনুমোদন পেলে দেশজুড়ে মানবাধিকার সংগঠন, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় বৈষম্যকে উসকে দিতে পারে এবং সামাজিক ঐক্যকে আরও দুর্বল করতে পারে।
রক্ষণশীল নেতৃত্বাধীন সরকার দাবি করেছে, নতুন এই আইন কিশোরী মেয়েদের এমন ধর্মীয় চাপ ও সামাজিক প্রত্যাশা থেকে রক্ষা করবে যা তাদের স্বাধীন বিকাশে বাধা দিতে পারে। সরকারের যুক্তি হলো, শিশুকিশোর মেয়েদের ওপর হিজাব আরোপ করা এক ধরনের সামাজিক বাধ্যবাধকতা, যা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
২০১৯ সালে অস্ট্রিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিলেও দেশের সাংবিধানিক আদালত সেটি বাতিল করে দেয়। তবে এবার সরকার আশাবাদী যে সংশোধিত কাঠামো অনুযায়ী নতুন আইনটি সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা আবারও সতর্ক করে বলছেন, নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের মানসিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক অন্তর্ভুক্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আইন অনুযায়ী, ১৪ বছরের নিচে কোনো ছাত্রী ইসলামিক ঐতিহ্য অনুসারে মাথা ঢেকে রাখা হিজাব বা অনুরূপ কোনো পর্দা ব্যবহার করতে পারবে না। সংসদীয় বিতর্কে গ্রিন পার্টি ছাড়া অন্য সব বিরোধী দলও আইনটির বিপক্ষে তীব্র মতামত দেয়। বিতর্কের সময় লিবারেল দলের সংসদীয় নেতা ইয়ানিক শেটি দাবি করেন, হিজাবকে শুধুমাত্র পোশাক হিসেবে দেখা যায় না; তাঁর মতে, এটি মেয়েদের “যৌনায়িত করে” এবং লিঙ্গভিত্তিক স্টেরিওটাইপকে আরও জোরালো করে।
একীভূতকরণমন্ত্রী ক্লাউডিয়া প্লাকোল্ম আইনটির পক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, যখন কোনো কিশোরীকে শেখানো হয় যে পুরুষের দৃষ্টি এড়াতে তাকে শরীর ঢাকতে হবে, সেটি ধর্মীয় রীতি নয় বরং একধরনের মানসিক দমন। তাঁর ভাষায়, মেয়েদের আত্মসম্মান ও পরিচয়ের ওপর এমন চাপ অস্ট্রিয়ার আধুনিক মূল্যবোধের সঙ্গে অসঙ্গত।
আইনটি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ কার্যকর হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, যেখানে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের নতুন আইনটি ব্যাখ্যা করা হবে। সচেতনতা পর্যায়ে কোনো শাস্তির বিধান থাকছে না। তবে নিয়ম অমান্য করলে অভিভাবকদের ১৫০ থেকে ৮০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
সরকার জানিয়েছে, দেশে প্রায় ১২ হাজার কিশোরী সরাসরি এই আইনের আওতায় আসবে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, আইনটি অপেক্ষাকৃত একটি ছোট সংখ্যালঘু গোষ্ঠীকে টার্গেট করে এবং বাস্তবে একীভূতকরণের বদলে সমাজে বিভাজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
-শরিফুল
গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন তৈরিতে ট্রাম্পের নতুন বোর্ড
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যৎ প্রশাসন পরিচালনার লক্ষ্যে ‘বোর্ড অব পিস’ নামের একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো গঠনের পরিকল্পনা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, ২০২৬ সালের শুরুতেই এ বোর্ডের সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, এই বোর্ড এমন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত হবে যাদের উপস্থিতি বিশ্ব রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন নজির তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, বিশ্বের কয়েকজন প্রভাবশালী রাষ্ট্রনেতা ইতোমধ্যেই এতে যোগদানের আগ্রহ জানিয়েছেন।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা ও প্রশাসনিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে ট্রাম্প যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছেন, সেই পরিকল্পনার কেন্দ্রীয় অংশ হিসেবে কাজ করবে বোর্ড অব পিস। ঘোষণার আগে থেকেই তিনি জানিয়েছেন যে, বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনিই।
এদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি মাইক ওয়াল্টজ জানান, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির রূপরেখা এগিয়ে নিতে অচিরেই আরও কিছু বড় ঘোষণা আসবে। বুধবার নিউইয়র্কে ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হ্যারজগের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, বোর্ড অব পিস গঠনের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করা হবে এবং পাশাপাশি দক্ষ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন করা হবে যাতে গাজার জনগণ জরুরি সেবা থেকে বঞ্চিত না হন।
হ্যারজগ বৈঠকে বলেন, এই পরিকল্পনায় দেরি করা উচিত হবে না। তাঁর মতে, সময়ক্ষেপণ হলে অন্য রাষ্ট্র বা গোষ্ঠী গাজায় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে। তিনি বিশেষভাবে ইঙ্গিত দেন ইরানের দিকে, যারা ইতোমধ্যে অঞ্চলটিতে সক্রিয়তার মাত্রা বাড়িয়েছে।
অপরদিকে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের মিশন এক বিবৃতিতে জানায়, বৈঠকে গাজা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় যুক্ত থাকা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ বজায় রাখার বিষয়ে দুপক্ষ আলোচনা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এই যৌথ প্রচেষ্টা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি পুনর্বহাল প্রক্রিয়াকে আরও গতিশীল করবে।
-শরিফুল
যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের নতুন পথ "ট্রাম্প গোল্ড ভিসা", কত খরচ জানুন
যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও নাগরিকত্ব লাভে আগ্রহী ধনী ব্যক্তিদের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে নতুন ভিসা কর্মসূচি ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’। মঙ্গলবার প্রথমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বিষয়টি ঘোষণা করেন, পরে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়েও এ উদ্যোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প তার পোস্টে লেখেন, “যোগ্য এবং যাচাইকৃত আগ্রহীদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ। ট্রাম্প গোল্ড ভিসা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার সরাসরি পথ হিসেবে কাজ করবে। আমাদের মহান মার্কিন কোম্পানিগুলো তাদের মেধাবী কর্মীদের ধরে রাখতে পারবে।”
কীভাবে পাওয়া যাবে ‘ট্রাম্প গোল্ড ভিসা’?
মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা জানান, আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রথমে trumpcard.gov ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। ‘অ্যাপ্লাই নাউ’ বোতামে ক্লিক করলে আবেদনপত্র প্রদর্শিত হবে। ফরম জমা দেওয়ার সময় প্রসেসিং ফি হিসেবে দিতে হবে ১৫ হাজার ডলার, যা আদায় করবে মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (DHS)।
আবেদন যাচাই–বাছাই শেষে যোগ্যতা নিশ্চিত হলে আবেদনকারীকে আরও ১০ লাখ ডলার ‘ডোনেশন’ বা আর্থিক অবদান দিতে হবে। ওয়েবসাইটে একে ‘গিফট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিসা কার্যত গ্রিন কার্ডের সমতুল্য সুবিধা দেবে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাস ও কাজের অধিকারসহ।
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “এটি এক অর্থে গ্রিন কার্ডেরই উন্নত সংস্করণ। আরও শক্তিশালী, আরও কার্যকর এবং নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এটি আদর্শ পথ।”
-শরিফুল
আল-আকসাকে ভাগ করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ
অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার প্রায় ২০০ অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী জোর করে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করে, যাদের নিরাপত্তায় ছিল ইসরায়েলি পুলিশ। আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়, অনুপ্রবেশকারীরা ডোম অব দ্য রকের নিকটে গিয়ে ‘তালমুদিক’ ধর্মীয় আচার পালন করে, যা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যমান উত্তেজনাকে আরও প্রজ্বলিত করেছে।
জেরুজালেম প্রাদেশিক প্রশাসন জানায়, সকাল ও বিকেলে দুই দফায় মোট ১৮২ জন বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা কম্পাউন্ডে প্রবেশ করে এবং কুব্বাতুস সাখরার কাছে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে। একই দিনে ৭৭৮ জন বিদেশি পর্যটকও মসজিদ এলাকায় প্রবেশের অনুমতি পায়। এ ধরনের কার্যক্রম পবিত্র মসজিদ এলাকার সাংবিধানিক স্থিতি ও ধর্মীয় পরিবেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, শুধু নভেম্বর মাসেই ৪ হাজার ২৬৬ জন অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এবং প্রায় ১৫ হাজার বিদেশি দর্শনার্থী আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দাবি, এসব বারবারের অনুপ্রবেশ হচ্ছে ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনারই অংশ, যার উদ্দেশ্য আল-আকসাকে সময়ভিত্তিক কিংবা স্থানভিত্তিকভাবে বিভক্ত করা।
ইসলামিক ওয়াকফ প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে, আল-আকসার মোট ১৪৪ দুনুম এলাকা মুসলমানদের একক ইবাদতের স্থান। এর ধর্মীয় মর্যাদা ও স্থিতি রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাইরের কোনো চাপের কাছে তা নতিস্বীকার করবে না।
আল-আকসা মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখলের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী মরক্কো গেট দিয়ে অনুপ্রবেশ বাড়িয়েছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। ফিলিস্তিনিদের কাছে আল-আকসা শুধু একটি উপাসনালয় নয়, বরং তাদের জাতীয় প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রতীক।
-রফিক
ভারতের আধিপত্যের জবাব: নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে চায় পাকিস্তান
দক্ষিণ এশিয়ার ভূ–রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের ভারতীয় প্রভাবকে পুনর্বিন্যস্ত করতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার নতুন পথ তৈরির লক্ষ্যে পাকিস্তান নতুন এক বহুপাক্ষিক জোট গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে। দেশটির উপ–প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও চীনের সঙ্গে বিদ্যমান ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করে অন্যান্য আঞ্চলিক ও অতিরাষ্ট্রীয় অংশীদারদের যুক্ত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে ইসলামাবাদ। এই প্রস্তাব বর্তমানে সার্কের স্থবিরতা এবং ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে নতুন ভূ–কৌশলগত সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে দার প্রকাশ্যে বলেন, বহু বছর ধরে অচলাবস্থায় থাকা সার্কের পরিবর্তে দক্ষিণ এশিয়ার জন্য কার্যকর একটি নতুন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন। সম্প্রতি চারদিনের সীমান্ত–সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে যাওয়ায় তিনি মন্তব্য করেন যে, দক্ষিণ এশিয়া আর শূন্য–ফলাফলভিত্তিক প্রতিযোগিতা, রাজনৈতিক বিভাজন এবং অকেজো আঞ্চলিক কাঠামোর বেড়াজালে আটকে থাকতে পারে না। তিনি এমন একটি আঞ্চলিক ব্যবস্থার পক্ষে যুক্তি দেন, যা উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং বৃহত্তর ভূ–রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও চীন চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে একটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা ফোরাম চালু করে, যার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় চীনের কুনমিংয়ে। দারের মতে, এ কাঠামোকে আরও বিস্তৃত করা সম্ভব, এবং আঞ্চলিক স্বার্থ কোনো সদস্যের একগুঁয়েমি বা রাজনৈতিক অবস্থানের কাছে বন্দি থাকা উচিত নয়। তার বক্তব্যে ভারতের প্রতি এই ক্ষুদ্র কিন্তু স্পষ্ট ইঙ্গিতটি বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
১৯৮৫ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠা পাওয়া সার্ক দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক সংহতি, সামাজিক অগ্রগতি এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা উন্নয়নকে কেন্দ্র করে গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনার ধারাবাহিকতায় এই জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। ২০১৬ সালের উরি হামলার পর ভারতের আপত্তিতে সার্ক সম্মেলন বাতিল হওয়ার পর আর কোনো শীর্ষ বৈঠক হয়নি। ফলে ভারত এখন পাকিস্তানকে পাশ কাটিয়ে বিমসটেকের দিকে কৌশলগতভাবে ঝুঁকেছে।
সার্ক অঞ্চলে দুইশ কোটি মানুষের বসবাস হলেও আন্তঃআঞ্চলিক বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, বিভিন্ন বাণিজ্য–বাধা দূর করা গেলে এই বাণিজ্য তিনগুণ বেড়ে কমপক্ষে ৬৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারত।
লাহোরভিত্তিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক–বিশেষজ্ঞ রাবিয়া আখতার মনে করেন, পাকিস্তানের এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের চেয়ে বরং আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ বেশি। তার মতে, উদ্যোগটি মূলত পাকিস্তানের আঞ্চলিক কূটনীতিকে বহুমাত্রিক করার ইঙ্গিত দিলেও এর সফলতা নির্ভর করবে দুইটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত, সম্ভাব্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো কি ছোট ও ইস্যুভিত্তিক ফোরামে বাস্তব উপযোগিতা দেখতে পায় কিনা। দ্বিতীয়ত, এই জোটে যোগ দিলে তাদের ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রাজনৈতিক মূল্য বা ঝুঁকি তৈরি হয় কিনা।
-শরিফুল
১৬ বছরের নিচে সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সী শিশু-কিশোরদের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে, যা কার্যকর হওয়া মাত্র লাখো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে এমন কঠোর ডিজিটাল নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে অস্ট্রেলিয়া এক নতুন নজির স্থাপন করেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার দিনে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানান, শিশুর নিরাপত্তা সুরক্ষার উদ্দেশ্যে নেওয়া এই পদক্ষেপ তার কাছে “একটি গর্বের মুহূর্ত”।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১৬ বছরের নিচের কেউই আর ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, থ্রেডস, এক্স, স্ন্যাপচ্যাট, কিক, রেডিট, টুইচ, টিকটক এবং ইউটিউবসহ যেকোনো প্রধান সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবে না। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতেই অস্ট্রেলিয়ার কিশোর সমাজে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এটিকে অসম্মানজনক ও সীমাবদ্ধতাসৃষ্টিকারী হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন যে এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়ক হবে।
ড্যানি ইলাচি নামে পাঁচ সন্তানের এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের হাতে স্মার্টফোন ও সামাজিক মাধ্যম তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের সীমা যত দেরি করা যায়, পরিবার ও সমাজের জন্য তা ততই উপকারী। তিনি জানান, ১০ বছর বয়সে বড় সন্তানের হাতে ফোন তুলে দেওয়ার পর তাকে সঠিক ব্যবহার শেখাতে না পারার জন্য তিনি নিজেকে অপরাধী মনে করেন। ইলাচির মতে, শিশুবয়সের মূল্যবান সময় সামাজিক মাধ্যমে স্ক্রলিং ও লাইক পাওয়ার প্রতিযোগিতায় নষ্ট হওয়া উচিত নয়।
অন্যদিকে ১৪ বছর বয়সী কনটেন্ট ক্রিয়েটর জোয়ির অভিজ্ঞতা ভিন্ন। তিনি বলেন, তার ক্যারিয়ার গড়তে সামাজিক মাধ্যম ছিল প্রধান ভরসা। তার বাবা মার্ক জানান, নতুন প্রজন্ম নিজেদের প্রতিভা প্রচার ও ব্র্যান্ড তৈরি করতে সামাজিক মাধ্যমই সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করছিল, আর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা বড় একটি সুযোগ হারাবে।
ডিজিটাল ক্ষতি প্রতিরোধ, অনলাইন হয়রানি কমানো এবং শিশুদের মানসিক সুস্থতা সুরক্ষার লক্ষ্যে গৃহীত এই সিদ্ধান্তটি অস্ট্রেলিয়ায় বড় ধরনের জনআলোচনা তৈরি করেছে। একদিকে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি, অন্যদিকে সৃজনশীলতা ও ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা সব মিলিয়ে এই নতুন আইন দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি সামাজিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা
- বিশ্বকাপের আগেই ব্রাজিল সমর্থকদের জন্য এলো দারুণ খুশির সংবাদ
- দেশকে মেধাহীন ও নেতৃত্বশূন্য করতেই হাদির ওপর হামলা: আসিফ মাহমুদ
- লাইফ সাপোর্টে হাদি কিন্তু খুনিদের সিন্ডিকেট ঘুরছে হাসপাতালেও
- পেশায় শ্রমিক হান্নানের মোটরসাইকেলটি যেভাবে ব্যবহৃত হলো হাদির ওপর হামলায়
- সামনে আরও হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে: মির্জা ফখরুল
- প্রবাসীদের জন্য জরুরি খবর, জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
- সারাদিন ক্রিকেট ও রাতে লা লিগার জমজমাট লড়াই: টিভিতে আজকের খেলার সময়সূচি
- ঢাকার আবহাওয়া নিয়ে সর্বশেষ তথ্য
- একাত্তরের সেই কালরাত্রি ও রাও ফরমান আলীর নীল নকশার ইতিহাস
- রোববার ঢাকায় যেসব কর্মসূচি, বের হওয়ার আগে যা জানা জরুরি
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- লন্ডন ঢাকা রুটের সব টিকিট শেষ, ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সংবর্ধনার প্রস্তুতি
- শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বিনম্র শ্রদ্ধা
- সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসামে ফয়সাল
- সারা দেশে আতঙ্কে সম্ভাব্য প্রার্থীরা
- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাদির গড়া প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ
- ভারত ও পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস
- ভারত ও পাকিস্তানের রেকর্ড ভেঙে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস
- হঠাৎ মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত হলে কী করবেন এবং কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে
- পুলিশি লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মেসির কলকাতা সফর
- ষড়যন্ত্র চলছে,নির্বাচন অত সহজে হবে না বলে সতর্ক করলেন তারেক রহমান
- খুলনায় জোড়াগেটে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান
- রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছবি এবং ছাত্রলীগ সদস্যপদ থাকা ফয়সালই কি সেই হামলাকারী?
- এআই দিয়ে তৈরি ছবি দেখে ভুল তথ্য ছড়িয়েছেন রিজভী: ডিএমপি কমিশনার
- আইনি লড়াই শেষে এবার ভোটের মাঠে নামছেন অ্যাটর্নি জেনারেল
- ফ্যাসিস্ট সন্ত্রাসীদের দমনে শুরু হচ্ছে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ
- মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার ফল রোববার প্রকাশের সময় জানাল অধিদপ্তর
- বুলেটের আঘাতে নিথর দেহ থেকে নোবেল জয় পর্যন্ত মালালার অদম্য যাত্রা
- আলু পেঁয়াজের গল্প শুনতে চাই না স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ চাই
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদকের ভয়াবহ বিস্তারে চরম নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
- জাহানারার অভিযোগের শক্ত প্রমাণ মিলছে না: তদন্ত কমিটি
- ওসমান হাদির বাড়িতেে দুর্ধর্ষ চুরি
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- বিপিএল মাতাতে আসছেন আইপিএল ও বিগ ব্যাশ খেলা কিউই অলরাউন্ডার
- শনিবার থেকে কার্যকর স্বর্ণের বাড়তি দাম: জানুন বিস্তারিত তালিকা
- পদ হারানোর তিন বছর পর মনোনয়ন পেলেন মঞ্জু কিন্তু থামছে না বিরোধ
- গোপালগঞ্জে আদালত চত্বরে ককটেল বিস্ফোরণ
- আজকের টাকার রেট জানুন এক নজরে
- হামলার আগে হাদির পাশে বসেছিলেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি
- মাথায় আঘাত লাগলে কী করবেন, জানুন জরুরি করণীয়
- দুর্নীতির অভিযোগে চার ক্রিকেটার নিষিদ্ধ
- শীতে ঘরেই বানান নরম ও মজাদার দুধ পুলি পিঠা
- শীতে ডিহাইড্রেশন বাড়ে কেন, জানুন প্রতিরোধের উপায়
- ৪.৪ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা এমডির
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬: টিকিট এর মূল্য ও কেনার উপায়
- যেভাবে জানা যাবে স্কুল ভর্তি লটারির ফল
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- স্কুলভর্তির ডিজিটাল লটারি শুরু, ফল প্রকাশের সময় জানা গেল
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- রাজশাহীতে নলকূপে আটকে পড়া শিশুকে বের করতে সুরঙ্গ খনন
- দেশে ফেরা নিয়ে যা জানালেন সাকিব আল হাসান
- আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
- তানোরে ৩২ ঘণ্টা পর উদ্ধার শিশুসাজিদ, কেমন আছে সে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে সরকারের নতি স্বীকার, বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- সপ্তাহের শুরুতে স্বর্ণের বাজার দর ও বিস্তারিত মূল্য তালিকা








