বন্ধ নাক খুলতে নেজাল ড্রপ নয়, কাজে লাগান এই ৭ ঘরোয়া উপায়

ধুলাবালিতে অ্যালার্জি বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা-সর্দি লাগা একটি সাধারণ সমস্যা। ঠান্ডা-সর্দি বা অ্যালার্জির কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলেই অনেকে নেজাল ড্রপ ব্যবহার করেন। যদিও এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এটি ব্যবহার করলে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই হঠাৎ নাক বন্ধ হয়ে গেলে ঘরোয়া সমাধান অনুসরণ করলে সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
বন্ধ নাক খুলতে যা যা করতে পারেন
১. বাষ্প গ্রহণ (Steam Inhalation): বাষ্প গ্রহণ শ্লেষ্মা আলগা করতে সাহায্য করে। এটি নাকের ভেতরের ফোলাভাব কমিয়ে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেয়। ভালো ফল পেতে একটি তোয়ালের নিচে গভীরভাবে শ্বাস নিন।
২. কপালে গরম সেঁক দিন: কপাল বা নাকের আশেপাশে গরম সেঁক দিলে বন্ধ নাক থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এই প্রক্রিয়া রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে নাকের পথ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৩. এসেনশিয়াল তেল ব্যবহার: ইউক্যালিপটাস বা পিপারমিন্ট এসেনশিয়াল তেলে মেন্থলের মতো যৌগ থাকে, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ খুলে দেয়। এই প্রয়োজনীয় তেলগুলো একটি বাহক তেলের (carrier oil) সঙ্গে মিশিয়ে নাকের কাছে বা বুকে লাগালে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়।
৪. গরম মধু-লেবুর পানি: মধু এবং লেবুর পানি শরীরকে আর্দ্র রাখে, গলার জ্বালা বন্ধ করে এবং শ্লেষ্মা তরল করতে সাহায্য করে। মধুতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য এবং লেবুর ভিটামিন সি একসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে নাক বন্ধ থেকে মুক্তি দেয়।
৫. হলুদ দুধ: হলুদে থাকা কারকুমিন একটি শক্তিশালী প্রদাহরোধী উপাদান। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে পান করলে শরীরের প্রদাহ কমে এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এই মিশ্রণ নাকের বন্ধভাব দূর করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৬. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলালেবু, কিউই, স্ট্রবেরি এবং অন্যান্য ফল বন্ধ নাক সৃষ্টিকারী সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই ধরনের খাবার গ্রহণ করলে ঠান্ডা ও নাকের বন্ধভাব কমবে।
৭. আদা চা: আদায় থাকা অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। উষ্ণ আদা চা পানে গলার খুশখুশে ভাব কমে। একইসঙ্গে নাকের ফোলাভাব কমায় এবং দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে।
শীতের আগে থেকেই যে ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি
সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে শীতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো সম্ভব। তাই জীবনযাপনে এই পরিবর্তনগুলো আনা জরুরি:
১. পর্যাপ্ত পানি পান: শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় অনেকেই পানি কম পান করেন, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা তৈরি করতে পারে। সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান করার বিকল্প নেই।
২. সকালের খাবার মিস করবেন না: সুস্থ থাকতে সকালে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে এনার্জি কমে যায়, রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যেতে পারে এবং গ্যাসের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
৩. মেপে খান কফি: অতিরিক্ত কফি পান করলে ডিহাইড্রেশন, অ্যাংজাইটি, বদহজম এবং ঘুমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের তাপমাত্রাও বাড়িয়ে দেয়। তাই কফি পানে লাগাম টানুন।
৪. জাঙ্ক ও প্রসেসড ফুড এড়িয়ে চলুন: ফাস্টফুড ও প্যাকেটজাত খাবার সব ঋতুতেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। এসব খাবারে বেশি ক্যালরি, সুগার ও ফ্যাট থাকে, যা ওজন বাড়ায়। রান্না এড়াতেও এসব প্রসেসড ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫. অ্যালকোহল পরিহার: শীতকালে বিভিন্ন উৎসব-আয়োজন বেড়ে যায়। এসময় অ্যালকোহল শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়, যা শীতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সুস্থ থাকতে অ্যালকোহল গ্রহণের অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী হাজার বছর ধরে লোকঔষধ ও সৌন্দর্যচর্চায় ব্যবহৃত। মিসরীয় প্যাপিরাস থেকে ভারতীয় আয়ুর্বেদ, গ্রিক ও আরব চিকিৎসা পর্যন্ত সর্বত্র এর উপস্থিতি দেখা যায়। আধুনিক বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ বলছে পাতার ভেতরের স্বচ্ছ জেল প্যারেনকাইমা, মিউকোপলিস্যাকারাইড, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। একই পাতা আবার হলুদাভ তিক্ত ল্যাটেক্সও বহন করে যাতে প্রাকৃতিক রেচক অ্যান্থ্রাকুইনোন থাকে। এই দুই স্তরের আলাদা প্রোফাইল বোঝা জরুরি, কারণ জেল তুলনামূলক নরমাল ব্যবহারে নিরাপদ হলেও কাঁচা ল্যাটেক্স বেশি খেলে সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিগুণের ভিত
অ্যালোভেরার জেল ভিটামিন এ, সি, ই সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। বি গ্রুপের মধ্যে বি১, বি২, বি৩, বি৬ এবং কিছু প্রজাতিতে বি১২ রিপোর্ট করা হয়। খনিজের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ থাকে। জেলে পলিস্যাকারাইড যেমন অ্যাসেম্যানান, এনজাইম এবং অ্যামিনো অ্যাসিডের একটি ভাল মিশ্রণ থাকে। এই সমন্বয় ত্বককে হাইড্রেট করে, ক্ষতস্থানে স্যুত্র তৈরি সহায়তা করে, মৌখিক শ্লেষ্মা শান্ত করে এবং পরিপাকে স্বস্তি দিতে পারে।
জেল বনাম ল্যাটেক্স
পাতা কাটলে যে স্বচ্ছ জেল বের হয় সেটিই সাধারণত ত্বক, চুল এবং পানীয়ের জন্য ব্যবহৃত। পাতার খোসার ঠিক ভেতরের হলুদাভ তরলটি হলো ল্যাটেক্স, যার ল্যাক্সেটিভ প্রভাব প্রবল। বাজারে ডিকলোরাইজড বা ফিল্টারড জুস বলতে সাধারণত ল্যাটেক্স অপসারিত জেল-ভিত্তিক পণ্য বোঝায়। গৃহে ব্যবহার করলে পাতার সবুজ অংশ ও হলুদ স্তর ভালোভাবে ছেঁটে ফেলে কেবল স্বচ্ছ জেল নিন।
হজম ও ডিটক্স: কীভাবে কাজ করে
জেলে থাকা এনজাইম শর্করা ও চর্বি ভাঙতে সহায়তা করে, যা হজমের আরাম বাড়ায়। পানি ও মিউকোপলিস্যাকারাইড অন্ত্রের মিউকোসা শান্ত করে। ল্যাটেক্সের অল্প মাত্রায় রেচক প্রভাব থাকতে পারে, তবে দীর্ঘ সময় বা বেশি পরিমাণ ল্যাটেক্স খেলে ক্র্যাম্প, ডিহাইড্রেশন এবং পটাশিয়াম কমে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই দৈনন্দিন সেবনে জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
মৌখিক স্বাস্থ্য
অ্যালো জেল মুখের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে, হালকা জ্বালা ও আলসার শান্ত করতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে প্লাক কমাতে সহায়ক হয়। টুথপেস্ট বা মাউথওয়াশে অ্যালোর উপস্থিতি তাই জনপ্রিয়। ঘরে জেল ব্যবহার করলে পরিষ্কার হাত দিয়ে আলতোভাবে লাগিয়ে দিন এবং খাবার বা গরম পানীয়ের আগে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকে অ্যালোর বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবহার
সূর্যদগ্ধ ত্বকে ঠান্ডা জেল আরাম দেয়, লালভাব কমায় এবং আর্দ্রতা ধরে রাখে। ব্রণপ্রবণ ত্বকে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। শুষ্ক ত্বকে গ্লিসারিন বা হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরামের উপর অ্যালো জেল লাগালে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে। সংবেদনশীল ত্বকে আগে কানের পেছনে প্যাচ টেস্ট করুন। পচা গন্ধ, রঙ বদলে যাওয়া বা দূষিত জেল কখনো ব্যবহার করবেন না।
চুল ও স্ক্যাল্প কেয়ার
অ্যালো জেল প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে স্ক্যাল্পকে হাইড্রেট করে, খুশকি ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের জট ছাড়াতে সহায়ক। তিনটি সহজ পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন। এক, শ্যাম্পুর আগে স্ক্যাল্পে জেল লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দুই, জেল, দই এবং এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে সাপ্তাহিক হেয়ার মাস্ক করুন। তিন, পানি মিশিয়ে স্প্রে করে লিভ ইন কন্ডিশনারের মতো ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ব্যবহার চুল শুষ্ক করতে পারে, তাই ফ্রিকোয়েন্সি নিয়ন্ত্রণ করুন।
কৌতূহল জাগানো ৫টি ব্যবহারযোগ্য রেসিপি
- সকালের হালকা পানীয়। ২০০ মিলিলিটার পানি, এক টেবিলচামচ তাজা অ্যালো জেল, আধা চা চামচ মধু, কয়েক ফোঁটা লেবু।
- হজমে স্বস্তি স্মুদি। কিউই বা আনারস, দই, এক টেবিলচামচ অ্যালো জেল, অল্প পুদিনা।
- সান-সুথিং জেল। অ্যালো জেল, শসার রস, অল্প রোজ ওয়াটার। ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনে লাগান
- স্ক্যাল্প প্যাক। অ্যালো জেল, মেথি বাটা, এক চা চামচ কালোজিরা তেল। ২০ মিনিট।
- মুখের দাগে স্পট জেল। অ্যালো জেল, হলুদের অতি অল্প গুঁড়া, মধু। রাতের বেলায় স্পটে লাগিয়ে 20 মিনিট পর ধুয়ে নিন।
কতটা খাবেন এবং কীভাবে নেবেন
খাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ দিক হলো জেল-ভিত্তিক, ল্যাটেক্স-মুক্ত প্রস্তুতি। সাধারণত দিনে ১৫ থেকে ৩০ মিলিলিটার ডিকলোরাইজড অ্যালো জুস বা এক থেকে দুই টেবিলচামচ তাজা জেল পানি বা স্মুদিতে মেশানো যেতে পারে। টপিক্যাল প্রয়োগে দিনে দুই থেকে তিনবার পাতলা স্তর যথেষ্ট। ক্যাপসুল, টিংচার বা কনসেনট্রেট নিলে পণ্যে উল্লেখিত ডোজ অনুসরণ করুন এবং প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক ডোজে সহনশীলতা দেখুন।
কে সাবধান হবেন
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী, ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, কিডনি বা লিভারের ক্রনিক সমস্যা, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স, হূদ্রোগে ডাইউরেটিক বা কার্ডিয়াক গ্লাইকোসাইড ব্যবহারকারী, অ্যান্টিকোগুল্যান্ট, অ্যান্টিপ্লেটলেট, অ্যান্টিডায়াবেটিক বা স্টেরয়েড ব্যবহারকারী। ল্যাটেক্সের রেচক অংশ এসব ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়াতে পারে। অস্ত্রোপচারের আগে পরে নিজের মতো করে কোনো হার্বাল শুরু বা বন্ধ করবেন না। অ্যালার্জিপ্রবণ ত্বকে প্যাচ টেস্ট বাধ্যতামূলক।
ঘরে কেনার সময় কী দেখবেন
ল্যাটেক্স-মুক্ত বা ডিকলোরাইজড লেখা আছে কি না খেয়াল করুন। তৃতীয় পক্ষের গুণমান পরীক্ষার সিল, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণতার স্পষ্ট তারিখ, গাঢ় কাঁচের বোতল এবং অ্যালো কনটেন্টের শতাংশ উল্লেখ আছে কি না দেখুন। তাজা পাতা নিলে মোটা ও টানটান পাতা নিন। কাটার পর হলুদাভ রস ঝরিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে কেবল স্বচ্ছ জেল গ্রহণ করুন।
দ্রুত প্রশ্নোত্তর
অ্যালো কি ওজন কমায়?
-সরাসরি চর্বি পোড়ায় না। জেল-ভিত্তিক পানীয় হাইড্রেশন ও হালকা তৃপ্তি বাড়িয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টায় সহায়ক হতে পারে।
প্রতিদিন খাওয়া যায় কি?
-কম পরিমাণ, জেল-ফোকাসড, ল্যাটেক্স-মুক্ত হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সহনীয়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে মাঝে মাঝে বিরতি নিন এবং শরীরের সাড়া দেখুন।
ব্রণে কি লাগানো যায়?
-হ্যাঁ, পাতলা স্তর, পরিষ্কার ত্বকে, দিনে এক থেকে দুইবার। জ্বালা হলে বন্ধ করুন।চুলে রাতভর রাখা ঠিক কি না। সূক্ষ্ম চুলে শুষ্ক হতে পারে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট যথেষ্ট, পরে ধুয়ে ফেলুন।
সাইড ইফেক্ট এবং কখন বন্ধ করবেন
পেটব্যথা, ক্র্যাম্প, ডায়রিয়া, মাথা হালকা লাগা, লালচে ফুসকুড়ি, চুলকানি বা জ্বালা দেখা দিলে ব্যবহার বন্ধ করুন। লাল প্রস্রাব, তীব্র দুর্বলতা, খিঁচুনি বা ত্বকে প্রচণ্ড জ্বালা হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। কোনো নতুন সাপ্লিমেন্ট শুরু করার আগে আপনার পার্সোনাল মেডিকেল হিস্ট্রি অনুযায়ী পেশাদার পরামর্শ নিন।
অ্যালোভেরা একটি বহুমুখী ভেষজ। জেল ত্বক, চুল, মৌখিক স্বাস্থ্য এবং হালকা হজমে আরাম দিতে পারে। সঠিক অংশ বাছাই, ডোজ নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত পণ্য নির্বাচন এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকলে অ্যালোর উপকার নিরাপদে পাওয়া যায়। রান্নাঘরের সহজ রেসিপি থেকে স্কিন কেয়ার ও হেয়ার কেয়ারের কাস্টম রুটিন পর্যন্ত সবখানেই এর প্রয়োগ সম্ভব। ব্যবহার শুরু করুন কম পরিমাণে, শরীরের সাড়া দেখুন, প্রয়োজনে বিরতি নিন এবং প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলুন।
রাশিফল: ৩ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ৩ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।
মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আজ আপনার সময় ভালো কাটবে। কোনো খবর আপনার মনে প্রশান্তি এনে দেবে। আয়ের নতুন উৎস পেতে পারেন। বন্ধুর সহযোগিতায় কাজের অগ্রগতি হবে। কাছের মানুষদের সুন্দর অনুভূতি প্রদর্শন করুন।
বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে সুনাম বজায় থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে অর্থের জোগান ভালো হবে। আপনার দৃঢ়তা ও বিশ্বস্ততা অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন।
মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কর্মক্ষেত্রে উন্নতির যোগ রয়েছে। দিনটি আনন্দের মধ্যে কাটবে। বিদেশ থেকে শুভ সংবাদ পেতে পারেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ঠিক হবে না। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করুন এবং পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): ভালো কোনো কাজের আশ্বাস পেতে পারেন। কারো অসুস্থতায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারে। মুড বা স্থিতিশীল ভাবাবেগ ক্ষতির কারণ হতে পারে। কাজে বাধা এলেও দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলুন।
সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): ব্যক্তিগত দায়দায়িত্ব বাড়তে পারে। সম্মিলিত কাজে অগ্রগতির সম্ভাবনা। বন্ধুস্থানীয় ব্যক্তির সাহচার্য আনন্দ দেবে। নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসবে। উপযুক্ত কাজ করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করুন।
কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): সম্ভাবনাময় কিছু কাজ নিয়ে ভাবতে পারেন। বেকারদের চাকরি সংক্রান্ত কাজে অগ্রগতি হবে। প্রকাশিত কাজে বাধা এলে বুদ্ধিবলে তা অতিক্রম করতে হবে। ধীরগতিতে চলা কাজে গতি বাড়াতে হবে।
তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): শুভ কোনো পরিবর্তন হতে পারে। কঠিন কোনো কাজ আজ অনেক সহজ মনে হবে। প্রিয়জনের সমস্যায় কাছে থাকতে হবে। ভালো সময়কে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করা সহজ হবে।
বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): নতুন পরিকল্পনায় সাফল্যের ইঙ্গিত রয়েছে। কোনো যোগাযোগে ইতিবাচক ফল পেতে পারেন। ভাই-বোনের সহযোগিতা পাবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন।
ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কোনো প্রচেষ্টার ফল পেতে পারেন। আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। পাওনা আদায়ে অগ্রগতি হতে পারে। আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে একটি নতুন উদ্যোগ চালু করতে পারেন। বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করুন। যোগাযোগ ও ভ্রমণ শুভ।
মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): কোনো কাজের জন্য সম্মানিত হতে পারেন। সর্বত্র শুভ যোগাযোগ থাকবে। প্রিয়জনের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে। মানসিকভাবে ভালো বোধ করবেন। সংকল্পের দৃঢ়তা অগ্রগতির পথ দেখাবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোবেন।
কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): কোনো খবর উৎসাহিত করবে। গুরুত্বপূর্ণ কাজে গতি আসবে। নতুন যোগাযোগ অর্থাগমের পথ দেখাবে। কর্মক্ষেত্রে বাধা সত্ত্বেও আপনি নির্ধারিত কাজগুলোতে সফল হবেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন না।
মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
মেথি(Trigonella foenum-graecum) আমাদের রান্নাঘরের সুগন্ধি মসলা, আবার ভেষজ চিকিৎসায় বহু শতাব্দীর সঙ্গী। বীজ, পাতা—দুটিই খাওয়া যায়। বীজের হালকা তেতো স্বাদ ও উষ্ণ সুবাস, পাঁচফোড়নের অপরিহার্য অংশ, আর পাতার শাক গ্রাম-শহরদুইজায়গাতেই জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে “মেথি ভেজানো পানি”—ডায়াবেটিস, ওজন নিয়ন্ত্রণ, গ্যাস্ট্রিক ইত্যাদির সহায়ক হিসেবে ব্যাপক আলোচনায়। তবে সর্বোচ্চ উপকার পেতে হলে জানতে হবে—কোন দাবির পেছনে কতটা প্রমাণ আছে, কারা খাবেন, কতটুকু খাবেন, কাদের জন্য সতর্কতা জরুরি।
মেথির বীজ ও পাতায় থাকে দ্রবণীয় ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা পুষ্টি; সঙ্গে গ্যাল্যাক্টোম্যানান, স্যাপোনিনস, পলিফেনল ও 4-হাইড্রোক্সি-আইসোলিউসিনের মতো সক্রিয় উপাদান। এসব যৌগ মিলেই মেথিকে হজমে সহায়ক, তৃপ্তি বাড়ানো ও বিপাক প্রক্রিয়া সমর্থনকারী এক “ফুড-এজ-মেডিসিন” করে তোলে।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে মেথি বিশেষভাবে আলোচিত। এর দ্রবণীয় ফাইবার খাবারের কার্বোহাইড্রেট ধীরে শোষিত হতে দেয় এবং কিছু ক্ষেত্রে ইনসুলিনের প্রতি সাড়া বাড়াতে সাহায্য করে। ভেজানো পানি জনপ্রিয় হলেও, অনেকের জন্য খাবারের সঙ্গে বা ঠিক আগে সামান্য মেথি বীজ/গুঁড়ো নেওয়াই খাবারের পর গ্লুকোজ-উল্লম্ফন কমাতে কার্যকর হতে পারে। ডায়াবেটিসে ওষুধ চললে অবশ্যই শর্করা নিয়মিত মাপা ও চিকিৎসকের সঙ্গে ডোজ সামঞ্জস্য করা জরুরি।
কোলেস্টেরল ও হৃৎস্বাস্থ্যের দিক থেকেও মেথি সহায়ক হতে পারে। দ্রবণীয় ফাইবার পিত্ত অ্যাসিডের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে LDL ও ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে ভূমিকা রাখে, যা ডায়েট ও ব্যায়ামের সঙ্গে যুক্ত হলে ভালো ফল দেয়। হজমের ক্ষেত্রে মিউসিলেজ ও ফাইবার স্টুল-বাল্ক বাড়িয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, অ্যাসিডিটি-ব্লোটিংয়ের অস্বস্তিও উপশম করতে পারে—তবে এটি কোনো প্রাথমিক চিকিৎসার বদলি নয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে মেথির ভূমিকা আসে তৃপ্তি বাড়ানো ও ক্যালরি গ্রহণ স্বাভাবিকভাবে কমিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। নিয়মিত ব্যবহার, পরিমিত ক্যালরি ও নড়াচড়ার সঙ্গে মিললে ধীরে-সুস্থে ওজন নেমে আসে। ত্বক-চুলের যত্নেও এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ উপকারী বলে ধরা হয়; স্ক্যাল্পে ভেজানো বীজের পেস্ট বা মেথি-তেল ব্যবহার করা যায়—তবে আগে ছোট্ট প্যাচ-টেস্ট করলে অ্যালার্জির ঝুঁকি কমে। স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে মেথি ঐতিহ্যগতভাবে গ্যালাক্টাগগ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, সবার ক্ষেত্রে সমান ফল নাও মিলতে পারে; তাই শিশু-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিরাপদ পথ।
পুরুষস্বাস্থ্যে শক্তি, উদ্দীপনা বা টেস্টোস্টেরন-সম্পর্কিত কিছু উপকারের ইঙ্গিত ছোট আকারের গবেষণায় থাকলেও প্রমাণ এখনো সীমিত; তাই বাড়াবাড়ি প্রতিশ্রুতির বদলে বাস্তবসম্মত প্রত্যাশাই যুক্তিসঙ্গত। জয়েন্ট/প্রদাহ ও রোগপ্রতিরোধে মেথি সহায়ক হতে পারে—কিন্তু এগুলো সম্পূরক, মূল চিকিৎসা নয়।
নিরাপত্তা বা সতর্কতার কথা বলতে গেলে—শুরুতে অনেকেরই হালকা গ্যাস, পেটফাঁপা বা “মেথি-ঘ্রাণ” ঢেঁকুর হতে পারে; ডোজ ধীরে বাড়ান। ডালজাতীয় খাদ্যে অ্যালার্জি থাকলে সতর্ক থাকুন। গর্ভাবস্থায় উচ্চ ডোজ/সাপ্লিমেন্ট এড়ানো ভালো। ওয়ারফারিন/অ্যাসপিরিনের মতো রক্তপাত-প্রবণতা বাড়ানো ওষুধ বা অ্যান্টিডায়াবেটিক ওষুধের সঙ্গে একসঙ্গে নিলে ইন্টারঅ্যাকশনের সম্ভাবনা থাকে—চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে নিন। শিশুদের ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্ট ডোজ না দিয়ে রান্নায় অল্প ব্যবহারই নিরাপদ।
কীভাবে খাবেন—ব্যবহার ও ডোজ গাইড
- ভিজানো পানি (Soaked Water)
পদ্ধতি: ১–২ চা–চামচ বীজ ধুয়ে ২০০–২৫০ মি.লি. পানিতে রাতভর ভিজিয়ে রাখুন।
খাওয়ার সময়: সকালে/খাবারের ১৫–৩০ মিনিটআগেধীরে ধীরে পান করুন; বীজগুলো চিবিয়ে খাওয়াও যায়।
কাদের জন্য: হজম, তৃপ্তি, শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- মেথি চা/ডিকোকশন
১ চা–চামচ মেথি গুঁড়ো/বীজ ১ কাপপানিতে ৫–१० মিনিট সেদ্ধ, ছেঁকে পান করুন। ইচ্ছে করলে আদা/দারুচিনি যোগ করাযায়।
- পাউডার
ডোজ (সাধারণ নির্দেশিকা): ১–৩ গ্রাম/দিন দিয়ে শুরু, সহনশীলতা অনুযায়ী ৫ গ্রাম পর্যন্ত।
টিপস: খাবারের সাথে মিশিয়ে নিলে শর্করা-স্পাইক কমাতে বেশি সাহায্য করে।
- শাক/অঙ্কুর
পাতার শাক ভাজি/ডাল/পরোটায়; অঙ্কুরিত বীজ সালাদ/স্যান্ডউইচে। রান্নায় নিয়মিত ব্যবহারে “লো-ডোজ, লং-টার্ম” উপকার।
- টপিকাল (চুল/ত্বক)
বীজ ভিজিয়ে পেস্ট/তেল বানিয়ে মাথার ত্বক/মুখে—প্যাচ টেস্ট করে নিন; সপ্তাহে ১–২ বার।
উপযুক্ত দৈনিক সীমা (খাদ্যোপযোগী ব্যবহারে): সাধারণত ১–৫ গ্রাম বীজ/পাউডার। হার্বাল ক্যাপসুলের লেবেল-ডোজ মেনে চলুন। অতিরিক্ততা বাঞ্ছনীয় নয়।
বাস্তব পরিকল্পনা (উদাহরণ)
- সকাল: নাশতার ১৫ মিনিটআগে ১ চা–চামচ ভেজানো মেথির পানি।
- দুপুর: ভাত/রুটির সঙ্গে মেথি-শাক ভাজি বা ডালে ½-১ চা–চামচ বীজ।
- রাত: কার্বোহাইড্রেট বেশি হলে খাবারের সঙ্গে ½–১ চা–চামচ মেথি পাউডার দই/লাসিতে।
- সাপ্তাহিক: ১–২ বার স্ক্যাল্পে মেথি-পেস্ট মাস্ক (১০–১৫ মিনিট)।
সুতরাং বলা যায়, মেথি ভিজানো পানি, চা, গুঁড়ো বা রান্না—সবই গ্রহণযোগ্য। ব্যবহারিকভাবে রাতে ১–২ চা-চামচ বীজ পানিতে ভিজিয়ে সকালে পানি চুমুক দিয়ে খাওয়া এবং বীজ অল্প চিবিয়ে নেওয়া যায়; বিকল্প হিসেবে ১–৩ গ্রাম গুঁড়ো খাবারের সঙ্গে মেশানো যায়, সহনশীলতা থাকলে ৫ গ্রাম পর্যন্ত নেওয়া যায়। পাতার শাক নিয়মিত ডাল/সবজিতে দিলে “লো-ডোজ, লং-টার্ম” উপকার পাওয়া যায়। শুকনা, বায়ুরোধী পাত্রে রোদ-আর্দ্রতা থেকে দূরে রেখে সংরক্ষণ করুন; পাউডার ৩–৪ মাসে শেষ করা ভালো।
সব মিলিয়ে, মেথি সহজলভ্য ও বহুমুখী—কিন্তু এটি কোনো “ম্যাজিক কিউর” নয়। ডায়েট-ব্যায়াম-ঘুম-স্ট্রেস ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত হলে এটি রক্তে শর্করা, তৃপ্তি-বোধ, হজম, কোলেস্টেরল—এসব ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। তবে এটি ওষুধের বিকল্প নয় এবং সবার জন্য একইভাবে কাজ নাও করতে পারে। সঠিক ডোজ, সময়, ধারাবাহিকতা—এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ—এই তিনটি মানলেই মেথির বাস্তব উপকার টেকসইভাবে পাওয়া সম্ভব।
- ডাঃ মুনতাসির চৌধুরী।
সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
কালিজিরা বা কালোজিরা আমাদের খাদ্যসংস্কৃতি ও লোকঔষধি জ্ঞানের এক আবেগময় নাম। ইসলামী ঐতিহ্যে এটি বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত, যেখানে কালিজিরাকে মৃত্যু ব্যতীত বহুরোগেউপকারীবলা হয়েছে। আবার আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান ও ফাইটো-কেমিস্ট্রি দেখায়, ছোট্ট এই কালো বীজে আছে তেল, ফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন ও একাধিক বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা শরীরে নানা জৈবপ্রক্রিয়ায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। ফলে কালিজিরা আজ লোকপ্রথা, রান্নাঘর এবং ল্যাবরেটরি—তিন ক্ষেত্রেই সমানভাবে আলোচিত।
উদ্ভিদবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কালিজিরা Nigella sativa, Ranunculaceae গোত্রের তেলবীজ জাত উদ্ভিদ। উদ্ভিদটি সাধারণত ২০ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। এর পাতা সূক্ষ্মভাবে বিভাজিত, ফুল সাধারণত সাদা বা লঘু নীল, কখনও পীতবর্ণও দেখা যায়। পুংকেশর অনেক, গর্ভকেশর তুলনামূলক লম্বা। কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণে গাছে ফুল ফোটে এবং শীতকালে গোলাকার ফল পরিপক্ব হয়। প্রতিটি ফলের খোলসে ২০ থেকে ২৫টি ত্রিকোণাকার কালো বীজ থাকে। বীজে স্থির তেলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হওয়ায় এটি রান্না, আচার, মসলা এবং ভেষজ তেল হিসেবে বহুল ব্যবহৃত। দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া এর প্রাচীন নিবাস হিসেবে বিবেচিত, তবে আজ এটি পশ্চিম এশিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকা এবং ইউরোপ-আমেরিকার বাজারেও পরিচিত একটি তেলবীজ।
পুষ্টিগুণে কালিজিরা সমৃদ্ধ। সাধারণভাবে প্রতি ১০০ গ্রামে এটি উল্লেখযোগ্য ক্যালরি, প্রোটিন, চর্বি ও কার্বোহাইড্রেট সরবরাহ করে। তেলের মূল শক্তি আসে লিনোলিক ও অলিক অ্যাসিড থেকে, সঙ্গে থাকে স্বল্পমাত্রায় লিনোলেনিক, পামিটিক ও স্টেয়ারিক অ্যাসিড। খনিজ উপাদানে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক চোখে পড়ার মতো; ভিটামিনে থাকে এ, বি-গ্রুপের কিছু ভিটামিন, সি ও ই। পুষ্টিমান জাত, আবহাওয়া, মাটি, চাষপদ্ধতি, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ওপর কিছুটা ওঠানামা করতে পারে, তাই যে কোনো সংখ্যা একটি যুক্তিসঙ্গত পরিসর হিসেবে বিবেচনা করাই ভালো।
কালিজিরার সবচেয়ে আলোচিত বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ হলো থাইমোকুইনোন। গবেষণায় এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশী বৈশিষ্ট্যের সূত্র ধরে নানা জৈবপথে কাজ করতে দেখা যায়। বীজে থাকাপলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন ও স্টেরল শ্রেণির যৌগ সামগ্রিকভাবে ইমিউন ফাংশন, লিপিড প্রোফাইল এবং কোষীয় সুরক্ষায় সহায়তা করতে পারে। এই বায়োঅ্যাকটিভগুলোর একটি সুষম প্রভাবই কালিজিরাকে রান্নাঘরের মসলা থেকে ধীরে ধীরে চিকিৎসাবিজ্ঞানের সহায়ক অধ্যায়ে তুলে এনেছে।
স্বাস্থ্যপ্রভাবে কালিজিরার সবচেয়ে শক্ত সংকেত দেখা যায় গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ ও কার্ডিও-মেটাবলিক সূচকে। বেশ কিছু মানব-গবেষণায় টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা প্রিডায়াবেটিসে কালিজিরার গুঁড়া বা তেল রক্তে গ্লুকোজ ও HbA1c কিছুটা কমাতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। লিপিড প্রোফাইলে ট্রাইগ্লিসারাইড ও LDL কমতে এবং HDL সামান্য বাড়তে দেখা যায়, যদিও প্রভাব সাধারণত ছোট থেকে মাঝারি। একইভাবে রক্তচাপে নমনীয় পতন লক্ষ করা গেছে। তবে এসব ফল জীবনযাত্রা পরিবর্তন ও প্রেস্ক্রিপশন ওষুধের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক বলেই দেখা উচিত।
শ্বাসতন্ত্র ও অ্যালার্জিতে কালিজিরা প্রাচ্য চিকিৎসা ও লোকপ্রথায় প্রচণ্ড জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক কিছু ট্রায়ালে অ্যালার্জিক রাইনাইটিসে নাসিকালক্ষণ কিছুটা কমেছে এবং হাঁপানির ক্ষেত্রে উপসর্গ উপশমের ইঙ্গিত আছে। ঠান্ডা-কাশি-গলা ব্যথায় মধু বা উষ্ণ পানীয়ের সঙ্গে কালিজিরা বা এর তেল মেশানো আমাদের রান্নাঘর-ভিত্তিক ঘরোয়া রুটিনেই পড়ে। তবু মনে রাখতে হবে, অ্যাজমা বা তীব্র অ্যালার্জি একটি মেডিকেল কন্ডিশন। তাই কালিজিরা থাকুক সহকারী হিসেবে, ইনহেলার বা চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ থাকবে প্রধান হাতিয়ার হিসেবে।
লিভার ও পরিপাকে কালিজিরা অনেকের প্রিয়। এতে থাকা তেল ও ফাইটো-কেমিক্যাল হজমক্রিয়া সক্রিয় রাখতে, গ্যাস-অম্বল কমাতে এবং মৃদু কোষ্ঠকাঠিন্যে স্বস্তি দিতে সহায়ক হতে পারে। ক্ষুদ্রান্তে পুষ্টি শোষণে সহায়তার কথা বলা হয় এবং কিছু প্রি-ক্লিনিক্যাল প্রমাণ আছে যে এটি লিভারকোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে কিছুটা সুরক্ষা দিতে পারে। তবে জন্ডিস, আলসার বা ফ্যাটি লিভারের মতো নির্দিষ্ট রোগে নিজে নিজে কালিজিরা দিয়ে চিকিৎসা শুরু না করে চিকিৎসকের মতামত নেওয়াই উত্তম।
ত্বক ও চুলে কালিজিরার তেল জনপ্রিয় একটি নাম। মাথার ত্বকে নিয়মিত হালকা ম্যাসাজ খুশকি ও স্ক্যাল্প ইরিটেশনেআরাম দিতে পারে, চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগাতে সহায়ক হয় এবং চুল পড়া কমাতে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভালো সাড়া মেলে। ত্বকে মধু বা দইয়ের সঙ্গে কালিজিরা গুঁড়া বা তেলেরমৃদুপ্যাক ব্রণ, র্যাশ বা মৃদু প্রদাহে ব্যবহার হয়। সংবেদনশীল ত্বকে আগেছোটজায়গায়প্যাচটেস্টকরে নিলে অপ্রত্যাশিত রিঅ্যাকশনের ঝুঁকি কমে।
মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে থাইমোকুইনোনকেঘিরেআলোচনাও কম নয়। ছোট আকারের কিছু গবেষণায় স্মৃতিশক্তি ও মনোযোগে হালকা উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মৃদু প্রদাহনাশী প্রভাবে আসে। বয়সজনিত নিউরোডিজেনারেশনে ল্যাব-ভিত্তিক গবেষণা আশাব্যঞ্জক হলেও বড় মানব-ট্রায়ালের অভাব এখনো রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে কালিজিরা সতর্ক আশাবাদেই দেখা উচিত।
ব্যবহারপদ্ধতিতে সবচেয়ে নিরাপদ ও টেকসই হলো রান্নায় নিয়মিত, অল্পমাত্রায় সংযোজন। গরম ভাতে কালিজিরা ভর্তা, ডাল-সবজিতে ফোড়ন, আচার বা রুটির টপিং—এসব ব্যবহার স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যগুণওদেয়। অনেকেচা, কফি বা লেবুপানিতে অল্পকালিজিরা গুঁড়া, আরকে বা কয়েক ফোটা তেল মিশিয়ে থাকেন। সাপ্লিমেন্ট হিসেবেতেলবা ক্যাপসুল বাজারে পাওয়া যায়, তবে তৃতীয় পক্ষের মাননিয়ন্ত্রিত পণ্য নিলেই ভালো। ডোজের বিষয়ে সাধারণ শিক্ষণ হলো কম ডোজে শুরু করা, শরীরের সাড়া দেখে ধীরে ধীরে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছানো এবং কোনো প্রতিকূল লক্ষণ দেখা দিলে বন্ধ করা।
ডোজের ক্ষেত্রে গবেষণায় নানা মাত্রা দেখা যায়। রান্নায় মসলা হিসেবে দৈনিক ১ থেকে ৩ গ্রাম বীজ অনেকের জন্য সহনীয়। তেলের ক্ষেত্রে ৩০০ মিলিগ্রাম থেকে ১ গ্রাম পর্যন্ত দিনে এক বা দুইবার ব্যবহার হয়েছে। কেউ কেউ ৫ মিলিলিটার পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি প্রোটোকল ব্যবহার করেছেন। তবে এগুলো তথ্যগত নির্দেশিকা, ব্যক্তিগত চিকিৎসা-নির্দেশ নয়। ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তপাত-ঝুঁকি, থাইরয়েড সমস্যা, কিডনি বা লিভারের ক্রনিক রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরিকল্পনা মিলিয়ে নেবেন।
নিরাপত্তা ও সতর্কতায় কয়েকটি কথা জরুরি। গর্ভাবস্থায় মুখে সাপ্লিমেন্ট আকারে কালিজিরা না নেওয়াই ভালো। দুগ্ধদানকালে নিরাপত্তা-ডেটা সীমিত, কারও কারওত্বকে তেলের প্রতি অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। অ্যান্টিডায়াবেটিক, অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টিকোয়াগুলান্ট বা প্লেটলেট-প্রভাবিত ওষুধ ব্যবহার করলে মিথস্ক্রিয়ার সম্ভাবনা মাথায় রাখুন। অপারেশনের আগে পরে নিজে নিজেসাপ্লিমেন্ট শুরু বা বন্ধ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। শিশুদের ক্ষেত্রে দুই বছরের নিচে মুখে তেল না দিয়ে কেবল বাহ্যিক প্রয়োগ বিবেচনা করুন এবং বড়দের ক্ষেত্রেও ত্বকে লাগানোর আগে ছোট এলাকায় পরীক্ষা করে নিন।
বাজার থেকে তেল বা বীজ কেনার সময় খাঁটি পণ্য নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় পক্ষের গুণমান-পরীক্ষিত ব্র্যান্ড, ঠান্ডা চাপে নিষ্কাশিত তেল, গাঢ় কাঁচের বোতল, উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণতার স্পষ্ট লেবেল—এসব বিষয় দেখুন। তেল আলো, তাপ ও বাতাসে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ হারায়, তাই ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় ঢাকনা শক্ত করে রেখে দিন। উচ্চ তাপে দীর্ঘক্ষণ রান্নায় তেলের সূক্ষ্ম উপাদান নষ্ট হতে পারে, তাই রান্নার শেষে অল্প যোগ করা উত্তম।
লোকপ্রথার নানা দাবির মাঝে বিজ্ঞানসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি ধরে রাখা দরকার। কালিজিরা বহু উপকারী বটে, তবে এটি সর্ব রোগের পূর্ণাঙ্গ ঔষধ নয়। ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ, হাঁপানি বা চর্মরোগ—এসবের ক্লিনিক্যাল চিকিৎসা থাকবে অগ্রাধিকারভিত্তিক, কালিজিরা থাকবে সহায়ক স্তরে। সঠিক পণ্য, পরিমিত ডোজ, নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, জীবনযাপনগত শৃঙ্খলা এবং প্রয়োজনমতো চিকিৎসকের গাইডেন্স—এই সমন্বয়ই সর্বোত্তম ফল দেয়।
কালিজিরাআমাদের রান্নাঘরের সহজলভ্য একটি সুপার-মসলা, যার ঐতিহ্য ও বিজ্ঞানের সুন্দর মেলবন্ধন আছে। মসলা হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার, মাঝেমধ্যে উষ্ণ পানীয় বা মধুর সঙ্গে অল্পমাত্রায়গ্রহণএবংত্বক বা চুলে সচেতন বাহ্যিক প্রয়োগ—এই তিন স্তরের স্মার্ট রুটিনেই আপনি কালিজিরার স্বাদ, সুগন্ধ এবং উপকারকে নিরাপদভাবে কাজে লাগাতে পারবেন।তবে একে “সর্ব রোগের ঔষধ” বলা অতিরঞ্জন; বরংবলাযায়, এটি একটি শক্তিশালী সহায়ক খাদ্য ও ভেষজ উপাদান।নিয়মিত রান্নায় কালিজিরা ব্যবহার, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সঙ্গে এর সঠিক প্রয়োগ করলে এটি সত্যিই হয়ে উঠতে পারে আমাদের জীবনের এক প্রাকৃতিক আশীর্বাদ।
ছেলেদের পোশাকে ২০২৫ সালের সেরা ১০ কালার কম্বো
ফ্যাশন ট্রেন্ড আসবে যাবে, কিন্তু যেটা সত্যিকারের ভালো লাগে—সেটা আবার ফিরে আসবেই। ২০২৫ সালের এই গরমে ঠিক এমনটাই হচ্ছে। পুরোনো, ক্ল্যাসিক কিছু কালার কম্বিনেশন আবার ছেলেদের ফ্যাশনে ফিরেছে—এবং এবার আরও বেশি স্টাইলিশভাবে। এই দুই রঙের কম্বোগুলো সহজ, স্মার্ট এবং খুব একটা কষ্ট না করেই যেকোনো আউটফিটকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে।
গরমে ছেলেদের জন্য সেরা ১০ কালার কম্বিনেশন
১. চারকোল ও রাস্ট (Charcoal & Rust): চারকোল হলো সফট ব্ল্যাকের মতো গাঢ় কিন্তু ভারী নয়। রাস্ট রঙটা উষ্ণ, মাটির মতো—নজর কাড়ে, তবে অতিরিক্ত উজ্জ্বল নয়।
যেভাবে পরবেন: রাস্ট রঙের টি-শার্টের সাথে চারকোল জ্যাকেট, বা চারকোল শর্টসের সাথে রাস্ট শার্ট। এই কম্বোটা গ্রীষ্মের জন্য যেমন মানায়, তেমনি শরৎকালেও দারুণ লাগে।
২. নেভি ও ক্যামেল (Navy & Camel): এই দুই রঙ একসঙ্গে এক কথায় ‘ক্ল্যাসিক’। নেভি দেয় একটা পরিষ্কার ও গম্ভীর লুক, আর ক্যামেল আনে উষ্ণতা ও পরিপক্বতা।
যেভাবে পরবেন: নেভি পোলো শার্টের সাথে ক্যামেল চিনো প্যান্ট, কিংবা ক্যামেল কোট নেভি শার্টের উপর। ক্যাজুয়াল থেকে সেমি-ফর্মাল—সব জায়গাতেই মানিয়ে যায়।
৩. অলিভ গ্রিন ও ব্ল্যাক (Olive Green & Black): যারা একটু এজি বা রুক্ষ লুক পছন্দ করেন, তাদের জন্য। অলিভ গ্রিন মানে ন্যাচারাল, আর ব্ল্যাক সবসময়েই স্মার্ট।
যেভাবে পরবেন: ব্ল্যাক হুডির ওপর অলিভ জ্যাকেট, অথবা ব্ল্যাক জিন্সের সঙ্গে অলিভ টি-শার্ট।
৪. গ্রে ও বারগান্ডি (Gray & Burgundy): গ্রে এমন একটা রঙ, যা প্রায় সব কিছুর সাথেই মানায়। আর বারগান্ডি যোগ করে ব্যক্তিত্ব ও স্টাইল।
যেভাবে পরবেন: গ্রে সোয়েটার বারগান্ডি প্যান্টের সঙ্গে। বা, বারগান্ডি হুডির সাথে গ্রে জগার্স—ক্যাজুয়াল এবং স্মার্ট, দুইভাবেই দারুণ।
৫. হোয়াইট ও বেইজ (White & Beige): যদি আপনি ক্লিন, ফ্রেশ লুক চান, তবে এই কম্বো সেরা।
যেভাবে পরবেন: হোয়াইট টি-শার্ট বেইজ চিনোর সঙ্গে, বা বেইজ হুডি হোয়াইট স্নিকারের সঙ্গে। এটা বসন্ত ও গ্রীষ্মের জন্য একদম পারফেক্ট।
৬. ব্রাউন ও লাইট ব্লু (Brown & Light Blue): এই কম্বোটা একটু রেট্রো ধাঁচের হলেও এখনো মডার্ন ফিল দেয়। ব্রাউন আনে উষ্ণতা, আর লাইট ব্লু রাখে কুল ও হালকা।
যেভাবে পরবেন: হালকা নীল শার্টের সাথে ব্রাউন প্যান্ট, বা হালকা ব্লু টি-শার্টের ওপর ব্রাউন জ্যাকেট।
৭. ডেনিম অন ডেনিম (Denim on Denim): আগে যাকে ‘কানাডিয়ান টাক্সেডো’ বলা হতো, এখন সেটা আবার ট্রেন্ডে।
যেভাবে পরবেন: ডেনিমের দুই শেড মিশিয়ে। যেমন হালকা রঙের ডেনিম শার্টের সাথে গাঢ় ইন্ডিগো জিন্স। একটা নিউট্রাল টি-শার্ট বা একটু বোল্ড স্নিকার্স দিলে লুকটা আরও জমবে।
৮. ব্ল্যাক ও ক্রিম (Black & Cream): ব্ল্যাক-হোয়াইট কম্বোর অতিরিক্ত কনট্রাস্ট এড়াতে হোয়াইটের বদলে ক্রিম ব্যবহার করলে পুরো লুকটাই সফট আর আধুনিক লাগে।
যেভাবে পরবেন: ব্ল্যাক সোয়েটারের সঙ্গে ক্রিম প্যান্ট বা ব্ল্যাক জিন্সের সঙ্গে ক্রিম হুডি।
৯. কোবাল্ট ব্লু ও হোয়াইট (Cobalt Blue & White): এই কম্বো দেখায় ক্লিন, কনফিডেন্ট আর খুবই ফ্রেশ। ২০২৫ সালের জন্য এটি একেবারে পারফেক্ট।
১০. প্যাস্টেল ইয়েলো ও লাইট ব্লু (Pastel Yellow & Light Blue): এই কম্বো সহজ, আর দারুণ চমকপ্রদ। প্যাস্টেল ইয়েলো টি-শার্টের সঙ্গে লাইট ব্লু জিন্স প্রায় সবার গায়েই মানায়।
স্টাইল টিপস
মনে রাখবেন, স্টাইল শুধু কাপড়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নতুন হেয়ারকাট, ফ্রেশ দাড়ি ট্রিম—ছোট ছোট পরিবর্তনেও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আপনি যেমনই হোন, নিজের পছন্দটাই আপনার আসল স্টাইল।
সূত্র : ব্রাইট সাইড
পারফেক্ট পারফিউম বেছে নেবেন যেভাবে: জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
ভালো গন্ধ শুধু অন্যকে আকর্ষণ করে না, নিজের আত্মবিশ্বাসও বাড়ায়। তাই অনেকেই প্রতিদিন পারফিউম ব্যবহার করেন। কিন্তু বাজারে এত ব্র্যান্ড আর সুবাসের ভিড়ে নিজের জন্য একদম পারফেক্ট পারফিউমটি বেছে নেওয়া কঠিন। একজন অভিজ্ঞ পারফিউমার ক্যাটেরিনা কাতালানি আপনার ব্যক্তিত্ব ও পছন্দ অনুযায়ী সঠিক পারফিউম বেছে নেওয়ার সহজ ও কার্যকর পরামর্শ দিয়েছেন।
সঠিক পারফিউম বাছাইয়ের কৌশল
ক্যাটেরিনা বলেন, পারফিউম শুধু গন্ধই নয়, এটা আপনার মেজাজ, স্টাইল এবং আত্মপরিচয়ের একটি অংশ। এটি আমাদের প্রিয় স্মৃতি বা আবেগের সঙ্গেও জড়িয়ে থাকে। তাই পারফিউম নির্বাচনকে হালকা করে দেখা উচিত নয়।
১. ত্বকে ব্যবহার করে পরীক্ষা করুন
দোকানে গিয়ে বোতলের মুখ থেকে শুঁকে সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল পদ্ধতি। পারফিউম আসলে আপনার ত্বকের সঙ্গে মিশে কেমন ঘ্রাণ ছড়ায়, সেটা বোঝা জরুরি। কারণ একেকজনের ত্বকের সঙ্গে পারফিউমের রসায়ন ভিন্ন হয়।
পরামর্শ: হাতের কব্জিতে একটু স্প্রে করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ঘ্রাণটা কেমন লাগে, বুঝে সিদ্ধান্ত নিন।
২. ব্যক্তিত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখুন
পারফিউম একটি ‘স্টেটমেন্ট’। আপনি যদি শান্ত স্বভাবের হন, তবে হালকা, ফুলেল সুবাস আপনার জন্য মানানসই। আবার যদি আপনি প্রাণবন্ত ও সাহসী হন, তবে একটু গাঢ় বা মসলাদার ঘ্রাণ মানাবে ভালো।
৩. একাধিক ঘ্রাণ ব্যবহার করুন
ক্যাটেরিনা পরামর্শ দেন, একটি পারফিউমে আটকে না থেকে ভিন্ন ভিন্ন ঘ্রাণও ব্যবহার করা উচিত। কারণ একেক দিন একেক মুড, একেক পরিবেশ—একেক সুবাস আপনার আলাদা দিক ফুটিয়ে তুলতে পারে।
৪. চুলের জন্য আলাদা পারফিউম
চুলে পারফিউম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও ঘ্রাণটা যাচাই করে নেওয়া উচিত। কারণ চুলে দেওয়া পারফিউমের ঘ্রাণও আপনার আশপাশের মানুষের কাছে পৌঁছায়।
পারফিউম কেনার আগে যা খেয়াল রাখবেন
স্থায়িত্ব: এসেনসিয়াল অয়েল বেশি থাকলে ঘ্রাণ দীর্ঘসময় ধরে থাকবে।
অ্যালকোহল: অ্যালকোহল বেশি থাকলে দাম কম হলেও সুবাস তাড়াতাড়ি উবে যায়।
উপাদান: উপাদানগুলো দেখে নিন—আপনার ত্বকে বা নাকে অ্যালার্জি হয় কি না বুঝে নিন।
ব্র্যান্ডেড পারফিউম: ব্র্যান্ডেড পারফিউম কেনার আগে টেস্টার ব্যবহার করে যাচাই করে নিন।
পারফিউম বেছে নেওয়া মানে শুধু ভালো ঘ্রাণ খোঁজা নয়, এটা নিজের একটি ছাপ রেখে যাওয়ার বিষয়। তাই সময় নিয়ে, নিজের পছন্দ ও ব্যক্তিত্ব বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
যে পদ্ধতিতে খাবার থাকবে মাসের পর মাস অক্ষত
ফ্রিজে রাখা গরম ও আর্দ্রতায় ভরা খাবার দ্রুত ফাঙ্গাসের শিকার হয়ে যায়। এই সমস্যা কীভাবে এড়ানো যায় এবং খাবার কীভাবে অক্ষত রাখা যায়, তা জানা জরুরি। আজকের দিনে অনেক গৃহিণী খাবারের সতেজতা বজায় রাখতে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি রোধ করতে ঐতিহ্যবাহী সংরক্ষণ কৌশলকে নতুন করে গ্রহণ করছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ইউএনএফএও) একটি রিপোর্ট অনুসারে, প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ খাদ্য উৎপাদন নষ্ট হয় অপর্যাপ্ত সংরক্ষণের কারণে। এই সমস্যা সমাধানে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে লাখ লাখ পরিবার এখন খাবারের অপচয় কমাচ্ছে।
খাবার সংরক্ষণে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক কৌশল
১. শুকানোর কৌশল ও এয়ারটাইট জার
আমাদের পূর্বপুরুষরা ফল, সবজি ও মাছ-মাংস শুকিয়ে সংরক্ষণ করতেন, যা ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করত। আজকালকার গৃহিণীরা সবজিগুলোকে কাপড়ে মুড়ে হাওয়ায় শুকান এবং এরপর সিল করা জারে রাখেন। এই পদ্ধতিতে পানির পরিমাণ কমিয়ে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি বন্ধ করা হয়। গ্রীষ্মকালে সবজি কেনার পর ধুয়ে শুকিয়ে এয়ারটাইট গ্লাসের জারে রাখুন, যা খাবারের সতেজতা বজায় রাখতে এবং পরিবেশবান্ধব সংরক্ষণে সহায়ক।
২. ফ্রিজারে শস্য ও ডাল
বর্ষাকালে শস্য ও ডালকে কীট ও ফাঙ্গাসের ডিম থেকে রক্ষা করতে সেগুলোকে কেনার পর প্রথমে দুদিন ফ্রিজারে রাখুন। এই ঐতিহ্যবাহী কৌশল কীট ও ছত্রাকের বীজ ধ্বংস করে।
৩. তাজা শাক-সবজির সংরক্ষণ
শাকসবজি ও সবুজ পাতা সংরক্ষণে কাপড়ের ব্যবহার একটি কার্যকরী রহস্য। ধনেপাতা কিংবা পুদিনাপাতাগুলোকে ভেজা কাপড়ে মুড়ে রাখুন। এটি অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে এবং ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি রোধ করে। এছাড়া সবজিগুলোকে প্লাস্টিকের প্যাকেটে রেখে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন এবং প্রতি সপ্তাহে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।
৪. মসলার বিশেষ যত্ন
বর্ষায় মসলা পাউডারগুলোকে ফাঙ্গাস ও কীটপতঙ্গ থেকে দূরে রাখতে সেগুলোর সঙ্গে নিমপাতা বা শুকনো লংকার টুকরো মিশিয়ে রাখুন। মসলা কেনার পর প্রথমে ফ্রিজারে দুদিন রেখে দিন, যাতে কোনো ডিম বা ছত্রাকের বীজ ধ্বংস হয়। এরপর এয়ারটাইট কনটেইনারে স্থানান্তর করুন। এই কৌশল মসলাগুলোকে মাসের পর মাস সতেজ রাখবে।
৫. কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো
আধুনিক ফ্রিজের পাশাপাশি মাটির কলসি বা ধাতুর পাত্র ব্যবহার করেও খাবার সংরক্ষণ করা যায়। এটি কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানোর একটি পরিবেশবান্ধব উপায়। এই কৌশলগুলো শুধু খাবারের স্বাদ রক্ষা করে না, বরং পুষ্টিগুণও অটুট রাখে।
নতুন জুতোয় ফোসকা? যন্ত্রণা দূর করবে এই ৫ ঘরোয়া উপাদান
অনেক সময় নতুন জুতা পায়ে দিলে ফোসকা পড়ে যায় এবং আঙুলে ব্যথা অনুভব হয়। এই সমস্যা কমবেশি প্রায় সবারই হয়ে থাকে। পায়ে ফোসকা পড়লে হাঁটা-চলা করাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করে এই ফোসকা এবং তার তীব্র যন্ত্রণা সহজেই কমানো সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক, কোন ৫টি ঘরোয়া উপাদান পায়ের ফোসকা ও তার যন্ত্রণাকে দূর করবে:
ফোসকা নিরাময়ের ৫টি ঘরোয়া উপায়
১. পেট্রোলিয়াম জেলি ও নারিকেল তেল: সাধারণত চামড়ার জুতাতেই ফোসকা বেশি পড়ে। নতুন জুতা পরার আগের রাতে এর ভেতরের শক্ত অংশগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা নারিকেল তেল ঘষে রাখুন। এতে জুতা নরম হবে। বাইর থেকে ফিরে পা পরিষ্কার করে নিলে ফোসকা পড়ার আশঙ্কা কমবে। এছাড়া, ফোসকা পড়লে এর ওপর নারিকেল তেল বা মধু দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে দ্রুত সেরে যাবে।
২. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরা ক্ষতস্থানের ফোলাভাব এবং জ্বালা কমাতে সাহায্য করে। ফোসকার জায়গায় অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। জেল শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে তিন বার ব্যবহারে স্বস্তি পাবেন।
৩. অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম: ফোসকার জায়গায় অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিতে পারেন। সুযোগ পেলেই জুতা খুলে রেখে পায়ে একটু বাতাস লাগাতে চেষ্টা করুন। ঘাম শুকিয়ে গেলে ফোসকার ঝুঁকি কমে এবং ক্ষত তাড়াতাড়ি সারে।
৪. গ্রিন টি: গ্রিন টি তে থাকা ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষত কমাতে সাহায্য করে। গরম পানিতে অল্প বেকিং সোডা মিশিয়ে একটি গ্রিন টি ব্যাগ ডুবিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এরপর টি ব্যাগটি ফোসকার জায়গায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। দিনে তিনবার করলে সুফল পাবেন।
৫. বরফের সেঁক: ফোসকার জ্বালা কমাতে বরফের সেঁক দিতে পারেন। একটি কাপড়ে বরফ বেঁধে নিয়ে ফোসকার ওপর আলতো করে চেপে রাখুন। ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। টানা ১০-১৫ মিনিট বরফের সেঁক দিলে জ্বালা অনেকটা কমবে এবং ব্যথা থেকেও আরাম পাওয়া যাবে।
পাঠকের মতামত:
- বন্ধ নাক খুলতে নেজাল ড্রপ নয়, কাজে লাগান এই ৭ ঘরোয়া উপায়
- হাঙ্গেরি: ইউরোপের হৃদয়ে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার
- ইসলামী ব্যাংকের কর্মীদের অবরোধে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট
- সিঁড়ি ভাঙতে গেলেই বুক ধড়ফড়? কখন বুঝবেন এটি হৃদরোগের সংকেত?
- রমজান কবে? জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার পূর্বাভাসে মিলল সেই ইঙ্গিত
- শীতের আগে থেকেই যে ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করা জরুরি
- ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা: কাঁটাযুক্ত পাতার ভেতর লুকানো আরোগ্যের জেল
- ওমরাহ পালনে ১০টি নতুন নিয়ম: যা না মানলেই জরিমানা
- জাতিসংঘ মহাসচিবের উৎসাহ: হামাসের সেই ঘোষণায় কী আছে, যা শান্তি ফেরাতে পারে?
- পিআর আন্দোলনের দলগুলোর ২৪ সালের ভূমিকা কী ছিল?: সালাহউদ্দিন আহমদ
- পলিথিন নয়, সচিবালয়ে ঢুকতে হলে এবার লাগবে কাপড়ের ব্যাগ!
- ইসরায়েলের নাম টেনে ইরানে ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
- ইন্দোনেশিয়ায় স্কুল ধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪, নিখোঁজ আরও ৪৯
- আর্জেন্টিনায় তিন কিশোরী হত্যা: মূলহোতা পেরুতে আটক
- গাজা যুদ্ধের অবসানে আলোচনায় রাজি হামাস, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ
- “গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সারা বিশ্বের সমর্থন”—মির্জা ফখরুল
- “বিবেকের গর্জন”—গাজা ফ্লোটিলায় শহিদুল আলমকে প্রশংসা করলেন তারেক রহমান
- ইসরায়েলে আটক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অভিযাত্রীদের অনশন
- সালাহউদ্দিন আহমদ: প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছে, শিগগিরই মাঠে নামবে একক প্রার্থী
- ভারত অস্বীকার করল খাগড়াছড়ি অস্থিরতায় জড়িত থাকার অভিযোগ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- পৃথিবীর শেষ সীমান্ত: মহাসাগরের গহীনে অজানার খোঁজে
- বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ আজ: টিভিতে কোথায়, অনলাইনে কীভাবে দেখবেন?
- মঙ্গলের কাছাকাছি ‘অদ্ভুত অতিথি’ ধূমকেতু: আজই পৃথিবী থেকে দেখার সেরা সুযোগ
- ল্যাপটপে পানি পড়লে কী করবেন? যে ৭টি কাজ ভুলেও করা উচিত নয়
- পেটে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য? একটানা বসে থাকা নয়তো এর কারণ!
- নূহ (আ.)-এর প্রতি তার জাতির ৫টি অভিযোগের জবাব
- রাশিফল: ৩ অক্টোবর আপনার জীবনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা
- বিক্ষোভের মুখে পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীর, বন্ধ মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা
- মিরপুরে মেট্রোরেলের পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাসে হামলা ও অগ্নিসংযোগ
- হাসিনাকে সমর্থন দেওয়ায় ভালো পরিবেশ নষ্ট হয়েছে : সাকিব প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা
- গাজাগামী শেষ ত্রাণবাহী নৌযানটিও ইসরায়েলের হাতে আটক
- ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রস্তুতির সার্বিক চিত্র ও টাইমলাইন
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- জেনে নিন ৩রা অক্টোবরের সেহরি, ইফতার ও নামাজের সময়
- কালো দাগকে অবহেলা নয়: জেনে নিন চোখের নিচের কালো দাগের স্বাস্থ্যঝুঁকি
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- কেন ফেরাউনরা নিজেদের শরীর মমি করে রাখত? এক ঐশ্বরিক ক্ষমতার লড়াইয়ের ইতিহাস
- নারী বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে উড়িয়ে বিশাল জয় বাংলাদেশের
- গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন: প্রতিবাদে আজ ইতালিতে দেশব্যাপী ধর্মঘট
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ইসরায়েলি বাহিনী আমাকে অপহরণ করেছে: গ্রেটা থুনবার্গ
- এনসিপিকে ‘শাপলা’ প্রতীক দেওয়া হলে মামলা করব না: মান্না
- ছেলেদের পোশাকে ২০২৫ সালের সেরা ১০ কালার কম্বো
- ফ্লোটিলার কর্মীদের উচ্চ-নিরাপত্তা কারাগারে রাখতে পারে ইসরায়েল
- শাপলা নয়, বেগুন-বালতি থেকে প্রতীক বেছে নিতে হবে এনসিপিকে
- মারুফার জোড়া আঘাতে শুরুতেই ধসে গেল পাকিস্তানের ব্যাটিং
- আটক ফ্লোটিলা যাত্রীদের নিয়ে ইসরায়েলের বার্তা
- পারফেক্ট পারফিউম বেছে নেবেন যেভাবে: জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
- রাতে বারবার পা নড়ে? সতর্ক হোন, হতে পারে ‘রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম’
- বার্লিন সম্মেলন ১৮৮৪–৮৫: আফ্রিকা বিভাজনের রাজনীতি, অর্থনীতি ও উত্তরাধিকার
- রসুনের গোপন শক্তি: এক কোয়া কি সত্যিই শরীরকে বদলে দিতে পারে?
- সর্ব রোগের ঔষধ কালিজিরা’র আদ্যপ্রান্ত: ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, ব্যবহার ও সতর্কতা
- ম্যালেরিয়া: কারণ, লক্ষণ, ঝুঁকি, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
- স্মার্টফোন থেকে ডিলিট হওয়া ছবি ফিরে পাওয়ার ৩টি সহজ উপায়
- বৃষ্টির দিনে ইন্টারনেটের গতি কমে যায় কেন? সমাধান জেনে নিন
- খাগড়াছড়ি-গুইমারায় সহিংসতা: সেনাবাহিনীর বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শ্বাসরুদ্ধকর জয়: শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- মেথি কি সত্যিই ‘সুপারফুড’? বিজ্ঞান, উপকার, ঝুঁকি ও খাওয়ার সেরা সময়
- ডিএসইতে সোমবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে রবিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- বিয়ে করতে গিয়ে বিপত্তি: ‘প্রথম স্ত্রীর’ হাতে আটক ছাত্রলীগ নেতা