ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ০৮:০১:১৫
ইসলামী ব্যাংকিংয়ের লভ্যাংশ হালাল নাকি সুদ? জানুন প্রকৃত সত্য

বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশে ইসলামী ব্যাংকিং ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। কিন্তু একটি প্রশ্ন প্রায়ই সামনে আসে—ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে আমরা লভ্যাংশ বা মুনাফা খেতে পারব কিনা। এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন ওলামায়ে কেরামের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।

ইসলামী ব্যাংক ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ

আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হয়। অর্থাৎ, ইসলামী ব্যাংকগুলোকে অন্যান্য সব ব্যাংকের মতোই দেশের ব্যাংকিং আইন, বিধি-বিধান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা মেনে চলতে হয়। যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই একটি সুদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান, তাই ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম শতভাগ সুদমুক্ত রাখা বাস্তবে কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেকে মনে করেন, ইসলামী ব্যাংককে পুরোপুরি শরিয়াহ–সম্মত বলা যায় না।

শরিয়াহ বোর্ডের ভূমিকা

তবে প্রতিটি ইসলামী ব্যাংকের একটি স্বতন্ত্র শরিয়াহ বোর্ড থাকে। এই বোর্ডের দায়িত্ব হলো ব্যাংকের সব কার্যক্রম ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হচ্ছে কি না তা তদারকি করা, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া এবং শরিয়াহভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন করা।সহজভাবে বললে, শরিয়াহ বোর্ডের মূল দায়িত্ব হলো—

  • ব্যাংকের বিনিয়োগ ও লেনদেন সুদমুক্ত রাখা
  • শরিয়াহসম্মত বিনিয়োগপদ্ধতি অনুসরণ নিশ্চিত করা
  • প্রয়োজনে গ্রাহকদের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা

যেহেতু শরিয়াহ বোর্ডে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেমগণ থাকেন, তাই সাধারণ মানুষ তাদের নির্দেশনা অনুসারে ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ গ্রহণকে বৈধ মনে করতে পারেন।

টাকা রাখা বনাম লভ্যাংশ গ্রহণ

ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখা এবং সেখান থেকে মুনাফা গ্রহণ করা দুটি ভিন্ন বিষয়। টাকা জমা রাখা শুধু বৈধ নয়, বরং জরুরি। কারণ, যদি কেউ সুদী ব্যাংকে টাকা রাখে তবে তার অর্থ দিয়ে ব্যাংক সুদভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যা পরোক্ষভাবে সুদের কারবারকে সমর্থন করার সমান অপরদিকে ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখলে অন্তত নিশ্চিত হওয়া যায় যে, আপনার অর্থ সুদভিত্তিক লেনদেনে ব্যবহার করা হবে না।

লভ্যাংশ বা মুনাফা গ্রহণের বৈধতা

শরিয়াহ বোর্ড অনুমোদিত ইসলামী ব্যাংকের মুনাফা গ্রহণ করা বৈধ, তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে।

  • শরিয়াহ–সম্মত বিনিয়োগ পদ্ধতি:ইসলামী ব্যাংকগুলো সাধারণত মুদারাবা (লাভ-লোকসানের অংশীদারিত্ব) ও মুশারাকা (অংশীদারিত্ব) ভিত্তিক বিনিয়োগ করে থাকে। এ পদ্ধতিগুলো সুদমুক্ত এবং শরিয়াহ–সম্মত।
  • সুদ নয়, বরং লাভ:প্রচলিত ব্যাংকের মতো নির্দিষ্ট সুদের হার এখানে নেই। বরং ব্যাংক যে ব্যবসা বা বিনিয়োগ থেকে লাভ করবে, সেই লাভের একটি অংশ গ্রাহককে প্রদান করবে। ফলে এটিকে সুদ বলা যাবে না।
  • শরিয়াহ বোর্ডের তদারকি:ইসলামী ব্যাংকের প্রতিটি বিনিয়োগ ও লেনদেন শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এতে গ্রাহক নিশ্চিত হতে পারবেন যে প্রাপ্ত মুনাফা সুদের আওতাভুক্ত নয়।

গ্রাহকের করণীয়

  • ব্যাংক যাচাই করুন: নিশ্চিত করুন যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা ব্যাংকিং উইন্ডো একটি পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
  • বিনিয়োগ পদ্ধতি জানুন: ব্যাংক কোন কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে তা জানার চেষ্টা করুন এবং শরিয়াহ অনুমোদিত কিনা তা খোঁজ নিন।
  • সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরামর্শ করুন: যদি সন্দেহ থাকে তবে সরাসরি ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ড বা কোনো ইসলামী অর্থনীতি বিষয়ক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

সারকথা হলো, ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রাখা এবং লভ্যাংশ গ্রহণ করা বৈধ, যদি সেই ব্যাংকটি সত্যিকার অর্থে শরিয়াহ বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং তাদের বিনিয়োগ ও লেনদেন শরিয়াহসম্মত পথে পরিচালিত হয়। ইসলামী ব্যাংকের লভ্যাংশ আসলে সুদ নয়, বরং লাভ-লোকসানভিত্তিক অংশীদারিত্বের ফলাফল। তবে গ্রাহকের সচেতন থাকা জরুরি, যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারেন যে তাদের অর্থ সত্যিকার অর্থেই শরিয়াহ–সম্মত উপায়ে ব্যবহার হচ্ছে।


ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৫ ১১:৩৫:৩১
ব্যবসায়ীদের সতর্কবার্তা: রাজনৈতিক স্বচ্ছতা না এলে বিনিয়োগ ফিরবে না
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে এক অস্বস্তিকর ‘অপেক্ষার ঘূর্ণিতে’ আটকে আছে—যেখানে স্থবির বিনিয়োগ, লাগাতার উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং দুর্বল ব্যবসায়িক আস্থা মিলিয়ে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকৌশল কার্যত থমকে গেছে। ব্যবসায়ী, নীতিনির্ধারক এবং অর্থনীতিবিদদের অভিন্ন মত, একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনই এই অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার একমাত্র বাস্তব পথ।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে প্রত্যাশিত সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে যে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা অর্থনীতির প্রতিটি স্তরে গভীর প্রভাব ফেলছে। অনেকেই বলছেন, “অর্থনীতি শ্বাস নিচ্ছে ঠিকই, কিন্তু হাঁটতে পারছে না”—কারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে জড়তা, ঝুঁকি এড়ানোর প্রবণতা এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্কে স্পষ্টতার অভাব পুরো ব্যবসায়িক পরিবেশকে পক্ষাঘাতগ্রস্ত করে ফেলেছে।

দেশের প্রধান শিল্প, বিনিয়োগ ও নীতি-পর্যায়ের প্রতিনিধিরা একমত: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া নতুন বিনিয়োগ বা উদ্যোগ নেওয়া প্রায় অসম্ভব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, রিহ্যাবের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, বিজিএমইএর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ইনামুল হক খান, বিসিআই সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. মুস্তফা কে মুজেরি সকলেই বর্তমান পরিস্থিতির গভীরতা তুলে ধরেছেন।

অর্থনীতিবিদের ভাষায়, অর্থনৈতিক স্থিতি মূলত রাজনৈতিক আস্থার ওপর দাঁড়ানো—এবং সেই আস্থা পুনর্গঠনের দায়িত্ব সরকারেরই। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ ছাড়া পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না।

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় থমকে থাকা বিনিয়োগ

অর্থনীতিকে আবার গতিময় করতে প্রয়োজন ব্যক্তিখাতের ঋণপ্রবাহ, নতুন স্থাপনা নির্মাণ, শিল্পপ্রস্তুতি ও উদ্যোক্তা কার্যক্রমের বিস্তার। কিন্তু বর্তমান সূচকগুলো উদ্বেগজনক।

ব্যক্তিখাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি প্রায় ৬.৫ শতাংশে নেমে এসেছে—যা স্বাভাবিক প্রবৃদ্ধির প্রায় অর্ধেক।

পুঁজিযন্ত্র আমদানি কমেছে ২৫ শতাংশ; যা ভবিষ্যতের উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের ওপর নেতিবাচক সংকেত দিচ্ছে।

বিদেশি বিনিয়োগ (FDI) চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে কমেছে ২২ শতাংশ; অনেকে বিদ্যমান কার্যক্রমও সঙ্কুচিত করছেন।

এদিকে ভোক্তাদের আর্থিক সক্ষমতাও নড়বড়ে। মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ৮.৩৬ শতাংশে, ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তীব্রভাবে কমেছে। জাতীয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ছয় হাজার কোটি টাকারও বেশি—যা স্পষ্ট করে যে, অনেকে জীবনযাপনের ব্যয় মেটাতে সঞ্চয় ভাঙতে বাধ্য হচ্ছেন।

এক অর্থনীতিবিদ মন্তব্য করেছেন, এখন বিনিয়োগ শুধু অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, এটি সামাজিক আস্থা ও নিরাপত্তার প্রশ্ন। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি গ্রহণ ক্ষমতাকে প্রায় স্তব্ধ করে দিয়েছে।

সামাজিক মূল্য ও বেকারত্বের চাপ

অর্থনৈতিক স্থবিরতার সবচেয়ে ভয়াবহ অভিঘাত পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের ওপর। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতি দারিদ্র্য বাড়িয়ে তুলছে এবং আরও প্রায় ৩০ লাখ মানুষকে চরম দারিদ্র্যের নিচে ঠেলে দিতে পারে।

বেকারত্ব আরও বড় উদ্বেগ—দেশে প্রায় ১৩ লাখ যুবক বেকার, যার মধ্যে প্রতি তিনজন স্নাতকের একজন চাকরিহীন। এ অবস্থা দীর্ঘ হলে সামাজিক অস্থিরতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শিল্প ও ব্যবসায় নেতাদের স্পষ্ট দাবি

দেশের বিভিন্ন শিল্পখাতের নেতারা বলছেন, উৎপাদন, রিয়েল এস্টেট, ব্যাংকিং বা সেবা খাতে নতুন বিনিয়োগ কার্যত থেমে গেছে। বিদেশি ক্রেতা ও উন্নয়ন সহযোগীরাও অপেক্ষায়—তারা একটি স্থায়ী নির্বাচিত সরকার দেখতে চান।

বিজিএমইএ নেতারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য অংশীদাররা অন্তর্বর্তীকালীন রাজনৈতিক কাঠামোতে আস্থাশীল নন। একইভাবে উন্নয়ন অংশীদাররাও প্রত্যাশা করছেন দ্রুত নির্বাচন এবং একটি স্থায়ী প্রশাসন।

পুনরুদ্ধারের পথ: একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন

অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্ব হলো দ্রুত, বিশ্বাসযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা—যা সুশাসন, আস্থা ও নীতি-স্থিতিশীলতার ভিত্তি গড়ে দেবে। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত।

বিসিআই সভাপতি পারভেজের মতে, নির্বাচনের সময়সূচি এবং শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যবসায়িক আস্থাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারে। ড. মুজেরি সতর্ক করে বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর না হলে এবং সুদের হার উচ্চ থাকলে মূলধন প্রবাহ দুর্বলই থাকবে।

অর্থনীতিবিদদের ভাষায়, দেশ এখন এক “ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে”—যেখানে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, বর্তমান স্থবিরতাকে মেনে নেওয়া হবে, নাকি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক গতিশীলতার পথে এগিয়ে যাওয়া হবে।

-এম জামান


স্বর্ণের দাম আবার চড়ল, ২২ ক্যারেটে ভরিতে নতুন রেকর্ড!

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৪ ১০:৫৩:৪২
স্বর্ণের দাম আবার চড়ল, ২২ ক্যারেটে ভরিতে নতুন রেকর্ড!
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ফের বড় মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন মূল্যতালিকা ঘোষণা করে জানায়, আজ শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়ছে। নতুন দামে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৯১ টাকা।

বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বর্ণের খুচরা দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন মূল্য সমন্বয়ের ফলে সব ক্যারেটের স্বর্ণের দামই বেড়েছে।

স্বর্ণের নতুন দাম (প্রতি ভরি ১১.৬৬৪ গ্রাম):

২২ ক্যারেট: ২,১৩,৭৯১ টাকা

২১ ক্যারেট: ২,০৪,০০৩ টাকা

১৮ ক্যারেট: ১,৭৪,৮৫৫ টাকা

সনাতন পদ্ধতি: ১,৪৫,৫২০ টাকা

বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন, ওজন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে।

এদিকে রুপার বাজারে কোনো পরিবর্তন আসেনি। মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে:

২২ ক্যারেট রুপা: ৪,২৪৬ টাকা

২১ ক্যারেট রুপা: ৪,০৪৭ টাকা

১৮ ক্যারেট রুপা: ৩,৪৭৬ টাকা

সনাতন পদ্ধতি: ২,৬০১ টাকা


দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় লাফ অস্থির বাজুস বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ২১:৩২:৫৮
দুই দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে বড় লাফ অস্থির বাজুস বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারও বড় লাফ দিয়ে বেড়েছে স্বর্ণের দাম। প্রতি ভরিতে এবার ৫ হাজার ২৪৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড তৈরি করল।

বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস এই তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার ১৪ নভেম্বর থেকেই স্বর্ণের নতুন এই দাম কার্যকর হবে।

দাম বৃদ্ধির কারণ ও নতুন মূল্য তালিকা

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের বা পিওর গোল্ড মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য নিম্নরূপ হবে:

২২ ক্যারেট প্রতি ভরি ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা

২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা

১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা

সনাতন পদ্ধতি প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা

ভ্যাট মজুরি ও রুপার দাম

বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি কম-বেশি হতে পারে।

এদিকে, স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম।

২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়।

২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।

পূর্বের দাম সমন্বয়

এর আগে সবশেষ গত ১১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ৪ হাজার ১৮৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। পূর্বের সেই দাম ১২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল।


মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ: ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ কার্যকর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১৩ ১৪:৪৯:৫৬
মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন বন্ধ: ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫’ কার্যকর

বাংলাদেশে নতুন কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমোদন আর দেবে না বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (১২ নভেম্বর) প্রকাশিত সরকারি গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় কমিশন নতুন ‘মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা, ২০২৫’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার বিএসইসির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন এই বিধিমালা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে।

বিধিমালা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে নতুন কোনো মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড স্কিমের অনুমোদন দেওয়া হবে না। কেবলমাত্র বেমেয়াদি (ওপেন-এন্ড) মিউচুয়াল ফান্ডের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে বর্তমানে কার্যরত মেয়াদি ফান্ডগুলোর জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে, যাতে ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।

নতুন বিধিমালার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, গেজেট প্রকাশের ছয় মাসের মধ্যে কোনো স্কিমের ইউনিটপ্রতি গড় লেনদেন মূল্য যদি স্কিমটির ক্রয়মূল্য বা ঘোষিত নিট সম্পদমূল্যের (NAV) তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি কমে যায়, তাহলে ট্রাস্টি ইউনিটহোল্ডারদের স্বার্থে বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করতে পারবে। ইজিএমে উপস্থিত ভোটদাতাদের তিন-চতুর্থাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট এবং বিএসইসির অনুমোদনের মাধ্যমে ফান্ডটি বেমেয়াদি ফান্ডে রূপান্তর করা বা অবসায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

বিনিয়োগ কাঠামোতেও এসেছে বড় পরিবর্তন। নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, মিউচুয়াল ফান্ড বা এর স্কিমের অর্থ কেবল স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বোর্ডে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে। পাশাপাশি আইপিও (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব), আরপিও (পুনরায় গণপ্রস্তাব), রাইট শেয়ার এবং সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। তবে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি), এসএমই প্ল্যাটফর্ম বা মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ থাকবে। যদি কোনো সিকিউরিটিজ পরবর্তীতে মূল বোর্ড থেকে তালিকাচ্যুত হয় বা এটিবি/এসএমই বোর্ডে স্থানান্তরিত হয়, তাহলে ছয় মাসের মধ্যে সেই বিনিয়োগ প্রত্যাহার করতে হবে।

বিধিমালায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘এ’ ক্যাটাগরির নিচের ক্রেডিট রেটিংসম্পন্ন বন্ড, ডেট সিকিউরিটিজ এবং ইসলামী শরিয়াভিত্তিক সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের অনুমতি থাকবে না। এর ফলে বিনিয়োগ ঝুঁকি হ্রাস এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে একটি শক্তিশালী কাঠামো গড়ে উঠবে বলে মনে করছেন বাজারবিশ্লেষকেরা।

বিশ্লেষকদের মতে, মিউচুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০২৫ দেশের পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়াবে এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ সংস্কৃতি গড়ে তুলবে, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।


এক লাফে বেড়ে গেল স্বর্ণের দাম, আজ থেকেই কার্যকর নতুন মূল্য

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১২ ০৯:৩৮:২৫
এক লাফে বেড়ে গেল স্বর্ণের দাম, আজ থেকেই কার্যকর নতুন মূল্য
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে এক দিনের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধির প্রভাবে স্বর্ণের দামে নতুন করে সমন্বয় আনা হয়েছে। নতুন দর অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি দাম বেড়েছে ৪ হাজার ১৮৮ টাকা, যা আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন ঘোষণায় ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৪৭১ টাকা প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম)। একইভাবে ২১ ক্যারেটের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হবে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৬৩ টাকায়, এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৮৫৮ টাকা প্রতি ভরি।

বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সমন্বয় করা হয়েছে। স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

এদিকে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার ভরি ৪,২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেট রুপার দাম ৪,০৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট রুপার দাম ৩,৪৭৬ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ২,৬০১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছরে বাংলাদেশের বাজারে ৭৫তমবারের মতো স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। যার মধ্যে ৫২ বার বেড়েছে, আর কমেছে মাত্র ২৩ বার। ক্রমাগত এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি বাজারে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি করছে।

-রাফসান


টানাপোড়েনের মধ্যেও সুখবর নভেম্বরের শুরুতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ২১:৪৬:৩৩
টানাপোড়েনের মধ্যেও সুখবর নভেম্বরের শুরুতে রেমিট্যান্সে বড় উল্লম্ফন
ছবিঃ সংগৃহীত

চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাসের প্রথম দশ দিনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বা প্রবাসী আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণ ৩৫ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে প্রবাসীরা দেশে ১ হাজার ১০৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। গত বছর একই সময় দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল ৮২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অর্থবছরের মোট রেমিট্যান্স পরিস্থিতি

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের শুরু অর্থাৎ ১ জুলাই থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের শক্তিশালী ধারা অব্যাহত রয়েছে:

মোট রেমিট্যান্স: ১ জুলাই থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা মোট ১১ হাজার ২৫৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

পূর্ববর্তী বছরের চিত্র: আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৭৫৮ মিলিয়ন ডলার।

এই পরিসংখ্যান দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়াতে রেমিট্যান্সের স্থিতিশীল ভূমিকার ইঙ্গিত দিচ্ছে।


বাজুসের নতুন ঘোষণা: ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছালো স্বর্ণ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১১ ১১:৩২:০৬
বাজুসের নতুন ঘোষণা: ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছালো স্বর্ণ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে আবারও স্বর্ণের দাম বেড়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানায়, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে দেশেও স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এতে করে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি দাম বেড়েছে ২ হাজার ৫০৭ টাকা, যা আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে কার্যকর হয়েছে।

নতুন দামে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা— যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। একইসঙ্গে ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা, এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।” সংগঠনটি আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সর্বশেষ গত ১ নভেম্বর বাজুস ভরিপ্রতি ১,৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছিল ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা, যা ২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও দাম সমন্বয় হওয়ায় বাজারে স্বর্ণের মূল্য বেড়ে পৌঁছেছে এক নতুন রেকর্ডে।

বাজুসের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে এ পর্যন্ত মোট ৭৪ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে যার মধ্যে ৫১ বার দাম বেড়েছে এবং ২৩ বার কমেছে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ৬২ বার, যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।

-রাফসান


স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা চলতি বছরই ৭৪ বার দাম সমন্বয় করল বাজুস

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১০ ২১:৩৪:৪২
স্বর্ণের বাজারে অস্থিরতা চলতি বছরই ৭৪ বার দাম সমন্বয় করল বাজুস
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আবারও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বাজুস। এবার প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৫০৭ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।

সোমবার ১০ নভেম্বর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস এই তথ্য জানিয়েছে। মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর থেকেই স্বর্ণের নতুন এই দাম কার্যকর হবে।

দাম বৃদ্ধির কারণ ও নতুন মূল্য তালিকা

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস উল্লেখ করেছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের বা পিওর গোল্ড মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে প্রতি ভরি বা ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম স্বর্ণের দাম নিম্নরূপ হবে:

২২ ক্যারেট প্রতি ভরি ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা

২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৯ টাকা

১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৪৫ টাকা

সনাতন পদ্ধতি প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪২ টাকা

ভ্যাট ও মজুরি সংক্রান্ত নির্দেশনা

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

পূর্বের দাম সমন্বয়

এর আগে সবশেষ গত ১ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

ওই সময় অন্য ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ছিল:

২১ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা

১৮ ক্যারেট প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা

সনাতন পদ্ধতি প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা

এই পূর্বের দাম ২ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছিল।

চলতি বছর দাম সমন্বয়ের চিত্র

বাজুসের তথ্য অনুযায়ী, এই নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৪ বার দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হলো। এর মধ্যে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫১ বার এবং কমেছে মাত্র ২৩ বার।

এছাড়া ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। সেই বছর ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।


এক কেজি আলুর দামে এখন পাওয়া যায় না এক আঁটি শাকও!

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ১০ ১৮:২৬:২১
এক কেজি আলুর দামে এখন পাওয়া যায় না এক আঁটি শাকও!
ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে আলুর দাম পড়ে গেছে এমন পর্যায়ে যে আধা লিটার বোতলজাত পানির দামে এখন এক কেজি আলু পাওয়া যাচ্ছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আধা লিটারের বোতলজাত পানির দাম যেখানে ২০ টাকা, সেখানে খুচরা পর্যায়ে এক কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকায়। অর্থাৎ আধা লিটার পানির দামে এক কেজি আলু এমন বাস্তবতা এখন কৃষকদের জন্য চরম হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাধারণত ‘পানির দামে বিক্রি’ বলতে অতি সস্তা দাম বোঝানো হয়, কিন্তু এখন সেটি যেন আক্ষরিক অর্থেই সত্যি হয়েছে। আলুচাষিদের অভিযোগ, এত কম দামে আলু বিক্রি করে তারা উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। ফলে কৃষক থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, এমনকি হিমাগার মালিকরাও লোকসানের মুখে পড়েছেন।

বর্তমানে বাজারে অন্য যেসব সবজি পাওয়া যাচ্ছে, তার কোনোটির দামই আলুর মতো কম নয়। উদাহরণস্বরূপ, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় এবং এক আঁটি শাক ১৫ থেকে ২০ টাকায়। অথচ গত বছর একই সময়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, এক বছরের ব্যবধানে আলুর দাম তিন ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। উৎপাদন এলাকাগুলোতে খুচরা দরে প্রতি কেজি আলু ১৪ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশে আলুর বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৯০ লাখ টন, কিন্তু চলতি অর্থবছরে উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ২৯ লাখ টন। অতিরিক্ত উৎপাদনই মূলত দাম কমার প্রধান কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, নওগাঁ ও জয়পুরহাটের কৃষকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মুন্সিগঞ্জে এক কেজি আলু উৎপাদন ও হিমাগারে সংরক্ষণে খরচ হয়েছে ২৬ থেকে ২৮ টাকা, অথচ বিক্রি করে কৃষকের হাতে থাকছে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ পয়সা।

মুন্সিগঞ্জের কৃষক আহসান উল্লাহ সরকার জানান, “এই মৌসুমে আলু বিক্রি করে লাখ টাকারও বেশি লোকসান গুনতে হয়েছে। আগামী মৌসুমে আলুর আবাদ কমিয়ে অন্য ফসল চাষের চিন্তা করছি।” একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন এলাকার আরও অনেক কৃষক।

দামের পতনে হিমাগারগুলোতেও সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকেরা আলু তুলতে না আসায় নভেম্বরের মধ্যে সব আলু খালাস না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের নিপ্পন কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, “যারা হিমাগারে আলু রেখেছেন, তাদের অনেকে পুঁজিহীন হয়ে পড়েছেন। ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আলু না তুললে হিমাগারের মালিকরা নিজেরাই বিক্রি করে খরচ তোলার চেষ্টা করবেন, কিন্তু বাজারে এমন দাম থাকলে সেটিও কঠিন হবে।”

আলুর দাম স্থিতিশীল রাখতে গত আগস্টে কৃষি মন্ত্রণালয় হিমাগার থেকে ২২ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন আলু কেনার ঘোষণা দিয়েছিল। টিসিবির মাধ্যমে এই আলু কেনার কথা থাকলেও প্রক্রিয়াটি এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। টিসিবির মুখপাত্র শাহাদত হোসেন জানিয়েছেন, “আলু কেনার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে।”

-রফিক

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

উড়ন্ত সরীসৃপের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ধারণা বদল ৩২০টি ফাইটোলিথ পেলেন গবেষকরা

ডাইনোসরের যুগে আকাশে রাজত্ব করত বিশাল আকৃতির উড়ন্ত সরীসৃপ 'টেরাসর'। এই রহস্যময় প্রাণীদের বিভিন্ন প্রজাতি আবিষ্কৃত হলেও তাদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে... বিস্তারিত