তারেক রহমানের নির্দেশে: পূজামণ্ডপ পাহারা দেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এলাকার সব পূজামণ্ডপ পাহারা দেবেন দলের নেতাকর্মীরা।
‘সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখন নিরাপদ’
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বসুরহাটে নোয়াখালী-৫ আসনের দুর্গাপূজামণ্ডপের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ও অনুদান বিতরণের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর অন্যায়-অত্যাচার করে পালিয়ে গেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এখন আগের চেয়ে বেশি নিরাপদ। কারণ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।”
তিনি আরও বলেন, “এখন আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আয়োজিত দুর্গাপূজামণ্ডপের নিরাপত্তা দেওয়া। কারণ তারা আমাদের ভাই, তাদের উৎসবে যাতে কেউ বাধার সৃষ্টি করতে না পারে। এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের একমাত্র দায়িত্ব এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা।”
‘সন্ত্রাসী কাদের মির্জার জন্ম আর না হয়’
বিএনপির এ নেতা বলেন, “কোম্পানীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর অত্যাচার করেছে পলাতক ওবায়দুল কাদেরের ভাই সন্ত্রাসী কাদের মির্জা। এ এলাকায় যাতে কাদের মির্জার মতো আর কোনো সন্ত্রাসীর জন্ম আর না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
সভায় বৃন্দাবন মহাজন বাড়ি দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সন্তোষ কুমার মজুমদারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক শ্যামল দাস, সদস্য সচিব অসীম মজুমদার, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অমিত মজুমদার, বসুরহাট জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি নির্মল চন্দ্র দে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, আনিছুল হক, বিএনপি নেতা একরামুল হক মিলন মেম্বার, সাবেক ছাত্রদল নেতা আবু তোয়াহা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন ছোটন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঐক্য ধরে রাখতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: বিএনপি নেতার ‘খিচুড়ি কূটনীতি’
কিশোরগঞ্জে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। নিজ ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে খিচুড়ি রান্না করে বিতরণ করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে এ আয়োজন করা হয়।
আয়োজক ও উদ্দেশ্য
রশিদাবাদ ইউনিয়নের বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপি ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক মো. বিল্লাল এ আয়োজন করে।
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমাদের তৃণমূলের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে চলার জন্য আজকে এ আয়োজন। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া হয়েছে। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ধরে রাখার জন্য এটি একটি সুন্দর আয়োজন। আমরা এ উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখব।”
‘তারেক রহমানের নির্দেশ বাস্তবায়ন’
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, “এ উদ্যোগটি ভালো লেগেছে। তারেক রহমানের নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ আয়োজন। বিএনপির সব পরিবারের সদস্যদের বলব আমরা হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে একতাবদ্ধ হয়ে ওয়ার্ড পর্যায়ে মাঝে মাঝে নেতাকর্মীদের নিয়ে এমন করে ভালো কিছু করা প্রয়োজন। তাহলে সবার খোঁজখবর নেওয়া ও ঐক্যবদ্ধ ঠিক থাকবে।”
ঐক্য ও নির্বাচনের প্রস্তুতি
আয়োজক রশিদাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বিল্লাল বলেন, “তারেক রহমান বলেছেন আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ জন্য খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। আমি মনে করি আমাদের প্রত্যেকের গোষ্ঠী, মহল্লা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে প্রতিটি নেতাকর্মী যদি উদ্যোগ নিই আমরা মাঝে মাঝে একসাথে এইভাবে খাওয়ার আয়োজন করব। সবাই একসাথে খাব। তাহলে এর মাধ্যমে প্রত্যেকের সাথে ভালো সম্পর্ক থাকবে, ঐক্যবদ্ধ থাকা যাবে।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমানের আশা ব্যর্থ হবে না। সামনে নির্বাচনে আমাদের ভোট ও সমর্থনের কোনো সমস্যা হবে না। এ উদ্দেশ্যে মূলত আমার আজকের এ আয়োজন।”
কড়া নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে জোড়া খুনের আসামি পালালো বগুড়া আদালত থেকে
বগুড়ার আদালতের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ফাঁকি দিয়ে জোড়া খুন মামলার অন্যতম আসামি রফিকুল ইসলাম (৪০) পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনার পর থেকে আদালতপাড়ায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা। তবে এখন পর্যন্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
হাজতখানা থেকে পলায়ন ও আসামির পরিচয়
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার সামনে থেকে তিনি পালিয়ে যান।
পলাতক আসামি রফিকুল ইসলাম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার চকপাড়া গ্রামের নছির আকন্দের ছেলে।
বগুড়ার পুলিশের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মোসাদ্দেক হোসেন সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগরের লক্ষ্মীমণ্ডপ এলাকায় গত ৯ জুলাই শ্বশুর ও পুত্রবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা ও ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন রফিকুল ইসলাম।
পুলিশের নজর এড়িয়ে পালানো ও তদন্ত কমিটি গঠন
আদালত পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আসামি রফিকুল ইসলামকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার জন্য সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। তবে আদালতের কাজ শেষে হাজতখানা থেকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর সময় আদালতের গেটে হাজতখানার সামনে থেকে কৌশলে পুলিশের নজর এড়িয়ে পালিয়ে যায় সে।
পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, পলাতক আসামিকে ধরতে এরই মধ্যে একটি বিশেষ টিম কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিডিয়া মুখপাত্র আতোয়ার রহমান জানান, আদালতে হাজিরা শেষে প্রিজনভ্যানে নেওয়ার পথে রফিকুল ইসলাম পালিয়ে যান। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ আগুন: ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সাহসী প্রচেষ্টা
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ সদস্য ও তিন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গীর সাহারা সুপার মার্কেটের পাশে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে, দগ্ধ ৮
খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ শাহিন আলম জানান, আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচজন সদস্য ও তিনজন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধ আটজনকে প্রথমে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি
তিনি আরও জানান, আগুন কীভাবে লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গোডাউনের ভেতরে থাকা দাহ্য কেমিক্যাল থেকেই এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরকারি অফিসে ঢুকে হামলা: মানববন্ধনকারীদের পেটালেন বিএনপি নেতাকর্মীরা
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে ঢুকে মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সোহেল রানা নামের এক যুবক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও হামলা
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাঁথিয়া উপজেলা ভূমি অফিসে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে মানববন্ধন করছিলেন। আহত সোহেল রানা ছোট পাথাইলহাট গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।
সূত্র জানায়, উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (ঝাড়ুদার) তারেক। পদে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে ভূমিসংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করে থাকেন তিনি। সম্প্রতি তার এই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অফিসে লিখিত অভিযোগ করে এলাকাবাসী। আজ সোমবার উপজেলা ভূমি অফিসে সেসব অভিযোগের শুনানি ছিল।
এর আগে এলাকাবাসী উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে মানববন্ধনে দাঁড়ান। কিন্তু মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিচ্ছন্নতাকর্মী তারেক, নাগডেমরা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্যসচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানববন্ধনকারীদের ওপর হামলা ও মারধর চালান।
ভূমি অফিসের ভেতরেও মারধর
এ সময় মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সোহেল রানা নিরাপত্তার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতর আশ্রয় নেন। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তিনি। ভূমি অফিসের ভেতর ঢুকেই সোহেল রানাকে বেধড়ক মারধর করা হয় এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে সহযোগিতা করেন।
আহত সোহেল রানা বলেন, “একজন অসৎ ও দুর্নীতিবাজ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিচারের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে দাঁড়াই। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মী তারেকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নুরুজ্জামান, সদস্যসচিব ফকরুল ইসলাম তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অনেককেই মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে। প্রাণ রক্ষার্থে আমি উপজেলা ভূমি অফিসের ভেতর গিয়েও রেহাই পাইনি। ভূমি অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখলেই মারধরের সত্যতা মিলবে। অন্যায়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে আমাকে মারধরের শিকার হতে হলো। আমি এর বিচার চাই।”
প্রশাসনের বক্তব্য
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাঁথিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোছা. সাদিয়া সুলতানা বলেন, “আজ সোমবার পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের শুনানি ছিল। কিন্তু এর আগেই উভয়পক্ষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমি অফিসের ভেতর ছিলাম। কে কাকে মেরেছে বা হামলা করেছে জানি না। তবে আমার অফিসের কয়েকটা কম্পিউটার ভেঙেছে। আমি ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
মৃত্যুর মুখে ডেঙ্গু রোগী: হাসপাতালে ভর্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অর্ধেকের বেশি মৃত
চলতি বছর ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মারা গেছেন। মোট ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
দেরিতে হাসপাতালে আসা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, “মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ডেঙ্গুতে যারা মারা গেছেন, তাদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন।”
তিনি বলেন, “রোগীরা অনেক সময় দেরিতে হাসপাতালে আসছেন। খারাপ অবস্থায় ভর্তি হচ্ছেন। ফলে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে বাড়িয়ে দিচ্ছে মৃত্যুর ঝুঁকি।”
ডা. আবু জাফর বলেন, “ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরপরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার। প্রয়োজনে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হলে কমতে পারে মৃত্যুর হার।”
সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, গত কয়েক দিনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা বেড়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমনটা দেখা যায়। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে মারা যান ৮ জন, জুলাইয়ে ১৪ জন, আগস্টে ৩০ জন এবং সেপ্টেম্বরে মারা যান ৮৭ জন। সে বছরের জুনে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯৮ জন, জুলাইয়ে ২,৬৬৯, আগস্টে ৬,৫২১ এবং সেপ্টেম্বরে ১,৮৯৭ জন। এ পরিসংখ্যান দেখে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই সবচেয়ে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যুও ঘটেছে বেশি।
তিনি বলেন, “বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে এবং আমরা যে ব্যবস্থাপনা নিচ্ছি, সেটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, জনগণকে সচেতন এবং ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ত করা। কারণ, যত ব্যবস্থাপনাই নেওয়া হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে ডেঙ্গুর মতো সংক্রামক রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া খুব কঠিন।”
কিট মজুদ ও তথ্য প্রকাশে বিভ্রান্তি
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই রোগ যদি শুরুতেই চিহ্নিত করা না যায়, সময়মতো চিকিৎসা শুরু না হয়, তাহলে মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। আপনারা যেভাবে অতীতে আমাদের সহযোগিতা করেছেন, আশা করি মানুষের সচেতনতা বাড়াতে ভবিষ্যতেও আমাদের পাশে থাকবেন।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, ডেঙ্গু শনাক্তে ব্যবহৃত এনএস১–কিট সব জায়গায় রয়েছে এবং পর্যাপ্ত মজুদ আছে। তিনি বলেন, “আমাদের কাছে প্রকাশিত খবরে এসেছে, ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন মারা গেছেন। প্রকৃতপক্ষে এর ৯ জনই মারা যান বৃহস্পতিবার। কিন্তু শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা সেদিন প্রকাশ পায়নি। এতে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এটা আমাদের ব্যর্থতা বলেই মনে করি।”
সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে এক মরদেহের দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। অবশেষে টাকা পরিশোধ করেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছে পরিবার।
হৃদয়বিদারক ঘটনা
নিহত হারুন (পেশায় রাজমিস্ত্রি) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা গ্রামের নতুন পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে। মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে গিয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। গোসল করানোর সময় সেখানে হাজির প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন।
মর্জিনা নামে ওই নারীর দাবি, হারুনের কাছে তিনি ১৫ হাজার টাকা পাবেন—আসল নয়, সুদের টাকা! মর্জিনার একটাই কথা, সুদবাবদ ওই ১৫ হাজার টাকা না পেলে হারুনকে দাফন করতে দেবেন না। উপস্থিত সবাই হতবাক হন এবং কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হারুনের পরিবারের লোকজন দাবিকৃত সুদের টাকা পরিশোধ করলে পথ ছাড়েন মর্জিনা।
গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা
টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার সময় উপস্থিত কেউ কেউ রাগে ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, “এটি অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত সুদ কারবারিদের বিচার হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ভিডিও দেখেছি। এটি অমানবিক। আমি আরও খোঁজখবর নেব।
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাড়ছে রহস্যজনক মৃত্যু: এবার রাশিয়ান ইলেক্ট্রিশিয়ানের মরদেহ উদ্ধার
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে কর্মরত কারপোভ ক্রিল (২৬) নামে রাশিয়ার এক নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে পৌর শহরের পূর্ব টেংরি জিগাতলা এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কারপোভ ক্রিল রূপপুর প্রকল্পে রুশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইএসকেএম কোম্পানির ইলেক্ট্রিশিয়ান ছিলেন।
যেভাবে মরদেহ উদ্ধার হলো
ঈশ্বরদী থানা সূত্র জানায়, কারপোভ শহরের জিগাতলা এলাকার একটি পঞ্চমতলার ফ্ল্যাটে একাই ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাশিয়া থেকে তার পরিবারের সদস্যরা কারপোভের মোবাইল ফোনে বারবার কল করেও সাড়া পাননি। পরে তারা ইএসকেএম কোম্পানির এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। ওই কর্মকর্তা কারপোভের ফ্ল্যাটে থাকা প্রতিবেশীদের খবর নেওয়ার জন্য বলেন। দোভাষী নিরাপত্তা কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম পাশের ফ্ল্যাটের আরেক রাশিয়ান নাগরিককে নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে কারপোভকে বিছানায় উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হলে রাশিয়ান চিকিৎসক এসে ক্রিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলতি বছরে এটি তৃতীয় মৃত্যু
ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুন নূর বলেন, রাশিয়ার ওই নাগরিকের মৃত্যুর কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে তার মরদেহ রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
এ নিয়ে চলতি বছর রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত রাশিয়ার তিন নাগরিকের মৃত্যু হলো। এর আগে রূপপুর প্রকল্পে কর্মরত নারী কর্মকর্তা কেসেনিয়া পোস্তারু (৩৯) গত ৫ জানুয়ারি গ্রিনসিটির চারতলা থেকে পড়ে মারা যান। অন্যজন ইভান কাইটাজোভের (৪০) লাশ গ্রিনসিটি আবাসিকের একটি বাড়ির শৌচাগার থেকে গত ৯ জানুয়ারি উদ্ধার করা হয়। ঈশ্বরদী থানা ও রূপপুর প্রকল্পের স্থানীয় কার্যালয় সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করে।
আওয়ামী লীগকে দল হিসেবে বিচারের আওতায় আনা উচিত: নাহিদ ইসলাম
সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন। খবর বাসসের।
‘রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের সংঘটিত অপরাধ’
নাহিদ ইসলাম বলেন, “দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনা উচিত, সেই সুযোগও আছে। আমরাও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন জানাব।” তিনি দাবি করেন, ট্রাইব্যুনালের কাছে এখন যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ এসেছে। তার মতে, শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা নিরঙ্কুশ ও ক্ষমতায় টিকে থাকতে জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে তাদেরকে হত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জনগণ প্রতিরোধ করে তাকে উৎখাত করেছে। ফলে এটা আওয়ামী লীগের সংঘটিত রাজনৈতিক অপরাধ। তাই দল হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেওয়ার পর আজ নাহিদ ইসলামের জেরা শেষ হয়।
এই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ।
অন্যান্য মামলা
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে তিনি এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করেছে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।
অবশেষে কাটল জট: রিজার্ভ চুরির সেই ৮১ মিলিয়ন ডলার ফিরছে দেশে!
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলায় ফিলিপাইনের আরসিবিসি ব্যাংকে রাখা ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে ফিলিপাইন সরকার। আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাজেয়াপ্ত অর্থ দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
কীভাবে অর্থ পাচার হয়েছিল?
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন খান জানান, ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার হাতিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সুইফট কোডের মাধ্যমে এই অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন (আরসিবিসি) ব্যাংকের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছিল।
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। বর্তমানে মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন।
আইনি লড়াইয়ে সাফল্য
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, দীর্ঘ আইনি লড়াই ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ফলেই এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী দায়ের করা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে ফিলিপাইনের আদালত এবং বাংলাদেশি আদালতের সহযোগিতায় এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ চুরির মামলায় অর্থ উদ্ধারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জিত হলো।
সিআইডির একটি সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ফিলিপাইনে থাকা এই অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে জমা দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বিস্তারিত জানাবেন।
পাঠকের মতামত:
- তারেক রহমানের নির্দেশে: পূজামণ্ডপ পাহারা দেবে বিএনপি নেতাকর্মীরা
- ডাকসু নির্বাচন: প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ আনলেন তিন ভিপি প্রার্থী
- ঐক্য ধরে রাখতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: বিএনপি নেতার ‘খিচুড়ি কূটনীতি’
- গাজায় ‘গণহত্যা’ ঠেকাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে স্পেনের ‘বড় পদক্ষেপ’
- নিউইয়র্কের জাতিসংঘের মঞ্চে ড. ইউনূস: বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত
- গাজা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ: জাতিসংঘের মঞ্চে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্য
- নিউইয়র্কের লাঞ্ছনা: সফরসঙ্গীদের ঘটনায় সরকারের ‘বিশেষ বার্তা’
- বিসিবি নির্বাচনে চমক: খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে চলছে নানা জল্পনা!
- ‘এই সময়’-এর সংবাদে ভুল? মির্জা ফখরুলের নতুন বক্তব্যে দানা বাঁধছে কৌতূহল
- ‘দ্য রেড জুলাই’র প্রতিবাদ: যুক্তরাষ্ট্রে লাঞ্ছনার জবাবে টিএসসিতে এক বিশেষ কর্মসূচি
- ‘দাওয়াত পেলেও যেতাম না’: প্রধান উপদেষ্টার সফর নিয়ে রনির কড়া মন্তব্য
- দেশের জ্বালানি খাতে আসছে নতুন গতি: ৪১৩ কোটি টাকার এক বড় চুক্তি
- গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: মুসলিম দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক
- কারাগারে মহিলা লীগ নেত্রী লিমাসহ ১০
- ৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান! অবশেষে কিং খানের ঘরে সেই কাঙ্ক্ষিত সম্মান
- শাহবাগে এনসিপি’র বিক্ষোভ: নিউইয়র্কে নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ
- মানবদেহে নতুন অঙ্গের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা: ক্যানসার চিকিৎসায় আশার আলো
- মির্জা ফখরুলের অভিযোগ: ভারতের পত্রিকা সাক্ষাৎকার বিকৃত করেছে
- যুক্তরাষ্ট্রে আখতার ও জারাকে লাঞ্ছিত: নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- প্রতীক ‘শাপলা’ না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেবো: সারজিস
- চাকসু ও রাকসু নির্বাচনে নতুন সময়সূচি
- কৌতূহলবশত বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারে ঢুকে বিদেশে ১৩ বছরের কিশোর
- সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শায়খ আবদুল আজিজ আর নেই
- আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করলে রাজনীতি নাই হয়ে যাবে: নাহিদ ইসলাম
- ডিএসইতে আজকের শেয়ারবাজারের সারসংক্ষেপ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিসিবির কোষাগারে ১৩৯৮ কোটি টাকা রেখে দায়িত্ব ছাড়ছে বিদায়ী পর্ষদ
- পুলিশ পাবে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা: নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে সরকারের নতুন উদ্যোগ
- শাপলা প্রতীক পাবে না এনসিপি
- টানা বৃষ্টি ও নতুন লঘুচাপ: তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তা
- আখতারের ওপর হামলা নিয়ে ঢাবি ছাত্রদলের কড়া হুঁশিয়ারি
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিকে নিয়ে নির্বাচন চান মির্জা ফখরুল
- জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে বিশ্বনেতারা
- সিরি আ’তে টানা চতুর্থ জয়ে শীর্ষে নাপোলি
- কক্সবাজারে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার নতুন প্রতিশ্রুতি
- বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত নয়, ‘সবুজ সংকেত’ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর ষড়যন্ত্র: রিজভী
- ফিলিস্তিনবিরোধী অবস্থান: ম্যানেজারকে ছাঁটাই করলেন ডুয়া লিপা
- এনসিপি নেতা আখতারের উপর হামলা: হাসনাত আব্দুল্লাহর তীব্র ক্ষোভ ও হুঁশিয়ারি
- কড়া নিরাপত্তা ফাঁকি দিয়ে জোড়া খুনের আসামি পালালো বগুড়া আদালত থেকে
- ফোলা পা থেকে শ্বাসকষ্ট: কিডনি বিকল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ৫ ইঙ্গিত
- হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের
- “আপনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা আমার দায়িত্ব”—শোকাহত পরিবারকে প্রধান উপদেষ্টা
- ফেব্রুয়ারির শুরুতেই বাংলাদেশে অবাধ নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা
- বিশ্ব বদলের ডাক: তরুণদের ‘থ্রি-জিরো ক্লাব’ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুসের
- নিউইয়র্কে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বেলজিয়ামের রানি ম্যাথিল্ডের বৈঠক
- ‘ভারত নাকি অস্ট্রেলিয়া, ওভাবে চিন্তা করছি না’: প্রতিপক্ষ নিয়ে নির্ভার মাহেদী
- মাকে পাশে নিয়ে ব্যালন ডি’অর হাতে নিলেন উসমান ডেম্বেলে
- যুক্তরাষ্ট্রে এনসিপি নেতা আখতারকে ডিম ছুড়ে হামলা
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ: স্বর্ণের দামে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতা
- রেনেসাঁর দর্শন ও দিশা: গ্রিক-রোমান জ্ঞান, মুসলিম দার্শনিকদের ভূমিকা ও আধুনিকতার উন্মেষ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- ডিএসইতে রবিবারের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- আফগানিস্তানে নারী লেখকদের বই নিষিদ্ধ করল তালেবান
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- ডিএসইতে সোমবারের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বলিউডের গ্ল্যামার থেকে ব্যক্তিগত সংগ্রামের গল্প: জিনাত আমানের জীবন ও ভালোবাসা
- ১৭ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- “অপরাধী যে বাহিনীরই হোক, বিচারের আওতায় আনতে হবে”
- ট্রাম্পের তালিকায় ভারত–পাকিস্তান ‘মাদক পাচারকারী’ রাষ্ট্র
- চরিত্র বদলের খেলায় শুভশ্রী গাঙ্গুলি
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গানের শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে ওলামা-মাশায়েখদের বিক্ষোভ